গ্রামীণ ব্যাংক
প্রতারণার ফল ভোগ করছেন ড. ইউনূস: গ্রামীণ ব্যাংকের প্রধান আইন উপদেষ্টা
গ্রামীণ ব্যাংকের প্রধান আইন উপদেষ্টা মাসুদ আখতার বলেছেন, গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা ও নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস পাপের ফল ভোগ করছেন। গ্রামীণ ব্যাংকের ১ কোটি পাঁচ লাখ সদস্যকে প্রতারিত করার পরিণতি ভোগ করছেন তিনি।
সোমবার (৩ জুন) সুপ্রিম কোর্টের এনেক্স ভবনের সামনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
মাসুদ দাবি করেন, ইউনূস ব্যাংকের গ্রাহকদের বিরুদ্ধে প্রতারণামূলক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত ছিলেন। তিনি ব্যক্তিগত বা পারিবারিক কোনো সুবিধা নেননি, তবে নিজের ছাপাখানাকে স্বাভাবিকের চেয়ে ৩০-৪০ শতাংশ বেশি দরে শত শত কোটি টাকার কার্যাদেশ দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: অর্থ আত্মসাতের মামলায় ড. ইউনূসের বিচার হবে কি না জানা যাবে ১২ জুন
এসব কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ করায় ড. ইউনূস একজন মহাব্যবস্থাপককে নির্যাতনের পর গৃহবন্দি করে রেখেছেন বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
মাসুদ বলেন, ইউনূসের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ ১৯৯৭ সাল থেকে। ২০১১ সালে গ্রামীণ ব্যাংক ছাড়লেও ইউনূস তার দুর্নীতির ফাঁস করতে দেননি। কারণ তার সহযোগীরা ব্যাংকটি পরিচালনা অব্যাহত রেখেছে। তবে, ২০২০ সালের একটি নিরীক্ষায় ভয়াবহ দুর্নীতির বিষয় প্রকাশ পায়। ২০২৩ সালে আরও অপরাধমূলক প্রমাণ প্রকাশিত হয়েছে।
মাসুদ আরও বলেন, ব্যক্তি ইউনূসের সঙ্গে ব্যাংকের কোনো আক্রোশ নেই। আমাদের অভিযোগ তার কর্মকাণ্ড, অপকর্মের, পারিবারিক সুবিধা দিয়েছেন তা নিয়ে। ড. ইউনূস অর্থলোভী। কোনো কিছুই বানোয়াট নয়। গ্রামীণ ব্যাংকের গ্রাহকদের সঙ্গে তিনি প্রতারণা করেছেন। সেই পাপের ফল তিনি ভোগ করছেন।
আরও পড়ুন: অপমানের চূড়ান্ত পর্যায়ে গেলে লোহার খাঁচায় ঢুকতে হয়: ড. ইউনূস
৫ মাস আগে
জাতিসংঘের ‘চ্যাম্পিয়ন অব গ্লোবাল চেঞ্জ’ পুরস্কার পেলেন ড.ইউনূস
জাতিসংঘ ফাউন্ডেশনের এ বছরের ‘চ্যাম্পিয়ন অব গ্লোবাল চেঞ্জ’ পুরস্কারে ভূষিত হলেন নোবেল লরিয়েট প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস। গত ৯ ডিসেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে এই পুরস্কার দেয়া হয়।
একই সম্মানে আরও ভূষিত হয়েছেন বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার মহাপরিচালক ড. এনগোজি ওকনজো ইওয়েইলা।
পৃথিবীর সর্বত্র, সকলের জন্য একটি শান্তিপূর্ণ, ন্যায়ভিত্তিক ও টেকসই সমাজ গঠনে জাতি সংঘের লক্ষ্যসমূহ ত্বরান্বিত করতে উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিগত ও প্রাতিষ্ঠানিক অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ এই পুরস্কার দেয়া হয়।
আরও পড়ুন: টোকিও অলিম্পিকে সর্বোচ্চ টিভি দর্শক ছিল ইউনূসের ‘তিন শূন্য’ বক্তৃতায়
নিউ ইয়র্কে অনুষ্ঠিত ‘উই দ্য পিপল্স’ অনুষ্ঠানে এই সম্মাননা দেয়া হয়।
মানুষের মর্যাদা, সমতা ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় তাঁর অসামান্য নেতৃত্ব ও উদ্ভাবনের স্বীকৃতি স্বরূপ নোবেল লরিয়েট ও গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসকে এই পুরস্কার দেয়া হয়েছে ।
জাতিসংঘের উপমহাসচিব আমিনা জে মোহামেদ আনুষ্ঠানিকভাবে এই পুরস্কার প্রদান করেন এবং অনুষ্ঠানেই প্রফেসর ইউনূসের একটি সাক্ষাৎকার গ্রহণ করেন। যার মূল বিষয়বস্তু ছিল প্রফেসর ইউনূসের ‘তিন শূন্য’র পৃথিবী’ ও তা সৃষ্টির প্রচারাভিযান।
ইতোপূর্বে যাঁরা ‘চ্যাম্পিয়ন অব গ্লোবাল চেঞ্জ’ পুরস্কার পেয়েছেন তাঁদের মধ্যে রয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ও বিল ক্লিনটন, জাতিসংঘ মহাসচিব কফি আনান ও বান কিমুন, আর্চবিশপ ডেসমন্ড টু টু এবং শুভেচ্ছাদূত অ্যাঞ্জেলিনা জোলি প্রমূখ।
আরও পড়ুন: 'অলিম্পিক লরেল' পেয়ে আমি অভিভূত: ড. ইউনূস
২ বছর আগে
রাজশাহীতে ট্রেনে কাটা পড়ে গ্রামীণ ব্যাংকের নারী কর্মীর মৃত্যু
রাজশাহী নগরীতে ট্রেনে কাটা পড়ে গ্রামীণ ব্যাংকের এক নারী কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। সোমবার সকালে নগরীর ডিঙ্গাডোবা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ডলি পারভীন (২৮) গ্রামীণ ব্যাংকের রাজশাহী পবা উপজেলার হড়গ্রাম শাখার ঋণ বিভাগে কর্মরত ছিলেন। তাঁর বাড়ি নাটোরে। চাকরির সুবাদে রাজশাহী নগরে থাকতেন তিনি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকাল পৌনে আটটার দিকে গ্রামীণ ব্যাংক সদস্যদের কাছ থেকে টাকা তুলতে স্বামী আবদুস সবুরের সাথে মোটরসাইকেলে করে রওনা হন ডলি পারভীন। নগরীর ডিঙ্গাডোবা এলাকায় রেল ক্রসিংয়ের আগে আবদুস সবুর মোটরসাইকেল থামান। ডলি হেঁটে রেলক্রসিং পার হওয়ার সময় রাজশাহী থেকে আসা চাঁপাইনবাবগঞ্জগামী ট্রেনে কাটা পড়েন। এতে ডলি ঘটনাস্থলেই মারা যান। পরে পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে।
রাজশাহী রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রকিব-উল-হোসেন বলেন, তাঁরা স্বামী–স্ত্রী গ্রামীণ ব্যাংকের একই শাখায় কাজ করতেন। অসাবধানতাবশত ট্রেনে কাটা পড়ে ওই নারীর মৃত্যু হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হবে।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে ট্রেনে কাটা পড়ে ২ নারী শ্রমিক নিহত
পাবনায় ট্রেনে কাটা পড়ে ব্যাংক কর্মকর্তার মৃত্যু
২ বছর আগে