জাতীয় পার্টির মহাসচিব ও বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ মুজিবুল হক চুন্নু সংসদে বলেছেন, আর্থিক খাতের অনিয়ম-দুর্নীতি কঠোরভাবে মোকাবিলা না করলে দেশ শূন্য হয়ে যাবে।
এ ধরনের অনিয়ম নিয়ন্ত্রণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার অনুরোধ জানান বিরোধীদলীয় এই সংসদ সদস্য।
বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সংসদে এক অনির্ধারিত আলোচনায় অংশ নিয়ে চুন্নু এ কথা বলেন।
বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের বরাত দিয়ে চুন্নু বলেন, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্থিক অনিয়মের পরিমাণ ১ হাজার ৩০০ কোটি টাকা। সবচেয়ে বেশি অনিয়ম হয়েছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে।
সরকার যদি তাদের কঠোরভাবে দমন না করে তাহলে দেশ শূন্য হয়ে যাবে।
চুন্নু বলেন, এরই মধ্যে ব্যাংকগুলো ফাঁকা হয়ে গেছে।
তিনি বলেন, 'নিশ্চয়ই ওভার ইনভয়েসিং ও আন্ডার ইনভয়েসিংয়ের মাধ্যমে এটা করা হয়েছে।’
তিনি বলেন, 'এগুলো দেখভালের দায়িত্ব কার? আমরা কোথায় যাব? অর্থ ও বাণিজ্যমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীরা যদি এসব দেখভাল না করেন।’
চুন্নু বলেন, এ ধরনের অনিয়ম খতিয়ে দেখতে বাংলাদেশ ব্যাংক নীরব থেকেছে।
আরও পড়ুন: নতুন সংসদের দায়িত্ব নিখুঁতভাবে পালন করা নিয়ে শঙ্কা জিএম কাদেরের
তিনি বলেন,‘ব্যাংকের মাধ্যমে টাকা পাচার হচ্ছে, যা তাদের প্রতিবেদনে (বাংলাদেশ ব্যাংক) উল্লেখ করা হয়েছে। এতদিন কী করলেন তারা? বাংলাদেশ ব্যাংক কেন বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না? তারা কি কোনো জিনিসের দাম জানে না?’
বাংলাদেশ ব্যাংকের কঠোর সমালোচনা করে চুন্নু বলেন, 'তারা (বাংলাদেশ ব্যাংক) জানে না আন্ডার ইনভয়েস নাকি ওভার ইনভয়েসিং হচ্ছে?'
নগরীর একটি হাসপাতালে খতনা করার সময় এক শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যুর কথাও তুলে ধরেন জাপার এই সংসদ সদস্য।
এ সব মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রীকে আরও কঠোর হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, ‘সরকার যদি কঠোর না হয়, তাহলে আমাদের কোথাও যাওয়ার জায়গা নেই। আশা করি, সরকার তাদের কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করবে এবং এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেবে।’
আরও পড়ুন: জাপার জাতীয় কাউন্সিলের দিন ঘোষণা করলেন রওশন এরশাদ