মির্জা ফখরুল
নারী নির্যাতনসহ নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি কঠোর হস্তে দমন করুন: সরকারকে বিএনপি
দেশে নারীদের হেনস্থা ও নির্যাতনের ক্রমবর্ধমান ঘটনায় গভীর উদ্বেগ জানিয়ে সব নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি কঠোর হস্তে দমন করার ব্যবস্থা নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বিএনপি। এক বিবৃতিতে নানা ধরনের হয়রানিসহ নারীর প্রতি সহিংসতায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
শুক্রবার (৭ মার্চ) বিএনপির সহ-দপ্তর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে তিনি এ নিন্দাজ্ঞাপন করেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘দেশের উন্নয়ন, অগ্রগতিসহ সব ক্ষেত্রে নারীরা পুরুষের পাশাপাশি অগ্রণী ভূমিকা পালন করছেন। শিক্ষাক্ষেত্রেও নারীরা যে, অগ্রগামিতা দেখাচ্ছে তা অত্যন্ত প্রশংসনীয়। দেশের ন্যায় বিদেশেও নারীরা প্রশসংনীয় ভূমিকা রেখে দেশের সম্মান বৃদ্ধি করছে।’
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন স্থানে শিক্ষার্থী, ‘শ্রমিকসহ বিভিন্ন পেশার নারীদের হেনস্থা করা হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ধর্ষণ ও নির্যাতন করে নারীদের হত্যা করা হচ্ছে। ফ্যাসিস্ট সরকার ক্ষমতাসীন হওয়ার পর থেকে এর ব্যাপকতা বৃদ্ধি পেয়েছে।’
‘আওয়ামী সরকার নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়নি এবং বিচারহীনতার কারণে নির্যাতনকারীরা আরও উৎসাহিত ও বেপরোয়া হয়েছে, যা বর্তমানেও চলমান।।’
আরও পড়ুন: নির্বাচনি ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে সতর্ক থাকুন: তারেক রহমান
এসব ঘটনায় উদ্বেগ জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘রাস্তাঘাটে ও শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানে নারীদের বিভিন্নভাবে হেনস্থা করার প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে। এ ধরনের প্রবণতা বিপজ্জনক। এই সব ঘটনা ঘটিয়ে নৈরাজ্য ও অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করছে।’
এই জ্যেষ্ঠ রাজনীতিক বলেন, ‘নারীদের সম্মান রক্ষা ও নারী স্বাধীনতা রক্ষা করা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব, যা নারীদের সংবিধান-স্বীকৃত অধিকার। নারী নির্যাতনসহ দেশের সার্বিক নৈরাজ্যকর পরিস্থিতিতে দেশের মানুষ এখন চরম উদ্বিগ্ন। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও বিরোধিতা করছি এবং একই সঙ্গে সবাইকে সচেতনভাবে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের আহ্বান জানাচ্ছি।’
অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘সরকারকে নারী নির্যাতনসহ সব নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি কঠোর হস্তে দমন করে দেশে ন্যায়বিচার ও শান্তি প্রতিষ্ঠা করার আহ্বান জানাচ্ছি।’
১৭ দিন আগে
হঠাৎ অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে মির্জা ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর হঠাৎ অসুস্থ হয়ে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। সোমবার (৩ মার্চ) বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান এমন তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘গতকাল হঠাৎ অসুস্থ হয়ে তিনি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে তিনি চিকিৎসা নিচ্ছেন। আজ অনেকটা ভালো আছেন।’
আরও পড়ুন: দ্রুত সময়ে নির্বাচন দিয়ে জনগণের হাতে ক্ষমতা তুলে দিন: মির্জা ফখরুল
দলটির মিডিয়া সেল থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বই মেলায় বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে অংশ নিতে গিয়ে মির্জা ফখরুল ধুলাবালির কারণে অসুস্থতা অনুভব করেন। পরে চিকিৎসকের পরামর্শে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
চিকিৎসক ও মির্জা ফখরুলের পক্ষ থেকে তাকে দেখতে হাসপাতালে অযথা ভিড় না করতে অনুরোধ করা হয়েছে। তবে তিনি সুস্থতার জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন।
২১ দিন আগে
দ্রুত সময়ে নির্বাচন দিয়ে জনগণের হাতে ক্ষমতা তুলে দিন: মির্জা ফখরুল
গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা করা মূল লক্ষ্য উল্লেখ করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, দ্রুত সময়ের মধ্যে নির্বাচন দিয়ে জনগণের হাতে ক্ষমতা তুলে দিন।
তিনি বলেন, দেশে যে অশান্তি সৃষ্টি হয়েছে নির্বাচন দিলে তা আর হবে না। আমরা লড়াই করতে চাই লড়াই করে নিজেদের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে চাই।
সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবিতে ৪৮ ঘণ্টার তিস্তা বাঁচাও অবস্থান কর্মসূচির জনতার সমাবেশে এসব কথা বলেন।
ফখরুল বলেন, বাংলাদেশের আগামী দিনের কান্ডারি দেশনায়ক তারেক রহমান গণতান্তিক সরকারের জন্য মানুষকে সংগঠিত করে যাচ্ছেন। আমরা নির্বাচন দিয়ে আমাদের জনপ্রতিনিধি নির্বাচন করতে চাই—যারা আমাদের কথা সংসদে বলবে।’
তিনি আরও বলেন, প্রধান উপদেষ্টা আপনি নিরপেক্ষ। তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে নিরপেক্ষ থাকলে হবে না, তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে আপনার পদক্ষেপ নিতে হবে। আমরা আমাদের পায়ের উপর দাঁড়াতে চাই। আমাদের ন্যায্য হিসাব আমরা বুঝে নিতে চাই। বন্ধুত্ব থাকবে তিস্তার ন্যায্য হিস্যার ক্ষেত্রে কোনো বন্ধুত্ব নেই। এ আন্দোলন মানুষের বেঁচে থাকার আন্দোলন। লড়াই ছাড়া কিছু পাওয়া যায় না আমরা লড়াই করে তিস্তা ন্যায্য হিস্যা বাস্তবায়ন করতে চাই।
বিএনপির রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুল হাবিব দুলুর সভাপতিত্বে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, কেন্দ্রীয় ওয়ার্কাস পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, জাতীয় পার্টি (জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা সংগীত শিল্পী বেবী নাজনীন প্রমুখ বক্তব্য দেন।
'জাগো বাহে তিস্তা বাঁচাই’ -স্লোগানে অবস্থান কর্মসূচি পালনে নদী পাড়ে দলে দলে দেশের ১২৫ কিলোমিটার দীর্ঘ তিস্তা নদীর ১১টি পয়েন্টে এক যোগে টানা ৪৮ ঘণ্টার ওই অবস্থান কর্মসূচিতে ৫ জেলার কয়েক লাখ মানুষ জমায়েত হয়েছেন।
সোমবার সকালে গিয়ে দেখা যায়, তিস্তা রেলসেতু ও তিস্তা সড়ক সেতুর মধ্যস্থানে আয়োজিত অবস্থান কর্মসূচিতে নারী পুরুষ দলে দলে এসে অবস্থান নিচ্ছেন। ১১টি পয়েন্টের তাবু গেড়ে ভেতরে মানুষ বিছানা পেতে অবস্থান নিয়েছে। সেখানে লক্ষাধিক মানুষের থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। বিশাল বিশাল প্যান্ডেল ও শতাধিক তাবু টানানো হয়েছে। দুপুর গড়িয়ে জনসমুদ্রে পরিণত হয় তিস্তা নদী পাড়।
অবস্থান কর্মসূচি সফল করতে নীলফামারী, রংপুর, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম ও গাইবান্ধা জেলার ১২৫ কিলোমিটার দীর্ঘ নদী পাড়ের গুরুত্বপূর্ণ ১১টি স্থানে মঞ্চ তৈরি করা হয়েছে। শেষদিন ১৮ ফেব্রুয়ারি এসব মঞ্চে দিনভর থাকবে তিস্তা পাড়ের মানুষের সুখ দুঃখের ওপর প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনী, ভাওয়াইয়া গানের আসর, ঘুড়ি উৎসবসহ নানান গ্রামীণ খেলাধুলা। এভাবে টানা ৪৮ ঘণ্টা তিস্তা নদীর তীরেই অবস্থান করবেন রংপুরের ৫টি জেলার কয়েক লাখ মানুষ।
সমাবেশের বিভিন্ন স্পটগুলোতে পৃথক পৃথকভাবে অতিথি হিসেবে উপস্থিত আছেন— বিএনপি স্থায়ী কমিটি সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ, গণসংহতির সভাপতি জুনায়েদ সাকি।
৩৫ দিন আগে
ফ্যাসিস্ট সরকার আমাদের বুকে চেপে বসেছিল: মির্জা ফখরুল
দেশে গণতন্ত্রের কোনো বিকল্প নেই বলে জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ‘গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই। এ নির্বাচনেই মুক্ত হবে গণতন্ত্র। বিগত অবৈধ ফ্যাসিস্ট সরকার একটা পাথরের মতো আমাদের বুকে চেপে বসেছিল।’
রবিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ঠাকুরগাঁও সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় বড় মাঠে জেলা বিএনপি আয়োজিত জিয়া স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধনকালে এ মন্তব্য করেন তিনি।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘ক্রীড়াঙ্গন বলেন, সংস্কৃতি বলেন, ও সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে গণতন্ত্র প্রয়োজন। আর গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য নির্বাচনই হচ্ছে একমাত্র পথ।’
‘গত ১৫ বছর আমরা ভয়ঙ্কর সময় পার করেছি। বিগত অবৈধ ফ্যাসিস্ট সরকার একটা পাথরের মতো আমাদের বুকে ছিল। তারা দানবের মতো দেশের সব প্রতিষ্ঠানসহ আমাদের খেলার মাঠগুলোকে ধ্বংস করে দিয়েছে। আমাদের ফুটবল-ক্রিকেটসহ ক্রীড়াঙ্গন ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনকে ধ্বংস করে দিয়েছে।’
ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘গত বছর ছাত্র-জনতার হাত ধরে ভূমিকম্প হয়ে গেল। তাদের গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে নতুন একটি বাংলাদেশের সৃষ্টি। একটি রাজনৈতিক দল আজ সারা দেশে ফুটবল ও ক্রিকেট টুর্নামেন্টের আয়োজন করছে।’
আরও পড়ুন: আগে জাতীয়, পরে স্থানীয় নির্বাচন: মির্জা ফখরুল
এসময় বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক খেলোয়াড় ও দলটির কেন্দ্রীয় কমিটির ক্রীড়া সম্পাদক আমিনুল হক, বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের ভাইস-চেয়ারম্যান ও কেন্দ্রীয় কমিটির পল্লী ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ফরহাদ হোসেন আজাদ, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও ঠাকুরগাঁও জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফয়সাল আমিন, বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক খেলোয়াড় সৈয়দ রুম্মান বিন ওয়ালী সাব্বিরসহ জেলা-উপজেলার নেতৃবৃন্দ ও ক্রীড়া প্রেমিরা উপস্থিত ছিলেন।
দলটির কেন্দ্রীয় কমিটির ক্রীড়া সম্পাদক আমিনুল হক বলেন, ‘আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকার ক্রীড়াঙ্গনকে সম্পূর্ণ দলীয়করণ করেছিল। ফলে ক্রীড়াঙ্গন ধ্বংস হয়ে গেছে। আমরা ক্রীড়াঙ্গনকে দলীয়মুক্ত করতে চাই। আর তাই আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দিক নির্দেশনায় এ ব্যাপারে কাজ করছি।’
৩৬ দিন আগে
ঠাকুরগাঁওয়ে মির্জা ফখরুলের আশ্বাসে হরতাল প্রত্যাহার
সম্মেলন স্থগিত হওয়ার জেরে ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গীতে বিএনপির ডাকা অনির্দিষ্টকালের হরতাল দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের আশ্বাসে প্রত্যাহার করেছেন আন্দোলনকারীরা।
শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১টায় হরতাল প্রত্যাহার বিষয়টি নিশ্চিত করেন বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবর রহমান।
তিনি জানান, মহাসচিবের সুষ্ঠু সমাধানের আশ্বাসের কারণে হরতাল প্রত্যাহার করা হয়েছে।
আজ (শনিবার) ভোর সাড়ে ৫টা থেকে ৬ ঘণ্টার হরতালে উপজেলার বিভিন্ন পয়েন্টে পিকেটিং করেন হরতাল সমর্থনকারীরা। এর ফলে ভোগান্তিতে পড়ে সাধারণ পথচারীরা। বিশেষ করে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা কোচের যাত্রী ও স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীরা।
আরও পড়ুন: এ বছরই নির্বাচন চাচ্ছে বিএনপি-খেলাফত মজলিস
এর আগে, শুক্রবার গভীর রাতে উপজেলার দুওসুও ইউনিয়ন বিএনপির কাউন্সিল বন্ধ করে দেয় জেলা বিএনপি। এর জেরে হরতালের ডাক দেয় বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা বিএনপির একাংশ।
র্দীঘদিন পর উপজেলার ৮টি ইউনিনের মধ্যে ৪টি ইউনিয়নের সম্মেলনের তারিখ ঘোষণা করেছিল উপজেলা বিএনপি। আজ দুওসুও ইউনিয়ন বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলন হওয়ার কথা ছিল। সম্মেলনকে ঘিরে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেন ইউনিয়ন বিএনপি। কিন্তু সম্মেলন শুরুর কয়েক ঘণ্টা আগে হঠাৎ জেলা বিএনপি সম্মেলনটি স্থগিতের ঘোষণা দেয়। জেলা বিএনপির এমন সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে বালিয়াডাঙ্গী চৌরাস্তায় বিক্ষোভ মিছিল বের করেন প্রার্থী ও ভোটাররা। এ সময় অনির্দিষ্টকালের জন্য হরতালের ডাক দেন তারা। দুপুরে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের আশ্বাসে হরতাল প্রত্যাহার করে নেন তারা।
৫১ দিন আগে
ফখরুলের নিরপেক্ষ সরকারের দাবি আরেকটা ১/১১ সরকার গঠনের ইঙ্গিত: নাহিদ
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নিরপেক্ষ সরকারের দাবি মূলত আরেকটা ১/১১ সরকার গঠনের ইঙ্গিত বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম। এ ধরনের পরিকল্পনা গণতন্ত্র ও জাতীয় স্বার্থের বিরোধী—এমন পরিকল্পনা হলে বিন্দুমাত্র ছাড় দেওয়া হবে না বলেও জানান তিনি।
বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) এক ফেসবুক পোস্টে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের এই নেতা বলেন, ‘বিএনপি মহাসচিবের নিরপেক্ষ সরকারের দাবি মূলত আরেকটা ১/১১ সরকার গঠনের ইঙ্গিত বহন করে। ১/১১ এর বন্দোবস্ত থেকেই আওয়ামী ফ্যাসিজমের উত্থান ঘটেছিল। বিএনপি মহাসচিবের বক্তব্যে সামনে আরেকটা ১/১১ সরকার, সংসদীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতা ও নতজানু পররাষ্ট্রনীতির ধারাবাহিকতা এবং গুম-খুন ও জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচার না হওয়ার আলামত রয়েছে।’
এর আগে জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক আলোচনায় ফখরুল বলেন, ‘কোনো কোনো ক্ষেত্রে বর্তমান সরকার নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে ব্যর্থ হয়েছে। যদি অন্তবর্তীকালীন সরকার পক্ষপাতমুক্ত থাকতে না পারে, তাহলে নির্বাচনের সময় একটি নিরপেক্ষ সরকার দরকার। আমাদের পর্যবেক্ষণ বলছে, বেশ কিছু বিষয়ে অন্তবর্তীকালীন সরকার নিরপেক্ষতা ধরে রাখতে পারছে না।’
আরও পড়ুন: অন্তর্বর্তী সরকারে নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন ফখরুলের
সেই প্রসঙ্গ টেনে নাহিদ বলেন, রাষ্ট্রপতির পরিবর্তন, সংস্কার, নতুন সংবিধান, জুলাই ঘোষণা—সব ইস্যুতেই বিএনপি বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। অথচ এগুলোর কোনোটিই ছাত্রদের দলীয় কোনো দাবি ছিল না। দেশের স্থিতিশীলতা, বৃহত্তর স্বার্থ ও জাতীয় ঐক্য ধরে রাখার জন্য ছাত্ররা বারবার তাদের অবস্থান থেকে সরে এসেছে। কিন্তু এর মানে এই না যে গণতন্ত্র ও অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষাবিরোধী কোনো পরিকল্পনা হলে সেখানে আমরা বিন্দু পরিমাণ ছাড় দেব।
তিনি বলেন, “আওয়ামী লীগ বিষয়ে ভারতের প্রধান দলগুলোর মধ্যে ঐক্য সম্ভব হয়েছে, অথচ বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ বিষয়ে আমরা ঐক্য করতে পারিনি এত হত্যা ও অপরাধের পরেও। হায় এই ‘জাতীয় ঐক্য’ লইয়া আমরা কী রাষ্ট্র বানাব!”
“বাংলাদেশকে দুর্বল করা সহজ, কারণ বাংলাদেশকে সহজেই বিভাজিত করা যায়। এ দেশের বড় বড় লোকেরা অল্পমূল্যে বিক্রি হওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকে।”
৫ আগস্ট থেকে ছাত্রদের ‘মাইনাস’ করার পরিকল্পনা
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে শেখ হাসিনা যেদিন ক্ষমতা ছেড়ে পালিয়ে যান, সেই ৫ আগস্ট থেকেই ছাত্র ও অভ্যুত্থানকারীদের মাইনাস করার পরিকল্পনা হয়েছে বলে দাবি করেছেন নাহিদ।
এ বিষয়ে তিনি বলেছেন, ‘ছাত্র ও অভ্যুত্থানের নেতৃত্বকে মাইনাস করার পরিকল্পনা ৫ আগস্ট থেকেই শুরু হয়েছে। ৫ আগস্ট যখন ছাত্র-জনতা রাজপথে লড়াই করছে, পুলিশের গুলি অব্যাহত রয়েছে, তখন আমাদের আপোষকামী অনেক জাতীয় নেতা ক্যান্টনমেন্টে জনগণকে বাদ দিয়ে নতুন সরকার করার পরিকল্পনায় ব্যস্ত ছিলেন (অনেকে ছাত্রদের কথাও বলেছেন সেখানে)।’
‘৩ আগস্ট থেকে বলে আসছি, আমরা কোনোপ্রকারের সেনাশাসন বা জরুরি অবস্থা মেনে নেব না। আমাদেরকে বারবার ক্যান্টেন্টমেন্টে যেতে বলা হলেও আমরা যেতে অস্বীকার করি। শেষ পর্যন্ত বঙ্গভবনে আলোচনা ও বার্গেনিংয়ের (তর্ক-বিতর্ক) মাধ্যমে ড. ইউনূসকে প্রধান করে অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের সিদ্ধান্ত হয়।’
জুলাই আন্দোলনের এই নেতা বলেন, ‘আমরা চেয়েছিলাম ফ্যাসিবাদবিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো ও নাগরিক সমাজের সমন্বয়ে একটা জাতীয় সরকার। জাতীয় সরকার হলে ছাত্রদের হয়তো সরকারে আসার প্রয়োজন হতো না। জাতীয় সরকার অনেকদিন স্থায়ী হবে—এই বিবেচনায় বিএনপি জাতীয় সরকারে রাজি হয়নি।’
‘কিন্তু অভ্যুত্থানের পরেই দেশে জাতীয় সরকারের প্রয়োজনীয়তা সবচেয়ে বেশি ছিল। অথচ বিএনপি জাতীয় সরকারের কথা বলতেছে সামনের নির্বাচনের পরে।’
নাহিদ বলেন, ‘ছাত্ররাই এই সরকারের এবং বিদ্যমান বাস্তবতার একমাত্র ফ্যাক্টর; যেটা ১/১১ এর সরকার থেকে বর্তমান সরকারকে সম্পূর্ণভাবে আলাদা করে। বিএনপি কয়েকদিন আগে মাইনাস টু-এর আলোচনা করলেও এখন ক্ষমতায় যাওয়ার পথ সুগম করার জন্য নিরপেক্ষ সরকারের নামে আরেকটি ১/১১ সরকারের প্রস্তাবনা করছে।’
‘এ ধরনের পরিকল্পনা গণতন্ত্র ও জাতীয় স্বার্থের বিরুদ্ধে যাবে এবং ছাত্র-জনতা কোনোভাবেই এটা মেনে নেবে না। এবং আমি মনে করি এটা বিএনপির বিরুদ্ধেও ষড়যন্ত্র।’
‘আর এই সরকার জাতীয় সরকার না হলেও সরকারে আন্দোলনের সব পক্ষেরই অংশীদারত্ব রয়েছে এবং সবপক্ষই নানা সুবিধা ভোগ করছে। সরকার গঠনের আগেই ৬ আগস্ট অ্যাটর্নি জেনারেল ও পুলিশের আগের আইজির নিয়োগ হয়েছিল, যারা মূলত বিএনপির লোক। এরকমভাবে সরকারের ওপর থেকে নিচ পর্যন্ত নানান স্তরে বিএনপিপন্থী লোকজন রয়েছে। নির্বাচনের নিরপেক্ষতার কথা বললে এই বাস্তবতাও মাথায় রাখতে হবে’, বলেন তথ্য উপদেষ্টা।
৬০ দিন আগে
দেশে নতুন চক্রান্তের সৃষ্টি হয়েছে: মির্জা ফখরুল
দেশে নতুন করে ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত শুরু হয়েছে বলে মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এতে মাথা নত না করে জনগণের একটি সরকার প্রতিষ্ঠা করতে আমাদের সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।
শনিবার (৪ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় ঠাকুরগাঁও পাবলিক লাইব্রেরি মাঠে জেলা ছাত্রদলের আয়োজনে ছাত্র সমাবেশে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
মির্জা ফখরুল বলেন, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকার এ দেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়ে পালিয়েছে। দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করে দিয়েছে। অনেক ছাত্রকে হত্যা করেছে। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে কয়েক হাজার ছাত্র-ছাত্রীকে হত্যা করেছে। আওয়ামী লীগ যখনই ক্ষমতায় আসে তারা গায়ের জোরে ক্ষমতায় টিকে থেকেছে।
১৯৭৫ সালের আগে আওয়ামী লীগের শাসনব্যবস্থা নিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ’৭৫ সালের আগে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় ছিল। তারা ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় দুর্নীতি ও লুটপাট করেছে। দেশকে বাকশাল করে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা কায়েম করেছিল। একদলীয় শাসন ব্যবস্থা থেকে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছিলেন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। তিনি সংবাদপত্রের স্বাধীনতা দিয়েছিলেন। সেইসঙ্গে শিক্ষার মান উন্নয়নে কাজ করেছেন।
আরও পড়ুন: সচিবালয়ের অগ্নিকাণ্ডে সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীদের শাস্তি চান মির্জা ফখরুল
ছাত্রদল-কর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ছাত্রদলকে সবসময় জ্ঞানভিত্তিক চর্চা ও জ্ঞানভিত্তিক রাজনীতি করতে হবে। বিগত বছরগুলোতে ছাত্রদল অনেক ত্যাগ-তিতীক্ষা সহ্য করেছে, মামলা-মোকদ্দমার স্বীকার হয়েছে। এখন আল্লাহর অশেষ রহমতে আমরা ফ্যাসিবাদমুক্ত হতে পেরেছি। এখন সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে আমাদের প্রিয় বাংলাদেশকে নতুন করে গোড়ে তোলার এবং আজকের এ ছাত্ররাই তা পারবে বলে আমি বিশ্বাস করি।
সমাবেশে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফয়সল আমীন, সহ-সভাপতি ওবায়দুল্লাহ মাসুদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পয়গাম আলী, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মোহাম্মদ কায়েসসহ জেলা ও উপজেলা বিএনপি ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
৭৯ দিন আগে
সীমান্ত হত্যা কখনোই মেনে নেওয়ার নয়: মির্জা ফখরুল
সীমান্ত হত্যা কখনোই মেনে নেওয়ার নয় বলে মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বিএনপি সবসময়ই এই দাবি জানিয়ে আসছে।
বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ব্যক্তিগত সফরে সিলেট গিয়ে তিনি এই মন্তব্য করেন।
সিলেট ওসমানী আর্ন্তজাতিক বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘ভারতের উচিত সীমান্ত হত্যা বন্ধ করা। সীমান্ত হত্যা কখনোই মেনে নেওয়ার নয়।’
আরও পড়ুন: সতর্ক থাকুন, দেশকে কেউ যেন বিভক্ত করতে না পারে: মির্জা ফখরুল
তিনি বলেন, ‘ফ্যাসিবাদমুক্ত দেশ নতুনভাবে গড়ে তোলার দায়িত্ব আমাদের সবার। দেশের গণতন্ত্র পুনর্প্রতিষ্ঠার জন্যই বিএনপি কাজ করছে।’
এ সময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী, সিলেট মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রেজাউল হাসান কয়েস লোদী, সিলেট জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরী, সিলেট মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এমদাদ হোসেন চৌধুরী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
৮৯ দিন আগে
হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরেছেন মির্জা ফখরুল
সাভার সেনানিবাসের সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) দুই ঘণ্টার বেশি সময় চিকিৎসাধীন থাকার পর গুলশানের বাসায় ফিরেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
দুপুর ২টার দিকে তিনি বাসায় ফেরেন বলে জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন।
জাহিদ বলেন, ‘তিনি (ফখরুল) সুস্থ আছেন, ভালো আছেন। এখন তিনি বিশ্রামে আছেন।’
আরও পড়ুন: অসুস্থ ফখরুল, নেওয়া হয়েছে সাভার সিএমএইচে
তিনি বলেন, ‘সাভার সিএমএইচে ওনার কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়েছে। রিপোর্টগুলোর ফলাফল ভালো। সিএমএইচের চিকিৎসকরা রিপোর্ট পর্যালোচনা করে বিএনপি মহাসচিবকে বাসায় যাওয়ার ছাড়পত্র দেন।’
এদিন সকালে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় হঠাৎ করে অসুস্থ হয়ে সেখানেই বসে পড়েন ফখরুল। একপর্যায়ে মাটিতে শুয়েও পড়েন তিনি। পরে তাকে সিএমএইচে নেওয়া হয়।
৯৮ দিন আগে
গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে ধৈর্য ধরতে বলেছেন তারেক রহমান: মির্জা ফখরুল
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বার্তা জনগণের কাছে পৌঁছে দিয়ে জাতীয় নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে ধৈর্য ধরার আহ্বান জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
লন্ডন থেকে ফিরে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আপনাদের (জনগণকে) ধৈর্য ধরার আহ্বান জানিয়েছেন। ছাত্র-নেতৃত্বাধীন গণআন্দোলনের মাধ্যমে অর্জিত মহান বিজয়কে সত্যিকার অর্থে ফলপ্রসূ এবং অর্থবহ করতে আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে এবং ধৈর্যের সঙ্গে কাজ করতে হবে।’
আগামী নির্বাচনের প্রস্তুতির দিকে সবাইকে মনোযোগী হওয়ার আহ্বান জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, এটি গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের পথে প্রথম গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।
আরও পড়ুন: তারেকের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে লন্ডন যাচ্ছেন ফখরুল
তারেক রহমানের কাছ থেকে তিনি কী বার্তা নিয়ে এসেছেন-সে বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
১২ দিনের সফর শেষে লন্ডন থেকে দেশে ফেরেন ফখরুল। স্ত্রী রাহাত আরা বেগমকে সঙ্গে নিয়ে দুপুর পৌনে ১২টায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান তিনি।
ফখরুল বলেন, লন্ডনে অবস্থানকালে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের সঙ্গে তাদের বৈঠক হয়েছে।
ফখরুল বলেন, তিনি প্রবাসী বাংলাদেশি ও বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গেও কথা বলেছেন এবং তাদের আয়োজিত মিটিংয়ে যোগ দিয়েছেন।
তিনি বলেন, 'ওখানে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। আমার লন্ডন সফর ফলপ্রসূ হয়েছে।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশকে সাম্প্রদায়িক করার ষড়যন্ত্র চলছে, সতর্ক থাকুন: ফখরুল
১০২ দিন আগে