রাষ্ট্রীয়
দুই দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে মালদ্বীপ যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী
দুই দেশের সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় শ্রমবাজার মালদ্বীপে আগামী ২২-২৩ ডিসেম্বর দুই দিনের সরকারি সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রবিবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড.এ কে আব্দুল মোমেন এ তথ্য জানান।
এসময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীর সফরসূচি তুলে ধরে বলেন, প্রধানমন্ত্রী ২২ ডিসেম্বর একটি বিশেষ ফ্লাইটে মালে অবতরণ করবেন এবং বিমানবন্দরে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আহমেদ খলিল তাকে স্বাগত জানাবেন।
বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টায় মালদ্বীপের রাষ্ট্রপতি ইব্রাহিম মোহাম্মদ সলিহ প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাবেন এবং এরপর তাকে গার্ড অব অনার দেয়া হবে।
গার্ড অব অনার গ্রহণের পর প্রধানমন্ত্রী দেশটির রাষ্ট্রপতি ভবনে যাবেন। এসময় অনুষ্ঠানস্থলে মালদ্বীপের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর দ্বিপক্ষীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর আসন্ন সফরেই মালদ্বীপের সঙ্গে বন্দী বিনিময় চুক্তি স্বাক্ষরের সম্ভাবনা
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও জানান,বৈঠকের পর দুই দেশের মধ্যে চারটি দ্বিপক্ষীয় চুক্তি স্বাক্ষর করার সম্ভাবনা রয়েছে। এগুলো হলো- দ্বৈত কর পরিহার এবং আয়ের ওপর করের ক্ষেত্রে আর্থিক ফাঁকি প্রতিরোধের চুক্তি, যুব ও ক্রীড়া উন্নয়নের ক্ষেত্রে সহযোগিতার বিষয়ে সমঝোতা স্মারক, যোগ্যদের নিয়োগের বিষয়ে এমওইউ। বাংলাদেশ ও মালদ্বীপের মধ্যে স্বাস্থ্যসেবা ও চিকিৎসা বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য পেশাদার এবং সমঝোতা স্মারক (নবায়ন)।
এরপর মালদ্বীপের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অনুরোধে বন্ধুত্বের প্রতীক হিসেবে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর দেয়া ১৩টি সামরিক যান মালদ্বীপের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে সচিব (পূর্ব) মাশফি বিনতে শামস এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব (মেরিটাইম অ্যাফেয়ার্স ইউনিট) রিয়ার অ্যাডমিরাল (অব.) মো. খুরশেদ আলম উপস্থিত ছিলেন।
মোমেন বলেন, দুই দেশ ‘দণ্ডপ্রাপ্ত বন্দীদের বিনিময়’ চুক্তিতে স্বাক্ষর করার জন্য কাজ করছে কিন্তু প্রত্যর্পণ চুক্তি নয়।
মালদ্বীপ অবশ্য তাদের কাজ শেষ করতে পারেনি কারণ তাদের পক্ষ থেকে আইনি প্রক্রিয়া এখনও শেষ হয়নি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ মালদ্বীপের সঙ্গে কানেক্টিভিটির ওপর অনেক জোর দিচ্ছে এবং এয়ার কানেকটিভিটি ফ্রন্টে অনেক অগ্রগতি হয়েছে।
আরও পড়ুন: ফ্রান্স সফর খুবই সফল ছিল: প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, বেসরকারি বিমান সংস্থা – ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স মালদ্বীপের সঙ্গে ফ্লাইট পরিচালনা শুরু করেছে এবং বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স শিগগিরই একই রুটে ফ্লাইট চালু করবে।
এসময় এক প্রশ্নের জবাবে আবদুল মোমেন বলেন, কোভিড পরিস্থিতির কারণে অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তি চূড়ান্ত করার ক্ষেত্রে মালদ্বীপ খুব বেশি অগ্রগতি করতে পারেনি।
মালদ্বীপের রাষ্ট্রপতি ইব্রাহিম মোহাম্মদ সলিহ গত মার্চ মাসে বাংলাদেশ সফর করেন এবং ১৭ মার্চ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীতে সম্মানিত অতিথি হিসেবে যোগ দেন।
সফরকালে তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে মালদ্বীপ সফরের আমন্ত্রণ জানান।
এরপর গত নভেম্বর মাসে মালদ্বীপের ভাইস প্রেসিডেন্ট ফয়সাল নাসিমও বাংলাদেশ সফর করেন।
আরও পড়ুন: চেইন অব কমান্ড মেনে চলুন, বিজিবি সদস্যদের প্রধানমন্ত্রী
৩ বছর আগে