সিডনি
সিডনিতে গুলিতে ১৫ প্রাণহানির পর কঠোর অস্ত্র আইনের পথে অস্ট্রেলিয়া
সিডনির বন্ডি সমূদ্রসৈকতে ইহুদিদের হনুক্কা উৎসব চলাকালে গুলিবর্ষণে শিশুসহ ১৫ জন নিহতের ঘটনার পর জাতীয় পর্যায়ে আরও কঠোর অস্ত্র আইন প্রণয়নের প্রস্তাব দিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ।
এই ঘটনার তদন্তের পর জানা যায়, হামলাকারী ছিলেন দুজন। তারা পিতা-পুত্র। তাদের মধ্যে পিতার গত এক দশক ধরে অস্ত্রের লাইসেন্স ছিল এবং তিনি অস্ট্রেলিয়ার আইন অনুসারেই ছয়টি আগ্নেয়াস্ত্র সংগ্রহ করেছিলেন।
এই তথ্য সামনে আসার পর স্থানীয় সময় সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) সাংবাদিকদের আলবানিজ বলেন, একজন ব্যক্তি সর্বোচ্চ কতটি আগ্নেয়াস্ত্র রাখতে পারবেন, তা পুনর্নির্ধারণ করে নতুন অস্ত্র আইনের প্রস্তাব দেওয়া হবে। এ ধরনের হামলা ঠেকাতে সরকার প্রয়োজনীয় যেকোনো পদক্ষেপ নিতে প্রস্তুত। আর এ জন্য কঠোর অস্ত্র আইনের প্রয়োজনীয়তাও রয়েছে।
তিনি বলেন, ‘মানুষ বদলায়। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে কেউ কেউ চরমপন্থা দ্বারাও প্রভাবিত হতে পারে। তাই (আগ্নেয়াস্ত্রের) লাইসেন্স কোনোভাবেই আজীবনের জন্য হওয়া উচিত নয়।’
রবিবারের ওই হামলায় অন্তত ৩৮ জন আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। আর নিহত ১৫ জনের মধ্যে ১০ বছর বয়সী একটি মেয়ে ও একজন রাব্বি ছিলেন।
সৈকত-সংলগ্ন ছোট এক পার্কে ওই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে হাজার খানেক মানুষ উপস্থিত ছিলেন। গরমের মধ্যে ওই সন্ধ্যায় সৈকতে প্রচুর ভিড় ছিল। এরই মধ্যে গুলি চালান দুই হামলাকারী।
গণহামলা ঠেকাতে অস্ত্র আইন
অস্ট্রেলিয়ার সবচেয়ে জনপ্রিয় সৈকতটিতে সংঘটিত এই নৃশংস হামলা দেশটিতে প্রায় তিন দশকের মধ্যে সবচেয়ে প্রাণঘাতী গুলিবর্ষণের ঘটনা। রাইফেলের মাধ্যমে ব্যাপক হারে গুলিবর্ষণ ঠেকাতে দেশটিতে কঠোর অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ আইন রয়েছে।
তারপরও একটি নির্দিষ্ট ধর্মীয় গোষ্ঠীর ওপর এমন বর্বরতাকে ‘ইহুদিবিদ্বেষী সন্ত্রাসবাদ’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী আলবানিজ। তিনি বলেছেন, এই ঘটনা গোটা দেশের হৃদয়ে আঘাত করেছে। যত দ্রুত সম্ভব এই ধরনের নৃসংশতা ঠেকাতে পদক্ষেপ নেওয়ার অঙ্গীকার করেছেন তিনি।
এ লক্ষ্যে স্থানীয় সময় সোমবার বিকেলে নিউ সাউথ ওয়েলসের নেতাদের নিয়ে গঠিত জাতীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে তিনি অস্ত্র আইনসংক্রান্ত প্রস্তাব উপস্থাপনের পরিকল্পনার কথা জানান। কারণ কিছু পদক্ষেপ বাস্তবায়নে রাজ্য আইনের প্রয়োগ প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন তিনি।
তার কথায়, ‘কিছু আইন রাষ্ট্রীয়ভাবে প্রণয়ন করা যায়, কিন্তু আরও কিছু আইন রয়েছে যেগুলো বাস্তবায়নের এখতিয়ার রাজ্য সরকারগুলোর। আমরা চাই সবাই যেন সম্পূর্ণভাবে সমান অবস্থানে থাকে।’
নিউ সাউথ ওয়েলসের প্রিমিয়ার (রাজ্য সরকারপ্রধান) ক্রিস্টোফার মিন্স আলবানিজের প্রস্তাবে ঐকমত্য পোষণ করেছেন। তিনিও মনে করেন, অস্ত্রের লাইসেন্স আজীবনের জন্য দেওয়া উচিত নয়।
রাজ্যের রাজধানী সিডনিতে সাংবাদিকদের মিন্স বলেন, ‘রাজ্যের বিদ্যমান অস্ত্র আইনে পরিবর্তন আনা হবে। এ লক্ষ্যে সংসদে একটি বিল উপস্থাপন করা হবে, যাতে এসব ভয়ংকর অস্ত্র প্রাপ্তি আরও কঠিন হয়। আমাদের সমাজে যেসব অস্ত্রের কোনো বাস্তব প্রয়োজন নেই, সেগুলোর ওপর কড়াকড়ি আরোপ করা হবে।’
৫ দিন আগে
সিডনির বায়ুদূষণ চরমে, জরুরি স্বাস্থ্য সতর্কতা জারি
প্রতিদিন সকাল থেকে রাত, বায়ুদূষণে দক্ষিণ এশিয়া এবং আফ্রিকার তুলনামূলক দরিদ্র দেশগুলো তালিকার শীর্ষস্থানগুলো দখল করে থাকলেও ইউরোপ-আমেরিকার ধনী দেশগুলোর শহরগুলোকে এই তালিকায় দেখা যায় না। ফলে অস্ট্রেলিয়ার মতো উন্নত, পরিচ্ছন্ন দেশের কোনো শহর এই তালিকায় থাকবে— তা একপ্রকার অকল্পনীয়। তবে কল্পনাকে হার মানিয়ে সেই দৃশ্য দেখা গেছে।
অস্ট্রেলিয়ার সিডনিসহ বেশ কয়েকটি শহরে বায়ুদূষণ চরমে পৌঁছেছে। মঙ্গলবার (২৭ মে) বাংলাদেশ সময় সকাল ৯টায় আইকিউএয়ারের তথ্য বলছে, সিডনির বাতাসের একিউআই স্কোর ৫১৯— হ্যাঁ, আপনি ঠিকই পড়ছেন। আইকিউএয়ারের মানদণ্ড অনুযায়ী স্কোর ৩০০’র বেশি হলেই যা ‘বিপজ্জনক’, সেখানে সিডনির বাতাসের মান ৫০০’র বেশি, একেবারে ‘বিপর্যয়কর’।
হঠাৎ করে সেখানকার বাতাসের মানে এমন চরম অবনতি কেন, তা জানতে দেশটির শীর্ষ গণমাধ্যমগুলোতে ঢুঁ মারলে দেখা যায়, আজ (মঙ্গলবার) সকালে দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়া থেকে উঠে আসা এক ধুলিঝড় এসে সিডনির আকাশ ঢেকে দেয়। ঘন ধুলার কুয়াশায় হারিয়ে যায় শহরের পরিচিত দৃশ্যপট— হারবার, স্কাইলাইন, এমনকি দূরের ব্লু মাউন্টেনসও বা নীল পর্বতশ্রেণিও।
আরও পড়ুন: আন্তঃদেশীয় বায়ুদূষণ রোধে মাথা ব্যথা নেই সরকারের
অস্ট্রেলিয়ার জনপ্রিয় নিউজ পোর্টাল নিউজ ডটকমের খবরে বলা হয়েছে, স্থানীয় সময় সকাল ৮টা থেকে ৯টার মধ্যে সিডনির কিছু এলাকায় বায়ুদূষণের জন্য দায়ী বস্তুকণা পিএম১০-এর মাত্রা পৌঁছায় ৬০০ মাইক্রোগ্রামে। সিডনির দক্ষিণে অবস্থিত নিউ সাউথ ওয়েলস রাজ্যের উপকূলীয় অঞ্চল ইলাওয়ারায় এই মাত্রা ছিল আরও বেশি, প্রতি ঘনমিটার বাতাসে ৯০৩.২ মাইক্রোগ্রাম।
এটি কতটা বিপর্যয়কর দুটি উদাহরণ থেকে চলুন বুঝে নেই। একই সময়ে আইকিউএয়ারের দূষিত শহরের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে ছিল পাকিস্তানের লাহোর। শহরটির একিউআই স্কোর ছিল ১৭৩, মানে ‘অস্বাস্থ্যকর’। আর সেখানে পিএম ২.৫ দূষণ কণার উপস্থিতি ছিল প্রতি ঘনমিটারে মাত্র ৮৭।
পিএম ২.৫ কণা প্রতি ঘনমিটারে ৮৭ থাকলেও লাহোরের বাতাস কেবল সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর নয়, সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর। সেখানে সিডনি বা ইলাওয়ারায় দূষণ কণা ছিল পিএম১০, যা আরও ক্ষতিকর এবং তার পরিমাণ তালিকার দুইয়ে থাকা লাহোরের চেয়ে ১০ গুণের বেশি। দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম দূষিত বায়ুর শহর ভারতের রাজধানী দিল্লির বাতাসের এই মান ছিল তখন ১০৭, যা পরে বাংলাদেশ সময় সকাল সাড়ে আটটায় নেমে আসে ৫৭-তে।
এসব সূক্ষ্ম কণা ফুসফুসে ঢুকে শ্বাসকষ্ট, হাঁপানি বা ব্রঙ্কাইটিসের উপসর্গ বাড়িয়ে দিতে পারে। পাশাপাশি চোখ, নাক ও গলায় জ্বালাও সৃষ্টি করতে পারে বলে নাগরিকদের সতর্ক করেছেন অস্ট্রেলিয়ার স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।
এমন পরিস্থিতিতে জরুরি স্বাস্থ্য সতর্কতা জারি করে নিউ সাউথ ওয়েলসের স্বাস্থ্য বিভাগ। বিশেষ করে যারা হাঁপানি বা শ্বাসজনিত সমস্যায় ভুগছেন, তাদের বাইরে না যাওয়া, ঘরের জানালা বন্ধ রাখা এবং প্রয়োজনে নাক-মুখ ভেজা কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
এ ছাড়া বায়ুদূষণের কারণে স্বাস্থ্যগত কোনো উপসর্গ দেখা দিলে বাসিন্দাদের ২৪ ঘণ্টার হেল্পলাইন ১৮০০ ০২২ ২২২-এ যোগাযোগ করতে কিংবা চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। এমনকি জরুরি প্রয়োজনে অ্যাম্বুলেন্সের জন্য ০০০ নম্বরে ফোন করতে বলা হয়েছে।
নিউ সাউথ ওয়েলস রুরাল ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে, খরার কারণে সৃষ্ট ধুলা প্রবল ঝড়ো হাওয়ায় রূপ নিয়ে সিডনি ও আশপাশের অঞ্চলগুলোতে ছড়িয়ে পড়ায় এমন বিপর্যয়কর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।
সকাল ৮টার দিকে শহরের বাতাসের মান চরমে পৌঁছালেও ঘণ্টা দুয়েকের মধ্যে অবশ্য তা কিছুটা কমে আসে বলে খবরে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: দুপুর পড়তেই ঢাকার বাতাসের মানে লক্ষণীয় উন্নতি
ও হ্যাঁ, আজ সকালে অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে যখন বায়ুদূষণে নগরবাসী নাকাল, তখন প্রায় ১০ হাজার কিলোমিটার দূরে কেমন আছে আমাদের ঢাকা, তা তো বলা হলো না!
আজ সকাল ৯টায় রাজধানী ঢাকার একিউআই স্কোর ছিল ৬০, আইকিউএয়ারের মতে বাতাসের মান ‘ভালো’ থেকে ১০ দূরে; অর্থাৎ ‘মাঝারি’ হলেও তা মন্দ নয়। আর দূষিত শহরের তালিকায় অবস্থান? ৪২তম।
২০৮ দিন আগে
সিডনির গ্লোবাল সোর্সিং এক্সপোতে দেশের ২২ প্রতিষ্ঠান
অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে তিন দিনব্যাপী ‘গ্লোবাল সোর্সিং এক্সপো সিডনি ২০২৩’ নামে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য প্রদর্শনী শুরু হয়েছে। এতে ক্যানবেরাস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশনের উদ্যোগে ২২টি বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছে।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর অর্থায়নে তৈরি পোশাক সামগ্রী প্রদর্শন করছে আটটি পোশাক উৎপাদক ও সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান। এ ছাড়া প্রদর্শনীতে অংশ নিয়েছে তৈরি পোশাক, পাটজাতদ্রব্য ও গৃহসজ্জাসহ ১৪টি অন্যান্য প্রতিষ্ঠান ।
মঙ্গলবার সিডনির গ্লোবাল সোর্সিং এক্সপোতে বাংলাদেশি রপ্তানি পণ্যসামগ্রীর প্রদর্শনী কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন অস্ট্রেলিয়ায় বাংলাদেশের হাইকমিশনার এম আল্লামা সিদ্দিকী ও আয়োজক প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী মেরি কিন্সেলা।
এ সময় সিডনিতে বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল এবং কমার্শিয়াল কাউন্সেলরসহ হাইকমিশনের অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: 'অনারিং দ্য এক্সপোর্টারস ২০২২' সম্মাননা পেলেন মোটেক্স ফ্যাশনের সিইও মাসুদ কবির
১৩ জুলাই পর্যন্ত এ বাণিজ্য প্রদর্শনী সিডনির আন্তজার্তিক কনভেনশন সেন্টারে চলবে বলে জানা গেছে।
এ প্রদর্শনীতে বিশ্বের ২৯টি দেশের প্রায় ৩৫০ উৎপাদক ও সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছে। অস্ট্রেলিয়ার সিডনি ও মেলবোর্নে এ ধরনের আন্তর্জাতিক বাণিজ্য প্রদর্শনী বছরে দু’বার অনুষ্ঠিত হয়। আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে এ আয়োজন পণ্য প্রদর্শনী, নতুন বাজার অনুসন্ধান ও পারস্পরিক যোগাযোগ স্থাপনে আমদানি ও রপ্তানিকারক এবং উৎপাদক ও সরবরাহকারীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ প্লাটফর্ম হিসেবে কাজ করে।
অস্ট্রেলিয়ায় বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্যসামগ্রীর প্রায় শতকরা ৯৩ ভাগই তৈরি পোশাক সামগ্রী। বর্তমানে বাংলাদেশ অস্ট্রেলিয়ার ৩২তম বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশীদার।
আরও পড়ুন: ঢাকায় ৩ দিনব্যাপি রোসা দ্বিতীয় কিচেন, বাথ অ্যান্ড লিভিং এক্সপো বাংলাদেশ-২০২৩ শুরু
৮৯৪ দিন আগে
টি-২০ বিশ্বকাপ ২০২২: রুশোর সেঞ্চুরিতে দ. আফ্রিকার বিশাল সংগ্রহ
সিডনিতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভের ম্যাচে বৃহস্পতিবার বাংলাদেশকে ২০৬ রানের লক্ষ্য দিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা।
টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ওভারের শেষ বলে অধিনায়ক টেম্বা ভাবুমাকে হারালেও রাইলি রুশোর সেঞ্চুরিতে ২০ ওভারে পাঁচ উইকেটে ২০৫ রানের বিশাল স্কোর করে তারা।
রুশো সাত চার ও আট ছয়ে ৫৪ বলে ১০৭ রানের চমৎকার ইনিংস খেলেন। এছাড়া ওপনোর কুইন্টন ডি কক সাত চার ও তিন ছয়ে ৩৮ বলে ৬৩ রান করেন।
বাংলাদেশের পক্ষে সাকিব দুটি, তাসকিন, আফিফ ও হাসান মাহমুদ একটি করে উইকেট শিকার করেন।
১১৫১ দিন আগে
টি-২০ বিশ্বকাপ ২০২২: অজিদের ৮৯ রানে হারাল কিউইরা
আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভের প্রথম ম্যাচে সিডনিতে শনিবার স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়াকে ৮৯ রানে হারিয়েছে নিউজিল্যান্ড।
টস জিতে অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ নিউজিল্যান্ডকে প্রথমে ব্যাট করতে পাঠায়। কনওয়ে এবং ফিন অ্যালেনের চমৎকার ওপেনিং জুটি ৪.১ ওভারে ৫৬ রান তুলে পেলে।
অ্যালেন ১৬ বলে ৪২ করে ফিরে গেলেও কনওয়ে সাত চার ও দুই ছয়ে ৫৮ বলে ৯২ রানে অপরাজিত ছিলেন।
শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে তিন উইকেটে ২০৩ রান করেছে নিউজিল্যান্ড।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ওয়ার্নারকে হারায় স্বাগতিকরা। এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারায় অস্ট্রেলিয়া। তাদের পক্ষে সর্বোচ্চ ২৮ রান করেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। শেষ পর্যন্ত ১৭. ১ ওভারে ১১১ রান গুটিয়ে যায় বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা।
পড়ুন: টি-২০ বিশ্বকাপ ২০২২: উন্ডিজকে বিদায় করে সুপার টুয়েলভে আইরিশরা
১১৫৫ দিন আগে
সিডনিতে বন্যা: ৫০ হাজার মানুষকে নিরাপদ স্থানে যাওয়ার নির্দেশ
বন্যায় অস্ট্রেলিয়ার বৃহত্তম শহর সিডনি এবং তার আশেপাশে শত শত বাড়ি প্লাবিত হয়েছে।
মঙ্গলবার কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বন্যার কারণে প্রায় ৫০ হাজার মানুষের সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে।
সিডনির স্টেট ইমার্জেন্সি সার্ভিস ম্যানেজার অ্যাশলে সুলিভান বলেছেন, জরুরি প্রতিক্রিয়া দলগুলো সিডনির বিভিন্ন এলাকার রাস্তা, বাড়ি ও গাড়িতে আটকে থাকা ১০০ জনকে উদ্ধার করেছে।
আরও পড়ুন: ভারতের মণিপুরে ভূমিধসে নিহত বেড়ে ৪৭
১৬ মাসের মধ্যে এ এলাকায় এটি চতুর্থ বন্যা, যা অঞ্চলটিতে জরুরি অবস্থার সৃষ্টি করেছে।
নিউ সাউথ ওয়েলসের প্রিমিয়ার ডমিনিক পেরোটেট বলেছেন, ৫০ হাজার মানুষকে নিরাপদে বাড়ি ছাড়ার প্রস্তুতি নেয়ার আদেশ এবং সতর্কতা দেয়া হয়েছে।
পেরোটেট আরও বলেন, দয়া করে সতর্ক থাকুন। আমাদের রাজ্য জুড়ে আকস্মিক বন্যার জন্য এখনও যথেষ্ট ঝুঁকি রয়েছে।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রে স্বাধীনতা দিবসের প্যারেডে হামলা, নিহত ৬
১২৬৫ দিন আগে
২০২১ সালে বিশ্বের সবচেয়ে দূষণমুক্ত ১০ শহর
যে কণাগুলো বাতাসে ভেসে বায়ু দূষণ করে, সেগুলো এতটাই ক্ষুদ্র থাকে যে খালি চোখে দেখা সম্ভব নয়। এই কণাগুলোর নাম পার্টিকুলেট ম্যাটার(পিএম)। এর একটি ক্যাটাগরি পিএম২.৫ এমন একটি কণা, যার ব্যাস ২.৫ মাইক্রোমিটারের কম, অর্থাৎ মানুষের চুলের চেয়ে ১০০ গুণের বেশি পাতলা। আইকিউএয়ার বিশ্বব্যাপী এই পিএম২.৫ দ্বারা দূষিত বায়ুর শহরগুলোর র্যাঙ্কিং নিয়মিত সরাসরি আপডেট করে। সেই লাইভ থেকে ২০২১ এর ৬ ডিসেম্বর দুপুর দেড়টার আপডেট অনুযায়ী বিশ্বের সবচেয়ে দূষণমুক্ত দশটি শহরের বিস্তারিত নিয়ে আজকের ফিচার।
২০২১ সালে বিশ্বের সবচেয়ে দূষণমুক্ত ১০ টি শহর
১। সল্টলেক সিটি, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
২। ডেনভার, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
৩। সিডনি, অস্ট্রেলিয়া
৪। নাগোয়া, জাপান
৫। মেলবোর্ন, অস্ট্রেলিয়া
৬। অসলো, নরওয়ে
৭। লিয়ন, ফ্রান্স
৮। ভ্যানকুভার, কানাডা
৯। ক্যানবেরা, অস্ট্রেলিয়া
১০ হেলসিঙ্কি, ফিনল্যান্ড
দেশগুলোর বাতাসের গুণাগুণ সূচক নির্ণয় পদ্ধতি
শহরের বাতাসে বায়ু দূষণকারী পদার্থের ঘনত্বের উপর ভিত্তি করে বাতাসের গুণাগুণ সূচক বা একিউআই নির্ণয় করা হয়ে থাকে।
সূচকটি বাতাসের প্রতি ঘন মিটারে থাকা বায়ু দূষণকারী পদার্থের সংখ্যা নির্দেশ করে। এখানে সূচকের নির্ধারক হিসাবে পিএম২.৫ পরিমাপ ব্যবহার করে একিউআই নিরীক্ষণ করা হয়। কারণ এই পদ্ধতিটি ব্যাপকভাবে স্বীকৃত এবং পিএম২.৫ মানবদেহের জন্য সবচেয়ে বিপজ্জনক বায়ু দূষণকারী পদার্থ। বাতাসের গুণগত মানকে ছয়টি আলাদা বিভাগে ভাগ করা হয়, যেখানে সেই সূচক এবং বায়ু দূষণকারী পিএম২.৫ এর ঘনত্বের সীমা নির্দেশ করা থাকে। এক কথায় কোন শহরের ক্ষেত্রে এই সূচক ও পিএম২.৫ এর ঘনত্ব যত বাড়বে, সেই শহর তত বেশি দূষিত বলে বিবেচিত হবে।
শূন্য থেকে ৫০০ পর্যন্ত বায়ুর গুণাগুণ সূচককে ছয়টি বিভাগে আলাদা সীমায় ভাগ করা হয়েছে। এর মধ্যে শূন্য থেকে ৫০ এর সীমা সবচেয়ে ভাল সূচক নির্দেশ করে। সূচকের মান ৩০০ ছাড়ালে বাতাসের অবস্থা সবচেয়ে বিপজ্জনক বিবেচনা করা হয়।
আরও পড়ুন: বায়ুদূষণ: ঢাকার বাতাসের মান ‘অস্বাস্থ্যকর’
পিএম২.৫ প্রতি ঘনমিটারে মাইক্রোগ্রাম দ্বারা পরিমাপ করা হয় (মাইক্রোগ্রাম/মিটার৩)। ইউএস-এর পরিবেশ রক্ষা এজেন্সি ন্যাশনাল অ্যাম্বিয়েন্ট এয়ার কোয়ালিটি স্ট্যান্ডার্ড অনুযায়ী, ১২.০ মাইক্রোগ্রাম/মিটার৩ এর বেশি যে কোনো ঘনত্বের পিএম ২.৫ মানবদেহের জন্য বিপজ্জনক।
এছাড়া বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) অনুসারে, পিএম২.৫ এর মাত্রা ৫ মাইক্রোগ্রাম/মিটার৩ এর বেশি হওয়া উচিত নয়। বছরে তিন চার দিনের বেশি সময়ের ক্ষেত্রে গড় ঘনত্ব ১৫ মাইক্রোগ্রাম/মিটার৩ এর বেশি হওয়া উচিত নয়।
শীর্ষস্থানীয় দূষণমুক্ত দেশগুলোতে বাতাসের গুণাগুণ
উপরোল্লিখিত দূষণমুক্ত দেশের সবগুলোরই পিএম২.৫ ঘনত্ব ১২-এর কম এবং একিউআই পঞ্চাশের নিচে। দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি পিএম২.৫ ঘনত্বের শহর জাপানের নাগোয়া, যার বাতাসে পিএম২.৫ এর ঘনত্ব ১০ মাইক্রোগ্রাম/মিটার৩। আর ইউএসএ’র সল্টলেক সিটিতে পিএম২.৫ এর ঘনত্ব সবচেয়ে কম; ০.৪ মাইক্রোগ্রাম/মিটার৩।
একিউআইয়ের দিক থেকে সর্বোচ্চ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ডেনভার ও জাপানের নাগোয়া; ৪১। আর একিউআই ২ নিয়ে শীর্ষস্থানীয় দূষণমুক্ত অবস্থানে আছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সল্টলেক সিটি।
একিউআই অনুযায়ী বায়ু দূষণ সূচকে ঢাকার অবস্থান
বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার বায়ু গুণাগুণ সূচক ৫৯ এবং বাতাসে পিএম২.৫ এর ঘনত্ব ১৫.৯ মাইক্রোগ্রাম/মিটার৩। অর্থাৎ এখন ঢাকার বায়ূ দূষণ সহনীয় পর্যায়ে আছে। বিগত তিন দিন একিউআইয়ের অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের তালিকায় ছিলো ঢাকা। এমনকি আগামী দিনগুলোর আবহাওয়া যাচাই করে অবস্থার আরও অবনতির পরিসংখ্যান দেখিয়েছে আইকিউএয়ার। এছাড়া গত ২১ থেকে ২৩ নভেম্বর যথাক্রমে ২০৪, ২৪৭ ও ২৪৮ একিউআই সূচক নিয়ে অত্যন্ত অস্বাস্থ্যকর ক্যাটাগরিতে ছিলো।
আরও পড়ুন: বিশ্বের সবচেয়ে সস্তা ১০ শহর
পরিশিষ্ট
শ্বাস নেবার সময় মানুষ সাধারণত প্রতিদিন প্রায় তিন হাজার গ্যালন বাতাস গ্রহণ করে। তাই যখন বায়ু দূষণের কথা আসে, তখন সবাই অসহায় হয়ে যায়। বায়ু দূষণের জন্য বিশ্ব জুড়ে প্রতি বছর মারা যাচ্ছে ৪২ লক্ষ মানুষ। পিএম২.৫ শ্বাসনালীর মাধ্যমে ফুসফুসের গভীরে এমনকি রক্তে প্রবেশ করে স্বাস্থ্যের মারাত্মক ক্ষতি করে। এই কণাগুলি বায়ুমণ্ডলে সঞ্চালিত জ্বালানী পোড়ানো, রাসায়নিক বিক্রিয়ার ফলে গঠিত হয় যার সবগুলোই মানুষ সৃষ্ট কারণ। এই পিএম২.৫ কে কেন্দ্র করেই নিত্যদিন সর্বশেষ বায়ু দূষণ অবস্থার আপডেট জানিয়ে বছর শেষে বিশ্ব জুড়ে দুষিত শহরগুলোর চূড়ান্ত একটি তালিকা প্রকাশ করে আইকিউএয়ার। ২০২০ এর সবচেয়ে দূষণমুক্ত শহর ছিলো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়াইয়ান শহর ওয়েইমিয়া।
১৪৭৫ দিন আগে