রক্ষা
ফসলি জমি রক্ষা এবং মজুতদারি রোধে জেলা প্রশাসকদের সহযোগিতা চান কৃষিমন্ত্রী
অনাবাদি জমি চাষের আওতায় আনা, ফসলি জমি রক্ষা ও মজুতদারি রোধে জেলা প্রশাসকদের সহযোগিতা চেয়েছেন কৃষিমন্ত্রী আব্দুস শহীদ।
সোমবার (৪ মার্চ) সকালে ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে চলমান জেলা প্রশাসক সম্মেলনে কৃষি মন্ত্রণালয়সম্পর্কিত সেশনে মন্ত্রী এ সহযোগিতা চান।
তিনি বলেন, আবাদি জমির পরিমাণ দিন দিন হ্রাস পাচ্ছে। তাই অকৃষি কাজে কৃষি জমির ব্যবহার ন্যূনতম পরিমাণ নিশ্চিত করা এবং উর্বর কৃষি জমি যাতে অধিগ্রহণ না করা হয়, সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।
এছাড়া কৃষি কাজের জন্য সংরক্ষণ করতে হবে তিন ফসলি জমি। কৃষি জমি সংরক্ষণের বিষয়ে আপনাদের সহযোগিতা প্রত্যাশা করছি।
আরও পড়ুন: টেকসই খাদ্য নিরাপত্তায় মূল চ্যালেঞ্জ জলবায়ু পরিবর্তন: কৃষিমন্ত্রী
মজুদদারি রোধে মনিটরিং জোরদারের আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, কৃষিপণ্য অবৈধভাবে মজুত করে অসাধু ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান রমজানসহ সারা বছর যাতে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করতে না পারে, সেজন্য জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা, কৃষি বিপণন অধিদপ্তর, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সমন্বয়ে গঠিত কমিটিকে তৎপর থাকতে হবে।
এ বিষয় জেলা প্রশাসকরা বিশেষ ভূমিকা রাখতে পারেন।
কৃষি উৎপাদনের সাফল্য তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, জলবায়ুর বিরূপ প্রভাব ও বৈশ্বিক সংকটের মধ্যেও ২০২২-২৩ অর্থবছরে চাল উৎপাদন হয়েছে ৩৯১ দশমিক ০২ লাখ মেট্রিক টন।
এছাড়া অন্যান্য প্রধান প্রধান ফসলের মধ্যে ১১ দশমিক ৭০ লাখ মেট্রিক টন গম, ৬৪ দশমিক ৩১ লাখ মেট্রিক টন ভুট্টা ১১০ দশমিক ৮৫ লাখ মেট্রিক টন আলু ও ২২৫ দশমিক ৪১ লাখ মেট্রিক টন শাক-সবজি উৎপাদন হয়েছে।
এছাড়া সরিষা উৎপাদন হয়েছে ১১ দশমিক ৬৩ লাখ মেট্রিক টন ও পেঁয়াজ ৩৪ দশমিক ৫৬ লাখ মেট্রিক টন।
পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে মত বিনিময়কালে মন্ত্রী বলেন, কৃষকরা যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সে জন্য মানসম্পন্ন বীজ সরবরাহ করতে হবে। বীজ থেকে চারা না গজালে বা অঙ্কুরোদগম না হলে, দায়ী ব্যক্তিদের চরম শাস্তি দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: এফএওর আঞ্চলিক সম্মেলনে যোগ দিতে কলম্বো গেলেন কৃষিমন্ত্রী
নির্বাচনের আগে অভ্যন্তরীণ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় প্রস্তুতি নিন: বিজিবি প্রধান
আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে অভ্যন্তরীণ আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় তার বাহিনীকে প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল এ কে এম নাজমুল হাসান।
শনিবার (২ ডিসেম্বর) দুপুরে সিলেটের শ্রীমঙ্গল ও কুড়িগ্রামের সীমান্ত এলাকা পরিদর্শনকালে বিজিবি সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এ নির্দেশ দেন।
আরও পড়ুন: অবরোধের দ্বিতীয় দিনে ২৩০ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন
মহাপরিচালক মেজর জেনারেল এ কে এম নাজমুল হাসান বিজিবি সদস্যদের সর্বোচ্চ পেশাদারিত্বের সঙ্গে সবসময় দেশের জন্য কাজ করার নির্দেশনা দেন।
এসময় দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক উন্নয়নের পাশাপাশি সীমান্ত দিয়ে মাদক ও অস্ত্র চোরাচালান প্রতিরোধে বিজিবি সদস্যদের দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দেন তিনি।
নিয়মিত কার্যক্রমের অংশ হিসেবে বিজিবি প্রধান ময়মনসিংহ সেক্টর, সেখানে বিজিবির অপারেশনাল, প্রশিক্ষণ ও প্রশাসনিক কার্যক্রম পরিদর্শন করেন।
পরিদর্শনকালে বিজিবি সদর দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, সরাইল রিজিয়ন কমান্ডার, শ্রীমঙ্গল সেক্টর কমান্ডার, ময়মনসিংহ সেক্টর কমান্ডারসহ সংশ্লিষ্ট ব্যাটালিয়নের কমান্ডারসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে ২.৬০ লাখ ইয়াবা ও ১.০৫ কেজি ক্রিস্টাল মেথ জব্দ: বিজিবি
হরতাল: ১৬১ প্লাটুন বিজিবি ও র্যাবের ৪৪২টি টহল দল মোতায়েন
বেনাপোল বাঁশ-কাঠের গুঁড়ি দিয়ে রাজস্ব ভবন রক্ষার চেষ্টা
বেনাপোল স্থলবন্দরের রাজস্ব ভবনটিতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছেন বন্দর ব্যবহারকারীরা। বিগত পাঁচ বছর ধরে বাঁশ, কাঠের গুঁড়ি দিয়ে ভবনটির ছাদ ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষার চেষ্টা করছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।
দীর্ঘদিন ধরে ভবনটির জীর্ণ দশা হলেও পরিত্যক্ত ঘোষণা বা সংস্কারের কোনো উদ্যোগ নেই কর্তৃপক্ষের।
বন্দর সূত্রে জানা গেছে, ভবনটিতে অফিস করছেন বন্দর, কাস্টমস, নিরাপত্তা সংস্থা পিমা, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট সদস্যরা।
আরও পড়ুন: বেনাপোল থেকে ২১টি ককটেল উদ্ধার
ভবনটির দ্বিতীয় তলায় একটি ইউনিটে বড় ধরনের ফাটল দেখা দিয়েছে। ফলে বন্দর কর্তৃপক্ষের প্রশাসনিক কার্যক্রম পরিচালনা করতে দ্বিতীয় তলার ওই অংশ থেকে কার্যক্রম গুটিয়ে চেকপোস্ট আন্তর্জাতিক প্যাসেঞ্জার টার্মিনালে স্থানান্তর করেছেন।
বন্দরের দ্বিতীয় ও তৃতীয় সারির কর্মকর্তারা ওই ভবনে এখনও কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। ভাবনের ছাদ যাতে ধ্বসে না পড়ে সেজন্য তিন তলা ভবনটির দ্বিতীয় তলায় ছাদের নিচের অংশে বাঁশ, কাঠের গুঁড়ি ও লোহার অ্যাঙ্গেল দিয়ে রক্ষার চেষ্টা করছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।
এদিকে ফাটল ধরা ছাদ থেকে বালি ঝরে পড়ছে অনবরত। ঝুঁকি নিয়ে ভবনে বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তরা কাজ করছেন। যেকোনো সময় ভবন ধসে প্রাণহানি ঘটার আশঙ্কা করছেন বন্দর ব্যবহারকারীরা।
বেনাপোল কাস্টমস সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের কাস্টমস বিষয়ক সম্পাদক আ. লতিফ জানান, বর্তমানে ভবনটিতে বন্দর, কাস্টমস, নিরাপত্তা সংস্থার কর্মকর্তরা কার্যক্রম পরিচালনা করছেন।
তিনি আরও জানান, প্রতিদিন সেখানে শত শত মানুষ বাণিজ্যিক কার্যক্রম করছে। এছাড়া ভাবনের ছাদ যাতে ধ্বসে না পড়ে বাঁশ, কাঠের গুঁড়ি ও লোহার অ্যাঙ্গেল দিয়ে রক্ষার চেষ্টা করছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।
তিনি জানান, দুর্ঘটনা ঘটলে অনেক মানুষের প্রাণহানি হতে পারে।
বেনাপোল আমদানি-রপ্তানিকারক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আলী হোসেন জানান, বেনাপোল বন্দর থেকে সরকার বছরে প্রায় ছয় হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আয় করে থাকে। অথচ রাজস্ব আদায়ের প্রধান বাণিজ্যিক ভবনটি আজ জরাজীর্ণ। আতঙ্কের মধ্যে ভবনে প্রবেশ করে কাজ করতে হয় বন্দর ব্যবহারকারীদের।
ইন্দো-বাংলা চেম্বার অব কমার্সের পরিচালক মতিয়ার রহমান বলেন, বড় ধরনের দুর্ঘটনা এড়াতে ভবনটি সংস্কারের দাবি জানাচ্ছি। শুরু থেকে বন্দরের দুর্বল অবকাঠামো নিয়ে ব্যবসায়ীদের মাঝে রয়েছে চাপা ক্ষোভ।
বেনাপোল বন্দরের ডাইরেক্টর (ট্রাফিক) রেজাউল ইসলাম বলেন, ভবনটির দ্বিতীয় তলার একটি ইউনিট ঝুঁকিপূর্ণ। দুর্ঘটনা এড়াতে সেখানে যাতে কেউ প্রবেশ করতে না পারে সেজন্য তালা মেরে রাখা হয়েছে। ভবনটির বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ‘আতা ফলের’ ঘোষণায় এলো ‘পার্সিমন’!
বেনাপোলে ফেনসিডিল জব্দ, গ্রেপ্তার ১
৯৯৯ নম্বরে সাকিবের কল, দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা
পাবনায় রেললাইনের কিছু অংশ ভেঙে গিয়ে ফাঁকা হয়ে আছে। যেকোনো সময় ঘটতে পারে মারাত্মক দুর্ঘটনা। তবে তার আগেই জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ কল করে বিষয়টি জানান এক যুবক।
শনিবার (২৫ নভেম্বর) বিকালে ভাঙুরার দিলপাশা রেল স্টেশনের কাছাকাছি স্থানে রেললাইনে এই সমস্যা দেখা যায়।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে স্বামীকে কুপিয়ে খুন করে ৯৯৯-এ স্ত্রীর ফোন
পরে বিষয়টি রেল কর্তৃপক্ষকে জানানোর অনুরোধ জানিয়ে জাতীয় জরুরি সেবা-৯৯৯ নম্বরে ফোন করেন সাকিব নামে একজন।
কলটি রিসিভ করেছিলেন ৯৯৯ কলটেকার কনস্টেবল সোহরাব আরাফাত এবং বিষয়টি রেল কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়।
তিনি বলেন, তাৎক্ষণিক রেললাইন মেরামতের ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য রেলওয়ে নিয়ন্ত্রণকক্ষ এবং রেল পুলিশ নিয়ন্ত্রণকক্ষে ঘটনাটি দ্রুত জানাই।
সংবাদ সংবাদ পেয়ে রেলওয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের মেরামতকারী দল রেললাইনের ফাঁকা অংশটুকু মেরামত করে।
আরও পড়ুন: ৯৯৯-এ ফোন: নোয়াখালীতে অস্ত্রসহ ২ ডাকাত গ্রেপ্তার
এলপিজির দাম আবার কমল, ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম ৯৯৯ টাকা
জাতীয় সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বেইজিং ঢাকাকে সমর্থন করে: চীনা রাষ্ট্রদূত
চীন জাতীয় সার্বভৌমত্ব, স্বাধীনতা ও আঞ্চলিক অখণ্ডতা রক্ষা এবং বাহ্যিক হস্তক্ষেপের বিরোধিতায় বাংলাদেশকে সমর্থন করে, যাতে দেশটি অভ্যন্তরীণ ঐক্য ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে পারে এবং উন্নয়ন ও পুনরুজ্জীবন অর্জন করতে পারে।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ দৃঢ়ভাবে এক-চীন নীতি অনুসরণ করে এবং আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতার উন্নয়নে চীনের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার প্রশংসা করে। উভয় পক্ষ কৌশলগত সহযোগিতা আরও গভীর করতে এবং এর মাধ্যমে নতুন যুগে চীন-বাংলাদেশ সম্পর্ককে আরও উচ্চ স্তরে উন্নীত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশ ও চীন যৌথ উন্নয়নের ঘনিষ্ঠ অংশীদার।
আরও পড়ুন: অগ্রাধিকারমূলক ঋণ, জিডিআই ও সাউথ-সাউথ কো-অপারেশন তহবিলের উপযুক্ত ব্যবহার করবে বাংলাদেশ: প্রত্যাশা চীনা রাষ্ট্রদূতের
সোমবার গণপ্রজাতন্ত্রী চীন প্রতিষ্ঠার ৭৪তম বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
এ বছর চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ’ এর দশম বার্ষিকী।
চীনা রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘বিআরআই-এর আওতায় চীন ও বাংলাদেশের মধ্যে সহযোগিতার ফল পাওয়ার সময়ে পৌঁছেছে।’
দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম দেশ হিসেবে বাংলাদেশ বিআরআইতে যোগ দেয়।
এছাড়া গত সাত বছরে বিআরআই সোনালী বঙ্গোপসাগরে শিকড় গেড়েছে এবং প্রস্ফুটিত হয়েছে।
রাষ্ট্রদূত বলেন, পদ্মা বহুমুখী সেতু ও এর রেল সংযোগ, দাশেরকান্দি সুয়ারেজ ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট, কর্ণফুলী নদীর তলদেশে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলসহ আরও অনেক মেগা প্রকল্প একের পর এক সম্পন্ন হয়েছে, যা বাংলাদেশের মানুষের জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন ও অবকাঠামো উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিআরআই'র ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, এটি বাংলাদেশের জন্য উন্নয়নের নতুন দ্বার উন্মোচন করেছে।
রাষ্ট্রদূত ইয়াও বলেন, ‘সামনের দিকে তাকিয়ে, উভয় দেশের উচিৎ উন্নয়নের নতুন ঐতিহাসিক সুযোগগুলো গ্রহণ করা, উন্নয়ন কৌশলগুলো আরও সংহত করা, উচ্চ মানের উন্নয়নের লক্ষ্যে বেল্ট অ্যান্ড রোড সহযোগিতা পরিচালনা করা এবং একে অপরের পরিপূরক হিসেবে আমাদের নিজ নিজ অর্থনৈতিক সুবিধাগুলো কাজে লাগানো।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করতে হবে বাংলাদেশিদের: চীনা রাষ্ট্রদূত ইয়াও
তিনি বলেন, ‘সুনির্দিষ্টভাবে বলতে গেলে, আমরা অবকাঠামো উন্নয়ন, তথ্য প্রযুক্তি, নতুন জ্বালানি, কৃষি ইত্যাদি ক্ষেত্রে সহযোগিতা আরও গভীর করতে পারি। সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমরা অবশ্যই চীনা জাতির মহান পুনরুজ্জীবনের চীনা স্বপ্ন এবং বাংলাদেশের রূপকল্প ২০৪১ বাস্তবায়ন করতে পারব।’
রাষ্ট্রদূত বলেন, দেশগুলোর মধ্যে সুসম্পর্ক ঘন ঘন যোগাযোগের মাধ্যমে জনগণের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক থেকে উদ্ভূত হয়। চীন ও বাংলাদেশের নেতৃবৃন্দের মধ্যে জনগণ থেকে জনগণে পারস্পরিক যোগাযোগ ও সাংস্কৃতিক আদান-প্রদান আরও জোরদার করার জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ ঐকমত্য।
তিনি বলেন, ‘চীন আন্তর্জাতিক ভ্রমণ এবং কর্মী বিনিময়ের বিশাল চাহিদা মেটাতে বেশ কয়েকটি সুবিধাজনক ব্যবস্থা চালু করেছে।’
তিনি বলেন, আপাতত দুই দেশের মধ্যে সাপ্তাহিক ভিত্তিতে ৫০টি সরাসরি ফ্লাইট রয়েছে, যার ধারণক্ষমতা ১০ হাজার।
রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘চীন বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নে বিশেষ গুরুত্ব দেয়। দূতাবাস দু'দেশের মধ্যে কৌশলগত অংশীদারিত্বকে একটি নতুন স্তরে উন্নীত করতে সর্বস্তরের বাংলাদেশি বন্ধুদের সঙ্গে যৌথ প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
তিনি বাংলাদেশে চীনা উদ্যোক্তাদের সক্রিয়ভাবে সামাজিক দায়িত্ব পালন এবং বাংলাদেশে অবস্থানরত চীনা নাগরিকদের স্থানীয় সমাজের সঙ্গে আরও একীভূত হওয়ার আহ্বান জানান, যাতে দুই দেশের মধ্যে বন্ধুত্বের প্রসারে আরও বেশি অবদান রাখা যায়।
১৯তম এশিয়ান গেমস চীনের হাংঝুতে অনুষ্ঠিত হচ্ছে উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত ইয়াও বলেন, বাংলাদেশ ক্রীড়াবিদদের একটি ‘উদীয়মান’ প্রতিনিধি দল পাঠিয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা চাই তারা প্রতিযোগিতায় শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করুক এবং বাংলাদেশের নাম সুস্পষ্টভাবে তুলে ধরুক।’
আরও পড়ুন: যারা মিয়ানমারের পরিস্থিতি প্রত্যাবাসনের ‘উপযোগী নয়’ বলে দাবি করছে, তারা কখনোই রাখাইন যায়নি: চীনা রাষ্ট্রদূত ইয়াও
স্বাধীনতা রক্ষা করা কঠিন হয়ে যাচ্ছে: শামীম ওসমান
নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান বলেছেন, আজকে স্লোগান দেওয়ার সময় এসেছে যে ‘বীর বাঙালি অস্ত্র ধর বাংলাদেশ রক্ষা কর।’
তিনি বলেন, ‘আজ এমন একটি পরিস্থিতি এসেছে, বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন স্বাধীনতা অর্জনের চেয়ে স্বাধীনতা রক্ষা করা কঠিন। আমার মনে হচ্ছে সামনে আমাদের সেই পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হবে। সে ব্যাপারে আমি আপনাদের নির্দেশনা চাই।’
আরও পড়ুন: শামীম ওসমানের স্ত্রী, পুত্রবধূ ও নাতি করোনায় আক্রান্ত
রবিবার (২০ আগস্ট) নারায়ণগঞ্জ সদরে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে এ কথা বলেন তিনি। এ সময় ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত ছিলেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।
শামীম ওসমান বলেন, এ নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগের সূতিকাগার। বঙ্গবন্ধু তার আত্মজীবনীতে বার বার নারায়ণগঞ্জের কথা বলেছেন। প্রতিটি আন্দোলনে নারায়ণগঞ্জের মানুষ রক্ত দিয়েছে। পঁচাত্তরের পরেও নারায়ণগঞ্জের মানুষ গণতন্ত্রের জন্য রক্ত দিয়েছেন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে।
তিনি বলেন, আপনারা এ দেশ স্বাধীন করে দিয়েছেন। তার চেয়ে বড় কিছু তো আর করার থাকে না। তারপরেও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের দেশ রক্ষার জন্য কথা বলতে হয় এটা দুর্ভাগ্যজনক।
আমরা আপনাদের যোগ্য উত্তরসূরি হতে পারিনি সেজন্য আমরা ক্ষমাপ্রার্থী।
তিনি মন্ত্রীর উদ্দেশে বলেন, আমি প্রস্তাব রাখছি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলাপ করে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জীবিত বীর মুক্তিযোদ্ধা ও মৃতদের পরিবারের সদস্যদের নিয়ে একটি সম্মেলনের আয়োজন করুন।
আরও পড়ুন: নাসিক নির্বাচন: শান্তিপূর্ণ ভোট হওয়ায় প্রশংসা শামীম ওসমানের
নারায়ণগঞ্জ সিটি নির্বাচনে ভোট শুরু
রবীন্দ্র কাছারিবাড়ির সৌন্দর্য রক্ষায় হাইকোর্টের ৩ নির্দেশনা
সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরের রবীন্দ্র কাছারিবাড়ির সৌন্দর্য বিকৃত করার অভিযোগ আইন অনুসারে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়ে রায় প্রকাশ করেছেন হাইকোর্ট।
প্রকাশিত রায়ে আদালত ৩টি নির্দেশনা দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: শীর্ষ মাদক চোরাকারবারিদের তালিকা দাখিলের নির্দেশ হাইকোর্টের
নির্দেশনাগুলো হলো-
১. ডিজি প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরকে (বিবাদী নম্বর -২) শাহজাদপুর রবীন্দ্র কাছারিবাড়ি, সিরাজগঞ্জের ঐতিহাসিক গুরুত্ব ও সৌন্দর্য বিকৃত করে এমন কোনো ভবন/স্থাপনা আছে কিনা তা তদন্ত করার জন্য নির্দেশ প্রদান করা হয়।
২. তদন্তে শাহজাদপুরের রবীন্দ্র কাছারিবাড়ির ঐতিহাসিক গুরুত্ব ও সৌন্দর্য বিকৃত করে এমন কোনো ভবন/স্থাপনা পাওয়া যায় তবে সেসব ভবন/স্থাপনার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে।
৩. শাহজাদপুর রবীন্দ্র কাছারিবাড়ির ঐতিহাসিক গুরুত্ব ও পবিত্রতা রক্ষার্থে ডিজি প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর নিকটস্থ জমি ও ভবনের ব্যাপারে যথাযথ ও উপযুক্ত ব্যবস্থা স্বাধীনভাবে গ্রহণ করতে পারবে।
বুধবার (১৯ জুলাই) বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় প্রকাশ করেছেন।
এর আগে, গত বছরের ১৬ আগস্ট সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরের রবীন্দ্র কাছারিবাড়ি এলাকার সৌন্দর্য বিকৃত করার অভিযোগ আইন অনুসারে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।
এ বিষয়ে জারি করা রুল নিষ্পত্তি করে বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।
আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে ছিলেন সিনিয়র অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি জেনারেল অমিত দাশ গুপ্ত।
সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে রবীন্দ্র কাছারিবাড়ির প্রত্নতত্ত্বের পার্শ্ববর্তী এলাকায় পুরা কীর্তি সংরক্ষণ বিধি অমান্য করে ভবন নির্মাণ করার সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পর ২০১৪ সালে হাইকোর্টের রিট করে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ।
ওই রিটের শুনানি নিয়ে একই বছরের ৫ আগস্ট হাইকোর্ট রুলজারি করে স্থিতাবস্থার আদেশ দেন। ওই রুলের শুনানি শেষে এ রায় দেন হাইকোর্ট।
মনজিল মোরসেদ আরও জানান, আদালত রায়ে উল্লেখ করেছেন- রবীন্দ্র কাছারিবাড়ির ঐতিহাসিক গুরুত্ব আছে এবং অভিযোগ আছে এর সৌন্দর্য বিকৃত করা হচ্ছে। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য এ ধরনের প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপনা সংরক্ষণ করা প্রয়োজন।
আদালত নির্দেশনায় বলেন- ১৯৬৮ সালের পুরাকীর্তি আইন এবং সংবিধানের ২৪ অনুচ্ছেদ অনুসারে রবীন্দ্র কাছারিবাড়ির সৌন্দর্য বিকৃত করার জন্য দায়ী ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা। প্রয়োজনে কোনো ব্যক্তি সম্পত্তি অধিগ্রহণ করতে হলে বিধি অনুসারে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
আরও পড়ুন: সেন্ট্রাল হাসপাতালের ডা. মিলিকে আত্মসমর্পণে হাইকোর্টের নির্দেশ
অভিযোগ গঠন বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে ড. ইউনূসের আবেদন
সংক্রামক রোগ থেকে বিশ্বব্যাপী শিশুদের রক্ষায় সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্বের সমস্ত শিশু যাতে প্রাণঘাতী সংক্রামক রোগ থেকে প্রতিরোধী হয় তা নিশ্চিত করতে সম্মিলিত কাজের ওপর জোর দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার স্পেনের রাজধানী মাদ্রিদে ১৩-১৫ জুন অনুষ্ঠিত গ্যাভি-এর ‘গ্লোবাল ভ্যাকসিন ইমপ্যাক্ট কনফারেন্স: রেইজিং জেনারেশন ইমিউনিটি’-তে ধারণ করা একটি ভিডিও বিবৃতিতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিশ্বব্যাপী সমস্ত শিশু যাতে প্রাণঘাতী সংক্রামক রোগ থেকে প্রতিরোধী হয় তা নিশ্চিত করার জন্য আমাদের অবশ্যই একসঙ্গে কাজ করতে হবে।’
বিশ্বের শিশুদের জন্য টিকাদান একটি মহান উপহার উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি ‘জেনারেশন ইমিউনিটি’ বাড়ানোর সম্মেলনের লক্ষ্যকে সমর্থন করেন।
তিনি বলেন, ভ্যাকসিন তৈরি এবং স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করার জন্য গ্যাভি’র সহায়তার চমৎকার ব্যবহারের মাধ্যমে বাংলাদেশ প্রাথমিক টিকাদানের কভারেজ ৯৮ শতাংশ পর্যন্ত প্রসারিত করেছে।
এই পরিমাণের প্রায় ৮০ শতাংশ হাম, পোলিও এবং নিউমোনিয়ার বিরুদ্ধে নতুন ভ্যাকসিনের জন্য অর্থায়ন করেছে, তিনি বলেন, ‘আমাদের ভ্যাকসিন পরিচালনার জন্য প্রশিক্ষিত কর্মীবাহিনীর একটি প্রশিক্ষিত বহর রয়েছে।’
বাংলাদেশ প্রতি বছর একটি জাতীয় টিকা দিবস পালন করে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের সরকার সমতা ও সামাজিক ন্যায়বিচারের ওপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে জাতীয় টিকাদান নীতি আপডেট করেছে।’
২০০১ সালে শুরু হওয়া বাংলাদেশ এবং গ্যাভি-এর মধ্যে অংশীদারিত্বের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, গ্যাভি’র সহায়তায় বাংলাদেশ এখন জরায়ুর ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য এইচপিভি ভ্যাকসিন চালু করেছে।
আরও পড়ুন: ‘ভ্যাকসিন হিরো’ সম্মাননায় ভূষিত প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘আমরা কলেরা ভ্যাকসিন নিয়ে অগ্রণী কাজ করেছি এবং আমাদের অভিজ্ঞতা অন্য দেশে নিয়ে গিয়েছি।’
কোভিড-১৯ চলাকালীন শেখ হাসিনা মহামারি ভ্যাকসিনকে বৈশ্বিক জনসাধারণের পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার আহ্বান জানান।তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি নতুন আন্তর্জাতিক মহামারী চুক্তি সেই আহ্বানকে প্রতিফলিত করবে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা আমাদের স্থানীয় ফার্মাসিউটিক্যাল শিল্পকে সাশ্রয়ী মূল্যে কার্যকর মহামারি ভ্যাকসিন তৈরি এবং তৈরি করতে সহায়তা করছি।’ ‘আমরা ইমিউনাইজেশনে উদ্ভাবনের বিষয়ে গ্যাভি’র সঙ্গে অংশীদারি করতে প্রস্তুত।’
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত হয়ে বাংলাদেশে এখন আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের শিশুদের টিকা দেওয়ার জন্য গ্যাভি’র সহায়তার কথা স্মরণ করেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ২০০৯ এবং ২০১২ সালে বাংলাদেশ গ্যাভি অ্যালায়েন্স অ্যাওয়ার্ড পাওয়ায় তিনি গর্বিত বোধ করছেন। ‘২০১৯ সালে গ্যাভি’র 'ভ্যাকসিন হিরো' হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়াকে আমি সম্মানের বিষয় বলে মনে করি।’
আরও পড়ুন: চতুর্থ শিল্প বিপ্লব যাতে মানবতাকে ক্ষুণ্ন করতে না পারে: শেখ হাসিনা
তিনি বলেছিলেন, ‘আমার জীবনের লক্ষ্য হলো আমাদের দেশকে আমাদের সন্তান এবং নাতি-নাতনিদের জন্য নিরাপদ, সহনশীল এবং সমৃদ্ধ করা।’
তিনি আশা প্রকাশ করেন যে গ্যাভি টিকা-প্রতিরোধযোগ্য রোগ থেকে শিশুদের বাঁচাতে বাংলাদেশের সমর্থন অব্যাহত রাখবে।
প্রধানমন্ত্রী এই গ্লোবাল ভ্যাকসিন ইমপ্যাক্ট কনফারেন্স আয়োজনের জন্য স্পেন সরকার এবং গ্যাভিকে ধন্যবাদ জানান।
গ্লোবাল ভ্যাকসিন ইমপ্যাক্ট কনফারেন্স গ্যাভির বর্তমান কৌশলগত সময়ের মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে চিহ্নিত।
স্পেন সরকারের সহ-আয়োজক, বৈঠকটি মূল উদ্দেশ্যগুলোর বিরুদ্ধে ভ্যাকসিন অ্যালায়েন্সের অগ্রগতি এবং ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জ ও সুযোগগুলো মোকাবিলার জন্য কৌশল বিকাশের জন্য বিশ্ব নেতাদের এবং টিকাদান বিশেষজ্ঞদের আহ্বান করবে।
২০০০ সাল থেকে সম্মেলনের থিম ‘জেনারেশন ইমিউনিটি বাড়ানো’ সম্ভাব্য মারাত্মক সংক্রামক রোগ থেকে শিশুদের পুরো প্রজন্মকে রক্ষা করার জন্য ভ্যাকসিন অ্যালায়েন্সের অর্জন উদযাপন করে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের অর্থনীতি এখন মর্যাদাপূর্ণ অবস্থানে রয়েছে: প্রধানমন্ত্রী
আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশ নিরলসভাবে কাজ করছে: আইজিপি
পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেছেন, দেশের স্বাভাবিক আইনশৃঙ্খলা বজায় রেখে ২০৪১ সালে উন্নত বাংলাদেশ গড়তে বাংলাদেশ পুলিশ অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ পুলিশ ইতোমধ্যেই সন্ত্রাস, চরমপন্থা ও জঙ্গিবাদ নিয়ন্ত্রণে তার সক্ষমতা দেখিয়েছে। জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে আমাদের অবস্থান জিরো টলারেন্স।
আরও পড়ুন: নির্বাচনের আগে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটালে কঠোর ব্যবস্থা: আইজিপি
সোমবার পুলিশ সদর দপ্তরের হল অব প্রাইডে জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সির (জাইকা) আর্থিক সহায়তায় পরিচালিত ‘বাংলাদেশ পুলিশের অপরাধ প্রতিরোধ সক্ষমতা শক্তিশালীকরণ’- শীর্ষক প্রকল্পের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আইজিপি এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন-জাইকার বাংলাদেশ অফিসের প্রধান প্রতিনিধি তোমোহাইড ইচিগুচি।
জাপানকে অন্যতম প্রধান উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে উল্লেখ করে পুলিশ প্রধান বলেন, জাইকা পরিচালিত এই প্রকল্পের মাধ্যমে আড়াই হাজার পুলিশ কর্মকর্তাকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া সারদায় বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমিতেও প্রশিক্ষকদের প্রশিক্ষণ (টিওটি) কোর্স পরিচালনা করা হয়েছে।
আইজিপি বলেন, এর ফলে অপরাধ দমনে বাংলাদেশ পুলিশের সক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে। পুলিশ ও জনগণের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা আরও সম্প্রসারিত করা হবে।
এছাড়া বঙ্গবন্ধুর 'জনগণের পুলিশ' গড়ে তুলতে সাহায্য করবে।
তিনি আরও বলেন, এই প্রকল্পের একটি বিশেষ দিক হলো স্কুলের শিক্ষার্থীদের মধ্যে নিরাপত্তার বোধ তৈরি করা। যা তাদেরকে ভবিষ্যতে ভালো নাগরিক হতে সাহায্য করবে।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত আইজিপি মো. কামরুল আহসান, পুলিশ মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের পরিচালক মুহাম্মদ তালেবুর রহমান, মহাখালী আব্দুল আজিজ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তাহমিনা বেগম প্রমুখ।
আরও পড়ুন: সব ধর্মীয় উৎসব শান্তিপূর্ণভাবে পালন নিশ্চিত করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করছে: আইজিপি
অপরাধীরা ভালো পথে আসতে চাইলে সুযোগ দেওয়া হবে: আইজিপি
হালদার জীববৈচিত্র্য রক্ষায় নেওয়া হয়েছে বিশেষ কর্মসূচি: শাহাব উদ্দিন
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেছেন, দেশের অনন্য বৈশিষ্ট্য সমৃদ্ধ হালদা নদীর জীববৈচিত্র্য রক্ষায় বিশেষ কর্মসূচি গ্রহণ করেছে সরকার।
তিনি বলেন, এ কর্মসূচি বাস্তবায়নে কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করা হবে। এটি বাস্তবায়িত হলে হালদা নদীর ৯৪ কিলোমিটার এলাকার জীববৈচিত্র্য রক্ষা করা সম্ভব হবে।
আরও পড়ুন: বনভূমি সংরক্ষণে বন বিভাগের কর্মচারীদের নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করতে হবে: পরিবেশমন্ত্রী
বুধবার পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে জাতীয় জীববৈচিত্র্য কমিটির দ্বিতীয় সভায় সভাপতির বক্তব্যে পরিবেশমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, শুধুমাত্র হালদা নদী নয়, দেশের সব অঞ্চলের জীববৈচিত্র্য রক্ষায় কাজ করা হচ্ছে। একাজে সফল হতে সর্বস্তরের জনগণের আন্তরিক সহযোগিতা প্রয়োজন। মানুষের সুস্থভাবে বেঁচে থাকার জন্যই জীববৈচিত্র্য রক্ষা করতে হবে।
সভায় মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার, সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ, অতিরিক্ত সচিব (পরিবেশ) সঞ্জয় কুমার ভৌমিক, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. আবদুল হামিদ, বন অধিদপ্তরের প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমীর হোসাইন চৌধুরীসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ এবং গবেষণা প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা বক্তব্য দেন।
আরও পড়ুন: দেশকে দূষণমুক্ত করা হবে: পরিবেশমন্ত্রী
দেশকে শব্দদূষণমুক্ত করতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে: পরিবেশমন্ত্রী