মুরাদ
ভিকারুননিসার শিক্ষক মুরাদের ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর
ছাত্রীকে যৌন নিপীড়নের মামলায় রাজধানীর ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের আজিমপুর শাখার জ্যেষ্ঠ শিক্ষক মুরাদ হোসেন সরকারের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) আদালত তার রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
আসামিপক্ষের আইনজীবী শফিকুল ইসলাম দীপু ও আরও কয়েকজন তার রিমান্ড আবেদন বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদনের উপর শুনানি করেন।
শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষ বলেন, বাবা-মার পরই শিক্ষকের অবস্থান। পরিবারে বাবা-মা আর সামাজিক জীবনে শিক্ষকই হলেন বাবা-মা। তারা যদি এই রকম কাজ করেন তাহলে তাকে কী বলা যায়? তিনি শিক্ষক নামের কলঙ্ক। রক্ষক এ ক্ষেত্রে ভক্ষকের ভূমিকায় নেমেছে।
আরও পড়ুন: যৌন হয়রানির অভিযোগে ভিকারুননিসার গণিত শিক্ষক মুরাদ গ্রেপ্তার
অন্যদিকে আসামিপক্ষ থেকে বলা হয়, মুরাদ হোসেন শিক্ষক হিসেবে পুরস্কারপ্রাপ্ত। আজীবন মেধাবী ছাত্র ছিলেন। তিন ওই স্কুলের শিক্ষক রাজনীতির নোংরা শিকার মাত্র।
ঘটনার দিন অভিযোগকারী মেয়ের মা স্কুলের বাইরে প্রবেশপথে অবস্থান করছিলেন, কখন এ ঘটনা ঘটল- এমন প্রশ্ন তুলে আসামিপক্ষ বলে কথিত ঘটনার তদন্ত হয়েছে। সেখানে অভিযোগের সত্যতা মেলেনি। গত ২২ তারিখে তিন সদস্যের কমিটি লিখিত প্রতিবেদন দেয় যেখানে মুরাদকে নির্দোষ বলা হয়।
শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জাকী-আল-ফারাবী তার দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এদিকে সোমবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে রাজধানীর কলাবাগানের বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এছাড়া সোমবার রাতে ভিকারুননিসা স্কুলের গভর্নিং বডির জরুরি সভায় শিক্ষক মুরাদ হোসেন সরকারকে সাময়িক বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: মুরাদনগরে ২ যুবককে পিটিয়ে হত্যা: ৪ দিনেও হয়নি মামলা
চট্টগ্রামের মুরাদপুরে বস্তিতে আগুন
৯ মাস আগে
না’গঞ্জ আদালতে মুরাদের বিরুদ্ধে মামলা
সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানের বিরুদ্ধে মানহানি মামলার আবেদন গ্রহণ করেছেন নারায়ণগঞ্জ আদালত। একই সঙ্গে মামলায় অপর আসামি করা হয়েছে উপস্থাপক মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ওরফে নাহিদ হেলালকে।
রবিবার নারায়ণগঞ্জের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম ইমরান মোল্লা আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) পুলিশকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
এর আগে গত ২৩ ডিসেম্বর নারায়ণগঞ্জ বিচারিক হাকিম শামসুর রহমানের আদালতে মামলার এ আবেদন করেছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সাংগঠনিক সম্পাদক একেএম ওমর ফারুক।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে ডা. মুরাদের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন খারিজ
এ বিষয়ে মামলার বাদী একেএম ওমর ফারুক বলেন, ‘মুরাদ হাসান সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার পরিবারের সদস্য জাইমা রহমানের নামে কুরুচিপূর্ণ ও অশালীন মন্তব্য করেছেন। জাইমা রহমান সম্ভ্রান্ত পরিবারের একজন সদস্য। তাকে নিয়ে মিথ্যা, বানোয়াট ও অশালীন মন্তব্য করেছেন। তিনি আরও বলেন, মিথ্যা, বানোয়াট ও অশালীন মন্তব্যে জিয়া পরিবারের সম্মান ক্ষুন্ন হয়েছে। এজন্য মুরাদ হাসানসহ উপস্থাপক মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ওরফে নাহিদ হেলালকে আসামি করে মামলার আবেদন করেছিলাম। আদালত মামলাটি গ্রহণ করে ডিবিকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁওয়ে মুরাদসহ ২ জনের বিরুদ্ধে মামলা
চাঁদপুরেও ডা. মুরাদের বিরুদ্ধে মামলা
২ বছর আগে
মুরাদের বিরুদ্ধে স্ত্রীর মামলা: তদন্তের নির্দেশ আদালতের
সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানের বিরুদ্ধে তার স্ত্রী ডা. জাহানারা এহসানের করা সাধারণ ডায়েরির (জিডি) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
রবিবার ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মামুনুর রশিদ এ আদেশ দেন।
আদালতের সংশ্লিষ্ট থানার সাধারণ নিবন্ধন শাখার (নন-জিআরও) কর্মকর্তা ফুয়াদ উদ্দিন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গত শনিবার ওই জিডি’র তদন্তের অনুমতির জন্য আদালতে পাঠান তদন্ত কর্মকর্তা এসআই রাজিব হাসান।
প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার জাতীয় জরুরি সেবা ‘৯৯৯’ নম্বরে ফোন করে পুলিশের সহায়তা চান ডা. মুরাদের স্ত্রী জাহানারা এহসান। পরে ধানমন্ডি থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর আগেই মুরাদ হাসান বাসা থেকে বেরিয়ে যান। সেদিন বিকালে স্বামীর বিরুদ্ধে একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন জাহানারা এহসান।
আরও পড়ুন: ডা. মুরাদ ও তার স্ত্রীর আগ্নেয়াস্ত্র জমা নিল পুলিশ
নির্যাতনের অভিযোগে মুরাদের বিরুদ্ধে স্ত্রীর জিডি
২ বছর আগে
ডা. মুরাদ ও তার স্ত্রীর আগ্নেয়াস্ত্র জমা নিল পুলিশ
সাবেক তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান ও তার স্ত্রী ডা. জাহানারা এহসান তাদের লাইসেন্স করা তিনটি আগ্নেয়াস্ত্র ধানমন্ডি থানায় জমা দিয়েছেন।
রবিবার ধানমন্ডি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকরাম আলী মিয়া ইউএনবিকে জানান, ডা. মুরাদের বিরুদ্ধে ডা. জাহানারার সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করার একদিন পর শনিবার রাতে ওই দম্পতি থানায় আগ্নেয়াস্ত্র হস্তান্তর করেন।
ওসি বলেন, তিনটি আগ্নেয়াস্ত্রের মধ্যে একটি শটগান ও একটি পিস্তল ডা. মুরাদ হাসানের এবং আরেকটি শুটারগান তার স্ত্রীর।
এক প্রশ্নের জবাবে ইকরাম বলেন, জিডি করার পর তারা দুজন স্বেচ্ছায় থানায় অস্ত্র জমা দিয়েছেন।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ডা. জাহানারা তার স্বামী সাবেক প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানের বিরুদ্ধে নির্যাতন ও প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগে ধানমন্ডি থানায় জিডি করেন।
আরও পড়ুন: নির্যাতনের অভিযোগে মুরাদের বিরুদ্ধে স্ত্রীর জিডি
তিনি তার স্বামীর অত্যাচার থেকে বাঁচতে পুলিশের সহযোগিতা চেয়ে জাতীয় জরুরি পরিষেবা ৯৯৯ নম্বরে ফোন করেছিলেন।
পুলিশ তার বাসায় যাওয়ার পর ডা. জাহানারা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে জানায়, তার স্বামী তাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করেছে, এমনকি তাকে হত্যার হুমকিও দিয়েছেন।
উল্লেখ্য, নারীদের প্রতি অশোভন ও অশালীন মন্তব্যের জন্য গত ৭ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করেন ডা. মুরাদ হাসান।
মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগের পর, ডা. মুরাদ দেশে ব্যাপক সমালোচনার হাত থেকে বাঁচতে দেশ ত্যাগের চেষ্টা করেন। কিন্তু কানাডা ও সংযুক্ত আরব আমিরাতে প্রবেশে ব্যর্থ হওয়ায় তাকে দেশে ফিরে আসতে হয়।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে ডা. মুরাদের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন খারিজ
মুরাদের বিরুদ্ধে বরগুনায় মামলা: পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ
২ বছর আগে
নির্যাতনের অভিযোগে মুরাদের বিরুদ্ধে স্ত্রীর জিডি
নির্যাতন ও প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগ তুলে বৃহস্পতিবার সাবেক তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানের বিরুদ্ধে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন তার স্ত্রী ডা. জাহানারা এহসান।
সন্ধ্যায় তিনি জিডি করেন বলে ধানমন্ডি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকরাম আলী মিয়া জানিয়েছেন।
তিনি জানান, স্বামীর নির্যাতন থেকে বাঁচতে পুলিশের সহযোগিতা চেয়ে বিকালে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে ফোন করেন ডা. জাহানারা।
ওসি জানান, বিকাল ৩টার দিকে ধানমন্ডি পুলিশের একটি দল মুরাদের ধানমন্ডির বাসায় গিয়ে তার সঙ্গে কথা বলে।
তিনি বলেন, জাহানারা অভিযোগ করেছেন তার স্বামী তাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করেছে। এমনকি তাকে হত্যার হুমকি দিয়েছে বলেও তিনি পুলিশকে জানান।
ওসি বলেন, পুলিশ তাকে থানায় আনুষ্ঠানিক অভিযোগের পরামর্শ দিলে তিনি পরে জিডি করেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা এখন অভিযোগটি তদন্ত করছি এবং এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেব।’
নারীদের প্রতি অশোভন ও অশালীন মন্তব্যের জন্য গত ৭ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করেন মুরাদ হাসান।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মেয়ে জাইমা রহমান সম্পর্কে তার আপত্তিকর মন্তব্যের জন্য ৪৭ বছর বয়সী এই রাজনীতিবিদ নেটিজেনদের ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েন।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি তারেক রহমানের মেয়েকে ‘বেশ্যা’ মন্তব্য করে বলেন, জাইমা রহমান প্রতি রাতে একজন কালো মানুষের সঙ্গ ছাড়া ঘুমাতে পারেন না।
আরও পড়ুন: মাত্র এক সপ্তাহে যেভাবে বদলে গেলো মুরাদের জীবন!
জাইমার বিরুদ্ধে তার অশালীন মন্তব্য নিয়ে হৈচৈয়ের মধ্যে অভিনেতা মামনুন হাসান ইমন এবং অভিনেত্রী মাহিয়া মাহির সঙ্গে মুরাদের দুই বছর আগের একটি ফোনালাপ সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। সেই অডিও ক্লিপে, মুরাদ অভিনেত্রীকে ‘ আপত্তিজনক মন্তব্য’ করেন এবং তাকে বিভিন্ন ধরনের হুমকি দেন।
এছাড়া মুরাদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নারী ছাত্রনেত্রীদের বিরুদ্ধেও অশালীন মন্তব্য করেন।
মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগের পর দেশে ব্যাপক সমালোচনার মধ্যে মুরাদ মরিয়া হয়ে দেশ ত্যাগ করার চেষ্টা করেন। কিন্তু কানাডা ও সংযুক্ত আরব আমিরাতে ঢুকতে ব্যর্থ হয়ে তিনি শেষ পর্যন্ত দেশে ফিরে আসেন।
দলের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করা এবং দলীয় শৃঙ্খলাবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদকের পদ থেকেও মুরাদকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।
জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগ নেতা মতিয়ার রহমান তালুকদারের ছেলে মুরাদ ২০০৮ সালের নবম সংসদ নির্বাচনে জামালপুর-৪ আসন থেকে আওয়ামী লীগের টিকিটে প্রথমবারের মতো এমপি নির্বাচিত হন।
২০১৮ সালে তিনি আবার এমপি নির্বাচিত হওয়ায়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে ২০১৯ সালে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী হিসেবে প্রথমে মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভুক্ত করেন। পরে তাকে তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী করা হয়।
আরও পড়ুন: কানাডা ও আমিরাতে ঢুকতে না পেরে দেশে ফিরলেন মুরাদ
কানাডার পর দুবাইয়ে প্রবেশেও বাধা, আজ দেশে ফিরতে পারেন মুরাদ
২ বছর আগে
মুরাদের বিরুদ্ধে বরগুনায় মামলা: পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ
সাবেক তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানের বিরুদ্ধে বরগুনায় মামলা করা হয়েছে। বুধবার সকালে বরগুনার মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতে মামলাটি করেন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের বরগুনা শাখার সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট জামাল হোসেন।
মামলায় অনুষ্ঠানটির উপস্থাপক মুহাম্মদ মহিউদ্দিন হেলাল নাহিদকেও অভিযুক্ত করা হয়েছে।
পরে মামলাটি আমলে নিয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক মুহাম্মদ মাহবুব আলম।
মামলায় জেলা বিএনপির সভাপতি মো. নজরুল ইসলাম মোল্লা, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মো. আব্দুল হালিম, জেলা যুবদলের সভাপতি জাহিদ মোল্লা এবং সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম জুয়েলসহ ১৩ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে সাবেক প্রতিমন্ত্রী মুরাদসহ ২ জনের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন
মামলায় জিয়াউর রহমানের নাতনী ব্যারিস্টার জাইমা রহমান সম্পর্কে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অত্যন্ত কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য এবং নারীর জন্য মর্যাদাহানিকর ভাষা ব্যবহারের অভিযোগ আনা হয়েছে।
এ বিষয়ে মামলার বাদী জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের বরগুনা শাখার সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট জামাল হোসেন বলেন, জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কন্যা ব্যারিস্টার জাইমা রহমানকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য এবং নারীর প্রতি মর্যাদাহানিকর ভাষা ব্যবহার করেছেন সাবেক তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান এবং উপস্থাপক মুহাম্মদ মহিউদ্দিন হেলাল নাহিদ। একজন আইনজীবী হিসাবে এটা আমি কোনোভাবেই মেনে নিতে পারিনি। তাই ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা যাতে না ঘটে, তাই নৈতিক দায়িত্ব থেকে আমি মামলাটি করেছি।
এ বিষয়ে মামলার আইনজীবী অ্যাডভোকেট আবদুল ওয়াসি মতিন বলেন, মামলাটি গ্রহণ করে আদালত পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। আশাকরি তদন্তের পর আইনানুগভাবে এ মামলায় আমরা ন্যায় বিচার পাবো।
আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁওয়ে মুরাদসহ ২ জনের বিরুদ্ধে মামলা
চাঁদপুরেও ডা. মুরাদের বিরুদ্ধে মামলা
৩ বছর আগে
সাবেক প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদের বিরুদ্ধে পঞ্চগড়ে মামলা
জিয়া পরিবার ও তারেক রহমানের মেয়ে ব্যারিস্টার জাইমা রহমান সর্ম্পকে কুরুচিপূর্ণ, নারী বিদ্বেষী এবং মর্যাদা হানিকর ভাষা ব্যবহার করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারের অভিযোগে সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানের বিরুদ্ধে পঞ্চগড়ে একটি মামলা করা হয়েছে। মামলায় চট্টগ্রামের হালিশহরের মুহাম্মদ মহিউদ্দিন হেলাল নামের একজনকে দুই নম্বর আসামি করা হয়েছে।
রবিবার পঞ্চগড়ের মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতে পঞ্চগড় জেলা জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি ও পঞ্চগড় আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট মির্জা নাজমুল ইসলাম কাজল বাদি হয়ে বাংলাদেশ দণ্ডবিধির ১৫৩ এর ক, ৫০৫ এর ক ও ৫০৯ ধারায় মামলাটি করেন।
আরও পড়ুন: এবার মুরাদের বিরুদ্ধে সুনামগঞ্জে মামলার আবেদন
বিচারক হুমায়ূন কবির সরকার এই মামলার শুনানি করেছেন। আদালতে বাদী তার আবেদনের পক্ষে বক্তব্য দিয়েছেন। এসময় জেলা জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের অর্ধশত আইনজীবী শুনানিতে উপস্থিত ছিলেন।
মামলার বাদী পঞ্চগড় জেলা জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি ও পঞ্চগড় আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট মির্জা নাজমুল ইসলাম কাজল বলেন, আদালতে বাদী হিসেবে মামলার পক্ষে জবানবন্দি দিয়েছি। আদালত জবানবন্দি রেকর্ড করেছে। মামলার পক্ষে অর্ধশত আইনজীবী আদালতে উপস্থিত ছিলেন। মামলার সাক্ষী আছে, এছাড়া এ সংক্রান্ত ভিডিও ও স্থির চিত্র আদালতে পেশ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সিলেটে মুরাদের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন খারিজ
এবার বরিশালে মুরাদের বিরুদ্ধে মামলা
৩ বছর আগে
এবার মুরাদের বিরুদ্ধে সুনামগঞ্জে মামলার আবেদন
বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার নাতনি জাইমা রহমানের সম্পর্কে আপত্তিকর মন্তব্যের অভিযোগে সাবেক তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসানের বিরুদ্ধে এবার সুনামগঞ্জে মামলার আবেদন করা হয়েছে। একই সঙ্গে মামলায় ভার্চুয়াল টকশোর সঞ্চালক মহিউদ্দিন হেলাল নাহিদকে আসামি করা হয়।
আরও পড়ুন: এবার বরিশালে মুরাদের বিরুদ্ধে মামলা
রবিবার দুপুরে সুনামগঞ্জ জেলা জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মো.আব্দুল হক বাদী হয়ে সুনামগঞ্জ মুখ্য বিচারিক হাকিম মুহাম্মদ আবদুর রহিমের আদালতে মামলাটি নেয়ার আবেদন করেন।
মামলার বাদী জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুল হক বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপার্সনের নাতনি এবং দেশের সম্ভ্রান্ত রাজনৈতিক পরিবারের সদস্য ব্যারিস্টার জাইমা রহমানকে নিয়ে একজন মন্ত্রী যেভাবে কুরুচিপূর্ণ ও অশালীন ভাষায় কথা বলেছেন সেটা বাংলাদেশের একজন নাগরিক হিসেবে কোনভাবেই কাম্য নয়। এ বক্তব্যে শুধু জাইমা রহমান নয়,দেশের পুরো নারী জাতিকে অসম্মান করা হয়েছে। আমরা এ ঘটনায় বিচার চেয়ে আদালতে মামলা দায়ের করেছি,আদালত সঠিক বিচারের ব্যবস্থা নিবেন।
আরও পড়ুন: মুরাদের বিরুদ্ধে সিলেটে মামলা, শুনানি ১৫ ডিসেম্বর
৩ বছর আগে
মুরাদের বিরুদ্ধে এবার চট্টগ্রামে মামলার আবেদন
বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার নাতনি জাইমা রহমানের বিরুদ্ধে অশ্লীল ও কুরুচিপূর্ণ মন্তব্যের অভিযোগে চট্টগ্রামের আদালতে সাবেক তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান ও ইউটিউবার মহিউদ্দিন হেলাল নাহিদের (নাহিদ রেইন্স) বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলার আবেদন করা হয়েছে।
রবিবার দুপুরে চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাইবার ক্রাইম ট্রাইব্যুনালের বিচারক জেলা জজ এস. কে. এম. তোফায়েল হাসানের আদালতে এ মামলার আবেদন করেন বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের সংগঠন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের চট্টগ্রাম ইউনিটের সভাপতি ও চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট এ এস এম বদরুল আনোয়ার।
এ বিষয়ে পরে শুনানি করবেন বলে জানিয়েছেন আদালত। চট্টগ্রাম আদালতের সাবেক পিপি ও আইনজীবী মোহাম্মদ এনামুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২৫, ২৯, ৩১ ও ৩৫ ধারায় তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়। অভিযোগে বলা হয়, ‘জাইমা রহমান ও জিয়া পরিবারের বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যমূলকভাবে ১ ডিসেম্বর মুরাদ ও নাহিদ ডিজিটাল মাধ্যম ব্যবহার করে সামাজিক ও ব্যক্তিগতভাবে অপমান, অপদস্ত ও হেয় প্রতিপন্ন করার অভিপ্রায়ে অত্যন্ত কুরুচিপূর্ণ ও অশ্লীল এবং নারীবিদ্বেষী ভিডিওটি প্রকাশ ও প্রচার করেছেন।’
‘যা সার্বিকভাবে জিয়া পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সমগ্র নারী সমাজের জন্য মানহানিকর এবং অপমানজনক।’
এর আগে একই অভিযোগে মুরাদের বিরুদ্ধে ঢাকায় মামলার আবেদন এবং সিলেটে মামলা করা হয়।
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত এক সাক্ষাৎকারে মুরাদ হাসান বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে ‘জারজ’ আখ্যা দেন এবং তারেকের মেয়ে জাইমা রহমান প্রতি রাতে একজন কালো মানুষের সঙ্গে ছাড়া ঘুমাতে পারেন না বলে অভিযোগ করেন। তার অশালীন মন্তব্য সম্বলিত বেশ কয়েকটি অডিও এবং ভিডিও গত কয়েকদিন ধরে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে।
এছাড়া অভিনেতা ইমন ও অভিনেত্রী মাহিয়া মাহির সঙ্গে তার দুই বছর আগের একটি ফোনালাপ সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। সেই অডিও ক্লিপে তিনি অভিনেত্রীকে ‘অপমানজনক মন্তব্য’, হুমকি এবং অশালীন প্রস্তাব দিয়েছিলেন।
সোমবার সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সম্প্রতি অবমাননাকর মন্তব্যের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুরাদ হাসানকে মঙ্গলবারের মধ্যে মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করতে বলেছেন।
পরে ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে মঙ্গলবার পদত্যাগপত্র জমা দেন তিনি।
আরও পড়ুন: মুরাদের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন
কানাডার পর দুবাইয়ে প্রবেশেও বাধা, আজ দেশে ফিরতে পারেন মুরাদ
৩ বছর আগে
মুরাদকে জেলা আ’লীগ থেকে অব্যাহতি
তথ্য প্রতিমন্ত্রীর পদ হারানোর পর এবার ডা.মুরাদ হাসানকে জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক পদ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। জেলা আওয়ামী লীগের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তাকে অব্যাহতি দেয়ার কথা জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: মুরাদের সাম্প্রতিক কিছু বক্তব্যে দল ও সরকার বিব্রতকর অবস্থায় পড়েছে: তথ্যমন্ত্রী
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মঙ্গলবার বিকাল ৪টায় জেলা আওয়ামী লীগের এক জরুরি সভায় সর্ব সম্মত সিদ্ধান্ত মোতাবেক আওয়ামী লীগের জামালপুর শাখার স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ও জামালপুর ৪ আসন থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য ডা. মুরাদ হাসানকে দলীয় ভাবমূর্তি বিনষ্ট, অগঠনতান্ত্রিক ও শৃঙ্খলা পরিপন্থী কর্মকান্ডে সম্পৃক্ততার অভিযোগে গঠনতন্ত্রে ৪৭ (৯) ধারা মোতাবেক অব্যাহতি দিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের কাছে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
এর আগে সচিবালয়ে নিজ কার্যালয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘ডা.মুরাদ হাসানকে জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগ থেকে অব্যাহতি দেয়া হবে।’
আরও পড়ুন: নারীদের কাছে ‘ক্ষমা’ চাইলেন মুরাদ
আওয়ামী লীগের প্রাথমিক সদস্যপদ বাতিল হবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এই বিষয়ে আওয়ামী লীগের পরবর্তী কার্যনির্বাহী কমিটিতে সিদ্ধান্ত হবে।’
সংসদ পদ নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া হবে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন,‘সংসদ সদস্য বিষয়ে স্পিকার সিদ্ধান্ত নিতে পারে।’
৩ বছর আগে