ছিনতাই
সাভারে চলন্ত বাসে ছিনতাই, দুই এএসআই প্রত্যাহার
সাভারে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে চলন্ত বাসে ছিনতাইয়ের ঘটনায় দুই সহকারী উপপরিদর্শককে (এএসআই) প্রত্যাহার করা হয়েছে।
ছিনতাই রোধে জেলা পুলিশের তল্লাশিতে অবহেলার অভিযোগে সোমবার (১৪ এপ্রিল) সাভার মডেল থানার দুই সহকারী উপপরিদর্শককে (এএসআই) ক্লোজড করা হয়েছে।
সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জুয়েল মিঞা তাদের প্রত্যাহারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। প্রত্যাহার করা দুই এএসআই হলেন- আব্দুল সাত্তার ও সারোয়ার হোসেন।
আরও পড়ুন: বকেয়া বেতন পরিশোধের আশ্বাসে রেলের অস্থায়ী শ্রমিকদের কর্মবিরতি প্রত্যাহার
জানা যায়, সম্প্রতি সাভারে একাধিকবার চলন্ত বাসে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা জেলা পুলিশের উদ্যোগে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের ব্যাংক টাউন এলাকায় চলন্ত বাসে তল্লাশির জন্য চেক পোস্ট বসানো হয়। আজ দুপুরে সেই তল্লাশির দায়িত্বে ছিলেন আব্দুল সাত্তার ও সারোয়ার হোসেন। কিন্তু তারা বাসে তল্লাশি না করে সড়কের পাশে বসে ছিলেন। পরে তাদের দায়িত্ব অবহেলার অভিযোগে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহীনুর কবির বলেন, তারা বাসে তল্লাশি না করে সড়কে বসে ছিলেন। তাদের দায়িত্বে অবহেলার কারণে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
২ দিন আগে
সাভারে ছিনতাই হওয়া ট্রলার উদ্ধার, মামলা
সাভারে দাবিকৃত চাঁদার টাকা না দেওয়ায় গুলি ছুঁড়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে যাত্রী পারাপারের দুটি ট্রলার ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় থানায় মামলা করা হয়েছে।
শুক্রবার (১১ এপ্রিল) ঘাট ইজারাদার সাভার পৌরসভার কর্ণপাড়া এলাকার কামরুল ইসলাম বাদী হয়ে ৫ জনের নাম উল্লেখসহ ১৭ জনকে আসামি করে মামলাটি করেছেন।
এদিকে ছিনতাইকৃত ট্রলার ২টি উদ্ধার করেছে পুলিশ। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জুয়েল মিঞা।
সাভার পৌরসভা থেকে ইজারা নিয়ে স্থানীয় কামরুল ইসলাম কর্নপাড়া ঘাটটি পরিচালনা আসছিলেন। ইজারাদার কামরুলের ছেলে হেদায়েতুল্লাহ বলেন, ‘অন্তর খান, মোর্শেদ খানসহ আরও কয়েকজন আমার বাবার কাছে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে আসছিলেন। গত বুধবার অন্তরসহ আরও কয়েকজন ঘাট এলাকায় এসে বাবার কাছে দাবি করা চাঁদার ৫ লাখ টাকা চান।’
‘টাকা না দেওয়ায় ইজারাদার কামরুলকে মারধর করতে থাকেন। এ সময় বাবার চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে অন্তর তার হাতে থাকা পিস্তল দিয়ে গুলি করে আতঙ্ক সৃষ্টি করেন। এরপর অস্ত্রের মুখে সবাইকে জিম্মি করে খেয়া পারাপারের ট্রলার দুটি নিয়ে যান।’
স্থানীয়রা জানান, অন্তর ও তার সহযোগীরা যুবদল ও ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। ঘটনার পর গা ঢাকা দেওয়ায় অভিযুক্ত কারও সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি।
আরও পড়ুন: কেরানীগঞ্জে গণপিটুনিতে ছিনতাইকারীর মৃত্যু, আহত ২
মামলায় অন্তর খান, মোরশেদ খান, মোশারফ খান, হৃদয় ও রনির নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতপরিচয় আরও ১০ থেকে ১২ জনকে আসামি করা হয়েছে। আসামি অন্তর হাতে পিস্তল নিয়ে ট্রলারের উপর দাঁড়িয়ে আছেন- এমন একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সাভার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ জুয়েল মিঞা বলেন, ‘বুধবার বিকালে মিলন ঘাটে ট্রলার ছিনতাইয়ের ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। এ সময় এক যুবককে পিস্তল হাতে দেখা গেছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তবে গুলি করার তথ্য পাওয়া যায়নি। পুলিশ আসামিদের ধরতে কাজ করছে।’
৬ দিন আগে
সিলেটে যুবককে খুন করে টাকা ও মোটরসাইকেল ‘ছিনতাই’
সিলেটের গোয়াইনঘাটে সাহেল শাহরিয়ার নামে এক যুবক খুন হয়েছেন। এই হত্যাকাণ্ডের কারণ ও ঘটনায় জড়িতদের শনাক্ত করতে না পারলেও পুলিশের ধারণা, টাকা ও মোটরসাইকেল ছিনতাই করতেই তাকে খুন করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) ভোর ৫টার দিকে উপজেলার রাধানগর বাজারের পাশে এ ঘটনা ঘটে।
সাহেল (২০) উপজেলার পশ্চিম আলিরগাঁও ইউনিয়নের পুর্নানগর গ্রামের বাসিন্দা।
পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার ভোরে মোটরসাইকেল করে গোয়াইনঘাট থেকে জাফলংয়ে যাওয়ার পথে দুষ্কৃতিকারীদের কবলে পড়ি শাহরিয়ার। এ সময় তাকে আঘাত করে রাস্তার পাশে ফেলে রেখে তার মোটরসাইকেল ও নগদ টাকা নিয়ে ছিনিয়ে নেওয়া হয়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে তার মৃত্যু হয়।
গোয়াইনঘাট থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সরকার তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে। লাশে একাধিক ক্ষতচিহ্ন রয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘ছিনতাই নাকি পূর্বশত্রুতার জেরে এই হত্যাকাণ্ড সেটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এ ঘটনায় নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে মামলার প্রস্তুতি চলছে।’
২৯ দিন আগে
সাভারে আবারও দিনে দুপুরে চলন্ত বাসে ছিনতাই
সাভারের একই স্থানে দুই সপ্তাহের ব্যবধানে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে দিনে দুপুরে যাত্রীদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে আবারও ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় পরিবহনের যাত্রীসহ সাধারণ মানুষের মাঝে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে।
রবিবার (২ মার্চ) দুপুর ২টার দিকে মহাসড়কের সাভারের পুলিশ টাউন এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। এর আগে গত ১৪ ফেব্রুয়ারি শুভযাত্রা পরিবহনের বাসে একই ঘটনা ঘটে। এ সময় ছিনতাইকারীদের ছুরিকাঘাতে তিন যাত্রী আহত হয়েছিলেন।
ভুক্তভোগী বাসের যাত্রী নাজমুল হোসেন বলেন, ‘দুপুরে আশুলিয়ার শ্রীপুর থেকে রাজধানী পরিবহনের একটি বাসে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেই। বাসটি ২০-২৫ জন যাত্রী নিয়ে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের পুলিশ টাউন এলাকায় যাত্রী নেওয়ার জন্য থামলে ছিনতাইকারীদের কবলে পড়ে। এ সময় ৫-৬ জন ছিনতাইকারী দেশীয় অস্ত্রের মুখে বাসের যাত্রীদের মানিব্যাগ ও মোবাইলসহ মূল্যবান জিনিস ছিনিয়ে নেয়।’
আরও পড়ুন: ছিনতাইকারী সন্দেহে গাজীপুরে যুবককে পিটিয়ে হত্যা
ভুক্তভোগী আরেক যাত্রী বলেন, ‘কয়েকদিন আগেও একই স্থানে চলন্ত বাসে ছিনতাইকারীদের ছুরিকাঘাতে কয়েকজন যাত্রী আহত হয়েছিলেন। আজ আমরাও দিনে দুপুরে চলন্ত বাসে ছিনতাইয়ের শিকার হলাম। আল্লাহর রহমতে যাত্রীদের কোনো ক্ষতি হয়নি। কিন্তু এভাবে প্রতিনিয়ত দিনের বেলাতেই যেভাবে ছিনতাইকারীরা বাসে উঠে ছিনতাই করছে, এতে আমরা সাধারণ মানুষ আতঙ্কিত।’
সাভার হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সওগাতুল আলম বলেন, ‘বাসে ছিনতাইয়ের ঘটনা শুনেছি। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
৪৫ দিন আগে
নওগাঁয় স্বর্ণ ব্যবসায়ীক মারধর করে ‘স্বর্ণালংকার ও টাকা’ ছিনতাই
নওগাঁর আত্রাইয়ে স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে মারধর করে স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগ উঠেছে।
সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ৮টার দিকে আহসানগঞ্জ হাট-সংলগ্ন মালাধার সেতু এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগীর দাবি, ছিনতাইকারীরা তার কাছ থেকে ১৫ ভরি স্বর্ণ, ৩০০ ভরি রুপা ও নগদ ২ লাখ টাকা নিয়ে গেছে।
আহত স্বর্ণ ব্যবসায়ীর নাম নান্টু প্রামাণিক। তার বাড়ি আত্রাই উপজেলার দাঁড়িয়াগাথী গ্রামে। ছিনতাইকারীদের রডের আঘাতে তিনি গুরুতর আহত হয়ে বর্তমানে আত্রাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
আরও পড়ুন: ডাকাতি-ছিনতাই প্রতিরোধে পুলিশের তিন ইউনিটের কাজ শুরু
পুলিশ জানয়, নান্টু দীর্ঘদিন ধরে আত্রাই উপজেলা সদরের সাব-রেজিস্ট্রি অফিস-সংলগ্ন স্বর্ণপট্টি এলাকায় সোনার ব্যবসা করে আসছেন। তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নাম রিংকু জুয়েলার্স। প্রতিদিন দোকানে বেচাকেনা শেষ করে দোকানের মজুত স্বর্ণালংকার ও টাকা-পয়সা নিজ বাড়িতে নিয়ে যান তিনি। সোমবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে দোকান বন্ধ করে স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা নিয়ে মোটরসাইকেলযোগে তিনি বাড়ি ফিরছিলেন। পথিমধ্যে আহসানগঞ্জ মালাধার সেতুর কাছে পৌঁছালে ছিনতাইকারীরা তার মাথায় পেছন থেকে রড দিয়ে আঘাত করে তার ব্যাগে থাকা অলংকার ও নগদ লুট করে নেয়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
ঘটনার পর নওগাঁ সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কুদরত-ই খোদা এবং আত্রাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহাবুদ্দিন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
ওসি শাহাবুদ্দিন বলেন, ‘স্বর্ণ ব্যবাসায়ী নান্টুর মাথায় ও হাতে আঘাত করে সন্ত্রাসীরা তার কাছে থাকা স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে গেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীর পক্ষ থেকে একটি মামলার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এজহার পাওয়ার পর বলা যাবে, কী পরিমাণ মালামাল ও টাকা লুট করা হয়েছে। জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে পুলিশ কাজ করছে।’
৫০ দিন আগে
ডাকাতি-ছিনতাই প্রতিরোধে পুলিশের তিন ইউনিটের কাজ শুরু
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এবং ডাকাতি-ছিনতাই প্রতিরোধে পুলিশের তিনটি ইউনিট আজ থেকে কাজ শুরু করছে বলে জানিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম।
সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজশাহীর প্রাইমারি ট্রেনিং সেন্টারে দেশের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে মানবাধিকার ও পরিবেশের ওপর গুরুত্বসহ আইন প্রয়োগ বিষয়ে কর্মশালায় যোগদানকালে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘একটি গোষ্ঠী চায় না বাংলাদেশে স্থিতিশীল পরিবেশ বজায় থাক। তবে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির স্বাভাবিক রাখতে পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে।’
‘‘রাজধানীতে রাতে ছিনতাই বেড়েছে। দিনেও ছিনতাই বেড়েছে। ডাকাতি ও ছিনতাই প্রতিরোধে পুলিশের বিশেষায়িত ইউনিট র্যাব, এন্টি টেররিজম ইউনিট ও ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সমন্বয়ে গঠিত ইন্টেনসিভ পেট্রোল পোগ্রাম আজ (সোমবার) থেকে কাজ শুরু করবে,’ যোগ করেন তিনি।
আরও পড়ুন: কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালের সেবার মান বাড়ানোর নির্দেশ দিলেন আইজিপি
আইজিপি বলেন, ‘এতেও কাজ না হলে বিকল্প ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যৌথ বাহিনীতে একটা সাইজেবল কম্পোনেন্ট থাকে। আসলে পুলিশে এত বড় কম্পোনেন্ট নেই। কিন্তু যৌথ বাহিনী একটি জয়েন্ট পার্টি।’
তিনি বলেন, ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট মূলত যারা সন্ত্রাস করে সমাজবিরোধী কাজ করে তাদের বিরুদ্ধে। এটি আমরা শুরু করেছিলাম বেশ কয়েকদিন আগেই। ডেভিল হান্টে কারা ধরা পড়ছে আপনারা একটু দেখেন। বড় সন্ত্রাস, বড় চোরাকারবারি সবাই ধরা পড়ছে।’
৫১ দিন আগে
বনশ্রীতে ব্যবসায়ীকে গুলি করে ‘স্বর্ণালংকার লুট’
রাজধানীর বনশ্রীতে আনোয়ার হোসেন (৪৫) নামের এক ব্যবসায়ীকে গুলি করেছে দুর্বৃত্তরা। এ সময় তার কাছে থাকা স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার দাবি করেছেন ভুক্তোভোগী।
রবিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) রাত পৌনে ১১টার দিকে বনশ্রী ডি ব্লকের ৭ নম্বর রোডের ২০ নম্বর বাড়ির সামনে এ ঘটনা ঘটে।
রামপুরা থানার ডিউটি অফিসার মো. মোহসিন ইউএনবিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘আমাদের টিম ঘটনাস্থলে উপস্থিত। রাস্তা আটকে এক ব্যক্তিতে হাতে ও পায়ে গুলির ঘটনা শুনে সঙ্গে সঙ্গে পুলিশের একটি টহল দল ঘটনাস্থলে গিয়েছে। সেখানে ওসি আতাউর আকন্দসহ ঊর্ধ্বতনরা রয়েছেন।’
গুলিবিদ্ধ আনোয়ারকে রাত ১২টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢামেক ফাঁড়ির ইনচার্জ ফারুক হোসেন।আরও পড়ুন: রাজধানীর খিলগাঁওয়ে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৮ ইউনিট
আহত আনোয়ার জানান, বনশ্রী সি ব্লকে ‘অলংকার’ নামে একটি জুয়েলারি দোকান রয়েছে তার। রাতে দোকান বন্ধ করে সঙ্গে ২০০ ভরি স্বর্ণ ও নগদ এক লাখ টাকা নিয়ে বাসায় ঢুকছিলেন তিনি। এ সময় হঠাৎ মোটরসাইকেলে করে এসে তার ওপর হামলা করে দুর্বৃত্তরা।
এদিকে, এই ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। এতে দেখা গেছে, দুটি মোটরসাইকেলে চড়ে চারজন লোক এসে এক ব্যক্তিকে (আনোয়ার হোসেন) গুলি করে তার কাছে থাকা জিনিসপত্র (সম্ভবত স্বর্ণালঙ্কার ও নগদ টাকা) কেড়ে নিচ্ছে। এরপর তারা দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। এ সময় ভুক্তেভোগীকে চিৎকার করতে শোনা যায়। তাছাড়া কয়েকবার গুলির শব্দও শোনা গেছে ভিডিওতে।
৫২ দিন আগে
ধর্ষণ, ছিনতাই ও সন্ত্রাসের প্রতিবাদে জাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ
সারা দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি, ধর্ষণ, ছিনতাই, খুন ও সন্ত্রাসের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শিক্ষার্থীরা।
রবিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার প্রাঙ্গণ থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি শুরু হয়ে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি সড়ক প্রদক্ষিণ করে ফের শহীদ মিনারে এসে প্রতিবাদ সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।
মিছিলে ‘সারাদেশে ধর্ষণ চলে, ইন্টেরিম কি করে’; ‘জ্বালোরে জ্বালো, আগুন জ্বালো’; ‘সন্ত্রাসীদের কালো হাত, ভেঙে দাও গুঁড়িয়ে দাও’; ‘ধর্ষকদের কালো হাত, ভেঙে দাও গুঁড়িয়ে দাও’; ‘ছিনতাইকারীদের কালো হাত, ভেঙে দাও গুঁড়িয়ে দাও’; ‘দিয়েছি তো রক্ত, আরও দেব রক্ত’; ‘রক্তের বন্যায়, ভেসে যাবে অন্যায়’ এসব স্লোগান দিতে শোনা যায়।
শিক্ষার্থীরা বলেন, দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি হয়েছে। দেশে আইনের শাসন শূন্যের কোটায় চলে এসেছে। গত ৪৮ ঘণ্টায় ১৭টি ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এতে আমরা শিক্ষার্থীরা চরম আতঙ্কে দিন পার করছি।
এ সময় আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দোষীদের আইনের আওতায় না আনলে অন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে ক্ষমতা থেকে নামানোর হুঁশিয়ারি দেন শিক্ষার্থীরা। ইতিহাস বিভাগের ৫০তম ব্যাচের শিক্ষার্থী নিবিড় ভূঁইয়া বলেন, ‘সারাদেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। রাস্তাঘাটে সবসময় চাঁদাবাজি, ছিনতাই, খুন ও ধর্ষণের ঘটনা ঘটছে, আমাদের দেশের নারীরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।’
আরও পড়ুন: কুয়েটে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে জাবিতে বিক্ষোভ মিছিল
তিনি বলেন, ‘আমরা স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে হুঁশিয়ার করে বলতে চাই, দেশে যেভাবে আইন লঙ্ঘিত হচ্ছে, এভাবে চলতে থাকলে দেশ ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে উপস্থিত হবে।’
নৃবিজ্ঞান বিভাগের ৫০তম ব্যাচের শিক্ষার্থী নাজমুল ইসলাম বলেন, ‘বিগত সরকারের আমলে আমরা দেখেছি ছাত্রলীগ কীভাবে দেশে হত্যা, খুন, ছিনতাই ও ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিল। তারা আত্মগোপনে চলে গেলেও দেশে এসব অপকর্ম থেমে নেই।’
তিনি বলেন, ‘আমরা সরকারকে বলতে চাই দেশে আইনের শাসন ফিরিয়ে আনতে হবে। দেশের নাগরিকদের নিরাপত্তা দিতে হবে। নইলে, এই জাহাঙ্গীরনগর থেকেই আমরা কঠর আন্দোলনের ঘোষণা দিতে বাধ্য হব।’
প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের ৪৮তম ব্যাচের শিক্ষার্থী সজীব তালুকদারের সঞ্চালনায় উক্ত বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য শিক্ষার্থীরা।
৫২ দিন আগে
ময়মনসিংহে অটোভ্যান ছিনতাইয়ে শিশুহত্যা, ৬ দিন পর লাশ উদ্ধার
ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় নিখোঁজ হওয়ার ৬ দিন পর মাটিচাপা দেওয়া শিশু রিফাতের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় উপজেলার জয়রামপুর এলাকা থেকে মিরাজ নামে এক যুবককে আটক করা হয়।
সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) বড়গ্রাম ইউনিয়নের নরকোনা মধ্যপাড়া গ্রামের একটি সরিষা খেতের মাঝখান থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত রিফাত উপজেলার কাতলসার গ্রামের মফিজুল ইসলামের ছেলে ও কাতলসার শহিদ স্মৃতি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
পুলিশ জানায়, রিফাত গত ২৭ জানুয়ারি ভ্যানগাড়ি নিয়ে বের হয়। এর পর থেকেই সে নিখোঁজ ছিল। পরিবারের লোকজন তার খোঁজ না পেয়ে গত ২৯ জানুয়ারি বড় ভাই আরিফ বাদী হয়ে মুক্তাগাছা থানায় প্রাথমিক অভিযোগ করেন। পরে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে মিরাজ নামে এক যুবককে আটক করে পুলিশ। তার দেওয়া তথ্যমতে নরকোনা গ্রামের একটি সরিষা খেতের মাঝখান থেকে মাটি খুড়ে রিফাতের বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে আ.লীগ-বিএনপি সমর্থকদের সংঘর্ষ, আহত ৮
পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মিরাজ জানান, রিফাতকে গলাকেটে হত্যা করে অটোভ্যানটি ছিনতাই করে নিয়ে যায়। পরে লাশ গুমের উদ্দেশ্যে বস্তায় ভরে সরিষা খেতে গর্ত করে মাটিচাপা দিয়ে রাখে।
মুক্তাগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল হোসেন জানান, থানায় অভিযোগ দেওয়ার পর থেকেই পুলিশ অনুসন্ধানে নামে। একজনকে আটকের পর তার দেওয়া তথ্যমতে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত বাকিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। বিষয়টি নিয়ে পিবিআইসহ পুলিশের বিভিন্ন সংস্থা কাজ করছে।
পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসাপাতেল পাঠিয়েছে বলেও জানান তিনি।
৭২ দিন আগে
পাবনায় পুলিশের কাছ থেকে আ. লীগ নেতা ছিনতাই, আটক ১৬
পাবনার সুজানগরে গ্রেপ্তার হওয়া আওয়ামী লীগ নেতাকে পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় ১৬ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
রবিবার (২ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাতে সুজানগর উপজেলার বিভিন্নস্থানে যৌথবাহিনী অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
এর আগে আব্দুল ওহাবের বাড়ি-সংলগ্ন মথুরাপুর স্কুলের সামনে থেকে সুজানগর থানা পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। পরে উপজেলার ভায়না ইউনিয়নের মথুরাপুর এলাকা থেকে তাকে ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনাটি ঘটে।
আব্দুল ওহাব সুজানগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাবেক পৌর মেয়র ও সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান। পাবনা সদর থানা ও ঢাকার মোহাম্মদ থানার বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হত্যার মামলার আসামি।
আরও পড়ুন: জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে পুলিশের কাছ থেকে আ.লীগ নেতাকে ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সুজানগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মোস্তফা। তিনি জানান, রাতে অভিযান চালিয়ে ১৬ জনকে আটক করা হয়েছে। তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। যাদেরকে ভিডিও ফুটেজে দেখা যাবে তাদেরকে গ্রেপ্তার দেখানো হবে। এছাড়াও পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। খুব শিগগিরই বাকি আসামিদের গ্রেপ্তার করা হবে।
এর আগে সুজানগর থানা পুলিশের একটি দল আব্দুল ওহাবকে গ্রেপ্তার করে গাড়িতে ওঠায়। এ সময় বেশ কয়েকজন মিলে গাড়িটি ঘিরে ফেলেন। তারা পুলিশকে আব্দুল ওহাবকে ছেড়ে দিতে বলেন, কিন্তু পুলিশ তাতে রাজি না হলে কয়েকশ লোক জড়ো হয়ে জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে হামলা ও ভাঙচুর করে তাকে ছিনিয়ে নেয়। এ সময় ৮ পুলিশ সদস্য আহত হন।
এ ঘটনায় সুজানগর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আজাহার আলী বাদী হয়ে মামলা করেন। আব্দুল ওহাব বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় একাধিক মামলার পলাতক আসামি।
৭২ দিন আগে