নাটক ‘ডাকরা ও তারপর’
বাগেরহাটে মঞ্চস্থ হলো গণহত্যা বিষয়ক নাটক ‘ডাকরা ও তারপর’
বাগেরহাটের রামপালে গণহত্যা বিষয়ক নাটক ‘ডাকরা ও তারপর’মঞ্চস্থ হয়েছে। শনিবার রাতে রামপাল উপজেলার ডাকরা বধ্যভূমি সংলগ্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে এই বিশেষ নাটক মঞ্চায়ন করা হয়।
নাটকে শিল্পিদের অভিনয়ে উঠে এসেছে ১৯৭১ সালে গণহত্যা ও নির্মম নিযার্তন। স্মৃতিচারণ করা হয় রাজাকার বাহিনীর হাতে শহীদদের ঘটনা। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সহযোগিতায় জেলা শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে মঞ্চায়িত এই নাটক এলাকার কয়েক হাজার দর্শক উপভোগ করেন। এর আগে নাটকের পটভূমি সম্পর্কিত এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আরও পড়ুন: টিআইসিতে তির্যকের নাটক রবীন্দ্রনাথের ‘রাজা’
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন পরিবেশ,বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপমন্ত্রী বেগম হাবিবুন নাহার।
তিনি বলেন, ‘বর্তমান প্রজন্মের অনেকে মনে করেন বাংলাদেশের স্বাধীনতা বহু আরামে চলে এসেছে। এ জন্য কাউকে কোন ত্যাগ তিতিক্ষা বা মূল্য দিতে হয়নি। আসলে স্বাধীনতা অর্জন যে আমাদের জন্য কত কঠিন ছিল, শুধু মক্তিযোদ্ধা নয়, সাধারণ মানুষকেও স্বাধীনতা অর্জনের জন্য কত মূল্য দিতে হয়েছে, তা চিন্তার বাইরে।’
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির নাট্যকলা ও চলচ্চিত্র বিভাগের পরিচালক আফসানা মিমি বলেন, ‘আমরা আসলাম, নাটক দেখলাম, বাড়িতে গিয়ে সব ভুলে গেলাম বিষয়টি তা নয়। আমরা চাই এই নাটকের মাধ্যমে প্রতিটি মানুষের হৃদয়ে সেই নারকীয় হত্যার ঘটনা খোদাই করে দিতে। যাতে সবাই মুক্তিযুদ্ধ ও গনহত্যার সঠিক তথ্য মনে রাখতে পারে।’
এ ব্যাপারে নাট্যকার শামসুল হাদী বলেন, ‘খুবই অল্প সময়ের এই নাটকে আমরা চেষ্টা করেছি ডাকরা গণহত্যার সম্পূর্ণ ঘটনা তুলে ধরতে। আমাদের মঞ্চায়িত নাটক সবার ভালো লেগেছে। মুক্তিযুদ্ধ ও গণহত্যার ইতিহাস বর্তমান প্রজন্মকে জানাতে আমাদের এই চেষ্টা অব্যাহত থাকবে।’
আরও পড়ুন: মানিকগঞ্জের বিজয়মেলায় ‘লাল জমিন’ নাটক মঞ্চস্থ
বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আজিজুর রহমানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, রামপাল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ মোয়াজ্জেম হোসেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. কবীর হোসেন, বাগেরহাট জেলা কালচারাল অফিসার মো. রফিকুল ইসলাম, বাশতলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান সোহেল, পেড়িখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাওলাদার রফিকুল ইসলাম।
২ বছর আগে