লঞ্চে অগ্নিকাণ্ড
ঝালকাঠিতে লঞ্চে অগ্নিকাণ্ড: নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৫০
ঝালকাঠিতে গত মাসে লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডে দগ্ধ আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (১৮ জানুয়ারি) শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এ নিয়ে দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫০ এ দাঁড়িয়েছে।
নিহত মনিকা রানী হালদার (৪০) বরগুনা পৌর শহরের গগন মেমোরিয়াল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ছিলেন।
ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় দগ্ধ আরো একজনের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (১৮ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ৯ টার দিকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
আরও পড়ুন: লঞ্চে ধূমপান না করতে সতর্কীকরণ পদক্ষেপ নেয়া হবে: নৌপ্রতিমন্ত্রী
শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ইনস্টিটউটের আবাসিক সার্জন ডা. এসএম আইউব হোসেন মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, তার শরীরের ৩০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। প্রথম থেকে তাকে আইসিইউতে রাখা হয়। অবস্থার অবনতি হলে পরবর্তীতে লাইফ সাপোর্টে নেয়া হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন থাকার পর তার মৃত্যু হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২৪ ডিসেম্বর ভোররাতে ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে ঢাকা থেকে বরগুনাগামী এমভি অভিযান-১০ লঞ্চে আগুন লাগে। সে সময় লঞ্চটিতে ৮০০ জনেরও বেশি যাত্রী ছিল।
গত ২৬ ডিসেম্বর নৌ-পরিবহন অধিদপ্তরের প্রধান পরিদর্শক শফিকুর রহমান লঞ্চের চার মালিকসহ আটজনের বিরুদ্ধে সামুদ্রিক আদালতে নৌ আইনে মামলা করেন। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে বরিশালগামী লঞ্চে আগুন, দ্রুত নিয়ন্ত্রণ
বাস-ট্রেন ও লঞ্চে অর্ধেক যাত্রী বহনের সিদ্ধান্ত: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
২ বছর আগে
লঞ্চে অগ্নিকাণ্ড: মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪৭, এখনও নিখোঁজ ৫৮
ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় দগ্ধ আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪৭ জনে এ দাঁড়িয়েছে।
রেড ক্রিসেন্ট বাংলাদেশের ঝালকাঠি জেলা কার্যালয়ের তালিকা অনুযায়ী, বুধবার পর্যন্ত অন্তত ৫৮ জন নিখোঁজ রয়েছেন।
শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. এস এম আইয়ুব হোসেন জানান, মৃত শাহিনুর (৪৫) হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন ছিলেন। সন্ধ্যা ৭টা ১০ মিনিটে তার মৃত্যু হয়।
পড়ুন: লঞ্চে অগ্নিকাণ্ড: মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪৬
আগের দিন, সুগন্ধা নদী থেকে আরও দুটি লাশ উদ্ধারে মৃতের সংখ্যা ৪৬ জনে পৌঁছেছিল।
জেলা ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক মো. শফিক জানান, সকাল ৯টার দিকে জেলার সুগন্ধা-বিশখালী নদীর মোহনার চরকাঠি থেকে অজ্ঞাতনামাদের লাশ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।
ঝালকাঠি ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে একজন ৪২ বছর বয়সী পুরুষ এবং আরেকজন ৩২ বছর বয়সী নারী।
লাশ দুটি আংশিক পুড়ে গেছে বলে জানান শফিক।
এদিকে, লঞ্চ দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের পক্ষ থেকে মৃত্যুর জন্য দায়ী করে লঞ্চ মালিকদের একজন হামজালাল শাহ ও লঞ্চ স্টাফসহ ৮ জনকে আসামি করে ঝালকাঠির থানায় সোমবার মধ্য রাতে একটি মামলা হয়েছে।
ঢাকার বকসনানগর এলাকার খলিলুর রহমানের ছেলে মনির হোসেন বাদী হয়ে এই মামলা করেন।
লঞ্চ ট্রাজেডির ঘটনায় তার বোন তাসলিমা আক্তার (৩০), তাসলিমার বড় মেয়ে সুমাইয়া আক্তার মিম (১২) ও সুবর্না আক্তার তানিয়া ( ৮) ও তাসলিমার ভাতিজা জুনায়েদ ইসলাম বায়েজিদ (২০) নিখোঁজ রয়েছে। তারা এই লঞ্চযোগে একসঙ্গে বরগুনায় তাসলিমা আক্তারের শ্বশুরবাড়ী যাচ্ছিল।
পড়ুন: লঞ্চে অগ্নিকাণ্ড: ৩০ দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ
লঞ্চে আগুন: কেরানীগঞ্জ থেকে এক মালিক গ্রেপ্তার
এর আগে সোমবার ভোরে এমভি অভিযান-১০ লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মো. হামজালাল শেখ নামে লঞ্চটির এক মালিককে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার সহকারী পরিচালক (এএসপি) এ এন এম ইমরান খান জানান, কেরানীগঞ্জ থেকে হামজালালকে গ্রেপ্তার করা হয়।
নৌপরিবহন অধিদপ্তরের করা মামলায় ঢাকার নৌআদালত লঞ্চটির চার মালিকসহ আটজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করলে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
উল্লেখ্য, শুক্রবার দিবাগত ৩টায় ঢাকা থেকে প্রায় ৮০০ যাত্রী নিয়ে ঢাকা থেকে বরগুনাগামী এমভি অভিযান-১০ নামের লঞ্চটিতে আগুন লাগে।
২ বছর আগে
লঞ্চের ইঞ্জিন কক্ষ থেকেই আগুনের সূত্রপাত: তদন্ত কমিটি
ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে ঢাকা থেকে বরগুনাগামী এমভি অভিযান-১০ লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৪১ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। আর ভয়াবহ এ অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত লঞ্চটির ইঞ্জিন কক্ষ থেকে হয়েছে বলে জানিয়েছেন এ ঘটনায় নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের গঠিত তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক যুগ্ম সচিব মো. তোফায়েল ইসলাম।
তিনি বলেন, ‘ঝালকাঠিতে মর্মান্তিক লঞ্চ দুর্ঘটনার বিষয়টি আমরা গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। একাধিকবার ঘটনাস্থল ও লঞ্চ পরিদর্শন করেছি। প্রাথমিকভাবে আমাদের কাছে মনে হয়েছে ইঞ্জিন কক্ষ (রুম) থেকেই অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়েছে। পরবর্তীতে আরও কিছু বিষয়ের কারণে এটি ছড়িয়ে পড়েছে।’
রবিবার বরগুনার সার্কিট হাউজ মিলনায়তনে লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলতে এসে সাংবাদিকদের কাছে এসব কথা বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: লঞ্চে আগুন: সুগন্ধা নদীতে তৃতীয় দিনের মতো চলছে উদ্ধার অভিযান
তোফায়েল ইসলাম বলেন, ‘তদন্ত এখনও চলমান। তাই কংক্রিট কোনো তথ্য দেয়া যাচ্ছে না। তবে আমরা আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি যাতে একটি সুষ্ঠু তদন্ত করে ঘটনার সত্যতা উদঘাটন করা যায়।’
দুর্ঘটনা কবলিত লঞ্চের কোনো স্টাফের সঙ্গে তারা এখনও কথা বলতে পারেননি বলেও জানান তিনি।
এদিকে এমভি অভিযান-১০ লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নিখোঁজদের সন্ধানে টানা তৃতীয় দিনের মতো উদ্ধার অভিযান চলছে।
ঝালকাঠি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খলিলুর রহমান জানিয়েছেন, সুগন্ধা নদীতে ঘটনাস্থলের অংশ পাশের এলাকায় উদ্ধার অভিযান অব্যাহত আছে।
তিনি বলেন,‘বেলা ১১টার দিকে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত নদী থেকে নতুন করে আর কোন লাশ উদ্ধার হয়নি।’
জেলা প্রশাসনের কন্ট্রোল রুমের দায়িত্ব পালনকারী কর্মকর্তা আবু সাঈদ জানিয়েছেন, এখন পর্যন্ত নিখোঁজ ২৫ জনের তালিকা করা হয়েছে।
এর আগে লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডে নিহত অজ্ঞাত পরিচয়ের ২৩ জনের লাশ শনিবার দুপুর ১২টায় বরগুনা সদর উপজেলার পোটকাখালী সরকারি গণকবরে দাফন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: চলন্ত লঞ্চে আগুন: বরগুনায় গণকবরে অজ্ঞাত ২৩ লাশ দাফন
প্রসঙ্গত, শুক্রবার গভীর রাত ৩টার দিকে ঢাকা থেকে ২৫০ কিলোমিটার দক্ষিণে ঝালকাঠি জেলার সদর উপজেলার উপকূলে সুগন্ধা নদীর মাঝখানে ৮০০ যাত্রী নিয়ে ‘অভিযান-১০’ লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
শনিবার রাত পর্যন্ত অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪১ জনে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া ৭০ জনের বেশি আহত হয়েছেন এবং তাদের অনেকেই বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
২ বছর আগে
ঝালকাঠিতে লঞ্চে অগ্নিকাণ্ড: ৩৩ মরদেহ বরগুনায় পৌঁছেছে
ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডে নিহত ৩৩ মরদেহ বরগুনায় পৌঁছছে।
বরগুনার জেলা প্রশাসক হাবিবুর রহমান ইউএনবিকে জানান, শুক্রবার (২৪ ডিসেম্বর) রাত ১১টার দিকে লাশবাহী ট্রাকে করে মরদেহগুলো বরগুনা সদর হাসপাতালে এসে পৌঁছায়।
এসময় স্বজনদের আহাজারিতে ভারী হয়ে ওঠে বরগুনা সদর হাসপাতাল প্রাঙ্গণ। স্কাউটসের স্বেচ্ছাসেবকরা গাড়ী থেকে লাশগুলো নামিয়ে সারিবদ্ধভাবে সাজিয়ে রাখে।
পরিচয়বিহীন লাশ গুলোর ডিএনএ নমুনা রেখে ২৫ ডিসেম্বর) শনিবার পোটকা খালি গোরস্থানে দাফন করা হবে বলে জেলা প্রশাসক জানিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার গভীর রাত ৩টার দিকে ঢাকা থেকে ২৫০ কিলোমিটার দক্ষিণে ঝালকাঠি জেলার সদর উপজেলার উপকূলে সুগন্ধা নদীর মাঝখানে ৮০০ যাত্রী নিয়ে ‘অভিযান-১০’ লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় অন্তত ৩৯ জন নিহত ও ৭২ জন আহত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: আগুন লাগার পরও লঞ্চ ৪০ মিনিট চলে
আহতদের চিকিৎসা সহায়তায় সরকার পাশে দাঁড়াবে: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
লঞ্চের আগুনে নিহত প্রত্যেক পরিবারকে দেড় লাখ টাকা দেয়ার ঘোষণা
২ বছর আগে