সুপেয় পানি
সুপেয় পানি সরবরাহই হবে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত অভিঘাত মোকাবিলায় অন্যতম চ্যালেঞ্জ: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
ভবিষ্যতের বাংলাদেশে সুপেয় পানির সরবরাহ ঠিক রাখাই হবে অন্যতম চ্যালেঞ্জ হবে বলে মন্তব্য করেছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।
বিকালে ঢাকায় ইউনিসেফ আয়োজিত বিশ্ব পানি দিবস-২০২৪ উপলক্ষে ‘শান্তির জন্য পানি’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন তিনি।
মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তনজনিত বিরূপ প্রতিক্রিয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত পৃথিবীর শীর্ষ দেশগুলোর মধ্যে একটি। পৃথিবীর তাপমাত্রা বাড়ছে, সমুদ্রের পানির উচ্চতা বৃদ্ধি পাচ্ছে, লবণাক্ত পানির কারণে জীববৈচিত্র্য এবং কৃষিজমি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এবং সুপেয় পানির উৎসস্থল সংকুচিত হচ্ছে। ভবিষ্যতের বাংলাদেশ সুপেয় পানির সরবরাহ ঠিক রাখাই হবে আমাদের জন্য অন্যতম চ্যালেঞ্জ।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, ভূগর্ভস্থ পানের স্তর দিন দিন নিচে নেমে যাচ্ছে তাই ভবিষ্যতে পান করার জন্য পানি সরবরাহ একটি চ্যালেঞ্জ হবে। সেজন্য দেশের বিভিন্ন জায়গায় বৃষ্টির পানি অর্থাৎ ভূউপরিভাগের পানি সংগ্রহ করে কাজে লাগানোর জন্য উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন- সুইডেনের এম্বাসেডর আলেক্সান্ডরা বার্গ ভন লিনডে, ইউনিসেফ বাংলাদেশের প্রতিনিধি এমা ব্রিগহাম, বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার টিম লিড ড. রাজেন্দ্র বোহরা এবং সভাপতিত্ব করেন স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মুহম্মদ ইবরাহীম।
এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) অধ্যাপক ড. তানভীর আহমেদ।
এর আগে সকালে আগারগাঁওয়ে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরে দুটি প্রকল্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সরকারের পাশাপাশি জাইকা, এডিবি ও এএফডি নগর পরিচালন ও অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প (আইইউজিআইপি) ও দক্ষিণ চট্টগ্রাম আঞ্চলিক উন্নয়ন প্রকল্প (এসসিআরডিপি) নামক প্রকল্প দুটির অর্থায়ন করে।
জুন ২০২৮ সাল নাগাদ নগর পরিচালন ও অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প (আইইউজিআইপি) সমাপ্ত হওয়ার কথা রয়েছে যেখানে মোট ৬০২ মিলিয়ন ইউএস ডলার খরচ হবে এবং ডিসেম্বর ২০২৮ সালে শেষ হবে দক্ষিণ চট্টগ্রাম আঞ্চলিক উন্নয়ন প্রকল্প (এসসিআরডিপি) যেখানে মোট প্রায় ৩ হাজার ৬৪৫ কোটি টাকা ব্যয় করা হবে।
প্রকল্প দুটির উদ্দেশ্য হচ্ছে পরিকল্পনা অনুযায়ী টেকসই নগরায়ন, নগর পরিচালন ব্যবস্থার উন্নয়ন, মানবসম্পদ উন্নয়ন এবং অবকাঠামো উন্নয়নে সহায়তা করা, দক্ষিণ চট্টগ্রামের জীবন মানের উন্নয়ন, অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং রোহিঙ্গা ও স্থানীয় জনগোষ্ঠীর জন্য অবকাঠামো উন্নয়ন।
এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন- স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ড. মো. শের আলী, এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর এডিমন গিনটিং, এএফডি বাংলাদেশের ডেপুটি কান্ট্রি ডিরেক্টর সিসিলিয়া কট্রিস, জাইকার বাংলাদেশ প্রধান ইচিগুচি তোমোহিডে। এছাড়াও প্রকল্প দুটি বাস্তবায়নাধীন বিভিন্ন পৌরসভার মেয়রগণ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
৮ মাস আগে
সুপেয় পানি নিশ্চিতে এনজিও’র সঙ্গে কাজ করবে সরকার: সাবের হোসেন
পানি সম্পদ রক্ষা এবং সবার জন্য পানির অধিকার নিশ্চিত করতে সরকার সংশ্লিষ্ট এনজিও’র সঙ্গে একযোগে কাজ করবে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী।
তিনি বলেন, সরকারি, বেসরকারি সংস্থাগুলো একসঙ্গে কাজ করে আমরা পানির সংকট কাটিয়ে উঠতে এবং টেকসই ভবিষ্যৎ গড়ে তুলতে সক্ষম হব। সবার জন্য পানি নিশ্চিতে এবং সুরক্ষিত বিশ্বের জন্য আমাদের সবাইকেই কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে হবে।
বুধবার (২৪ জানুয়ারি) গুলশানের সিক্স সিজন হোটেলে ‘ওয়াটার, রিভারস, অ্যান্ড ক্লাইমেট চেইঞ্জ ক্রিয়েটিং স্পেস ফর রেজিলেন্স’ প্রতিপাদ্যে অ্যাকশনএইড আয়োজিত নবম আন্তর্জাতিক পানি সম্মেলনে বক্তব্যে পরিবেশমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘সুপেয় পানির সংকট একটি বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ, কিন্তু এটি স্থানীয়ভাবে সমাধান করতে হবে। সরকার এজন্য পাইলট প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে। সমাজের সব শ্রেণির ব্যক্তিদের একযোগে কাজ করে প্রত্যেকের বেঁচে থাকার জন্য প্রয়োজনীয় পানি যাতে পেতে পারে তা নিশ্চিত করতে হবে। আমাদের তরুণদের নদী রক্ষা ও পানির অধিকার নিশ্চিতে এগিয়ে আসতে হবে।’
আরও পড়ুন: সব মন্ত্রণালয়ের মধ্যে সেরা কাজ করব: সাবের হোসেন চৌধুরী
পানি সম্মেলন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশে অস্ট্রেলিয়ার ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার নারদিয়া সিম্পসন, অ্যাকশনএইড ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ সোসাইটির চেয়ারপারসন ইব্রাহিম খলিল আল-জায়াদ এবং অ্যাকশনএইড বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর ফারাহ কবির।
'জলবায়ু পরিবর্তনের রাজনীতির মোকাবিলা' শীর্ষক মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ড. ইমতিয়াজ আহমেদ।
আরও পড়ুন: সাবের হোসেন চৌধুরী প্রধানমন্ত্রীর ‘জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক বিশেষ দূত’ নিযুক্ত
১০ মাস আগে
দেশব্যাপী সুপেয় পানি সরবরাহে গ্রিডের কাজ চলছে: এলজিআরডি মন্ত্রী
দেশে সুপেয় পানির অভাব দূর করতে অভ্যন্তরীণ উৎসকে কাজে লাগিয়ে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় (এলজিআরডি) মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।উপকূলীয় অঞ্চলসহ সারাদেশে সুপেয় পানি সরবরাহে ওয়াটার গ্রীড লাইন স্থাপনে একটি মাস্টার প্ল্যান প্রণয়নে স্ট্যাডির কাজ চলছে বলেও জানান মন্ত্রী।রাজধানীর বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কাউন্সিল ভবনে আইটিএন-বুয়েট আয়োজিত 'শহরব্যাপী অন্তর্ভুক্তিমূলক স্যানিটেশনের প্রসার এবং স্যানিটেশন উদ্ভাবন' অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা জানান।
আরও পড়ুন: বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করার অপচেষ্টা চলছে: এলজিআরডি মন্ত্রীস্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে পানি ও স্যানিটেশন ব্যবস্থাপনাসহ মানুষের উন্নত জীবন ব্যবস্থার জন্য সব ধরনের উদ্যোগ হাতে নিয়েছেন। ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ দেশ গড়তে হলে অর্থনৈতিক উন্নয়নের পাশাপাশি জাতিসংঘের অনেকগুলো পূর্ব-শর্ত পূরণ করতে হবে। এজন্য সমন্বিত উদ্যোগ দরকার। তাই সকল শ্রেণি-পেশার মানুষকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।তিনি আরও জানান, দেশে ইকোনমিক জোন হচ্ছে। যেখানে অনেক ধরনের শিল্প কারখানা প্রতিষ্ঠিত হবে। সেখানে প্রচুর পানির প্রয়োজন হবে। এখন থেকে যদি পানি সরবরাহে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হয় তাহলে পরবর্তীতে সংকট দেখা দিবে। এসময় মিরেরসরাই ইকোনমিক জোনে মেঘনা নদী থেকে পানি উত্তোলন করা হবে বলেও জানান।চট্টগ্রাম ওয়াসা নতুন একটি ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট স্থাপন করতে যাচ্ছে জানিয়ে মো. তাজুল ইসলাম বলেন, দেশের পানির সমস্যা সমাধানে স্থানীয় সরকার বিভাগের আওতাধীন ঢাকা ওয়াসাসহ অন্যান্য ওয়াসা অনেকগুলো ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট স্থাপন করেছে। এছাড়া জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য পানি ও স্যানিটেশন নিয়ে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: বর্ধিত পানির চাহিদা পূরণে কাজ করছে সরকার: এলজিআরডি মন্ত্রীমন্ত্রী বলেন, নগরায়ন বৃদ্ধির সাথে সাথে শহরগুলোতে স্যানিটেশন সমস্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা, প্রযুক্তিগত উদ্যোগ, প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার এবং আর্থিক ব্যবস্থাপনাকে অন্তর্ভুক্ত করার মাধ্যমে ব্যাপকভাবে স্যানিটেশনের উন্নয়ন কাজ করতে হবে।নিরাপদ স্যানিটেশন শুধু বাংলাদেশ নয়, সারা বিশ্বই এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করছে উল্লেখ করে তিনি জানান, শহরব্যাপী অন্তর্ভুক্তিমূলক স্যানিটেশন বা সিটি ওয়াইড ইনক্লুসিভ স্যানিটেশন' স্যানিটেশনের সামগ্রিক ইস্যুকে প্রাধান্য দেয়। এটি সকলের জন্য সমতাভিত্তিক, নিরাপদ এবং টেকসই স্যানিটেশন সমাধান নিশ্চিত করায় বিশ্বব্যাপী গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে।দেশে বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের নতুন দিগন্ত উন্মোচন হয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, বাসাবাড়ির ও মেডিকেল বর্জ্যসহ সব ধরনের ময়লা-আবর্জনা নির্দিষ্ট স্থানে ফেলতে হব। পরিবেশ রক্ষায় সবাইকে সচেতন থাকতে হবে।
আরও পড়ুন: অ্যানোফিলিস ও কিউলেক্স মশা নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই: এলজিআরডি মন্ত্রীমো. তাজুল ইসলাম বলেন, ঢাকা শহরের আবাসিক এলাকার অনেক বাসাবাড়ি নিজস্ব সেপটিক ট্যাংক নেই। তারা স্যুয়ারেজ লাইন সরাসরি লেকে বা খালে ফেলে দেয়। এ ব্যাপারে সকলকে সচেতন করতে ক্যাম্পেইন চালানো হচ্ছে। এ সময়ের মধ্যে নিজেদের সেপটিক ট্যাংক না করলে ব্যবস্থা নেয়ার কথা উল্লেখ করেন তিনি।বুয়েটের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. সত্য প্রসাদ মজুমদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ এবং বুয়েটের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. আবদুল জব্বার খান। গেস্ট অব অনার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশনের ডেপুটি ডিরেক্টর ড. রোসান রাজ শ্রেষ্ঠা।এছাড়া, এলজিইডি প্রধান প্রকৌশলী মো. আব্দুর রশিদ খান, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মো. সাইফুর রহমান, ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাকসিম এ খানসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা এবং বুয়েটের সংশ্লিষ্ট বিভাগের শিক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন।
৩ বছর আগে