মির্জা ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুলের জামিন নামঞ্জুর
গত ২৮ অক্টোবর প্রধান বিচারপতির বাসভবন ভাঙচুরের মামলায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেছেন আদালত।
বুধবার(২২ নভেম্বর) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক ফয়সাল আতিক বিন কাদের মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের জামিন আবেদনের শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: বুধবার থেকে আবারও বিএনপির ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ
গত ২০ নভেম্বর জামিন আবেদনের শুনানির দিন ধার্য ছিল। কিন্তু রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীর সময় চেয়ে আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত তা ২২ নভেম্বর পর্যন্ত মুলতবি করেন।
এর আগে গত ২ নভেম্বর বিএনপি নেতার জামিন আবেদন করেন অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন। জামিন আবেদনের পর ২০ নভেম্বর শুনানির দিন ধার্য করেছিলেন আদালত।
আরও পড়ুন: সুপ্রিম কোর্টের রায়ে জামায়াত ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হয়েছে: বিএনপি
এর আগে গত ৩০ অক্টোবর ফখরুলকে কারাগারে পাঠানোর আবেদন করলে ঢাকা মহানগর হাকিম তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
গত ২৯ অক্টোবর গুলশানের বাসা থেকে ফখরুলকে আটক করে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। আটকের প্রায় ১০ ঘণ্টা পর মির্জা ফখরুলকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
রমনা থানায় দায়ের করা মামলায় মির্জা ফখরুলসহ বিএনপির ৫৯ নেতা-কর্মীকে আসামি করা হয়।
আরও পড়ুন: গাজীপুর থেকে বিএনপির ৪ নেতা-কর্মী গ্রেপ্তার
মির্জা ফখরুলের জামিন শুনানি পেছাল
কারাগারে থাকা বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বিরুদ্ধে প্রধান বিচারপতির বাসভবনে ভাঙচুরের অভিযোগের মামলায় জামিন আবেদনের উপর শুনানি হয়নি। আগামী ২২ নভেম্বর জামিন শুনানির পরবর্তী তারিখ ধার্য করেছেন আদালত।
সোমবার (২০ নভেম্বর) বেলা ৩টার দিকে ঢাকার প্রথম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ ফয়সল আতিক বিন কাদেরের আদালতে জামিন শুনানির শুরুতেই মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আব্দুল্লাহ আবু অসুস্থ জানিয়ে শুনানির জন্য সময় চায় রাষ্ট্রপক্ষ।
আরও পড়ুন: মির্জা ফখরুল সিঙ্গাপুর থেকে দেশে ফিরেছেন
এ সময় মির্জা ফখরুলের পক্ষে অর্ধশতাধিক আইনজীবী এর প্রতিবাদ করেন।
তারা বলেন, জামিন শুনানিতে পিপির কোনো প্রয়োজন নেই। আদালতে কোনো বিবিধ মামলার শুনানিতে পিপির উপস্থিতির প্রয়োজন পড়েনি। তারা আদালতের কাছে জামিন শুনানির জন্য প্রকাশ্যে তারিখ চান।
তারা আরও বলেন, আদালত পরে তারিখ জানাবেন বললে এ সময় কিছুটা হট্টগোলের সৃষ্টি হয়। কবে পিপি শুনানি করতে পারবেন জানার জন্য ফোন করা হলে উনার মোবাইল নম্বর বন্ধ পাওয়া গেছে।
এরপর বিকেল ৩টা ১০ মিনিটে আদালতে অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়।
বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা প্রকাশ্যে জামিন শুনানির তারিখ ঘোষণা ছাড়া এজলাস ছাড়তে অস্বীকৃতি জানান। এ মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত দিনের অন্য মামলা শুনানি করতে বাধা দেন আইনজীবীরা।
এমতাবস্থায় ৩টা ১৪ মিনিটে কোনো সিদ্ধান্ত ছাড়াই ১০ মিনিট বিরতি দিয়ে বিচারক ফয়সল আতিক বিন কাদের এজলাস থেকে নেমে যান।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের পক্ষে জামিন শুনানিতে ছিলেন- আইনজীবী জয়নুল আবেদীন, মাসুদ আহমেদ তালুকদার, মো. মোহসিন মিয়া, গোলাম মোস্তফা খান, ওমর ফারুক ফারুকী, ইকবাল হোসেন, হযরত আলী, জয়নুল আবেদীন মেজবাহ প্রমুখ।
গত ২ নভেম্বর ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে মির্জা ফখরুলের জামিনের আবেদন দাখিল করেন তার আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহ।
জামিন শুনানির জন্য সোমবার তারিখ ধার্য করেছিলেন আদালত।
২৯ অক্টোবর মির্জা ফখরুলকে গুলশান-২ এর ৭১ নম্বর সড়কের ১৮ নম্বর বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশ।
গত ২৮ অক্টোবর বিএনপি মহাসমাবেশ থেকে প্রধান বিচারপতির বাসভবনে নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড চালায় বলে অভিযোগ।
এ ঘটনায় মির্জা ফখরুলসহ বিএনপির ৫৯ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে রমনা থানায় মামলা করা হয়।
আরও পড়ুন: মির্জা ফখরুলের মুক্তির দাবি ৬৮ জন বিশিষ্ট নাগরিকের
গুলশানের বাসা থেকে মির্জা ফখরুল আটক
মির্জা ফখরুলের মুক্তির দাবি ৬৮ জন বিশিষ্ট নাগরিকের
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে অবিলম্বে মুক্তি দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন দেশের ৬৮ জন বিশিষ্ট নাগরিক।
এক যৌথ বিবৃতিতে তারা বলেন, রাজনৈতিক সহিংসতা পরিহার এবং সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের পথ তৈরিতে ফখরুলের মুক্তি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।
গত ২৮ অক্টোবর নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে পুলিশের সঙ্গে বিরোধী দলীয় নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষে এক পুলিশ কনস্টেবলসহ দুইজন নিহত হন। এর একদিন পর গুলশানের বাসা থেকে বিএনপি মহাসচিবকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পরে ঢাকা মহানগর হাকিম রাশিদুল আলম জামিন আবেদন নামঞ্জুর করলে তাকে কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়।
আরও পড়ুন: চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে গেলেন মির্জা ফখরুল
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘জাতি এখন একটি গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক সমাজ প্রতিষ্ঠায় আগ্রহী। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নিজেও এই অঙ্গীকারের কথা বলেছেন।’
এতে আরও বলা হয়, আগামী তিন মাসের মধ্যে নিরপেক্ষ সরকারের তত্ত্বাবধানে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক সমাজ প্রতিষ্ঠার দাবি জোরালো হচ্ছে।
তারা বলেন, 'এই মুহূর্তে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে গ্রেপ্তারের ফলে শান্তিপূর্ণ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন প্রক্রিয়া বিপন্ন হয়েছে। আমরা দেখেছি, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে দৃঢ় বিশ্বাসী।’
তারা আরও বলেন, রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বিতা শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে ফখরুলের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। ‘আমরা বিশ্বাস করি, মির্জা ফখরুলের মুক্তি রাজনীতিতে সংঘাত পরিহার এবং গণতান্ত্রিক রীতিনীতি ফিরিয়ে আনতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।’
বিএনপি মহাসচিবকে অবিলম্বে মুক্তি দিয়ে সরকার শান্তিপূর্ণ, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের পথ সুগম করবে বলে আশা প্রকাশ করেন বিশিষ্ট নাগরিকরা।
বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন লেখক বদরুদ্দীন ওমর, অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ, শিক্ষাবিদ অধ্যাপক মাহবুব উল্লাহ, অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ, অধ্যাপক আনোয়ারুল্লাহ চৌধুরী, অধ্যাপক আহমেদ কামাল, অধ্যাপক সাইদুর রহমান, অধ্যাপক এটিএম নুরুল আমিন, অধ্যাপক সাদরুল আমিন, অধ্যাপক আকমল হোসেন, অধ্যাপক এ এফ এম ইউসুফ হায়দার, অধ্যাপক তাজমেরী ইসলাম, অধ্যাপক চৌধুরী আবরার, অধ্যাপক দিলারা চৌধুরী ও অধ্যাপক মোরশেদ হাসান খান।
বিবৃতিটি বিএনপির মিডিয়া সেল থেকে সাংবাদিকদের কাছে পাঠানো হয়েছিল। তবে, ৬৮ জন নাগরিক এতে স্বাক্ষর করেছেন কি না- সে বিষয় ইউএনবি স্বাধীনভাবে যাচাই করতে পারেনি।
আরও পড়ুন: গুলশানের বাসা থেকে মির্জা ফখরুল আটক
মির্জা ফখরুল সিঙ্গাপুর থেকে দেশে ফিরেছেন
গুলশানের বাসা থেকে মির্জা ফখরুল আটক
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে রবিবার সকালে গুলশানের বাসা থেকে আটক করেছে পুলিশ।
বিএনপির মিডিয়া উইং সদস্য শায়রুল কবির খান বলেন, বিএনপির হরতালের মধ্যেই সকাল ৯টা ২৫ মিনিটের দিকে গুলশান-২ নম্বরে ফখরুলের বাসায় অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একটি দল।
ফখরুলকে আটকের বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য করতে পারেনি পুলিশ।
ফখরুলের স্ত্রী রাহাত আরা বেগম জানান, সকালে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) একটি দল তাদের বাসায় এসে ফখরুলসহ অন্যদের সঙ্গে কথা বলেন।
তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী প্রথমে ওই বাড়ির সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ ও হার্ডডিস্ক কেড়ে নেয়।
রাহাত আরা বলেন, ‘১০ মিনিট পর তারা আবার এসে তাকে (ফখরুল) নিয়ে যান।’
তিনি বলেন, ফখরুল খুবই অসুস্থ এবং তার চিকিৎসা চলছে।
তিনি আরও বলেন, ‘আমি মেনে নিতে পারছি না যে ৭৫ বছর বয়সী একজনকে এভাবে নিয়ে যাওয়া হবে।’
আরও পড়ুন: ঢাকার প্রবেশপথে ব্যাপক তল্লাশি, অর্ধশতাধিক আটক
শনিবার নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে সহিংসতার প্রতিবাদে রবিবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত দেশব্যাপী হরতালের ডাক দেওয়ার পরের দিন তাকে আটক করা হয়।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে সহিংস সংঘর্ষে এক পুলিশ কনস্টেবলসহ অন্তত দুইজন নিহত ও কয়েকশ' আহত হওয়ার পর আকস্মিকভাবে সমাবেশ স্থগিত করে হরতাল ঘোষণা করেন ফখরুল।
আরও পড়ুন: কাকরাইলে নির্মাণাধীন ভবন থেকে বিএনপির ২০০ নেতা-কর্মী আটক
নরসিংদী রেলস্টেশনে বিএনপির সঙ্গে সংঘর্ষে ৩ পুলিশ আহত, আটক ৩০
মির্জা ফখরুল সিঙ্গাপুর থেকে দেশে ফিরেছেন
সিঙ্গাপুরে এক সপ্তাহ চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে ঢাকা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন মির্জা ফখরুল।
আরও পড়ুন: নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্য-ভারতের কথায় মাথা ঘামানোর দরকার নেই: মির্জা ফখরুল
বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, বিএনপি মহাসচিব তার স্ত্রী রাহাত আরা বেগমকে নিয়ে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার (২৪ আগস্ট) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ঢাকায় হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে সিঙ্গাপুরের উদ্দেশে বিমানবন্দর ত্যাগ করেন তিনি।
তিনি আরও জানান, ঘাড়ের স্নায়ুতে ব্লকসহ বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যার জন্য ফখরুল সিঙ্গাপুরের ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।
এদিকে তার স্ত্রী রাহাত আরা কিছু স্বাস্থ্য জটিলতার জন্য র্যাফেলস হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।
২০১৫ সালে জেল থেকে মুক্তি পাওয়ার পর ফখরুল চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে যান। যেখানে তার ইন্টারনাল ক্যারোটিড আর্টারি সমস্যা ধরা পড়ে। এরপর থেকে তিনি প্রতি বছর ফলোআপ চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে যান।
আরও পড়ুন: চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে গেলেন মির্জা ফখরুল
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া নির্বাচনের চেষ্টা করবেন না: মির্জা ফখরুল
চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে গেলেন মির্জা ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর গেছেন।
বৃহস্পতিবার (২৪ আগস্ট) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ঢাকায় হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে সিঙ্গাপুরের উদ্দেশে বিমানবন্দর ত্যাগ করেন তিনি।
ব্যক্তিগত সচিব এম ইউনুস আলী ইউএনবিকে জানান, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে রয়েছেন তার স্ত্রী রাহাত আরা বেগম ও মেয়ে মির্জা সাফারুহ।
আরও পড়ুন: তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া নির্বাচনের চেষ্টা করবেন না: মির্জা ফখরুল
তিনি বলেন, ঘাড়ের স্নায়ুতে ব্লকসহ বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যার জন্য ফখরুলকে সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হবে।
এছাড়া বিএনপি নেতার স্ত্রীর ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি হাসপাতালের একজন চিকিৎসকের সঙ্গে অ্যাপয়েন্টমেন্ট রয়েছে বলেও জানান ইউনুস।
তবে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর কবে ঢাকায় ফিরবেন তা জানাতে পারেননি তিনি।
উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়ার পর চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে যান ফখরুল, সেখানে তার ইন্টারনাল ক্যারোটিড আর্টারি সমস্যা ধরা পড়ে। এরপর থেকে প্রতি বছর ফলোআপ চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে যান তিনি।
আরও পড়ুন: নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্য-ভারতের কথায় মাথা ঘামানোর দরকার নেই: মির্জা ফখরুল
নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্য-ভারতের কথায় মাথা ঘামানোর দরকার নেই: মির্জা ফখরুল
দেশের নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ভারত কী বলে, তা নিয়ে মাথা ঘামানোর দরকার নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, ‘আমাদের দরকার, আমাদের মানুষ কী বলে। মানুষ খুব পরিষ্কার করে বলছে, বিদায় হও। আর সময় নেই। যেতে হবে। এই সরকারকে যেতেই হবে।’
রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে শুক্রবার (আগস্ট) আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশে মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: পাল্টা কর্মসূচি দিয়ে আ. লীগ দেশে সংঘাত সৃষ্টির চেষ্টা করছে: মির্জা ফখরুল
তিনি বলেন, পৈশাচিক সরকারের বিরুদ্ধে অপ্রতিরোধ্য প্রতিরোধ গড়ে তুলে তাদের অবশ্যই পরাজিত করতে হবে।
তিনি বলেন, আমাদের পুরো জাতিকে একত্রিত করে এবং মৃত্যুর ভয়কে সাহসী করে একটি ভয়ানক লড়াই চালিয়ে এই শাসনকে পরাজিত করতে হবে এবং অপসারণ করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, এই সরকারকে সরাতে হবে। আমাদের সামনে বিকল্প কোনো পথ নেই। ফিরে যাওয়ার কোনো পথ নেই। আমাদের অস্তিত্বের জন্য, জাতির অস্তিত্বের জন্য সবাইকে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে।
তিনি বলেন, সত্যিকার অর্থে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র, জনগণের সরকার গঠন করতে হবে। বর্তমান শাসনের পতন ঘটলে মিথ্যা মামলা ও তাদের নির্দেশিত রায় টিকবে না। আসুন সবাই সেই সংকল্প নিয়ে মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করে এগিয়ে যাই।
তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, সরকার বিএনপি নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার, জেল, সাজা, এমনকি মৃত্যুদণ্ড দিয়েও বিএনপিকে দমন করতে পারবে না।
তিনি বলেন, আমরা রাস্তায় নেমেছি এবং আমরা আমাদের অধিকার আদায়ের জন্য শান্তিপূর্ণভাবে আমাদের সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছি। এই শাসনের পতন নিশ্চিত করাই আমাদের একমাত্র লক্ষ্য।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী জুবাইদা রহমানকে সাজা দেওয়ার প্রতিবাদে এই সমাবেশের আয়োজন করে বিএনপির ঢাকা দক্ষিণ, উত্তর মহানগর ও জেলা ইউনিট।
এদিকে হাজার হাজার নেতা-কর্মী টানা বৃষ্টিতে নয়াপল্টন এলাকায় হাঁটু পানিতে হেঁটে দল ও সহযোগী সংগঠনের সমাবেশে যোগ দেন। দুপুর ২টায় সমাবেশ শুরু হওয়ার কথা থাকলেও নয়াপল্টন এলাকায় বৃষ্টির পানিতে জমে যাওয়ায় এক ঘণ্টা দেরি হয়।
এ ছাড়া দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার মুখে বিএনপি নেতা-কর্মীরা মিছিলে সমাবেশস্থলে জড়ো হয়ে সরকারবিরোধী বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। কর্মসূচি শেষ হওয়া পর্যন্ত তারা সেখানে জল এবং বৃষ্টির মধ্যে অবস্থান করে।
বিএনপি মহাসচিব দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া ও বৃষ্টি উপেক্ষা করে সমাবেশ সফল করার জন্য দলীয় পদমর্যাদা ও ফাইলের প্রশংসা করেন।
তিনি বলেন, আমি জানি আপনারা কঠোর পরিশ্রম করছেন। আপনারা এখানে বৃষ্টির মধ্যে দাঁড়িয়ে আছেন।
তিনি বলেন, পুলিশের অভিযানে আপনারা রাতে ঘুমাতে পারেন না।
তিনি অভিযোগ করেন, সরকার দিনের বেলায় অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন চায়। কিন্তু বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার করে রাতে তাদের বাড়িতে অভিযান চালায়।
রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার না করে রাজপথে বিএনপির মোকাবিলা করতে ক্ষমতাসীন দলকে আহ্বান জানিয়েছেন এই নেতা।
বিচারের দিনে (কেয়ামতের দিনে) বিচারকরাই আল্লাহর কাছে সবচেয়ে বেশি জবাবদিহি করবেন উল্লেখ করে তিনি বিচারকদের প্রতি অন্যায়ভাবে শাস্তি না দেওয়ার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, আমাদের নেতা-কর্মীদের অন্যায়ভাবে দোষী সাব্যস্ত করার জন্য আপনাকেও একদিন দেশের জনগণের কাছে জবাবদিহি করতে হবে।
ফখরুল বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির কারণে মানুষ চরম দুর্ভোগের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, অন্যদিকে ক্ষমতাসীন দলের নেতারা ব্যাপক দুর্নীতি ও লুটপাট করে বিপুল অর্থ উপার্জন করছে।
বিএনপি নেতা আক্ষেপ করে বলেন, সরকার দেশকে এমন পর্যায়ে নিয়ে গেছে যে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিরাও এখন দুর্নীতিতে লিপ্ত হচ্ছেন।
তিনি বলেন, এ বছর ডেঙ্গুতে রেকর্ড সংখ্যক লোক মারা গেছে। কিন্তু সরকার এ নিয়ে কম চিন্তা করছে। কারণ তাদের একমাত্র ফোকাস হচ্ছে কীভাবে নির্বাচন ছাড়াই আবার ক্ষমতায় আসা যায়।
তিনি আরও বলেন, আমরা তাদের এটি করতে দেব না।
এর আগে গত বুধবার ঢাকার একটি আদালত ২০০৭ সালের দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা একটি দুর্নীতির মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে ৯ বছরের কারাদণ্ড এবং তার স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমানকে ৩ বছরের কারাদণ্ড দেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে এই রায় দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ বিএনপির। এর প্রতিবাদে দেশব্যাপী প্রতিবাদ সমাবেশের ঘোষণা ডাক দেয় দলটি।
আদালতের রায়ের প্রতিবাদে বিএনপির অন্যান্য মহানগর ও জেলা শাখাও একই ধরনের কর্মসূচি পালন করেছে।
আরও পড়ুন: ইইউ রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে মির্জা ফখরুলের বৈঠক
খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করেছেন মির্জা ফখরুল
খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করেছেন মির্জা ফখরুল
রাজধানীতে বিএনপির নির্ধারিত মহাসমাবেশের মাত্র ২ দিন আগে দলের চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করেছেন মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) রাত ৮টায় তিনি রাজধানীর গুলশানে খালেদা জিয়ার বাসভবনে যান এবং তার সঙ্গে প্রায় ৪০ মিনিট বৈঠক করেন।
আরও পড়ুন: সস্ত্রীক করোনায় আক্রান্ত মির্জা ফখরুল
বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান এই তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ফখরুল বিএনপি চেয়ারপার্সনের শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নেন।
দলীয় সূত্র জানায়, বিএনপি মহাসচিব বৃহস্পতিবারের মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে দলের পরিকল্পনা সম্পর্কে বিএনপি চেয়ারপার্সনকে অবহিত করেন। এ বিষয়ে ফখরুলকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনাও দেন বিএনপি চেয়ারপার্সন।
মির্জা ফখরুল সর্বশেষ গত ৮ জুলাই বিএনপি চেয়ারপার্সনের সঙ্গে দেখা করে এক দফা দাবির কথা জানান।
গত ২২ জুলাই এক দফা দাবিতে রাজধানীতে মহাসমাবেশের ঘোষণা দেন বিএনপি মহাসচিব।
সমাবেশস্থলের জন্য নয়াপল্টন বা সোহরাওয়ার্দী উদ্যান চেয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কাছে আবেদন করেছে দলটি।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার চিকিৎসা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য `অপ্রত্যাশিত’: মির্জা ফখরুল
আ.লীগ মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে বিকৃত করেছে: মির্জা ফখরুল
পাল্টা কর্মসূচি দিয়ে আ. লীগ দেশে সংঘাত সৃষ্টির চেষ্টা করছে: মির্জা ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করে বলেন, ২৭ জুলাই রাজধানীতে বিরোধী দলের মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে ক্ষমতাসীন দল তাদের পাল্টা কর্মসূচি দিয়ে সংঘাতময় পরিস্থিতি সৃষ্টির চেষ্টা করছে।
তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, ক্ষমতাসীন দল ও সহযোগী সংগঠনের উসকানিমূলক পদক্ষেপের কারণে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে তার জন্য সরকার দায়ী থাকবে।
সোমবার (২৪ জুলাই) নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই কথা বলেন।
আরও পড়ুন: বিএনপি মাঠে নেমেছে, অধিকার আদায় করেই ঘরে ফিরবে : মির্জা ফখরুল
বিএনপি নেতা বলেন, আপনারা নিশ্চয়ই লক্ষ্য করেছেন এই অবৈধ সরকারের মন্ত্রীরা বেশ কয়েকদিন ধরে গুরুতর হুমকি দিচ্ছেন। এ ছাড়া সরকারের বিশেষ ব্যক্তিরা উসকানিমূলক বক্তব্য দিচ্ছেন, উসকানিমূলক কাজও করছেন।
তিনি বলেন, নগরীতে ২৪ জুলাই যুবলীগের সমাবেশ ছিল। কিন্তু বিএনপির মহাসমাবেশের কারণে তারা সেটি পিছিয়ে ২৭ জুলাই নির্ধারণ করেছে।
তিনি বলেন, এটা স্পষ্ট যে তারা এমন একটি পরিস্থিতি তৈরি করতে চাচ্ছে যা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।
ফখরুল আরও বলেন, ক্ষমতাসীন দলের নেতারা সন্ত্রাসীদের মতো ভাষা ব্যবহার করছেন। তবে দেশের জনগণ তাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলবে।
তিনি বলেন, তাদের দল শান্তিপূর্ণ ও গণতান্ত্রিকভাবে তাদের আন্দোলন অব্যাহত রেখেছে। যদিও সম্প্রতি তাদের দুই নেতা-কর্মীকে হত্যা করা হয়েছে এবং অনেককে হামলা ও মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে।
বিএনপি নেতা বলেন, আমরা আশা করি আওয়ামী লীগ ও যুবলীগ একটি ভয়াবহ সংঘাতময় পরিস্থিতি এড়াবে এবং সরকার তা নিশ্চিত করবে।
তাদের সমাবেশের স্থান সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তারা কর্মসূচির বিষয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারকে জানিয়েছেন। শিগগিরই সমাবেশস্থলের বিষয়ে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করা হবে।
ফখরুল আশা প্রকাশ করেন, ডিএমপি কর্তৃপক্ষ তাদের গণতান্ত্রিক ও শান্তিপূর্ণ মহাসমাবেশ সফল করতে বিএনপিকে সহযোগিতা করবে।
বিএনপি নেতা বলেন, চলমান এক দফা আন্দোলনের মাধ্যমে বর্তমান সরকারের পতন নিশ্চিত করার বার্তা দেবে তারা।
তিনি বলেন, এটি জনগণের আন্দোলন এবং আমি অবশ্যই এই আন্দোলন সফল করব।
মহাসমাবেশ সফল করতে বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠন এবং ঢাকাসংলগ্ন বিভিন্ন জেলা ইউনিটের যৌথসভা শেষে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
ফখরুল বলেন, বর্তমান সরকার রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে ক্ষমতা আঁকড়ে থাকতে চায়।কারণ তারা ভালো করেই জানে যে তারা বৈধ নয়।
তিনি আরও বলেন, তারা আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে দমন-পীড়নের মাত্রা বাড়াচ্ছে।
সবচেয়ে খারাপ বিষয় হলো- তারা আমাদের কথা বলার, মতামত প্রকাশ করার এবং সমাবেশ ও সভা করার সাংবিধানিক অধিকার কেড়ে নিয়েছে।
আরও পড়ুন: ইইউ রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে মির্জা ফখরুলের বৈঠক
আমাদের বক্তব্য স্পষ্ট, হাসিনার সরকারের অধীনে নির্বাচনে অংশ নেব না: মির্জা ফখরুল
ইইউ রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে মির্জা ফখরুলের বৈঠক
বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলির সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
আরও পড়ুন: মির্জা ফখরুলের মুক্তির দাবি ৬০ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকের
মঙ্গলবার (৪ জুলাই) বিকাল ৩টার দিকে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপার্সনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এ বৈঠক শুরু হয় বলে বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান জানান।
তিনি জানান, বৈঠকে বিএনপির মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদসহ ইউরোপীয় ইউনিয়নের দুই কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ‘স্বৈরাচারের’ বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে শ্রমিকদের প্রতি মির্জা ফখরুলের আহ্বান
২০০৯ সালের বিডিআর বিদ্রোহের তদন্ত নিয়ে প্রশ্ন মির্জা ফখরুলের