আ. লীগ
আ. লীগ-জাপা নিষিদ্ধের দাবিতে ঢাবিতে কফিন মিছিল
আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টিসহ অন্যান্য ফ্যাসিবাদী শক্তির রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধের দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে 'ফ্যাসিবাদ বিরোধী ছাত্র-জনতা'র ব্যানারে কফিন মিছিল করেছে শিক্ষার্থীরা।
বুধবার(২০ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকা থেকে 'কফিন মার্চ অব ফ্যাসিজম' ব্যানারে মিছিল বের করা হয়।
অংশগ্রহণকারীরা একটি কফিন বহন করে এবং ফ্যাসিবাদ বিরোধী বিভিন্ন স্লোগান দেয়।
আরও পড়ুন: ঢাবি ক্যাম্পাসে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পর্যালোচনায় বিশেষ কমিটি গঠন
শিক্ষার্থীদের প্রধান সংগঠক বিন ইয়ামিন মোল্লা বলেন, 'আন্দোলনে যারা হাত-পা হারিয়েছে তারা আর কখনো তা ফিরে পাবেন না। শহীদদের ফিরিয়ে আনা যাবে না। তাহলে আওয়ামী লীগ কেন ফিরবে? আওয়ামী লীগ ও তাদের মিত্র জাতীয় পার্টি কেন নির্বাচনে অংশ নেবে? হাজার প্রাণের বিনিময়ে আমরা এই নতুন বাংলাদেশ অর্জন করেছি। সুযোগ এসেছে, কিন্তু দেখছি বড় দলগুলোর নেতারা ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের চেষ্টা করছেন। তারা আওয়ামী লীগকে সঙ্গে নিয়ে নির্বাচনে অংশ নিতে চায়। আমরা, শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ এটা হতে দেব না’
তিনি আন্দোলনের চেতনা ধরে রাখতে এবং দেশের উন্নয়নের স্বার্থে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টি উভয়কেই নিষিদ্ধ করার জন্য উপদেষ্টাদের প্রতি আহ্বান জানান।
আরেক সংগঠক জিয়াউর রহমান জিয়া বলেন, 'ফ্যাসিবাদের পতনের ১০০ দিন পরও ফ্যাসিস্টরা ঘুরে দাঁড়াচ্ছে। তারা বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করে উপদেষ্টা পরিষদে যোগ দিচ্ছেন। তাদের তাড়াতে শিক্ষার্থীসহ জনগণকে আবারও ঐক্যবদ্ধ করা হবে।’
আরও পড়ুন: ক্যাম্পাসে ছাত্রদলের পোস্টার লাগানোর প্রতিবাদ ঢাবি শিক্ষার্থীদের
২৩ ঘণ্টা আগে
আ. লীগের সাবেক ১৩ মন্ত্রী-উপদেষ্টাকে আনা হয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালে
জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থান চলাকালে হত্যা মামলায় আওয়ামী লীগের সাবেক ৯ মন্ত্রীসহ ১৩ আসামিকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়েছে।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রধান কৌঁসুলি তাজুল ইসলাম বলেন, মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর পর সোমবার তাদের ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়।
এসব আসামির সবাই অন্য মামলায় কারাগারে রয়েছেন বলেও জানান তিনি।
ট্রাইব্যুনালের যাদের হাজির হয়েছে, তাদের মধ্যে রয়েছেন-সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) ফারুক খান, শ্রমিক পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের সভাপতি হাসানুল হক ইনু, সাবেক ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি, বিদ্যুৎ ও খনিজ সম্পদবিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক-ই-এলাহী চৌধুরী।
এছাড়াও রয়েছেন-সাবেক মন্ত্রী ড. দীপু মনি, শেখ হাসিনার উপদেষ্টা এবং ব্যবসায়ী সালমান এফ রহমান, সাবেক মন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার, সাবেক মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী, সাবেক বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, সাবেক স্বরাষ্ট্রসচিব জাহাঙ্গীর আলম।
সাবেক কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাককে হাজির করার কথা থাকলেও অসুস্থতার কারণে তাকে হাজির করা যায়নি।
এর আগে গত ২৭ অক্টোবর ১৪ আসামিকে ১৮ নভেম্বরের মধ্যে হাজির করার নির্দেশ দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
এছাড়া সাবেক আইজিপি আবদুল্লাহ আল মামুন, সাবেক সেনা কর্মকর্তা জিয়াউল আহসান, সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আল কাফি, আরাফাত হোসেন, আবুল হাসান ও মাজহারুল ইসলামকে ২০ নভেম্বর আদালতে হাজির করার নির্দেশ দেন আদালত।
৫ আগস্ট শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের পতনের পর হত্যা, নির্যাতন, অপহরণ ও হয়রানিসহ বিভিন্ন অভিযোগ তথ্যপ্রযুক্তিতে জমা পড়ে। জুলাই ও আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে ১০০০ এর বেশি মানুষ নিহত এবং বহু মানুষ আহত হন।
৩ দিন আগে
‘আ. লীগের গ্রেপ্তার কর্মীদের সঙ্গে ট্রাম্পের কোনো সম্পর্ক নেই’
বাংলাদেশে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমর্থকদের ধরপাকড় বা দমনপীড়ন করা হয়নি বলে নিশ্চিত করেছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের ফ্যাক্টচেকিং ফেসবুক পেইজে জানায়, ছাত্রনেতৃত্বাধীন গণআন্দোলনের মাধ্যমে আগস্টে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর থেকে কিছু ভারতীয় পত্রিকা ‘আক্রমণাত্মকভাবে ভ্রান্ত তথ্য ছড়াচ্ছে’।
এতে আরও বলা হয়, ‘তারা বিপ্লবের পরে সংখ্যালঘুদের ওপর সহিংসতার সংবাদ অতিরঞ্জিত করেছে। আওয়ামী লীগের সমর্থকদের আজকের ধরপাকড়ের সঙ্গে সম্পর্কিত তথ্য প্রচারের ক্ষেত্রে একইভাবে মিথ্যাচার।’
রবিবার রাজধানীতে উসকানিমূলক কর্মকাণ্ডের অভিযোগে আওয়ামী লীগের কয়েক ডজন কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এই বিষয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ একটি বিবৃতি দিয়েছে।
আরও পড়ুন: রাজনীতিতে ফিরতে ট্রাম্পের ছবি ব্যবহার করছে আ.লীগ: বিএনপি
প্রেস উইং জানায়, ‘গ্রেপ্তারদের মধ্যে কয়েকজনের হাতে ডোনাল্ড ট্রাম্পের ছবি ছিল। পলাতক আওয়ামী লীগ নেতা শেখ হাসিনা তার সমর্থকদের গ্রেপ্তার এড়াতে ঢার হিসেবে ট্রাম্পের ছবি ব্যবহারের নির্দেশ দিয়েছিলেন।’
প্রেস উইংয়ের দাবি, ‘গ্রেপ্তাররা পুলিশকে জানিয়েছেন, তারা মার্কিন রাজনীতি অনুসরণ করেন না এবং শুধু হাসিনার নির্দেশে ট্রাম্পের ছবি নিয়ে বেরিয়েছিলেন।’
ভারতীয় গণমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে গতকালের বাংলাদেশের ঘটনাগুলো সম্পর্কে পুরোপুরি ভুল রিপোর্ট করেছে।
তারা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে গুলিস্তানের জিরো পয়েন্টে নূর হোসেন দিবস (১০ নভেম্বর) উপলক্ষে অনুষ্ঠিত সমাবেশকে 'ট্রাম্প সমর্থকদের' সমাবেশ হিসেবে বর্ণনা করেছে। তাদের প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান প্রার্থী ট্রাম্পের বিজয় উদযাপন করতে এসেছিলেন তারা।
বাংলাদেশে কোনো গোষ্ঠী নিজেদের ‘ট্রাম্প সমর্থক’ হিসেবে পরিচয় দেয়নি বা অতীতে তার সফলতা উদযাপন করেনি। এছাড়া, আওয়ামী লীগের নূর হোসেন দিবসের কর্মসূচির সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের বিজয় উদযাপনের কোনো বিষয় উল্লেখ ছিল না।
তবে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একটি নির্দেশনা দিয়েছিলেন। সেটি প্রেস উইংয়ের বিবৃতিতে সংক্ষেপে উল্লেখ করা হয়েছে। তাতে বলা হয়, আওয়ামী লীগ কর্মীদের রবিবারের অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনা ও বঙ্গবন্ধুর পোস্টারের পাশাপাশি ট্রাম্পের পোস্টারও বহন করতে হবে। বিশেষভাবে ট্রাম্পের পোস্টারগুলো পুলিশি কার্যক্রম থেকে নিজেদের রক্ষা করতে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করতে হবে।
আওয়ামী লীগের কর্মীদের এই ঘটনার ছবি তোলার এবং তাদের নেতাদের কাছে পাঠানোর নির্দেশ ছিল; যাতে সেগুলো ট্রাম্পের কাছে পাঠানো যায়। এসব যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্টকে অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে উসকে দেওয়ার উদ্দেশ্যে করা হয়েছে বলে দাবি প্রেস উইংয়ের।
এই নির্দেশনাসম্বলিত একটি কল রেকর্ড গত সপ্তাহে ফাঁস হয়েছিল। যদিও ইউএনবি এই রেকর্ডিংটির সত্যতা স্বাধীনভাবে যাচাই করেনি। তবে আওয়ামী লীতের অনেক কর্মী পরে একই নির্দেশনা অনুসরণ করে গ্রেপ্তার হওয়ায় এই রেকর্ডিংটির সত্যতা প্রমাণ হয়।
আরও পড়ুন: ট্রাম্পের ছবি নিয়ে মিছিল করতে হাসিনার নির্দেশ: গ্রেপ্তার ১০
১ সপ্তাহ আগে
আ. লীগের সমাবেশের ঘোষণায় প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিবের হুঁশিয়ারি
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে একটি ফ্যাসিবাদী দল আখ্যায়িত করে দেশে কোনো ধরনের সহিংসতা বা জনশৃঙ্খলা ভঙ্গের চেষ্টা অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সহ্য করবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ তার বর্তমান রূপে একটি ফ্যাসিবাদী দল। বাংলাদেশে কোনোভাবেই এই ফ্যাসিবাদী দলের বিক্ষোভ করার সুযোগ নেই।’
প্রেস সচিব বলেন, বাংলাদেশে দলটির প্রতিবাদ করার কোনো সুযোগ নেই।
শনিবার (৯ নভেম্বর) শফিউল আলম তার ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে এক পোস্টে বলেন, গণহত্যাকারী ও স্বৈরশাসক শেখ হাসিনার নির্দেশে কেউ সভা-সমাবেশ ও মিছিল করার চেষ্টা করলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কঠোরভাবে তা মোকাবেলা করবে।
আরও পড়ুন: কোনো প্রতিবেদনের বিষয়ে কাউকে ফোন করেনি সরকার: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব
ভেরিফায়েড ফেসবুক পোস্ট থেকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ তাদের নেতাকর্মীদের আগামী ১০ নভেম্বর শহীদ নূর হোসেন দিবসে গুলিস্তানের জিরো পয়েন্টে এসে 'দুঃশাসনের' প্রতিবাদে আন্দোলন করার আহ্বান জানিয়েছে।
দলটির ফেসবুক পোস্টে বলা হয়, ‘দেশের মানুষের অধিকার হরণের বিরুদ্ধে আমাদের প্রতিবাদ। আমাদের প্রতিবাদ মৌলবাদী শক্তির উত্থানের বিরুদ্ধে। সাধারণ মানুষের জীবনকে বিপর্যস্ত করার ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে আমাদের প্রতিবাদ।’
১৯৮৭ সালের ১০ নভেম্বর ঢাকার গুলিস্তানের কাছে জিরো পয়েন্টে জেনারেল হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের স্বৈরাচারী শাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে গিয়ে পুলিশের গুলিতে নিহত হন আওয়ামী যুবলীগ নেতা নূর হোসেন।
আরও পড়ুন: অন্তর্বর্তীকালনী সরকারের মাত্র ৪ জন উপদেষ্টার এনজিও ব্যাকগ্রাউন্ড রয়েছে: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব
১ সপ্তাহ আগে
আ. লীগের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে বিধিনিষেধ চেয়ে রিট
আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের ওপর বিধিনিষেধ চেয়ে সোমবার হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়েছে। তবে পুরোপুরি দলটি নিষিদ্ধের দাবি করা হয়নি।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ ও সারজিস আলম হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ রিট দায়ের করেন।
বিচারপতি ফাতেমা নাজিব ও বিচারপতি সিকদার মাহমুদুর রাজীবের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে এ আবেদনের ওপর শুনানি হতে পারে।
রিটকারীদের পক্ষের আইনজীবী আহসানুল করিম বলেন, আওয়ামী লীগ নেতাদের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত হওয়া থেকে বিরত রাখতেই এই রিট দায়ের করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করল সরকার
তিনি বলেন, চলমান রাজনৈতিক ঘটনাপ্রবাহের মধ্যে জনস্বার্থ সমুন্নত রাখতেই এই পদক্ষেপ।
এর আগে আওয়ামী লীগের উপর সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞার দাবি করে আগস্টে একটি রিট দায়ের করা হয়েছিল। কিন্তু সেটি ১ সেপ্টেম্বর বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামানের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ তা খারিজ করে দেন।
গত ২৩ অক্টোবর সন্ত্রাসবিরোধী আইনের বিধান দেখিয়ে আওয়ামী লীগের ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
১৯৪৯ সালের ২৩ জুন প্রতিষ্ঠিত হয় আওয়ামী লীগ। দলের সভাপতি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৫ আগস্ট ছাত্র-নেতৃত্বাধীন অভ্যুত্থানের মুখে দেশ ত্যাগ করার পর থেকে ক্রমবর্ধমান চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছে এই রাজনৈতিক দল।
আরও পড়ুন: ৮ দিবস বাতিলের সিদ্ধান্তের নিন্দা সর্ব ইউরোপিয়ান আওয়ামী লীগের
৩ সপ্তাহ আগে
কুড়িগ্রামে আ. লীগের দুই নেতা গ্রেপ্তার
হত্যা মামলায় কুড়িগ্রাম জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফজলে নুর তানু এবং উলিপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আহসান হাবিব রানাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
রবিবার (২৭ অক্টোবর) রাত ১০টায় কুড়িগ্রাম শহরের জেলা পরিষদ মার্কেট সংলগ্ন এলাকা থেকে সদর থানা পুলিশ ও গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) যৌথ অভিযানে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে কুড়িগ্রামের শিক্ষার্থী আশিক হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানায় পুলিশ।
গ্রেপ্তার ফজলে নুর তানু (৬০) কুড়িগ্রাম পৌর এলাকার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সবুজপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। তিনি ইলেক্ট্রনিক্স ব্যবসায়ী।
আহসান হাবিব রানা (৬১) একই গ্রামের বাসিন্দা। তিনি উলিপুর উপজেলার এল.কে আমিন ডিগ্রি কলেজের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ।
আরও পড়ুন: যুবদলের ২ কর্মী হত্যা মামলায় ইউপি চেয়ারম্যানসহ গ্রেপ্তার ৩
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ৪ আগস্ট কুড়িগ্রাম শহরের শাপলা চত্বর এলাকায় আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষে মাথায় আঘাত পেয়ে গুরুতর আহত হন শিক্ষার্থী আশিকুর রহমান। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকার একটি হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় গত ১০ অক্টোবর রুহুল আমিন নামে এক শিক্ষার্থী বাদী হয়ে ১০৪ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ৫০০ থেকে ৬০০ জনকে আসামি করে সদর থানায় মামলা করেন।
তবে গ্রেপ্তার ফজলে নুর তানু ও আহসান হাবিব রানা এই মামলায় এজাহারভুক্ত আসামি নন বলেও জানা গেছে।
ওসি নাজমুল আলম জানান, গ্রেপ্তার দুই আওয়ামী লীগ নেতা মামলায় প্রাথমিক অনুসন্ধানে প্রাপ্ত আসামি। তাদের হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘শিক্ষার্থী আশিক হত্যা মামলায় তানু ও রানাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের সোমবার (২৭ অক্টোবর) আদালতে সোপর্দ করা হবে।’
আরও পড়ুন: নাগেশ্বরীতে ইউনিয়ন ভূমি অফিসে আগুন: গ্রেপ্তার ২
৩ সপ্তাহ আগে
ফরিদপুরে শেখ হাসিনাসহ আ. লীগের ৫০০ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা মামলা
ফরিদপুরে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগ এবং তার অঙ্গ সংগঠনের ১২৫ জন নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করে হত্যাচেষ্টা মামলা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) কোতোয়ালি থানায় মামুদপুর এলাকার মো. সিদ্দিকুর রহমানের ছেলে মো. মুজাহিদুল ইসলাম মামলাটি করেন।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে হামলার ঘটনায় ৭ বছর পর মামলা
এ মামলায় আরও ৩শ থেকে ৪শ নেতাকর্মীকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন- আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী আব্দুর রহমান, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শামীম হক ও সাধারণ সম্পাদক শাহ্ মো. ইশতিয়াক আরিফ।
শনিবার (১২ অক্টোবর) ফরিদপুরের পুলিশ সুপার মো. আব্দুল জলিল জানান, এ মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রীসহ ১২৫ জন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ও অজ্ঞাত ৩০০ থেকে ৪০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। মামলাটি তদন্তাধীন রয়েছে।
তবে এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি বলে জানান তিনি।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, মুজাহিদুল ইসলামের স্কুলপড়ুয়া মেয়ে ছাত্র-জনতার গণ-আন্দোলনে অংশ নেয়। আন্দোলনের এক মিছিলে ছাত্রলীগ-যুবলীগ হামলা চালালে অন্যান্যদের সঙ্গে তার মেয়েও আহত হয়। গুরুতর অবস্থায় তাকে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কলেজে ভর্তি করা হয়। এই হামলার পেছনে মূল উস্কানি দাতা হিসেবে ছিলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও তার সহযোগীরা।
আরও পড়ুন: বরিশালে শেখ হাসিনাসহ ৫৫৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা
১ মাস আগে
আ. লীগ নেতা ডাবলু ও যুবলীগ নেতা রুবেল ৫ ও ৩ দিনের রিমান্ডে
গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার মিছিলে গুলিতে নিহত শিবির নেতা আলী রায়হান হত্যা মামলায় রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকারের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
এছাড়া বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সাকিব আনজুম হত্যা মামলায় যুবলীগ কর্মী জহুরুল হক রুবেলের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়েছে।
শনিবার (৫ অক্টোবর) রাজশাহী মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ফয়সল তারেকের আদালতে রিমান্ড আবেদনের শুনানি শেষে এ আদেশ দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: সাবেক খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদারের সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর
রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) আদালত পরিদর্শক মো. আবদুর রফিক বলেন, হত্যা মামলায় ডাবলু ও রুবেলকে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। দুইটি মামলাই তদন্ত করছেন আরএমপির নগর গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) পরিদর্শক মশিউর রহমান।
তিনি বলেন, ডাবলুর সাত দিন ও রুবেলের পাঁচ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেছিলেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। শুনানি শেষে আদালত ডাবলুর পাঁচ দিন ও রুবেলের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন। পরে তদন্ত কর্মকর্তা আদালত থেকেই তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে গেছেন।
এর আগে গতকাল শুক্রবার রাতে নওগাঁ থেকে মহানগর আওয়ামী লীগ নেতা ডাবলু সরকারকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। তাকে দুইটি হত্যাসহ মোট আটটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। আর গত ১৩ সেপ্টেম্বর কুমিল্লা থেকে গ্রেপ্তার হন রুবেল। পরে দুটি হত্যাসহ কয়েকটি মামলায় তাকে ১০ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। শনিবার আবারও তাকে আদালতে হাজির করে পাঁচ দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়। রুবেলকে আদালতে তোলার আগে আওয়ামী লীগ নেতা ডাবলু সরকারকেও একই আদালতে হাজির করা হয়।
আরও পড়ুন: হত্যা মামলায় ৫ দিনের রিমান্ডে সাবেক সচিব জাহাংগীর আলম
দেশে ফিরেই আটক সাবেক এমপি সুলতান মনসুর; ৫ দিনের রিমান্ডে
১ মাস আগে
ভারতে পালাতে গিয়ে জৈন্তাপুর সীমান্তে আ. লীগ নেতা আটক
সিলেটের জৈন্তাপুর সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে ভারতে পালানোর চেষ্টাকালে আওয়ামী লীগের এক নেতাকে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার গোয়াবাড়ি সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়।
আটক আওয়ামী লীগ নেতা কামাল আহমদ জৈন্তাপুর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান।
জৈন্তাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাজুল ইসলাম বলেন, কামাল আহমদের বিরুদ্ধে ৪ আগস্ট সহিংসতার একটি মামলা রয়েছে। এ মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
আরও পড়ুন:
২ মাস আগে
আ. লীগের নিষিদ্ধের বিষয়ে আইন উপদেষ্টার বক্তব্য
রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা সমীচীন নয় বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল।
বুধবার (২৮ আগস্ট) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ মন্তব্য করেন আইন উপদেষ্টা।
আরও পড়ুন: জামায়াতকে নিষিদ্ধ করা আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কৌশল: আইন উপদেষ্টা
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবির বিষয়ে আসিফ নজরুল বলেন, ‘আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবি ওঠেছে। এ বিষয়ে আমাদের অ্যাটর্নি জেনারেলের অফিস থেকে প্রতিবাদ করা হয়েছে। এটার বিপক্ষে দাঁড়িয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘কোনো রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ করার পক্ষে আমি নেই। সত্যিকার অর্থে যদি কোনো রাজনৈতিক দল জঙ্গিবাদী কিংবা রাষ্ট্রবিরোধী তৎপরতায় জড়িত থাকে, তাহলে প্রচণ্ড সততার সঙ্গে তদন্ত করে এমন কিছু (নিষিদ্ধ) করা যেতে পারে।’
আইন উপদেষ্টা বলেন, ‘জেনারেল রুল হিসেবে আমাদের সংবিধানে সংগঠন করার স্বাধীনতা আছে। আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের স্বাধীনতার সংগ্রামে নেতৃত্ব প্রদানকারী দল। বিভিন্ন গণতান্ত্রিক সংগ্রামে দলটির অবদান ছিল।’
তিনি বলেন, ‘গত ১৫ বছরে তারা যা করেছে, সেটা তাদের ঐতিহ্যের সঙ্গে যায় না, সেটা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সঙ্গে যায় না। তারা বাংলাদেশের ইতিহাসে বর্বরতম ফ্যাসিবাদ কায়েম করেছিল।’
আরও পড়ুন: আদালতে যাওয়ার সময় কারো ওপর হামলা সমর্থনযোগ্য নয়: আইন উপদেষ্টা
জামায়াতকে নিষিদ্ধ করা আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কৌশল: আইন উপদেষ্টা
২ মাস আগে