আ. লীগ
চাঁদপুরে আ. লীগ নেতাকে কুপিয়ে আহত করে টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগ
চাঁদপুর সদরের হাণারচর ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. আবদুল ছাত্তার রাঢ়ীকে কুপিয়ে আহত করে পৌনে ২ লাখ টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
বুধবার (১২ এপ্রিল) বিকালে গোবিন্দিয়া রাস্তায় হরিণা ফেরিঘাটের টোল আদায়ের টাকা নিয়ে বাড়ি ফেরার সময় এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: সীতাকুণ্ডে ঐতিহ্যবাহী শিব চতুর্দশী মেলা শুরু
এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) বাদী হয়ে বিল্লাল ছৈয়াল, আলী আকবর ছৈয়াল ও ইউসুফ ছৈয়ালসহ ৫ থেকে ৬ জনকে আসামি করে সদর মডেল থানায় মামলা করেছেন ভুক্তভোগী।
এ সংবাদ জেনে হাসপাতালে ভর্তি থাকা মো. আবদুল ছাত্তার রাঢ়ীকে চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু নঈম পাটওয়ারী দুলাল দেখতে যান এবং শারীরিক খোঁজ খবর নেন।
ভুক্তভোগী মো. আবদুল ছাত্তার রাঢ়ী ইউএনবিকে বলেন, এলাকায় মাদক বেচাবিক্রির প্রতিবাদ করায় ও এলাকায় আধিপত্য দেখাতেই আমার উপর এরা হামলা চালিয়েছে। এ সময় তারা আমাকে কুপিয়ে আহত করে হরিণা ফেরিঘাটের টোল আদায়ের পৌনে ২ লাখ টাকা ছিনিয়ে ছিনতাই করে নিয়ে যায়।
এছাড়া তার মাথায় ৬টি সেলাই লেগেছে বলে তিনি ইউএনবিকে জানান।
সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহসীন আলম ইউএনবিকে বলেন, এ ব্যাপারে তদন্ত চলছে । তদন্ত করছেন চাঁদপুর সদর মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সেলিম।
এ বিষয়ে চাঁদপুর সদর মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সেলিম বলেন, আমি হাসপাতালে গিয়ে চেয়ারম্যানকে দেখে এসেছি এবং তার সঙ্গে কথাও হয়েছে।
আরও পড়ুন: ধুনটে বাদীকে কুপিয়ে আহত করল ‘ধর্ষণ’ মামলার আসামিরা
সীতাকুণ্ডে যুবলীগ কর্মীকে কুপিয়ে আহত , মহাসড়ক অবরোধ
বিডিআর বিদ্রোহের পেছনে ছিল আ. লীগ সরকার: রিজভী
বিডিআর বিদ্রোহের সঙ্গে বিএনপি জড়িত- পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদের এমন বক্তব্যের জবাবে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় এ ঘটনা ঘটেছে।
মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: ‘যত্নের অভাবে বা নির্যাতনে’ পুলিশ হেফাজতে বিএনপির ১৫ নেতা-কর্মীর মৃত্যু হয়েছে: রিজভী
রিজভী বলেন, ‘পিলখানায় সেনা অভিযান না চালানো, খুনিদের আপ্যায়ন করা, সাধারণ ক্ষমার ঘোষণা এবং অনেককে বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার সুযোগ করে দেওয়ায় নানা প্রশ্ন ওঠে। সেসব প্রশ্ন তুলতে গিয়ে অনেকেই চাকরি হারিয়েছেন। ২০১১ সালের ৩০ আগস্ট উইকিলিকসের ফাঁস করা গোপন তথ্য, ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের সাক্ষ্য, তাদের বিচার প্রক্রিয়া, তদন্ত কমিটির আংশিক প্রতিবেদন, দেশি-বিদেশি সংবাদপত্র ও গণমাধ্যমের তদন্ত প্রতিবেদন পিলখানা হত্যাকাণ্ডের ৪৮ ঘণ্টা পর লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. মইনুল ইসলামের শেষ বক্তব্য স্পষ্টভাবে প্রমাণ করে যে, আওয়ামী লীগ সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় ৫৭ জন চৌকস সেনা কর্মকর্তা ও তাদের পরিবারের অনেক সদস্যকে ঠান্ডা মাথায় বিডিআর বিদ্রোহের নামে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে। আর তাদের পেছনে ছিলেন এই সরকারের বিদেশি প্রভুরা।’
এদিকে সোমবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, এটা দিবালোকের মতো স্পষ্ট যে, বিডিআর বিদ্রোহের পেছনে বিএনপি ছিল এবং দেশের স্মার্ট অফিসারদের হত্যা করেছে।
পিলখানা হত্যাকাণ্ড নিয়ে বিজিবির সাবেক মহাপরিচালক লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. মইনুল ইসলামের সাক্ষাৎকারের কথা উল্লেখ করে রিজভী আরও বলেন, ‘হাছান মাহমুদ হয়তো স্বীকার করবেন না, কিন্তু সেদিন পিলখানায় যা ঘটেছিল, কারা করেছিল, কেন ঘটল, ঘটনার পেছনে কারা ছিল, কে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছিল- এসব সত্য গতকালও গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। সোমবার গণমাধ্যমে বিজিবির সাবেক এই মহাপরিচালকের সাক্ষাৎকার দেখে কি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মাথা খারাপ হয়ে গেছে? সাবেক ডিজির বক্তব্যে সেদিন জনগণ যা দেখেছে এবং বিশ্বাস করেছে তারই প্রতিফলন ঘটেছে।’
তিনি বলেন, ‘গতকাল সাবেক মহাপরিচালকের সাক্ষাৎকারটি প্রকাশিত হলে দেশজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়। তিনি স্পষ্টভাবে বলেন- একটি রাজনৈতিক দলের নেতারা এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত এবং তারা ঘটনার সময় বাইরে জয় বাংলা স্লোগান দেন। তাছাড়া বিদেশি উসকানির বিষয়ে তিনি যা বলেছেন, ঘটনার দিন থেকেই জনগণ তা বিশ্বাস করেছে। সাবেক এই মহাপরিচালক সাক্ষাৎকারে বলেন, বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটিকে আওয়ামী লীগ সরকার স্বাধীনভাবে কাজ করতে দেয়নি। আমরা বলতে চাই, পিলখানা ট্র্যাজেডির রহস্য লুকিয়ে রাখা যাবে না, একদিন এর আসল রহস্য উন্মোচিত হবে এবং প্রকৃত অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনা হবে।’
আরও পড়ুন: সরকারের ব্যর্থতা ঢাকতে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির জন্য বিএনপিকে দায়ী করছেন প্রধানমন্ত্রী: রিজভী
ক্ষমতা দখল করে ঔদ্ধত্য দেখাচ্ছে আ.লীগ সরকার: রিজভী
বিরোধী দলকে নিষিদ্ধ করতে চায় আ. লীগ: ড. মঈন
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ নিজেদের ক্ষমতা আরও পাকাপোক্ত করতে বিরোধী দলগুলোকে নিষিদ্ধ করতে চায় বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান।
রবিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সমাধিস্থলে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
মঈন খান বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ক্ষমতাকে চিরস্থায়ী করার জন্য বিচার বিভাগ ও সংসদ উভয়ের উপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করেছে। তারা এখন বিরোধী দলগুলোকে নিশ্চিহ্ন করতে চায়। এটাই আওয়ামী লীগের মানসিকতা।’
আরও পড়ুন: জনসমর্থন নেই বলেই সরকারকে ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য করা হবে: মঈন খান
তিনি আরও বলেন, ‘মূল কথা হলো, এই শাসকগোষ্ঠী গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না বলেই দেশের বিরোধী দলগুলোকে নিষিদ্ধ করতে চায়।’
আওয়ামী লীগের বিপরীতে বিএনপি শুধু ক্ষমতায় না গিয়ে দেশের মানুষের জন্য রাজনীতি করে বলে দাবি করেন তিনি।
বিএনপির এ নেতা বলেন, ‘গত দেড় বছর ধরে আমরা যে আন্দোলন করছি তা কেবল দেশে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠার জন্য। আমরা ক্ষমতার লোভ করি না।’
তিনি বলেন, তাদের দলের লক্ষ্য হচ্ছে ক্ষমতার পরিবর্তন আনা। যাতে দেশের মালিকানা জনগণের হাতে ফিরে আসে।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আরও বলেন, জনগণের অর্থ লুটপাট, সম্পদ ও সম্পদ কুক্ষিগত করা এবং বিদেশে অভিজাত এলাকায় দ্বিতীয় বাড়ি গড়ে তোলার অধিকার বাংলাদেশের জনগণ কোনো রাজনৈতিক দলকে দেয়নি।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ সেই কারণে স্বাধীন হয়নি।’
এর আগে বিএনপির সহযোগী সংগঠন বিএনপির ৪৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে মঈন খানের নেতৃত্বে জাতীয়তাবাদী তাঁতি দলের নেতা-কর্মীরা জিয়ার সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।
তারা সেখানে জিয়ার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে মোজাজাত করেন।
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন প্রসঙ্গে মঈন বলেন, ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের আগে প্রতিটি আসনের জন্য সরকার আগে থেকেই বিজয়ী বাছাই করে ফলাফল পূর্বনির্ধারিত ছিল।
তিনি আরও বলেন, ‘এ কারণে দেশের মানুষ নির্বাচন বর্জন করেছে।’
আরও পড়ুন: জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে সংসদ বা সরকার গঠিত হয়নি: ড. মঈন
তিনি বলেন, সরকার জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়ে ক্ষমতা দখল করেছে বলেই এদেশে গণতন্ত্র নেই।
বিএনপি নেতা বলেন, ‘এমনকি প্রধান প্রধান আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম ও ম্যাগাজিনগুলোও বলছে- বাংলাদেশে বাকশাল-২ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।’
গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির ‘শান্তিপূর্ণ’ সমাবেশে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের হামলা বিরোধী দলের উপর সরকারের দমন-পীড়ন বলেও মন্তব্য করেন ড. মঈন।
মঈন বলেন, ‘এমনটাই জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম। সেই দমন-পীড়নের মাধ্যমে সরকার আবারও এ দেশের মানুষের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়েছে। সুতরাং ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত সংসদ ও সরকার জনগণের প্রতিনিধিত্ব করে না।’
ড. মঈন বলেন, দেশের এই ক্রান্তিকালে তাদের দল গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে।
বিএনপির এই নেতা বলেন, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা, গরিবের অর্থনৈতিক মুক্তি এবং পাকিস্তানিদের স্বৈরাচার ও শোষণ থেকে মুক্তি পেতে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে দেশের মানুষ দেশ স্বাধীন করেছে।
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার গণতন্ত্রকে মুছে ফেলে, ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়ে মুক্তিযুদ্ধের মূল চেতনাকে ভূলুণ্ঠিত করেছে।’
আরও পড়ুন: আ. লীগ সরকার ‘তাসের ঘরের মতো’ ভেঙে পড়বে: মঈন খান
৭ জানুয়ারির নির্বাচনের খেসারত আ. লীগকে দিতে হবে: ফারুক
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য জয়নুল আবদিন ফারুক বলেছেন, আগামী ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদের ‘একতরফা’ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য আওয়ামী লীগকে খেসারত দিতে হবে।
শনিবার এক মানববন্ধনে তিনি একথা জানান।
বিএনপিকে অবমূল্যায়ন না করতে ক্ষমতাসীন দলের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, দলটি যেকোনো সময় রাজপথে ফিরে আসতে পারে। কারণ দেশের জনগণের মধ্যে ব্যাপক জনপ্রিয়তা রয়েছে বিএনপির।
আরও পড়ুন: পর্যটন শিল্পে ফিলিপাইনকে বিনিয়োগের আহ্বান জানালেন ফারুক খান
ফারুক বলেন, ‘ওবায়দুল কাদের সাহেব, আপনি কীভাবে বলেন যে- ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে না আসার জন্য বিএনপিকে অনেক খেসারত দিতে হবে? উল্টো আমি বলতে চাই, এর মূল্য আপনাদেরই দিতে হবে। যুগ যুগ ধরে আপনাদের মাশুল দিতে হবে, কারণ আপনারা জনগণের অংশগ্রহণ ছাড়াই নির্বাচন করে সরকার গঠন করেছেন।’
আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতা দখল করে জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়ে দেশে রাজনৈতিক সংকট সৃষ্টি করছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। ফারুক বলেন, ‘গণতন্ত্র ধ্বংস করে আপনারা বাংলাদেশের ইতিহাসে যে কলঙ্ক লেপন করেছেন তার দায়ভার আপনাদেরই নিতে হবে। সুতরাং আপনাদের এর জন্য খেসারত দিতে হবে।’
সাবেক বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ ফারুক বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ক্রমবর্ধমান ঊর্ধ্বগতির মধ্যে সীমান্তে অব্যাহত গোলাগুলি চলছে এবং জনগণের সমর্থন ছাড়াই আওয়ামী সরকার ক্ষমতায় থাকায় দেশের অর্থনৈতিক মেরুদণ্ড ভেঙে যাচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে আওয়ামী লীগ যে কলঙ্ক লেপন করেছে তার জন্য জনগণের মুখোমুখি হওয়ার সময় খুবই নিকটে।
আরও পড়ুন: আ.লীগ সরকারই ব্যবসায়িক সিন্ডিকেট তৈরি করেছে: বিএনপি নেতা ফারুক
জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া, মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীসহ দলের কারাবন্দি নেতা-কর্মীদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি আয়োজন করে জিয়াউর রহমান সমাজকল্যাণ ফোরাম।
ফারুক অভিযোগ করেন, একতরফা নির্বাচন অনুষ্ঠানের ‘পরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের’ অংশ হিসেবেই সরকার গত ২৮ অক্টোবর রাজধানীতে বিএনপির মহাসমাবেশ বানচাল করে দেয় এবং ফখরুলসহ বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতাদের গ্রেপ্তার করে সরকার।
তিনি সরকারকে পদত্যাগ করে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে একটি সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানান। ‘অন্যথায় জনগণের ক্ষোভ উস্কে গেলে আপনারা শ্রীলঙ্কার চেয়েও ভয়ংকর পরিস্থিতির সম্মুখীন হবেন।’
ফারুক বলেন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও হারানো অধিকার ফিরে না আসা পর্যন্ত তাদের দল জনগণকে সঙ্গে নিয়ে রাজপথে থাকবে।
আরও পড়ুন: হুমকি সত্ত্বেও বিএনপি আন্দোলন চালিয়ে যাবে: জয়নুল আবেদিন ফারুক
গণতন্ত্রের স্বার্থেই জাতীয় নির্বাচন আ. লীগের সব সদস্যের জন্য উন্মুক্ত ছিল: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তিনি যদি গত মাসে(৭ জানুয়ারি) স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে তার দলের সদস্যদের নির্বাচনে অংশ নিতে না দিতেন, তাহলে দেশের গণতন্ত্র হরণ করা হতো।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের সবার জন্য নির্বাচন উন্মুক্ত না হলে শুধু নির্বাচনই কলঙ্কিত হতো না, দেশের গণতন্ত্রও ছিনতাই হয়ে যেত।
শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সরকারি বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় সূচনা বক্তব্যে একথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা ধরে রাখতে এ নির্বাচন গুরুত্বপূর্ণ ছিল।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘নির্বাচনের আগে আমরা যে নির্বাচনি ইশতেহার ঘোষণা করেছিলাম, তা ভুলে গেলে চলবে না এই অর্জন ধরে রাখতে হবে। প্রতি বছর বাজেট প্রণয়নের সময় আমরা নির্বাচনি ইশতেহার অনুসরণ করি।’
আরও পড়ুন: টেকসই ভবিষ্যৎ গড়তে বিজ্ঞানে নারীদের অংশগ্রহণ বাড়ানো উচিত: প্রধানমন্ত্রী
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রধান শেখ হাসিনা বলেন, তার দল আসন্ন উপজেলা নির্বাচনকে অংশগ্রহণমূলক করতে দলের সব সদস্যের জন্য উন্মুক্ত করে দিয়েছে।
তিনি বলেন, গত ১৫ বছরে ক্ষমতায় থাকাকালীন সাধারণ মানুষের জন্য কতটুকু কাজ করেছেন, কারা করতে পেরেছেন বা পারেননি তাও খতিয়ে দেখা হবে। এর মাধ্যমে আমরা দেখব জনগণ কাকে গ্রহণ করে।
আসন্ন স্থানীয় সরকার নির্বাচনে যেকোনো ধরনের সংঘাতের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা কোনো ধরনের সংঘাত চাই না। এর জন্য দায়ী ব্যক্তিরা যেই হোক না কেন, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
আরও পড়ুন: আইএমও'র প্রচেষ্টায় বাংলাদেশের অব্যাহত সম্পৃক্ততা ও নেতৃত্বের প্রত্যাশা করছি: সংস্থাটির প্রধান
আ. লীগ সরকারের পতন ঘটাতে মানুষ আবারও রাস্তায় নামবে: মান্না
নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের পতন নিশ্চিত করতে রাজধানীতে আবারও রাস্তায় নামবে জনগণ।
তিনি বলেন, ‘এই সংসদ কাজ করতে পারে না। তারা (আওয়ামী লীগ নেতারা) হতাশ, আমরা নই। সাধারণ মানুষ ৭ জানুয়ারি ভোট দিতে না গিয়ে আমাদের সর্বাত্মক সমর্থন দিয়েছে।’
আরও পড়ুন: স্বাস্থ্য সচিব আবদুল মান্নান করোনায় আক্রান্ত
সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) মানববন্ধন কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মান্না সর্বস্তরের মানুষকে সাহসের সঙ্গে রাজপথে নামার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ‘সেদিন বেশি দূরে নয়, যেদিন দেখবেন এই ঢাকা শহর মিছিলে ভরে যাবে। আমরা সেই আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছি। ৭ জানুয়ারির নির্বাচন নিয়ে আমাদের মধ্যে কোনো হতাশা নেই।’
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ গ্রেপ্তার বিরোধী নেতা-কর্মীদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন করে বিএনপিপন্থী ‘দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলন’।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর নতুন রাষ্ট্রপতি মনোনয়ন প্রক্রিয়ার সমালোচনা মান্নার
মান্না বলেন, বিশ্বের প্রধান গণতান্ত্রিক দেশগুলো ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে স্বীকৃতি দেয়নি। তাই বিরোধী দলগুলোর হতাশ হওয়ার কোনো কারণ নেই।
তিনি বলেন, জনগণের সমর্থন পেতে ব্যর্থ হয়ে পুলিশ ও আমলাতন্ত্রের সহায়তায় নির্বাচন করে ক্ষমতাসীন নেতারা হতাশ হয়ে পড়েছেন।
আরও পড়ুন: এম এ মান্নানের প্রতি শেষ শ্রদ্ধা বিএনপির
আ. লীগ সরকার ‘তাসের ঘরের মতো’ ভেঙে পড়বে: মঈন খান
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকার তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়বে।
সোমবার (২২ জানুয়ারি) এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, ‘বন্দুকের জোরে’ সরকারের ক্ষমতায় থাকার চেষ্টা সফল হবে না।
তিনি বলেন, ‘গণতন্ত্রের ভিত্তি হচ্ছে জনগণ। জনগণ তাদের সঙ্গে না থাকায় এই সরকারের কোনো ভিত্তি নেই। সরকার নিজেও জানে না কখন তারা তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়বে।’
আরও পড়ুন: ৭ জানুয়ারি ভুয়া নির্বাচনের মাধ্যমে সংসদ দখল করেছে আ. লীগ: মঈন খান
বন্দুকের জোর জনগণের ঐক্য ও ন্যায়বিচারের শক্তির সামনে দাঁড়াতে পারে না উল্লেখ করে তিনি সরকারকে গণতন্ত্রের পথে এসে নতুন ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের ব্যবস্থা করার আহ্বান জানান।
ড. মঈন বলেন, ‘তা না হলে পরিণতি ভালো হবে না। গুলি, বন্দুক ও কাঁদানে গ্যাস দিয়ে জনগণকে পরাজিত করা যায়। কিন্তু মানুষের ভালোবাসা খুঁজে পাওয়া যায় না। ৭ জানুয়ারির নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি। যা বিশ্বের সব গণমাধ্যমে বলা হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘জনগণের ম্যান্ডেট ছাড়া বর্তমান সরকার ক্ষমতা দখল করায় গণতান্ত্রিক বিশ্ব স্বীকার করেছে বাংলাদেশে এখন গণতন্ত্র নেই। তারা বন্দুকের নলের জোরে ক্ষমতায় টিকে থাকার চেষ্টা করছে। তাদের এ প্রচেষ্টা কখনোই সফল হবে না।’
সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৮৮তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) ‘নতুন বাকশাল নির্মূলে শহীদ জিয়ার রাষ্ট্রীয় দর্শন’ শীর্ষক এই আলোচনা সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মঈন খান বলেন, ‘আওয়ামী লীগ জনগণের জন্য কাজ করে না, তারা একদলীয় শাসন ও লগি-বইঠার রাজনীতি করে। তারা দেশের সব প্রতিষ্ঠান ঘেরাও করে রেখেছে। তারা সংবিধানের কথা বলে জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করছে।’
তিনি গণতন্ত্র ও জনগণের ভোটাধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠায় শিক্ষকসহ সব পেশাজীবীদের সক্রিয় ভূমিকা পালনের আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘দেশে গণতন্ত্র না থাকলে কেউ বসে থাকতে পারে না। আমরা নতুন বাকশাল-২ প্রথার অবসান চাই।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, বর্তমান সরকার চায় এ দেশে কেউ তাদের সমালোচনা না করুক, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের কথা বলুক, কারণ আওয়ামী লীগ ক্ষমতার লিপ্সায় অন্ধ হয়ে গেছে।
তিনি বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বর্জনের আহ্বান জানিয়ে লিফলেট বিতরণসহ একটি শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে সরকার বাধা দিয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা এখন সরকারের বিরুদ্ধে কালো পতাকা নিয়ে মিছিল করার ঘোষণা দিয়েছি। কিন্তু হুমকি দেওয়া হচ্ছে, আমরা যদি কালো পতাকা মিছিল করি, তাহলে ২৮ অক্টোবরের মতো আবারও আমাদের উপর দমন-পীড়ন চালানো হবে।’
আরও পড়ুন: জনসমর্থন নেই বলেই সরকারকে ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য করা হবে: মঈন খান
গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে রাজপথে আন্দোলন চালিয়ে যাবে বিএনপি: মঈন খান
আ. লীগের জয় শেখ হাসিনার নেতৃত্বে জনগণের আস্থার প্রমাণ: শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট
শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহে বলেছেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নির্বাচনে জয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যোগ্য নেতৃত্বের প্রতি দেশটির জনগণের আস্থা ও বিশ্বাসের প্রমাণ।
প্রেসিডেন্ট বিক্রমাসিংহে আস্থা প্রকাশ করেন, তার প্রজ্ঞা ও অভিজ্ঞতার ভাণ্ডার বাংলাদেশের জনগণের কল্যাণের জন্য অব্যাহত থাকবে।
শ্রীলঙ্কার সরকার ও জনগণের পক্ষ থেকে রনিল বিক্রমাসিংহে সদ্য সমাপ্ত সংসদ নির্বাচনে শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের জয়ে তাকে উষ্ণ অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশের মধ্যকার ঘনিষ্ঠ ও বন্ধুত্বপূর্ণ দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে প্রেসিডেন্ট বিক্রমাসিংহে দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শাসনামলে আগামী বছরগুলোতে এই বহুমুখী সম্পর্ক আরও জোরদার ও সুসংহত হবে।
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনার সঙ্গে মোদির ফোনালাপ: বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধিতে ভারতের সমর্থন অব্যাহত থাকবে
এ প্রসঙ্গে তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে পারস্পরিক সুবিধাজনক সময়ে শ্রীলঙ্কা সফরের আমন্ত্রণ জানান।
এই সফর শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশের মধ্যে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক মিথস্ক্রিয়াকে উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়িয়ে তুলবে এবং দুই দেশের পারস্পরিক স্বার্থে বিদ্যমান সম্পর্ককে আরও জোরদার করবে বলে আত্মবিশ্বাস প্রকাশ করেন প্রেসিডেন্ট বিক্রমাসিংহে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত হস্তক্ষেপ এবং বিশেষ করে সাম্প্রতিক অতীতে বাংলাদেশ সরকার শ্রীলঙ্কায় যে গুরুত্বপূর্ণ সহায়তা দিয়ে আসছে তা গভীর প্রশংসার সঙ্গে স্মরণ করেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত সম্পৃক্ততা এবং শ্রীলঙ্কা ও এর জনগণের প্রতি অকৃত্রিম ভালোবাসা ছাড়া এই সময়োপযোগী সহায়তা সম্ভব হতো না বলে তিনি উল্লেখ করেন।
শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুস্বাস্থ্য, সুখ ও ব্যক্তিগত কল্যাণ এবং বাংলাদেশের জনগণের অব্যাহত অগ্রগতি ও সমৃদ্ধির জন্য শুভকামনা জানান।
আরও পড়ুন: নির্বাচনে জয়ী হওয়ায় শেখ হাসিনাকে ইআরডিএফবির অভিনন্দন
সিলেট-৩ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সভায় হামলার অভিযোগ আ. লীগ প্রার্থীর কর্মীদের বিরুদ্ধে
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিলেট-৩ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা ডা. মো. ইহতেশামুল হক চৌধুরী দুলালের নির্বাচনী সভায় হামলার অভিযোগ উঠেছে।
ডা. দুলালের অনুসারীদের অভিযোগ- হামলাকারীরা আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী হাবিবুর রহমানের কর্মী।
মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার ঘিলাছড়া ইউনিয়নের নয়াবাজারে ডা. ইহতেশামুল হক চৌধুরী দুলালের ট্রাক মার্কার সমর্থনে আয়োজিত নির্বাচনী সভা চলাকালে হঠাৎ কয়েকজন সেখানে ঢুকে ভাঙচুর চালায় এবং ডা. দুলালের কর্মীদের উপর চেয়ার ছুড়ে মারে।
ডা. দুলালের ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব সালেহ আহমদ জানান, সন্ধ্যায় আমাদের নির্বাচনী সভায় আকস্মিক হামলা চালান নৌকার প্রার্থীর কর্মী ঘিলাছড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম মনা ও তার সহযোগীরা।
এ ব্যাপারে ডা. মো. ইহতেশামুল হক চৌধুরী দুলাল বলেন, হামলার ঘটনায় আমার কর্মী-সমর্থকরাসহ সাধারণ ভোটাররা ভীত হয়ে পড়েছেন। আমার জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে আমার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর কর্মীরা হিংসাত্মক আচরণ শুরু করেছেন। তারা আমার কর্মীদের প্রকাশ্যে হুমকি দিচ্ছেন।
এ ঘটনার পর ডা. দুলাল রিটার্নিং অফিসার ও সিলেটের জেলা প্রশাসক এবং সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা (ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা) বরাবর অভিযোগ দায়ের করেছেন।
এ বিষয়ে জানতে সিলেট-৩ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী হাবিবুর রহমান হাবিব বলেন, এগুলো মিথ্যা অভিযোগ। আমি বিষয়টি শুনেই খবর নিয়েছি। আমার কোনো কর্মী-সমর্থক এমন করতে পারে না।
তিনি আরও বলেন, এছাড়া আমি আমার কর্মী-সমর্থকদের বলে দিয়েছি- নির্বাচনি প্রচারকালে কেউ যেন কোনো অন্যায় আচরণ না করে। তবে ৭ জানুয়ারি সব ষড়যন্ত্রের জবাব দেবে সিলেট-৩ আসনের ভোটাররা। কারণ আমি উপনির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার পর থেকেই অবিরাম এই আসনের মানুষের জন্য কাজ করেছি।
নড়াইল-২ আসনে প্রার্থিতা ফিরে পেলেন আ. লীগ নেতা লিটু
দীর্ঘ ২৪ দিন দৌড়ঝাঁপের পর হাইকোর্টের আদেশে প্রার্থিতা ফেরত পেলেন নড়াইল-২ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা সৈয়দ ফয়জুল আমীর লিটু।
বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) হাইকোর্টের বিচারপতি মো. ইকবাল কবির ও বিশ্বজিৎ দেবনাথের দ্বৈত বেঞ্চ সৈয়দ ফয়জুল আমীর লিটুর মনোনয়ন গ্রহণ এবং প্রতীক বরাদ্দের আদেশ দেন।
গত ৪ ডিসেম্বর নড়াইলের রিটার্নিং কর্মকর্তা মনোনয়ন যাচাই-বাছাইকালে এক শতাংশ ভোটারের সইসহ কয়েকটি জটিলতায় লিটুর প্রার্থিতা বাতিল করেন।
প্রসঙ্গত, গত ২৬ ডিসেম্বর অপর স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. নূর ইসলাম প্রার্থিতা ফিরে পান।
নড়াইল-২ আসন থেকে মোট ৮ জন প্রার্থী নির্বাচনী লড়াইয়ে নামেন।
আরও পড়ুন: নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন: নড়াইলে মাশরাফীসহ ৩ প্রার্থীকে জরিমানা
প্রার্থীরা হলেন- আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী বর্তমান এমপি মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা, ওয়ার্কার্স পার্টির শেখ হাফিজুর রহমান, জাতীয় পার্টির ফায়েকুজ্জামান ফিরোজ, ইসলামী ঐক্যজোটের মাহাবুবুর রহমান, এনপিপির মনিরুল ইসলাম, গণফ্রন্টের মো. লতিফুর রহমান, স্বতন্ত্র মো. নূর ইসলাম ও সৈয়দ ফয়জুল আমীর লিটু।
প্রসঙ্গত, লোহাগড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ ফয়জুল আমীর লিটু ২০১৪ সালে লোহাগড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিপুল ভোটে উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।
২০২২ সালের ১৭ অক্টোবর অনুষ্ঠিত জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচনে পরাজিত হন।
এ বিষয়ে ফয়জুল আমীরের প্রতিক্রিয়া জানতে তাকে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
জেলা প্রশাসক ও জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ আশফাকুল হক চৌধুরী সৈয়দ ফয়জুল আমীর লিটুর প্রার্থিতা ফিরে পাওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, তাকে ট্রাক প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: খুলনা-৫ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আকরাম হোসেনের গুলি করার হুমকি!
রাজশাহীতে নৌকার সমর্থকদের হামলায় স্বতন্ত্র প্রার্থীর ৭ নেতা-কর্মী আহত