হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী
নিপুণ রায়কে ৮ সপ্তাহের মধ্যে আত্মসমর্পণের নির্দেশ
রাজধানীর ধোলাইখালে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় বিএনপির ঢাকা জেলা সাধারণ সম্পাদক নিপুণ রায় চৌধুরীকে আট সপ্তাহের মধ্যে ঢাকার সিএমএম আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ।
সোমবার (২১ আগস্ট) প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ এই আদেশ দেন।
আদালতে নিপুণের পক্ষে শুনানি করেন তার বাবা আইনজীবী নিতাই রায় চৌধুরী।
সরকার পতনের এক দফা দাবিতে গত ২৯ জুলাই রাজধানীর ধোলাইখালে বিএনপির অবস্থান কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে পুলিশের সঙ্গে দলটির নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষ হয়।
আরও পড়ুন: বিএনপি নেত্রী নিপুণ রায় জামিনে মুক্ত
এই ঘটনায় সূত্রাপুর থানায় নিপুণ রায়সহ বিএনপির ৪২৪ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করে পুলিশ।
এই মামলায় নিপুণের পক্ষে হাইকোর্টে আগাম জামিন আবেদন করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী নিতাই রায় চৌধুরী।
গত ১ আগস্ট হাইকোর্ট এ মামলায় নিপুণ রায় চৌধুরীকে আট সপ্তাহের আগাম জামিন দেন।
বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আমিনুল ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। পরে এই জামিন আদেশ স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ।
আরও পড়ুন: দুই মামলায় জামিন পেলেন নিপুণ রায়
বিএনপি নেত্রী নিপুণ রায়কে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি
১ বছর আগে
বিচারাধীন মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির নির্দেশ প্রধান বিচারপতির
প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী বলেছেন, দীর্ঘসময় ধরে মামলা বিচারাধীন থাকায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন বিচারপ্রার্থীরা। এতে বিচার বিভাগের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে।
শনিবার (৫ আগস্ট) সকালে যশোরের বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তা ও আইনজীবীদের সঙ্গে বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন।
এসময় তিনি দুই দশক এবং তারও বেশি আগের বিচারাধীন মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির নির্দেশ দেন।
সকাল সাড়ে ৮টায় প্রধান বিচারপতি যশোর জেলা ও দায়রা জজ আদালতে পৌঁছান। এসময় লাল গালিচা সংবর্ধনা দেওয়া হয়। এরপর তিনি যশোর জেলা ও দায়রা জজ আদালত প্রাঙ্গণে বিচারপ্রার্থীদের জন্য নির্মিত বিশ্রামাগার ন্যায়কুঞ্জর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। পরে দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। এরপর আদালত প্রাঙ্গণে একটি জলপাইগাছের চারা রোপণ করেন।
আরও পড়ুন: আইনজীবী ও বিচারক একে অপরের পরিপূরক: প্রধান বিচারপতি
সাড়ে ১০টায় তিনি যশোর জেলা আইনজীবী সমিতির ১নং ভবনে আইনজীবীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন এবং দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য রাখেন।
এসময় জেলা আইনজীবী সমিতির পক্ষ থেকে সাধারণ সম্পাদক আবু মোর্তজা ক্রেস্ট প্রদান করেন।
এছাড়া পিপি ইদ্রিস আলী তাকে খেজুর গাছ সম্বলিত একটি উপহার প্রদান করেন।
এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন-স্পেশাল জজ মোহাম্মদ সামছুল হক, নারী ও শিশু নির্যাদন দমন-১ এর বিচারক গোলাম কবির, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুন্যাল-২ এর বিচারক মোহাম্মদ মাইনুল হক, মুখ্য বিচারিক হাকিম ফাহমিদা জাহাঙ্গীর, অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জয়ন্তিরানী দাস, সোহানী পুষন, তাজুল ইসলাম, বেগম সুরাইয়া সাহাব, সুমি আহম্মেদ, শিমুল কুমার বিশ্বাস, জুয়েল অধিকারী, সুপ্রিম কোর্টের আপ্রিল বিভাগের রেজিস্টার ব্যারিস্টার মোহাম্মদ সাইফুর রহমান, প্রধান বিচারপতির পিএস আরিফুল ইসলাম, মারুফ আহেম্মদ।
আরও পড়ুন: দেশের কোর্টগুলোতে প্রায় ৪০ লাখ মামলা বিচারাধীন: প্রধান বিচারপতি
বিচার বিভাগ ক্ষতিগ্রস্ত হলে গণতন্ত্র ক্ষতিগ্রস্ত হবে: প্রধান বিচারপতি
১ বছর আগে
ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের বিরুদ্ধে রিভিউ আবেদনের শুনানি ১০ আগস্ট
সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করে দেওয়া আপিল বিভাগের রায় পুনর্বিবেচনা (রিভিউ) চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের শুনানির জন্য আগামী ১০ আগস্ট দিন ধার্য করেছেন আপিল বিভাগ।
বৃহস্পতিবার (১৩ জুলাই) প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন সাত বিচারপতির বেঞ্চ এই দিন ধার্য করেন।
রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন শুনানির দিন ধার্যের বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন।
এর আগে, গত বছর গত ৮ আগস্ট সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করে সর্বোচ্চ আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে করা এই রিভিউ আবেদন নিয়ে আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতের বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম শুনানি করেন। মামলাটি আপিল বিভাগের পূর্ণ বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠিয়ে দেন।
এরপর বেশ কয়েকবার আপিল বিভাগের কার্যতালিকায় ওঠে। বৃহস্পতিবারও কার্যতালিকায় ছিল। পরে আপিল বিভাগ ১০ আগস্ট শুনানির দিন ধার্য করেন।
২০১৭ সালের ২৪ ডিসেম্বর ৯০৮ পৃষ্ঠার এই রিভিউ আবেদন সুপ্রিম কোর্টে জমা দেওয়া হয়েছিল।
আরও পড়ুন: সংবিধান পর্যালোচনার জন্য সংসদীয় কমিটি গঠনের প্রস্তাব ইনুর
তখনকার অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম সাংবাদিকদের বলেছিলেন, রায়ে যেসব অপ্রাসঙ্গিক পর্যালোচনা এসেছে, তা বাতিল চাওয়া হয়েছে আবেদনে। সুপ্রিম কোর্টের বিচারক অপসারণসংক্রান্ত আইন হওয়ার আগেই আপিলের রায়ে ষোড়শ সংশোধনী বাতিল করা হয়েছে। এটিসহ মোট ৯৪টি যুক্তি তুলে ধরে রায় বাতিল চাওয়া হয়েছে। উচ্চ আদালতের বিচারকদের অপসারণের ক্ষমতা সংসদের হাতে ফিরিয়ে নিতে ২০১৪ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর সংবিধানের ৯৬ অনুচ্ছেদ সংশোধনের প্রস্তাব সংসদে পাস হয়, যা ষোড়শ সংশোধনী হিসেবে পরিচিত।
সুপ্রিম কোর্টের ৯ আইনজীবীর এক রিট আবেদনে হাইকোর্ট ২০১৬ সালে সংবিধানের ওই সংশোধনী ‘অবৈধ’ ঘোষণা করেন। এই রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল করে। শুনানি শেষে পরের বছর ৩ জুলাই তা খারিজ করেন সুপ্রিম কোর্ট। এর ফলে হাইকোর্টের রায় বহাল থাকে।
ওই রায়ের মাধ্যমে জিয়াউর রহমানের সামরিক শাসনামলে প্রতিষ্ঠিত সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল ফিরিয়ে আনেন সুপ্রিম কোর্ট। সেই সঙ্গে বিচারকদের জন্য একটি আচরণবিধিও ঠিক করে দেওয়া হয়।
সাত বিচারপতির ঐকমত্যের ভিত্তিতে দেওয়া ৭৯৯ পৃষ্ঠার ওই রায়ে তখনকার প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা নিজের পর্যবেক্ষণের অংশে দেশের রাজনীতি, সামরিক শাসন, নির্বাচন কমিশন, দুর্নীতি, সুশাসন ও বিচার বিভাগের স্বাধীনতাসহ বিভিন্ন বিষয়ে সমালোচনা করেন।
আপিল বিভাগের রায়ে দেওয়া কিছু পর্যবেক্ষণ তখন দেশের রাজনীতিতে মারাত্মক প্রভাব ফেলে। ওই রায় ও পর্যবেক্ষণ নিয়ে খোদ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও প্রধান বিচারপতির সমালোচনা করেন। রাজনৈতিক অঙ্গণে বেশ আলোচনা-সমালোচনা চলতে থাকে। তখনকার প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার পদত্যাগের দাবি তোলে একটি পক্ষ। পরে সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায় এবং পর্যবেক্ষণের বিষয়ে আইনি পদক্ষেপ নিতে জাতীয় সংসদে একটি প্রস্তাবও পাস হয়।
ষোড়শ সংশোধনী বাতিল রায়ের রিভিউর জন্য সহকর্মীদের নিয়ে ১১ সদস্যের কমিটি করেন তখনকার অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের প্রায় পাঁচ মাস পর ২০১৭ সালের ২৪ ডিসেম্বর তার রিভিউ (পুনর্বিবেচনা) চেয়ে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ। তারপর কেটে গেছে সাড়ে ৫ বছরেরও বেশি সময়।
আরও পড়ুন: বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন নিশ্চিত করতে সংবিধান সংশোধন করতে হবে: মঈন
সংবিধান উপেক্ষা করে ক্ষমতায় আসার চেষ্টা সফল হবে না: রওশন
১ বছর আগে
বিচার বিভাগ ক্ষতিগ্রস্ত হলে গণতন্ত্র ক্ষতিগ্রস্ত হবে: প্রধান বিচারপতি
প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী বলেছেন, ইদানীং সবার মধ্যে কেমন যেন একটা অসহনশীলতা দেখা যাচ্ছে। এ অসহিষ্ণুতা বিচার বিভাগকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে।
তিনি বলেন, বিচার বিভাগ ক্ষতিগ্রস্ত হলে গণতন্ত্র ক্ষতিগ্রস্ত হবে, রাষ্ট্রের অঙ্গ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তাহলে আমরা আইনের শাসনের জন্য যে সংগ্রাম করে যাচ্ছি, তা প্রতিষ্ঠা করতে পারব না।
আরও পড়ুন: স্বল্প সময়ে বিচারকাজ সম্পন্ন করা বিচারক ও আইনজীবীদের দায়িত্ব: প্রধান বিচারপতি
রবিবার বেলা ১১টার দিকে ফরিদপুর আইনজীবী সমিতি ভবনে আইনজীবীদের আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান বিচারপতি এসব কথা বলেন।
এ সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি ওহিদুজ্জামান। সভা পরিচালনা করেন জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক জাহিদ ব্যাপারী।
প্রধান বিচারপতি বলেন, আপনাদের ভাবতে হবে, আপনারা আদালতের অংশ। আপনাদের সাহায্য ছাড়া আদালত ঠিকমতো সচল রাখা সম্ভব নয়। আমরা আইনজীবী ও বিচারকেরা মিলে একসঙ্গে চেষ্টা করতে চাই, যেন মামলার জট ছেড়ে যায়।
তিনি বলেন, আমি মনে করি জুডিশিয়ালিতে বিচারক যদি হয় ডান হাত, তাহলে আইনজীবী বাম হাত। এক হাত যদি ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তাহলে কাজ ঠিকমতো হবে না।
তিনি বলেন, দেশের তিনটি স্তম্ভ বিচার বিভাগ, শাসন বিভাগি ও আইন বিভাগ। এর কোনো একটা যদি দুর্বল হয় তাহলে সে রাষ্ট্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়, গণতন্ত্র দুর্বল হয়। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা হয় না। তাই আসুন আমরা সকলে সম্মেলিত চেষ্টায় বিচার বিভাগকে এগিয়ে নিয়ে যাই।
এর আগে প্রধান বিচারপতি ফরিদপুরে জজ কোর্ট প্রাঙ্গণে ‘ন্যায়কুঞ্জ’ নামে একটি বিচার নিতে আসা ব্যক্তিদের জন্য একটি বিশ্রামাগার স্থাপনের জন্য ভিত্তি ফলক উন্মোচন করেন।
এ প্রসঙ্গ উল্লেখ করে প্রধান বিচারপতি বলেন, দেশে ৪০ লাখ মামলা বিচারাধীন। এসব মামলায় কমপক্ষে চার কোটি লোক জড়িত। তাদের কথা চিন্তা করে এ বিশ্রামাগার নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
এছাড়া এখানে পানি পান ও শৌচাগারের সুবিধা থাকবে। বিচার চাইতে এসে যেন কাউকে এলোমেলো ঘোরাফেরা করে দুর্ভোগে পড়তে না হয়, এজন্য এই ব্যবস্থা।
তিনি বলেন, এসব বিশ্রামাগার নির্মাণের জন্য আইন মন্ত্রণালয় ৩৫ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে। প্রতিটি জেলা এ বিশ্রামাগার নির্মাণের জন্য ৫০ লাখ টাকা পাবে।
এছাড়া কাজ যাতে ঠিক মত হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। ঠিকাদার যেন চুরি না করে। কম লাভ করে তারা যেন এ কাজ করে দেয়।
প্রধান বিচারপতি ফরিদপুরের মামলার নিষ্পত্তির হার বেশি হওয়ায় বিচারক ও আইনজীবীদের ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ফরিদপুরে ২৫ হাজার ৫৫৭টি মামলা হয়েছে। নিষ্পত্তি হয়েছে ৩০ হাজারের বেশি মামলা। নিষ্পত্তির হার ১১৪ শতাংশ। এ ঘটনা আমাদের আশা জাগায়।
আরও পড়ুন: সমিতির নির্বাচন বিষয়ে প্রধান বিচারপতির করণীয় কিছু নেই: অ্যাটর্নি জেনারেল
প্রধান বিচারপতির কাছে অভিযোগ উপস্থাপন করলেন বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা
১ বছর আগে
সাবেক স্পিকার জমির উদ্দিন সরকারকে ২৭ লাখ টাকা ফেরত দেয়ার নির্দেশ আদালতের
ক্ষমতার অপব্যবহার করে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে সাবেক স্পিকার জমির উদ্দিন সরকারকে চিকিৎসা ভাতা হিসেবে নেয়া ২৭ লাখ ৮৬ হাজার ৩৬৪ টাকা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
গত ৬ মার্চ ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৭ এর বিচারক প্রদীপ কুমার রায় আগামী ৯ জুলাইয়ের মধ্যে টাকা জমা দিয়ে সংশ্লিষ্ট কাগজ আদালতে জমা দেয়ার নির্দেশ দেন।
গত বছর ২৫ আগস্ট প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বে আপিল বেঞ্চ দুর্নীতির পাঁচটি মামলা বাতিল করে রায় দেন।
পূর্ণাঙ্গ রায়ে বলা হয়েছে, চিকিৎসা ভাতা হিসেবে উত্তোলন করা এই টাকা (২৭ লাখ ৮৬ হাজার ৩৬৪ টাকা) রায়ের কপি বিচারিক আদালত গ্রহণের ছয় মাসের মধ্যে জমা দিতে বলা হয়েছে।
সেই রায়ের অনুলিপি বিচারিক আদালতে গত ৬ মার্চ পৌঁছায়। এখন সর্বোচ্চ আদালতের আদেশ অনুযায়ী এই অর্থ বাংলাদেশ ব্যাংকে জমা দিয়ে তার চালান কপি আদালতে দাখিল করা হবে বলে সোমবার (১৩ মার্চ) জানান তার অন্যতম আইনজীবী মোহাম্মদ হান্নান ভূঁইয়া।
আরও পড়ুন: গভীর উদ্বেগের কথা জানিয়ে আদালতের নিরাপত্তায় ১১ দফা নির্দেশনা প্রধান বিচারপতির
বিদেশে চিকিৎসার জন্য অবৈধ উপায়ে সরকারি অর্থ অনুমোদন এবং তা নগদে তুলে আত্মসাৎ, সরকারি বাসভবনের আসবাব কেনা ও তা আত্মসাৎ এবং অতিরিক্ত অর্থ তোলার অভিযোগে দুদক এ পাঁচটি মামলা দায়ের করে।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উপ-পরিচালক মো. মনিরুজ্জামান খান ও উপ-সহকারী পরিচালক এসএম খবীরউদ্দিন বাদী হয়ে ২০১০ সালের ২৮ ডিসেম্বর রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় মামলাগুলো দায়ের করেন।
পরবর্তীতে এই পাঁচ মামলায় অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। আদালত অভিযোগ আমলে নেন।
এ অবস্থায় পাঁচ মামলা বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন জমির উদ্দিন সরকার। হাইকোর্ট মামলাগুলোর কার্যক্রম স্থগিত করে রুল জারি করেছিলেন।
শুনানি শেষে ২০১৬ সালের ১৯ মে হাইকোর্ট বিভক্ত আদেশ দেন। পরবর্তীতে তৃতীয় বেঞ্চ রুল খারিজ করে দেন। এরপর তিনি আপিল বিভাগে আবেদন করেন।
আরও পড়ুন: বিচারপ্রার্থীদের আদালতের বারান্দা থেকে দ্রুত বাড়ি ফেরানোর নির্দেশ প্রধান বিচারপতির
আদালতের অনুমতি ছাড়া বিদেশ যেতে পারবেন না বিডিনিউজের সম্পাদক
১ বছর আগে
বিনা পরোয়ানায় গ্রেপ্তার ও রিমান্ড নিয়ে রিভিউ শুনানি পেছালো
বিনা পরোয়ানায় গ্রেপ্তার সংক্রান্ত ফৌজদারী কার্যবিধির ৫৪ ধারা ও এবং রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ সংক্রান্ত ১৬৭ ধারার অপব্যবহার রোধে আপীল বিভাগের দেয়া নীতিমালা অনুসরণের রায় পুনর্বিবেচেনা (রিভিউ) চেয়ে করা আবেদনের শুনানি পিছিয়েছে। আগামী ৯ ফেব্রুয়ারি এ বিষয়ে শুনানি হতে পারে।
প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন সাত সদস্যের আপিল বিভাগে বৃহস্পতিবার শুনানির এ দিন ধার্য করেন।
এর আগে গত ১৯ জানুয়ারি আপিল বিভাগ শুনানির জন্য পরবর্তী তারিখ ২ ফেব্রুয়ারি ধার্য করেন।
রাষ্ট্রপক্ষের প্রধান আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন বলেন, বিদ্যামান আইনে কী আছে, রায়ের সুপারিশে কী আছে, তার তুলনামূলক একটি চিত্র দেখানো হবে।
আদালত বলেন, ‘প্রতিবেদন প্রস্তুত করেছেন।’
তখন অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘তৈরি করেছি, আইন ও সুপারিশে কী আছে, তা পাশাপাশি রেখেছি।’
আদালত বলেন, ‘তাহলে দাখিল করেন, আমরা দেখি।’ পরে প্রতিবেদনটি দাখিল করেন অ্যাটর্নি জেনারেল।
আরও পড়ুন: ডাণ্ডাবেড়ি-হাতকড়া পরানোর নীতিমালা করতে কমিটি গঠনে রুল
এরপর আদালত বলেন, ‘নট টু ডে।’ পরে আইনজীবীরা জানান, রিভিউ শুনানির জন্য নির্ধারিত দিন আগামী বৃহস্পতিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) বিষয়টি ফের শুনানির জন্য কার্যতালিকায় আসবে।
এদিনে এ সংক্রান্ত রিটের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী ফিদা এম কামাল, জেড আই খান পান্না, অনীক আর হক, মো. শাহীনুজ্জামান ও এ এম জামিউল হক।
জানা যায়, ১৯৯৮ সালে ঢাকার সিদ্ধেশ্বরী এলাকা থেকে বেসরকারি ইনডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটির ছাত্র শামীম রেজা রুবেলকে ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার করা হয়। ওই বছরের ২৩ জুলাই মিন্টো রোডের গোয়েন্দা পুলিশ কার্যালয়ে মারা যান রুবেল। এরপর তৎকালীন সরকার রুবেল হত্যা তদন্তের জন্য বিচারপতি হাবিবুর রহমান খানের সমন্বয়ে বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করে। তদন্ত শেষে কমিটি ৫৪ ও ১৬৭ ধারা সংশোধনের পক্ষে কয়েকটি সুপারিশ করে।
ফৌজদারী কার্যবিধি ৫৪ ধারার অধীনে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কর্তৃক গ্রেফতারী পরোয়ানা ছাড়া নির্বিচারে আটক বাংলাদেশের সংবিধানের অনুচ্ছেদ ২৭, ৩১, ৩২, ৩৩ ও ৩৫ (৫) এবং আন্তর্জাতিক নির্যাতন প্রতিরোধ সনদ ১৯৮৪ ও আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক ও নাগরিক অধিকার সনদ ১৯৬৬ এর সাথে সাংঘর্ষিক হওয়ায় ব্লাস্ট, আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) এবং সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলন হাইকোর্টে রিট করেন। রিটে বিচারবিভাগীয় তদন্ত কমিটির সুপারিশ বাস্তবায়নের দাবি জানানো হয়। ওই রিট মামলার চূড়ান্ত শুনানি শেষে ২০০৩ সালের ৭ এপ্রিল এ ব্যাপারে কয়েক দফা নির্দেশনা দিয়ে রায় দেন হাইকোর্ট। পরে রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল বিভাগে আপিল করে।
২০১৬ সালে আপিল বিভাগ রাষ্ট্রপক্ষের আপিল খারিজ করে হাইকোর্টের পুর্বের রায়টি কিছু পরিবর্তনসহ বহাল রাখেন। আপীল বিভাগ বিনা পরোয়ানায় আটক ও রিমান্ডের অপব্যবহার রোধে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর জন্য ১৩ দফা এবং ম্যাজিস্ট্রেট, বিচারক ও ট্রাইবুন্যালকে অপরাধ আমলে নেয়ার ক্ষমতা প্রদান করে ৯ দফার নীতিমালা প্রদান করেন। পরে এই রায় রিভিউ চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষ আবেদন জানায়।
২০২০ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি আপিল বিভাগ সরকারকে ওই নীতিমালার বিরোধিতার সুনির্দিষ্ট কারণ ও নীতিমালা পরিবর্তনের সুপারিশসমুহ অন্তর্ভুক্ত করে তা একই বছরের ১৬ এপ্রিলের পূর্বে সংক্ষিপ্ত আকারে প্রদানের নির্দেশ দেন। এরপর কয়েকবার শুনানির জন্য বিষয়টি আদালতের কার্যতালিকায় আসে।
আরও পড়ুন: স্বল্প সময়ে বিচারকাজ সম্পন্ন করা বিচারক ও আইনজীবীদের দায়িত্ব: প্রধান বিচারপতি
১ ফেব্রুয়ারি থেকে আপিল বিভাগে প্রবেশে লাগবে ডিজিটাল পাস
১ বছর আগে
স্বল্প সময়ে বিচারকাজ সম্পন্ন করা বিচারক ও আইনজীবীদের দায়িত্ব: প্রধান বিচারপতি
প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী বলেছেন, বিচারকদের সহযোগিতা করতে হবে আইনজীবীদের। এছাড়া স্বল্প সময়ে বিচারকাজ সম্পন্ন করা বিচারক ও আইনজীবীদের দায়িত্ব।
শনিবার (২৮ জানুয়ারি) দুপুরে চাঁপাইনবাবগঞ্জ আদালত চত্বরে জেলা আইনজীবী সমিতির শতবর্ষ উদযাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: বিচারপ্রার্থীদের আদালতের বারান্দা থেকে দ্রুত বাড়ি ফেরানোর নির্দেশ প্রধান বিচারপতির
তিনি বলেন, আদালতের দ্বারে ঘুরতে থাকা সন্তানহারা, বাবা ও অসহায় নিরীহ নির্যাতিতদেরকে উভয়পক্ষই সহযোগিতা করবেন। একটি মামলার জন্য বছরের পর বছর আদালতের দ্বারে ঘুরতে থাকা ব্যক্তিদের স্বস্তি দেবেন।
এছাড়া আদালতে ঘুরতে ঘুরতে তাদের অবস্থার কথা অনুভব করবেন। তাদের জায়গায় নিজেকে ভেবে উভয়পক্ষ বিচারকাজ পরিচালনা করবেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন, আপিল বিভাগের বিচারপতি এম এনায়েতুর রহিম ও আইন কমিশনের সদস্য বিচারপতি এটিএম ফজলে কবীর।
অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. রবিউল ইসলামের সঞ্চালনায় সভায় সভাপতিত্ব করেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট জবদুল হক।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, জেলা ও দায়রা জজ মোহা. আদীব আলী, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক নরেশ চন্দ্র সরকার, জেলা প্রশাসক এমকেএম গালিভ খান, পুলিশ সুপার এএইচএম আব্দুর রকিব, জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাহমুদুল ইসলাম কনকসহ জেলা ও দায়রা জজ এবং চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক ও আইনজীবীরা।
আরও পড়ুন: সাম্প্রদায়িক শক্তি যেনো মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে না পারে: প্রধান বিচারপতি
গভীর উদ্বেগের কথা জানিয়ে আদালতের নিরাপত্তায় ১১ দফা নির্দেশনা প্রধান বিচারপতির
১ বছর আগে
নর্থ সাউথের সাবেক ট্রাস্টি শাহজাহানের জামিন বহাল
বিশ্ববিদ্যালয়ের নামে জমি কেনা বাবদ অতিরিক্ত ৩০৩ কোটি ৮২ লাখ টাকা ব্যয় দেখিয়ে তা আত্মসাতের অভিযোগের মামলায় নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ট্রাস্টি শাহজাহানকে হাইকোর্টের দেয়া জামিন বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ।
সোমবার প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের তিন বিচারপতির বেঞ্চ এই আদেশ দেন। এই আদেশের ফলে তার কারামুক্তিতে কোন বাধা রইলো না বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবী ব্যারিস্টার সাঈদ আহমেদ রাজা।
আদালতে দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশিদ আলম খান।
এর আগে গত ১৪ ডিসেম্বর এ মামলায় শর্ত সাপেক্ষে শাহজাহানকে জামিন দেন হাইকোর্ট।
আরও পড়ুন: নর্থ সাউথের জমি ক্রয়ে দুর্নীতি: চার ট্রাস্টির জামিনের আদেশ বৃহস্পতিবার
তার আইনজীবী সাঈদ আহমেদ রাজা জানান, দুটি শর্তে তাকে জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। সেগুলো হলো-দেশের বাইরে যেতে পারবেন না ও অনুমতি ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে যেতে পারবেন না। পরে এই জামিনের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে যায় দুদক।পরে ১৫ ডিসেম্বর তার জামিন আদেশ স্থগিত করেন চেম্বার বিচারপতি। একই সঙ্গে দুদকের আবেদনটি আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠান। সে অনুযায়ী সোমবার শুনানি শেষে দুদকের আবেদন খারিজ করে দেন।
নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের জমি কেনা বাবদ অতিরিক্ত ৩০৩ কোটি ৮২ লাখ টাকা ব্যয় দেখিয়ে, তা আত্মসাতের অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যানসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়।গত বছরের ৫ মে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন দুদকের উপ-পরিচালক মো. ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারী। আসামিরা হলেন-নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের তৎকালীন চেয়ারম্যান আজিম উদ্দিন আহমেদ, বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সদস্য এম এ কাশেম, বেনজীর আহমেদ, রেহানা রহমান, শাহজাহান ও আশালয় হাউজিং ডেভেলপার্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আমিন মো. হিলালী।
গত বছরের ২২ মে শাহজাহানসহ চারজনের আগাম জামিন আবেদন খারিজ করে পুলিশের হাতে তুলে দেন হাইকোর্ট। পরদিন তাদের বিচারিক আদালতে হাজির করা হলে কারাগারে পাঠানো হয়। সেই থেকে শাহজাহান কারাগারে।
আরও পড়ুন: শর্ত সাপেক্ষে নর্থ সাউথের সাবেক ২ ট্রাস্টির হাইকোর্টে জামিন
নর্থ সাউথের সাবেক ট্রাস্টি এম এ কাশেমের জামিন আপিলে বহাল
১ বছর আগে
গভীর উদ্বেগের কথা জানিয়ে আদালতের নিরাপত্তায় ১১ দফা নির্দেশনা প্রধান বিচারপতির
দেশের সকল অধস্তন আদালত ও ট্রাইব্যুনালের সার্বিক নিরাপত্তার বিষয়ে গভীর উদ্বেগের কথা জানিয়ে প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী ১১ দফা নির্দেশনা দিয়েছেন। সোমবার এক বিজ্ঞপ্তিতে সুপ্রিমকোর্ট প্রশাসন এতথ্য জানায়।
হাইকোর্ট বিভাগের রেজিস্ট্রার মুন্সী মো. মশিয়ার রহমান স্বাক্ষরিত এসংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, উপর্যুক্ত বিষয়ে নির্দেশিত হয়ে জানানো যাচ্ছে যে, অধস্তন সকল আদালত ও ট্রাইব্যুনালের সার্বিক নিরাপত্তার বিষয়ে প্রধান বিচারপতি মহোদয় গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। সুপ্রিম কোর্ট থেকে ইতোপূর্বে একাধিকবার দেশের প্রত্যেক আদালতের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে নির্দেশ প্রদান করা হয়েছিল।
এতে আরও বলা হয়েছে, অধস্তন দেওয়ানী আদালতে মোকদ্দমাসমূহের নথিতে বিচারপ্রার্থী জনগণের মূল দলিল বা ডকুমেন্টসহ বিভিন্ন ধরণের গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র থাকে। আদালতের হেফাজতে থাকা এসব দলিলাদি ও গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র চুরি বা নষ্ট হলে আদালতের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হবে। তাই অধস্তন সকল আদালত ও ট্রাইব্যুনালের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্য প্রধান বিচারপতি মহোদয় সংশ্লিষ্ট সকলকে নিম্নোক্ত নির্দেশনা প্রদান করেছেন:-
(ক) আদালত ও বিচারকের বাসভবনের সীমানা প্রাচীর সুসংহত করা।
(খ) আদালত ও ট্রাইব্যুনালের এজলাস বিভাগ, প্রতিটি ফটক ও আদালতের বাহিরে সিসিটিভি স্থাপন করা।
(গ) আদালত ভবনের বাইরে ও ভিতরে নিরাপত্তা প্রহরী দ্বারা সার্বক্ষণিক পাহারা দেয়া।
(ঘ) আদালত ভবনের দরজা ও জানালাগুলি গণপূর্ত দরজা ও জানালাগুলি নতুন করে স্থাপন করা।
(ঙ) আদালত চত্বরে পর্যাপ্ত বৈদ্যুতিক বাতির ব্যবস্থা করা।
(চ) মামলা সংশ্লিষ্ট নথিপত্রের নিরাপদ সংরক্ষণের যথাযথ ব্যবস্থা করা।
(ছ) আদালতে ব্যবহারের নিমিত্ত মানসম্মত ফার্নিচার ও লকার নিশ্চিত করা।
(জ) আদালত সীমানার চারিদিকে সিকিউরিটি পোস্ট স্থাপন করা।
(ক) জরুরি ভিত্তিতে সারাদেশের আদালত এলাকায় রাতে সার্বক্ষণিক পুলিশের টহল জোরদার করা।
(ঞ) অবকাশকালীন সময়ে আদালত ভবনের বিশেষ নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করা।
(ট) প্রত্যেক আদালত ও ট্রাইব্যুনালের কর্মকালীন সময়ে পর্যাপ্ত পুলিশ প্রহরার ব্যবস্থা করা।
আজকের বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে যে, উপরিউক্ত নির্দেশনাসমূহ আবশ্যিকভাবে প্রতিপালন করত দেশের প্রত্যেক আদালত ও ট্রাইব্যুনালের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।
১ বছর আগে
বিচারপ্রার্থীদের আদালতের বারান্দা থেকে দ্রুত বাড়ি ফেরানোর নির্দেশ প্রধান বিচারপতির
বিচারপ্রার্থীদের আদালত প্রাঙ্গণ থেকে দ্রুত বাড়ি ফেরানোর জন্য সকলকে যথাযথভাবে বিচারকর্ম পরিচালনা করার নির্দেশনা প্রদান করেছেন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।
মঙ্গলবার সারাদেশের অধস্তন আদালতের জেলা ও দায়রা জজগণের উদ্দেশ্যে অভিভাষণ প্রদানকালে প্রধান বিচারপতি এই নির্দেশনা দেন। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতিগণ উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান বিচারপতি দ্রুত মামলা নিষ্পত্তির বিষয়ে বিশেষ গুরুত্ব আরোপ বিচারকদের উদ্দেশে বলেন, আইনজীবীরা বারবার সময় আবেদন করলেই তা যেন গ্রহণ করা না হয় সেদিকে সচেষ্ট থাকতে হবে। অযথা শুনানি মুলতবি করলে বিচার প্রার্থীদের হয়রানি বাড়ে। বিচার প্রার্থীদের দুর্ভোগ লাঘবে জেলা জজদের আইনানুযায়ী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। বিচারকদের সুশৃঙ্খলভাবে কোর্ট পরিচালনা করতে হবে।
তিনি সততা ও দক্ষতা নিয়ে ন্যায়বিচার করার মানসে মনোনিবেশ করার জন্য দেশের সকল বিচারকগণকে দিকনির্দেশনা প্রদান করেন।
আরও পড়ুন: ক্ষমতার ভারসাম্য রক্ষায় চাই শক্তিশালী বিচার বিভাগ: প্রধান বিচারপতি
এছাড়াও দুর্নীতি ও অনিয়মে জড়িত কোনো বিচারককে ছাড় দেয়া হবে না বলেও হুঁশিয়ারি দেন প্রধান বিচারপতি।
এছাড়া দ্রুত মামলা নিষ্পত্তি কিভাবে করা যায় সে বিষয়ে বিভিন্ন মতামত তুলে ধরেনহাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।
সারা দেশের তিন শতাধিক জেলা ও দায়রা জজ এবং সমমর্যাদার বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তারা অংশ নেন।
বিচারকগণের পক্ষ থেকে মোট ১২জন বিচারক বক্তব্য দেন।
আরও পড়ুন: বর্তমানে বিচার ব্যবস্থায় দীর্ঘসূত্রিতা বেড়েছে: প্রধান বিচারপতি
আদালতে মানুষের দুর্দশার সুযোগ নেয়া বরদাশত করা হবে না: প্রধান বিচারপতি
১ বছর আগে