খালেদা জিয়া
৬ বছর পর রাজনৈতিক অনুষ্ঠানে যোগ দিচ্ছেন খালেদা
ছয় বছর পর কোনো রাজনৈতিক অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। আগামী ২১ ডিসেম্বর জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি অংশ নিচ্ছেন।
মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি সৈয়দ ইশতিয়াক আজিজ উলফাত জানান, শনিবার (২১ ডিসেম্বর) বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে মুক্তিযোদ্ধাদের সমাবেশের আয়োজন করা হবে।
উলফাত বলেন, শনিবার রাতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য হাফিজ উদ্দিন আহমেদকে সঙ্গে নিয়ে তিনি বিএনপি চেয়ারপারসনের সঙ্গে দেখা করে আনুষ্ঠানিকভাবে তাকে অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানান। ‘তিনি রাজি হয়েছেন... তিনি বলেছেন, সুস্থ থাকলে মুক্তিযোদ্ধাদের সমাবেশে যোগ দেবেন। আমরা আশা করছি ম্যাডাম এই অনুষ্ঠানে অংশ নিতে পারবেন।’
আরও পড়ুন: ভিসা প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে বিকালে মার্কিন দূতাবাস যাচ্ছেন খালেদা জিয়া
২০১৮ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি ঢাকার একটি হোটেলে বিএনপির বর্ধিত সভায় সভাপতিত্ব করেন খালেদা জিয়া। এটিই ছিল তার শেষ রাজনৈতিক কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ। এর তিন দিন পর ৮ ফেব্রুয়ারি দুর্নীতি দমন কমিশনের দায়ের করা মামলায় তাকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
উলফাত বলেন, ২১ ডিসেম্বর বিজয় দিবস উদযাপনের সমাবেশে সারাদেশ থেকে মুক্তিযোদ্ধারা অংশ নেবেন।
এর আগে ২১ নভেম্বর সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে ছয় বছরের মধ্যে প্রথম জনসমক্ষে আসেন এবং রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে অংশ নেন খালেদা জিয়া।
খালেদা জিয়া লিভার সিরোসিস, হার্ট, ফুসফুস, কিডনি ও চোখের সমস্যাসহ বেশ কয়েকটি গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যায় ভুগছেন। শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বাধীন মেডিকেল বোর্ডের তত্ত্বাবধানে শর্তসাপেক্ষে মুক্তি পাওয়ার পর থেকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে একাধিকবার চিকিৎসা নিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন: জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় খালাস পেলেন খালেদা জিয়া
১ সপ্তাহ আগে
ভিসা প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে বিকালে মার্কিন দূতাবাস যাচ্ছেন খালেদা জিয়া
ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে আঙুলের ছাপ দিতে আজ বিকালে ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসে যাওয়ার কথা রয়েছে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার।
খালেদা জিয়ার মিডিয়া সেলের সদস্য শামসুদ্দিন দিদার তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক এ জেড এম জাহিদ হোসেনের বরাত দিয়ে জানান, বিএনপি চেয়ারপারসন দুপুর ২টার দিকে গুলশান কার্যালয় থেকে মার্কিন দূতাবাসের উদ্দেশে রওনা হবেন।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, আগামী মাসের প্রথম দিকে বিএনপি চেয়ারপারসন যুক্তরাজ্য যাবেন।
পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তিনি যুক্তরাষ্ট্র বা জার্মানিতে যেতে পারেন। এরই মধ্যে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ভিসার জন্য আবেদন করেছেন।
আরও পড়ুন: গ্যাটকো দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়াসহ ২ জন খালাস
সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া লিভার সিরোসিস, হার্ট, ফুসফুস, কিডনি এবং চোখের সমস্যাসহ বিভিন্ন গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যায় ভুগছেন।
শর্তসাপেক্ষে মুক্তির পর থেকে ডা. শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে মেডিকেল বোর্ডের তত্ত্বাবধানে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে একাধিকবার চিকিৎসা নিয়েছেন তিনি।
উন্নত মেডিকেল সেন্টারে বিশেষায়িত চিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশে পাঠানোর জন্য প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা করেছে বিএনপি।
আরও পড়ুন: জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় খালাস পেলেন খালেদা জিয়া
৩ সপ্তাহ আগে
জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় খালাস পেলেন খালেদা জিয়া
জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলা থেকে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে খালাস দিয়েছেন হাইকোর্ট।
খালেদা জিয়ার আইনজীবীদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার (২৭ নভেম্বর) বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: ৬ বছরে প্রথমবার জনসমক্ষে এলেন খালেদা জিয়া
একই মামলায় খালেদা জিয়াসহ তিনজনকে দেওয়া নিম্ন আদালতের রায় বাতিল করেছেন হাইকোর্ট।
অজ্ঞাত উৎস থেকে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে তহবিল সংগ্রহের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে ২০১১ সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় এ মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
আরও পড়ুন: গ্যাটকো দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়াসহ ২ জন খালাস
৩ সপ্তাহ আগে
৬ বছরে প্রথমবার জনসমক্ষে এলেন খালেদা জিয়া
১২ বছর পর বৃহস্পতিবার সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রথমবারের মতো উপস্থিত হলেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে কারাগারে যাওয়ার পর ছয় বছরের মধ্যে এই প্রথম তিনি জনসমক্ষে উপস্থিত হলেন এবং রাষ্ট্রীয় কোনো অনুষ্ঠানে অংশ নিলেন। শেষবার তিনি ২০১২ সালে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছিলেন।
আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রীকে নিয়ে বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে গুলশানের বাসা থেকে বের হয়ে পৌনে ৪টার দিকে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে পৌঁছান খালেদা জিয়া।
এর আগে মঙ্গলবার রাতে খালেদা জিয়াকে সেনাকুঞ্জের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানায় প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ।
আরও পড়ুন: গ্যাটকো দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়াসহ ২ জন খালাস
চিফ অব জেনারেল স্টাফ (সিজিএস) লেফটেন্যান্ট জেনারেল মিজানুর রহমান শামীম এবং প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার (পিএসও) লেফটেন্যান্ট জেনারেল এএসএম কামরুল আহসান আমন্ত্রণপত্রটি খালেদা জিয়ার কাছে হস্তান্তর করেন।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ ২৬ নেতাকে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়।
সেনাকুঞ্জে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনী প্রতিষ্ঠার স্মরণে নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে আজ (বৃহস্পতিবার) সশস্ত্র বাহিনী দিবস পালিত হচ্ছে।
খালেদা জিয়া লিভার সিরোসিস, হার্ট, ফুসফুস, কিডনি ও চোখের সমস্যাসহ নানা জটিল স্বাস্থ্য সমস্যায় ভুগছেন।
শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বাধীন মেডিকেল বোর্ডের তত্ত্বাবধানে শর্তসাপেক্ষে মুক্তি পাওয়ার পর থেকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে একাধিকবার চিকিৎসা নিয়েছেন তিনি।
তাকে উন্নত চিকিৎসা কেন্দ্রে বিশেষায়িত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠাতে প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা করেছে বিএনপি।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় পাঁচ বছরের কারাদণ্ড নিয়ে ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডের পুরোনো কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি ছিলেন খালেদা জিয়া।
২০১৮ সালের ৩০ অক্টোবর হাইকোর্ট তার সাজা বাড়িয়ে ১০ বছর করেন। পরে তিনি জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় দণ্ডিত হন।
কোভিড-১৯ মহামারির মধ্যে সরকার ২০২০ সালের ২৫ মার্চ খালেদা জিয়ার কারাদণ্ড সাময়িক স্থগিত করে তাকে মুক্তি দেয়। শর্তসাপেক্ষে তাকে গুলশানের বাসভবনে থাকার এবং দেশ ত্যাগ না করার নির্দেশ দেওয়া হয়। এভাবে তিনি ৭৭৬ দিন ছিলেন।
৬ আগস্ট রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন সংবিধানের ৪৯ অনুচ্ছেদের ক্ষমতা প্রয়োগ করে খালেদা জিয়াকে তার শাস্তি থেকে সম্পূর্ণ অব্যাহতি দেন।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে হামলার ঘটনায় ৭ বছর পর মামলা
১ মাস আগে
খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে হামলার ঘটনায় ৭ বছর পর মামলা
ফেনীর ছাগলনাইয়ায় খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে হামলার ঘটনার সাত বছর পর সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাবেক প্রটোকল অফিসার ও ফেনী-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আলাউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী নাসিমকে প্রধান করে ২৫১ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করা হয়েছে।
এছাড়া আরও ১৫০ থেকে ২০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।
গত বুধবার ছাগলনাইয়া উপজেলা বিএনপির সাবেক অর্থ সম্পাদক সুলতান মোহাম্মদ সিকান্দার ভুট্টো বাদী হয়ে ছাগলনাইয়া থানায় মামলা করেন।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আশিকের মৃত্যু: আওয়ামী লীগের ১০৪ জনের নামে মামলা
তিনি বলেন, ‘বিগত সরকারের সময় মামলা করা সম্ভব হয়নি। এখন দেশে গণতান্ত্রিক পরিস্থিতি ফিরে আসায় মামলা করছি।’
মামলায় অন্যান্য উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন- আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক উপকমিটির সদস্য জালাল উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী পাপ্পু, জেলা পরিষদের সদ্য সাবেক চেয়ারম্যান খায়রুল বশর মজুমদার তপন, ছাগলনাইয়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মেজবাউল হায়দার চৌধুরী সোহেল, ফুলগাজী উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল আলিম মজুমদার, ফুলগাজী উপজেলা পরিষদের সদ্য সাবেক চেয়ারম্যান হারুন মজুমদার, পরশুরাম উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন মজুমদার, পরশুরাম পৌরসভার সদ্য সাবেক মেয়র নিজাম উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী সাজেল, ছাগলনাইয়া পৌরসভার সদ্য সাবেক মেয়র মোহাম্মদ মোস্তফা, ফেনী পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর আমির হোসেন বাহার, পরশুরাম উপজেলা যুবলীগের সাবেক আহ্বায়ক ইয়াছিন শরীফ মজুমদার, মির্জানগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুজ্জামান ভুট্টো, বক্সমাহমুদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল গফুর ভূঞা, চিথলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন ও পরশুরাম উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আবদুল আহাদ চৌধুরী প্রমুখ।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০১৭ সালের ২৮ অক্টোবর রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন ও ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রমে কক্সবাজারে যাওয়ার পথে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মুহুরীগঞ্জে খালেদা জিয়ার গাড়িবহরের গতিরোধ করে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র সজ্জিত হয়ে ককটেল ও গুলি চালায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। বিএনপির নেতাকর্মীদের হত্যার চেষ্টা চালায় তারা। এছাড়াও ২০ থেকে ২৫টি গাড়ি ভাঙচুর করে।
এতে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ অনেকে আহত হন। এছাড়াও প্রায় ১ কোটি ৫ লাখ টাকার ক্ষতি হয়। গাড়িবহর চলে যাওয়ার পর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের বাড়িঘরে ভাঙচুর ও চাঁদা আদায় করে।
বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) রাতে ছাগলনাইয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নজরুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় দায়ের করা মামলায় পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। জড়িতদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: রুপ হত্যা মামলায় সাবেক খাদ্যমন্ত্রী কারাগারে
২ মাস আগে
সন্ধ্যায় হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরবেন খালেদা জিয়া
ছয় দিনের চিকিৎসার পর বুধবার সন্ধ্যায় রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে গুলশানের বাসায় ফিরবেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া।
খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেন, মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শ অনুযায়ী আজই তাকে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হবে।
ভর্তি হওয়ার পর থেকে হাসপাতালে থাকাকালে বিএনপি চেয়ারপারসনের বিভিন্ন স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
জাহিদ মালেক আরও বলেন, 'তার স্বাস্থ্য ও সর্বশেষ মেডিকেল রিপোর্ট পর্যালোচনা করেই বোর্ড এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’
আরও পড়ুন: সন্ধ্যায় হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরবেন খালেদা জিয়া
বিএনপি চেয়ারপারসন বিকাল সাড়ে ৫টায় গুলশানের বাসার উদ্দেশে হাসপাতাল ত্যাগ করবেন বলে জানান বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইং সদস্য শামসুদ্দিন দিদার।
গত বৃহস্পতিবার ভোরে খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এর আগে গত ২১ আগস্ট এভারকেয়ার হাসপাতালে ৪৫ দিন চিকিৎসাধীন থেকে বাসায় ফেরেন খালেদা জিয়া।
গত ২৩ জুন অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে একদল বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক খালেদা জিয়ার বুকে সফলভাবে পেসমেকার প্রতিস্থাপন করেন।
দীর্ঘদিন ধরে লিভার সিরোসিস, আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, হার্ট ও চোখের সমস্যাসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছেন খালেদা জিয়া।
২০২১ সালের নভেম্বরে লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত হওয়ার পর থেকে তাকে বিদেশে পাঠানোর পরামর্শ দিয়ে আসছেন চিকিৎসকরা।
গত বছরের ২৬ অক্টোবর খালেদা জিয়ার পেট ও বুকে পানি জমে যাওয়া ও লিভারে রক্তক্ষরণ বন্ধে ট্রান্সজুগুলার ইন্ট্রাহেপ্যাটিক পোর্টোসিস্টেমিক শান্ট (টিপস প্রসিডিউর) নামে পরিচিত হেপাটিক প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেন যুক্তরাষ্ট্রের তিন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক।
২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫। ২০১৮ সালের ৩০ অক্টোবর সাজা বাড়িয়ে ১০ বছর করা হয়।
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের মধ্যে সরকার এক নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে সাজা স্থগিত করে ৭৭৬ দিন পর খালেদা জিয়াকে ২০২০ সালের ২৫ মার্চ সাময়িক মুক্তি দিয়ে তার গুলশানের বাসায় থাকার অনুমতি দেয়। এসময় তিনি দেশত্যাগ করতে পারবেন না বলে শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়।
গত ৬ আগস্ট রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিনের নির্দেশে খালেদা জিয়া পুরোপুরি মুক্তি পান।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জারি করা এক গেজেটে বলা হয়, বাংলাদেশ সংবিধানের ৪৯ অনুচ্ছেদে রাষ্ট্রপতি এ আদেশ দিয়েছেন।
সংবিধানের ৪৯ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, 'যেকোনো আদালত, ট্রাইব্যুনাল বা অন্য কোনো কর্তৃপক্ষের দেওয়া যেকোনো দণ্ডের মার্জনা, বিলম্বন ও স্থগিত মঞ্জুর করার এবং যেকোনো দণ্ড মওকুফ, স্থগিত বা হ্রাস করার ক্ষমতা রাষ্ট্রপতির থাকবে।’
আরও পড়ুন: ১৭ বছর পর সচল খালেদা জিয়ার সব ব্যাংক হিসাব
৩ মাস আগে
পুলিশের নিরাপত্তা পাচ্ছেন খালেদা জিয়া
প্রায় এক দশক পর আবারও পুলিশের নিরাপত্তা পেতে যাচ্ছেন বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া।
মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব জাহাঙ্গীর আলম এই তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, খালেদা জিয়াকে পুলিশের নিরাপত্তা সহায়তা দেওয়ার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আদেশ জারি করেছে।
২০১৫ সালে সংসদে বিরোধীদলীয় নেতার পদ হারানোর পর তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার তাকে পুলিশের নিরাপত্তা সহায়তা প্রত্যাহার করে নেয়।
গত ৬ আগস্ট রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিনের নির্দেশে খালেদা জিয়াকে পুরোপুরি মুক্তি দেওয়া হয়।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ৬ আগস্ট জারি করা এক গেজেটে বলা হয়, বাংলাদেশ সংবিধানের ৪৯ অনুচ্ছেদে রাষ্ট্রপতি এ আদেশ দেন।
সংবিধানের ৪৯ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, 'যে কোনো আদালত, ট্রাইব্যুনাল বা অন্য কোনো কর্তৃপক্ষের দেওয়া যেকোনো দণ্ডের মার্জনা, বিলম্বন ও বিরাম মঞ্জুর করার এবং যেকোনো দণ্ড মওকুফ, স্থগিত বা হ্রাস করার ক্ষমতা রাষ্ট্রপতির থাকবে।’
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫। পরে তাকে পুরান ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারে রাখা হয়। ২০১৮ সালের ৩০ অক্টোবর হাইকোর্ট তার সাজা বাড়িয়ে ১০ বছর করেন। পরে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় তার সাজা হয়।
আরও পড়ুন: যত দ্রুত সম্ভব জাতীয় নির্বাচনের সহায়ক পরিবেশ সৃষ্টি করতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি ফখরুলের আহ্বান
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের মধ্যে সরকার ২০২০ সালের ২৫ মার্চ এক নির্বাহী আদেশে খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিত করে ৭৭৬ দিন পর তাকে সাময়িকভাবে মুক্তি দেয়। তবে তাকে শর্ত দেওয়া হয় যে তিনি গুলশানের বাসায় থাকবেন এবং দেশত্যাগ করতে পারবেন না।
৭৯ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে লিভার সিরোসিস, আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস এবং কিডনি, ফুসফুস, হার্ট ও চোখের সমস্যাসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছেন।
২০২০ সালে শর্তসাপেক্ষে কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়ার পর থেকে হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে মেডিকেল বোর্ডের অধীনে বার বার হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন বিএনপি চেয়ারপারসন।
২০২১ সালের নভেম্বরে খালেদা জিয়ার লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত হওয়ার পর থেকে তার চিকিৎসকরা তাকে বিদেশে পাঠানোর পরামর্শ দিয়ে আসছেন।
গত বছরের ২৬ অক্টোবর খালেদা জিয়ার পেট ও বুকে পানি জমে যাওয়া ও লিভারে রক্তক্ষরণ বন্ধে ট্রান্সজুগুলার ইন্ট্রাহেপ্যাটিক পোর্টোসিস্টেমিক শান্ট (টিপস প্রসিডিউর) নামে পরিচিত হেপাটিক প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেন যুক্তরাষ্ট্রের তিন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক।
আরও পড়ুন: শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে 'গণহত্যার' তদন্ত চেয়ে জাতিসংঘে বিএনপির চিঠি
৪ মাস আগে
খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা অপরিবর্তিত: ডা. জাহিদ
রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা অপরিবর্তিত রয়েছে।
তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেন, 'ম্যাডাম (খালেদা জিয়া) এখনও চিকিৎসকদের সার্বক্ষণিক তত্ত্বাবধানে সিসিইউ সুবিধাসহ একটি কেবিনে চিকিৎসাধীন। তার শারীরিক অবস্থা অপরিবর্তিত রয়েছে।’
তিনি বলেন, এরই মধ্যে হাসপাতালে বিএনপি চেয়ারপারসনের বিভিন্ন প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়াকে সিসিইউ সুবিধাসহ কেবিনে স্থানান্তর
বিদেশি চিকিৎসকদের সঙ্গে পরামর্শ করে ড. জাহিদ বলেন, মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা তার শারীরিক অবস্থা পর্যালোচনা করে চিকিৎসা দিচ্ছেন।
গত ৮ জুলাই খালেদা জিয়াকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এর ছয় দিন আগে একই হাসপাতাল থেকে তাকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছিল।
এর আগে গত ২২ জুন রাতে খালেদা জিয়া হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে একই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরদিন তার হৃদযন্ত্রে সফলভাবে পেসমেকার বসানো হয়।
৭৯ বছর বয়সি সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী দীর্ঘদিন ধরে লিভার সিরোসিস, আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, হার্ট ও চোখের সমস্যাসহ বিভিন্ন রোগের সঙ্গে লড়াই করছেন।
২০২০ সালে শর্তসাপেক্ষে কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়ার পর হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বাধীন মেডিকেল বোর্ডের তত্ত্বাবধানে বেশ কয়েকবার হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা নিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন।
২০২১ সালের নভেম্বরে খালেদা জিয়ার লিভার সিরোসিস ধরা পড়ার পর থেকে তার চিকিৎসকরা তাকে বিদেশে পাঠানোর পরামর্শ দিয়ে আসছিলেন।
গত বছরের ২৬ অক্টোবর খালেদা জিয়ার পেট ও বুকে পানি জমে যাওয়া ও লিভারে রক্তক্ষরণ বন্ধে ট্রান্সজুগুলার ইন্ট্রাহেপ্যাটিক পোর্টোসিস্টেমিক শান্ট (টিপস প্রসিডিউর) নামে পরিচিত হেপাটিক প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেন যুক্তরাষ্ট্রের তিন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক।
আরও পড়ুন: মুক্ত খালেদাকে কীভাবে মুক্তি দেব, বুঝে উঠতে পারছি না: আইনমন্ত্রী
১০ দিন পর হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরছেন খালেদা জিয়া
৫ মাস আগে
খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে নয়াপল্টনে বিএনপির সমাবেশ চলছে
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের হাজার হাজার নেতাকর্মীর অংশগ্রহণে দলের সমাবেশ চলছে।
শনিবার দুপুর ২টা ৪২ মিনিটে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে সামবেশ আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়।
বৈরী আবহাওয়া উপেক্ষা করে সকাল থেকেই নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জড়ো হতে থাকেন ঢাকার বিভিন্ন স্থান থেকে আসা দলের নেতাকর্মীরা। নানা রকম ব্যানার, প্ল্যাকার্ড ও শীর্ষ নেতাদের ছবিসহ মিছিল নিয়ে সেখানে উপস্থিত হন দলটির নেতাকর্মীরা।
বড় মিছিল নিয়ে সমাবেশে যোগ দেন সহযোগী সংগঠন যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মোনায়েম মুন্না।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে বিএনপির ৩ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে নয়াপল্টন ও এর আশপাশের এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে বুধবার সারাদেশে তিন দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম।
কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এ সমাবেশ করছে দলটি।
এ ছাড়া আগামী ১ জুলাই সব মহানগর এবং ৩ জুলাই সব জেলা সদরে সমাবেশ করবে বিএনপি।
গত ২২ জুন দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে গুলশানের বাসায় হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে খালেদা জিয়াকে অ্যাম্বুলেন্সে করে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
পরদিন অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের একটি দল সফলভাবে তার বুকে পেসমেকার প্রতিস্থাপন করেন। তিনি এখন হাসপাতালের সিসিইউ সুবিধাসহ একটি কেবিনে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
২০২২ সালের ১১ জুন খালেদা জিয়ার হৃদযন্ত্রে তিনটি ব্লকেজ ধরা পড়ে, যার মধ্যে একটি ৯৫ শতাংশ ব্লক হয়ে গিয়েছিল এবং সে সময় স্টেন্ট বসানোর মাধ্যমে তার চিকিৎসা করা হয়েছিল।
৭৯ বছর বয়সি সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে লিভার সিরোসিস, আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, হার্ট ও চোখের সমস্যাসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছেন।
২০২০ সালে শর্তসাপেক্ষে কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়ার পর থেকে হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে মেডিকেল বোর্ডের অধীনে বেশ কয়েকবার চিকিৎসা নিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন।
২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন বিচারিক আদালত। পরে ওই বছরই আরেকটি দুর্নীতির মামলায় দোষী সাব্যস্ত হন তিনি।
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের মধ্যে সরকার ২০২০ সালের ২৫ মার্চ এক নির্বাহী আদেশে খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিত করে তার গুলশানের বাসায় অবস্থান এবং দেশত্যাগ না করার শর্তে তাকে সাময়িক মুক্তি দেয়। এরপর তার সাজা স্থগিতের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে একাধিকবার।
২০২১ সালের নভেম্বরে খালেদা জিয়ার লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত হওয়ার পর থেকে তার চিকিৎসকরা তাকে বিদেশে পাঠানোর পরামর্শ দিচ্ছেন।
গত বছরের ২৬ অক্টোবর খালেদা জিয়ার পেটে ও বুকে পানি জমে যাওয়া ও লিভারে রক্তক্ষরণ বন্ধে ট্রান্সজুগুলার ইন্ট্রাহেপ্যাটিক পোর্টোসিস্টেমিক শান্ট (টিপস প্রসিডিউর) নামে পরিচিত হেপাটিক প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেন যুক্তরাষ্ট্রের তিন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়াকে সিসিইউ সুবিধাসহ কেবিনে স্থানান্তর
৫ মাস আগে
খালেদা জিয়াকে সিসিইউ সুবিধাসহ কেবিনে স্থানান্তর
পেসমেকার স্থাপনের পর নিবিড় পর্যবেক্ষণ শেষে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিট (সিসিইউ) থেকে কেবিনে স্থানান্তর করা হয়েছে।
সোমবার (২৪ জুন) খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক এ জেড এম জাহিদ হোসেন ইউএনবিকে জানান, ‘মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শে আজ (সোমবার) বিকাল পৌনে ৪টায় খালেদা জিয়াকে সিসিইউ সুবিধাসহ একটি কেবিনে স্থানান্তর করা হয়েছে।’
তার স্বাস্থ্যের অবস্থা পর্যালোচনা করার পরে মেডিকেল বোর্ড এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানান ডা. জাহিদ।
তিনি আরও জানান, চিকিৎসকদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে কেবিনে চিকিৎসা নেবেন খালেদা জিয়া।
এর আগে গতকাল (২৩ জুন) বিকালে সফলভাবে তার বুকে 'স্থায়ী পেসমেকার' স্থাপন করা হয়। পরে চিকিৎসকদের নিবিড় তত্ত্বাবধানে তাকে সিসিইউতে রাখা হয়।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার পেসমেকার প্রতিস্থাপন সম্পন্ন
পেসমেকার অপারেশনের পর থেকে খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার কোনো অবনতি না হওয়ায় তিনি স্থিতিশীল আছেন বলে নিশ্চিত করেছেন খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক।
এছাড়াও মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শ অনুযায়ী খালেদা জিয়ার আরও স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
এই চিকিৎসক জানান, সোমবার বিকালে অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে মেডিকেল বোর্ড বিএনপি চেয়ারপারসনের টেস্ট রিপোর্ট পর্যালোচনা করেন। পরে সিসিইউতে বেগম জিয়ার সঙ্গে দেখা করেন। এরপরই তাকে কেবিনে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় মেডিকেল বোর্ড।
মেডিকেল বোর্ডের সভায় খালেদা জিয়ার পুত্রবধূ ও হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ জোবাইদা রহমানসহ অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের বেশ কয়েকজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ভার্চুয়ালি অংশ নেন।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হবে আজ
এর আগে রবিবার এভারকেয়ার হাসপাতালের একদল বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক সফলভাবে খালেদা জিয়ার বুকে পেসমেকার বসিয়েছেন।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ডা. জাহিদ জানান, খালেদা জিয়া তিনটি ব্লকেজসহ হার্টের সমস্যায় ভুগছিলেন। পুঙ্খানুপুঙ্খ পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর মেডিকেল বোর্ড তার হৃদযন্ত্রে পেসমেকার স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেয়।
২০২২ সালের ১১ জুন এভারকেয়ার হাসপাতালে খালেদা জিয়ার হৃদযন্ত্রে একাধিক ব্লক ধরা পড়ে। এই ব্লকেজগুলোর মধ্যে একটিতে ৯৫ শতাংশ ব্লক ছিল এবং সেই সময় স্টেন্ট বসানো হয়েছিল।
এর আগে শনিবার দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে গুলশানের বাসভবন 'ফিরোজা'য় হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন খালেদা জিয়া। তাকে এভারকেয়ার হাসপাতালে দ্রুত সিসিইউতে ভর্তি করা হলে যেখানে একটি মেডিকেল বোর্ডের তত্ত্বাবধানে তার চিকিৎসা শুরু হয়।
দীর্ঘদিন ধরে লিভার সিরোসিস, আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস এবং কিডনি, ফুসফুস, হার্ট এবং চোখের সমস্যাসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছেন ৭৯ বছর বয়সী সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার অবস্থা অত্যন্ত সংকটাপন্ন, দেশবাসীর কাছে দোয়া চাইলেন ফখরুল
৫ মাস আগে