সিসিমপুর
ফের আরটিভিতে সিসিমপুর
ফের আরটিভিতে ফিরছে শিশুতোষ শিক্ষা ও বিনোদনমূলক জনপ্রিয় টেলিভিশন সিরিজ সিসিমপুর।
আসছে বছরের ৬ জানুয়ারি থেকে সপ্তাহের প্রতি শনি, রবি ও সোমবার বিকাল ৫ টায় আরটিভিতে প্রচারিত হবে সিসিমপুর।
আরও পড়ুন: অপু বিশ্বাসের ভুল স্বীকার
যা মঙ্গল, বুধ ও বৃহস্পতিবার একই সময়ে পুনঃপ্রচারিত হবে। অর্থাৎ সপ্তাহে ছয়দিন বিকাল ৫ টায় শিশুরা আরটিভির পর্দায় দেখতে পাবে সিসিমপুর।
সম্প্রতি সিসিমপুরের নির্মাতা প্রতিষ্ঠান সিসেমি ওয়ার্কশপ বাংলাদেশের ডিস্ট্রিবিউশান পার্টনার ওয়াটারমার্ক এমসিএলের সঙ্গে আরটিভি’র এ সংক্রান্ত একটি চুক্তি সই হয়েছে।
আরও পড়ুন: ফুড ব্লগার বা ভ্লগার হিসেবে ক্যারিয়ার গড়ার উপায়
আরটিভির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ আশিক রহমান এবং ওয়াটারমার্ক এমসিএলের ব্যাবস্থাপনা পরিচালক পলাশ মিয়া নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তিতে সই করেন।
এসময় সিসেমি ওয়ার্কশপ বাংলাদেশের ব্যাবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ শাহ আলমসহ তিন প্রতিষ্ঠানের শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ৩ বছর পর দেশে শাবনূর, ‘মাতাল হাওয়ায়’ থাকছেন তিনি
উল্লেখ্য, বাংলাদেশে সিসিমপুরের সব কার্যক্রম উন্নয়ন ও বাস্তবায়নে শুরু থেকে সহায়তা করে আসছে ইউএসএআইডি, বাংলাদেশ।
১ বছর আগে
তিন বিশ্ব ঐতিহ্যের প্রচারে একসঙ্গে ইউনেস্কো-সিসিমপুর
শিশুদের কাছে বাংলাদেশে ইউনেস্কোর তিন বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবন, ঐতিহাসিক মসজিদের শহর বাগেরহাট ও পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহারকে পরিচিত এবং জনপ্রিয় করতে একসঙ্গে কাজ করবে ইউনেস্কো এবং সিসেমি ওয়ার্কশপ বাংলাদেশ তথা সিসিমপুর।
নতুন এই উদ্যোগের আওতায় তথ্য এবং বিনোদনের মাধ্যমে শিশুদের কাছে এই তিন বিশ্ব ঐতিহ্যকে আরও বেশি পরিচিত করতে কাজ করবে সিসিমপুর। শিশুদের কাছে অত্যন্ত প্রিয় সিসিমপুরের চরিত্রগুলোকে দিয়ে এই তিন বিশ্ব ঐতিহ্যের ওপর তৈরি করা হবে এডুটেইনমেন্ট ভিডিও। পাশাপাশি শিশুদের জন্য থাকবে কিছু অংশগ্রহণমূলক কার্যক্রমও।
এই উপলক্ষে ৬ ডিসেম্বর, মঙ্গলবার ইউনেস্কো-এর ঢাকা কার্যালয়ে ইউনেস্কো এবং সিসিমপুরের মধ্যে একটি দ্বিপক্ষীয় চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। ইউনেস্কো বাংলাদেশের অফিস প্রধান সুজান ভাইজ এবং সিসিমপুরের কান্ট্রি ম্যানেজিং ডিরেক্টর মোহাম্মদ শাহ আলম নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।
আরও পড়ুন: শিশুদের অস্কারখ্যাত কিডস্ক্রিন অ্যাওয়ার্ড পেল সিসিমপুর
২ বছর আগে
শিশুদের অস্কারখ্যাত কিডস্ক্রিন অ্যাওয়ার্ড পেল সিসিমপুর
শিশুদের অস্কারখ্যাত, বিশ্বজুড়ে সমাদৃত কিডস্ক্রিন অ্যাওয়ার্ড পেল বাংলাদেশের শিশুদের জন্য নির্মিত জনপ্রিয় শিশুতোষ অনুষ্ঠান সিসিমপুর। বিশ্বের সেরা সব শিশুতোষ টিভি সিরিজকে পেছনে ফেলে সিসিমপুর তার ১৩তম সিজনের জন্য ‘বেস্ট মিক্সড মিডিয়া সিরিজ’ ক্যাটাগরিতে সেরার এই পুরস্কার লাভ করে।
২০ জুলাই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মিয়ামিতে এক জমকালো আয়োজনের মাধ্যমে ১৪তম কিডস্ক্রিন অ্যাওয়ার্ডের পুরস্কার দেয়া হয়। নেটফ্লিক্স, কার্টুন নেটওয়ার্ক, বিবিসি, ওয়ার্নার ব্রাদার্স এনিমেশন, ফক্স মিডিয়া, নিকোলওডিয়েন, বাইজুস, পিবিএস কিডস, ড্রিম ওয়ার্কস এনিমেশন-এর মতো বিশ্বখ্যাত সব শিশুতোষ অনুষ্ঠান নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান এবারের প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়।
কিডস্ক্রিন অ্যাওয়ার্ড বিশ্বজুড়ে শিশু ও পরিবারদের নিয়ে নির্মিত সেরা সিরিজ, এনিমেটেড ফিল্ম, লাইভ একশন প্রোগ্রামসহ নানা ক্যাটাগরিতে সেরা সব অনুষ্ঠানকে পুরস্কৃত করে থাকে।
২০০৫ সাল থেকে প্রাক-প্রাথমিক শিশু বিকাশ কার্যক্রমের আওতায় ‘শিশুরা হয়ে উঠুক আরও সম্পন্ন, আরও সবল এবং আরও সদয়’ এই লক্ষ্য নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে সিসেমি স্ট্রিট-এর বাংলাদেশি সংস্করণ ‘সিসিমপুর’। শুরু থেকেই ‘ইউএসএআইডি বাংলাদেশ’-এর আর্থিক সহায়তায় নির্মিত হয়ে আসছে জনপ্রিয় এই শিশুতোষ সিরিজ। সিসিমপুর নির্মাণে সিসেমি ওয়ার্কশপ বাংলাদেশের প্রোডাকশন পার্টনার ধ্বনি-চিত্র লিমিটেড।
সম্মানজনক কিডস্ক্রিন অ্যাওয়ার্ড জয়লাভের খবরে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে সিসিমপুরের নির্মাতা প্রতিষ্ঠান সিসেমি ওয়ার্কশপ বাংলাদেশ-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ শাহ আলম বলেন, নিঃসন্দেহে এটি ভীষণ আনন্দের সংবাদ। কিডস্ক্রিন অ্যাওয়ার্ড বিশ্বব্যাপী শিশুদের অনুষ্ঠানের জন্য অত্যন্ত সম্মানজনক একটি পুরস্কার। বিশ্বের সেরা সেরা সব শিশুতোষ অনুষ্ঠানের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে আমাদের সিসিমপুর সবার সেরা হয়েছে। এটি অত্যন্ত গর্বের বিষয় যা আমাদের ভবিষ্যতের কাজকে দারুণভাবে অনুপ্রাণিত করবে।
প্রাক-প্রাথমিক পর্যায়ের শিশুদের শিক্ষা এবং তাদের শৈশবকে ফলদায়ক, আনন্দময় ও মজাদার করতে ১৭ বছর ধরে সিসিমপুর কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে সিসেমি ওয়ার্কশপ বাংলাদেশ। আমি মনে করি এই সাফল্য শুধু আমাদের একার নয়। আমাদের নির্মাণ সহযোগী, সম্প্রচার সহযোগী, লেখক, আঁকিয়ে, পাপেটিয়ার, কলাকুশলী এবং আমাদের দেশের অগণিত শিশুরা এই সাফল্যের অংশীদার।
আরও পড়ুন: ঈদে বিটিভিতে ৩ পর্বের বিশেষ সিসিমপুর
১৮ বছরে পা দিলো শিশুদের প্রিয় সিসিমপুর
২ বছর আগে
ঈদে বিটিভিতে ৩ পর্বের বিশেষ সিসিমপুর
প্রতিবারের মতো এবারের ঈদেও ছোট্ট বন্ধুদের জন্য থাকছে তিন পর্বের বিশেষ সিসিমপুর ‘মিলেমিশে সবে, মাতি উৎসবে’। যা বাংলাদেশ টেলিভিশনের (বিটিভি) ঈদ অনুষ্ঠানমালায় প্রচারিত হবে ঈদের দিন, ঈদের দ্বিতীয় দিন এবং ঈদের তৃতীয় দিন প্রতিদিন দুপুর ১টায়।
উৎসব, বৈচিত্র্য, মিলেমিশে থাকা এই বিষয়গুলোকে প্রাধান্য দিয়ে সাজানো হয়েছে এবারের ঈদের বিশেষ তিন পর্ব। যেখানে আনন্দ আর বিনোদনের মাধ্যমে বিষয়গুলোর গুরুত্ব তুলে ধরবে সিসিমপুরের জনপ্রিয় চরিত্র হালুম, ইকরি আর বাহাদুর।
এছাড়া অনুষ্ঠান তিনটির প্রতি পর্বে শিশুরাও অংশ নেবে। হালুম, ইকরি আর বাহাদুরের সঙ্গে তারা ভার্চুয়ালি মেতে উঠবে ঈদ আড্ডায়। ভাগাভাগি করবে তাদের ঈদ উদযাপনের অনুভূতি।
এছাড়া তিন পর্বের ঈদ স্পেশাল সিসিমপুরের একটি পর্বে তৃতীয় লিঙ্গের একজন তারকা এবং আরেকটি পর্বে শারীরিক প্রতিবন্ধী একজন শিশুও অংশ নেবে। যার মাধ্যমে শিশুদের মাঝে একীভূত করার গুরুত্ব তুলে ধরা হবে।
আরও পড়ুন: ঈদুল ফিতরের সিনেমা ২০২২: বড় পর্দার আয়োজন
ঈদুল ফিতরের নাটক ২০২২: ছোট পর্দার যে তারকারা দর্শকনন্দিত হবার অপেক্ষায়
২ বছর আগে
১৮ বছরে পা দিলো শিশুদের প্রিয় সিসিমপুর
প্রাক-প্রাথমিক ও প্রাথমিক পর্যায়ের শিশুদের শেখাকে আনন্দদায়ক ও উপভোগ্য করার লক্ষ্য নিয়ে ‘সিসিমপুর’ নামে যে কার্যক্রমটির প্রচার শুরু হয়েছিল ২০০৫ সালে, তা ১৭ পেরিয়ে পা রাখছে ১৮তম বছরে।
সিসিমপুরের প্রথম প্রচারের দিন হিসেবে প্রতি বছর ১৫ এপ্রিল তারিখটিকে ‘সিসিমপুর দিবস’ হিসেবে উদযাপন করা হয়।
সিসিমপুর তার টেলিভিশন অনুষ্ঠান ও মুদ্রিত বিভিন্ন উপকরণের মাধ্যমে শিশুকে বর্ণ চেনা, শব্দ থেকে বর্ণ চিহ্নিত করা, বর্ণ দিয়ে শব্দ মেলানো, শব্দ দিয়ে বাক্য তৈরি করতে সাহায্য করে। চারপাশের পরিবেশ থেকে উপকরণ খুঁজে নিয়ে সেগুলোর মাধ্যমে বর্ণ ও শব্দ চিনতে সাহায্য করে। যেমন: ঘর, কলা, আম, টেবিল, ঘড়ি, গরু, গাছ, পাতা, কলম, বই ইত্যাদি শিশুর পরিচিতি বিভিন্ন শব্দ কোন বর্ণ দিয়ে শুরু হয়, তা খেলার ছলে শেখানো হয়।
সিসিমপুরের চরিত্রগুলোর মাধ্যমে পরিবেশের বিভিন্ন উপাদান থেকে বিভিন্ন আকার-আকৃতির নাম, রঙের নাম ইত্যাদি শেখানো হয়।
আরও পড়ুন: শিশুদের নিরাপদ ইন্টারনেট নিশ্চিতে সিসিমপুরের নতুন প্রকল্প
বাংলাভাষার শুদ্ধ উচ্চারণের বিষয়টিকে সিসিমপুর সবসময়ই গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করে থাকে। আর তাই সিসিমপুরের মাপেট, মানবচরিত্র, এমনকি অ্যানিমেশন সব ধরনের টেলিভিশন পর্বে চরিত্র অনুযায়ী প্রত্যেকের শুদ্ধ উচ্চারণকে বিশেষভাবে গুরুত্ব দেয়া হয়। যাতে শিশুরা এ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে প্রমিত বাংলা শোনার ও চর্চা করার সুযোগ পায়।
আবার একইসঙ্গে বিভিন্ন অঞ্চলের ভাষা, ঐতিহ্য আর জীবনযাপনকেও তুলে ধরা হয়। যাতে করে শিশুরা সমানভাবে আঞ্চলিক ভাষা-সংস্কৃতি এবং ভিন্ন ভাষা-সংস্কৃতির মানুষের প্রতিও শ্রদ্ধাশীল হয়।
বর্তমানে সিসিমপুরের ১৪তম সিজনের প্রচার চলছে।
জনপ্রিয় এই অনুষ্ঠানটি দুরন্ত, মাছরাঙা এবং বিটিভিতে প্রচারিত হচ্ছে। তবে শুরু থেকেই বাংলাদেশ টেলিভিশনে বিগত ১৭ বছর বিরতিহীনভাবে সিসিমপুর সম্প্রচার একটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা, যা বাংলাদেশ সরকারের মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ টেলিভিশন এবং সিসিমপুরের আন্তরিক প্রচেষ্টার ফল। তিনটি টেলিভিশনের মাধ্যমে সারা দেশের প্রায় এক কোটি দর্শক অনুষ্ঠানটি উপভোগ করছেন।
প্রতি বছর অমর একুশে গ্রন্থমেলায় শিশুদের কাছে অন্যতম আকর্ষণের বিষয়ে পরিণত হয়েছে সিসিমপুর। মেলায় প্রতি শুক্র-শনি আর ছুটির দিনগুলোতে ইকরি, হালুম, টুকটুকি আর শিকুর সঙ্গে মজার সময় কাটাতে শিশুদের ঢল নামে। যা ইতোমধ্যেই অমর একুশে গ্রন্থমেলার অন্যতম অনুষঙ্গে পরিণত হয়েছে। করোনাকালীন সময় পেরিয়ে এবারের বইমেলাতেও সিসিমপুর শিশুচত্বরে দেখা গেছে সেই একই চিত্র।
আরও পড়ুন: কিডস্ক্রিন অ্যাওয়ার্ডসে মনোনয়ন পেলো সিসিমপুর
সিসিমপুরের ১৭ বছর পূর্তি উপলক্ষে এর নির্মাতা প্রতিষ্ঠান সিসেমি ওয়ার্কশপ বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ শাহ আলম বলেন, ১৭ বছর ধরে শিশুতোষ এই অনুষ্ঠানটি নির্মিত হচ্ছে তিন থেকে আট বছর বয়সী শিশুর প্রারম্ভিক শিক্ষার চাহিদা পূরণের লক্ষ্যকে সামনে রেখে। সেইসঙ্গে সিসিমপুরের লক্ষ্য শিশুর পিতা-মাতা, যত্নকারী এবং শিক্ষকরাও। আনন্দ আর খেলার ছলে সিসিমপুর ভূমিকা রেখে চলেছে শিশুর সামগ্রিক বিকাশে। ভাষা-বর্ণ; গণিত; পরিবেশ; সুষম ও পুষ্টিকর খাবার; স্বাস্থ্যসুরক্ষার মতো মৌলিক বিষয়গুলো ছাড়াও সিসিমপুর জেন্ডার সমতা; সামাজিক মূল্যবোধ; নিরাপদে খেলাধুলা করা, দুর্যোগ প্রতিরোধ, স্বাস্থ্যকর অভ্যাসচর্চা; ভূমিকম্প; রাস্তা পারাপার ও পানিডুবি-বিষয়ক নিরাপত্তা; বিভিন্ন আঘাত প্রতিরোধে সচেতনতা; সঞ্চয় করা, পরিকল্পনা সম্পর্কে ধারণা দেওয়া এবং বাংলাদেশের শিল্প-সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য ইত্যাদি নানা বিষয় শিশুদের শিখতে সাহায্য করেছে সিসিমপুর। পাশাপাশি পারস্পরিক শ্রদ্ধা, মমত্ববোধ, অভিন্নত্ব ও বৈচিত্র্যের প্রতি শ্রদ্ধাসহ দেশের সকল মানুষের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করার বিষয়েও গুরুত্ব দিচ্ছে সিসিমপুর।
সিসেমি ওয়ার্কশপ বাংলাদেশ তার সব কার্যক্রমই সরকারি, বেসরকারি ও আন্তর্জাতিক সংস্থার মাধ্যমে যৌথভাবে পরিচালনা করে থাকে।
গত ১৭ বছরে সিসিমপুর বাংলাদেশ সরকারের মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়, সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করেছে। ইউএসএআইডির অর্থায়নে সিসিমপুরের পথচলা শুরু এবং ইউএসএআইডি-র এই সহায়তা অদ্যাবধি অব্যাহত রয়েছে। নিউইয়র্কভিত্তিক সিসেমি স্ট্রিট নামক শিক্ষামূলক টেলিভিশন-ধারাবাহিকের সহপ্রযোজনা সিসিমপুরের কার্যক্রম বাংলাদেশে পরিচালনা করছে সিসেমি ওয়ার্কশপ বাংলাদেশ।
আরও পড়ুন: শিল্পী সংঘের সদস্যদের সেবা প্রদান করবে ১১ প্রতিষ্ঠান
২ বছর আগে
শিশুদের নিরাপদ ইন্টারনেট নিশ্চিতে সিসিমপুরের নতুন প্রকল্প
শিশু ও তাদের অভিভাবকদের জন্য নিরাপদ ইন্টারনেট ও প্রাকশৈশব বিকাশের লক্ষ্যে একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছে শিশুদের প্রিয় অনুষ্ঠান সিসিমপুর-এর নির্মাতা প্রতিষ্ঠান সিসেমি ওয়ার্কশপ বাংলাদেশ।
সোমবার এক ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ‘সেফ ইন্টারনেট ফর আর্লি চাইল্ডহুড ডেভেলপমেন্ট’ নামের নতুন এই প্রকল্পের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
শিশুদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই উদ্যোগ নেয়ায় সিসিমপুরকে ধন্যবাদ জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী পলক বলেন, ভবিষ্যতে সিসিমপুরকে সঙ্গে নিয়ে কাজ করবে সরকারের ডিজিটাল লিটারেসি সেন্টার।
আরও পড়ুন: কিডস্ক্রিন অ্যাওয়ার্ডসে মনোনয়ন পেলো সিসিমপুর
ইন্টারনেট সোসাইটি ফাউন্ডেশন-এর আর্থিক সহযোগিতায় দুইবছর মেয়াদি এই প্রকল্পের মাধ্যমে ভার্চুয়াল জগতে শিশুদের নিরাপত্তা এবং কী কী ধরনের প্ল্যাটফর্মে তারা শিক্ষাগ্রহণ করতে পারে, সে বিষয়ে গবেষণা করা হবে। পাশাপাশি নিরাপদ ইন্টারনেট নিশ্চিত করতে অভিভাবকদের জন্য তৈরি করা হবে গাইডলাইন।
এছাড়া সায়েন্স, টেকনোলজি, ইঞ্জিনিয়ারিং ও ম্যাথ (স্টেম) কে উপজীব্য করে শিশুদের জন্য একটি মোবাইল গেমও তৈরি করা হবে। তৈরি করা হবে বিভিন্ন ধরনের ডিজিটাল কনটেন্ট ও পাঁচটি গল্পের বই। যে বইগুলো বিতরণ করা হবে দেশের বিভিন্ন স্কুলে।
একইসঙ্গে, দেশের বিভিন্ন বিভাগীয় শহরে সিসিমপুরের প্রিয় বন্ধু টুকটুকি, হালুম, শিকু, ইকরিরা নিরাপদ ইন্টারনেট বিষয়ক প্রচারণায় অংশ নেবে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ইন্টারনেট সোসাইটি ফাউন্ডেশন-এর গ্রান্ট স্পেশালিস্ট গুইলহার্ম গঞ্জালেস রোকা ই সুজা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্যপ্রযুক্তি ইন্সটিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক ড. বিএম মাইনুল হোসেন, তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক উদ্যোক্তা সাবিলা ইনুন ও সিসেমি ওয়ার্কশপ বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ শাহ আলম।
এছাড়াও অনুষ্ঠানে সংশ্লিষ্ট সরকারি সংস্থার প্রতিনিধি, আইসিটি এক্সপার্ট. কনটেন্ট ডেভেলপার, আর্লি চাইল্ডহুড স্পেশালিস্ট এবং শিক্ষা বিশষজ্ঞরা অংশ নেন।
আরও পড়ুন: সেন্টমার্টিনের জীববৈচিত্র্য রক্ষায় বাংলাদেশের প্রশংসা লিওনার্দো ডিক্যাপ্রিও’র
২ বছর আগে
কিডস্ক্রিন অ্যাওয়ার্ডসে মনোনয়ন পেলো সিসিমপুর
আন্তর্জাতিকভাবে সমাদৃত কিডস্ক্রিন অ্যাওয়ার্ডসের ‘বেস্ট মিক্সড মিডিয়া সিরিজ’ বিভাগে মনোনয়ন পেয়েছে জনপ্রিয় শিশুতোষ অনুষ্ঠান সিসিমপুর।
বিশ্বজুড়ে শিশু ও পরিবার নিয়ে নির্মিত সেরা সিরিজ, এনিমেটেড ফিল্ম, লাইভ অ্যাকশন প্রোগ্রামসহ নানা ক্যাটাগরিতে বিভিন্ন অনুষ্ঠানকে পুরস্কৃত করে থাকে কিডস্ক্রিন অ্যাওয়ার্ড। আসছে ফেব্রুয়ারিতে এক জমকালো অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ২০২২ সালের বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হবে।
কিডস্ক্রিন অ্যাওয়ার্ডে মনোনয়ন পাওয়ার বিষয়ে উচ্ছাস প্রকাশ করে সিসিমপুরের নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ শাহ আলম বলেন, নিঃসন্দেহে এটি ভীষণ আনন্দের সংবাদ। কিডস্ক্রিন অ্যাওয়ার্ড বিশ্বব্যাপী শিশুদের অনুষ্ঠানের জন্য অত্যন্ত সম্মানজনক একটি পুরস্কার। বিশ্বের সেরা সেরা সব শিশুতোষ অনুষ্ঠানের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে আমাদের সিসিমপুর ‘সেরা তিন’ এ স্থান পেয়েছে। এটি অত্যন্ত গর্বের বিষয় যা আমাদের ভবিষ্যতের কাজকে দারুণভাবে অনুপ্রাণিত করবে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের মিউজিক ভিডিওতে টলিউডের মিমি
উল্লেখ্য, ২০১০ সালে বিবিসি ওয়ার্ল্ড সার্ভিস ট্রাস্ট পরিচালিত জরিপেও সিসিমপুর শিশুতোষ অনুষ্ঠান হিসেবে সেরা এবং সামগ্রিকভাবে তৃতীয় জনপ্রিয় অনুষ্ঠান নির্বাচিত হয়েছিল। ২০০৭ সালে পরিচালিত এসিপিআরের একটি দীর্ঘমেয়াদি গবেষণায় দেখা গেছে, যেসব শিশু সিসিমপুর অনুষ্ঠানটি নিয়মিত দেখে, তারা তাদের চাইতে এক বছরের বড় শিশু, যারা সিসিমপুর দেখে না, তাদের চেয়ে ভাষা ও বর্ণ, গণিত এবং সামাজিক-সাংস্কৃতিক বিষয়ে বেশি দক্ষতা প্রদর্শন করেছে।
১৩তম সিজনের প্রতিটি পর্বে শিশুদের খেলার মাধ্যমে শেখা, অন্যকে সহযোগিতা করা এবং সহযোগিতার মাধ্যমে যে আনন্দলাভ হয়, এই বিষয়গুলোকে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে, যা শিশুর বিকাশের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। খেলার পাশাপাশি সিজনের প্রতিটি পর্বে সহযোগিতা, সহমর্মিতা, বিজ্ঞান, প্রকৃতি, ভাষা, গণিত ইত্যাদি বিষয় প্রাধান্য পেয়েছে।
আরও পড়ুন: হয়ে গেল ‘মৃধা বনাম মৃধা’র প্রিমিয়ার শো
৩ বছর আগে