অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী
ময়মনসিংহে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যার পর স্বামীর আত্মহত্যার অভিযোগ
ময়মনসিংহের ভালুকায় অন্তঃসত্ত্বা নারীকে কুপিয়ে হত্যার পর গলায় ওড়না পেচিয়ে তার স্বামী আত্মহত্যা করেছেন বলে জখবর পাওয়া গেছে।
নিহতরা হলেন- কামরুল ইসলাম (৩৫) ও তার স্ত্রী রত্না বেগম (৩০)।
শুক্রবার (৩০ নভেম্বর) রাত ৯টায় উপজেলার কাচিনা ইউনিয়নের পালগাও গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত স্ত্রী রত্না উপজেলার কাচিনা ইউনিয়নের পালগাঁও গ্রামের মুক্তার হোসেনের মেয়ে এবং কামরুল একই উপজেলার বর্ত্তা গ্রামের সিরাজুল ইসলামের ছেলে।
আরও পড়ুন: এনজিওর ঋণের চাপে রাবি কর্মচারীর আত্মহত্যার অভিযোগ
নিহতের পরিবারের সদস্যরা জানান, দ্বিতীয় সন্তান প্রসবের জন্য রত্নাকে নিয়ে কামরুল ইসলাম নিজ বাড়ি থেকে শুক্রবার দুপুরে শশুর বাড়ি আসেন। রাতের খাবার শেষে তাদের বড় ছেলেকে নানির কাছে রেখে তারা পাশের অন্য একটি ঘরে ঘুমাতে যান। রাত ১০টায় ছেলে কান্না কাটি শুরু করলে নানি মনোয়ারা বেগম ওই ঘরে গিয়ে ডাকাডাকি করেন। দরজা না খোলায় সন্দেহ হয়। পরে দরজা ভেঙে ঘরের মেঝেতে রত্নার রক্তাক্ত লাশ ও গলায় ওড়না প্যাঁচানো অবস্থায় কামরুলের লাশ দেখতে পায় লোকজন।
স্থানীয়রা থানায় খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ দুটি উদ্ধার করে।
ভালুকা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত করর্মকর্তা (ওসি) (তদন্ত) হুমায়ুন কবীর জানান, পারিবারিক কলহের জের ধরে এমন হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। ঘটনার তদন্তে কাজ করছে পুলিশ।
তিনি জানান, ঘটনাস্থল থেকে লাশগুলো উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে।
আরও পড়ুন: মায়ের বকুনিতে কলেজ ছাত্রীর আত্মহত্যার অভিযোগ
৩ সপ্তাহ আগে
জয়পুরহাটে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ডাদেশ
জয়পুরহাটের ক্ষেতলালে সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে হত্যার দায়ে তার স্বামী- জুয়েল হোসেনের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
এছাড়া তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে জেলার অতিরিক্ত দায়রা জজ ২য় আদালতের বিচারক- আব্বাস উদ্দীন এ রায় দেন।
মৃত লাইলী বেগম মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জুয়েল হোসেনের স্ত্রী এবং ওই উপজেলার রসুলপুর দাহাড়পুকুর এলাকার আব্দুল জলিলের ছেলে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে ২ উপজাতি তরুণীকে ধর্ষণের পর হত্যা: একজনের মৃত্যুদণ্ডাদেশ
এছাড়া অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি জুয়েলের বাবা- জলিল হোসেন ও মা লিলি বেগমকে এ মামলা থেকে খালাস দিয়েছে আদালত।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, দণ্ডপ্রাপ্ত জুয়েল সংসারকালীন লাইলী বেগমকে যৌতুকের দাবিতে প্রায়ই নির্যাতন করতো। সে সময় লাইলী বেগম ৭ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। ২০০৭ সালের ২৩ জুলাই রাতে জুয়েল তার স্ত্রীকে মারধর করে শ্বাসরোধে হত্যা করে লাশ ফেলে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় পরের দিন বাদী হয়ে নিহতের বোন রাবেয়া খাতুন তিনজনের নামে ক্ষেতলাল থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। এ মামলার দীর্ঘ শুনানি শেষে স্বামীর বিরুদ্ধে স্ত্রী ও গর্ভে থাকা সাত মাসের সন্তানকে হত্যার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত মঙ্গলবার (আজ) এ রায় দেন। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আসামির বাবা ও মাকে মামলা থেকে খালাস দেয়া হয়।
আরও পড়ুন: মৃত্যুদণ্ডাদেশ চূড়ান্ত হওয়ার আগে আসামিকে কনডেমড সেলে রাখা কেন অবৈধ নয়: হাইকোর্ট
১ বছর আগে
অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে পুঁড়িয়ে হত্যার দায়ে কুষ্টিয়ায় স্বামীর মৃত্যুদণ্ড
কুষ্টিয়ার মিরপুরে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যার দায়ে স্বামীকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সোমবার কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো.তাজুল ইসলাম আসামির উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত শাহিনুল ইসলাম (৩৫) মিরপুর উপজেলার নওদা খাড়ারা গ্রামের শাজাহান মালিথার ছেলে।
কুষ্টিয়া জজ কোর্টের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) অনুপ কুমার নন্দী রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে হত্যা মামলায় নারীসহ দু’জনের মৃত্যুদণ্ড
আদালত সূত্র জানায়, পারিবারিক বিরোধের জের ধরে ২০১৪ সালে ৯ অক্টোবর রাতে শাহিনুল ইসলাম তার সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী চম্পার শাড়ি ও ঘরের বেড়ায় কেরোসিন ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেয়। এতে চম্পার শরীরের অধিকাংশ স্থান আগুনে ঝলসে যায়। পরে গুরুতর অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে প্রথমে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে পরবর্তীতে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় চম্পার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় নিহতের চাচা শাহাদাত আলী বাদী হয়ে চম্পার স্বামী শাহিনুল ইসলামের বিরুদ্ধে মিরপুর থানায় মামলা করেন।
আরও পড়ুন: লক্ষ্মীপুরে স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর যাবজ্জীবন
পরে আদালত এ মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে ১৩ ডিসেম্বর রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার পরপরই দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিকে পুলিশ পাহারায় জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
৩ বছর আগে