আ. লীগ
নুরের উপর এমন বর্বর হামলার ঘটনা আ. লীগ আমলেও ঘটেনি: উপদেষ্টা আসিফ
যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেছেন, গণধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরের উপর এমন বর্বর হামলার ঘটনা আওয়ামী লীগ সরকারের আমলেও ঘটেনি, যা এই সরকারের আমলে ঘটেছে। এই দায়-দায়িত্ব সরকারকে নিতে হবে।
রবিবার (৩১ আগষ্ট) দুপুরে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নূরকে দেখতে এসে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে সাংবাদিকদের এই কথা বলেন তিনি।তিনি বলেন, এই হামলা কোনো সাধারণ কর্মীর উপরে ঘটনা ঘটেনি, এটি একটি দলের প্রধানের উপর হামলার ঘটনা ঘটেছে।
উপদেষ্টা বলেন, গণধিকার পরিষদ সভাপতি নুরুল হক নূরের ওপর যে বর্বর হামলার ঘটনা ঘটেছে, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলেও এই ঘটনা ঘটতে দেখিনি। যেটি দুঃখজনকভাবে এই সরকারের আমলে ঘটেছে।
পড়ুন: নুরের শারীরিক অবস্থার খোঁজ নিলেন রাষ্ট্রপতি
তিনি আরও বলেন, হামলার ঘটনা যেহেতু অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে ঘটেছে, তাই এই হামলার ঘটনা যেই ঘটাক না কেন, তার দায়-দায়িত্ব সরকার দায়িত্ব এড়াতে পারে না। দায় এই সরকারের উপরি বর্তায়। তাই এই সরকারকে এটা সমাধান করতে হবে এবং বিচার করার মাধ্যমে ভবিষ্যতে যেন এই ধরনের ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটাতে না পারে—এই সরকারকে সেটি নিশ্চিত করতে হবে।
উপদেষ্টা আরও বলেন, গণধিকার পরিষদের পক্ষ থেকে সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে অভিযোগের প্রশ্নে তিনি বলেন, সরকার একটি শক্তিশালী তদন্ত কমিটি করার বিষয়ে ভাবছে।
মব নিয়ে তিনি বলেন, কোনটা মব আর কোনটা রাজনৈতিক কর্মসূচি এটার পার্থক্যটা আগে বুঝতে হবে। রাজনৈতিক দল কিভাবে মব করে। আমি যতটুকু জানি প্রথমত হামলা করেছে জাতীয় পার্টির পক্ষ থেকে। এর আগেও দেখেছি আমরা রাজনৈতিক দলগুলার মধ্যে উত্তপ্ত পরিস্থিতি সৃষ্টি হতেই পারে। মব বলে একটি পক্ষকে নিউট্রালাইজ করা আরেকটি পক্ষকে ফ্যাসিলিটি দেওয়া এটাই স্পষ্টই জাতীয় পার্টির মাধ্যমে আওয়ামী লীগকে ফেরানোর পরিকল্পনা করছে।
উপদেষ্টা আরও বলেন, নুরু ভাই জুলাই আন্দোলনের একজন জাতীয় সম্মুখ সারির নেতা ছিলেন। তার ওপর এই ধরনের ন্যাক্কারজনক হামলা মেনে নেওয়া যায় না। আমি তাকে দেখে এসেছি। তার নাকে মুখে বিভিন্ন জায়গায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে তার চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছি এবং যদি তার উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজন হয়, সরকারের পক্ষ থেকে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
৯৫ দিন আগে
শরীয়তপুরে আ. লীগ সমর্থকদের হামলায় যুবদল নেতা নিহত
শরীয়তপুর নড়িয়া উপজেলার ভোজেশ্বর বাজারে আওয়ামী লীগ সমর্থকদের হামলায় যুবদল নেতা এমদাদ হাওলাদার (৫০) নিহত হয়েছেন।
সোমবার (৯ জুন) সকালে তিনি স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও বিএনপি সমর্থকদের মধ্যে বাকবিতণ্ডার একপর্যায়ে ভোজেশ্বর বাজারে হামলায় নিহত হন।
নিহত এমদাদ হাওলাদার জপসা ইউনিয়ন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তিনি জপসা গ্রামের বাসিন্দা।
প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ইউপি চেয়ারম্যান শহীদুল শিকদারের ছোট ভাই তুহিন সিকদারের নেতৃত্বে ২৫ থেকে ৩০ জন এমদাদের ওপর হামলা চালায়। হামলায় তার বড় ছেলে রাজিব হাওলাদারও গুরুতর আহত হন। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক এমদাদ হাওলাদারকে মৃত ঘোষণা করেন। তার ছেলে রাজিব বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
নিহতের ছোট বোন ফিনসি বেগম কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘আমার ভাই কারো ক্ষতি করেনি। রাজনৈতিক ভিন্নমত থাকতে পারে, তাই বলে এভাবে প্রাণ নিতে হবে? আমি এই হত্যাকাণ্ডের বিচার চাই।’
এ বিষয়ে অভিযুক্ত আওয়ামী লীগ নেতা শহীদুল শিকদার বা তার পরিবারের সদস্যদের পক্ষ থেকে কেউ বক্তব্য দিতে রাজি হননি।
নড়িয়া থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সুরুজ উদ্দিন আহাম্মেদ বলেন, ‘ঘটনার প্রাথমিক তদন্ত চলছে। থানায় এজাহার দায়েরের প্রক্রিয়া চলমান। এজাহারের ভিত্তিতে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
১৭৭ দিন আগে
আ. লীগের সঙ্গে আপস করবে না বিএনপি: নজরুল ইসলাম খান
আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের চেষ্টা করছে বিএনপি—এমন অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, বিএনপি কোনো অবস্থাতেই আওয়ামী লীগের সঙ্গে আপস করবে না।
তিনি বলেন, ‘আমরা বেঁচে থাকতে কি কেউ আওয়ামী লীগের সঙ্গে আপস করবে? আমরা তো করব না...। যদি অন্য কেউ চেষ্টা করে—আমরা তাদেরও প্রতিহত করব। এমন অযৌক্তিক কাজ (অবজ্ঞাপূর্ণ প্রচারণা) করার কোনো মানে নেই।’
সোমবার (১৯ মে) জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
‘নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র প্রতিহত করুন ও তারেক রহমানের দেশে ফেরার পথে বাধা দূর করুন’ শীর্ষক আলোচনার সভার আয়োজন করে ১২ দলীয় জোট।
নজরুল বলেন, কেউ কেউ প্রচার-প্রচারণা চালানোর চেষ্টা করছে যে, আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন করতে চায় বিএনপি। ‘একবার ভাবুন তো, এই সেই দল (আওয়ামী লীগ), যাদের সরকারই বিএনপির নেতা-কর্মীদের সবচেয়ে বেশি গুম ও হত্যার সঙ্গে জড়িত।’
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার মিথ্যা অভিযোগে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে ৬ বছর কারাগারে আটকে রেখেছে। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশে ফিরে আসা আটকে দিয়েছে। তাকে পঙ্গু করে দিয়েছে ও তার ভাই মালয়েশিয়ায় বিনা চিকিৎসা মারা গেছেন।
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের মহাসচিবসহ কি এমন একজন বিএনপি নেতা আছেন—যার বিরুদ্ধে কমপক্ষে ৫০টি মামলা নেই?’
নজরুল প্রশ্ন তোলেন, ডিসেম্বরের মধ্যে সংসদ নির্বাচন পেছানোর কারণ কী? যখন সংস্কার সনদ আগামী দেড় মাসের মধ্যে চূড়ান্ত হওয়ার কথা রয়েছে।
জাতীয় ঐক্যমত্য কমিশনের ভাইস চেয়ারম্যান আলী রীয়াজকে উদ্বৃত করে নজরুল বলেন, তিনি বলেছেন সংলাপের প্রাথমিক দফা প্রায় সম্পন্ন হয়েছে এবং তারা এই মাসে দ্বিতীয় পর্যায়ে চলে যাবে। বিএনপি নেতা প্রশ্ন তুলে বলেন, ঐকমত্যের বিষয়গুললো তালিকাভুক্ত করে একটি সনদ প্রস্তুত করতে কত সময় লাগবে। ‘জুলাই সনদ প্রস্তুত করতে সর্বোচ্চ এক থেকে দেড় মাস সময় লাগবে। এর বেশি নয়।’
নজরুল ইসলাম বলেন, অধ্যাদেশের মাধ্যমে যেসব সংস্কার বাস্তবায়ন সম্ভব তা দ্রুত করা যেতে পারে এবং বাকি সংস্কার সুপারিশগুলো পরবর্তী সংসদের জন্য ছেড়ে দেওয়া যেতে পারে। ‘তাহলে, ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রে আপনার (অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের) বাধা কী?’ৎ
আরও পড়ুন: বিএনপি দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের পাহারাদার: সালাহউদ্দিন আহমদ
নির্বাচনী সংস্কারের বিষয়ে বিএনপির অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করে তিনি বলেন, ‘আমরা স্পষ্টভাবে বলতে চাই, আমরা অবশ্যই প্রয়োজনীয় এবং সম্ভব সংস্কারগুলো চাই। সেই সঙ্গে এমন সব সংস্কারও চাই—যা ছাড়া একটি সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয়।’
নজরুল ইসলাম বলেন, আমরা চাই জনগণের ক্ষমতা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব জনগণের হাতে ফিরিয়ে দেওয়া হোক। যাতে জনগণের নির্বাচিত একটি সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়— যারা জনগণের কাছে দায়বদ্ধ ও জবাবদিহি করবে।
১২ দলীয় জোটের সমন্বয়কারী এবং জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) চেয়ারম্যান মুস্তফা জামাল হায়দারের সভাপতিত্বে আলোচনায় অন্যান্যদের মধ্যে এলডিপির শাহাদাত হোসেন সেলিম, জাতীয় দলের সৈয়দ এহসানুল হুদা ও জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মুফতি মহিউদ্দিন একরাম বক্তব্য দেন।
১৯৯ দিন আগে
আ. লীগের হতাশ সদস্যরা বিএনপিতে যোগ দিলে স্বাগত: রিজভী
দুই মাসব্যাপী সদস্য সংগ্রহ অভিযান শুরু করতে যাচ্ছে বিএনপি। আগামী ১৫ মে থেকে শুরু হবে এই কর্মসূচি। সদস্য সংগ্রহের এই পর্বে আওয়ামী লীগের হতাশ সদস্যদের অন্তর্ভুক্তির পথ উন্মুক্ত করে দিয়েছে দলটি। তবে শর্তও জুড়ে দেওয়া হয়েছে—কেবল তারাই যোগ দিতে পারবেন, যারা আওয়ামী লীগের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ জানিয়ে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (৮ মে) বিএনপির নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, সন্ত্রাস, জমি দখল, অর্থ পাচার এবং লুণ্ঠনের সঙ্গে জড়িত আওয়ামী লীগের সহযোগীদের দলে অনুপ্রবেশ রোধে তারা সতর্ক থাকবেন।
আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা বিএনপির সদস্য হতে পারেন কিনা, সাংবাদিকের এমন প্রশ্নে রিজভী বলেন, ‘ধরুন কেউ দীর্ঘদিন ধরে রাজনীতিতে নিষ্ক্রিয় ছিলেন, অথবা এমন ব্যক্তি ছিলেন—যারা একসময় আওয়ামী লীগকে সমর্থন করেছিলেন কিন্তু পরে তাদের দুঃশাসন, বর্বরতা, লুটপাট এবং অর্থ পাচারে হতাশ হয়ে পড়েন—যারা এই ধরনের কার্যকলাপকে সমর্থন করেননি এবং ইতোমধ্যেই আওয়ামী লীগ থেকে নিজেদের দূরে সরিয়ে নিয়েছেন। কেন তাদের আমাদের দলে যোগদানের অনুমতি দেওয়া হবে না?’
তিনি বলেন, তাদের দল মূলত নতুনদের লক্ষ্য করেছে। এরমধ্যে রয়েছে সমাজে যাদের সুনাম এবং গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে, যেমন অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, শিক্ষক, সরকারি কর্মচারী, ব্যাংকার, এনজিও কর্মী, কৃষক ও শ্রমিক।
বিএনপি নেতা বলেন, ‘এক্ষেত্রে, আমাদের দলের সদস্য হওয়ার মানদণ্ড হলো ব্যক্তিটি আমাদের আদর্শে বিশ্বাস করে কিনা।’
তিনি বলেন, তাদের দল আশা করে যে, সমাজের সকল স্তরের মানুষ—যারা বিএনপিকে সমর্থন করেন, দলের প্রতি অনুগত এবং যারা জাতীয়তাবাদী চিন্তাভাবনা ও আদর্শকে সমর্থন করেন, তারা দলের সদস্য হতে আগ্রহী হবেন।
বিএনপি নেতা তাদের আশ্বস্ত করেছেন যে, তারা একটি পর্যালোচনা ব্যবস্থা বাস্তবায়ন করবেন যাতে অবাঞ্ছিত উপাদানগুলো দলে অনুপ্রবেশ না করে।
তিনি ব্যাখ্যা করেছেন যে, দলের সদস্য হতে আগ্রহীদের ২০ টাকায় একটি প্রাথমিক সদস্যপদ ফর্ম কিনতে হবে। অর্থ প্রদানের রশিদের সঙ্গে দলের গঠনতন্ত্রে বর্ণিত আবেদন ফর্মের সঙ্গে একটি হলফনামাও থাকবে।
তিনি বলেন, প্রাথমিক সদস্য হতে ইচ্ছুকদের এই আবেদন ফর্মটি পূরণ করতে হবে।
রিজভী বলেন, ‘পরবর্তীতে, এই ফর্মগুলো যাচাইকরণ প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যাবে। অবশ্যই যাচাইকরণ করা হবে কারণ সন্ত্রাসবাদ, জমি দখল এবং অর্থ পাচারের মতো অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত ব্যক্তিরা বিভিন্ন উপায়ে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করবে। আমরা সমাজ থেকে নতুন ব্যক্তিদের, যাদের সুনাম আছে এবং যারা তাদের সম্প্রদায়ে সম্মানিত ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত তাদের উপর মনোযোগ দিয়ে এটি(অনুপ্রবেশ) দৃঢ়ভাবে এড়াবো।’
তিনি বলেন, ১৫ মে থেকে ১৫ জুলাই পর্যন্ত নবায়ন কর্মসূচির পাশাপাশি দল প্রাথমিক সদস্য সংগ্রহ অভিযান পরিচালনা করবে।
আরও পড়ুন: নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট তারিখ চাইলেন রিজভী
রিজভী উল্লেখ করেন, দলটি এর আগে সদস্য সংগ্রহ অভিযান পরিচালনার জন্য একটি উপকমিটি গঠন করেছে। কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে রিজভীকে। আর সদস্য সচিব হিসেবে বিএনপির কোষাধ্যক্ষ রশিদুজ্জামান মিল্লাত রয়েছেন।
তিনি বলেন, গতকাল দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে কমিটির একটি সভা হয়েছে। বিএনপির জন্য নতুন সদস্য সংগ্রহের জন্য দুই মাসব্যাপী এই অভিযান পরিচালনা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বৈঠকে।
রিজভী বলেন, সদস্য সংগ্রহ এবং নবায়ন অভিযানের মাধ্যমে তারা মূল্যায়ন করতে পারবে যে কতজন লোক দলের রাজনীতিতে জড়িত হতে আগ্রহী।
তিনি আরও বলেন, সকল বিভাগীয় শহরে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই অভিযান শুরু হবে, বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এবং যুগ্ম মহাসচিবরা অভিযান কার্যক্রম তত্ত্বাবধান করবেন।
২১০ দিন আগে
খুলনায় আ. লীগের ঝটিকা মিছিল, তিন মামলায় গ্রেপ্তার ৪০
খুলনার বিভিন্ন স্থান থেকে ঝটিকা মিছিল করার অভিযোগে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে তিনটি পৃথক মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। সোমবার (২০ এপ্রিল) নগরীর হরিণটানা, আড়ংঘাটা ও খালিশপুর থানায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলাগুলো দায়ের করে।
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) কমিশনার জুলফিকার আলী হায়দার বলেন, ‘তিনটি থানাতেই পুলিশ বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছে। এদিকে মামলা করার পর বিভিন্ন এলাকা থেকে আওয়ামী লীগের অন্তত ৪০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।’
কেএমপির পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, মিছিলের ছবি ও ভিডিও বিশ্লেষণ করে অংশগ্রহণকারী অন্যান্যদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
হরিণটানা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খায়রুল বাশার বলেন, ‘থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোনায়েম হোসেন বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছেন। এই মামলায় আওয়ামী লীগের ৭৩ জন নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করা হয়েছে এবং অজ্ঞাত আরও ৩০ থেকে ৪০ জনকে আসামি করা হয়েছে। হরিণটানা থানা পুলিশ এ পর্যন্ত এই মামলায় ২২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে।’
খালিশপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘ঝটিকা মিছিলের ঘটনায় থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রতন কুমার বিশ্বাস বাদী হয়ে বিশেষ ক্ষমতা আইনে একটি মামলা করেছেন। এই মামলায় ছয়জন আসামিকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।’
আরও পড়ুন: গুলশান থেকে সাবেক এমপি মনু গ্রেপ্তার
মামলার এজাহারভুক্ত আসামির সংখ্যা জানতে চাইলে তিনি কেএমপির মিডিয়া শাখা থেকে তথ্য নেওয়ার পরামর্শ দেন।
আড়ংঘাটা থানাতেও একই ধরনের ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে জানা গেছে। পুলিশ জানিয়েছে, গ্রেপ্তকার অভিযান অব্যাহত থাকতে পারে।
আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা যেন হঠাৎ মিছিল করে নগরবাসীর মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি এবং নগরীতে অরাজক পরিস্থিতি তৈরি করতে না পারে, সেজন্য খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ সতর্ক অবস্থানে আছে। জোরদার করা হয়েছে টহল।
২২৭ দিন আগে
আ. লীগ সাড়ে ১৫ বছর দেশের পরিবর্তে নিজেদেরকে সাজিয়েছে: জামায়াত আমির
বিগত দিনে একটানা সাড়ে ১৫ বছর যারা শাসন করেছেন তারা দেশকে না সাজিয়ে নিজেদেরকে সাজিয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান।
তিনি বলেন, আবহমান কাল থেকে আমাদের এই দেশটি সৌহার্দ্য-সম্প্রীতির। নানা ধর্মের মানুষ আমরা মিলেমিশে বসবাস করি। এমন একটি দেশ দুনিয়ায় কমই আছে। দেশের মানুষের হাতে কাজ তুলে দেওয়ার পরিবর্তে দেশের মানুষের রিযিক তারা তুলে নিয়েছে। লাখো বেকারের মিছিলে জনগণ ছিল পিষ্ঠ। এর জন্য সরকার দায়ী।
বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) সকালে খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার আঠারোমাইল মোড়ে অনুষ্ঠিত জামায়াতের পথসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ডুমুরিয়া উপজেলা জামায়াত এই পথসভার আয়োজন করে।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘তারা ছাত্রদের হাত থেকে কলম কেড়ে নিয়ে তাদের হাতে অস্ত্র তুলে দিয়েছে। তারা দেশের মানুষের হাড় ভাঙা পরিশ্রমে অর্জিত টাকা বিদেশে পাচার করেছে।’
জামায়াতের আমির আরও বলেন, অনেকে জিজ্ঞেস করেন তারা আবার নির্বাচনে আসবে কি? আমি বলি- যারা গণহত্যা করেছে, গদিতে থাকার জন্য দেশের মানুষের কেনা অস্ত্র দিয়ে দেশের মানুষের বুকে গুলি ছুড়েছে- তারা কী রাজনীতি করার অধিকার রাখে? ‘স্বৈরাচার পালিয়ে গেলেও তারা এই সমাজকে, দেশকে অস্থির করার জন্য ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে।’
আরও পড়ুন: ২৫ সালের মধ্যেই নির্বাচন দিতে হবে: জামায়াতের নায়েবে আমীর
জামায়াতা প্রধান বলেন, আমরা এ দেশকে ভালবাসি, এদেশকে গড়তে চাই। সমাজে আমাদের মা বোনেরা ইজ্জতের সাথে ঘরে-বাইরে সমস্ত জায়গায় চলতে পারবে। যোগ্যতা অনুযায়ী যুবকরা কাজ পাবে।
তিনি বলেন, ন্যায়বিচার পাওয়ার জন্য আদালতের দরজায় যেয়ে মানুষকে কাঁদতে হবে না। বরং আদালত দায়িত্ব নিয়ে মানুষকে ন্যায়বিচার পাইয়ে দেবে। ন্যায়বিচারের দিক থেকে একটি দেশ এবং জাতি গঠন না হওয়া পর্যন্ত আমাদের লড়াই অব্যাহত থাকবে।
বিশেষ অতিথি ছিলেন দলটির সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মুহাদ্দিস আব্দুল খালেক, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য মাওলানা আবুল কালাম আজাদ, কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার সদস্য ও খুলনা জেলা আমির মাওলানা এমরান হুসাইন, সাতক্ষীরা জেলা আমির মাওলানা শহিদুল ইসলাম মুকুল প্রমুখ।
ডুমুরিয়া উপজেলা আমির মাওলানা মোক্তার হোসাইনের সভাপতিত্বে পথসভা পরিচালনা করেন উপজেলা সেক্রেটারি মাওলানা শেখ সিরাজুল ইসলাম।
আরও পড়ুন: আগামীর বাংলাদেশ হবে সাম্যের: জামায়াত আমির
৩৪৪ দিন আগে
আ. লীগের চরিত্র বদলায়নি, দফায় দফায় ষড়যন্ত্র করছে: জামায়াত আমির
দেশের মানুষ সজাগ থাকায় ষড়যন্ত্র কাজে আসবে না উল্লেখ করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, একটি শক্তি দেশের মর্যাদা ক্ষুন্ন করতে মিথ্যাচার করে বিদেশি বন্ধুদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ এখন শান্তিতে আছে। এই শান্তি বিঘ্নিত করতে দফায় দফায় চেষ্টা চলছে। জাতি সকল ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে শান্তি প্রতিষ্ঠা করবে।
শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) সিলেট সরকারি আলিয়া মাদরাসা মাঠে জেলা জামায়াতের কর্মী সম্মেলনে ডা. শফিকুর রহমান একথা বলেন।
জামায়াত আমির বলেন, ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে জানান দেয় যে, তারা ক্ষমতার থাকতে খুন-গুমের পথ বেছে নেবে। সেদিন থেকে বাংলাদেশ তার নিজের পথ হারিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, দীর্ঘ সাড়ে ১৪ বছর পর বাংলাদেশ মুক্তি পেয়েছে। আওয়ামী লীগ জামায়াতের অনেক শীর্ষ নেতাকে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে বিচারের নামে প্রহসন করে ফাঁসিতে ঝুলিয়েছে। তারা বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে নির্বিচারে ছাত্র-জনতার ওপর গুলি চালিয়েছে।
আরও পড়ুন: দেশের এক ইঞ্চি জমিও কাউকে ছাড় দেব না: জামায়াত আমির
তিনি বলেন, তারা যেসব নিরীহ জনগণকে খুন করেছে তাদের পরিবারের কাছে জানতে চান তারা আর এ ধরনের রাজনীতি চায় কিনা? যারা পঙ্গুত্ববরণ করে হাসপাতালের বেডে আছে তাদের মতামত নিন।
জামায়াতের আমির বলেন, আমরা একটি বৈষম্যহীন ন্যায়বিচারের রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে চাই। আল্লাহর হুকুম ও জনগণের ভালোবাসায় জামায়াতে ইসলামী সে সুযোগ পেলে আমাদের হাত দিয়ে কোনো চাঁদাবাজি হবে না, কোনো চাঁদাবাজি বরদাশতও করা হবে না।
বাংলাদেশের এক ইঞ্চি মাটির ওপর কোনো দখল বাণিজ্য হতে দেওয়া হবে না। অফিসে বসে কেউ ঘুষ খাওয়ার দুঃসাহস দেখাতে পারবে না। যুব সমাজের হাতকে কারিগরের হাতে রূপান্তরিত করা হবে। উন্নত দেশের মতো পড়ালেখা শেষ করার আগেই তাদের হাতে কাজ আসবে। আমরা তাদরেকে এমন যোগ্য কারিগর হিসেবেই তৈরি করব। আমরা যুব সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে চাই।
ধর্মীয় সম্প্রতির প্রসঙ্গ টেনে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, আমরা এমন দেশ গড়তে চাই, যেখানে মসজিদ, মন্দির, গির্জা, প্যাগোডা কোথাও নিরাপত্তার জন্য পাহারা বসাতে হবে না। একজন নাগরিক তার ঘরে-বাইরে, কর্মস্থলে ও সমাজে সবখানে নিরাপত্তা ও স্বাধীনতা ভোগ করবেন।
তিনি আরও বলেন, এদেশে নারী-পুরুষরা সমান নিরাপত্তা ও মর্যাদা পাবেন। জামায়াতে ইসলামী কোরআনের আলোকে রাষ্ট্রগঠনের সুযোগ পেলে দেশের নারীরা মর্যাদা ও ইজ্জতের সহিত তাদের দায়িত্ব পালনের সুযোগ পাবেন। তারা যোগ্যতা ও দক্ষতা অনুযায়ী রাষ্ট্রীয় কাজে অবদান রাখবেন।
বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়তে দলের প্রতিটি কর্মীকে প্রস্তুত হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীর পক্ষে এককভাবে ছাত্র-জনতার স্বপ্নের দেশ গঠন করা সম্ভব নয়। এজন্য প্রয়োজন গোটা জাতির ঐক্যবদ্ধ চেষ্টা ও সহযোগিতা। আমরা শান্তি, অগ্রগতি, ন্যায়বিচার ও দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করতে চাই।
সিলেট জেলা জামায়াতের আমির মাওলানা হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে এবং সেক্রেটারি জয়নাল আবেদীন ও সহকারী সেক্রেটারি নজরুল ইসলাম ও মাওলানা মাশুক আহমদের যৌথ পরিচালনায় সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জোবায়ের, ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমির মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য অধ্যাপক ফজলুর রহমান ও সিলেট মহানগর আমির মুহাম্মদ ফখরুল ইসলাম প্রমুখ।
আরও পড়ুন: বৈষম্যহীন বিচারব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার আহ্বান জামায়াত আমিরের
৩৫৬ দিন আগে
আ. লীগ-জাপা নিষিদ্ধের দাবিতে ঢাবিতে কফিন মিছিল
আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টিসহ অন্যান্য ফ্যাসিবাদী শক্তির রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধের দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে 'ফ্যাসিবাদ বিরোধী ছাত্র-জনতা'র ব্যানারে কফিন মিছিল করেছে শিক্ষার্থীরা।
বুধবার(২০ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকা থেকে 'কফিন মার্চ অব ফ্যাসিজম' ব্যানারে মিছিল বের করা হয়।
অংশগ্রহণকারীরা একটি কফিন বহন করে এবং ফ্যাসিবাদ বিরোধী বিভিন্ন স্লোগান দেয়।
আরও পড়ুন: ঢাবি ক্যাম্পাসে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পর্যালোচনায় বিশেষ কমিটি গঠন
শিক্ষার্থীদের প্রধান সংগঠক বিন ইয়ামিন মোল্লা বলেন, 'আন্দোলনে যারা হাত-পা হারিয়েছে তারা আর কখনো তা ফিরে পাবেন না। শহীদদের ফিরিয়ে আনা যাবে না। তাহলে আওয়ামী লীগ কেন ফিরবে? আওয়ামী লীগ ও তাদের মিত্র জাতীয় পার্টি কেন নির্বাচনে অংশ নেবে? হাজার প্রাণের বিনিময়ে আমরা এই নতুন বাংলাদেশ অর্জন করেছি। সুযোগ এসেছে, কিন্তু দেখছি বড় দলগুলোর নেতারা ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের চেষ্টা করছেন। তারা আওয়ামী লীগকে সঙ্গে নিয়ে নির্বাচনে অংশ নিতে চায়। আমরা, শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ এটা হতে দেব না’
তিনি আন্দোলনের চেতনা ধরে রাখতে এবং দেশের উন্নয়নের স্বার্থে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টি উভয়কেই নিষিদ্ধ করার জন্য উপদেষ্টাদের প্রতি আহ্বান জানান।
আরেক সংগঠক জিয়াউর রহমান জিয়া বলেন, 'ফ্যাসিবাদের পতনের ১০০ দিন পরও ফ্যাসিস্টরা ঘুরে দাঁড়াচ্ছে। তারা বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করে উপদেষ্টা পরিষদে যোগ দিচ্ছেন। তাদের তাড়াতে শিক্ষার্থীসহ জনগণকে আবারও ঐক্যবদ্ধ করা হবে।’
আরও পড়ুন: ক্যাম্পাসে ছাত্রদলের পোস্টার লাগানোর প্রতিবাদ ঢাবি শিক্ষার্থীদের
৩৭৯ দিন আগে
আ. লীগের সাবেক ১৩ মন্ত্রী-উপদেষ্টাকে আনা হয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালে
জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থান চলাকালে হত্যা মামলায় আওয়ামী লীগের সাবেক ৯ মন্ত্রীসহ ১৩ আসামিকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়েছে।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রধান কৌঁসুলি তাজুল ইসলাম বলেন, মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর পর সোমবার তাদের ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়।
এসব আসামির সবাই অন্য মামলায় কারাগারে রয়েছেন বলেও জানান তিনি।
ট্রাইব্যুনালের যাদের হাজির হয়েছে, তাদের মধ্যে রয়েছেন-সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) ফারুক খান, শ্রমিক পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের সভাপতি হাসানুল হক ইনু, সাবেক ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি, বিদ্যুৎ ও খনিজ সম্পদবিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক-ই-এলাহী চৌধুরী।
এছাড়াও রয়েছেন-সাবেক মন্ত্রী ড. দীপু মনি, শেখ হাসিনার উপদেষ্টা এবং ব্যবসায়ী সালমান এফ রহমান, সাবেক মন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার, সাবেক মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী, সাবেক বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, সাবেক স্বরাষ্ট্রসচিব জাহাঙ্গীর আলম।
সাবেক কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাককে হাজির করার কথা থাকলেও অসুস্থতার কারণে তাকে হাজির করা যায়নি।
এর আগে গত ২৭ অক্টোবর ১৪ আসামিকে ১৮ নভেম্বরের মধ্যে হাজির করার নির্দেশ দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
এছাড়া সাবেক আইজিপি আবদুল্লাহ আল মামুন, সাবেক সেনা কর্মকর্তা জিয়াউল আহসান, সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আল কাফি, আরাফাত হোসেন, আবুল হাসান ও মাজহারুল ইসলামকে ২০ নভেম্বর আদালতে হাজির করার নির্দেশ দেন আদালত।
৫ আগস্ট শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের পতনের পর হত্যা, নির্যাতন, অপহরণ ও হয়রানিসহ বিভিন্ন অভিযোগ তথ্যপ্রযুক্তিতে জমা পড়ে। জুলাই ও আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে ১০০০ এর বেশি মানুষ নিহত এবং বহু মানুষ আহত হন।
৩৮২ দিন আগে
‘আ. লীগের গ্রেপ্তার কর্মীদের সঙ্গে ট্রাম্পের কোনো সম্পর্ক নেই’
বাংলাদেশে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমর্থকদের ধরপাকড় বা দমনপীড়ন করা হয়নি বলে নিশ্চিত করেছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের ফ্যাক্টচেকিং ফেসবুক পেইজে জানায়, ছাত্রনেতৃত্বাধীন গণআন্দোলনের মাধ্যমে আগস্টে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর থেকে কিছু ভারতীয় পত্রিকা ‘আক্রমণাত্মকভাবে ভ্রান্ত তথ্য ছড়াচ্ছে’।
এতে আরও বলা হয়, ‘তারা বিপ্লবের পরে সংখ্যালঘুদের ওপর সহিংসতার সংবাদ অতিরঞ্জিত করেছে। আওয়ামী লীগের সমর্থকদের আজকের ধরপাকড়ের সঙ্গে সম্পর্কিত তথ্য প্রচারের ক্ষেত্রে একইভাবে মিথ্যাচার।’
রবিবার রাজধানীতে উসকানিমূলক কর্মকাণ্ডের অভিযোগে আওয়ামী লীগের কয়েক ডজন কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এই বিষয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ একটি বিবৃতি দিয়েছে।
আরও পড়ুন: রাজনীতিতে ফিরতে ট্রাম্পের ছবি ব্যবহার করছে আ.লীগ: বিএনপি
প্রেস উইং জানায়, ‘গ্রেপ্তারদের মধ্যে কয়েকজনের হাতে ডোনাল্ড ট্রাম্পের ছবি ছিল। পলাতক আওয়ামী লীগ নেতা শেখ হাসিনা তার সমর্থকদের গ্রেপ্তার এড়াতে ঢার হিসেবে ট্রাম্পের ছবি ব্যবহারের নির্দেশ দিয়েছিলেন।’
প্রেস উইংয়ের দাবি, ‘গ্রেপ্তাররা পুলিশকে জানিয়েছেন, তারা মার্কিন রাজনীতি অনুসরণ করেন না এবং শুধু হাসিনার নির্দেশে ট্রাম্পের ছবি নিয়ে বেরিয়েছিলেন।’
ভারতীয় গণমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে গতকালের বাংলাদেশের ঘটনাগুলো সম্পর্কে পুরোপুরি ভুল রিপোর্ট করেছে।
তারা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে গুলিস্তানের জিরো পয়েন্টে নূর হোসেন দিবস (১০ নভেম্বর) উপলক্ষে অনুষ্ঠিত সমাবেশকে 'ট্রাম্প সমর্থকদের' সমাবেশ হিসেবে বর্ণনা করেছে। তাদের প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান প্রার্থী ট্রাম্পের বিজয় উদযাপন করতে এসেছিলেন তারা।
বাংলাদেশে কোনো গোষ্ঠী নিজেদের ‘ট্রাম্প সমর্থক’ হিসেবে পরিচয় দেয়নি বা অতীতে তার সফলতা উদযাপন করেনি। এছাড়া, আওয়ামী লীগের নূর হোসেন দিবসের কর্মসূচির সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের বিজয় উদযাপনের কোনো বিষয় উল্লেখ ছিল না।
তবে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একটি নির্দেশনা দিয়েছিলেন। সেটি প্রেস উইংয়ের বিবৃতিতে সংক্ষেপে উল্লেখ করা হয়েছে। তাতে বলা হয়, আওয়ামী লীগ কর্মীদের রবিবারের অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনা ও বঙ্গবন্ধুর পোস্টারের পাশাপাশি ট্রাম্পের পোস্টারও বহন করতে হবে। বিশেষভাবে ট্রাম্পের পোস্টারগুলো পুলিশি কার্যক্রম থেকে নিজেদের রক্ষা করতে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করতে হবে।
আওয়ামী লীগের কর্মীদের এই ঘটনার ছবি তোলার এবং তাদের নেতাদের কাছে পাঠানোর নির্দেশ ছিল; যাতে সেগুলো ট্রাম্পের কাছে পাঠানো যায়। এসব যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্টকে অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে উসকে দেওয়ার উদ্দেশ্যে করা হয়েছে বলে দাবি প্রেস উইংয়ের।
এই নির্দেশনাসম্বলিত একটি কল রেকর্ড গত সপ্তাহে ফাঁস হয়েছিল। যদিও ইউএনবি এই রেকর্ডিংটির সত্যতা স্বাধীনভাবে যাচাই করেনি। তবে আওয়ামী লীতের অনেক কর্মী পরে একই নির্দেশনা অনুসরণ করে গ্রেপ্তার হওয়ায় এই রেকর্ডিংটির সত্যতা প্রমাণ হয়।
আরও পড়ুন: ট্রাম্পের ছবি নিয়ে মিছিল করতে হাসিনার নির্দেশ: গ্রেপ্তার ১০
৩৮৯ দিন আগে