বিজয়
এক বিজয় করেছো, আরেক বিজয় আসবে: শিক্ষার্থীদের প্রধান উপদেষ্টা
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় শিক্ষার্থীরা প্রধান উপদেষ্টার কাছে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ, নিহতদের রাষ্ট্রীয় খেতাব দেওয়া, আহতদের সুচিকিৎসায় সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া এবং জুলাই গণহত্যায় জড়িতদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিতের জন্য জোর দিতে বলেন।
গণমাধ্যম ও সামাজিক মাধ্যমে সরকারের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চলছে বলে উদ্বেগও প্রকাশ করেন শিক্ষার্থীরা।
প্রধান উপদেষ্টা শিক্ষার্থীদের বলেন, ‘বিক্ষিপ্তভাবে কয়েকজন শিক্ষার্থীর সঙ্গে আগে দেখা হয়েছে। আজকে অনেকের সঙ্গে দেখা হলো। ভালো হলো। তোমাদের কথা শুনতেই মূলত আজকে বসা। তোমরা সরকারের কাছে কী চাচ্ছো, আশাগুলো কী, পরামর্শ আছে কিনা, এটি জানতে চাওয়া।’
অধ্যাপক ইউনূস আরও বলেন, ‘তোমরা রাষ্ট্রের অভিভাবক, তোমাদের কারণেই রাষ্ট্র। এই ভূমিকা ভুলে যেও না। নিজেদের ভূমিকা ভুলে যেও না। অনেকে এখানে আছে, অনেকে নেই। যারা নেই, তারাও রাষ্ট্রের অভিভাবক। তোমাদের দায়িত্ব আছে রাষ্ট্র যেন ঠিক পথে চলে, যেন বিচ্যুত না হয়। এইটুকু মনে রাখলে রাষ্ট্র ঠিক থাকবে। নিজের অভিভাবকতত্ব ভুলে যেও না।’
দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ প্রসঙ্গে শিক্ষার্থীদের পরামর্শকে স্বাগত জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘দ্রব্যমূল্য ঠিক থাকতে হবে। সিন্ডিকেট নাকি কী এই ধরনের ব্যাখ্যা আমরা চাই না। কতগুলো লোক বাজারমূল্য কবজা করে থাকবে সেটা হতে পারে না। আমরা চেষ্টা করছি দ্রব্যমূল্য ঠিক রাখার। আমরা দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল রাখতে চাই। রমজানেও দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল রাখার ব্যাপারে সর্বোচ্চ উদ্যোগ নিতে হবে। হঠাৎ করে যেন কোনো পরিস্থিতির সৃষ্টি না হয়।’
স্থানীয় সরকারকে শক্তিশালী করার পরামর্শে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘স্থানীয় সরকার সংস্কারের জন্য কমিশন আছে। তারা পরামর্শ দেবে আমরা কাজ করব। আমরা চাই স্থানীয় সরকারের কাছে ক্ষমতা ছেড়ে দেওয়া। খুব কম জিনিস উচ্চ পর্যায়ে থাকবে। দুর্নীতিগ্রস্ত সিস্টেম, একবার একটা তহবিল বানিয়ে দিলে কারা যেন খেয়ে ফেলে। সেজন্য সুশৃঙ্খলভাবে সঠিক ব্যবস্থা নিতে হবে। যেন স্থায়ী হয়।’
জুলাইয়ে শহীদদের রাষ্ট্রীয় সম্মান ও খেতাবের বিষয়ে শিক্ষার্থীদের পরামর্শে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা এটি নিয়ে কাজ করছি। জুলাইয়ে যারা শহীদ হয়েছেন তাদের অবদান আমরা ভুলব না। তাদেরকে যথাযথ রাষ্ট্রীয় মর্যাদা দেওয়া হবে।’
শিক্ষাক্ষেত্রে সংস্কার প্রয়োজন শিক্ষার্থীদের এমন পরামর্শের প্রসঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘শিক্ষাব্যবস্থা পুরোপুরি ধ্বংস করে দিয়ে গেছে। যেন বাংলাদেশে কেউ শিক্ষিত না হয়ে উঠতে পারে, দক্ষ হয়ে উঠতে না পারে, সেজন্য পরিকল্পিতভাবে এটা হয়েছে। বেকারত্ব তৈরি করা হয়েছে। উদ্যোক্তাদের জন্য উৎসাহব্যঞ্জন কিছু নেই। এটা আমাদের ঠিক করতে হবে। তরুণদের দক্ষ হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।’
পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে নারী শিক্ষার্থীদের জন্য পর্যাপ্ত আবাসনের ব্যবস্থা করার পরামর্শ দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। প্রধান উপদেষ্টা এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘আমি যখন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হই। আমাদের অর্থনীতি বিভাগে নারী শিক্ষার্থী ছিল মাত্র চারজন। তোমরা বলছো, এখন বিশ্ববিদ্যালয়ে নারী শিক্ষার্থী প্রায় ৫২ শতাংশ। এটি অত্যন্ত আনন্দের কথা। বিশ্ববিদ্যালয়ে যে রাজনৈতিক বলয়ের মধ্যে আগে সিট বণ্টন হতো সেই দাসপ্রথা এখন ভেঙে গেছে। শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট হতে দেওয়া যাবে না।’
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে আইনজীবী হত্যায় ড. ইউনূসের নিন্দা, তদন্তের নির্দেশ
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘যারা সোশ্যাল মিডিয়ায় কথা বলে তারা সরকারের বিরুদ্ধে সরব এটা ঠিক। সরকারের নিজের কোনো পত্রিকা নেই। আছে শুধু প্রেস উইং। তারা পত্রিকায় প্রেস রিলিজ পাঠায়। কেউ ছাপে, কেউ ছাপে না। কিংবা তাদের মনমতো শেষ পাতায় বা কোণায় ছোট করে দেয়। প্রেস উইং ওদের মতো করে চেষ্টা করছে, কাজ করছে। সরকার কোনো গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রণ করবে না। সংবাদপত্র স্বাধীনভাবে কাজ করবে-এটাই আমাদের নীতি। আমরা এই নীতিতে থাকব। আমি বুঝতে পারছি তোমরা কিছুটা মনক্ষুণ্ণ। এটা আসলে কিছুটা মন খারাপ হওয়ার মতো যে সরকারের কাজ মানুষের কাছে পৌঁছাচ্ছে না।’
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘পুরো সিস্টেমটাই ধ্বংস করে দিয়ে গেছে। চারদিকে চুরি-চামারি, ব্যাংক কাজ করে না। কমিটি অর্থনীতির শ্বেতপত্র দিয়েছে। আমি বলেছি, এটা একটা ঐতিহাসিক দলিল। আমি মনে করি এটা প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ানো উচিত। দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংসস্তুপে পরিণত করার দায় আওয়ামী লীগের। তবে যারা উন্নয়নের জোয়ার বয়ে যাচ্ছে বলে ঘোষণা দিয়েছে তাদেরও ধরতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘যে ধ্বংসস্তুপ রেখে গেছে সেখান থেকে বের হওয়া কঠিন। যেদিকে হাত দেই সেদিকেই ভাঙাচোরা। এই ভাঙাচোরা পরিষ্কার করেই যাচ্ছি। কাজ শুরু করতে গিয়ে কঠিন পরিস্থিতিতে পড়তে হচ্ছে।’
শিক্ষার্থীরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি পূর্ণ আস্থা ও সমর্থন জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টাকে সংস্কারকাজে সর্বোচ্চ সহযোগিতা দেওয়ার আশ্বাস দেন। তারা জানান, দেশের মানুষ সরকারের পাশে আছে। এটি গণমানুষের সরকার। জনগণ চায় অন্তর্বর্তী সরকার যেন প্রয়োজনীয় সংস্কারের কাজটি সম্পন্ন করে।
প্রধান উপদেষ্টা শিক্ষার্থীদের বলেন, ‘দেশের মানুষ ছাত্রদের ওপর ভরসা করে। এই বিশ্বাস ধরে রেখো। হাতছাড়া করো না। তোমরা কখনোই আশাহত হবে না। তোমরা অসম্ভবকে সম্ভব করেছো। দেশ বদলিয়ে ফেলেছো। তোমরাই পারবে। মানুষের আশা তোমাদের পূরণ করতে হবে। অন্তত সে পথে তোমাদের অগ্রসর হতে হবে। এক বিজয় করেছো, আরেক বিজয় আসবে। তোমরা বারবার আমাদের মনে করিয়ে দেবে যেন আমরাও সতর্ক হই, সজাগ হই।’
আরও পড়ুন: সার্ক পুনরুজ্জীবিত হলে মানুষ সুফল পাবে: প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস
২ সপ্তাহ আগে
ছাত্র-জনতার বিজয়কে দুষ্কৃতকারীরা যেন নস্যাৎ করতে না পারে: জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল
ছাত্র জনতার আন্দোলনের বিজয়কে রক্ষায় দেশবাসীকে সোচ্চার ও ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার।
তিনি বলেন, ‘অন্তবর্তীকালীন সরকার দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করার জন্য কর্মতৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। দেশের এ শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বিনষ্ট করার জন্য ফ্যাসিবাদের দোসররা অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। ছাত্র-জনতার আন্দোলনের এই বিজয়কে দুষ্কৃতকারীরা যেন নস্যাৎ করতে না পারে, এজন্য সাংবাদকিসহ দেশবাসীকে সোচ্চার থাকতে হবে।’
শুক্রবার (২৩ আগস্ট) রাতে খুলনা মহানগরী জামায়াতের উদ্যোগে নগরীর সোনাডাঙ্গাস্থ আল-ফারুক সোসাইটিতে সাংবাদিকদের সঙ্গে মত বিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।
গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘প্রয়োজনীয় সংস্কার সম্পন্ন করে নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে। আমাদের ঐক্যকেআরও দৃঢ়তার এবং মজবুত করতে হবে। আমরা একটা ষড়যন্ত্রের মধ্যে সময় অতিবাহিত করছি।’
তিনি বলেন, হাজারো প্রাণের বিনিময়ে আমরা এই দ্বিতীয় স্বাধীনতা পেয়েছি। দেশ গড়ার কাজে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী নিয়োজিত রয়েছে। আমরা বিশ্বাস করি জনগণের ঐক্য সুদৃঢ় হবে এবং ছাত্র-জনতার সঙ্গে একাকার হয়ে যেকোনো ষড়যন্ত্র এবং চক্রান্ত আমরা মোকাবিলা করব ইনশাআল্লাহ।
জামায়াতের সেক্রেটারি বলেন, আজকে বাংলাদেশ স্বৈরাচার মুক্ত হয়েছে। এ অর্জনের একমাত্র কৃতিত্ব শিক্ষার্থীদের, আমাদের সন্তানদের। আমরা যা গত ১৫ বছরে করতে পারিনি, আমাদের সন্তানরা তা করে দেখিয়েছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে শিক্ষার্থীসহ জামায়াত-বিএনপির ৭০০ নেতা-কর্মী জামিনে মুক্ত
তিনি বলেন, বাংলাদেশকে দ্বিতীয় বারের মতো স্বাধীন করার জন্য আপনাদের প্রিয়জন শহীদ হয়েছেন। শাহাদাত বরণকারী এসব ছাত্র জনতা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান। সরকারকেই সকল শহীদ পরিবারের ভরণপোষণের যাবতীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। প্রত্যেকের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।
সাম্প্রতিক বন্যার বিষয়ে গোলাম পরওয়ার বলেন, কথিত বন্ধু ভারত ফারাক্কাসহ অভিন্ন ৫৪টি নদীতে বাঁধ দিয়ে বাংলাদেশের বিশাল এলাকা মরুভূতিতে পরিণত করেছে। ভারত শুকনা মওসুমে পানি আটকিয়ে রাখে, আর বর্ষায় মওসুমে রাতের আধারে একসঙ্গে সব গেট খুলে দেয়। গ্রীষ্মে যখন আমাদের পানির প্রয়োজন হয়, তখন তারা আমাদেরকে পানি না দিয়ে শুকিয়ে মারে। পানির অভাবে হাজার হাজার একর জমির ফসল নষ্ট হয়। আবার বর্ষার মওসুমে যখন পানির প্রয়োজন নেই, তখন পানি ছেড়ে দিয়ে আমাদেরকে বন্যায় ভাসায়।
সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, ছাত্র-জনতার ঐতিহাসিক বিপ্লবের পর দেশকে অর্থবহ স্থিতিশীল ও উন্নয়নের জায়গায় নিয়ে যাওয়ার জন্য বৈষম্যহীন, সাম্প্রদায়িক-সম্প্রীতির সমাজ প্রতিষ্ঠা করা প্রয়োজন।
তিনি বলেন, বিগত সরকারের অপকর্মের মদদদাতা কর্মকর্তাদের অপসারণ করে সৎ, দক্ষ ও পেশাদার কর্মকর্তাদের নিয়োগ দিতে হবে। ফ্যাসিবাদীরা লুটপাট করে যেসব টাকা বিদেশে পাচার করেছে, সেগুলো ফেরত আনার ব্যবস্থা করতে হবে।
এ সময় দলের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও খুলনা অঞ্চলের সহকারী পরিচালক মাওলানা আবুল কালাম আজাদ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ছাত্র আন্দোলনের সুযোগে বিএনপি-জামায়াতের ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা: ধর্মমন্ত্রী
৩ মাস আগে
চবি সিন্ডিকেট নির্বাচনে বিএনপিপন্থী সাদা দলের বিজয়
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী পর্ষদ সিন্ডিকেটের শিক্ষক প্রতিনিধি নির্বাচনে আওয়ামী লীগ তথা বাম প্রগতিশীল শিক্ষকদের প্যানেল হলুদ দলের ভরাডুবি হয়েছে।
নির্বাচনে অধ্যাপক, সহযোগী অধ্যাপক, সহকারী অধ্যাপক ও প্রভাষক চারটি পদের তিনটিতে জিতেছে বিএনপি-জামায়াতপন্থী সাদা দলের প্রার্থীরা। অপর দুই পদে হলুদ দলের ‘বিদ্রোহী’ (আরেকটি অংশ) প্রার্থীরা নির্বাচিত হয়েছেন। মাত্র একটি সহকারী অধ্যাপক পদে হলুদ দলের প্রার্থী নির্বাচিত হয়েছেন।
নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, অধ্যাপক ক্যাটাগরিতে নির্বাচিত হয়েছেন বিএনপি-জামাতপন্থী সাদা দলের প্রার্থী ফাইন্যান্স বিভাগের অধ্যাপক ড. শামীম উদ্দিন খান, সহযোগী অধ্যাপক ক্যাটাগরিতে হলুদ দলের 'বিদ্রোহী' প্রার্থী অর্থনীতি বিভাগের ড. নঈম উদ্দিন হাছান আওরঙ্গজেব চৌধুরী, সহকারী অধ্যাপক ক্যাটাগরিতে হলুদ দলের বাংলা বিভাগের মোহাম্মদ আলী এবং প্রভাষক ক্যাটাগরিতে হলুদ দলের 'বিদ্রোহী' প্রার্থী ফলিত রসায়ন ও কেমিকৌশল বিভাগের মো. মোয়াজ্জেম হোসাইন।
আরও পড়ুন: চবি যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অ্যালামনাই এসোসিয়েশনের নেতৃত্বে শিমুল ও নুর
সোমবার (৬ মার্)সকাল ৯টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান অনুষদ মিলনায়তনে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। পরে ফলাফল ঘোষণা করেন প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তা ও রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) কে এম নুর আহমদ।
এই নির্বাচনে চার পদে মোট ১৫ জন প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন। এদের মধ্যে ১২ জনই ছিলেন আওয়ামী লীগ ও বামপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন বাঙালি জাতীয়াতাবাদ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজের (হলুদ দল)।
চবিতে বর্তমানে হলুদ দল প্রশাসনপন্থী (বিদ্রোহী) ও প্রশাসনবিরোধী দুই ভাগে বিভক্ত। এ ছাড়া নির্বাচনে বিএনপি ও জামায়াতপন্থী সাদা দল থেকে একজন ও জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরাম থেকে দু'জন অংশগ্রহণ করেন।
আরও পড়ুন: চবি ছাত্রদলের কমিটি বিলুপ্ত
১ বছর আগে
মায়ের সঙ্গে মেলায় যাওয়া হলো না বিজয়ের!
মায়ের সঙ্গে গ্রামীণ মেলা দেখতে যাওয়া হলো না স্কুলছাত্র বিজয় সরকারের (১৬)। পথে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় ইজিবাইক উল্টে তার মৃত্যু হয়েছে।
এ ঘটনায় তার মা বর্ষা রাণী সরকার ও ছোট বোন শ্রদ্ধা সরকার আহত হয়েছে।
শুক্রবার (৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে জেলার মহাদেবপুর উপজেলার হাট চকগৌরী এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: বন্ধুদের সঙ্গে নদীতে গোসল করতে যাওয়াই কাল হলো মাদরাসা ছাত্রের
নিহত স্কুলছাত্র নওগাঁ পৌরসভার পুরাতন রেজেস্ট্রি অফিস পাড়ার সুশীল সরকারের ছেলে এবং নওগাঁ সরকারি জিলা স্কুলের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
স্থানীয় ও নিহতের স্বজনদের সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার দুপুরে বিজয় তার মায়ের সঙ্গে ইজিবাইকে করে মহাদেবপুর উপজেলার ভীমপুর এলাকায় ঐতিহ্যবাহী হিন্দুবাঘা গ্রামীণ মেলা দেখতে যাচ্ছিল। পথে নওগাঁ-রাজশাহী আঞ্চলিক মহাসড়কের হাট চকগৌরী এলাকায় পেছন থেকে দ্রুতগতির একটি মোটরসাইকেল তাদের ইজিবাইককে ধাক্কা দেয়। এতে ইজিবাইক উল্টে বিজয়, তার মা বর্ষা রাণী ও ছোট বোন শ্রদ্ধা সরকার আহত হন।
স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে নওগাঁ সদর হাসপাতালে নিলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক বিজয়কে মৃত বলে ঘোষণা করেন। আহতরা চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
মহাদেবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাফফর হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, নিহত স্কুলছাত্রের লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: টাঙ্গন নদীতে গোসল করতে নেমে ২ শিশুর মৃত্যু
পূণর্ভবা নদীতে গোসল করতে নেমে নিখোঁজ ১
১ বছর আগে
বিজয়ের ৫০ বছর উদযাপনে সিঙ্গার
দেশের শীর্ষস্থানীয় ইলেকট্রনিক্স ও হোম অ্যাপ্লায়েন্স রিটেইলার সিঙ্গার বাংলাদেশ লিমিটেড বাংলাদেশের বিজয়ের ৫০ বছর উপলক্ষে স্পেশাল এডিশন রেফ্রিজারেটরের ওপর ৫০ শতাংশ ছাড়ের এক অসাধারণ অফার দিচ্ছে। ব্যতিক্রমী ডিজাইনের এই রেফ্রিজারেটরগুলো আমাদের মুক্তিযুদ্ধ ও বিজয় উদযাপনকে মাথায় রেখে ডিজাইন করা হয়েছে।
বুধবার সিঙ্গার বাংলাদেশ লিমিটেডের মার্কেটিং কমিউনিকেশন বিভাগের সিনিয়র ম্যানেজার রাজিউর রহমান সাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে এ প্রসঙ্গে সিঙ্গার বাংলাদেশ লিমিটেডের মাকেটিং ডিরেক্টর জনাব চান্দানা সামারাসিংহে বলেন, ‘বাংলাদেশের বিজয়ের ৫০ বছর উদযাপনের অংশ হতে পেরে সিঙ্গার বাংলাদেশ অত্যন্ত গর্বিত। আমাদের ক্রেতাদের জন্য এই উদযাপনকে আরও আনন্দদায়ক করে তুলতে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে তৈরি বিশেষ সংস্করণের রেফ্রিজারেটরে আমরা আকর্ষণীয় অফার দিচ্ছি।’
আরও পড়ুন: করোনা আক্রান্তদের জন্য ভেন্টিলেটর দিল সিঙ্গার ও আর্চেলিক
এর আগে চলতি বছরের মার্চ মাসে সিঙ্গার বাংলাদেশের এমডি ও সিইও এম. এইচ. এম. ফাইরোজ বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি উদযাপনে বিশেষ সংস্করণের পণ্য ও অফার সহ একটি বছরব্যাপী কর্মসূচি চালু করে। এই বর্ষপূর্তি উপলক্ষে আমাদের বিজয়, স্বাধীনতা এবং উদযাপনের সাথে সম্পর্কিত রঙ ব্যবহার করে ডিজাইন করা দুটি বিশেষ সংস্করণের রেফ্রিজারেটর মডেল বাজারে এনেছে সিঙ্গার।
দেশের সকল মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণ ও সম্মান প্রদর্শনে একজন মুক্তিযোদ্ধা ও সিঙ্গার বাংলাদেশের প্রাক্তন কর্মকর্তার আঙুলের ছাপ দিয়ে তৈরী ‘স্বাধীনতার ৫০ বছর’ লোগো উন্মোচন করা হয়েছে। এই বিশেষ লোগোটি বছরজুড়ে সিঙ্গারের সকল কম্যুনিকেশনে ব্যবহার করা হয়েছে।
শহীদদের আত্মত্যাগের স্মরণে ২৫ মার্চ সারাদেশের সকল শো-রুমের সামনে মোমবাতি প্রজ্জ্বলনের আয়োজন করে প্রতিষ্ঠানটি। এছাড়া, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরকে স্পেশাল এডিশন রেফ্রিজারেটর উপহার দেয় সিঙ্গার।
সারা দেশের যেকোন আউটলেট থেকে ক্রেতারা এই আকর্ষণীয় অফার উপভোগ করতে পারবেন। বিস্তারিত তথ্যের জন্য যোগাযোগ করুন সিঙ্গার কল সেন্টার ১৬৪৮২ নম্বরে অথবা ভিজিট করুন www.singerbd.com
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে ইভ্যালির সিইও ও চেয়ারম্যানসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা
ফের রিমান্ডে ইভ্যালির সিইও
৩ বছর আগে