আলোচনা সভা
পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে আলোচনা সভা
পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) ও ইসলামি ঐক্য সপ্তাহ (১২-১৭ রবিউল আউয়াল) উপলক্ষে ঢাকায় আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) বিকালে বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল অডিটোরিয়ামে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আরও পড়ুন: ঢাকায় ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির স্মরণে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত
এসময় বক্তারা বলেন, পবিত্র কোরআনে আল্লাহ রাব্বুল আলামীন রাসূলকে (সা.) রাহমাতুল্লিল আলামীন হিসেবে উল্লেখ করেছেন। অর্থাৎ, রাসূল (সা.) হলেন সমগ্র মানবজাতির জন্য পাঠানো পূর্ণাঙ্গ রহমতস্বরূপ, যার মধ্য দিয়ে আল্লাহ তার এই রহমত পৌঁছে দিয়েছেন। কোনো বিশেষ জাতি বা যুগ নয়, রাসুলের মাধ্যমে পাঠানো এই রহমতের ধারা কিয়ামত পর্যন্ত মানবজাতির জন্য বহমান থাকবে। এছাড়া আইয়ামে জাহেলিয়ার যুগে মানবতা যখন বিপন্ন হয়ে পড়েছিল, তখন মহান আল্লাহ তায়ালা মক্কার কুরাইশ বংশে মানবতার মুক্তির দূত হিসেবে মহানবী হজরত মুহাম্মদকে (সা.) পাঠিয়েছেন। যিনি এই অন্ধকারাচ্ছন্ন পৃথিবীর মানুষকে মুক্তি দিশা দেখিয়েছিলেন। তিনি ইসলাম ধর্মের মূল কাণ্ডারী হিসেবে সবার জন্য যেসব পরামর্শ ও ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ দিয়ে গেছেন তাতে তার আনুগত্য ও অনুসরণ করাই ইসলামি উম্মাহর ঐতিহাসিক ও অগ্রসরমাণ পথ চলার মূল কথা যা মুসলমানদের মধ্যকার সকল বিভেদ ও বিভাজনকে দূর করতে সক্ষম।
আরও পড়ুন: ঢাকায় ইমাম খোমেইনীর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত
প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাননীয় উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশে নিযুক্ত ইরানের রাষ্ট্রদূত জনাব মানসুর চাভোশি, ঢাবির কলা অনুষদের ডীন প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ছিদ্দিকুর রহমান খান ও সাবেক জেলা দায়েরা জজ মো. ইসমাইল মিয়া।
অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ ইমাম সমিতির সভাপতি মাওলানা লুৎফর রহমান।
আরও পড়ুন: জার্মানিতে বিএনপির আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত
১ মাস আগে
ঢাকায় ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির স্মরণে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত
ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানের প্রেসিডেন্ট আয়াতুল্লাহ সাইয়্যেদ ইব্রাহিম রাইসি ও তার সফরসঙ্গীদের মৃত্যুর ৪০তম দিন উপলক্ষে সম্প্রতি ঢাকাস্থ ইরান সাংস্কৃতিক কেন্দ্র মিলনায়তনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ঢাকাস্থ ইরান সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের উদ্যোগে আয়োজিত এই আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরান দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত মানসুর চাভোশি এবং গ্লোবাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের উপাচার্য প্রফেসর ড. আনিসুজ্জামান।
ঢাকাস্থ ইরান সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের কালচারাল কাউন্সেলর সাইয়্যেদ রেজা মির মুহাম্মদীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন দৈনিক ইনকিলাবের সহকারী সম্পাদক মেহেদি হাসান পলাশ।
অনুষ্ঠানে বক্তরা বলেন, ইরানের শহীদ প্রেসিডেন্ট সাইয়্যেদ ইব্রাহিম রাইসি ছিলেন একজন মানব দরদী মানুষ। তিনি দেশ ও জাতির জন্য অত্যন্ত নিষ্ঠার সঙ্গে ও নিরলসভাবে কাজ করে গেছেন। তিনি দেশের সেবায় এক শহর থেকে আরেক শহরে, এক দেশ থেকে অন্য দেশে ছুটে বেরিয়েছেন। তিনি কেবল নিজ দেশ ও তার দেশের জনগণের জন্যই কাজ করেননি।তিনি বিশ্বমানবতার জন্য কাজ করেছেন।
আরও পড়ুন: ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির স্মরণে আলোচনা সভা-দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত
তারা আরও বলেন, বিশ্বের মজলুম মানুষের জন্য কাজ করেছেন রাইসি। তার সময়ে মুসলিমদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে ইরানের সম্পর্ক আরও বেশি শক্তিশালী হয়েছে। হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি ও তার সফরসঙ্গীদের মৃত্যুর ফলে কেবল ইরানি জাতি ও মুসলিম উম্মার নয়, সমগ্র ইসলামী উম্মার অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে। যে ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়ার মত নয়। তিনি ফিলিস্তিনসহ সারা বিশ্বের মজলুম মানুষের পক্ষে কাজ করেছেন। আর এর কারণেই তার মৃত্যুতে সারা বিশ্বের মানুষ কেঁদেছে। তার জানাযায় লাখ লাখ মানুষের ঢল নেমেছিল।বক্তরা বলেন, কোনো দেশের প্রেসিডেন্ট মারা গেলে সাধারণত ঐ দেশটিতে সরকারিভাবে শোক পালন করা হয়। কিন্তু ইরানের প্রেসিডেন্ট সাইয়্যেদ ইব্রাহিম রাইসির মৃত্যুতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ও জাতি শোক পালন করেছে।
বক্তারা আরও বলেন, ইরানের ইসলামী বিপ্লবের ভিত্তি এখন অনেক মজবুত। ইরানের জনপ্রিয় প্রেসিডেন্ট সাইয়্যেদ ইব্রাহিম রাইসির মৃত্যুর ফলে দেশটিতে সাময়িক সংকট তৈরি হলেও ইরানের সর্বোচ্চ নেতার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে দেশটি এই সংকট খুব দ্রুতই কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হবে। দেশটির পরবর্তী প্রেসিডেন্ট শহীদ প্রেসিডেন্ট সাইয়্যেদ ইব্রাহিম রাইসির পথ অনুসরণ করে এই দেশ ও জাতিকে আরও সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।
আরও পড়ুন:বগুড়ায় ইরানের সাবেক প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির স্মরণে শোক সভা অনুষ্ঠিত
৪ মাস আগে
লস এঞ্জেলেসে বহুভাষিকতা ও সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য বিষয়ক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত
যুক্তরাষ্ট্রের লস এঞ্জেলেসে মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ কনস্যুলেটের আয়োজনে ২১ ফেব্রুয়ারি ‘বহুভাষিকতা ও সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য’ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বিভিন্ন ভাষা ও সংস্কৃতির বক্তারা বলেন, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস শুধু বাংলাদেশের জন্যই নয়, পৃথিবীর প্রতিটি ভাষাভাষীর জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
অনুষ্ঠানে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের প্রতিনিধি, লস এঞ্জেলেস কাউন্টির রাষ্ট্রাচার প্রধান, বাহামা, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, পেরু, শ্রীলঙ্কা, ইন্দোনেশিয়াসহ বিভিন্ন দেশের কূটনীতিক এবং উল্ল্যেখযোগ্য সংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশি অংশগ্রহণ করেন।
এসময় মহান ভাষা আন্দোলনের চেতনা, বাংলাদেশের সীমানা পেরিয়ে বাংলাদেশের নেতৃত্বে বৈশ্বিক অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে ওঠার অনন্য বিষয়টি নতুন প্রজন্ম এবং অন্যান্য ভাষার মানুষের কাছে তুলে ধরা হয়।
বক্তারা ভাষা শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে ভাষা সংরক্ষণ এবং বহু ভাষাবাদের গুরুত্বের ওপর আলোকপাত করেন। বহুভাষাবাদ প্রচারে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য তারা বাংলাদেশকে ধন্যবাদ জানান। একই সঙ্গে বিলুপ্তির পথে থাকা ভাষা সংরক্ষণের গুরুত্বও তুলে ধরেন তারা।
৫২’র সকল ভাষা শহীদ ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন কনসাল জেনারেল সামিয়া আঞ্জুম।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের সঙ্গে সরাসরি বিমান যোগাযোগ চালু করতে আগ্রহী সুইজারল্যান্ড
স্বাগত বক্তব্যে দিবসটির আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায়ের ক্ষেত্রে প্রবাসী বাংলাদেশিদের উদ্যোগ ও ইউনেস্কোর সাধারণ অধিবেশনে প্রস্তাবটি সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হওয়ার ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ কূটনৈতিক প্রজ্ঞার কথা স্মরণ করেন তিনি। ভাষা নিয়ে গবেষণা ও ভাষা সংরক্ষণে বাংলাদেশ সরকারের গৃহীত নানা উদ্যোগের চিত্রও এ সময় তুলে ধরা হয়।
‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙ্গানো একুশে ফেব্রুয়ারি’ সঙ্গীতটির মাধ্যমে অনুষ্ঠানটির সূচনা হয়। ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে একমিনিট নীরবতা পালন করা হয়। মহান ভাষা আন্দোলন ও বহুভাষিকতার ওপর দুটি ভিডিও চিত্র অনুষ্ঠানে প্রদর্শিত হয়। আলোচনা শেষে আয়োজিত বহুভাষিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে বিভিন্ন ভাষাভাষীর শিল্পীরা সঙ্গীত ও নৃত্য পরিবেশন করেন।
এর আগে মহান একুশের প্রথম প্রহরে কনসাল জেনারেল, কনস্যুলেটের সকল সদস্য ও প্রবাসী বাংলাদেশিদের নিয়ে কনস্যুলেট প্রাঙ্গণে প্রতীকী শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে ভাষা শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এদিন সকালে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করা হয় এবং দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র মন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়।
এছাড়া ভাষা শহীদ এবং বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের শহীদ সদস্যদের রূহের মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।আরও পড়ুন: বাংলা ভাষার আন্তর্জাতিক মর্যাদা প্রতিষ্ঠায় বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বের প্রতি শ্রদ্ধা লন্ডন মিশনের
৮ মাস আগে
শহীদ বুদ্ধিজীবী ও বিজয় দিবস উপলক্ষে জাতীয় প্রেস ক্লাবের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস ও বিজয় দিবস উপলক্ষে জাতীয় প্রেসক্লাবের উদ্যোগে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিনের সভাপতিত্বে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এতে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি মফিদুল হক।
আরও পড়ুন: জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফরিদা, সাধারণ সম্পাদক শ্যামল নির্বাচিত
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন জাতীয় প্রেস ক্লাবের ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য ও সেমিনার, মিট দ্য প্রেস এবং আন্তর্জাতিক লিয়াঁজো উপ-কমিটির আহ্বায়ক জুলহাস আলম।
আলোচনা অনুষ্ঠানে শহীদ বুদ্ধিজীবী ও মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করে অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারীরা।
বক্তারা বলেন, গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ বিনির্মাণে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে সমুন্নত রেখে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে।
তারা বলেন, রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়নের প্রক্রিয়া বন্ধ করা এবং সাম্প্রদায়িকতা রুখতে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার আলোকে দেশ নির্মাণের তাগিদ আজ জরুরি হয়ে পড়েছে।
প্রেস ক্লাব সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে যে কোনো মূল্যে সমুন্নত রাখতে হবে। আজ কেন সাম্প্রদায়িকতা বাড়ছে, কেন রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়ন হচ্ছে সে প্রশ্ন করার সময় হয়েছে।
তিনি বলেন, কখনো কখনো সাংবাদিকদের নিরপেক্ষ থাকার সুযোগ থাকে না, রাষ্ট্রের প্রয়োজনে, সার্বভৌমত্বের প্রয়োজনে, অস্তিত্ব রক্ষার প্রয়োজনে পক্ষ নিতে হয়। অন্যদিকে গণতন্ত্র না থাকলে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা থাকে না। সংবাদপত্রের স্বাধীনতা না থাকলে গণতন্ত্র দুর্বল হয়ে যায়। মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ বুদ্ধিজীবীদের সম্মান জানাতে হলে আজ আমাদের সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে, রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়নের বিপক্ষে কথা বলতে হবে।
তিনি বলেন, আগামী জাতীয় নির্বাচন জাতির জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। উন্নয়নের স্বার্থে, সুস্থ রাজনীতির স্বার্থে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে সমুন্নত রাখতে হবে।
মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি মফিদুল হক মুক্তিযুদ্ধে শহীদ সাবের, শহীদুল্লাহ কায়সার ও শহীদ সিরাজুদ্দীন হোসেনের আত্মত্যাগের কথা স্মরণ করে বলেন, মুক্তিযুদ্ধসহ সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলনে সাংবাদিকদের অবদান অনস্বীকার্য।
তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় বেছে বেছে সাংবাদিকদের টার্গেট করা হয়েছিল।
মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস তুলে ধরার উপর গুরুত্বারোপ করেন আলোচকরা।
সভায় আরও বক্তব্য দেন প্রেস ক্লাবের সিনিয়র সদস্য ও ডেইলি অবজারভারের সম্পাদক ইকবাল সোবহান চৌধুরী, বিএফইউজে সাবেক সভাপতি মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল, দৈনিক যুগান্তরের সম্পাদক সাইফুল আলম ও বিএফইউজের সভাপতি ওমর ফারুক।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় প্রেস ক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক আইয়ুব ভূঁইয়া, মো. আশরাফ আলী, ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য কাজী রওনাক হোসেন, শাহনাজ সিদ্দীকি সোমা, শাহনাজ বেগম পলি।
আরও পড়ুন: মানবাধিকার দিবসে প্রেস ক্লাবের সামনে বিএনপির মানববন্ধন
জাতীয় প্রেস ক্লাবে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ নিয়ে স্মারক বক্তৃতা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত
১০ মাস আগে
যুব সম্পৃক্ততা বিষয়ক আলোচনা সভা করেছে হারনেট ফাউন্ডেশন
হারনেট ফাউন্ডেশন এবং বাংলাদেশে ইইউ দূতাবাসের যৌথ উদ্যোগে 'বাংলাদেশ ডিসাইডস: দ্য ইয়ুথ স্পিকস' শীর্ষক এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) রাজধানীর বনানীর ঢাকা গ্যালারিতে এটির আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আইইউবিএটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. আব্দুর রব এবং স্টুডেন্ট অ্যাফেয়ার্স পরিচালক ড. সৈয়দ মিজানুর রহমান।
এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- হারনেট ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা মনির প্রধান, বিকেএমই'র নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম, বেসিস সভাপতি রাসেল টি আহমেদ, এফবিসিসিআই'র গবেষণা শাখার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বিকর্ণ কুমার ঘোষ, রাইজের পরিচালক বুয়েটের অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আনিসুজ্জামান তালুকদার, ডেলভেস্তা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক অধ্যাপক ও স্থপতি মোস্তফা খালিদ পলাশ, জোন্টার সভাপতি তেহমিনা এনায়েত, ইউরোপীয় ইউনিয়নের মিডিয়া অ্যান্ড ইনফরমেশন অ্যাডভাইজার তৌহিদ ফিরোজ, বিজিএমইএ ও এনভয় গ্রুপের পরিচালক ব্যারিস্টার শেরিন সালাম ঐশী, নেক্সটজেন গ্রুপের সিইও কামরুল হাসান, নিজের বলার মতো গল্পের প্রতিষ্ঠাতা ইকবাল বাহার, শাহ ফতেহউল্লাহ টেক্সটাইলসের পরিচাল জোবায়ের তাসনিম আহমেদ, কাজী অ্যান্ড কাজীর মহাব্যবস্থাপক এস এম ইব্রাহিম মাহমুদ এবং বিজিএমইএর পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের জোন্টা ক্লাবে জাতিসংঘ দিবস উদযাপন
শিক্ষা সংস্কার, প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন, বাংলাদেশে টেকসই উন্নয়ন এবং কর্মশক্তির ক্ষমতায়ন বিষয়ে আলোচনায় অংশ নেন আইইউবিএটি'র ৬ শিক্ষার্থী। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব ও সঞ্চালনা করেন হার্নেট গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা আলিশা প্রধান। আলোচনা শেষে অনুষ্ঠানে উপস্থিত অন্যান্য অতিথিরা আলোচনায় অংশ নিয়ে তাদের মতামত ব্যক্ত করেন।
আইইউবিএটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. আবদুর রব ও স্টুডেন্ট অ্যাফেয়ার্স বিভাগের পরিচালক ড. সৈয়দ মিজানুর রহমান বলেন, আজকের শিক্ষার্থীরাই আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। আজকের আলোচনায় নারী-পুরুষের সমতা নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। এ ছাড়া আরও কিছু বিষয় উঠে এসেছে, যেমন নিজেকে জানা, নেটওয়ার্কিংয়ের মাধ্যমে নতুন আইডিয়া উদ্ভাবন করা, মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন নেওয়া।
আমি আশা করি, শিক্ষার্থীরা এসব আইডিয়া নিয়ে কাজ করবে এবং দেশ-জাতির জন্য অনেক ভালো কাজ করবে।
আরও পড়ুন: হারনেট ফাউন্ডেশন ও ইইউ’র যৌথ উদ্যোগে ‘বাংলাদেশ ডিসাইডস: দ্য ইয়ুথ স্পিকস’
১০ মাস আগে
‘চাইল্ড ব্রাইড টু বুকওয়ার্ম’ প্রকল্পের সমাপনী সমীক্ষার ফলাফল অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত
ঢাকার সিরডাপ মিলনায়তনে সোমবার (২৪ অক্টোবর) প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল, বাংলাদশের ‘চাইল্ড ব্রাইড টু বুকওয়ার্ম’ প্রকল্পের শিখন বিষয়ক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এই আলোচনা সভার মূল উদ্দেশ্য ছিল প্রকল্পটির সমাপনী সমীক্ষার ফলাফল ও প্রকল্পের শিখন সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের অবহিত করা এবং সরকারি ও বেসরকারি সংস্থাগুলোকে তাদের কার্যক্রমে এই প্রকল্পের শিখন ব্যবহারের জন্য সুপারিশ করা।
এই প্রকল্পটি ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ২২টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে বাস্তবায়ন করা হয়েছে। তাই এর কার্যক্রম বাস্তবায়নের জন্য সহযোগী সংস্থাগুলোকে এই সভায় স্বীকৃতি দেওয়া হয় এবং তাদের উল্লেখযোগ্য অবদান সম্পর্কে জানানো হয়।
এছাড়া, প্রকল্পটি স্কুল ও কমিউনিটিতে তাদের নিয়মিত কার্যক্রম অনুশীলন করেছে এবং তা এগিয়ে নিয়ে যেতে সরকার এবং প্রাসঙ্গিক সহযোগী সংস্থাগুলোর সঙ্গে একটি অ্যাডভোকেটরের ভূমিকা পালন করছে, যা তুলে ধরা হয় এই সভায়।
সম্মানিত প্রধান অতিথি অধ্যাপক নেহাল আহমেদ, মহাপরিচালক মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) তার বক্তব্যে দৃঢ়ভাবে বলেন, ‘শিশু সুরক্ষা কমিটি সব স্কুলগুলোতে থাকার উদ্যোগ নেওয়া হবে, এছাড়া আমাদের স্কুলগুলোতে যৌন নিপীড়ন প্রতিরোধ কমিটির কার্যক্রম আরও ত্বরান্বিত করতে হবে। নতুন কার্যক্রমে শিক্ষার প্রায়োগিক দিকে জোর দেয়া হয়েছে। সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে একই মানে আনতে হবে। প্রকল্পের অর্জনগুলো টেকসই করতে শিক্ষক ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষকে উদ্যোগ নিতে হবে।’
অনুষ্ঠানে কবিতা বোস, কান্ট্রি ডিরেক্টর, প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ; বিশেষ অতিথি হিসেবে প্রফেসর মো. শাহেদুল খবির চৌধুরী, পরিচালক (সিএলজিই ও অ্যাডমিন) মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর বাংলাদেশ; প্রফেসর মুহাম্মদ বেলাল হোসেন, পরিচালক, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর বাংলাদেশ; প্রফেসর ড. একিউএম শফিউল আজম, পরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন), বাংলাদেশ মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর, উপস্থিত ছিলেন। উক্ত সভায়, স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ এর কেন্দ্রীয় ও উত্তর অঞ্চলের প্রধান, আশিক বিল্লাহ।
আরও পড়ুন: দেশে ভ্যাকসিন প্ল্যান্ট তৈরির প্রয়োজনীয় কারিগরি সহায়তা দেবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা
অনুষ্ঠানটিতে, সমাপনী সমীক্ষার ফলাফল উপস্থাপন করেন অধ্যাপক ড. মেসবাহ কামাল, ইতিহাস বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও চেয়ারপার্সন আরডিসি এবং প্রকল্পের সংক্ষিপ্ত পরিচিতি উপস্থাপন করেন ফারজানা বারী, প্রজেক্ট ম্যানেজার, চাইল্ড ব্রাইড টু বুকওয়ার্ম প্রকল্প।
প্রান্তিক এলাকার স্কুলের ১০ হাজার-১৫ হাজার শিশুরা প্রকল্পটি থেকে সরাসরি উপকৃত হয়েছে, বিদ্যালয় হতে শিক্ষার্থী ঝড়ে পড়ার হার কমেছে এবং অন্তর্ভুক্ত সংশ্লিষ্টরা জেন্ডার সমতার বিষয়ে সচেতন হয়েছে।
তাছাড়া, স্টুডেন্ট কেবিনেট সক্রিয় করা, শিশু সুরক্ষা কমিটি গঠন, মডেল বিদ্যালয় মেলা আয়োজনের মাধ্যমের শিশুদের নেতৃত্ব বিকাশ করা হয়েছে। অভিভাবক সভার মাধ্যমে অভিভাবকদের জেন্ডার সমতা, মেয়ে শিক্ষার গুরুত্ব, বাড়িতে শেখার অনুকুল পরিবেশ সম্পর্কে সচেতন করা হয়েছে।
পরবর্তীতে, কিশোরী-যুব ও প্রধান শিক্ষকদের অংশগ্রহণে ‘তৃণমূলের কণ্ঠস্বর’ শীর্ষক একটি মুক্ত আলোচনার পর্ব অনুষ্ঠিত হয়।
যেখানে তারা ফুটিয়ে তোলেন, এই প্রকল্পটি শিক্ষার্থীদের সহ-পাঠ্যক্রমিক ক্রিয়াকলাপের মাধ্যমে নতুন দিগন্তের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার মাধ্যমে তাদের মধ্যে নেতৃত্বের গুন সৃষ্টি ও তাদের অন্তর্দৃষ্টি খুলে দিয়েছে যার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা আরও বেশি সৃজনশীল ও দায়িত্ববান হয়ে উঠেছে।
আরও পড়ুন: সাড়ে ৪ লাখ সুবিধাবঞ্চিত তরুণকে ডিজিটাল প্রশিক্ষণ দিবে গ্রামীণফোন ও প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল
কুড়িগ্রামে বন্যাকবলিত মানুষের পাশে প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল
১ বছর আগে
বঙ্গমাতার ৯৩তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষ্যে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত
বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব-এর ৯৩তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা সভায় বঙ্গমাতাকে শ্রদ্ধায় স্মরণ করেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
আজ মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এ উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘বাঙালি জাতিরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রামের প্রতিটি ধাপে বঙ্গমাতার অবদান রয়েছে। যুদ্ধবিধ্বস্ত জন্মভূমিকে শস্য-শ্যামলারূপে গড়ে তুলতে জাতির পিতার পাশে দাঁড়ান বঙ্গমাতা।’
তিনি বলেন, ‘ইতিহাসে বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব কেবল একজন প্রাক্তন রাষ্ট্রনায়কের সহধর্মিণীই নন, বাঙালির মুক্তি সংগ্রামে অন্যতম এক নেপথ্য অনুপ্রেরণাদাত্রী, রাজনৈতিক সহকর্মী হিসেবে আজীবন প্রিয়তম বঙ্গবন্ধুর ছায়াসঙ্গী ছিলেন।’
দেশের জন্য বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে বঙ্গমাতার সারাজীবনের ত্যাগের কথা উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘শেখ ফজিলাতুন নেছা আড়ালে থেকে তার গার্হস্থ্য জীবনের কর্তব্য পালন আর মন-মস্তিষ্কে স্বামী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সহযোগিতা করে গেছেন আজীবন। খোকা থেকে শেখ মুজিব, শেখ মুজিব থেকে বঙ্গবন্ধু এবং সবশেষে বঙ্গবন্ধু থেকে জাতির পিতা - এগুলোর পেছনে আজীবন স্বামীকে সাহস জুগিয়েছেন তিনি, দিয়েছেন অনুপ্রেরণা ও গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ।’
বঙ্গবন্ধু এবং বঙ্গমাতা অবিচ্ছেদ্য সত্তা উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান’ -এক অমর কবিতার নাম। আর সেই মহাকাব্য রচনায় যে নারীর অবদান অনস্বীকার্য, যিনি সোনার বাংলা বিনির্মাণে আড়ালে অন্তরালে থেকে রেখে গেছেন অসামান্য অবদান, তিনি হলেন বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব। বঙ্গবন্ধু, বাঙালি ও বাংলাদেশ যেমন একই সূত্রে গ্রথিত, তেমনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবও পরস্পর অবিচ্ছেদ্য নাম।’
আরও পড়ুন: বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব পদক-২০২৩ পেলেন ৪ নারী ও জাতীয় নারী ফুটবল দল
১ বছর আগে
জাতীয় প্রেস ক্লাবে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ নিয়ে স্মারক বক্তৃতা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত
জাতীয় প্রেস ক্লাব ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে ‘৭ মার্চ, মুক্তিযুদ্ধ, বঙ্গবন্ধু ও বর্তমান প্রাসঙ্গিকতা’ বিষয়ক স্মারক বক্তৃতা ও আলোচনা সভার আয়োজন করে।
মঙ্গলবার আয়োজিত অনুষ্ঠানে স্মারক বক্তৃতা দেন ইতিহাসবিদ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন।
আরও পড়ুন: জাতীয় প্রেস ক্লাবের সব কর্মকাণ্ড ১১ দিনের জন্য স্থগিত
জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রেস ক্লাব ব্যবস্থাপনা কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি হাসান হাফিজ, যুগ্ম সম্পাদক আইয়ুব ভূঁইয়া ও মো. আশরাফ আলী, বিএফইউজের সাবেক সভাপতি মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল, বিএফইউজের সাবেক মহাসচিব আবদুল জলিল ভূঁইয়া বক্তব্য দেন।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সেমিনার, ‘মিট দ্য প্রেস’ ও আন্তর্জাতিক লিয়াঁজো উপ-কমিটি আহ্বায়ক ও অ্যাসোসিয়েট প্রেস (এপি) ব্যুরো চীফ জুলহাস আলম।
অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন বলেন, বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ আন্তর্জাতিক, আঞ্চলিক ও জাতীয় রাজনীতিতে মানুষের মুক্তির দিক নির্দেশনা প্রদান করে। তাই ১৮ মিনিট ৩১ সেকেন্ডের এই ঐতিহাসিক বক্তৃতাটি জাতিসংঘ কর্তৃক স্বীকৃতি পেয়েছে।
তিনি বলেন, ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’-এই উচ্চারণের মাধ্যমে তিনি মানুষের মুক্তির কথা বলেছেন।
সভাপতির বক্তব্যে ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, বর্তমান বাংলাদেশে নানা বাস্তবতায় ৭ মার্চের ভাষণ আমাদের প্রেরণা যোগায়। এই বক্তব্য নিয়ে আলোচনা, গবেষণা এবং এর বহুমাত্রিকতা নিয়ে নতুন প্রজন্মের কাছে যেতে হবে।
তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ সব সময়ের জন্য প্রাসঙ্গিক। আলোচনা অনুষ্ঠানে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সদস্যগণ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে জাতীয় প্রেস ক্লাবে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিনের নেতৃত্বে ব্যবস্থাপনা কমিটি ও সিনিয়র সদস্যরা পুষ্পস্তবক অর্পণ করে।
আরও পড়ুন: জাতীয় প্রেস ক্লাবের সিনিয়র সদস্য এইউ এম ফখরুদ্দিন মারা গেছেন
জাতীয় প্রেস ক্লাবে আব্দুল গাফফার চৌধুরীর জানাজা শনিবার
১ বছর আগে
সাম্প্রদায়িক অপশক্তির বিরুদ্ধে দেশ-বিদেশে রুখে দাঁড়াতে হবে: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
স্বাধীনতাবিরোধী সাম্প্রদায়িক অপশক্তির বিরুদ্ধে দেশ-বিদেশে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।
সোমবার রাতে রাজধানীর বেইলি রোডের সরকারি বাসভবন থেকে জার্মান আওয়ামী লীগ আয়োজিত ‘ইসলামে উগ্রবাদের স্থান নেই, ধর্ম ব্যবসায়ীদের প্রতিহত করুন’ র্শীষক আলোচনা সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে মন্ত্রী এ আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: বায়তুল মোকাররমে সহিংসতা: মামুনুলসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা
রেজাউল করিম বলেন, ‘১৯৪৭ সালে দ্বি-জাতির তত্ত্বের ভিত্তিতে ভুলভাবে সৃষ্ট রাষ্ট্রের মৃত্যুবীজ অঙ্কুরেই বপন হয়েছিল। ধর্মীয় পরিচয়ের ভিত্তিতে কোন রাষ্ট্রব্যবস্থা যে স্থায়ী হতে পারে না, তা সে সময় দ্রুত প্রমাণ হতে শুরু হয়েছিল। সে কারণে ভাষার ভিত্তিতে ‘বাঙালি জাতীয়তাবাদ’ প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের সকল মানুষের জন্য একক পরিচয় ‘বাঙালি’-তে রূপান্তর করেছিলেন।
তিনি বলেন, ধর্মভিত্তিক পরিচিতি সকল ধর্মাবলম্বীদের জন্য ঐক্যের পথে বড় বাধা বিবেচনা করে তিনি ‘আওয়ামী মুসলীম লীগ’ এর পরিবর্তে সকলের জন্য ‘আওয়ামী লীগ’র দ্বার উন্মুক্ত করে দেন। ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলকে এক কাতারে নিয়ে এসে অসাম্প্রদায়িক চেতনা প্রতিষ্ঠা করেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘পাকিস্তানিরা ধর্ম ব্যবহার করে অধার্মিক ও শোষণের কাজ করে আসছিল, তা বাঙালিদের বোঝাতে সক্ষম হন বঙ্গবন্ধু। গোটা জাতিকে তিনি বাঙালি জাতীয়তাবাদের পরিচয়ে ঐক্যবদ্ধ করে পাকিস্তানিদের অন্যায়-অবিচারের বিরুদ্ধে সোচ্চার করে তোলেন। এভাবে স্বাধীকার ও স্বাধীনতা আন্দোলনের মিছিলে সকলকে নিয়ে আসতে সক্ষম হন বঙ্গবন্ধু।’
আরও পড়ুন: দেশের ভাবমূর্তি নষ্টের চেষ্টা মেনে নেয়া হবে না: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘৫২’র ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে দীর্ঘ ধারাবাহিকতায় ৬৯’র গণঅভ্যুত্থান, ৭০’র নির্বাচনে নিরঙ্কুশ বিজয় এবং ৭১’র মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়েই অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের উদ্ভব হয়।
১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর আবার স্বাধীনতাবিরোধী প্রতিক্রিয়াশীল চক্র বাংলাদেশকে পাকিস্তানি ভাবধারায় নিয়ে যায় উল্লেখ করে প্রাণিসম্পদমন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা ২১ বছর রাজপথে থাকা আওয়ামী লীগকে রাষ্ট্র পরিচালনায় ফিরিয়ে এনে নতুন করে দেশে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা প্রতিষ্ঠা করা শুরু করেন। তখনই আবার সক্রিয় হয়ে উঠে স্বাধীনতাবিরোধীরা। অন্তত ১৯ বার শেখ হাসিনাকে হত্যার চেষ্টা চালায় তারা। সর্বশেষ ২০০৪ সালে পাকিস্তানি এজেন্ট জঙ্গি জিন্দাল, হরকাতুল জিহাদ নেতা মাওলানা তাজউদ্দিনও তৎকালীন খালেদা জিয়া সরকার সরাসরি অংশগ্রহণ করে শেখ হাসিনাকে হত্যার চেষ্টা করেন।’
‘সাম্প্রদায়িক যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করা হলেও দীর্ঘ ২৫ বছর রাষ্ট্র ক্ষমতায় থাকা স্বাধীনতাবিরোধী ও সাম্প্রদায়িক অপশক্তি যেভাবে প্রতিষ্ঠা পেয়েছে, সে জঞ্জাল সমূলে বিনাশ করা আজও সম্ভব হয়নি। সে কারণে কখনো হেফাজত, কখনো জামায়াত, কখনো ২০ দলীয় জোট-নানা নামে দেশে স্বাধীনতাবিরোধীদের র্কাযক্রম দেখা যায়। তবে সরকার কঠিনভাবে তাদের মোকাবিলা করছে। সম্প্রীতির বাংলাদেশে কোনভাবেই স্বাধীনতাবিরোধী সাম্প্রদায়িক অপশক্তির উত্থান ঘটতে দেওয়া হবে না,’ বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: মোদিবিরোধী বিক্ষোভ: বায়তুল মোকাররম এলাকায় পুলিশের সাথে মুসল্লিদের সংঘর্ষ
এ সময় দেশ ও বিদেশের বিভিন্ন প্রান্তে থাকা সকল বাঙালিকে আরও তৎপরতার সাথে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় ঐক্যবদ্ধ হয়ে সাম্প্রদায়িক অপশক্তির বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
জার্মান আওয়ামী লীগের সভাপতি বসিরুল আলম সাবুর সভাপতিত্বে ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় সর্ব ইউরোপীয়ান আওয়ামী লীগ ও জার্মান আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা অনিল দাশ গুপ্ত, সর্ব ইউরোপীয়ান আওয়ামী লীগের সভাপতি এম. নজরুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক মজিবুর রহমান বিশেষ অতিথি হিসেবে অংশগ্রহণ করেন। এছাড়াও বিশ্বের ৫০টির অধিক দেশের আওয়ামী লীগ নেতারা আলোচনা সভায় অংশগ্রহণ করেন।
৩ বছর আগে
দেশে ক্যান্সার রোগী ১৫ লাখ, প্রতিবছর মারা যান দেড় লাখ
দেশে ক্যান্সার রোগী আছেন প্রায় ১৫ লাখ। আর তাদের মধ্যে প্রতিবছর মারা যান দেড় লাখ।
৪ বছর আগে