রোয়াংছড়ি
বান্দরবানের ৩ উপজেলায় ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা ১২ নভেম্বর পর্যন্ত বৃদ্ধি
নিরাপত্তার কারণে জেলার রুমা, রোয়াংছড়ি ও থানচিতে পর্যটকদের ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা ১২ নভেম্বর পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে। এ নিয়ে পঞ্চম বারের মতো ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা দেয়া হলো। তবে এবার আলীকদম উপজেলার ওপর জারি করা ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি স্বাক্ষরিত এক গণবিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বান্দরবান সেনানিবাস এর ৮ নভেম্বর তারিখের পত্রের আলোকে পর্যটকদের নিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনায় এনে রোয়াংছড়ি, রুমা ও থানছি উপজেলায় স্থানীয় এবং বিদেশি পর্যটকদের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা ৮ নভেম্বর থেকে ১২ নভেম্বর ২০২২ পর্যন্ত বর্ধিত করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: বান্দরবানের ৪ উপজেলায় পর্যটকদের ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞার সময়সীমা ৮ নভেম্বর পর্যন্ত বৃদ্ধি
এর আগে রোয়াংছড়ি ও রুমা উপজেলায় গত ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে অনির্দিষ্টকালের নিষেধাজ্ঞা শুরু হয়। পরে রুমা ও থানচিসহ চারটি উপজেলায় গত ২৩ অক্টোবর থেকে ৩০ অক্টোবর, ৩১ অক্টোবর থেকে ৪ নভেম্বর এবং সর্বশেষ ৫ নভেম্বর থেকে ৮ নভেম্বর পর্যন্ত পর্যটকদের ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে জেলা প্রশাসন। তবে পরিস্থিতি উন্নতির কারণে এবার আলীকদম উপজেলাকে নিষেধাজ্ঞার বাইরে রাখা হয়েছে।
উল্লেখ্য গত ১০ অক্টোবর থেকে পাহাড়ে লুকিয়ে থাকা জঙ্গি ও সন্ত্রাসীদের ধরতে যৌথ বাহিনীর অভিযান শুরু হয়। এ পর্যন্ত বিপুল পরিমাণ দেশীয় অস্ত্রসহ সাত জঙ্গি এবং তিন স্থানীয় সন্ত্রাসীকে ধরতে সক্ষম হয়েছে যৌথ বাহিনী। অভিযানের অংশ হিসেবে সন্দেহভাজনদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
এদিকে ভ্রমণের ওপর প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা জারির কারণে পর্যটক শূন্য হয়ে পড়েছে বান্দরবান। শহরের আবাসিক হোটেল মোটেল ও রিসোর্টগুলোর বেশির ভাগই ফাঁকা। পর্যটকবাহী গাড়িগুলো নির্ধারিত স্থানে পড়ে আছে। শ্রম নির্ভর শহরের ৫০ শতাংশ মানুষ বেকার হয়ে পড়েছে।
আরও পড়ুন: বান্দরবানে ৪ উপজেলায় ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা বাড়ল
জঙ্গিবাদবিরোধী অভিযান: ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত থানচি ও আলীকদমে নিষেধাজ্ঞা
২ বছর আগে
সাঙ্গু নদীতে নিখোঁজ ভাই-বোনের মরদেহ উদ্ধার
বান্দরবানের রোয়াংছড়ির তারাছা ইউনিয়নের বাধুরা ঝর্ণার পাশে সাঙ্গু নদীতে নিখোঁজ ভাই-বোনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
বান্দরবান ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার নাজমুল আলম জানান, শনিবার সকাল সাড়ে ৯টায় আদনিন (১৬) ও দুপুর ২টার দিকে আহনাফ আকিবের (২২) মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
আকিব ও আদনিন নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার জহিরুল ইসলামের সন্তান।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, বান্দরবান থেকে ১০ পর্যটক নৌকাতে করে সাঙ্গু নদীর উজানে বাধুরা ঝর্ণায় বেড়াতে যায়। এ সময় বাধুরা ঝর্ণার পাশে নদীতে গোসল করতে নামলে আট জন স্রোতে ভেসে যান। স্থানীয়রা ছয় জনকে জীবিত উদ্ধার করে। এর মধ্যে হাসপাতালে নেয়ার পথে মারিয়া ইসলাম (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়। ঘটনার পরপরই গত শুক্রবার পুলিশ, সেনাবাহিনী ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা নিখোঁজ ভাই-বোনকে উদ্ধারে কাজ শুরু করে। কিন্তু দুর্গম এলাকা ও পানি অত্যধিক ঠান্ডা হওয়ায় রাত ৮টার পর উদ্ধার কাজ বন্ধ ঘোষণা করা হয়। পরে শনিবার (২৫ ডিসেম্বর) সকালে আবারও উদ্ধার অভিযান শুরু করে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা।
বান্দরবানের রোয়াংছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মান্নান জানান, ২১ ঘণ্টার অভিযান শেষে নিখোঁজ দুই ভাই-বোনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে নিহতদের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে তিনি জানান।
আরও পড়ুন: সাঙ্গু নদীতে ডুবে পর্যটকের মৃত্যু, ভাইবোন নিখোঁজ
পদ্মা নদী থেকে অর্ধ গলিত লাশ উদ্ধার
২ বছর আগে