চট্টগ্রাম-কক্সবাজার
চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেললাইন উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
দেশের যোগাযোগ নেটওয়ার্কে আরেকটি মাইলফলক বহুল প্রতীক্ষিত ১০২ কিলোমিটার দীর্ঘ চট্টগ্রাম-কক্সবাজার ডুয়েলগেজ সিঙ্গেল রেললাইন শনিবার উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
নবনির্মিত কক্সবাজার রেলওয়ে স্টেশনে এক অনুষ্ঠানে ট্রেন চলাচলের জন্য নতুন রেলপথ (চট্টগ্রামের দোহাজারী থেকে কক্সবাজার) উন্মোচনের করায় দক্ষিণাঞ্চল উৎসবমুখর হয়ে উঠেছে।
প্রধানমন্ত্রী পতাকা উড়িয়ে ট্রেনেরে যাত্রা শুরু করেন এবং কক্সবাজার রেলওয়ে স্টেশন থেকে রামু রেলওয়ে স্টেশন পর্যন্ত যাত্রা করেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আজ কক্সবাজার রেলওয়ে নেটওয়ার্কের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শারীরিকভাবে উপস্থিত থাকতে পেরে আমি সত্যিই খুব আনন্দিত। আমি রেললাইন উদ্বোধনের মাধ্যমে আমার প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেছি। এটি এই অঞ্চলের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল। সেই দাবি আজ পূরণ হয়েছে। আজ গর্ব অনুভবের দিন।’
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেললাইন শনিবার উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছালে রেলমন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজনসহ স্থানীয় সংসদ সদস্যরা তাকে স্বাগত জানান এবং স্থানীয় শিল্পীরা ঐতিহ্যবাহী গান ও নৃত্য পরিবেশন করেন।
রেলমন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর এডিমন গিন্টিং এবং রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মো. হুমায়ুন কবীর।
অনুষ্ঠানে রেললাইন প্রকল্পের ওপর একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
নতুন এই রেললাইনের ফলে চট্টগ্রাম থেকে পর্যটন নগরী কক্সবাজার পর্যন্ত দ্রুত ও নির্বিঘ্নে ট্রেন চলাচল নিশ্চিত হবে।
ভবিষ্যতে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেললাইন নির্মাণাধীন মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্র বন্দরের সঙ্গে যুক্ত করা হবে।
চট্টগ্রামের সঙ্গে কক্সবাজারের প্রথম রেলপথের সংযোগ স্থাপনে সাতকানিয়া, লোহাগাড়া, চকরিয়া, ডুলাহাজরা, ঈদগাঁও, রামু, কক্সবাজার সদর, উখিয়া ও ঘুমধুমে ৯টি স্টেশন রয়েছে।
এই স্টেশনগুলোতে সম্পূর্ণ কম্পিউটার-ভিত্তিক ইন্টারলকিং সিগন্যাল সিস্টেম এবং একটি সম্পূর্ণ ডিজিটালাইজড টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্ক থাকছে।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে 'মৃত্যুঞ্জয়ী প্রাঙ্গণ' উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী
২০১১ সালের ৩ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী তার সরকারের অগ্রাধিকার প্রকল্প দোহাজারী-কক্সবাজার রেলপথ নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।
এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) ও বাংলাদেশ সরকারের অর্থায়নে ১৮ হাজার ৩৪ কোটি ৪৭ লাখ টাকা ব্যয়ে ফাস্ট ট্র্যাক মেগা রেলওয়ে প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হয়।
নতুন রেললাইনের বাণিজ্যিক কার্যক্রম আগামী মাসে শুরু হবে।
ট্রান্স-এশিয়ান রেলওয়ে (টিএআর) নেটওয়ার্কের অংশ হিসেবে এটি মিয়ানমার এবং এর বাইরেও যোগাযোগ উন্নত করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: শনিবার প্রধানমন্ত্রীর সফরকে ঘিরে উৎসবমুখর কক্সবাজার
রেললাইনটি চট্টগ্রাম জেলার চন্দনাইশ, সাতকানিয়া ও লোহাগাড়া এবং কক্সবাজার জেলার চকরিয়া, কক্সবাজার সদর, রামু ও উখিয়া উপজেলাসহ ৮টি উপজেলা অতিক্রম করবে।
লাইনটি দোহাজারী গ্রাম থেকে শুরু হয়ে দক্ষিণ দিকে কক্সবাজার পর্যন্ত চলবে। প্রথম ২৯ কিলোমিটার অংশ চট্টগ্রাম জেলার সমতল, উন্মুক্ত ভূমিজুড়ে এবং পরবর্তী ৩৩ কিলোমিটার কক্সবাজার জেলার চকরিয়া উপজেলার কৃষিজমি ও বনভূমির মধ্য দিয়ে যাবে।
প্রকল্পের দ্বিতীয় পর্যায়ে রেললাইনটি মিয়ানমার সীমান্তের পাশাপাশি মাতারবাড়ী দ্বীপে নির্মাণাধীন গভীর সমুদ্র বন্দর পর্যন্ত সম্প্রসারণ করা হবে। সম্প্রসারিত অংশে দু’টি স্টেশন থাকবে- উখিয়া ও ঘুমধুম।
এতে থাকবে ৯টি কম্পিউটারভিত্তিক ইন্টারলক সিগন্যাল সিস্টেম ও ৯টি ডিজিটাল টেলিকমিউনিকেশন সিস্টেম।
সাঙ্গু, মাতামুহুরী ও বাঁকখালী নদীর ওপর সেতু নির্মাণ করা হয়েছে। এ ছাড়া ৪৩টি ছোট সেতু, ২০১টি কালভার্ট, সাতকানিয়ার কেঁওচিয়া এলাকায় একটি ফ্লাইওভার, ১৪৪ টি লেভেল ক্রসিং এবং রামু ও কক্সবাজার এলাকায় দু’টি মহাসড়ক ক্রসিং।
আরও পড়ুন: মেট্রোরেলের আগারগাঁও থেকে মতিঝিল অংশের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
১ বছর আগে
চট্টগ্রামে বাসের ধাক্কায় মসজিদের ইমাম নিহত
চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের পটিয়া উপজেলায় বাসের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী মসজিদের ইমাম নিহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার বিকালের দিকে পটিয়া বাইপাস এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত মাওলানা হোসেন মোহাম্মাদ ইস্কান্দার জামি (৫৫) পটিয়ার একটি মসজিদের পেশ ইমাম এবং প্রাইম ইসলামী ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড পটিয়া শাখার ইনচার্জ ছিলেন।
স্থানীয়রা জানায়, বিকালে মাওলানা ইস্কান্দার জামি মোটরসাইকেলে বাড়ি ফেরার পথে কক্সবাজারগামী একটি বাস তাকে চাপা দিলে তিনি গুরুতর আহত হন। পরে তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান।
আরও পড়ুন: মানিকগঞ্জে মসজিদ থেকে ইমামের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
পটিয়া বড়লিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শাহিনুল ইসলাম শানু জানান, নিহত মাওলানা ইস্কান্দার উপজেলার বরলিয়া ইউনিয়নের পেরোলা গ্রামের একরাম চৌধুরীর ছেলে। তার স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে।
পটিয়া হাইওয়ে ক্রসিং পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক স্নেহাংশু বিকাশ সরকার ঘটনা সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ক্ষতিগ্রস্ত মোটরসাইকেল ও বাসটি জব্দ করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে বাসের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
কুড়িগ্রামে পিকআপ-ইজিবাইকের মুখোমুখি সংঘর্ষে ২জন নিহত, আহত ৫
১ বছর আগে
চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেললাইন এ বছরই চালু হবে: রেলমন্ত্রী
রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন বলেছেন, চট্টগ্রাম-দোহাজারী-কক্সবাজার রেলপথের কাজ পুরোদমে চলছে। চলতি বছরে ডিসেম্বরের মধ্যেই চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে রেল যোগাযোগ চালু হবে।
ইউএনবির সঙ্গে আলাপকালে মন্ত্রী বলেন, চলতি বছরের জুন থেকে জুলাইয়ের মধ্যে প্রকল্পটি শেষ করার জন্য তারা কাজ করছেন। ‘আশা করছি, এই সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করতে পারব। আর কোনো কারণে জুনে কাজ শেষ না হলে আরও এক থেকে দুই মাস সময় লাগতে পারে। তারপরও আমরা এ বছরের মধ্যেই ট্রেনে করে কক্সবাজার যেতে পারব।'
মন্ত্রী বলেন, দোহাজারী-কক্সবাজার প্রকল্পের ৮০ শতাংশ নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে এবং বাকি ২০ শতাংশ এই সময়ের মধ্যে শেষ হবে। দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত ১০০ কিলোমিটার নতুন রেললাইনের নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হলে যাত্রা 'আনন্দদায়ক ও আরামদায়ক' হবে।
এছাড়া এতে কক্সবাজারের পর্যটনসহ সামগ্রিক অর্থনীতিতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসবে। দেশের যেকোনো প্রান্ত থেকে ট্রেনে চড়ে সহজে কক্সবাজারে আসবেন পর্যটকসহ সব শ্রেণি-পেশার মানুষ। তেমনি সহজভাবে দেশের সব প্রান্তে যাবেন কক্সবাজারবাসীও। সহজ হবে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য আনা-নেয়া। এতে বাড়বে কক্সবাজারে পর্যটক স্রোত। 'ভ্রমণকারীরা খুব সহজেই প্রাকৃতিক দৃশ্য উপভোগ করার সুযোগ পাবেন,' বলেও জানান বলেন।
প্রকল্প অনুযায়ী সাতকানিয়া, লোহাগাড়া, চকরিয়া, ডুলাহাজারা, ঈদগাঁও, রামু ও কক্সবাজার সদরসহ ১০০ কিলোমিটার রেলপথে মোট আটটি স্টেশন রয়েছে।
আরও পড়ুন: সব যানবাহনে ভাড়া বাড়লেও ট্রেনের ভাড়া বাড়েনি: রেলমন্ত্রী
পর্যবেক্ষকদের মতে, রেলপথ সচল হলে সবদিক দিয়ে ঘুরে যাবে কক্সবাজার অঞ্চলের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির চাকা।
প্রকল্প সূত্রে জানা যায়, ২০১১ সালের ৩ এপ্রিল দোহাজারী-রামু-কক্সবাজার ও রামু-ঘুমধুম পর্যন্ত রেলপথ নির্মাণকাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরইমধ্যে দোহাজারী-কক্সবাজার ১০০ কিলোমিটার রেলপথের ৮০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে।
প্রকল্প থেকে জানা যায়, ১০০ কিলোমিটার রেলপথে সাতকানিয়া, লোহাগাড়া, চকরিয়া, ডুলাহাজারা, ঈদগাঁও, রামু, কক্সবাজার সদরসহ স্টেশন থাকছে আটটি। এজন্য সাঙ্গু, মাতামুহুরি ও বাঁকখালী নদীর ওপর নির্মাণ করা হয়েছে তিনটি বড় সেতু।
এছাড়া রেলপথে তৈরি হয়েছে ৪৩টি ছোট সেতু, ২০১টি কালভার্ট ও ১৪৪টি লেভেল ক্রসিং। সাতকানিয়ার কেঁওচিয়া এলাকায় তৈরি হচ্ছে একটি ফ্লাইওভার, রামু ও কক্সবাজার এলাকায় দুটি হাইওয়ে ক্রসিং। হাতি ও অন্য বন্যপ্রাণীর চলাচলে ৫০ মিটারের একটি ওভারপাস ও তিনটি আন্ডারপাস নির্মাণ করা হচ্ছে।
প্রকল্প পরিচালক মফিজুর রহমান বলেন, ১০০ কিলোমিটার রেললাইনে এরইমধ্যে ৫০ কিলোমিটারের বেশি এখন দৃশ্যমান। বেশির ভাগ ব্রিজ-কালভার্ট নির্মাণ শেষ হয়েছে। যেগুলো বাকি আছে সেগুলো আগামী কয়েক মাসেই শেষ হবে। গত ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রকল্পের অগ্রগতি ৮০ শতাংশ। প্রকল্পের মেয়াদ আছে ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত। তবে, আমরা চেষ্টা করছি ২০২৩ সালের জুন-অক্টোবরের মধ্যে কাজ শেষ করতে। সেইসঙ্গে রেলস্টেশনগুলোর নির্মাণকাজও চলমান আছে।
আরও পড়ুন: চিলাহাটি-মঙ্গলা রেল যোগাযোগ স্থাপিত হবে জুনে: রেলমন্ত্রী
তিনি আরও জানান, কক্সবাজার সদর থেকে সাত কিলোমিটার পূর্ব-উত্তরে ঝিলংজা ইউনিয়নের হাজিপাড়া এলাকায় ২৯ একর জমির ওপর নির্মাণ করা হচ্ছে দৃষ্টিনন্দন আইকনিক রেলস্টেশন। স্টেশনটিকে সৈকতের ঝিনুকের আদলে তৈরি করা হচ্ছে। স্টেশন ভবনটির আয়তন এক লাখ ৮২ হাজার বর্গফুট। ছয়তলা ভবনটির বিভিন্ন অংশে অবকাঠামো নির্মাণের কাজ চলমান আছে। নির্মাণাধীন আইকনিক ভবন ঘেঁষে ৬৫০ মিটার দৈর্ঘ্য ও ১২ মিটার প্রস্থের তিনটি প্ল্যাটফর্ম তৈরি হচ্ছে। এর পাশেই রেলওয়ের আবাসিক এলাকা গড়ে তোলা হয়েছে। সেখানে আটটি ভবনের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। স্টেশনটিতে আবাসিক হোটেলের পাশাপাশি ক্যান্টিন, লকার, গাড়ি পার্কিং ইত্যাদির ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে। পর্যটকরা স্টেশনের লকারে লাগেজ রেখে সারাদিন সমুদ্রসৈকতে বা দর্শনীয় স্থানে ঘুরতে পারবেন। এই স্টেশন দিয়ে দিনে ৪৬ হাজার মানুষ আসা-যাওয়া করতে পারবেন।
আরও পড়ুন: জুনের মধ্যে আখাউড়া-আগরতলা রেললাইন চালু হবে: রেলমন্ত্রী
১ বছর আগে
সিত্রাং: মোংলা-পায়রায় ৭ নম্বর, চট্টগ্রাম-কক্সবাজারে ৬ নম্বর সতর্ক সংকেত
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের সর্বশেষ বুলেটিন বলা হয়েছে, এটি আরও ঘণীভূত ও উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে মঙ্গলবার ভোররাত নাগাদ খেপুপাড়ার নিকট দিয়ে বরিশাল-চট্টগ্রাম উপকূল অতিক্রম করতে পারে।
ঘূর্ণিঝড়টির অগ্রবর্তী অংশ, অমাবস্যা তিথি ও বায়ুচাপ পার্থক্যের আধিক্যের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার জেলা এবং তাদের উপকূলবর্তী দ্বীপ ও চর এলাকা স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৫-৮ ফুট অধিক উচ্চতার বায়ুতাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন পশ্চিম মধ্যবঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত ‘সিত্রাং’ উত্তর-উত্তরপূর্বদিকে অগ্রসর হয়ে পূর্ব-মধ্যবঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন পশ্চিম মধ্যবঙ্গোপসাগর এবং উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থান করছে।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং: খুলনায় প্রস্তুত ৪০৯ আশ্রয়কেন্দ্র
সোমবার সকাল ৬টায় এটি চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৫৯০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৫৩৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৫২৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৪৯৫কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল।
উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনীসহ তিনটি অদূরবর্তী দ্বীপসমূহ ৭ নম্বর বিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।
এছাড়া এসব জেলার নদীবন্দরকে ৩ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারসহ তিনটি উপকূলীয় দ্বীপও ৬ নম্বর বিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।
উত্তর বঙ্গোপসাগর এবং বাংলাদেশের তৎসংলগ্ন উপকূলীয় এলাকায় ঘণ্টায় ৫০-৬০ কিলোমিটার বেগে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।আজ সকাল ১০টা থেকে আগামী ৪৮ ঘণ্টায় খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম, ঢাকা, রাজশাহী, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় ভারী থেকে অতিভারী বর্ষণ হতে পারে।
ভারী বর্ষণের কারণে চট্টগ্রামের পাহাড়ি এলাকায় ভূমিধসের আশঙ্কা রয়েছে।ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ায় ঘণ্টায় ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড়ের কেন্দ্রের কাছে সাগর খুবই উত্তাল রয়েছে।উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং: বরিশালে ১০৫২ আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং: সমুদ্রবন্দরে ৪ নম্বর সতর্ক সংকেত
২ বছর আগে
চট্টগ্রাম-কক্সবাজার, যশোর-খুলনা মহাসড়কের উন্নয়নে অর্থায়নে আগ্রহী সৌদি আরব
সৌদি সরকার চট্টগ্রাম-কক্সবাজার এবং যশোর-খুলনা মহাসড়ক চার লেনে উন্নীতকরণ প্রকল্পে অর্থায়নে আগ্রহ প্রকাশ করেছে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
রবিবার সংসদ ভবনের কার্যালয় কক্ষে সৌদি পরিবহন ও লজিস্টিক সার্ভিস মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার সালেহ নাসের আল-জাসেরের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে ওবায়দুল কাদের এ তথ্য জানান।
মন্ত্রী বলেন, আল-জাসের চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত ১৫০ কিলোমিটার দীর্ঘ মহাসড়ক এবং ৬২ কিলোমিটার দীর্ঘ যশোর-খুলনা মহাসড়ক চার লেনে উন্নীতকরণ প্রকল্পে অর্থায়নে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।
সৌদি মন্ত্রী বাংলাদেশের অন্যান্য সম্ভাবনাময় খাতে বিনিয়োগের আগ্রহ প্রকাশ করেছেন বলেও জানান মন্ত্রী।
এছাড়া ওবায়দুল কাদের সৌদি আরবে বাংলাদেশের জনশক্তি রপ্তানির সুযোগ বাড়ানোর গুরুত্বের কথাও উল্লেখ করেন এবং দুই দেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ওপর জোর দেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহী সৌদি আরব
বিজেএমসি’র বন্ধ মিলগুলোতে বিনিয়োগে আগ্রহী সৌদি আরব
২ বছর আগে