মানসম্পন্ন শিক্ষা
বগুড়ায় ব্র্যাক একাডেমির উদ্বোধন
সারা দেশের শিশুদের মানসম্পন্ন শিক্ষা প্রদানের লক্ষ্যে ব্র্যাক এডুকেশন প্রোগ্রামের (বিইপি) অন্যতম ফ্ল্যাগশিপ মডেল হিসেবে বগুড়ায় ব্র্যাক একাডেমির দ্বিতীয় শাখার উদ্বোধন করা হয়েছে। এর আগে ২০১৯ সালে ব্র্যাক একাডেমির প্রথম শাখাটি চালু হয় কুমিল্লায়।
বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) বগুড়া শাখার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন ব্র্যাকের নির্বাহী পরিচালক আসিফ সালেহ্।
এর আগে চলতি বছরের ১০ জানুয়ারি বগুড়া সদরের বকশি বাজার মোড়ে ব্র্যাক একাডেমির যাত্রা শুরু হয়।
আরও পড়ুন: ইউএসএআইডির নবযাত্রা প্রকল্পের ২২ নারী পেলেন ব্র্যাক ব্যাংকের 'জীবিকা লোন'
ব্র্যাক একাডেমি মূলত জেলা শহরগুলোতে শিশুদের সাশ্রয়ী মূল্যে মানসম্পন্ন শিক্ষা প্রদানের লক্ষ্যে কাজ করছে। আধুনিক শিখন পদ্ধতি, সমৃদ্ধ বিষয়বস্তু, ও দক্ষতা প্রয়োগের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের শেখার প্রতি কৌতূহল সৃষ্টি, মূল্যবোধ, আচার-আচরণ, সম্মান, ও দায়িত্ববোধ জাগিয়ে তুলে সফল মানুষ হিসেবে গড়ে উঠতে সহয়তা করছে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সাফল্য ও সমৃদ্ধি কামনার মাধ্যমে প্লে গ্রুপ থেকে তৃতীয় শ্রেণির ১০২ জন শিক্ষার্থীকে বরণ করে নেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানের শুরুতে শিক্ষক ও অভিভাবকদের উদ্দেশে স্বাগত বক্তব্য দেন ব্র্যাকের এডুকেশন, স্কিলস ডেভলপমেন্ট ও মাইগ্রেশন কর্মসূচির পরিচালক সাফি রহমান খান।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ-আল-মারুফ, বিশেষ অতিথি মেয়র মো. রেজাউল করিম বাদশা, ও সহকারী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. জাভেদ আখতারসহ অনেকে।
মোহাম্মদ-আল-মারুফ ব্র্যাক একাডেমির উদ্ভাবনী শিক্ষা পদ্ধতির বিষয়ে তার আগ্রহের কথা তুলে ধরেন।
আরও পড়ুন: শিক্ষক আসিফ মাহতাবকে নিয়ে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের বক্তব্য
আধুনিক শিক্ষাপদ্ধতি ও খেলাধুলার মাধ্যমে শিক্ষাদানের বিষয়টি গুরুত্বসহকারে তুলে ধরে তিনি বলেন, তার শৈশবে এ ধরনের কোনো সুযোগ ছিল না। তিনি মানসম্পন্ন শিক্ষার বিষয়ে অভিভাবকদের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টির প্রতিও গুরুত্বারোপ করেন।
মানসম্পন্ন শিক্ষার ক্রমবর্ধমান চাহিদা পূরণে ব্র্যাক একাডেমির নিজস্ব ক্যাম্পাস গড়ে তোলা ও স্কুলের সংখ্যা বাড়ানোর জন্য ব্র্যাককে আহ্বানও জানান মারুফ।
৮ মাস আগে
বাংলাদেশে ‘মানসম্পন্ন’ শিক্ষায় মেয়েশিশুদের সুযোগ দিতে যুক্তরাজ্যের অনুদান
মানসম্পন্ন শিক্ষায় মেয়েশিশু ও তরুণদের শিক্ষার সুযোগ নিশ্চিত করতে যুক্তরাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে বাংলাদেশকে ৩ কোটি ৪৭ লাখ ডলার অনুদান দিয়েছে ইউনিসেফ।
ইউনিসেফের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানোনো হয়েছে।
বাংলাদেশে ইউনিসেফের প্রতিনিধি মি. শেলডন ইয়েট বলেন, ‘প্রতিটি শিশুর জন্য শিক্ষা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি করেছে। কিন্তু সব স্তরে সমান সুযোগ ও মানসম্পন্ন শিক্ষা প্রদানের ক্ষেত্রে জটিল কিছু চ্যালেঞ্জ এখনও রয়ে গেছে।’
আরও পড়ুন: শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চালু করতে আর অপেক্ষা নয়: ইউনিসেফ-ইউনেস্কো
তিনি বলেন, ‘যুক্তরাজ্য সরকারের এই উদার অবদান ইউনিসেফকে বাংলাদেশ সরকার ও অংশীদারদের সাথে এই চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করতে এবং বিশেষ করে যে সুবিধাবঞ্চিত বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কোভিড-১৯ মহামারির জন্য ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তাদের সহায়তা করতে বড় ভূমিকা রাখবে।’
ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট চ্যাটারটন ডিকসন বলেন, ‘যুক্তরাজ্য সকল মেয়ে শিশুর ১২ বছরব্যাপী মানসম্মত শিক্ষার অধিকারের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। শিক্ষার উন্নতি করতে, কিশোরী মেয়েদের স্কুলে থাকতে সহায়তা করতে এবং সবচেয়ে প্রান্তিক শিশুদের মানসম্পন্ন শিক্ষায় প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করতে আমরা ইউনিসেফ, ব্র্যাক ও বাংলাদেশ সরকারের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে পেরে আনন্দিত।
আরও পড়ুন: ৩৪৫ শিশুর মুক্তিতে বাংলাদেশের প্রশংসা ইউনিসেফ’র
যুক্তরাজ্য সরকারের সাথে ইউনিসেফের এই যৌথ উদ্যোগ স্কুল ব্যবস্থার বাইরে থাকা শিশুদের ওপর বিশেষ গুরুত্ব দিবে। তাছাড়া এই ব্যবস্থা মেয়ে শিশু, প্রতিবন্ধী শিশু ও সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের জন্য শিক্ষাকে উন্নত করবে। এটি প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা স্তরে শিশুদের ভর্তি, তাদের স্কুলে ধরে রাখা এবং শিক্ষা সমাপনীর হার উন্নত করার ওপরও জোর দেবে। ইউনিসেফ বরাবর বাংলাদেশ সরকার এবং শিশু ও তাদের বাবা-মাসহ সকল অংশিদারদের সাথে নিবিড়ভাবে কাজ চালিয়ে যাবে। এই সহায়তার মাধ্যমে, সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের জীবনে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আসার পাশাপাশি সকল শিশুর জন্য শিক্ষা ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করা হবে।
প্রসঙ্গত, ২০২১ থেকে ২০২৮ সাল পর্যন্ত এই যৌথ প্রকল্প বাস্তবায়নে যুক্তরাজ্য সরকারের অর্থায়ন ইউনিসেফকে সহায়তা করবে।
২ বছর আগে