কম্বাইন হারভেস্টার
কম্বাইন হারভেস্টার তৈরির আগ্রহ জানিয়েছে ইয়ানমার ও এসিআই মটর্স
জাপানের কৃষিযন্ত্র নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ইয়ানমার বাংলাদেশে ধান কাটার যন্ত্র বা কম্বাইন হারভেস্টার তৈরির কারখানা স্থাপনের আগ্রহ জানিয়েছে। দেশের এসিআই মটর্সের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে এ কারখানা স্থাপন করবে ইয়ানমার।
মঙ্গলবার সচিবালয়ে কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাকের সঙ্গে ইয়ানমারের আন্তর্জাতিক বিজনেস হেড সোগো ডেটের নেতৃত্বে ইয়ানমার ও এসিআই মটর্সের প্রতিনিধিদলের বৈঠকে এই আগ্রহ প্রকাশ করেন।
প্রতিনিধিদল জানান, দেশে ইয়ানমার ব্র্যান্ডের কম্বাইন হারভেস্টার অনেক জনপ্রিয় ও চাহিদাও বেশি। এটিকে বিবেচনায় নিয়ে স্থানীয়ভাবে কম্বাইন হারভেস্টার তৈরি ও সংযোজন করার উদ্যোগ নিয়েছে ইয়ানমার ও এসিআই মটর্স। ২০২৪ সালের শুরুতে স্থানীয়ভাবে উৎপাদনে যাওয়ার প্রাথমিক পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানান আন্তর্জাতিক বিজনেস হেড সোগো ডেট।
আরও পড়ুন: হাওরের ৪১ শতাংশ ধান কাটা শেষ হয়েছে: কৃষি মন্ত্রণালয়
বৈঠকে কৃষিমন্ত্রী বলেন, দেশে কৃষি শ্রমিকের ঘাটতি দিন দিন প্রকট হচ্ছে। এ মুহূর্তে বোরো ধান কাটার শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছে না। এছাড়া সনাতন পদ্ধতির কৃষিতে ফসল উৎপাদনে খরচ অনেক বেশি ও সময় সাপেক্ষ। সেজন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কৃষি যান্ত্রিকীকরণে কাজ করছে। সারাদেশে ৫০ শতাংশ ও হাওর-উপকূলীয় এলাকায় ৭০ শতাংশ ভর্তুকিতে কৃষকদেরকে কৃষি যন্ত্রপাতি সরবরাহ করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, আমরা স্থানীয়ভাবে কৃষিযন্ত্র তৈরি ও সংযোজনে অত্যন্ত গুরুত্ব দিচ্ছি। ইয়ানমারের এ উদ্যোগকে স্বাগত জানাই। বাংলাদেশে কারখানা স্থাপনে ইয়ানমারকে সব ধরনের সহযোগিতা দেয়া হবে।
আরও পড়ুন: দেশে খাদ্য সংকট নেই, বিএনপি কোরাস গেয়ে চলেছে: কৃষিমন্ত্রী
বৈঠকে ইয়ানমারের আন্তর্জাতিক বিজনেস প্রতিনিধি ইতো সান, আন্তর্জাতিক সার্ভিস প্রতিনিধি মিৎসুমি সান, এসিআই মটর্সের নির্বাহী পরিচালক সুব্রত রঞ্জন দাশ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
২ বছর আগে
কম্বাইন হারভেস্টার কৃষি যান্ত্রিকীকরণে বিপ্লব ঘটাবে: মন্ত্রী
বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের (ব্রি) বিজ্ঞানীদের উদ্ভাবিত দেশের জমিতে ব্যবহারের সবচেয়ে উপযোগী ও সুলভ মূল্যের ধান কাটার যন্ত্র-কম্বাইন হারভেস্টার কৃষি যান্ত্রিকীকরণে বিপ্লব ঘটাবে বলে মন্তব্য করেছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক।
শুক্রবার (৩১ ডিসেম্বর) সকালে গাজীপুরে ব্রির চত্বরে কম্বাইন হারভেস্টারটির কার্যক্রম পরিদর্শন কালে কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, ব্রির বিজ্ঞানীরা নিজেরা গবেষণা করে ধান কাটার মেশিনটি উদ্ভাবন করেছে। এটি একটি অসাধারণ সাফল্য। এটির ধান কাটার ক্ষমতা তুলনামূলকভাবে বেশি, দেশের ছোট ছোট জমিতে ব্যবহারের উপযোগী। বিদেশের ইয়ানমারসহ বিভিন্ন কম্বাইন হারভেস্টারের দাম ২৫-৩০ লাখ টাকা, আর এটির খরচ পড়বে ১২-১৩ লাখ টাকা।
আরও পড়ুন: ফলের জাত উদ্ভাবন করে আমদানিনির্ভরতা কমাতে হবে: কৃষিমন্ত্রী
মন্ত্রী বলেন, ‘ব্রির উদ্ভাবিত যন্ত্রটি আমরা যদি স্থানীয়ভাবে তৈরি করে সারা দেশে ব্যবহার করতে পারি, তাহলে বাংলাদেশে কৃষি যান্ত্রিকীকরণে বিপ্লব ঘটবে। কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি ও কৃষিকে লাভজনক করতে অনন্য ভূমিকা রাখবে।’
ব্রির বিজ্ঞানীরা জানান, তাদের উদ্ভাবিত ব্রি হোল ফিড কম্বাইন হারভেস্টারের ইঞ্জিনটি বিদেশ থেকে আনা। অন্যান্য যন্ত্রপাতি স্থানীয়ভাবে তৈরি। এর ইঞ্জিনের ক্ষমতা ৮৭ হর্স পাওয়ার। ঘণ্টায় মেশিনটি ৩-৪ বিঘা জমির ধান কর্তন করতে পারে। জ্বালানি খরচ হয় ঘণ্টায় সাড়ে ৩- ৪ লিটার। হারভেস্টিং লস শতকরা এক ভাগের কম। আর দাম পড়বে মাত্র ১২-১৩ লাখ টাকা। খন্ড খন্ড জমিতেও ব্যবহার উপযোগী। বিদেশ থেকে আমদানিকৃত যেকোন কম্বাইন হারভেস্টারের তুলনায় এটি ভাল বলে জানান ব্রির বিজ্ঞানীরা।
পরে কৃষিমন্ত্রী ব্রির চত্বরে ব্রির শ্রমিকদের জন্য নির্মিত পাঁচতলা নতুন আবাসিক ভবন 'ব্রি শ্রমিক কলোনী ভবন' উদ্বোধন করেন।
আরও পড়ুন: সকলের জন্য পুষ্টিজাতীয় খাবার নিশ্চিত করাই বড় চ্যালেঞ্জ: কৃষিমন্ত্রী
২ বছর আগে