বিএনপি নেতা গয়েশ্বর চন্দ্র রায়
মানুষের ভোটাধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা করাই বিএনপির দায়িত্ব: গয়েশ্বর
সরকারের আর বেশি দিন সময় নেই উল্লেখ করে বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, বিএনপির দায়িত্ব হলো মানুষের ভোটাধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা।
তিনি বলেন, ‘সরকারের আর বেশি দিন সময় নেই। সত্যের জয় হবেই। ভয়ের কোন কারণ নেই। বিএনপির দায়িত্ব দেশের স্বাধীনতা স্বার্বভৌমত্ব রক্ষা, গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনা এবং মানুষের ভোটাধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা। তাই যুদ্ধ করেই সরকারের পতন ঘটাতে হবে।’
শুক্রবার সকালে বগুড়া সদরের বাঘোপাড়া শহীদ দানেশ উদ্দিন স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির বগুড়া শাখার দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: সরকার জনগণের শক্তিকে ভয় পায়: গয়েশ্বর চন্দ্র
বিএনপি নেতা বলেন, সরকারকে ক্ষমতা থেকে নামিয়ে দেখাতে হবে আমরা জিয়ার সৈনিক। দুঃশাসন, দুর্নীতি থেকে জনগণকে মুক্ত করে সুশাসন দিতে হবে।
বগুড়া জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও বগুড়া পৌর মেয়র রেজাউল করিম বাদশা সম্মেলনের উদ্বোধন করেন। সম্মেলনে স্বাগত বক্তব্য দেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক আলী আজগর তালুকদার হেনা।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়া ও গয়েশ্বরের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
সদর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সোলায়মান আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট একেএম মাহবুবর রহমান ও হেলালুজ্জামান তালুকদার লালু, বিএনপির চট্টগাম বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামিম প্রমুখ।
দীর্ঘ ১১ বছর পর অনুষ্ঠিত এ সম্মেলনে উপজেলার ১১টির মধ্যে ১০টি ইউনিয়নের ৭২০ জন কাউন্সিলরসহ দলের নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
২ বছর আগে
সরকার জনগণের শক্তিকে ভয় পায়: গয়েশ্বর চন্দ্র
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, ‘সরকার জনগণের শক্তিকে ভয় পায়। তাই বিএনপিকে সমাবেশ আয়োজনে বাধা সৃষ্টি করছে। নওগাঁ জেলা বিএনপির ডাকা জনসমাবেশে বিপুল পরিমাণ জনগণের উপস্থিতি টের পেয়ে ১৪৪ ধারা জারি করে এই সরকার আবারও প্রমাণ করল তারা বাকস্বাধীনতায় বিশ্বাস করে না।’
বিএনপির সমাবেশ ঘিরে নওগাঁ পৌর এলাকায় ১৪৪ ধারা জারির প্রতিবাদে মঙ্গলবার দুপুরে শহরের একটি কনভেনশন সেন্টার মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ সব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার কিছু হলে এক মুহূর্তও সরকার ক্ষমতায় থাকতে পারবে না: গয়েশ্বর চন্দ্র রায়
লিখিত বক্তব্যে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে দুপুর ২টায় নওগাঁ শহরের নওজোয়ান মাঠে বিএনপির চেয়ারপার্সনের মুক্তি ও তার বিদেশে উন্নত চিকিৎসার দাবিতে সমাবেশ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু একই সময়ে একই স্থানে জেলা যুবলীগও সভার আহ্বান করে। এরপর জেলা বিএনপি শহরের এটিম মাঠে সমাবেশ করার সিদ্ধান্ত নেয়। সেখানে জেলা ছাত্রলীগ কর্মসূচি ঘোষণা দেয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে প্রশাসন পৌর এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করেছে। সরকারকে বলব, এসবের অর্থ কী, দেশবাসী সব বোঝে। সমাবেশ ঘিরে সরকার পরিকল্পিতভাবে নাটক তৈরি করে ১৪৪ ধারা জারি করেছে।’
নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘যেহেতু আজকে আমাদের সমাবেশ করার অনুমতি দেয়নি। তাই আগামীতে অনুমতি ছাড়াই এই নওগাঁতে সমাবেশ হবে। আপনাদের সেই ধরনের মানসিক প্রস্তুতি রাখতে হবে। স্থগিত হওয়া এই সমাবেশ যে কোনো সময় ডাকা হতে পারে। সেই সমাবেশ সফল করতে প্রস্তুতি নিয়ে রাখতে হবে।’
সরকারকে খালেদা জিয়ার মুক্তি ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের ব্যবস্থা করার আহ্বান জানিয়ে গয়েশ্বর চন্দ্র বলেন, ‘সময় থাকতে বেগম জিয়াকে মুক্তি দিন, নিরপেক্ষ সরকার ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠন করে নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন। তা না হলে পালাবার পথটুকুও পাবেন না। এরই মধ্যে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় সেই পথও বন্ধ করে দিতে শুরু করেছে।’
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনু, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির রাজশাহী বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ওবায়দুল হক চন্দন, নওগাঁ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক হাফিজুর রহমান, জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি নজমুল হক সনি, সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল হক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা আগের চেয়ে ভালো: মির্জা ফখরুল
এর আগে গত সোমাবার সকালে একই স্থানে একই সময়ে বিএনপি ও যুবলীগ-ছাত্রলীগের সভা আহ্বান করায় শান্তিশৃঙ্খলা ভঙ্গের আশঙ্কায় নওগাঁ পৌর এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করে প্রশাসন। সোমবার বিকাল ৩টা থেকে আগামীকাল বুধবার বিকাল ৩টা পর্যন্ত নওগাঁ পৌরসভা এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়। এরপর সোমবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করে পূর্বঘোষিত স্থানে সমাবেশ আয়োজনের ব্যাপারে অনড় থাকার ঘোষণা দেয় জেলা বিএনপি। তবে রাতে সমাবেশ স্থগিত করার ঘোষণা দেয় জেলা বিএনপি।
এদিকে, আজ সকাল থেকেই নওগাঁ শহরের সঙ্গে দূরপাল্লা ও অভ্যন্তরীণ রুটে বাস ও অন্যান্য গণপরিবহন ঢুকতে দেয়নি পুলিশ। এতে সাধারণ মানুষকে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে।
২ বছর আগে