আইকিউএয়ার
দূষিত শহরের তালিকায় দশম স্থানে ঢাকা, বাতাসের মান ‘অস্বাস্থ্যকর’
গত কয়েকদিন ধরেই ঢাকার বাতাসের মান অস্বাস্থ্যকর হয়ে চলেছে। রবিবার (৪ মে) সকালেও সেই ধারা অব্যাহত রয়েছে। সকাল ৯টা ১৫ মিনিটে ঢাকার বাতাস ১১০ একিউআই স্কোর নিয়ে সংবেদনশীল জনগোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ হয়েছে।
আইকিউএয়ারের প্রকাশিত তথ্য অনুসারে, ৮৭৬ একিউআই স্কোর নিয়ে আজ বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহরের তালিকার শীর্ষে রয়েছে সৌদি আরবের রিয়াদ, ২৭৮ একিউআই স্কোর নিয়ে তার পরেই অবস্থান কুয়েতের কুয়েত শহর, আর ২৪৮ নিয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছে ভারতের দিল্লি।
যখন অতি ক্ষুদ্রকণা দূষণের একিউআই মান ৫০ থেকে ১০০ এর মধ্যে থাকে, তখন বায়ুর গুণমানকে ‘মাঝারি’ বলে বিবেচনা করা হয়।
সূচক ১০১ থেকে ১৫০ এর মধ্যে হলে ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এ সময় সাধারণত সংবেদনশীল ব্যক্তিদের দীর্ঘ সময় ধরে বাইরে না থাকতে পরামর্শ দেওয়া হয়।
১৫১ থেকে ২০০ এর মধ্যে হলে ‘অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচিত হয়, ২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ বলে মনে করা হয়। ৩০১ এর বেশি হলে ‘বিপজ্জনক’ হিসেবে বিবেচিত হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি করে।
একিউআই সূচক ৫টি দূষণের ওপর নির্ভরশীল। সেগুলো হলো- অতিক্ষুদ্র বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন।
ঢাকা দীর্ঘদিন ধরে বায়ুদূষণজনিত সমস্যায় জর্জরিত। এর বায়ুর গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে ওঠে এবং বর্ষাকালে উন্নত হয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মতে, বায়ু দূষণের কারণে প্রতি বছর বিশ্বব্যাপী আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়।
একিউআই সূচক ৫টি দূষণের ওপর নির্ভরশীল। সেগুলো হলো- অতিক্ষুদ্র বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন।
ঢাকা দীর্ঘদিন ধরে বায়ুদূষণজনিত সমস্যায় জর্জরিত। এর বায়ুর গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে ওঠে এবং বর্ষাকালে উন্নত হয়।
বাংলাদেশের মোট বায়ুদূষণের ৩৫ শতাংশই আশপাশের দেশগুলো থেকে আসছে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা, যা আন্তঃদেশীয় দূষণ নামে পরিচিত।
আরও পড়ুন: ‘অস্বাস্থ্যকর’ বাতাস নিয়ে বিশ্বের তৃতীয় দূষিত শহর ঢাকা
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. আবদুস সালাম জানান, সীমান্ত পাড়ি দিয়ে পার্শ্ববর্তী দেশগুলো থেকে যে দূষণ বাংলাদেশে ছড়িয়ে পড়ে এবং বিপরীতে বাংলাদেশ থেকে সেইসব দেশে যে দূষণ যায়, সেটিই হচ্ছে আন্তঃদেশীয় বায়ুদূষণ।
আন্তঃসীমান্ত দূষণের বিবরণ দিয়ে তিনি বলেন, ‘হিমালয় থেকে, আবার ভারত, পাকিস্তান, নেপাল ও চীনের একটি অংশ থেকে দূষণ বাংলাদেশে আসে। এতে পুরো বাংলাদেশের ওপর দূষণ ছড়িয়ে পড়ে। শীতকালে এটা বেশি আসে।’
১ দিন আগে
২০২১ সালে বিশ্বের সবচেয়ে দূষণমুক্ত ১০ শহর
যে কণাগুলো বাতাসে ভেসে বায়ু দূষণ করে, সেগুলো এতটাই ক্ষুদ্র থাকে যে খালি চোখে দেখা সম্ভব নয়। এই কণাগুলোর নাম পার্টিকুলেট ম্যাটার(পিএম)। এর একটি ক্যাটাগরি পিএম২.৫ এমন একটি কণা, যার ব্যাস ২.৫ মাইক্রোমিটারের কম, অর্থাৎ মানুষের চুলের চেয়ে ১০০ গুণের বেশি পাতলা। আইকিউএয়ার বিশ্বব্যাপী এই পিএম২.৫ দ্বারা দূষিত বায়ুর শহরগুলোর র্যাঙ্কিং নিয়মিত সরাসরি আপডেট করে। সেই লাইভ থেকে ২০২১ এর ৬ ডিসেম্বর দুপুর দেড়টার আপডেট অনুযায়ী বিশ্বের সবচেয়ে দূষণমুক্ত দশটি শহরের বিস্তারিত নিয়ে আজকের ফিচার।
২০২১ সালে বিশ্বের সবচেয়ে দূষণমুক্ত ১০ টি শহর
১। সল্টলেক সিটি, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
২। ডেনভার, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
৩। সিডনি, অস্ট্রেলিয়া
৪। নাগোয়া, জাপান
৫। মেলবোর্ন, অস্ট্রেলিয়া
৬। অসলো, নরওয়ে
৭। লিয়ন, ফ্রান্স
৮। ভ্যানকুভার, কানাডা
৯। ক্যানবেরা, অস্ট্রেলিয়া
১০ হেলসিঙ্কি, ফিনল্যান্ড
দেশগুলোর বাতাসের গুণাগুণ সূচক নির্ণয় পদ্ধতি
শহরের বাতাসে বায়ু দূষণকারী পদার্থের ঘনত্বের উপর ভিত্তি করে বাতাসের গুণাগুণ সূচক বা একিউআই নির্ণয় করা হয়ে থাকে।
সূচকটি বাতাসের প্রতি ঘন মিটারে থাকা বায়ু দূষণকারী পদার্থের সংখ্যা নির্দেশ করে। এখানে সূচকের নির্ধারক হিসাবে পিএম২.৫ পরিমাপ ব্যবহার করে একিউআই নিরীক্ষণ করা হয়। কারণ এই পদ্ধতিটি ব্যাপকভাবে স্বীকৃত এবং পিএম২.৫ মানবদেহের জন্য সবচেয়ে বিপজ্জনক বায়ু দূষণকারী পদার্থ। বাতাসের গুণগত মানকে ছয়টি আলাদা বিভাগে ভাগ করা হয়, যেখানে সেই সূচক এবং বায়ু দূষণকারী পিএম২.৫ এর ঘনত্বের সীমা নির্দেশ করা থাকে। এক কথায় কোন শহরের ক্ষেত্রে এই সূচক ও পিএম২.৫ এর ঘনত্ব যত বাড়বে, সেই শহর তত বেশি দূষিত বলে বিবেচিত হবে।
শূন্য থেকে ৫০০ পর্যন্ত বায়ুর গুণাগুণ সূচককে ছয়টি বিভাগে আলাদা সীমায় ভাগ করা হয়েছে। এর মধ্যে শূন্য থেকে ৫০ এর সীমা সবচেয়ে ভাল সূচক নির্দেশ করে। সূচকের মান ৩০০ ছাড়ালে বাতাসের অবস্থা সবচেয়ে বিপজ্জনক বিবেচনা করা হয়।
আরও পড়ুন: বায়ুদূষণ: ঢাকার বাতাসের মান ‘অস্বাস্থ্যকর’
পিএম২.৫ প্রতি ঘনমিটারে মাইক্রোগ্রাম দ্বারা পরিমাপ করা হয় (মাইক্রোগ্রাম/মিটার৩)। ইউএস-এর পরিবেশ রক্ষা এজেন্সি ন্যাশনাল অ্যাম্বিয়েন্ট এয়ার কোয়ালিটি স্ট্যান্ডার্ড অনুযায়ী, ১২.০ মাইক্রোগ্রাম/মিটার৩ এর বেশি যে কোনো ঘনত্বের পিএম ২.৫ মানবদেহের জন্য বিপজ্জনক।
এছাড়া বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) অনুসারে, পিএম২.৫ এর মাত্রা ৫ মাইক্রোগ্রাম/মিটার৩ এর বেশি হওয়া উচিত নয়। বছরে তিন চার দিনের বেশি সময়ের ক্ষেত্রে গড় ঘনত্ব ১৫ মাইক্রোগ্রাম/মিটার৩ এর বেশি হওয়া উচিত নয়।
শীর্ষস্থানীয় দূষণমুক্ত দেশগুলোতে বাতাসের গুণাগুণ
উপরোল্লিখিত দূষণমুক্ত দেশের সবগুলোরই পিএম২.৫ ঘনত্ব ১২-এর কম এবং একিউআই পঞ্চাশের নিচে। দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি পিএম২.৫ ঘনত্বের শহর জাপানের নাগোয়া, যার বাতাসে পিএম২.৫ এর ঘনত্ব ১০ মাইক্রোগ্রাম/মিটার৩। আর ইউএসএ’র সল্টলেক সিটিতে পিএম২.৫ এর ঘনত্ব সবচেয়ে কম; ০.৪ মাইক্রোগ্রাম/মিটার৩।
একিউআইয়ের দিক থেকে সর্বোচ্চ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ডেনভার ও জাপানের নাগোয়া; ৪১। আর একিউআই ২ নিয়ে শীর্ষস্থানীয় দূষণমুক্ত অবস্থানে আছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সল্টলেক সিটি।
একিউআই অনুযায়ী বায়ু দূষণ সূচকে ঢাকার অবস্থান
বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার বায়ু গুণাগুণ সূচক ৫৯ এবং বাতাসে পিএম২.৫ এর ঘনত্ব ১৫.৯ মাইক্রোগ্রাম/মিটার৩। অর্থাৎ এখন ঢাকার বায়ূ দূষণ সহনীয় পর্যায়ে আছে। বিগত তিন দিন একিউআইয়ের অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের তালিকায় ছিলো ঢাকা। এমনকি আগামী দিনগুলোর আবহাওয়া যাচাই করে অবস্থার আরও অবনতির পরিসংখ্যান দেখিয়েছে আইকিউএয়ার। এছাড়া গত ২১ থেকে ২৩ নভেম্বর যথাক্রমে ২০৪, ২৪৭ ও ২৪৮ একিউআই সূচক নিয়ে অত্যন্ত অস্বাস্থ্যকর ক্যাটাগরিতে ছিলো।
আরও পড়ুন: বিশ্বের সবচেয়ে সস্তা ১০ শহর
পরিশিষ্ট
শ্বাস নেবার সময় মানুষ সাধারণত প্রতিদিন প্রায় তিন হাজার গ্যালন বাতাস গ্রহণ করে। তাই যখন বায়ু দূষণের কথা আসে, তখন সবাই অসহায় হয়ে যায়। বায়ু দূষণের জন্য বিশ্ব জুড়ে প্রতি বছর মারা যাচ্ছে ৪২ লক্ষ মানুষ। পিএম২.৫ শ্বাসনালীর মাধ্যমে ফুসফুসের গভীরে এমনকি রক্তে প্রবেশ করে স্বাস্থ্যের মারাত্মক ক্ষতি করে। এই কণাগুলি বায়ুমণ্ডলে সঞ্চালিত জ্বালানী পোড়ানো, রাসায়নিক বিক্রিয়ার ফলে গঠিত হয় যার সবগুলোই মানুষ সৃষ্ট কারণ। এই পিএম২.৫ কে কেন্দ্র করেই নিত্যদিন সর্বশেষ বায়ু দূষণ অবস্থার আপডেট জানিয়ে বছর শেষে বিশ্ব জুড়ে দুষিত শহরগুলোর চূড়ান্ত একটি তালিকা প্রকাশ করে আইকিউএয়ার। ২০২০ এর সবচেয়ে দূষণমুক্ত শহর ছিলো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়াইয়ান শহর ওয়েইমিয়া।
১২৪৫ দিন আগে
২০২১ সালে বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত ১০ শহর
বাতাসে পিএম২.৫ এর উপস্থিতির উপর নির্ভর করে বিশ্বের শহরগুলোর বায়ু দূষণের সর্বশেষ পরিসংখ্যানটি অনলাইনে সরাসরি সম্প্রচার করে আইকিউএয়ার। এর মাধ্যমে বছর শেষে উঠে আসে বিশ্বজুড়ে বায়ুদূষণে ঝুঁকিপূর্ণ ও ঝুঁকিমুক্ত শহরগুলোর চূড়ান্ত একটি তালিকা প্রকাশ করে। যদিও ২০২১ শেষ হতে এখনো কিছু দিন বাকি, ইতোমধ্যে আইকিউএয়ার-এর লাইভ ২০২১ এর চূড়ান্ত দূষিত শহরগুলোর এক সম্ভাব্য চিত্র তুলে ধরেছে। সেই লাইভ থেকে ২০২১ এর ৬ ডিসেম্বর বিকাল ৪টা ২১ মিনিটের আপডেট অনুযায়ী বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত ১০টি শহরের বায়ুদূষণের সার-সংক্ষেপ থাকছে আজকের ফিচারে।
২০২১ সালে বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত ১০টি শহর
১। চেংদু, চীন
২। লাহোর, পাকিস্তান
৩। দিল্লি, ভারত
৪। বিশকেক, কিরগিজস্তান
৫। তাসখন্দ, উজবেকিস্তান
৬। ক্রাকো, পোল্যান্ড
৭। উহান, চীন
৮। চংকিং, চীন
৯। তেহরান, ইরান
১০। করাচি, পাকিস্তান
আরও পড়ুন: বায়ুদূষণ: ঢাকার বাতাসের মান ‘অস্বাস্থ্যকর’
দেশগুলোর বাতাসের গুণাগুণ সূচক নির্ণয় পদ্ধতি
আইকিউএয়ার বাতাসের গুণাগুণ সূচক বা একিউআই নির্ণয় করে শহরগুলোর বাতাসে বায়ু দূষণকারী পদার্থের ঘনত্বের উপর ভিত্তি করে।
সূচকের সংখ্যাটি দ্বারা বাতাসের প্রতি ঘন মিটারে থাকা বায়ু দূষণকারী পদার্থের সংখ্যা নির্দেশ করে। এখানে সূচকের নির্ধারক হিসাবে পিএম২.৫ প্রধান বায়ু দূষক ধরা হয়। কারণ পিএম২.৫ মানবদেহের জন্য সবচেয়ে বিপজ্জনক বায়ু দূষণকারী পদার্থ। পিএম২.৫ বা পার্টিকুলেট ম্যাটার ২.৫ বাতাসের ভেসে বেড়ানো এমন একটি কণা যার ব্যাস ২.৫ মাইক্রোমিটারের কম যা মানুষের চুলের চেয়ে ১০০ গুণেরও বেশি পাতলা।
শূন্য থেকে ৫০০ পর্যন্ত বায়ুর গুণাগুণ সূচককে ছয়টি বিভাগে আলাদা সীমায় ভাগ করা হয়েছে। এর মধ্যে শূন্য থেকে ৫০ এর সীমা ঝুঁকিমুক্ত সূচক নির্দেশ করে। এখানে পিএম২.৫ এর মাত্রা ১২ পর্যন্ত।
৫১ থেকে ১০০ সীমাকে সহনীয় বিবেচনা করা হয় যেখানে পিএম২.৫ এর ঘনত্ব সীমা ১২.১ থেকে ৩৫.৪।
১০১ থেকে ১৫০ সূচক সীমা শ্বাস সংক্রান্ত রোগীদের জন্য অস্বাস্থ্যকর। এখানে পিএম২.৫ এর মাত্রা সীমাবদ্ধ থাকে ৩৫.৫ থেকে ৫৫.৪ এর মধ্যে।
১৫১ থেকে ২০০ সূচক সীমা এবং ৫৫.৫ থেকে ১৫০.৪ মাত্রার পিএম২.৫ অস্বাস্থ্যকর।
এরপরেই ২০১ থেকে ৩০০ সূচক এবং ১৫০.৫ থেকে ২৫০.৪ মাত্রার পিএম২.৫ ঝুঁকিপূর্ণ। ৩০০-এর অধিক সূচকের পাশাপাশি পিএম২.৫ এর মাত্রা ২৫০.৫ ছাড়ালে শহরের বায়ু দূষণের অবস্থা সবচেয়ে বিপজ্জনক ধরা হয়।
পিএম২.৫ পরিমাপ করা হয় মাইক্রোগ্রাম/মিটার^ ৩এককের মাধ্যমে। ইউএস-এর পরিবেশ রক্ষা এজেন্সি ন্যাশনাল অ্যাম্বিয়েন্ট এয়ার কোয়ালিটি স্ট্যান্ডার্ড অনুযায়ী, পিএম২.৫ এর ঘনত্ব ১২.০ মাইক্রোগ্রাম/মিটার ^৩ পেরুলেই তা মানবদেহের জন্য বিপজ্জনক।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)-এর মতে, পিএম২.৫ এর ঘনত্ব ৫ মাইক্রোগ্রাম/মিটার ^৩এর বেশি হওয়া উচিত নয়। বছরে তিন চার দিনের বেশি সময়ের ক্ষেত্রে গড় ঘনত্ব ১৫ মাইক্রোগ্রাম/মিটার ^৩এর বেশি হওয়া উচিত নয়।
আরও পড়ুন: বিশ্বের সবচেয়ে সস্তা ১০ শহর
শীর্ষস্থানীয় দূষিত দেশগুলোতে বায়ুদূষণের অবস্থা
শীর্ষস্থানীয় দূষিত দেশের সবগুলোরই পিএম২.৫ ঘনত্ব ৬০-এর ওপর এবং একিউআই ১৫০-এর ওপর। দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি পিএম২.৫ ঘনত্বের শহর চীনের চেংদু, যার বাতাসে পিএম২.৫ এর ঘনত্ব ১৫১ মাইক্রোগ্রাম/মিটার ^৩। আর ইরানের তেহরান-এর পিএম২.৫ এর ঘনত্ব সবচেয়ে দূষিত দশটি দেশের ভেতর তুলনামুলকভাবে সবচেয়ে কম; ৬১.৩ মাইক্রোগ্রাম/মিটার ^৩।
একিউআইয়ের দিক থেকে সর্বোচ্চ চীনের চেংদু; ২০১। আর একিউআই ১৬০ নিয়ে শীর্ষস্থানীয় দূষিত দেশগুলোর সবার নিচে অবস্থান করছে পাকিস্তানের করাচি।
একিউআই অনুযায়ী বিশ্ব জুড়ে বায়ু দূষণে ঢাকার অবস্থান
বায়ু গুণাগুণ সূচকে দক্ষিণ এশিয়ার বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার অবস্থান ৫৯-এ। ঢাকার বাতাসে পিএম২.৫ এর মাত্রা ১৫.৯ মাইক্রোগ্রাম/মিটার ^৩। আজকে ঢাকার আবহাওয়া বায়ূ দূষণ ক্যাটাগরিতে সহনীয় পর্যায়ে থাকলেও বিগত তিন দিন ছিল একিউআইয়ের অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের তালিকায়। এমনকি আগামী দিনগুলোতেও শহরটির আবহাওয়া যাচাই করে অবস্থার আরও অবনতির তথ্য উল্লেখ করেছে আইকিউএয়ার।
উল্লেখ্য, আইকিউএয়ারের র্যাঙ্কিং-এ ২০২০ এর সবচেয়ে দূষিত দেশ ছিল বাংলাদেশ।
আরও পড়ুন: বিশ্বের সবচেয়ে ব্যয়বহুল ১০ শহর
পরিশিষ্ট
স্বাস্থ্যের উপর স্বল্পমেয়াদী এবং দীর্ঘমেয়াদী উভয় ধরনের প্রভাব রয়েছে পিএম২.৫ দ্বারা দূষিত বায়ুর। স্বল্প মেয়াদে চোখ, নাক এবং গলায় জ্বালা, কাশি, হাঁচি এবং শ্বাসকষ্ট দেখা যায়। আর দীর্ঘস্থায়ী প্রভাবে স্থায়ী শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যা যেমন হাঁপানি, দীর্ঘস্থায়ী ব্রঙ্কাইটিস এবং হৃদরোগ পর্যন্ত হতে পারে।
১২৪৫ দিন আগে