ইনিংস
নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে ১৬৯ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলে সৌম্যর ‘পুনর্জন্ম’
দীর্ঘ লড়াইয়ের পর নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে দুর্দান্ত সেঞ্চুরি করে প্রাণ ফিরে পেলেন সৌম্য সরকার। নিউ জিল্যান্ডের নেলসনে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে সৌম্য ২২টি চার ও ২টি ছক্কা নিয়ে ১৫১ বলে ১৬৯ রান করে ইনিংসটি শেষ করেন।
২০১৯ সালে শেষবার হাফ সেঞ্চুরি করা এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যানের জন্য এই ইনিংসটি একটি স্মরণীয় পরিবর্তন। পরের বছরগুলোতে তাকে ২০২০ সালে ওয়ানডে দল থেকে বাদ দেওয়া হয়; ২০২১ সালে সীমিত সুযোগগুলোতে প্রভাব ফেলতে ব্যর্থ হন এবং ২০২২ সালে আবারও বাদ পড়েন।
প্রধান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহের অধীনে তার প্রত্যাবর্তন ২০২৩ সালে পরপর দু’টি ‘ডাক’ দিয়ে শুরু হয়, যা তার নির্বাচন বিষয়ে প্রশ্নের জন্ম দেয়। তবে, হাথুরুসিংহে সৌম্যর প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ছিলেন এবং তার এই বিশ্বাস দুর্দান্তভাবে প্রতিফলিত হয়েছে।
আরও পড়ুন: আইপিএল-২০২৪: মুস্তাফিজকে দলে ভেড়াল চেন্নাই সুপার কিংস
২০০৯ সালে ক্রাইস্টচার্চে শচীন টেন্ডুলকারের অপরাজিত ১৬৩ রানের মাইলফলক টপকে নিউ জিল্যান্ডে এশিয়ার ব্যাটসম্যানদের সর্বোচ্চ ওয়ানডে রানের রেকর্ড গড়েন তিনি।
এটি সৌম্যর তৃতীয় ওয়ানডে সেঞ্চুরি, এর আগে ২০১৫ ও ২০১৮ সালে দু’টি সেঞ্চুরি নিজের অর্জনের ঝুড়িতে যোগ করেন।
তার ক্যারিয়ারসেরা ইনিংসের সুবাদে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে অলআউট হয়ে ২৯১ রান তোলে বাংলাদেশ। প্রথম ম্যাচেই হেরেছে বাংলাদেশ। বুধবার এই স্কোর রক্ষা করতে পারলে শেষ ম্যাচটি এই সিরিজের ফাইনালে পরিণত হবে।
আরও পড়ুন: নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ঘুরে দাঁড়াতে চায় বাংলাদেশ
বাংলাদেশ বনাম নিউ জিল্যান্ড ওয়ানডে সিরিজ: সাকিবহীন একাদশে সৌম্যকে গুরুত্বপূর্ণ বিবেচনা শান্তর
১ বছর আগে
ঢাকা টেস্ট: দুর্দান্ত বোলিংয়ে ৩ উইকেটের শিকার তাইজুলের
ঢাকা টেস্টের দ্বিতীয় দিনে তাইজুল ইসলাম দুর্দান্ত ফর্মে আছেন। ভারতের তিনটি উইকেট নিয়ে রান সংগ্রহে তাদের অনেকটাই চাপে রেখেছেন।
ম্যাচের প্রথম দিন শেষে ভারতের রান ছিল বিনা উইকেটে ১৯। কিন্তু বাংলাদেশের প্রথম ইনিংসের ২২৭ রানের জবাবে দ্বিতীয় দিনে তারা বেশ নড়বড়ে অবস্থায় শুরু করেন।
দ্বিতীয় দিনের মধ্যাহ্নভোজের পূর্বে ভারত তিন উইকেট হারিয়ে ৮৩ রান করে। বিরাট কোহলি ও ঋষভ পন্ত যথাক্রমে ১৮ ও ১২ রানে নটআউট রয়েছেন।
তাইজুলের ডেলিভারির প্রথম শিকার ভারতীয় অধিনায়ক লোকেশ রাহুল। বলটি রুখতে চেষ্টা করা সত্ত্বেও তার সামনের প্যাডে আঘাত করে। আম্পায়ার আউট না দিলে বাংলাদেশ এলবিডব্লিউ’র রিভিউ আবেদন করে। রিভিউয়ের রায় বাংলাদেশের পক্ষে আসে।
আরও পড়ুন: ভারতের বিপক্ষে প্রথম টেস্টে টসে হেরে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ
শুভমান গিল তাইজুলের দুর্দান্ত বোলিংয়ের পরবর্তী শিকারে পরিণত হন। এবারও এলবিডব্লিউ। তবে আম্পায়ার নিশ্চিত হয়েই আউট দিয়ে দেন।
৩৮ রানেই ভারত দুই ওপেনার হারায়। তবে তৃতীয় উইকেটে চেতেশ্বর পূজারা ও বিরাটের জুটি বেশ ভালোই করছিল। কিন্তু তাইজুলের বলে ও মমিনুল হকের ক্যাচে মাঠ ছাড়তে হয় পূজারাকে।
দ্বিতীয় টেস্টে টসে জিতে বাংলাদেশ ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয়। প্রথম ইনিংসে মুমিনুল হকের ৮৪ রানে সব উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ ২২৭ রান করে। ১২ ইনিংস পর মুমিনুলের এটি প্রথম ৫০ রান। উমেশ যাদব ও রবিচন্দ্রন অশ্বিন নেন চারটি করে উইকেট।
আরও পড়ুন: ঢাকা টেস্ট: টসে জিতে ব্যাট করছে বাংলাদেশ
ঢাকা টেস্টে বাংলাদেশের ব্যাটিং ধসে মানসিক বিপর্যয় দায়ী: সিডন্স
১ বছর আগে
ঢাকা টেস্ট: ইনিংস ব্যবধানে হারল বাংলাদেশ
পাকিস্তানের বিপক্ষে দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ ম্যাচে ইনিংস ও ৮ রানের ব্যবধানে হেরেছে স্বাগতিক বাংলাদেশ।
বুধবার পঞ্চম দিনে মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে প্রথম ইনিংসে পাকিস্তান করা ৩০০ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ৮৭ রানে অলআউট হয়ে যায় টাইগাররা। এতে ফলোঅনে পড়ে মুমিনুলের দল।
ফলোঅনে পড়ে একই দিন দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ২০৫ রানে অলআউট হয়ে যায় বাংলাদেশ। দুই ইনিংস মিলিয়েও পাকিস্তানের করা ৩০০ রান টপকাতে পারেনি টাইগাররা। এতে দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজে ২-০ ব্যবধানে জয় পেয়েছে সফররত পাকিস্তান।
আরও পড়ুন: ঢাকা টেস্ট: ফলোঅনে বাংলাদেশ, দেশের মাটিতে সর্বনিম্ন রান
প্রথম ইনিংসে মঙ্গলবার বৃষ্টিবিঘ্নিত চতুর্থ দিন শেষে ২৬ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ছিল ৭ উইকেটে ৭৬ রান। পঞ্চম দিন সকালে বাংলাদেশ মাত্র ২৮ মিনিট ব্যাট করে শেষ তিনটি উইকেট হারিয়ে করতে পেরেছে মাত্র ১১ রান।
পাকিস্তানের স্পিনার সাজিদ খান ৪২ রান দিয়ে আট উইকেট নিয়েছেন। টেস্টে এটা তার সেরা বোলিং ফিগার।
বাংলাদেশের পক্ষে সাকিব আল হাসান ৫৪ বলে ৩৩ এবং নাজমুল হোসেন শান্ত ৫০ বলে ৩০ রান করে সর্বোচ্চ রান করেন।
এর আগে ৯৮ দশমিক ৩ ওভার খেলে ৩০০ রান করে পাকিস্তান প্রথম ইনিংস ঘোষণা করে। পাকিস্তানের হয়ে আজহার আলী, বাবর আজম, ফাওয়াদ আলম ও মোহাম্মদ রিজওয়ান ফিফটি করেছেন।
বাংলাদেশের হয়ে তাইজুল ইসলাম দুটি এবং খালেদ আহমেদ ও এবাদত হোসেন একটি করে উইকেট নিয়েছেন।
আরও পড়ুন: ঢাকা টেস্ট: চতুর্থ দিন শেষে ৭ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৭৬
বাংলাদেশের হয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে সর্বোচ্চ ৬৩ রান করেন সাকিব আল হাসান। এছাড়া ৪৮ রান করেছেন মুশফিকুর রহিম।
পাকিস্তানের পক্ষে দ্বিতীয় ইনিংসে সাজিদ খান চারটি ও শাহীন আফ্রিদি দুটি উইকেট নিয়েছেন।
দুই ইনিংসে ১২ উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরা হয়েছেন সাজিদ খান।
শনিবার মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় সফররত পাকিস্তান।
এর আগে সিরিজের প্রথম ম্যাচে চট্টগ্রামে লিটন দাস, মুশফিকুর রহিম ও তাইজুল ইসলামের দুর্দান্ত পারফর্মেন্স সত্ত্বেও আট উইকেটে হারে স্বাগতিক বাংলাদেশ।
আরও পড়ুন: ৩০০ রানে প্রথম ইনিংস ঘোষণা করল পাকিস্তান
৩ বছর আগে