গুয়াতেমালা
গুয়াতেমালার রেইন ফরেস্টের নিচে ২ হাজার বছর পুরনো মায়া শহর আবিষ্কৃত
গুয়াতেমালার একটি রেইন ফরেস্টের নিচে দুই হাজার বছরের পুরনো বিশাল মায়া শহরের অস্তিত্ব খুঁজে পেয়েছেন গবেষকরা।
মেট্রো নিউজ অনুসারে, আকাশ থেকে উত্তর গুয়াতেমালায় জরিপ করার সময় গবেষকরা রেইন ফরেস্টের নীচে চাপা পড়ে থাকা একটি বৃহৎ মায়া শহরের ধ্বংসাবশেষ আবিষ্কার করেছেন।
নিউজ আউটলেটটি অনুসারে, এ অঞ্চলটি মেক্সিকান সীমান্তের কাছাকাছি এবং এটি ৬৫০ বর্গ মাইল বিস্তৃত ও মিরাডোর-কালাকমুল কার্স্ট বেসিন নামে পরিচিত।
প্রত্নতাত্ত্বিকরা অনুমান করেন যে শহরটি দুই হাজার বছর পুরনো। যাতে ১১০ মাইল বাঁধ দ্বারা সংযুক্ত শহরটিতে প্রায় এক হাজার মানুষের জনবসতি ছিল।
নদী তীরবর্তী ১১০ মাইল দীর্ঘ বাঁধগুলো ছিল পরিষ্কার ও উঁচু, যা হাইওয়ে হিসেবে ব্যবহৃত হতো। ফলে এ সভ্যতার বাসিন্দারা কাছাকাছির বসতিগুলোতে তুলনামূলকভাবে সহজে যাতায়াত করতে পারতো।
বেশ কয়েকটি আমেরিকান বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের পাশাপাশি ফ্রান্স এবং গুয়াতেমালার সহযোগীদের দ্বারা লিডার (আলো শনাক্তকরণ ও রেঞ্জিং) ব্যবহার করে শহরটি আবিষ্কার করা হয়।
ইন্টারেস্টিং ইঞ্জিনিয়ারিং-এর মতে, রাডারের রেডিও তরঙ্গের পরিবর্তে লেজারের আলোর ওপর ভিত্তি করে শনাক্তকরণ পদ্ধতি হলো লিডার।
আরও পড়ুন: ব্লাড ক্যান্সার প্রতিরোধে যুগান্তকারী আবিস্কার অস্ট্রেলিয়ার বিজ্ঞানীদের
গবেষকরা এটি ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কারণ লিডার রেইনফরেস্ট ভেদ করতে পারে এবং এর নিচে কী রয়েছে তা দেখা যায়।
তাদের গবেষণা প্রাচীন মেসোআমেরিকা জার্নালে প্রকাশিত হয়েছিল।
ওই গবেষকরা বলেছেন, ‘এই গবেষণায় বায়ুবাহিত লিডার ডেটা ব্যবহার করে দেখা যায় যে কীভাবে জটিল সমাজগুলো তাদের আর্থ-সামাজিক সংগঠন এবং রাজনৈতিক ক্ষমতাকে প্রতিফলিত করার জন্য নিজেদের অবকাঠামো গড়ে তুলেছিল।’
মেক্সিকোতে ট্রাক দুর্ঘটনায় ৫৩ অভিবাসী নিহত
মেক্সিকোর দক্ষিণাচঞ্চল চিয়াপাসে বৃহস্পতিবার একটি ট্রাক উল্টে পথচারী সেতুর সঙ্গে ধাক্কা লেগে কমপক্ষে ৫৩ জন অভিবাসী নিহত এবং আরও কয়েক ডজন আহত হয়েছেন।
ফেডারেল অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয় জানিয়েছে, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে ৫৩ জন নিহত হয়েছে এবং আহতদের মধ্যে তিনজনের অবস্থা গুরুতর।
চিয়াপাস রাজ্যের বেসামরিক প্রতিরক্ষা কার্যালয়ের প্রধান লুইস ম্যানুয়েল মোরেনো বলেন, আহতদের মধ্যে গুরুতর জখম ২১ জনকে স্থানীয় হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।
ধারণা করা হচ্ছে নিহতরা মধ্য আমেরিকার অভিবাসী। তবে তাদের জাতীয়তা এখনও নিশ্চিত করা যায়নি। বেঁচে যাওয়া কয়েকজনের বরাত দিয়ে মোরেনো জানান, তারা প্রতিবেশী দেশ গুয়াতেমালা থেকে এসেছেন।
চিয়াপাস ফায়ার ফাইটার ইনস্টিটিউটের পরিচালক মার্কো আন্তোনিও সানচেজ বলেছেন,প্রতি অ্যাম্বুলেন্সে তিন থেকে চারজন আহতকে তিনটি হাসপাতালে নেয়া হয়। যখন পর্যাপ্ত অ্যাম্বুলেন্স ছিল না তখন তাদের পিকআপ ট্রাক করে পাঠান তারা।
এ ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন গুয়াতেমালার প্রেসিডেন্ট আলেজান্দ্রো গিয়াম্মাত্তেই। এক টুইট বার্তায় তিনি লেখেন, ‘চিয়াপাস রাজ্যে ঘটা ট্র্যাজেডিতে আমি গভীর দুঃখ প্রকাশ করছি। ভুক্তভোগী পরিবারের সঙ্গে আমি সংহতি প্রকাশ করছি এবং তাদের প্রত্যাবাসনসহ প্রয়োজনীয় সব পরামর্শ সহায়তা দেব।’
দুর্ঘটনায় বেঁচে যাওয়া অভিবাসীরা জানান, গুয়াতেমালা সীমান্ত থেকে ট্রাকে করে মেক্সিকোর কেন্দ্রীয় রাজ্য পুয়েব্লাতে নিয়ে যাওয়ার জন্য আড়াই হাজার থেকে সাড়ে তিন হাজার মার্কিন ডলারের চুক্তি করেন তারা। একবার সেখানে পৌঁছে গেলে যুক্তরাষ্ট্রের সীমান্তে নিয়ে যাওয়ার জন্য আরেকটি চোরাকারবারী দলের সঙ্গের সম্ভবত চুক্তি করতেন তারা।