প্রযোজক রাজের জামিন
প্রযোজক রাজের জামিন না-মঞ্জুর হাইকোর্টেও
আলোচিত চিত্রনায়িকা পরিমণিকে আটকের দিনেই মাদকদ্রব্যসহ গ্রেপ্তার প্রযোজক নজরুল ইসলাম রাজকে অর্থপাচার মামলায় জামিন চেয়ে করা আবেদন উত্থাপিত হয়নি (নট প্রেস রিজেক্ট) মর্মে খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। সোমবার (২৯ নভেম্বর) হাইকোর্টের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক। এদিন আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী এ কে রাশেদুল হক আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক।
আরও পড়ুন: ১ ডিসেম্বর থেকে শারীরিক উপস্থিতিতে সুপ্রিম কোর্টের বিচারকাজ
এর আগে গত ৪ আগস্ট বিকেলে পরিমণির বাসায় অভিযান চালায় র্যাব। এরপর রাতে তার সহযোগী রাজের বনানীর বাসায়ও অভিযান চালানো হয়। অভিযানে রাজের দুই সহযোগীসহ তিনজন আটক হন। এ সময় তার বাসা থেকে সাতটি গ্ল্যানলিভেট, দুটি গ্ল্যানফিডিচ, চারটি ফক্স গ্রোভ, একটি প্লাটিনাম লেভেল, এক প্যাকেট সিসায় ব্যবহৃত চারকোল, দুই সেট সিসার সরঞ্জাম, দুই ধরনের সিসা তামাক ফ্লেভারযুক্ত, এক রোল সিসা সেবনের জন্য ব্যবহৃত অ্যালুমিনিয়াম ফয়েল, ৯৭০ পিস ইয়াবা, বিকৃত যৌনাচারের জন্য ব্যবহৃত ১৪টি বিভিন্ন সামগ্রী, একটি সাউন্ড বক্স, দুটি মোবাইল ফোন ও একটি মেমোরি কার্ড উদ্ধার করা হয়। পরে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) গত ২৯ সেপ্টেম্বর বনানী থানায় রাজের বিরুদ্ধে অর্থপাচারের অভিযোগে মামলা করেন।
আরও পড়ুন: পরীমণির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র আমলে নিয়েছেন আদালত
মামলা সূত্রে জানা যায়, একটি ব্যাংকের বনানী শাখায় নজরুল ইসলাম রাজের হিসাবে ১৮ কোটি সাত লাখ ২১ হাজার ৩৫০ টাকা জমা হয়। এরমধ্যে ছয়টি জমা চেকের মাধ্যমে করা হলেও অবশিষ্ট টাকা নগদ জমা হয়। তার নামে বিভিন্ন ব্যাংকে একাধিক হিসাবের তথ্য পাওয়া যায়। এসব হিসাব পর্যালোচনায় দেখা যায়, হিসাবে ব্যাপক লেনদেন হয়েছে, যা মাদক ব্যবসা থেকে আয় বলে প্রতীয়মান হয়। ব্যবসার নাম দিয়ে ২০১২ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ২০২১ সালের ৪ আগস্ট পর্যন্ত আড়াই কোটি টাকা মূল্যমানের স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ রূপান্তর করেন। এ মামলায় গত ১৬ নভেম্বর ঢাকা মহানগর বিশেষ জজ আদালত প্রযোজক রাজের জামিন নামঞ্জুর করেন। পরে তিনি জামিন পেতে হাইকোর্টে আবেদন করেন।
৩ বছর আগে