রায়
কোটা সংস্কার: রায়ের কার্যকরী অংশ প্রকাশ
চাকরিতে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে (নবম থেকে ১৩তম গ্রেড) মুক্তিযোদ্ধাসহ বিদ্যমান কোটা বাতিল-সংক্রান্ত ২০১৮ সালের পরিপত্র অবৈধ ঘোষণা করে দেওয়া রায়ের মূল অংশ (অপারেটিভ পার্টট) ও নির্দেশনা প্রকাশিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এক পৃষ্ঠার এই সংক্ষিপ্ত রায় প্রকাশ করেছেন।
প্রকাশিত রায়ে উল্লেখ করা হয়েছে, সরকার যদি বিদ্যমান কোটার হার পরিবর্তন করতে, কমাতে অথবা বাড়াতে চায়, তাহলে এই রায় বাধা হবে না। অর্থাৎ সরকার চাইলে কোটা পদ্ধতি সংস্কার করতে পারবে।
তবে আইনজীবীরা বলছেন, যেহেতু আপিল বিভাগ স্থিতাবস্থা বজায় রাখার আদেশ দিয়েছেন, সেজন্য হাইকোর্টের রায় আপাতত কার্যকর করা যাবে না।
কোটা বাতিল করে ২০১৮ সালে জারি করা পরিপত্র অবৈধ ও আইনগত কোনো ভিত্তি নেই উল্লেখ করে এই রায়ে বলা হয়েছে, ২০১২ সালে করা ২৩৫ নম্বর রিটের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্টের দেওয়া রায় ও আদেশ এবং যে রায়টি ২০৬২/২০১৩ নম্বর লিভ টু আপিলের মাধ্যমে সংশোধিত আকারে আপিল বিভাগে বহাল রাখা হয়েছে, সেই রায়ের আলোকে মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তান ও নাতিদের কোটা পুনরায় বহাল করার নির্দেশ দেওয়া হলো এবং একই সঙ্গে জেলা, নারী, প্রতিবন্ধী, উপজাতি, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীসহ অন্যান্য যদি থাকে সেক্ষেত্রে কোটা বহাল রাখার নির্দেশ দেওয়া হলো।
এছাড়া এক্ষেত্রে যত দ্রুত সম্ভব, সেটা আদেশের কপি গ্রহণের সর্বোচ্চ তিন মাসের মধ্যে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে রায়ে। যেভাবেই হোক, যদি উপরোক্ত সব ক্ষেত্রে কোটার হার পরিবর্তন করতে, কমাতে অথবা বৃদ্ধি করতে চায়, তাহলে বিবাদীদের (সরকারের) জন্য এই রায় ও নির্দেশনা বাধা হবে না। যদি কোনো পাবলিক পরীক্ষায় কোটা পূরণ না হয়, সেক্ষেত্রে শূন্য পদ সাধারণ মেধা তালিকা থেকে পূরণ করার ক্ষেত্রে বিবাদীদের স্বাধীনতা থাকবে বলেও বলা হয়েছে।।
রায়ের ব্যাপারে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ সাইফুজ্জামান বলেন, ‘হাইকোর্টের রায়ের মূল অংশটুকু প্রকাশিত হয়েছে, যা হাতে এসেছে। গতকাল আপিল বিভাগ কোটার বিষয়ে স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে আদেশ দিয়েছেন। আগামী ৭ আগস্ট শুনানির দিন রেখেছেন আপিল বিভাগ। ফলে আপাতত হাইকোর্টের রায় কার্যকর হবে না।’আরও পড়ুন: কোটা বাতিলের দাবিতে শিক্ষার্থীরা সীমা লঙ্ঘন করছেন: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
হাইকোর্টে রিট আবেদনকারীদের পক্ষের আইনজীবী মনসুরুল হক চৌধুরী রায়ের বিষয়ে বলেন, রায়ে সব কোটা বজায় রাখতে বলা হয়েছে। তবে প্রয়োজনে সরকার তা কমাতে বা বাড়াতে পারবে। আপিল বিভাগ স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে আদেশ দিয়েছেন। ফলে এ রায় এখনই বাস্তবায়ন করা হচ্ছে না।
সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি বাতিলের দাবিতে গত ১ জুলাই থেকে ঢাকাসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় সড়ক-মহাসড়ক অবরোধ করে আন্দোলন করছেন শিক্ষার্থীরা।
সরকারি চাকরিতে বিভিন্ন কোটায় ৫৬ শতাংশ পদ সংরক্ষিত রাখা কোটা পদ্ধতি ২০১৮ সালে বাতিল করা হয়। ২০২১ সালে মুক্তিযোদ্ধাদের উত্তরাধিকারীরা এই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করলে ২০২৪ সালের ৫ জুন হাইকোর্ট মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলকে অবৈধ ঘোষণা করেন।
পরে সরকার ওই আদেশ স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে আবেদন করে।
আরও পড়ুন: কোটা সংস্কার: পুলিশের হুঁশিয়ারি উপেক্ষা করে ঢাকায় সড়ক অবরোধ
৪ মাস আগে
সাজার রায় শুনে আদালত থেকে পালাল আসামি, পরে গ্রেপ্তার
চট্টগ্রাম আদালত এলাকায় পুলিশের হেফাজত থেকে সাইফুল করিম খান নামে এক দণ্ডিত আসামি পালিয়ে যাওয়ার দুই ঘণ্টার মাথায় গ্রেপ্তার হয়েছে।
রবিবার (২৮ জানুয়ারী) দুপুরে এই ঘটনা ঘটে। সাইফুল করিম নগরীর হালিশহর থানাধীন রামপুর এলাকার বজলুল করিম খানের ছেলে।
আরও পড়ুন: বন্যপ্রাণী পাচার রোধে বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করবে ভারত: পরিবেশমন্ত্রী
জানা গেছে, একটি চেকের মামলায় রবিবার দুপুরে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জুয়েল দেবের আদালত তাকে ছয় মাসের সাজা দেন। রায় ঘোষণার সময় অভিযুক্ত আদালতে উপস্থিত ছিলেন৷ পরে আদালত থেকে কারাগারে নেওয়ার গাড়িতে তোলার সময় আসামি সাইফুল করিম পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে পালিয়ে যান।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) অতিরিক্ত উপকমিশনার (প্রসিকিউশন) নিশান চাকমা বলেন, আসামিকে একটি মামলায় ছয় মাসের সাজা দেওয়া হয়। পরে আদালত প্রাঙ্গণ থেকে ওই আসামি পালিয়ে যান। তবে আড়াই ঘণ্টার মাথায় নগরীর পাহাড়লী সাগরিকা এলাকা থেকে তাকে ফের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
সিএমপির কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস. এম. ওবায়দুল হক বলেন, আদালত থেকে পালিয়েছিল সাইফুল। পালানোর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করেছে।
আরও পড়ুন: তীব্র শীতে পোষা প্রাণীর স্বাস্থ্য সুরক্ষায় করণীয়
কাঁসা, পিতল ও তামার তৈজসপত্র ব্যবহার কতটুকু স্বাস্থ্যসম্মত, বিজ্ঞান কী বলে?
৯ মাস আগে
রায়কে 'সব আইনি নজির ও যুক্তির পরিপন্থী' অভিহিত করলেন ড. ইউনূস
শান্তিতে নোবেল বিজয়ী ও গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস তার বিরুদ্ধে শ্রম আদালতের রায়কে 'সব আইনি দৃষ্টান্ত ও যুক্তির পরিপন্থী' বলে অভিহিত করেছেন।
সোমবার (১ জানুয়ারি) ঢাকার ৩ নম্বর শ্রম আদালত শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় রায় দিয়েছেন।
রায়ে মাইক্রোফাইন্যান্সের অগ্রদূত ও গ্রামীণ টেলিকমের তিন শীর্ষ কর্মকর্তাকে ছয় মাসের কারাদণ্ড ও ২৫ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি )ইউনূস সেন্টার থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে ড. ইউনূস বলেন, 'আমার আইনজীবীরা আদালতে দৃঢ়তার সঙ্গে যুক্তি দেখিয়েছেন, আমার বিরুদ্ধে এই রায় সব আইনি নজির ও যুক্তির পরিপন্থী।’
আরও পড়ুন: ইউনূসের বিরুদ্ধে গণভবনের 'নির্দেশিত রায়ে' গোটা জাতি লজ্জিত: বিএনপি
শান্তিতে নোবেল বিজয়ী তার সামর্থ্য অনুযায়ী দেশবাসী ও সামাজিক ব্যবসা আন্দোলনে সেবা করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন বিবৃতিতে।
এতে তিনি বলেন, 'আমি আমার সামর্থ্য অনুযায়ী বাংলাদেশের জনগণ ও সামাজিক ব্যবসা আন্দোলনে সেবা করে যাব।’
আরও পড়ুন: শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় ড. ইউনূসের ৬ মাসের কারাদণ্ড
ড. ইউনূস অন্যায়ের বিরুদ্ধে, গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের পক্ষে কথা বলার জন্য জনগণের প্রতি আহ্বান জানান।
৮৩ বছর বয়সী এই অর্থনীতিবিদ বলেন, 'আমি বাংলাদেশের জনগণকে অন্যায়ের বিরুদ্ধে এবং আমাদের প্রতিটি নাগরিকের গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের পক্ষে অভিন্ন সুরে কথা বলার আহ্বান জানাচ্ছি।’
ইউনূসসহ গ্রামীণ টেলিকমের তিন কর্মকর্তা গতকাল আপিলের শর্তে জামিন পাওয়ায় তাদের জেলে যেতে হয়নি।
রায়ের পর আদালত থেকে বের হয়ে প্রফেসর ইউনূস বলেন, তিনি যে অপরাধ তিনি করেননি তার জন্য তাকে শাস্তি দেওয়া হয়েছে।
রায়ের এক সংক্ষিপ্ত প্রতিক্রিয়ায় ইউনূস সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি এমন একটি অপরাধের জন্য শাস্তি পেয়েছি যা আমি করিনি। ‘আপনি যদি এটিকে ন্যায়বিচার বলতে চান, তাহলে আপনি বলতে পারেন।’
আরও পড়ুন: এমন অপরাধে সাজা দেওয়া হয়েছে, যা আমি করিনি: ড. ইউনূস
১০ মাস আগে
গায়ানার পক্ষে আইসিজে রায়কে স্বাগত জানিয়েছে বাংলাদেশ: মোমেন
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন জানিয়েছেন, গায়ানার পক্ষে আন্তর্জাতিক আদালতের (আইসিজে) রায়কে বাংলাদেশ স্বাগত জানিয়েছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ১৭ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কে ৭৮ তম ইউএনজিএ-র সাইডলাইনে অনুষ্ঠিত গায়ানা (সিএমজিজি) বিষয়ে কমনওয়েলথ মিনিস্ট্রিয়াল গ্রুপের ভার্চুয়াল বৈঠকে এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে তুলতে চান বাইডেন: মোমেন
পররাষ্ট্রমন্ত্রী উল্লেখ করেন, বাংলাদেশ গায়ানা বিষয়ক কমনওয়েলথ মিনিস্ট্রিয়াল গ্রুপের চেয়ারের ভূমিকা অব্যাহত রাখতে পেরে সন্তুষ্ট।
তিনি বলেন, আমি আমাদের স্বাভাবিক আলোচনা, সৌহার্দ্য, এবং প্রধানদের ধারাবাহিক মতামত অনুসারে গায়ানার আঞ্চলিক অখণ্ডতার প্রতি আমাদের অটল সমর্থনের অভিব্যক্তির জন্য অপেক্ষা করছি।
কমনওয়েলথের সেক্রেটারি-জেনারেল প্যাট্রিসিয়া স্কটল্যান্ড উদ্বোধনী বক্তব্য দেন।
অন্যদিকে রাষ্ট্রদূত মাইকেল ই. ব্রাদারসন, নিউইয়র্কের কোঅপারেটিভ রিপাবলিক অফ গায়ানার কনস্যুলেট জেনারেলের কনসাল জেনারেল, হিউ টড, পররাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতা মন্ত্রীর পক্ষে।
গায়ানার পররাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতা মন্ত্রী সভায় বক্তব্য রাখেন এবং সাম্প্রতিক ঘটনাবলী সম্পর্কে একটি আপডেট প্রদান করেন।
সিএমজিজির মন্ত্রীরা আলোচনা অধিবেশনে অংশ নেন এবং কমনওয়েলথ পররাষ্ট্র বিষয়ক মন্ত্রীদের বৈঠকে জানানোর জন্য একটি সমাপনী বিবৃতি প্রস্তুত করতে সম্মত হন।
আরও পড়ুন: লন্ডনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেনকে প্রবাসীদের ফুলেল শুভেচ্ছা
আফ্রিকার দেশগুলোর সঙ্গে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্পর্ক জোরদারের আহ্বান মোমেনের
১ বছর আগে
দিনাজপুরে বাবাকে হত্যার দায়ে ছেলের ফাঁসির রায়
দিনাজপুরে বাবাকে হত্যার দায়ে ছেলেকে ফাঁসির রায় দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার রায়টি ঘোষণা করেন অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালতের বিচারক শ্যাম সুন্দর রায়। এ সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন অভিযুক্ত। তবে হাইকোর্টের অনুমোদন সাপেক্ষে রায় কার্যকরের তাগিদ দিয়েছেন বিচারক।
আরও পড়ুন: অধিকারের সম্পাদক আদিলুরের বিরুদ্ধে আইসিটি মামলার রায় পিছিয়ে ১৪ সেপ্টেম্বর
মামলা সূত্রে জানা গেছে, দিনাজপুরের জেলা সদরের আমরই গ্রামে জমি সংক্রান্ত ভাগবাটোয়াকে কেন্দ্র করে বাবা বঙ্কিম চন্দ্র রায় বনরামকে ২০০৬ সালের ১৭ সেপ্টম্বর লাঠিপেটায় হত্যা করে ছেলে বাঞ্জারাম চন্দ্র রায়। এ ব্যাপারে স্বামীর বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন অভিযুক্ত ছেলের স্ত্রী উমুকি রানী রায়।
আদালতে সরকার পক্ষের কৌশুলি এপিপি হাসানে ইমাম নয়ন জানান, জমির বাটোয়ারা বিরোধে ২০০৬ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর রাতে প্রথমে ছোটভাই পঞ্চারাম রায়কে মারছিলেন অভিযুক্ত বড় ভাই বাঞ্জারাম রায়। এ সময় তাকে থামাতে বাবা এগিয়ে গেলে তাকে লাঠিপেটা করে সে। পরে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করেন।
ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছে সে।
আদালতে ১৪ জনের স্বাক্ষ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে দোষী প্রমাণিত ছেলেকে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরসহ ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করেছেন বিচারক। তবে আসামি পলাতক থাকায় আত্মসমর্পণ অথবা ধরা পড়ার পর হাইকোর্টের অনুমোদন সাপেক্ষে রায় কার্যকরের তাগিদ দিয়েছেন বিচারক।
আরও পড়ুন: কিশোরগঞ্জে ভাই হত্যা মামলায় ৫ ভাই-বোনসহ ৭ জনের যাবজ্জীবন
প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকি: বিএনপি নেতা চাঁদের জামিন ও রিমান্ড নামঞ্জুর
১ বছর আগে
হেলেনা জাহাঙ্গীরসহ ৫ জনের মামলার রায় ২০ মার্চ
রাজধানীর পল্লবী থানায় দায়ের করা প্রতারণা ও চাঁদাবাজির অভিযোগে আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কৃত নেত্রী হেলেনা জাহাঙ্গীরসহ পাঁচজনের নামে হওয়া মামলার রায় ঘোষণার জন্য আগামী ২০ মার্চ দিন ধার্য করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেনের আদালত রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রায়ের এ তারিখ ঠিক করেন।
আরও পড়ুন: ৯২ শিক্ষার্থী হাসপাতালে ভর্তি,রাবি কর্তৃপক্ষের মামলা
অপর চার আসামি হলেন-হেলেনা জাহাঙ্গীরের আইপিটিভি জয়যাত্রা টেলিভিশনের মহাব্যবস্থাপক হাজেরা খাতুন, টেলিভিশনের সমন্বয়ক সানাউল্লাহ নূরী, প্রধান বার্তা সম্পাদক কামরুজ্জামান আরিফ ও স্টাফ রিপোর্টার মাহফুজুর রহমান।
জয়যাত্রা টিভির ভোলা জেলা প্রতিনিধি আবদুর রহমান তুহিন ২০২১ সালের ২ আগস্ট পল্লবী থানায় হেলেনা জাহাঙ্গীরসহ পাঁচ জনের বিরুদ্ধে মামলাটি করেন।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, জয়যাত্রা টিভির স্থানীয় সংবাদদাতা হিসেবে নিয়োগ দেয়ার জন্য ভোলা জেলার আবদুর রহমান তুহিনের কাছ থেকে ৫৪ হাজার টাকা নেন হেলেনা জাহাঙ্গীর। প্রতিবেদক হিসেবে রহমান কয়েক মাস কাজ করলেও কোনো বেতন পাননি। অন্যদিকে তার কাছ থেকে প্রতিমাসে তিন হাজার টাকা নেয় টেলিভিশন কর্তৃপক্ষ।
২০২১ সালের ২১ নভেম্বর ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হেলেনা জাহাঙ্গীরসহ পাঁচ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) পরিদর্শক শাহিনুর ইসলাম।
গত বছরের ১৮ এপ্রিল অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। মামলার বিচার চলাকালে আদালত ১৩ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করেন।
আরও পড়ুন: রাবিতে শিক্ষার্থী ও স্থানীয়দের মধ্যে সংঘর্ষ: ৩০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা
খুলনায় সাবেক ভিসি ও রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা নিতে আদালতের নির্দেশ
১ বছর আগে
আবরার হত্যা মামলার রায়ে ন্যায়বিচার করা হয়েছে: আইনমন্ত্রী
আবরার হত্যা মামলার রায়ে প্রকৃত ন্যায়বিচার করা হয়েছে উল্লেখ করে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়কমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, আবরার হত্যা মামলার রায়ে এটা প্রমাণ হয় যে দেশে আইনের শাসন আছে।
বুধবার (০৮ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজধানীর গুলশানে নিজ আবাসিক কার্যালয়ে বুয়েটের ছাত্র আবরার হত্যা মামলার রায়ের বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে তিনি এই মন্তব্য করেন।আনিসুল হক বলেন, আপাত দৃষ্টিতে মনে হয়েছে যে, এই মামলায় প্রকৃত ন্যায়বিচার করা হয়েছে। এই রায়ের মাধ্যমে রাষ্ট্রপক্ষ প্রমাণ করতে পেরেছে যে, দেশে আইনের শাসন আছে। এখন কেউ এরকম হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে বা কোন রকম হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে কোন অপরাধী ঘুরে বেড়াতে পারবে না। তারা রাজনীতি করতে পারবে না। বিরোধী দলীয় নেতা হওয়ার 'অডারসিটি' দেখাতে পারবে না।
আরও পড়ুন: বিনিয়োগের জন্য বাংলাদেশ এখন বন্ধুত্বপূর্ণ দেশ: আইনমন্ত্রী
তিনি বলেন, এই রায়ের নথিপত্র আগামী সাত দিনের মধ্যে হাইকোর্টে চলে যাবে। সেখানে মামলাটি দ্রুত নিষ্পত্তি হওয়ার ব্যাপারে সরকার সব ধরনের সহযোগিতা করবে।মন্ত্রী বলেন, সমাজে কিছু কিছু হত্যাকাণ্ড আছে যা সমাজকে নাড়া দেয়, সমাজের বিবেককে নাড়া দেয়। এই সব হত্যাকাণ্ডের বিচার করা না হলে সমাজে হতাশা দেখা দেয়। সরকারের দায়িত্ব এই মামলাগুলো তড়িৎ বিচার করে, দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করে সমাজকে আশ্বস্ত করা যে, দেশে আইনের শাসন বিরাজ করছে। তিনি বলেন, এই দায়িত্ব পালনে শেখ হাসিনার সরকার এখন পর্যন্ত সক্ষম হয়েছে।
আরও পড়ুন: ইউপি নির্বাচনে সহিংসতার জন্য ব্যক্তিগত দ্বন্দ্বকে দায়ী করলেন আইনমন্ত্রী
খালেদা জিয়াকে আইন অনুযায়ী সুবিধা দেয়া হচ্ছে: আইনমন্ত্রী
২ বছর আগে
রায়ে সন্তুষ্ট পরিবার, বাকি ৫ আসামিরও ফাঁসি চান আবরারের মা
আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় ২০ জনের ফাঁসি এবং পাঁচজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে তার পরিবার। তবে আবরারের মা যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ পাওয়া পাঁচ আসামিরও ফাঁসি চেয়েছেন।
বুধবার রায় ঘোষণার পর কুষ্টিয়ার পিটিআই রোডের বাসায় আবরারের মা রোকেয়া খাতুন কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘২০ জনের ফাঁসির রায় হয়েছে আমি সন্তুষ্ট। তবে, অমিত সাহা; যে সবসময় নির্দেশ দিয়েছে আরও পিটাও। তার কেন ফাঁসি হলো না? রায় যেন দ্রুত কার্যকর হয়। যেদিন কার্যকর হবে সেদিনই মনে করব, আমার ছেলের বিচার হলো। আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই বলছি, অমিত সাহারও ফাঁসি চাই।’
আবরারের মা বলেন, ‘আবরার আমাকে ছাড়া কিছুই বুঝত না। আমার সেই ছেলেকে ওরা কীভাবে পিটিয়ে মারল। ওরা এত ব্যথা দিয়ে কষ্ট দিয়ে মারল ছেলেটাকে। বেটার মৃত্যুর পর আমি শুধু আল্লাহর কাছে বলেছি, তুমি এই হত্যার বিচার কর।’
আরও পড়ুন: আবরার হত্যা: ২০ আসামির মৃত্যুদণ্ড, ৫ জনের যাবজ্জীবন
তিনি আরও বলেন, ‘করোনাসহ নানা কারণে রায় অনেক পিছিয়ে গেছে। এখন যেন অল্প সময়ে কার্যকর হয়।’
কুষ্টিয়া সরকারি কলেজ থেকে এবার এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয়া আবরারের ভাই আবরায় ফায়াজ বলেন, ‘অমিত সাহা ফোনে বলেছিল আরও দুই ঘণ্টা পেটানো যাবে। সে উপস্থিত না থাকলেও নির্দেশদাতা ছিল। আমরা তারও ফাঁসি হবে- এমনটি চেয়েছিলাম। তবে, ২০ জনের যে ফাঁসি হয়েছে আমরা সন্তুষ্ট। পুরো রায় দেখে পর্যালোচনা করে আমরা আমাদের বক্তব্য জানাব।’
রায় ঘোষণার আগে থেকে বাসায় উদ্বিগ্ন ছিলেন আবরারের মা-ভাই। এসেছেন অন্য আত্মীয়-স্বজনরাও। ছিলেন অনেক সংবাদকর্মীও।
প্রসঙ্গত, বুধবার বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় ২০ জনের ফাঁসি এবং পাঁচজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
আরও পড়ুন: আবরার হত্যা মামলার রায় পিছিয়ে ৮ ডিসেম্বর
আবরার ফাহাদ হত্যা মামলার রায় আজ
২ বছর আগে