আ. লীগ
খুলনা আ. লীগ নেতা হত্যা: ৩১ জনের নামে মামলা, গ্রেপ্তার ৩
খুলনার দিঘলিয়া উপজেলার আওয়ামী লীগের সাবেক সাংস্কৃতিক সম্পাদক শেখ আনসার আলীকে গুলি করে হত্যার দুদিন পর মামলা হয়েছে। রবিবার (২৬ মার্চ) নিহত আনসার আলীর ছেলে তানভীর শেখ বাদী হয়ে খানজাহান আলী থানায় মামলাটি করেছেন। এমামলায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
নিহত শেখ আনসার আলী দিঘলিয়া উপজেলার বারাকপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাকির হত্যা মামলার আসামি ছিলেন।
গ্রেপ্তারেরা হলেন-এজাহারভুক্ত আসামি গাজী ফরহাদ হোসেন (৫৫) ও মাহাবুব (৩৯) এবং অজ্ঞাত একজন।
আরও পড়ুন: মাদারীপুরে রাজিব হত্যা: ২৩ জনের মৃত্যুদণ্ড, ৬ জনের যাবজ্জীবন
মামলায় বর্তমান বারাকপুর ইউপি চেয়ারম্যান গাজী সাহাগীর হোসেন পাভেলকে প্রধান ও হুকুমের আসামি করা হয়েছে। মামলায় আসামি করা হয়েছে মোট ৩১ জনকে।
এরমধ্যে এজাহারভুক্ত আসামি ২৩ জন। বাকি আট জন অজ্ঞাতনামা।
আসামিদের অধিকাংশই নিহত শেখ আনসার আলী প্রতিপক্ষ প্রয়াত বারাকপুর ইউপি চেয়ারম্যান গাজী জাকির হোসেনের গাজী বংশের লোকজন।
খানজাহান আলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.কামাল হোসেন খান বলেন, নিহতের পরিবার দাবি করেছে স্থানীয় নির্বাচনসহ এলাকার আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এ হত্যাকাণ্ড হতে পারে। ঘটনাস্থলের পার্শ্ববর্তী সব সিসি ক্যামেরার ফুটেজ পর্যালোচনা করা হচ্ছে।
ওসি আরও জানান, হত্যাকাণ্ডের মোটিভ উদঘাটনে এবং ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তারে পুলিশের একাধিক টিম মাঠে কাজ করছে। নিহত শেখ আনসারের পরিবারের দাবিসহ হত্যাকাণ্ডের পর উঠে আসা বিভিন্ন বিষয় মাথায় রেখে পুলিশ কাজ করছে।
উল্লেখ্য, শুক্রবার (২৪ মার্চ) জুমার নামাজ শেষে বাসায় ফেরার পথে খানজাহান আলী থানার শিরোমনি লিন্ডা ক্লিনিকের সামনে দুর্বৃত্তের গুলিতে নিহত হন শেখ আনসার আলী (৬০)। দুর্বৃত্তরা এ সময় তাকে লক্ষ্য করে ৬ রাউন্ড গুলি করে। ৩টি গুলি তার বুকে বিদ্ধ হলে তিনি ঘটনাস্থলেই নিহত হন।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে ৪ জেলায় হত্যাসহ ১৪ মামলার আসামি গ্রেপ্তার
খুলনায় আ.লীগ নেতাকে গুলি করে হত্যা
আ. লীগ যখনই ক্ষমতায় গেছে তখনই অশান্তি সৃষ্টি হয়েছে: মির্জা আব্বাস
বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, আওয়ামী লীগ যার নেতৃতে যখনই ক্ষতায় গেছে, তখনই দেশে অশান্তি সৃষ্টি হয়েছে।
শনিবার বিকালে ময়মনসিংহে পদযাত্রা পূর্ব সমাবেশে এ কথা বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: সব বাধা ডিঙিয়ে ১০ ডিসেম্বর সমাবেশ করতে প্রস্তুত বিএনপি: মির্জা আব্বাস
সমাবেশ শেষে নগরীর টাউন হল মোড়ে পদযাত্রা বের করে ময়মনসিংহ মহানগর বিএনপি। তারা শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে নতুন বাজার দলীয় কার্যালয়ে গিয়ে পদযাত্রা শেষ করে।
‘বিএনপির কোনো বন্ধু নাই’ আওয়ামী লীগের এমন বক্তব্যের জবানে তিনি বলেন, দেশের বাইরে আমাদের কোনো প্রভু নাই, আমাদের দেশের বাইরে যদি কোনো বন্ধু না থাকে তাহলে প্রয়োজনও নাই। দেশের মানুষই আমাদের বন্ধু। কারণ তারা বিএনপিকে পছন্দ করে।
এর আগে সকাল থেকে বিভিন্ন এলাকা থেকে খন্ড খন্ড মিছিল নিয়ে আসতে শুরু করে নেতাকর্মীরা। এছাড়া সকাল থেকেই বিএনপির কর্মসূচিকে ঘিরে নতুন বাজার বিএনপি কার্যালয় এবং আশপাশে অবস্থান নেয় পুলিশ।
মির্জা আব্বাস আরও বলেন, আমারা যখনই সমাবেশের ডাক দেই তারা তখনই সারা দেশে শান্তি সমাবেশ করে। বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের মতো অশান্তি সৃষ্টিকারী দল আর একটিও নেই। আজ তারা শান্তি সমাবেশ করছে।
মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক একেএম শফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য দেন, বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমান, কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স সহ সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট শাহ ওয়ারেস আলী মামুন ও শরীফুল ইসলামসহ স্থানীয় নেতারা।
আরও পড়ুন: বিএনপি নেতা মির্জা আব্বাস ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল দুদকের
ফখরুল, মির্জা আব্বাসসহ ২২৪ বিএনপি নেতার জামিন নামঞ্জুর
শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে নির্বাচন পর্যন্ত রাজপথে থাকবে আ. লীগ: তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘সরকারি দল হিসেবে আমাদের দায়িত্ব হচ্ছে দেশে যাতে কেউ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে না পারে তা নিশ্চিত করা। আওয়ামী লীগ রাজপথের দল, রাজপথে আছে এবং রাজপথেই থাকবে।'
কারও সঙ্গে পালটা কর্মসূচি আমরা দিচ্ছি না উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমরা আমাদের স্বাভাবিক কর্মসূচি দিচ্ছি। এই কর্মসূচি আগামী নির্বাচন পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে।'
শুক্রবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় চট্টগ্রামের ফৌজদারহাট-পোর্ট লিংক রোডে জেলা প্রশাসন আয়োজিত 'চট্টগ্রাম ফুল উৎসব' উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে আর তত্ত্বাবধায়ক সরকার হবে না : তথ্যমন্ত্রী
বিএনপিকে উদ্দেশ করে সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, 'আওয়ামী লীগকে রাজপথে দেখলে মনে হয় ওদের গায়ে কাঁটা বিদ্ধ হয়। বিএনপি’র কর্মসূচির দিকে আমরা সতর্ক দৃষ্টি রাখছি এবং শান্তি সমাবেশ করছি। পালটা কর্মসূচি না, আমাদের স্বাভাবিক কর্মসূচি আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে। সরকারে থাকি কিংবা না থাকি, যখন ছিলাম না তখনও রাজপথে ছিলাম, এখন সরকারে আছি, ভবিষ্যতে থাকলে তখনও রাজপথে থাকব।'
ফুল উৎসবে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় ড. হাছান বলেন, আমাদের দেশকে প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা সুন্দরভাবে সাজাতে চান। আমরা দেশকে স্বপ্নের ঠিকানায় নিয়ে যেতে চাই। স্বপ্নের ঠিকানা হচ্ছে ২০৪১ সাল নাগাদ বাংলাদেশকে একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ রাষ্ট্রে রূপান্তর করা। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে আমরা ক্ষুধামুক্ত বাংলাদেশ গড়তে সক্ষম হয়েছি, দারিদ্র্যমুক্ত দেশ গড়ার ক্ষেত্রেও বহুদূর এগিয়ে গেছি। বস্তুগত উন্নয়নের পাশাপাশি একটি মানবিক সামাজিক কল্যাণ রাষ্ট্র আমরা গড়ে তুলতে চাই।
পুস্পমেলার আয়োজনের জন্য জেলা প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, 'সমুদ্রের পাড়ে পশ্চিম সলিমপুরে এরকম নয়নাভিরাম একটা জায়গায় বিস্তৃত জলাশয় আছে, চারপাশে গাছপালা। এখানে স্বাভাবিকভাবে অনেক পর্যটক আসেন, পর্যটকদের জন্য এটি একটা বাড়তি পাওনা হয়েছে। চট্টগ্রাম শহরের জন্যও একটা বাড়তি পাওনা। আমি আশা করব এই জায়গাটাতে প্রতিবছর তিনমাস ব্যাপী পুষ্প মেলা হবে, শুধু চট্টগ্রাম নয় সারাদেশের মানুষের আকর্ষণ হবে। প্রয়োজনে এখানকার জলাধারে ভাসমান ফুলের বেড করা যায়।'
জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার ড. আমিনুর রহমান, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এটিএম পেয়ারুল ইসলাম চৌধুরী, চট্টগ্রাম চেম্বারের সভাপতি মাহাবুবুল আলম, মহানগর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোজাফ্ফর আহমদ ও সীতাকুন্ডের উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. শাহাদাত হোসেন।
আরও পড়ুন: বাঙালিকে স্বাধীনতা এনে দিয়ে জাতির পিতা রয়েছেন অমর হয়ে: তথ্যমন্ত্রী
আ. লীগ সব সময় জাতির কাছে দেয়া নির্বাচনী অঙ্গীকার পূরণ করে: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন যে তার দল সবসময়ই জাতীয় নির্বাচনের আগে জাতির কাছে দেয়া অঙ্গীকার পূরণ করে।
তিনি বলেন, ‘প্রত্যেক নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগ তার নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি দেয় এবং আওয়ামী লীগ সবসময় তার নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি পূরণ করে।’
শনিবার প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগের ওয়ার্কিং কমিটি, জাতীয় কমিটি ও উপদেষ্টা পরিষদের যৌথসভায় সূচনা বক্তব্যে এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, সরকার তার নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী দেশ ও জনগণের জন্য কাজ করে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা জাতির কল্যাণে কাজ করি এবং মানুষ এর ফলাফল থেকে উপকৃত হচ্ছে।’
‘সর্বদা অপ্রয়োজনীয়ভাবে সরকারের সমালোচনা করে’ এমন একটি অংশের তীব্র নিন্দা করে তিনি বলেন, দেশের উন্নয়নে তারা খুশি হয় না।
আরও পড়ুন: ‘আইডিএফ গ্লোবাল অ্যাম্বাসেডর ফর ডায়াবেটিস’ পদক পেলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
দুর্নীতির বিষয়ে তিনি সংসদে তার সাম্প্রতিক বক্তৃতার উল্লেখ করে দুর্নীতি বিষয়ক তথ্য দিতে বলেন।
তিনি বলেন, ‘আমাকে তথ্য দিন, আমি ব্যবস্থা নেব। এটি কেবল মুখের কথা না।’
শেখ হাসিনা বলেন, যারা দুর্নীতি করেছে এবং তাদের শাসনামলে বাংলাদেশকে ‘দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন’ করেছে, তারা দুর্নীতি নিয়ে আলোচনা করছে।
তিনি বলেন,‘অথবা ক্ষুদ্রঋণ ব্যবসা করে জনগণকে তাদের ঋণের বিপরীতে উচ্চ সুদের বোঝা চাপিয়ে দিতে - তাদের বাড়ি ছেড়ে যেতে বা আত্মহত্যা করতে বাধ্য করে।’
তিনি উল্লেখ করেন, ‘মাই হাউস মাই ফার্ম’-এর মাধ্যমে জনগণকে উচ্চ সুদে ক্ষুদ্রঋণদাতাদের কাছ থেকে ঋণ নিতে হবে না।
সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দিয়ে তিনি বলেন, দেশের প্রতিটি সেক্টরের উন্নয়নের মাধ্যমে আমরা দারিদ্র্যের হার কমিয়ে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে সক্ষম হয়েছি।
এ প্রসঙ্গে তিনি সারা দেশে ফ্রিল্যান্সিং সুযোগের কথা উল্লেখ করেন। যার মাধ্যমে যুবকরা তাদের গ্রামের বাড়ি থেকে অর্থ উপার্জন করতে পারে।
তিনি বলেন, ভবিষ্যতে দেশের রপ্তানিতে খাদ্য সামগ্রী এবং প্রক্রিয়াজাত খাদ্য, ডিজিটাল ডিভাইস এবং ছোট যান্ত্রিক সামগ্রী অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
তিনি আরও বলেন, সারাদেশে আমাদের একশটি অর্থনৈতিক অঞ্চলে যে বিনিয়োগ আসছে তার মাধ্যমে আমরা রপ্তানি বাড়াতে পারব।
তিনি আরও বলেন, গত ১৪ বছরে সরকারের বাস্তবসম্মত ও সময়োপযোগী পদক্ষেপের কারণে মানুষ এখন উন্নত জীবন উপভোগ করছে।
আরও পড়ুন: ন্যায্য ও গ্রহণযোগ্য অর্থনৈতিক ব্যবস্থার জন্য সম্মিলিত কাজ করুন: গ্লোবাল সাউথ সামিটে প্রধানমন্ত্রী
আ. লীগ জনগণের দল, কোনো শক্তি একে ক্ষমতা থেকে সরাতে পারবে না: প্রধানমন্ত্রী
আ. লীগ জনগণের দল, কোনো শক্তি একে ক্ষমতা থেকে সরাতে পারবে না: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আওয়ামী লীগ জনগণের দল। এছাড়া বাংলাদেশে এখন এমন কোনো শক্তি নেই যে তারা আওয়ামী লীগ সরকারকে উৎখাত করতে পারবে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের শিকড় জনগণের গভীরে।
সংসদ অধিবেশনে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য ফখরুল ইমামের এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর জাপান সফর এপ্রিলে হতে পারে
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারকে পতন করতে পারে এমন কোনো শক্তি এখনও আবির্ভূত হয়নি।
আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা বলেন, তার দল কোনো ক্ষমতা দখলকারী ও সামরিক স্বৈরশাসকের পকেট থেকে জন্ম নেয়নি, বরং এদেশের মাটি থেকে জন্ম হয়েছে। সুতরাং আমাদের শিকড় মাটির গভীরে চলে গেছে।
তিনি বলেন, আইয়ুব খান, ইয়াহিয়া খান, জেনারেল জিয়াউর রহমান, জেনারেল এরশাদ ও খালেদা জিয়ার মতো স্বৈরাচারীরা আওয়ামী লীগকে ধ্বংস করার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছে।
তিনি বলেন, এ ধরনের কোনো শক্তি আ.লীগের সঙ্গে আর কখনোই করতে পারবে না।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ যখন ক্ষমতায় থাকে, এর অর্থ সরকার জনগণের সেবা করে এবং জনগণের ভাগ্য পরিবর্তন করে।
এছাড়া ১৪ বছর আগে তার দল ক্ষমতায় আসার আগে বাংলাদেশের অবস্থা কী ছিল তা সবাইকে মনে রাখতে বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: ফের ক্ষমতায় এলে ২০৪১ সালের মধ্যে 'স্মার্ট বাংলাদেশ': প্রধানমন্ত্রী
আগামী নির্বাচনে আ.লীগ ক্ষমতায় আসলে বাংলাদেশের উন্নয়ন যাত্রা অব্যাহত থাকবে: প্রধানমন্ত্রী
আ. লীগের পক্ষ থেকে খ্রিস্টীয় নতুন বছরের শুভেচ্ছা ওবায়দুল কাদেরের
খ্রিস্টীয় নতুন বছরে দেশবাসীকে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেছেন, নেতিবাচক রাজনীতি চর্চার অন্ধকার ও ষড়যন্ত্রের পথ ছেড়ে বিরোধীদল ইতিবাচক ধারায় ফিরবে বলে আশা করে আওয়ামী লীগ।
রবিবার সকালে রাজধানীর সেতুভবনে মতবিনিময়কালে এ আশাবাদের কথা জানান মন্ত্রী।
আরও পড়ুন: বিশ্বের কোথায়ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা নেই: ওবায়দুল কাদের
এসময় সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, স্বপ্নের পদ্মাসেতু চালুর পর আজ পর্যন্ত ৪০৩ কোটি টাকা টোল আদায় হয়েছে। যা দেশের অর্থনীতির জন্য একটা সুখবর।
পরে সেতু ভবনে তিনি দপ্তরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে ইংরেজি নববর্ষের শুভেচ্ছা বিনিময় ও চলমান উন্নয়ন প্রকল্পের অগ্রগতির পর্যালোচনা করেন।
এরপর মন্ত্রী সড়ক বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন এবং চলমান উন্নয়ন প্রকল্পের অগ্রগতি নিয়ে খোঁজখবর নেন।
আরও পড়ুন: স্বাধীনতাবিরোধীরা এখনো সক্রিয়: ওবায়দুল কাদের
সোহরাওয়ার্দী উদ্যান কেনো বিএনপির অপছন্দ: ওবায়দুল কাদের
সুইডেন আ. লীগ নেতা ওবায়দুল হকের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
আওয়ামী লীগের সুইডেন শাখার নেতা ওবায়দুল হকের মৃত্যুতে শুক্রবার গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
ওবায়দুল সুইডেন আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক এবং একজন সম্মানিত উপদেষ্টা ছিলেন।
শোক বার্তায় আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা তার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
আরও পড়ুন: পিরোজপুর আ.লীগ নেতার মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
ডা. এস এ মালেকের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
নাটোরে প্রতিপক্ষের হামলায় আ. লীগের বিভিন্ন সংগঠনের ৪ জন আহত
নাটোরে প্রতিপক্ষের হামলায় আওয়ামী লীগ সমর্থিত বিভিন্ন সংগঠনের চার জন আহত হয়েছে। বুধবার দুপুর আড়াইটার দিকে শহরের চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা এসব হামলা চালায়।
আহতদের মধ্যে জেলা মৎস্যজীবী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহরিয়ার হোসেন রিয়নকে (৪০) আশংকাজনক অবস্থায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে জামায়াতের বিক্ষোভ মিছিল ছত্রভঙ্গ করতে গিয়ে ২ পুলিশ আহত
আহত পরিবহন শ্রমিক নেতা মোহম্মদ আশা (৩৫), সাবেক স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মাসুদুর রহমান (৪৮) ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতা বুলবুলকে (৪০) জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
আহত পরিবহন শ্রমিক নেতা মোহম্মদ আশা অভিযোগ করে বলেন, দুপুর আড়াইটার দিকে আওয়ামী লীগ সমর্থিত সেলিমের নেতৃত্বে শহরের চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা এসব হামলা চালায়।
খবর পেয়ে বিকালে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম রমজান আহতদের দেখতে হাসপাতালে যান।
তিনি দ্রুত অভিযুক্তদের আটক করতে প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসিম আহমেদ জানান, বিচ্ছিন্নভাবে যারা এসব হামলা চালিয়েছে তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
আরও পড়ুন: খেলা দেখা নিয়ে আর্জেন্টিনা-ব্রাজিল সমর্থকদের সংঘর্ষ, আহত ৭
বিজয় দিবসের শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে হামলায় ৫ বিএনপি নেতাকর্মী আহত
আ. লীগকে আন্দোলনের ভয় দেখিয়ে লাভ নেই: ওবায়দুল কাদের
আওয়ামী লীগকে আন্দোলনের ভয় দেখিয়ে লাভ নেই, আন্দোলন-সংগ্রামের মধ্য দিয়েই এই দল গড়ে উঠেছে বলে মন্তব্য করেছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগকে আন্দোলনের ভয় দেখিয়ে লাভ নেই, আন্দোলন করেই আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসেছে।
মঙ্গলবার নোয়াখালী শহর ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন। এসময় ওবায়দুল কাদের তার রাজধানীর বাসভবন থেকে সম্মেলনে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, মির্জা ফখরুল সাহেবদের অপপ্রচারের বিপরীতে আমরা গঠনমূলক সত্য প্রকাশ করবো এবং কাজ দিয়ে প্রমাণ করবো।
আন্দোলনের মাধ্যমে নির্যাতনের জবাব দেয়া হবে-মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন বক্তব্য প্রসঙ্গে কাদের প্রশ্ন রেখে বলেন, নির্যাতন কাকে বলে? বিএনপি কত হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে? ১৫ আগস্ট, ৩ নভেম্বর, ২১ আগস্ট হত্যাকান্ডের সঙ্গে জড়িত কারা?
আরও পড়ুন: দেশে এখন সরকার হটানোর চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে: ওবায়দুল কাদের
আওয়ামী লীগের ২১ হাজার নেতাকর্মীকে বিএনপি হত্যা করেছে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, এখন বিএনপি নেতারা ঘরে আছেন, অথচ আমরা তাদের শাসনামলের ৫ বছরে ৫০ দিনও ঘরে থাকতে পারিনি।
বিএনপির আন্দোলন প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, তারা শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করুক, কোন আপত্তি নেই। কিন্তু আগুন নিয়ে খেললে এবং সহিংসতা করতে এলে আমরাও সতর্কতার সঙ্গে প্রস্তুত হয়ে আছি। জনগণের জানমাল রক্ষায় সমুচিত জবাব দেয়া হবে।
সম্মেলনে নিজ দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, মুজিব কোট পরলেই মুজিব সৈনিক হওয়া যায় না, মুজিব সৈনিক হতে হলে মুজিবের আদর্শের সৈনিক হতে হবে; শেখ হাসিনার খাঁটি কর্মী হতে হবে।
তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনা শাসক নয়, তিনি জনগণের সেবক।
নোয়াখালী পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল ওয়াদুদ পিন্টুর সভাপতিত্বে সম্মেলনে আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের আহবায়ক এ এইচ এম খায়রুল আনম চৌধুরী সেলিম, যুগ্ম আহবায়ক শিহাব উদ্দিন শাহীন, সহিদ উল্লাহ খান সোহেল এবং সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরী।
আরও পড়ুন: প্রতিহিংসার রাজনীতির হোতাই হচ্ছে বিএনপি: কাদের
বিএনপির বিরুদ্ধে লাল কার্ড দেখাবে জনগণ: ওবায়দুল কাদের
আ. লীগ সরকারের আমলে বাংলাদেশের অনেক পরিবর্তন হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন যে তার দল আওয়ামী লীগ টানা তিন মেয়াদে ক্ষমতায় থাকাটা, বাংলাদেশকে অনেক পরিবর্তন এবং সমৃদ্ধির দিকে এগিয়ে যেতে সাহায্য করেছে।
তিনি বলেন, ‘উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে আমাদের আরও এগিয়ে যেতে হবে এবং উন্নত দেশ হতে হবে। আমি সেই পরিকল্পনা প্রণয়ন করেছি। আমরা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য ভিশন ২০৪১ এবং ডেল্টা প্ল্যান ২১০০ প্রণয়ন করেছি।’
সোমবার প্রধানমন্ত্রী ঢাকা সেনানিবাসে এএফডি-২০২২ উপলক্ষে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর বীরত্ব পুরস্কার বিজয়ী মুক্তিযোদ্ধা এবং তাদের উত্তরাধিকারীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেয়ার সময় এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ একটি বিজয়ী জাতি হিসেবে বিশ্বে সমাদৃত। বাংলাদেশিরা এখন মাথা উঁচু করে সারা বিশ্বে ঘুরে বেড়ায়।
শেখ হাসিনা বরেন, ‘আমরা এটি অর্জন করেছি, তবে আমাদের আগামী দিনে আরও এগিয়ে যেতে হবে।’
আরও পড়ুন: ৫০ শিল্প ইউনিট ও অবকাঠামো উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার গৃহহীনদের জন্য ঘর নির্মাণ করছে এবং তাদের জীবন পরিবর্তনের সুযোগ দিচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা অক্লান্ত চেষ্টা করছি। এখন অন্তত আমরা বলতে পারি যে বিশ্বের মানুষ বাংলাদেশিদের অবহেলা করতে পারে না।’
শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ দল ও সরকার হিসেবে মুক্তিযোদ্ধাদের অবদান কখনোই ভুলবে না। আর সে কারণেই আমরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বাংলাদেশ গড়ার পরিকল্পনা নিয়েছি।
তিনি বলেন, দেশকে তার শক্ত ভিত্তি তৈরি করে আরও এগিয়ে যেতে হবে যাতে এটি উন্নয়নশীল দেশ থেকে একটি উন্নত দেশ হিসেবে উন্নীত হয়। ‘আমরা সেই লক্ষ্যে কাজ করছি।’
তিনি বলেন, কোভিড-১৯ মহামারি, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের নিষেধাজ্ঞা বাংলাদেশকে গভীর সংকটে ফেলেছে।
তিনি উল্লেখ করেন, বাংলাদেশকে বিদেশ থেকে ভোজ্যতেল, জ্বালানি তেল, গম, ভুট্টা ও মসুর ডালের মতো পণ্য কিনতে হয় বলে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বেড়েছে।
তিনি বলেন, ‘পরিবহন ব্যয়ও বেড়েছে। তাই আমরা সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছি। কিন্তু আমরা অলস বসে নেই। জনগণের দুর্ভোগ লাঘব করতে এবং অর্থনৈতিক মন্দা এড়াতে আমি ইতোমধ্যে সবাইকে চাষাবাদের সঙ্গে এক ইঞ্চি জমি ছেড়ে না দেয়ার আহ্বান জানিয়েছি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সারা বিশ্বে যে যুদ্ধজনিত সমস্যা হয়েছে তা থেকে উত্তরণের জন্য সরকার যথাযথ পদক্ষেপ নিচ্ছে।
মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবারের জন্য গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা সংক্ষেপে বর্ণনা করে তিনি বলেন, তাদের প্রতি কেউ কখনো অবজ্ঞা ও অবহেলার চোখে দেখবে না।
তিনি বলেন যে সরকার অবহেলার শিকার এফএফদের খুঁজে বের করেছে এবং এখন তারা যাতে এই ধরনের এফএফ ভাতা পায় তা নিশ্চিত করার জন্য সর্বাত্মক ব্যবস্থা গ্রহণ করছে।
তিনি আরও বলেন, তার সরকার এফএফ-এর জন্য ভাতা বৃদ্ধি করেছে এবং এটি প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে অব্যাহত থাকবে।
তিনি আরও বলেন, আমার পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দেশ স্বাধীন করার আহ্বানে সাড়া দিয়ে যারা অস্ত্র তুলেছিলেন তাদের জন্য কাজ করা আমাদের কর্তব্য।
তিনি উল্লেখ করেছিলেন যে এফএফগুলির মধ্যে বিভিন্ন মতাদর্শ থাকতে পারে, তবে আওয়ামী সরকার তাদের অবদানকে খাটো করেনি।
তিনি বলেন, আমরা মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি রক্ষায় কাজ করছি।
তিনি বলেন, তরুণ প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিসৌধের মাধ্যমে বিজয়ের ইতিহাস জানতে পারলে জাতির জন্য আরও কঠোর পরিশ্রম করতে অনুপ্রাণিত হবে।
তিনি বলেন, এ লক্ষ্যে সরকার প্রতিটি উপজেলায় মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স প্রতিষ্ঠা করছে এবং ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যান যেখানে বঙ্গবন্ধু তার ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ দিয়েছিলেন, স্বাধীনতা ও পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী আত্মসমর্পণের পর দেশ পরিচালনার নির্দেশনা দিয়েছিলেন তা সংরক্ষণের ব্যবস্থাও নিয়েছে।
আরও পড়ুন: সশস্ত্র বাহিনী দিবস: শিখা অনির্বাণে শ্রদ্ধা নিবেদন প্রধানমন্ত্রীর
২০২৩ সালে পাইপলাইনে ভারত থেকে জ্বালানি তেল আমদানি শুরু: প্রধানমন্ত্রী