মুজিবুল হক চুন্নু
অনিয়ম কঠোরভাবে দমন না করলে দেশ শূন্য হয়ে যাবে: মুজিবুল হক চুন্নু
জাতীয় পার্টির মহাসচিব ও বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ মুজিবুল হক চুন্নু সংসদে বলেছেন, আর্থিক খাতের অনিয়ম-দুর্নীতি কঠোরভাবে মোকাবিলা না করলে দেশ শূন্য হয়ে যাবে।
এ ধরনের অনিয়ম নিয়ন্ত্রণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার অনুরোধ জানান বিরোধীদলীয় এই সংসদ সদস্য।
বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সংসদে এক অনির্ধারিত আলোচনায় অংশ নিয়ে চুন্নু এ কথা বলেন।
বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের বরাত দিয়ে চুন্নু বলেন, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্থিক অনিয়মের পরিমাণ ১ হাজার ৩০০ কোটি টাকা। সবচেয়ে বেশি অনিয়ম হয়েছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে।
সরকার যদি তাদের কঠোরভাবে দমন না করে তাহলে দেশ শূন্য হয়ে যাবে।
চুন্নু বলেন, এরই মধ্যে ব্যাংকগুলো ফাঁকা হয়ে গেছে।
তিনি বলেন, 'নিশ্চয়ই ওভার ইনভয়েসিং ও আন্ডার ইনভয়েসিংয়ের মাধ্যমে এটা করা হয়েছে।’
তিনি বলেন, 'এগুলো দেখভালের দায়িত্ব কার? আমরা কোথায় যাব? অর্থ ও বাণিজ্যমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীরা যদি এসব দেখভাল না করেন।’
চুন্নু বলেন, এ ধরনের অনিয়ম খতিয়ে দেখতে বাংলাদেশ ব্যাংক নীরব থেকেছে।
আরও পড়ুন: নতুন সংসদের দায়িত্ব নিখুঁতভাবে পালন করা নিয়ে শঙ্কা জিএম কাদেরের
তিনি বলেন,‘ব্যাংকের মাধ্যমে টাকা পাচার হচ্ছে, যা তাদের প্রতিবেদনে (বাংলাদেশ ব্যাংক) উল্লেখ করা হয়েছে। এতদিন কী করলেন তারা? বাংলাদেশ ব্যাংক কেন বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না? তারা কি কোনো জিনিসের দাম জানে না?’
বাংলাদেশ ব্যাংকের কঠোর সমালোচনা করে চুন্নু বলেন, 'তারা (বাংলাদেশ ব্যাংক) জানে না আন্ডার ইনভয়েস নাকি ওভার ইনভয়েসিং হচ্ছে?'
নগরীর একটি হাসপাতালে খতনা করার সময় এক শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যুর কথাও তুলে ধরেন জাপার এই সংসদ সদস্য।
এ সব মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রীকে আরও কঠোর হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, ‘সরকার যদি কঠোর না হয়, তাহলে আমাদের কোথাও যাওয়ার জায়গা নেই। আশা করি, সরকার তাদের কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করবে এবং এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেবে।’
আরও পড়ুন: জাপার জাতীয় কাউন্সিলের দিন ঘোষণা করলেন রওশন এরশাদ
৮ মাস আগে
জাতীয় পার্টি আগামী নির্বাচনে ২৮৩ জন প্রার্থী দেবে: চুন্নু
জাতীয় পার্টির (জাপা) মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু সোমবার (১৭ ডিসেম্বর) বলেছেন, নির্বাচনকে আরও প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক ও অর্থবহ করার প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে তার দল ২৮৩টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে।
তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা সব বাধা অতিক্রম করে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছি। কোনো চাপ নেই। চাপ থাকলে অন্য দলগুলোও যোগ দিত। আমরা একটি একক দল এবং আমরা আমাদের নিজস্ব রোডম্যাপ তৈরি করেছি।’
নির্বাচনের পরিবেশ প্রসঙ্গে তিনি জানান, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সরকার নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) সহায়তা করছে এবং তারা এ বিষয়ে আশ্বস্ত।
তিনি আরও বলেন, ‘এ বিষয়ে আলোচনা চলছে এবং নির্বাচনকে অর্থবহ করতে তা অব্যাহত থাকবে।’
দলের চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের পক্ষ থেকে তিনি জাপা প্রার্থীদের নির্বাচনে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানান এবং জনগণ গণতন্ত্র রক্ষা ও সংবিধানের ধারাবাহিকতা রক্ষায় কাজ করবে বলে তারা আশাবাদী।
চুন্নু বলেন, প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়ে ২৮৩টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী জাপা প্রার্থীদের চিঠি দিচ্ছেন তারা।
আরও পড়ুন: ঢাকা-১৭ আসন থেকে প্রার্থিতা প্রত্যাহার জিএম কাদেরের
তিনি বলেন, ‘যদি আমরা সর্বাধিক সংখ্যক আসন জিততে পারি তবে আমরা খুশি হব। আমরা লড়াই চালিয়ে যাব। কিছু ক্ষেত্রে কিছু কৌশল থাকবে। এখন শেয়ার করতে চাই না। আমি আমার দলের কৌশল শেয়ার করব না।’
মঙ্গলবার চুন্নু বলেন, তারা আগামী ৭ জানুয়ারির জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিতে এগিয়ে এসেছেন।
তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি একটা কথা স্পষ্ট করে বলতে পারি, জাপা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে এসেছে। জাপা এখানে থেমে যেতে আসেনি।
এর আগে মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন বিরোধী দলীয় নেতা ও জাপার প্রধান পৃষ্ঠপোষক রওশন এরশাদ।
এসময় রওশনের ছেলে রাহগীর আল মাহি (সাদ) এরশাদ ও তার মুখপাত্র কাজী মামুনুর রশীদ তার সঙ্গে ছিলেন।
আরও পড়ুন: জিএম কাদেরকে ‘হত্যার হুমকি’, নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার নির্দেশ!
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে প্রধানমন্ত্রীর ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি কে এম শাখাওয়াত মুন বলেন, বৈঠকে দুই নেতার মধ্যে আগামী সাধারণ নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী তার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে এবং জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করে নির্বাচনে অংশ নেবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে জাপা নেতা রওশন বলেন, বর্তমান নির্বাচনী বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
তাকে বাদ দিয়ে জাপার যোগদানের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী কিছু বলেছেন কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখন সময় নেই, আর কী বলব?
রওশন বলেন, জাপা চেয়ারম্যান জিএম কাদের তাদের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করেননি এবং তিনি তার ছেলের আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এমনকি তিনি তার (সাদ) কথা মনে পর্যন্ত করেননি।
তিনি বলেন, তারা (জাপা চেয়ারম্যান) ইচ্ছাকৃতভাবে আমাদের বাদ দিয়েছেন। ‘আমি কেন তাদের সমর্থন করব?’
আরও পড়ুন: জিএম কাদেরের সঙ্গে নির্বাচনী জোট না করতে প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ রওশনের
১১ মাস আগে
দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন: ২৮৯ আসনে প্রার্থী তালিকা প্রকাশ জাপার
আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে ২৮৯টি আসনে প্রার্থীর তালিকা প্রকাশ করেছে জাতীয় পার্টি (জাপা)।
জাপা মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু বনানীতে পার্টির চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন।
রংপুর-৩ ও ঢাকা-১৭ আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন জাপা চেয়ারম্যান গোলাম মুহাম্মদ (জিএম) কাদের।
গত ২০ নভেম্বর থেকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মনোনয়ন ফরম বিক্রি শুরু করেছে জাপা।
আরও পড়ুন: অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে ইসি তার কথা রাখবে: জাপা
জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিতে কাজ করছে জাপা: চুন্নু
মূল চ্যালেঞ্জ হলো ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে আনা: জাপা মহাসচিব চুন্নু
১১ মাস আগে
জাতীয় পার্টিতে কোনো বিভেদ নেই: মুজিবুল হক চুন্নু
জাতীয় পার্টির (জাপা) মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু বলেছেন, জাপায় কোনো বিভেদ নেই। জাপা জিএম কাদেরের নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ আছে।
তিনি বলেন, বেগম রওশন এরশাদ আমাদের প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও সম্মানের পাত্র। তিনি নির্বাচন করলে তার জন্য আমরা সব ধরনের সহায়তা অব্যাহত রাখব। তিনি ২০ নভেম্বর ফোন করে মনোনয়ন ফরম নেওয়ার কথা বলেছেন, লোক পাঠালেই আমরা তার মনোনয়ন ফরম দিয়ে দেব।
বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) দুপুরে জাপা চেয়ারম্যানের বনানীর কার্যালয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরে এসব কথা বলেন তিনি।
এসময় মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, জাপা নিজস্ব রাজনীতি নিয়ে এগিয়ে চলছে। দলীয় সিদ্ধান্তেই জাপা নির্বাচনে যাচ্ছে। আমরা নিরপেক্ষ ভোটের একটি পরিবেশ চেয়েছি। নির্বাচন কমিশন (ইসি) ও সরকারের বিভিন্ন মহল আমাদের আশ্বস্ত করেছে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে। তারা বলেছে, যেকোনো মূল্যেই নির্বাচনের পরিবেশ সুষ্ঠু রাখবে। তারা জানিয়েছেন, ভোটাররা কেন্দ্রে এসে অবাধে ভোট দিতে পারবে। এই আশ্বাসের জন্যই আমাদের নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ঘোষণায় দেরি হয়েছে।
আরও পড়ুন: নির্বাচনে যোগ দেওয়ার বিষয়ে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়নি জাতীয় পার্টি: চুন্নু
সাংবাদিকদের অপর এক প্রশ্নের জবাবে জাপা মহাসচিব বলেন, জাপা ৩০০ আসনেই নিজস্ব প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করবে। কারণ, কোনো জোটে যেতে আমরা ইসিকে চিঠি দেইনি। রাজনীতিতে বিভিন্ন কৌশল থাকে। আমরা আমাদের নিজস্ব কৌশল নিয়ে এগিয়ে যাব।
তিনি বলেন, নির্বাচনে জয়ী হতে পারলে জাপা দেশে বেকারত্ব দূর করবে, দ্রব্যমূল্য সহনীয় পর্যায়ে রাখবে, সুশাসন বজায় রাখবে, কর্মমূখী শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করবে, দুর্নীতি দূর করবে, সবার জন্য সুচিকিৎসা নিশ্চিত করবে। আমরা নির্বাচিত হলে নির্বাচনী ব্যবস্থা পরিবর্তন করে আনুপাতিক হারে নির্বাচনের পদ্ধতি বাস্তবায়ন করব। আমরা চাই নির্বাচনকালীন কেউ অনিয়ম করলে ইসি যেন তার বিরুদ্ধে সরাসরি ব্যবস্থা নিতে পারে। ইসি যেভাবে সিডিউল ঘোষণা করেছে, তাতে সংলাপের সুযোগ আছে। সবাই এক টেবিলে বসে আলোচনার মাধ্যমে একটি সিদ্ধান্তে আসতে পারবে।
আরও পড়ুন: জাতীয় পার্টি নির্বাচনে অংশ নেবে কি না কয়েকদিনের মধ্যে সিদ্ধান্ত জানাবে: চুন্নু
কোনো ষড়যন্ত্রই জাতীয় পার্টির ঐক্য ভাঙতে পারবে না: চুন্নু
১১ মাস আগে
নির্বাচনে অংশ নেবে জাতীয় পার্টি: মুজিবুল হক চুন্নু
অবশেষে আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে জাতীয় পার্টি (জাপা)।
বুধবার বিকালে পার্টি চেয়ারম্যানের বনানী কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু জানান, ৩০০ আসনেই প্রার্থী দেবে দলটি।
চুন্নু বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য হবে বলে নির্বাচন কমিশনসহ সংশ্লিষ্ট সবার আশ্বাসের ভিত্তিতে আসন্ন সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন দলের চেয়ারম্যান জিএম কাদের।
জাতীয় পার্টির মহাসচিব বলেন, কোনো জোটে না গিয়ে দলটি প্রতিটি আসনে স্বতন্ত্রভাবে লড়বে।
তিনি আরও বলেন, ‘জাতীয় পার্টি কোনো জোটে যাবে না। আমরা ৩০০ আসনেই প্রার্থী দেবো।’
চুন্নু বলেন, ‘দুপুর পর্যন্ত আমরা প্রায় ১৪০০টি মনোনয়ন ফরম বিক্রি করেছি। প্রায় প্রতিটি আসনে একাধিক আগ্রহী প্রার্থী মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন।’
চুন্নু বলেন, দল এবার কোনো আসনে আপস করবে না।
তিনি বলেন, ‘আমরা কোনো দলের সঙ্গে আসন ভাগাভাগিতে জড়িত হব না।’
তিনি আরও বলেন, ‘জাতীয় পার্টি স্বচ্ছ রাজনীতিকে সমর্থন করে, দুর্নীতির অভিযোগমুক্ত একটি পরিচ্ছন্ন রেকর্ড বজায় রাখে। আমরা ৩০০টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার লক্ষ্য নিয়েছি।’
১১ মাস আগে
নির্বাচনে যোগ দেওয়ার বিষয়ে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়নি জাতীয় পার্টি: চুন্নু
সোমবার থেকে মনোনয়নপত্র বিক্রি শুরু করলেও দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার বিষয়ে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়নি বলে জানিয়েছে জাতীয় পার্টি (জাপা)।
দলের মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, ‘আমরা নির্বাচন সংক্রান্ত প্রক্রিয়া শুরু করেছি, তবে আমাদের নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সিদ্ধান্ত এখনও চূড়ান্ত নয়।’
সোমবার (২০ নভেম্বর) জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যানের বনানী কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, নির্বাচনে অংশ নিতে প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়া সম্পন্ন করছেন তারা।
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন (ইসি) সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের পরিবেশ তৈরি করতে ব্যর্থ হয়েছে।
চুন্নু বলেন, নির্বাচনমুখী দল হিসেবে তারা আশা করছেন একটি আনন্দঘন পরিবেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। যেখানে সব দল অংশ নেবে এবং ভোটাররা স্বতঃস্ফূর্তভাবে তাদের ভোট দেবেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে পদক্ষেপ নিতে অনুরোধ করছি, ভোটকেন্দ্রে গিয়ে তাদের ভোট দিতে পারবে ভোটাররা যাতে এই আস্থা পেতে পারে।’
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, দলের চেয়ারম্যান জিএম কাদের সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করে নির্বাচনে অংশ নেবেন কি না এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন।
তিনি বলেন, তাদের দল ৩০০টি সংসদীয় আসনে প্রার্থী দেওয়ার সিদ্ধান্তে অনমনীয়।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, দুই প্রধান দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপির আলোচনার মাধ্যমে নির্বাচন নিয়ে ঐকমত্যে পৌঁছানোর সময় এখনও আছে।
আরও পড়ুন: জাতীয় পার্টির মনোনয়ন ফরম বিক্রি শুরু আজ
অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিশ্চিত করতে নির্বাচন কমিশনও (ইসি) প্রয়োজনে নির্বাচনের পুনঃতফসিল ঘোষণা করতে পারে।
এর আগে সকাল ১০টা থেকে দলীয় চেয়ারম্যানদের বনানী কার্যালয় থেকে মনোনয়ন ফরম বিক্রি শুরু হয়।
প্রতি আসনের জন্য ৩০ হাজার টাকা করে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করছেন দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশীরা।
সোমবার জাতীয় পার্টির যুগ্ম দপ্তর সম্পাদক মাহমুদ আলমের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আগামী ২৩ নভেম্বর বিকাল ৪টা পর্যন্ত জাপা চেয়ারম্যানের বনানী কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র বিক্রি করা হবে।
জাতীয় পার্টির টিকিট নিয়ে আসন্ন সাধারণ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য যারা মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেবেন তাদের ২৪ নভেম্বর থেকে ২৬ নভেম্বর পর্যন্ত সাক্ষাৎকারে মুখোমুখি হতে হবে।
২৭ নভেম্বর চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হবে।
গত ১৫ নভেম্বর প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল ঘোষণা করেন, আগামী ৭ জানুয়ারি দেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময়সীমা ৩০ নভেম্বর, যেখানে মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ের জন্য ১-৪ ডিসেম্বর এবং প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ১৭ ডিসেম্বর।
আরও পড়ুন: জাতীয় পার্টি নির্বাচনে অংশ নেবে কি না কয়েকদিনের মধ্যে সিদ্ধান্ত জানাবে: চুন্নু
ইসির তফসিলকে স্বাগত জানিয়েছেন রওশন এরশাদ
আগামী নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে বলে আশা প্রকাশ করেন রওশন এরশাদ
১ বছর আগে
জাতীয় পার্টি নির্বাচনে অংশ নেবে কি না কয়েকদিনের মধ্যে সিদ্ধান্ত জানাবে: চুন্নু
রাজনৈতিক আলোচনার দৃশ্যমান কোনো উদ্যোগ না থাকায় আগামী জাতীয় নির্বাচনে দলটি যোগ দেবে কি না, তা দু-একদিনের মধ্যেই সিদ্ধান্ত নেবে জাতীয় পার্টি।
রবিবার (১৮ নভেম্বর) জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু দলের সভাপতির বনানী কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ ঘোষণা দেন।
তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু আলোচনার জন্য তিনটি প্রধান দলকে চিঠি দিলেও এখন পর্যন্ত সংলাপের কোনো লক্ষণ দেখা যায়নি।
চুন্নু বলেন, বিএনপি সংলাপের বিষয়ে স্পষ্ট করে কিছু বলেনি, তবে ক্ষমতাসীন দল তা প্রত্যাখ্যান করেছে।
এ অবস্থায় জাতীয় পার্টি নির্বাচনে যাবে কি যাবে না তা নিয়ে এখন প্রশ্ন রয়েছে বলে জানান তিনি।
চুন্নু বলেন, ‘আমাদের সিনিয়র নেতারা প্রয়োজনে আমাদের প্রেসিডিয়াম সদস্যদের একটি সভা আহ্বান করবেন এবং আমরা দু-এক দিনের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেব যে আমরা নির্বাচনে যাব কি না।’
তিনি বলেন, তাদের দল এখনও একটি বিশ্বাসযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিশ্চিত করতে রাজনৈতিক আলোচনা চায়।
আরও পড়ুন: ইসির তফসিলকে স্বাগত জানিয়েছেন রওশন এরশাদ
গত ১৫ নভেম্বর প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল ঘোষণা করেন, আগামী ৭ জানুয়ারি দেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিতে গিয়ে সিইসি আগামী নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন।
নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরপরই জাতীয় পার্টির প্রধান পৃষ্ঠপোষক রওশন এরশাদ এক বিবৃতিতে একে স্বাগত জানিয়েছেন।
রওশনের অনুগত কয়েকজন নেতা নির্বাচনে অংশ নেবেন বলে জানিয়েছেন।
তবে সাম্প্রতিক বৈঠকে দলের চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের অনুগত বেশিরভাগ তৃণমূল নেতা বর্তমান সরকারের অধীনে নির্বাচনে না যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: জনগণ আগামী নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে উদ্বিগ্ন: জিএম কাদের
আগামী নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে বলে আশা প্রকাশ করেন রওশন এরশাদ
১ বছর আগে
পাবলিক আমাদের সরকারের ‘দালাল’ বলে: সংসদে জাপা মহাসচিব
জাতীয় পার্টির মহাসচিব ও সংসদ সদস্য মুজিবুল হক চুন্নু বলেছেন, ‘সরকারের অতিরিক্ত প্রশংসা করায় পাবলিক এখন আমাদের আওয়ামী লীগের ‘দালাল’(সহযোগী) বলে। আমরা সেই তকমা মুছতে চাই।’
শনিবার সংসদে সড়ক, পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সড়ক ও পরিবহন খাতে সরকারের বিভিন্ন সাফল্য ও উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের প্রশংসা না করায় বিরোধী দলীয় সংসদ সদস্যদের সমালোচনা করে বক্তব্য দিলে চুন্নু এই মন্তব্য করেন।
এর আগে মহাসড়ক বিল-২০২১ নিয়ে আলোচনায় অংশ নিয়ে বিএনপি ও জাতীয় পার্টির বেশ কয়েকজন বিরোধী সাংসদ সাম্প্রতিক মারাত্মক সড়ক দুর্ঘটনা, নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি এবং পরিবহন খাতে দুর্নীতির জন্য সেতুমন্ত্রীর কড়া সমালোচনা করেন।
আরও পড়ুন: পোশাক শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ৮ হাজার টাকা: শ্রম প্রতিমন্ত্রী
সমালোচনার জবাবে ওবায়দুল কাদের বিরোধীদের শুধু বিরোধিতা নয়, সরকারের ভালো কাজের প্রশংসা করার আহ্বান জানান।
সেতুমন্ত্রীর এ আহ্বানের জবাবে চুন্নু বলেন, ‘বিরোধী দলের নেতারা সরকারের ভালো কাজের প্রশংসা করেন না, এটা ঠিক নয়। সরকারের প্রশংসা করার জন্য এখন মানুষ আমাদেরকে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের দালাল বলে। সরকারের কত প্রশংসা করব? আমরা এখন সেই ‘দালাল’ তকমা থেকে মুক্তি পেতে চাই। তারপরও, যদি আপনারা খুশি না হন তবে কিছুই করার নেই।
২ বছর আগে