মুশতারী শফী
শহীদজায়া মুশতারী শফীর মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের সদস্য শহীদজায়া বেগম মুশতারী শফীর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সোমবার এক শোক বার্তায় বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের সদস্য হিসাবে মুশতারী শফীর অবদানের কথা স্মরণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী।
এসময় তিনি মৃতের আত্মার শান্তি কামনা করেছেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন।
৭১’র মহান মুক্তিযুদ্ধে স্বামী-ভাই হারানো বীর মুক্তিযোদ্ধা ও উদীচী চট্টগ্রামের সভাপতি শহীদ জায়া বেগম মুশতারী শফী সোমবার বিকেল ৪টার দিকে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে থাকা অবস্থায় মারা যান।
আরও পড়ুন: শহীদজায়া বেগম মুশতারী শফী আর নেই
৮৩ বছর বয়সী বেগম মুশতারী শফী দীর্ঘদিন ধরে শ্বাসকষ্টজনিত রোগে ভুগছেন। রক্তে হিমগ্লোবিনের মাত্রা কমে যাওয়ায় শ্বাসকষ্ট আরও বেড়েছে। গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় গত ১ ডিসেম্বর ভোরে তাঁকে ঢাকায় নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল।
একাত্তরের ঘাতক-দালাল বিরোধী আন্দোলন, চট্টগ্রামের সাংস্কৃতিক-নাগরিক আন্দোলনে সামনের সারির সংগঠক এবং মুক্তিযুদ্ধে স্বামী-ভাই হারানো বেগম মুশতারী শফীর নগরীর এনায়েতবাজারের ডাক্তার শফীর ‘মুশতারী লজ’ নামের বাড়িটি ছিল ‘স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের সূতিকাগার।’ এই বেতার কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার প্রধান উদ্যোক্তা বেলাল মোহাম্মদ তার কতিপয় সহকর্মীসহ এ বাড়িতে থেকে মুক্তিযুদ্ধের প্রথম রণাঙ্গন চট্টগ্রামের কালুরঘাট ট্রান্সমিটার ভবন থেকে প্রচার কাজ চালিয়েছিলেন ২৯ মার্চ পর্যন্ত।
মুশতারী শফীর জন্ম ১৯৩৮ সালের ১৫ জানুয়ারি। জন্মস্থান ভারতের মালদহ জেলার কালিয়াচকে। বাবার বাড়ি ফরিদপুরের গেরদায়। খন্দকার নাজমুল হক আনসারী অবিভক্ত ভারতবর্ষের পুলিশের ডিএসপি ছিলেন। মা আরেফা খাতুন।
আরও পড়ুন: শাহরাস্তিতে ১০ মুক্তিযোদ্ধা পাচ্ছেন ‘বীর নিবাস’
বীর মুক্তিযোদ্ধা বিজয় কুমারের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
২ বছর আগে
শহীদজায়া বেগম মুশতারী শফী আর নেই
৭১’র মহান মুক্তিযুদ্ধে স্বামী-ভাই হারানো বীর মুক্তিযোদ্ধা ও উদীচী চট্টগ্রামের সভাপতি শহীদ জায়া বেগম মুশতারী শফী আর নেই। ইন্না লিল্লাহি…..রাজিউন। সোমবার বিকেল ৪টার দিকে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে থাকা অবস্থায় মারা যান তিনি।
উদীচী চট্টগ্রামের সাধারণ সম্পাদক শীলা দাশগুপ্তা বেগম মুশতারী শফীর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, শহীদ জায়া বেগম মুশতারী শফী লাইফ সাপোর্টে ছিলেন। আজ বিকেল চারটার দিকে তাঁর লাইফ সাপোর্ট খুলে নেয়া হয়।
৮৩ বছর বয়সী বেগম মুশতারী শফী দীর্ঘদিন ধরে শ্বাসকষ্টজনিত রোগে ভুগছেন। রক্তে হিমগ্লোবিনের মাত্রা কমে যাওয়ায় শ্বাসকষ্ট আরও বেড়েছে। গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় গত ১ ডিসেম্বর ভোরে তাঁকে ঢাকায় নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন: মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
একাত্তরের ঘাতক-দালাল বিরোধী আন্দোলন, চট্টগ্রামের সাংস্কৃতিক-নাগরিক আন্দোলনে সামনের সারির সংগঠক এবং মুক্তিযুদ্ধে স্বামী-ভাই হারানো বেগম মুশতারী শফীর নগরীর এনায়েতবাজারের ডাক্তার শফীর ‘মুশতারী লজ’ নামের বাড়িটি ছিল ‘স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের সূতিকাগার।’ এই বেতার কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার প্রধান উদ্যোক্তা বেলাল মোহাম্মদ তার কতিপয় সহকর্মীসহ এ বাড়িতে থেকে মুক্তিযুদ্ধের প্রথম রণাঙ্গন চট্টগ্রামের কালুরঘাট ট্রান্সমিটার ভবন থেকে প্রচার কাজ চালিয়েছিলেন ২৯ মার্চ পর্যন্ত।
মুশতারী শফীর জন্ম ১৯৩৮ সালের ১৫ জানুয়ারি। জন্মস্থান ভারতের মালদহ জেলার কালিয়াচকে। বাবার বাড়ি ফরিদপুরের গেরদায়। খন্দকার নাজমুল হক আনসারী অবিভক্ত ভারতবর্ষের পুলিশের ডিএসপি ছিলেন। মা আরেফা খাতুন।
বেগম মুশতারী শফীর মৃত্যুতে উদীচী চট্টগ্রাম ও বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির চট্টগ্রাম জেলা কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি কমরেড আব্দুল নবী ও সাধারণ সম্পাদক কমরেড অধ্যাপক অশোক সাহা গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।
আরও পড়ুন: অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক দেশ গড়তে মুক্তিযুদ্ধ করেছিলাম: শিক্ষামন্ত্রী
শোকবার্তায় নেতারা বলেছেন,বেগম মুশতারী শফীর পরিবার একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে অসম সাহসী ভূমিকা পালন করেছেন। তাঁর স্বামী ডা.শফী মুক্তিযোদ্ধাদের অস্ত্র-গোলাবারুদ নিজের হেফাজতে রেখেছিলেন। এ কারণে পাকিস্তানি সামরিক বাহিনীর সদস্যরা তাঁকে এবং মুশতারী শফীর ভাইকে নৃশংসভাবে হত্যা করেছিল। স্বামী-ভাই হারিয়েও মুশতারী শফী মনোবল অক্ষুন্ন রেখে চট্টগ্রামে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শব্দসৈনিক হিসাবে কার্যক্রম চালিয়ে যান। স্বাধীন দেশে প্রগতিশীল সংস্কৃতির সংগ্রাম, যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের আন্দোলন, নারীমুক্তির আন্দোলন, নাগরিক আন্দোলন-সবক্ষেত্রে রাজপথে সোচ্চার থেকেছেন তিনি। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ ছিল তাঁর স্বপ্ন।
নেতারা আরও বলেন, বেগম মুশতারী শফীর মৃত্যুতে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের প্রগতিশীল রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক আন্দোলনের অপূরণীয় ক্ষতি হয়ে গেল। মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ বেগম মুশতারী শফীর অবদান অবশ্যই স্মরণে রাখবে বলে আমরা বিশ্বাস করি। সিপিবির পক্ষ থেকে গভীর শোক জ্ঞাপন করছি। একইসঙ্গে শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করছি।
আরও পড়ুন: ‘মুক্তিযুদ্ধ পদক' প্রবর্তন
২ বছর আগে