লিভার সিরোসিস
সিলেটে প্রথম স্টেম সেল ট্রান্সপ্লান্ট সম্পন্ন
ঢাকার পর সিলেটে প্রথমবারের মতো লিভার সিরোসিস রোগীর শরীরে 'অটোলগাস হেমোলাইটিক স্টেম সেল' সফলভাবে প্রতিস্থাপন করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সিলেটের একটি বেসরকারি হাসপাতালে সার্জনদের একটি দল এই সফল অস্ত্রপচার করেন।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের হেপাটোলজি ডিভিশনের ডিভিশন প্রধান অধ্যাপক ডা. মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীলের নেতৃত্বে একদল লিভার বিশেষজ্ঞ এই প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করেন।
স্টেম সেল থেরাপি আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের একটি উন্নত দিক যা অনেক চিকিৎসায় বিপ্লব ঘটাতে পারে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এটি ব্যবহৃত হচ্ছে।
যদিও স্টেম সেল থেরাপি এখনও লিভার সিরোসিসের বিকল্প নয়, তবে যারা লিভার ট্রান্সপ্ল্যান্ট করতে অক্ষম তাদের জন্য এটি অবশ্যই একটি প্রতিশ্রুতিশীল চিকিৎসা।
আরও পড়ুন: সিলেটে বন্যার ৮ দিন
সিলেটে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি, ভোগান্তিতে বানভাসিরা
২ বছর আগে
বাসায় ফিরেছেন খালেদা জিয়া
লিভার সিরোসিসসহ বিভিন্ন স্বাস্থ্য জটিলতায় চিকিৎসার জন্য রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ৮১ দিন থাকার পর মঙ্গলবার রাতে বাসায় ফিরেছেন বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া।
তার প্রেস উইংয়ের কর্মকর্তা শায়রুল কবির খান ইউএনবিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘করোনা সংক্রমণের ঝুঁকির কারণে চিকিৎসকরা ম্যাডামকে (খালেদা) সন্ধ্যায় হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দিয়েছেন।’
তিনি জানান, সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে খালেদা জিয়া হাসপাতাল থেকে বের হয়ে রাত সাড়ে ৮টার দিকে গুলশানের বাসায় পৌঁছান।
এর আগে এক সংবাদ সম্মেলনে খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য গঠিত মেডিকেল বোর্ড জানায়, তার অবস্থা স্থিতিশীল, তবে তিনি এখনও ঝুঁকির মধ্যে রয়েছেন।
মেডিকেল বোর্ডের প্রধান ডা. শাহাবুদ্দিন তালুকদার বলেন, ‘তিনি ক্লিনিক্যালি স্থিতিশীল, কিন্তু নিরাময় এবং রোগমুক্ত নয়... করোনা সংক্রমণের ঝুঁকিতে থাকায় তাকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। আমরা তাকে আপাতত বাড়িতে পাঠিয়ে দিচ্ছি। এরপর যদি কোনো সংকট দেখা দেয়, আমরা তাকে আবার হাসপাতালে নিতে প্রস্তুত।’
তিনি জানান, তারা হাসপাতালের চিকিৎসক ও অন্যান্য হাসপাতালের বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে পরামর্শ করে বিএনপি চেয়ারপার্সনের সম্ভাব্য সব ধরনের চিকিৎসা নিশ্চিত করেছেন।
ডা. শাহাবুদ্দিন বলেন, ‘আমরা যুক্তরাজ্য, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং অস্ট্রেলিয়ার বিশেষজ্ঞসহ বিদেশের পরামর্শকদের সঙ্গে কথা বলেছি। সকলেরই একই মতামত, চিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশে যেতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘খালেদার রোগের শেষ চিকিৎসা হলো লিভার প্রতিস্থাপন, কিন্তু তিনি এখন সেই অবস্থানে নেই।’
মেডিকেল বোর্ডের আরেক সদস্য ডা. এফ এম সিদ্দিকী বলেন, ‘বিএনপি চেয়ারপারসনের অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণ বন্ধ রয়েছে, তবে তার অসুস্থতার জন্য তাকে যথাযথ চিকিৎসা দেয়া যাচ্ছে না। তার অবস্থা এখন স্থিতিশীল। আমরা লক্ষ্য করছি যে সারা দেশে করোনা সংক্রমণ উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে। শুধুমাত্র জানুয়ারি মাসেই এই হাসপাতালের ৩৮০ জনেরও বেশি স্টাফ করোনায় আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এমন পরিস্থিতিতে, মেডিকেল বোর্ড তাকে ছেড়ে দেয়ার এবং আমাদের তত্ত্বাবধানে বাড়িতে তার চিকিত্সা নিশ্চিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়ার পরিপাকতন্ত্রে রক্তক্ষরণের উৎস বন্ধ হয়েছে। তিনি এখন ব্যাপক রক্তক্ষরণে ভুগছেন না। কিন্তু কেউ নিশ্চয়তা দিতে পারে না যে আবার তার বেশি রক্তপাত হবে না।
আরও পড়ুন: ‘খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে প্রয়োজনে রাজপথ রক্তে রঞ্জিত হবে’
প্রসঙ্গত, ৭৬ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া স্বাস্থ্যগত বিভিন্ন জটিলতা নিয়ে গত বছরের ১৩ নভেম্বর থেকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
তার মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা বলেছেন, খালেদা জিয়ার লিভার সিরোসিস ধরা পড়ায় তাকে অবিলম্বে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে হবে।
বিএনপি ও তার পরিবারের পক্ষ থেকে বার বার খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশ নেয়ার অনুমতি চেয়ে সরকারের কাছে আবেদন ও আহ্বান জানানো হয়েছে। এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে কোনো সাড়া মেলেনি। তবে কয়েকজন মন্ত্রী বলছেন, বিএনপি চেয়ারপার্সন কারাগারে ফিরে নতুন আবেদন না করা পর্যন্ত তার বিদেশে যাওয়ার সুযোগ নেই।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার কিছু হলে সরকারকে ‘হত্যা মামলার আসামি’ করার হুঁশিয়ারি বিএনপির
২ বছর আগে
খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার আবারও অবনতি: ফখরুল
লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার আবারও অবনতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, ম্যাডামের (খালেদার) স্বাস্থ্যের অবস্থা আবার খারাপ হয়েছে। গতকাল (মঙ্গলবার) থেকে তার স্বাস্থ্যের বিভিন্ন প্যারামিটারে নিম্নগামী প্রবণতা দেখা যাচ্ছে।
বিএনপি চেয়ারপার্সনের গুলশান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও বলেন, খালেদার হিমোগ্লোবিনের মাত্রাও কমের দিকে।
এক প্রশ্নের জবাবে ফখরুল বলেন, মঙ্গলবার পর্যন্ত খালেদার কোনো অভ্যন্তরীণ রক্তপাত হয়নি।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসা: ২২ ডিসেম্বর থেকে ৩২ জেলায় বিএনপির সমাবেশ
তিনি বলেন, তারা দীর্ঘদিন ধরে সরকারের কাছে খালেদাকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দেয়ার দাবি জানিয়ে আসছেন। কিন্তু দেশে গণতন্ত্র ও মানবাধিকার না থাকায় সরকার তাতে কর্ণপাত করছে না।
ফখরুল বলেন, জনগণের কাছে জবাবদিহিতা প্রতিটি ক্ষেত্রে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে ফলে দেশের সর্বত্র গণতন্ত্রহীনতা বিরাজ করছে।
বিএনপি নেতা বলেন, কোনো দেশে গণতন্ত্র অনুপস্থিত থাকলে মানুষ মানবাধিকার ও ব্যক্তিগত নিরাপত্তা ভোগ করতে পারে না। তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে বিদেশে পাঠাতে সরকারের বাধা তার সর্বশেষ উদাহরণ।
৭৬ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া স্বাস্থ্যগত বিভিন্ন জটিলতা নিয়ে ১৩ নভেম্বর থেকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার প্রতি সরকারের রাজনৈতিক প্রতিহিংসা রয়েছে: ফখরুল
তার মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা জানিয়েছেন, খালেদা জিয়ার লিভার সিরোসিস ধরা পড়ায় তাকে অবিলম্বে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে হবে।
খালেদা জিয়ার পরিবারের পক্ষ থেকে তার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দেয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে ১১ নভেম্বর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে একটি আবেদন জমা দেন।
এদিকে, চিকিৎসার জন্য বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দেয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত কিছুদিনের মধ্যেই জানানো হবে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
বুধবার (০৮ ডিসেম্বর) বিকালে রাজধানীর গুলশানে নিজ আবাসিক কার্যালয়ে সাংবাদিকদের আইনমন্ত্রী এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, বিএনপি'র ১৫ জন আইনজীবী তাঁর সাথে দেখা করে যে বক্তব্য দিয়েছেন সে বিষয়ে এই উপমহাদেশের কোন আদালতে কোন নজির আছে কিনা তিনি সেটা খতিয়ে দেখছেন। এখনো তা শেষ হয়নি, প্রায় শেষ প্রান্তে। কিছুদিনের মধ্যেই এই সিদ্ধান্ত পাওয়া যাবে।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়াকে বিদেশে যেতে না দিলে কোটি মানুষ রাজপথে নামবে: ফখরুল
৩ বছর আগে
বিদেশি চিকিৎসক এনে খালেদা জিয়ার চিকিৎসা সম্ভব না: ড্যাব
সরঞ্জাম ও বিশেষজ্ঞ মেডিকেল টিমের অভাবে বিদেশ থেকে চিকিৎসক এনে লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত খালেদা জিয়ার চিকিৎসা বাংলাদেশে করানো সম্ভব নয় বলে জানিয়েছে ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব)।
বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপিপন্থী চিকিৎসকদের এ সংঠন মানবিক কারণে যত দ্রুত সম্ভব খালেদা জিয়াকে বিদেশে চিকিৎসা নেয়ার সুযোগ দেওয়ার জন্য সরকারের কাছে আহ্বান জানায়।
ড্যাবের সভাপতি হারুন-আল-রশিদ বলেন, ‘কিছু মানুষ খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য বিদেশ থেকে চিকিৎসক আনার কথা বলে শুধু সময়ক্ষেপণ ও সরকারের অবস্থানকে সমর্থন করছে।’
তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য প্রশিক্ষিত একটি মেডিকেল টিম ও সহায়ক যন্ত্রপাতি লাগবে। ‘তাই অন্য দেশ থেকে চিকিৎসক এনে তাকে চিকিৎসা করানো সম্ভব নয়।’
ডা. হারুন বলেন, বেশ কয়েকবার রক্তক্ষরণের কারণে বিএনপি প্রধানের অবস্থা এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে আর সময় নষ্ট করার সুযোগ নেই। ‘চিকিৎসার জন্য একটি সম্পূর্ণ টিম ওয়ার্কের প্রয়োজন। এই ধরনের চিকিৎসা যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র ও জার্মানির সব জায়গায় না, শুধু কয়েকটি সেন্টারে রয়েছে।’
তিনি বলেন, যদি বাইরে থেকে কোনো চিকিৎসক আনা হয় তাহলে তিনি একা প্রশিক্ষিত নার্স, ওয়ার্ড বয় ও সরঞ্জাম ছাড়া কাজ করতে পারবেন না। ‘এমনকি একজনের ভুলের জন্য পুরো কাজ পণ্ড হয়ে যেতে পারে।’
খালেদা জিয়ার সর্বশেষ শারীরিক অবস্থার কথা জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, সোমবার রাতে রক্তক্ষরণের পর তার হিমোগ্লোবিনের স্তর কিছুটা কমেছে। ‘তাকে বেশ কিছু পরীক্ষা করা হয়েছে। তবে এখনও সেগুলোর রিপোর্ট পাওয়া যায়নি।’
৭৬ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া স্বাস্থ্যগত বিভিন্ন জটিলতা নিয়ে ১৩ নভেম্বর থেকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত হওয়ায় খালেদা জিয়ার মেডিকেল বোর্ড সদস্যরা রবিবার বলেছেন, উন্নত চিকিৎসার জন্য তার দ্রুত বিদেশ যাওয়া প্রয়োজন।
আরও পড়ুন: খালেদার বিদেশে চিকিৎসায় আইন নয়, সরকার বাধা: ফখরুল
খালেদা জিয়ার খারাপ কিছু হলে সব দায় সরকারকে নিতে হবে: বিএনপি
খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা আগের চেয়ে ভালো: মির্জা ফখরুল
৩ বছর আগে
খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা আগের চেয়ে ভালো: মির্জা ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত দলের চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার শারিরীক অবস্থা এখন আগের চেয়ে ভালো। তবে চিকিৎসকরা বলেছেন তার অবস্থা গত রাতের চেয়ে ভালো।
খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার দাবিতে দেশব্যাপী পালিত কর্মসূচির অংশ হিসাবে মঙ্গলবার নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিএনপি আয়োজিত এক সমাবেশে মির্জা ফখরুল এ কথা বলেন।
এসময় ফখরুল বলেন, ডা. জাহিদ (খালেদা জিয়ার চিকিৎসক) গতরাতে (সোমবার রাতে) আমাকে ফোন করে দ্রুত হাসপাতালে যাওয়ার অনুরোধ করেন। আমি রাত ১২টার দিকে এভারকেয়ার হাসপাতালে গিয়ে দেখি যে ম্যাডামের চিকিৎসার সাথে জড়িত ১০ জন ডাক্তার খুব চিন্তিত। আমিও আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলাম।
তিনি বলেন, ম্যাডামের কী হয়েছে তা জানতে চাইলে চিকিৎসকেরা জানান, আমরা যা ভয় পাচ্ছিলাম, ম্যাডামের তাই হয়েছে। তার লিভার সিরোসিস হয়েছে। আল্লাহর রহমতে ডাক্তাররা তাদের অক্লান্ত পরিশ্রমের মাধ্যমে এর আগের তিনবারের মতো সংকট কাটিয়ে উঠতে পেরেছেন।
ফখরুল আরও বলেন, ড. জাহিদ মঙ্গলবার সকালে জানায়, খালেদা জিয়া এখন আগের চেয়ে ভালো আছেন। কিন্তু চিকিৎসকেরা মনে করছেন লক্ষণ মোটেও ভালো না। কারণ, তারা স্পষ্টভাবে বলেছে, তিনি যে রোগে ভুগছেন, তার কোনো চিকিৎসা এখানে (বাংলাদেশ) নেই।
তাই চিকিৎসকরা বলেছেন, যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়াকে বিদেশ পাঠাতে হবে।
সমাবেশে দল ও সহযোগী সংগঠনের শতাধিক নেতাকর্মী যোগ দেন। খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে দেওয়ার জন্য সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে আরও আটটি বিভাগীয় শহরে একই ধরনের সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার দাবিতে নয়াপল্টনে বিএনপির সমাবেশ শুরু
৭৬ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা ১৩ নভেম্বর থেকে বিভিন্ন স্বাস্থ্য জটিলতার জন্য এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
রবিবার তার মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা জানান, খালেদা জিয়ার লিভার সিরোসিস ধরা পড়ায় তাকে অবিলম্বে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে হবে।
তারা আরও বলেন, খালেদার তিনবার রক্তপাত হয়েছে এবং তৃতীয়বার রক্তক্ষরণ তীব্র ছিল, যা তার লিভারের কার্যকারিতাকে ব্যাহত করেছে।
তার পরিবারের পক্ষ থেকে, খালেদার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দেয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে ১১ নভেম্বর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে একটি আবেদন জমা দেন।
তবে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, খালেদা জিয়া কারাগারে ফিরে নতুন করে আবেদন করলে সরকার তার আপিল বিবেচনা করবে।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার ব্যাপারে উচ্চ আদালতের উদ্যোগ চান সাংবাদিকরা
খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার দাবিতে মঙ্গলবার বিএনপির সমাবেশ
৩ বছর আগে
খালেদা জিয়া লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত: চিকিৎসক
রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন তার ব্যক্তিগত মেডিকেল টিমের প্রধান ডা. এফ এম সিদ্দিক।
রবিবার বিএনপি চেয়ারপার্সনের গুলশানের বাসভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, আমরা ইতোমধ্যেই ম্যাডামের পরিবারকে জানিয়েছি যে তার লিভার সিরোসিস ধরা পড়েছে এবং যত দ্রুত সম্ভব তাকে বিদেশে পাঠানোর ব্যবস্থা নিতে হবে।
ডা. এফ এম সিদ্দিক বলেন, খালেদা জিয়ার অবস্থা এখন স্থিতিশীল। তবে আরও রক্তপাত হলে যে কোনো সময় তার অবস্থার অবনতি হতে পারে।
আরও পড়ুন: চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়ার দ্রুত বিদেশে যাওয়া দরকার: ফখরুল
তিনি বলেন, রক্তপাত এখন বন্ধ হয়েছে, তবে যে কোনো সময় পুনরায় রক্তপাত শুরু হতে পারে। যদি এটি ঘটে তবে তার জীবন উচ্চ ঝুঁকির মধ্যে থাকবে।
এম সিদ্দিক বলেন, খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় প্রযুক্তি না থাকায় তারা খুবই অসহায় বোধ করছেন।
৩ বছর আগে