নোমান
সরকারের পতন বেশি দূরে নয়: নোমান
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান বলেছেন, আন্দোলন আর সংগ্রাম ছাড়া জনগণকে সুসংগঠিত করা যাবে না। তাই আন্দোলনে মনোযোগ দিতে হবে।
তিনি বলেন, সফলতা আসবেই। সরকারের পতন খুব বেশি দূরে নয়। আমরা বিজয়ের কাছাকাছি।
আরও পড়ুন: সিজেএফডি’র সভাপতি শাহেদ, সম্পাদক নোমান
শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) বিকালে বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপনে সপ্তাহব্যাপী কর্মসূচির ষষ্ঠ দিনে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির উদ্যোগে নাসিমন ভবন চত্বর থেকে বর্ণাঢ্য র্যালির আগে অনুষ্ঠিত এক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
নোমান বলেছেন, নির্বাচন কমিশনার একটা কথা বলেছেন। এবারের ভোট রাতে হবে না, দিনে হবে। অর্থাৎ আগের ভোট যে রাতে হয়েছিল তা তারাও স্বীকার করেছেন। তারা জোর করে দেশ চালাচ্ছেন। তাদের দেশ পরিচালনার অধিকার নেই।
তিনি বলেন, দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা খারাপ। মানুষ দুই বেলা খেতে পায় না। যুবদল-ছাত্রদলের অনেক নেতা আজ কারাগারে। দেশ আজ সংকটের মধ্যে আছে। জনগণের ওপর ক্ষমতায় থাকার জন্য শেখ হাসিনা নির্যাতন চালাচ্ছেন। তাই আন্দোলনের মাধ্যমেই সরকারের পতন ঘটাতে হবে।
মেগা প্রকল্পের অর্থে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের উন্নতি হচ্ছে মন্তব্য করে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বলেছেন, আজকে মেগা প্রকল্প থেকে যে অর্থ লুট হচ্ছে তার মাধ্যমে দুর্নীতি করে দেশকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: নোমানকে জাতীয় পার্টি থেকে অব্যাহতি
রাজাকারের তালিকা সরকারের ‘মনগড়া ও ষড়যন্ত্রের অংশ’: নোমান
১ বছর আগে
মোহাম্মদপুরে ফ্ল্যাট থেকে দম্পতির লাশ উদ্ধার
রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকায় একটি ফ্ল্যাট থেকে এক দম্পতির লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
তারা হলেন, সৌদি প্রবাসী নোমান (৩২) এবং তার স্ত্রী শামীমা (২৪)। তারা প্রায় এক বছর আগে বিয়ে করেছেন।
মোহাম্মদপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবদুর রব বলেন, রবিবার রাতে ফ্ল্যাটের নিরাপত্তাকর্মীরা অনেকক্ষণ ডাকাডাকির পর কোনো সাড়া না পেয়ে পুলিশে খবর দেয়।
পরে পুলিশ এসে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় নোমানকে এবং ফ্লোরের বিছানায় শামীমার লাশ দেখতে পায়।
আবদুর রব বলেন, পারিবারিকভাবে বিয়ে মেনে না নেয়ায় এই দম্পতি সমস্যায় ছিলেন।
পুলিশের ধারণা এটি একটি আত্মহত্যা।
তিনি আরও বলেন, লাশ দুটি ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।
পড়ুন: নিজ বাড়ির টয়লেটে মিলল দলিল লেখকের বিবস্ত্র লাশ
চুয়াডাঙ্গায় তালাবদ্ধ ঘর থেকে দম্পতির লাশ উদ্ধার
মুন্সীগঞ্জে পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষে নিহত শাওনের লাশ দাফন
২ বছর আগে
সিলেটে রায়হান হত্যা: পলাতক নোমানের অনুপস্থিতিতেই বিচার শুরু হচ্ছে
সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের (এসএমপি) বন্দরবাজার ফাঁড়ির হেফাজতে যুবক রায়হান আহমদ হত্যা মামলায় পলাতক আসামি নোমানের অনুপস্থিতিতে বিচার শুরুর বিষয়ে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
বুধবার (২২ ডিসেম্বর) সকালে সিলেটের অতিরিক্ত চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আমিরুল ইসলাম এ নির্দেশ দেন।
এর আগে, সকালে কড়া নিরাপত্তায় বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়ির তৎকালীন ইনচার্জ এসআই (সাময়িক বরখাস্ত) আকবর হোসেন ভূঁইয়াসহ পাঁচ পুলিশ সদস্যকে আদালতে হাজির করা হয়।
এদিকে পরবর্তী শুনানির তারিখ এখনো নির্ধারণ করা হয়নি বলে জানিয়েছেন বাদীপক্ষের আইনজীবী ব্যারিস্টার আবুল ফজল।
তিনি জানান, আদালতের নির্দেশে পুলিশ পলাতক নোমানের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে কোনো মালামাল পায়নি। এমতাবস্থায়, তার অনুপস্থিতিতেই বিচার কার্যক্রম শুরুর বিষয়ে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
আরও পড়ুন: রায়হান হত্যার এক বছর: এখনও শুরু হয়নি বিচার কাজ
এর আগে, গত ৩০ সেপ্টেম্বর সিলেটের অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর আদালতের বিচারক আবুল মোমেন রায়হান হত্যা মামলার চার্জশিট গ্রহণ করে নোমানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। চার্জশিটভুক্ত ছয় আসামির মধ্যে নোমান ছাড়া সবাই বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, আব্দুল্লাহ আল নোমানের মালামাল ক্রোকের বিষয়ে পরোয়ানার শুনানির দিন ধার্য ছিল ৫ ডিসেম্বর। ওইদিন সিলেট অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে জারি করা ক্রোক পরোয়ানা তামিল হয়ে না আসায় পরবর্তী শুনানির তারিখ ২২ ডিসেম্বর ধার্য করেন আদালত।
গত বছরের ১১ অক্টোবর ভোররাতে নগরীর আখালিয়ার নেহারিপাড়ার যুবক রায়হান আহমদকে বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে ধরে এনে নির্যাতন করা হয়। এরপর ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পর তার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী বাদী হয়ে ১২ অক্টোবর কোতোয়ালি থানায় হত্যা মামলা করেন।
পুলিশের হেফাজতে নির্যাতনে রায়হানের মৃত্যুর ঘটনায় দেশজুড়ে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যদের গ্রেপ্তারের দাবিতে চলে নানা কর্মসূচি।
হত্যাকাণ্ডের পর চলতি বছরের ৫ মে আলোচিত মামলাটির অভিযোগপত্র আদালতে দাখিল করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। অভিযোগপত্রে বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়ির তৎকালীন ইনচার্জ এসআই (সাময়িক বরখাস্ত) আকবর হোসেন ভূঁইয়াকে প্রধান অভিযুক্ত করা হয়।
অন্য অভিযুক্তরা হলেন- এএসআই আশেক এলাহি, কনস্টেবল মো. হারুণ অর রশিদ, টিটু চন্দ্র দাস, ফাঁড়ির টুআইসি এসআই (সাময়িক বরখাস্ত) মো. হাসান উদ্দিন এবং স্থানীয় সংবাদকর্মী আবদুল্লাহ আল নোমান।
আরও পড়ুন: রায়হান হত্যা: এসআই আকবরসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট গ্রহণ
সিলেটে রায়হান হত্যা: এসআই আকবরসহ ৬ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট
৩ বছর আগে