প্রত্যন্ত অঞ্চল
শিক্ষা প্রশাসনের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে কাজ করবে ইউএনডিপি
পার্বত্য চট্টগ্রাম ও প্রত্যন্ত অঞ্চলের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহের প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বৃদ্ধিতে কাজ করার আগ্রহের কথা জানিয়েছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউএনডিপির আবাসিক প্রতিনিধি স্টেফান লিলার।
বুধবার (১২ জুন) সচিবালয়ে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউএনডিপির আবাসিক প্রতিনিধি স্টেফান লিলারের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করলেন ইউএনডিপির শুভেচ্ছা দূত প্রিন্সেস ভিক্টোরিয়া
পাশাপাশি ইউএনডিপি শিক্ষা প্রশাসনের গতিশীলতা ও পরিচালন সক্ষমতা বৃদ্ধি ও শিক্ষাক্ষেত্রে এক্সেস টু ইনফরমেশনের (এটুআই) মাধ্যমে চলমান কার্যক্রমসমূহ আরও বেগবান করতেও কাজ করবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ নিযুক্ত ইউএনডিপিয়ের অ্যাসিসট্যান্ট রেসিডেন্ট রিপ্রেজেনটেটিভ সর্দার এম আসাদুজ্জামান এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউএনডিপিয়ের স্ট্রাটেজিক কমিউনিকেশনস অ্যান্ড আউটরিচ অফিসার কিরতিজাই পেহরি প্রমূখ।
আরও পড়ুন: জলবায়ু সহনশীলতা জোরদারে ইউএনডিপির সঙ্গে ফ্রান্সের ১.২ মিলিয়ন ইউরোর চুক্তি
জ্বালানি খাতে সবুজ রূপান্তর সংলাপে ইউএনডিপির শুভ্চ্ছোদূত
৫ মাস আগে
প্রযুক্তির ব্যবহার একেবারে প্রত্যন্ত অঞ্চলেও হচ্ছে: শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, প্রযুক্তির ব্যবহার একেবারে প্রত্যন্ত অঞ্চলেও হচ্ছে। এছাড়া আমাদের যাতায়াত ও বিদ্যুৎ ব্যবস্থা অনেক উন্নত হয়েছে।
তিনি বলেন, দেশের প্রতিটি ঘরে বিদ্যুৎ, প্রত্যেকের হাতে মোবাইল ফোন। সত্যিই আমরা স্মার্ট বাংলাদেশের দিকে যাত্রা শুরু করেছি। তবে স্মার্ট বাংলাদেশের যাত্রায় আমরা মনি করি, রাজনীতিকেও স্মার্ট হতে হবে।
আরও পড়ুন: পাঠ্যবইয়ের কাগজ বেশি ব্রাইট হলে চোখের জন্য ক্ষতি হতে পারে: শিক্ষামন্ত্রী
যেখানে প্রত্যেক রাজনৈতিক দল দেশের স্বার্থকে সবচেয়ে প্রাধান্য দিয়ে কাজ করবে।
শুক্রবার (৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে মন্ত্রী দু’দিনের সফরে চাঁদপুর সার্কিট হাউজে আসেন। এসময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, মানুষ ও দেশ-এটিই সবার আগে এবং সেখানে মিথ্যাচার, অপপ্রচার, মানুষকে বিভ্রান্ত করা, মানুষকে পুড়িয়ে মারা কখনও স্মার্ট বাংলাদেশের স্মার্ট রাজনীতির অংশ হতে পারে না।
এছাড়া মৌলবাদ, সাম্প্রদায়িকতা, ধর্মের ভিত্তিতে মানুষে মানুষে ভেদাভেদ করা এবং কেউ না খেয়ে থাকবে আর কেউ অর্থ বিত্তের পাহাড় গড়ে তুলবে, স্মার্ট রাজনীতি এগুলো হতে দেবে না।
মন্ত্রী বলেন, ২৫ জানুয়ারির মধ্যে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বই পৌঁছানোর কথা। বই না পাওয়ার কোনো কারণ নেই। যদি কোথাও পৌঁছাতে দেরি হয়ে থাকে, অবশ্যই আমি তা দেখব। তবে সবাইকে বলব, আমাদের ওয়েব সাইটে প্রত্যেকটি বই দেয়া আছে, কোথাও যদি কোনো ব্যত্যয় ঘটেও থাকে, তাহলে ওয়েব সাইট থেকে শিক্ষার্থীরা, বিশেষ করে শিক্ষকরা সহায়তা নিয়ে পাঠদান করতে পারবেন।
স্মার্ট বাংলাদেশ সম্পর্কে মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা ঠিক পিতার মতো। যখন যে স্বপ্ন দেখান, তা বাস্তবায়ন করেন। ডিজিটাল বাংলাদেশ, মধ্যম আয়ের দেশ, উন্নয়নশীল দেশের কথা বলেছিলেন, হয়েছি আমরা। এখন তিনি আমাদের দেখিয়েছেন ২০৪১ সালের মধ্যে আমরা একটি উন্নত, সমৃদ্ধ, সুখী ও শান্তিময় বাংলাদেশ হবো এবং সে বাংলাদেশ হবে স্মার্ট বাংলাদেশ।
এ সময় জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান, পুলিশ সুপার মিলন মাহমুদ, চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক তাফাজ্জল হোসেন এসডু পাটওয়ারী, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সানজিদা শাহনাজসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
মন্ত্রী এরপর তাঁর নির্বাচনী এলাকার অংশ হাইমচর উপজেলার সাহেবগঞ্জ বাজারের বাচ্চু সরকারের বাড়ী, পুরান বাংলাবাজার ওসমান প্রধানিয়া বাড়ী ও সৈয়দ মেম্বারের বাড়ীতে উঠান বৈঠক এবং নতুন সাহেবগঞ্জ বাজারের জনসাধারণের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।
আরও পড়ুন: পাঠ্যবই নিয়ে মিথ্যাচারকে প্রশ্রয় দেয়ার সুযোগ নেই: শিক্ষামন্ত্রী
পাঠ্যবইয়ে ভুল থাকলে সংশোধন করা হবে: শিক্ষামন্ত্রী
১ বছর আগে
প্রত্যন্ত অঞ্চলের সব মানুষকে বিদ্যুৎ দিতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ
দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে যারা এখনও বিদ্যুৎ সংযোগের বাইরে রয়েছেন তাদের দ্রুত বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শুক্রবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মো. তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া বলেন, ‘এখনো বিদ্যুৎ নেটওয়ার্কের বাইরে থাকা চর এবং প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষগুলোকে দ্রুত বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় আনার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রয়োজনে নতুন প্রকল্প নেওয়ারও পরামর্শ দেন তিনি।’
জাতীয় গ্রিড এবং দুর্গম ও প্রত্যন্ত এলাকায় সোলার প্যানেলের মাধ্যমে এখন পর্যন্ত ৯৯ দশমিক ৭৫ শতাংশ মানুষকে বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় আনতে সক্ষম হয়েছে সরকার। শতভাগ মানুষকে বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় আনার লক্ষ্য পূরণের পথে এখনো বিদ্যুৎ নেটওয়ার্কের বাইরে থাকা মানুষগুলোর জন্য দ্রুত বিদ্যুৎ সুবিধা নিশ্চিত করার নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী।
রংপুর জেলার গংগাচড়ার উপজেলার প্রত্যন্ত চরাঞ্চলের কয়েক হাজার পরিবার এখনো বিদ্যুৎ সুবিধার বাইরে বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীর নজরে এলে এ নির্দেশনা দেন তিনি।
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশের পর দ্রুততম সময়ে চর ও প্রত্যন্ত অঞ্চলের অবশিষ্ট মানুষগুলোকে বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় আনতে কাজ শুরু হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন-কোন বাড়ি বা পরিবার অন্ধকারে থাকবে না। তার নির্দেশনা অনুযায়ী শতভাগ মানুষকে বিদ্যুতের আওতায় আনার যে লক্ষ্য সে লক্ষ্য বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছি।
আরও পড়ুন: সংসদে সাধারণ আলোচনার জন্য ১৪৭ বিধিতে প্রস্তাব প্রধানমন্ত্রীর
পল্লী দারিদ্র্য বিমোচন ফাউন্ডেশনের (পিডিবিএফ) তথ্য অনুযায়ী, ‘বাংলাদেশের বিদ্যুতবিহীন প্রত্যন্ত এবং চর এলাকায় সৌর শক্তির উন্নয়ন’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় রংপুর জেলার রংপুর সদর ও গংগাচড়া উপজেলা এবং লালমনিরহাট জেলার হাতীবান্ধা উপজেলায় মোট ১২ হাজার ১৭০টি সোলার হোম সিস্টেম বসানোর কথা ছিল। সেখানে ৯ হাজার ৮৪৫টি সোলার সিস্টেম স্থাপন করতে সক্ষম হয় বাস্তবায়নকারী সংস্থা করা হয়েছে পিডিবিএফ।
গংগাচড়ায় সর্বশেষ নির্বাচিত ৪৫০৪ জনের মধ্যে থেকে যারা কন্ট্রিবিউশনের অর্থ ও এনআইডি জমা করা এবং অন্যান্য শর্ত পূরণ করেন, চলতি বছরের জুন মাসে তাদের ৭১২ জনকে সোলার হোম সিস্টেম বিতরণ করা হয়।
৩০ জুন প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হলে তালিকাভুক্ত ৯০ পরিবারের মাঝে সোলার হোম সিস্টেম বিতরণ করতে পারেনি পিডিবিএফ। বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নজরে আসলে তার নির্দেশে তাৎক্ষনিকভাবে একটি বিশেষ প্রকল্প গ্রহণ করে সেই ৯০ জনের বাড়িতে সোলার হোম সিস্টেম বসানো হয়। একই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বিদ্যুৎ সুবিধার বাইরে থাকা অন্যান্য পরিবারগুলোকেও দ্রুত বিদ্যুৎ নেটওয়ার্কের আনার নির্দেশ দেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে বিদ্যুৎ সুবিধার বাইরে থাকা গংগাচড়া উপজেলার অবশিষ্ট ৩ হাজার ৭০৮ পরিবারকেও দ্রুত বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় আনার কাজ শুরু করেন সংশ্লিষ্টরা।
প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার পর ইতোমধ্যে কাজ শুরু হয়েছে জানিয়ে পল্লী দারিদ্র্য বিমোচন ফাউন্ডেশনের (পিডিবিএফ) ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুহম্মদ মউদুদউর রশীদ সফদার বলেন, রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার চরাঞ্চলের ৩ হাজার ৭০৮ পরিবারকে কিভাবে বিদ্যুতের আওতায় আনা যায় সে লক্ষ্যে আমরা পল্লী বিদ্যুতের সঙ্গে সমন্বিতভাবে কাজ করছি।
তিনি বলেন, যেখানে যেখানে পল্লী বিদ্যুতের সংযোগ দেয়া যাবে সেখানে পল্লী বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়া হবে। আর যেসব প্রত্যন্ত অঞ্চলে পল্লী বিদ্যুতের লাইন টানা যাবে না সেখানে সোলার হোম প্যানেল সিস্টেম বসানোর মাধ্যমে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হবে।
যেসকল প্রত্যন্ত এলাকায় গ্রিড লাইনের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সরবরাহ সম্ভব নয় সেখানে সোলার হোম প্যানেল সিস্টেমের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সরবরাহ করছে সরকার।
বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, দুর্গম ও প্রত্যন্ত এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে এখন পর্যান্ত ৬২ লাখ হোম সোলার প্যানেল বসানো হয়েছে। এসব সোলার প্যানেলের মাধ্যমে ২৬৩ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হচ্ছে। নামমাত্র মূল্যে বিতরণ করা এসব সোলার প্যানেল সিস্টেমের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় এসেছেন দুই কোটি মানুষ।
শত ভাগ মানুষকে বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় আনার লক্ষ্যে কাজ করছে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার। লক্ষ্য অর্জনে পথে সরকার এখন পর্যন্ত জাতীয় গ্রিড এবং দুর্গম ও প্রত্যন্ত এলাকায় সোলার প্যানেলের মাধ্যমে সরকার এখন পর্যন্ত ৯৯ দশমিক ৭৫ শতাংশ মানুষকে বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় এনেছে। ২০০৯ সালে দেশে ৪৭ শতাংশ জনগোষ্ঠী বিদ্যুৎ সুবিধা পেতো।
পড়ুন: জেলা পরিষদের প্রতিনিধিরা মেয়াদ শেষে পদে থাকতে পারবে না
বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ক্যাপটিভ ও নবায়নযোগ্য জ্বালানিসহ বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা ২৫ হাজার ২৩৫ মেগাওয়াট। যেখানে ২০০৯ সালে এ সক্ষমতা ছিল ৪ হাজার ৯৪২ মেগাওয়াট।
বিদ্যুৎ বিভাগ আরও জানায়, ২০০৯ সালে দেশে বিদ্যুতের গ্রাহক সংখ্যা ছিল ১ কোটি ৮ লাখ। বর্তমানে এ সংখ্যা বেড়ে ৪ কোটি ১৪ লাখে উন্নীত হয়েছে। এছাড়া ২০০৯ সালে সেচ সংযোগ ছিল ২ লাখ ৩৪ হাজার, বর্তমানে সেচ সংযোগ সংখ্যা ৪ লাখ ৪৬ হাজার।
২০০৯ সালে বিদ্যুৎ খাতে সরকারের বরাদ্দ ছিল ২ হাজার ৬৭৭ কোটি টাকা। গত ২০২১-২০২২ অর্থ বছরে বিদ্যুৎ খাতে সরকার ২৮ হাজার ৫৬ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে সরকার।
২ বছর আগে