সজাগ
গুজবের বিরুদ্ধে সজাগ থাকুন: প্রধানমন্ত্রী
যেকোনো ধরনের গুজবের বিরুদ্ধে সতর্ক থাকার জন্য সাংবাদিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বুধবার (জানুয়ারি ৩) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারি বাসভবন গণভবনে সাংবাদিকদের দুটি প্রতিনিধি দল পৃথকভাবে তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যায়। এ সময় তিনি এ আহ্বান জানান।
প্রধানমন্ত্রী আধুনিক যুগের সঙ্গে মানিয়ে নিতে সাংবাদিকদের প্রস্তুত করার আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্বের ৪৬তম ক্ষমতাধর নারী: ফোর্বস
তিনি বলেন, ‘অনলাইন সংবাদ মাধ্যম এখন দ্রুত বিকশিত হচ্ছে। মানুষ এখন সংবাদ পড়ার জন্য সংবাদপত্রের পরিবর্তে অনলাইনে ব্রাউজ করছে যা প্রিন্ট মিডিয়ার জন্য একটি চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য তাদের প্রস্তুতি নেওয়া উচিৎ।’
সাংবাদিক সমাজের সার্বিক উন্নয়নে তার সরকারের গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, তার সরকার সিড মানি প্রদানের মাধ্যমে বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট গঠন করেছে।
তিনি আরও বলেন, 'আমি যদি আবার ক্ষমতায় আসি, তাহলে আমি আবারও ট্রাস্টে অর্থ দান করব।’
আরও পড়ুন: জানুয়ারির নির্বাচনকে উৎসবমুখর ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ করে তুলুন: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
তিনি ট্রাস্ট ফান্ডে অনুদান দেওয়ার জন্য মিডিয়া হাউজের মালিকদের প্রতি তার আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেন।
সাক্ষাৎকালে প্রধানমন্ত্রী ধৈর্য ধরে সাংবাদিক নেতাদের কথা শোনেন। সাংবাদিকরা আওয়ামী লীগের ২০২৪ সালের নির্বাচনী ইশতেহার অনুযায়ী দশম ওয়েজ বোর্ড গঠন এবং বাস্তবায়নে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণসহ বেশ কিছু দাবি তুলে ধরেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকার মূলত কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য বেসরকারি খাতের জন্য ব্যাংক, বিমা ও গণমাধ্যম উন্মুক্ত করেছে।
তিনি বলেন, তার সরকার দেশবাসীর উন্নত জীবনযাত্রা নিশ্চিত করতে যথাসাধ্য চেষ্টা করেছে।
আরও পড়ুন: চীনে ভূমিকম্পে হতাহতের ঘটনায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শোক
শেখ হাসিনা বলেন, জনগণ ছাড়া তার কোনো বিদেশি প্রভু নেই এবং জনগণই তার একমাত্র শক্তি। শুধু তাদের সমর্থনই তার কাছে গুরুত্বপূর্ণ, অন্য কিছু নয়।
বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সভাপতি ওমর ফারুক এবং এডিটরস গিল্ড বাংলাদেশের সভাপতি মোজাম্মেল বাবু নিজ নিজ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন। বিএফইউজে মহাসচিব দীপ আজাদ সঞ্চালনা করেন।
বিএফইউজে প্রতিনিধি দলের সদস্যরা হলেন- বিএফইউজের সাবেক সভাপতি ইকবাল সোবহান চৌধুরী, আবুল কালাম আজাদ ও মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল, বিএফইউজের সাবেক মহাসচিব আবদুল জলিল ভূঁইয়া, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি সাইফুল আলম, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক সোহেল হায়দার চৌধুরী ও আক্তার হোসেন।
এডিটরস গিল্ডের প্রতিনিধি দলে ছিলেন বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল কালাম আজাদ, যুগান্তর সম্পাদক সাইফুল আলম, বাংলাদেশ প্রতিদিন সম্পাদক নঈম নিজাম, ভোরের কাগজ সম্পাদক শ্যামল দত্ত, গ্লোবাল টিভির প্রধান সম্পাদক সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা, বাংলাদেশ জার্নালের সম্পাদক শাহজাহান সরদার ও ডিবিসি টিভির প্রধান সম্পাদক মনজুরুল ইসলাম।
আরও পড়ুন: পোল্যান্ডের নবনির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী ডোনাল্ড টাস্ককে শেখ হাসিনার অভিনন্দন
১০ মাস আগে
বিএনপি-জামায়াতের সহিংসতার বিষয়ে সজাগ থাকুন: শিক্ষামন্ত্রী
আসন্ন দূর্গাপূজা ও জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি বিএনপি-জামায়াত যেন কোনো ধরনের সংকট ও সহিংসতা তৈরি করতে না পারে, সেজন্য সবাইকে সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াত মানুষের ওপর অত্যাচার, নির্যাতন যেমন চালানোর চেষ্টা করে, তেমনই তারা দেশের ভাবমূর্তিও নষ্ট করে তারা। এই অপশক্তিকে রুখতে আমাদের সবারই দাঁড়াতে হবে।
আরও পড়ুন: শিক্ষা ব্যবস্থাকে সমৃদ্ধ ও রূপান্তরের আহ্বান শিক্ষামন্ত্রীর
শুক্রবার (৬ অক্টোবর) দুপুরে চাঁদপুর শহেরর বাবুরহাট এলাকায় বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী চাঁদপুর জেলার সমাবেশ শেষে চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, শিক্ষার্থীরা হচ্ছে দেশের সবচেয়ে সচেতন ও সজাগ অংশ। তারা যেন সব সময় চোখ কান খোলা রাখে। কারণ এই বাংলাদেশ তাদের, তারা এই দেশের বর্তমান ও ভবিষ্যৎ এবং তারা যেন এই অসম্প্রদায়িক ও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার জন্য এই যে সাম্প্রদায়িক অপশক্তি রয়েছে তাদেরকে রুখে দিতে পারে।
দীপু মনি বলেন, বিএনপি-জামায়াত যেন কোনোভাবেই দেশকে অস্থীতিশীল করতে না পারে, সেজন্য আমাদের সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। আমি মনে করি আমাদের তরুণরা সবচাইতে সজাগ ও সচেতন শ্রেণি। তারা যেন এই বিষয়ে অনেক বেশি সজাগ থাকে এবং যেকোনো মূল্যে যেন আমরা এই অপশক্তিকে সবাই মিলে প্রতিহত করতে পারি।
আরও পড়ুন: দেশে পাবলিক হেলথ বিশ্ববিদ্যালয় চান শিক্ষামন্ত্রী
ইলিশ বিচরণের পরিবেশ আগের মতো নেই: শিক্ষামন্ত্রী
১ বছর আগে
মুক্তিযুদ্ধ-স্বাধীনতা বিরোধীদের বিরুদ্ধে সজাগ থাকুন: রাষ্ট্রপতি
মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার বিরোধীরা যাতে ক্ষমতায় আসতে না পারে সেজন্য সবাইকে সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে সেক্টর কমান্ডার ফোরাম মুক্তিযুদ্ধ '৭১-এর ষষ্ঠ জাতীয় কাউন্সিলের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি এ আহ্বান জানান।
সারাদেশের মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের তরুণ প্রজন্ম কাউন্সিলে যোগ দেন।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও উন্নয়নে মুক্তিযুদ্ধের মহানায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদানের কথা তুলে ধরেন রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন।
তিনি বলেন, দীর্ঘ সংগ্রামের মাধ্যমে বাংলাদেশ কাঙ্ক্ষিত স্বাধীনতা অর্জন করলেও স্বাধীনতাবিরোধীদের ষড়যন্ত্র থামেনি। তারা এখনও সক্রিয়।
আরও পড়ুন: ৪৩তম আসিয়ান সম্মেলনে যোগ দিতে জাকার্তার উদ্দেশে রওনা হয়েছেন রাষ্ট্রপতি
১৯৭১ সালের গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায়ের দাবি তোলায় সেক্টর কমান্ডার ফোরামের ভূমিকার প্রশংসা করে রাষ্ট্রপতি আশা প্রকাশ করেন, ভবিষ্যতেও এই দাবি আদায়ে তাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।
রাষ্ট্রপতি বলেন, পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাদের দেশীয় মিত্রদের দ্বারা একাত্তরে সংঘটিত গণহত্যা, ধর্ষণ, মানবতাবিরোধী অপরাধের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির দাবি হচ্ছে ন্যায়বিচার ও মানবাধিকারের দাবি।
মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত শক্তি এখনো সক্রিয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, ঐক্যবদ্ধভাবে এ দাবি বাস্তবায়ন করতে হবে।
তিনি জোর দিয়ে বলেন, মুক্তিযুদ্ধবিরোধীরা যত বাধাই সৃষ্টি করুক না কেন, আমরা তাদের প্রতিহত করব।
কৃষক, শ্রমিক ও যুবকদের যুদ্ধক্ষেত্রে উপযোগী করে গড়ে তোলার জন্য সেক্টর কমান্ডার ফোরামের অনেক অবদান রয়েছে উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী সবাইকে দেশের উন্নয়নের অগ্রগতি ত্বরান্বিত করতে কাজ করার আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন:মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের দ্রুত প্রত্যাবাসনের আহ্বান রাষ্ট্রপতির
‘বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর বঙ্গবন্ধুর খুনিরা এবং মুক্তিযুদ্ধে পরাজিত বাহিনী সংবিধানের মূল চেতনাকে ধ্বংস করেছে,’ বলে মন্তব্য করেন রাষ্ট্রপতি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে উন্নয়ন ও অগ্রগতির চিত্র তুলে ধরে রাষ্ট্রপতি বলেন, বাংলাদেশ এখন আন্তর্জাতিক অঙ্গনে মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘গত ১৫ বছরে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা প্রখর হয়েছে। এই সরকার জনগণের সরকার। এর সব কর্মকাণ্ডই জনবান্ধব।’
১৯৭১ সালের গণহত্যার জন্মলগ্ন থেকেই আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেতে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে কাজ করছে ফোরামটি।
এতে বক্তব্য দেন সেক্টর কমান্ডার্স ফোরামের কার্যকরী সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা মো. নুরুল আলম, উপদেষ্টা সারোয়ার আলী, সহসভাপতি এম হামিদ ও সাধারণ সম্পাদক হারুন হাবিব।
অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন বাংলাদেশে গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি বিষয়ে সেক্টর কমান্ডার ফোরাম কর্তৃক প্রকাশিত ‘জেনোসাইড ৭১’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে ভিয়েতনামের বিনিয়োগ চান রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন
১ বছর আগে
মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সম্পর্কে সজাগ থাকুন: প্রধানমন্ত্রী
আগামীতে কেউ যাতে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে আর বিকৃত করতে না পারে সেজন্য জনগণকে সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। জনগণকে চেতনায় জাগ্রত করতে হবে এবং মুক্তিযুদ্ধের আদর্শে দেশকে গড়ে তুলতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের বিজয়ের মধ্য দিয়ে অর্জিত চেতনাকে যাতে ভবিষ্যতে আর কেউ বিকৃত করতে না পারে সেজন্য সবাই সজাগ থাকুন।’
শাহবাগে বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরে স্বাধীনতা পুরস্কারপ্রাপ্ত শিল্পী শাহাবুদ্দিন আহমেদের নির্বাচিত চিত্রকর্ম নিয়ে “এ রেট্রোস্পেকটিভ ১৭৯৭৩-২০২৩” শীর্ষক বিশেষ শিল্প প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব বলেন প্রধানমন্ত্রী।
জাতীয় জাদুঘরের নলিনীকান্ত ভট্টশালী গ্যালারিতে মাসব্যাপী একক শিল্প প্রদর্শনীতে শাহাবুদ্দিনের ১৪০টি নির্বাচিত শিল্পকর্ম প্রদর্শিত হচ্ছে।
আরও পড়ুন: সবার জন্য সমৃদ্ধ ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করুন: জি২০ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
শেখ হাসিনা বলেন, চিত্রকর্ম মানুষের হৃদয় স্পর্শ করে। তিনি বলেন, ‘শিল্পকর্মগুলো মানুষের মধ্যে দেশপ্রেম ও চেতনা জাগ্রত করতে পারে।’
তিনি বলেন, ‘১৯৭৫ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার পর মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, আদর্শ ও ইতিহাস- সবকিছুই মুছে যাওয়ার পর কবি, শিল্পী, সাহিত্যিক ও লেখকরা তাদের রচনায় চেতনা ধরে রাখতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘যেহেতু তারা সে সময় চেতনা ধরে রেখেছিলেন, তাই আমরা, রাজনীতিবিদরা, পরে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার এবং রাজনৈতিক উপায়ে জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করেছি। অবশেষে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সঙ্গে সঙ্গতি রেখে দেশ গড়ার পদক্ষেপ নিয়েছি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এখন দেশের তরুণ প্রজন্মের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ফিরতে শুরু করেছে, যা একটি বড় অর্জন।
মাসব্যাপী প্রদর্শনীর সফলতা কামনা করে তিনি বলেন, শাহাবুদ্দিন আহমেদের চিত্রকর্মের প্রদর্শনী খুবই গুরুত্বপূর্ণ কারণ তার শিল্পকর্ম বাংলাদেশের প্রকৃতি, দেশের মানুষের অবস্থা এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে প্রতিফলিত করে।
তিনি আরও বলেন, ‘শাহাবুদ্দিন একজন মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন । এখনো তার শিল্পকর্মগুলোতে মুক্তিযুদ্ধের চিন্তা ও চেতনা প্রতিফলিত হয়। এটি আমাকে আরও অনুপ্রাণিত করে। তিনি যে মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন, এখনও সেই অনুভূতি বহন করেন।’
প্রদর্শনী পরিদর্শনে এসে জনগণ দেশপ্রেম ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় জাগ্রত হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন শেখ হাসিনা।
শাহাবুদ্দিন আহমেদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী। কারণ তিনি তার চিত্রকর্মের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করেছেন।
সংস্কৃতিবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠ কন্যা শেখ রেহানা।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী “শাহাবুদ্দিন, এ রেট্রোস্পেকটিভ ১৯৭৩-২০২৩” শিরোনামের একটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করেন।
প্রধানমন্ত্রী ফিতা কেটে রেট্রোস্পেকটিভের উদ্বোধন করেন এবং প্রদর্শনীতে প্রদর্শিত শাহাবুদ্দিনের একক চিত্রকর্ম পরিদর্শন করেন।
অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের ট্রাস্টি বোর্ডের সভাপতি অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, চিত্রশিল্পী শাহাবুদ্দিন আহমেদ, বাংলাদেশে ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত মারি মাসদুপু, সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক খলিল আহমেদ এবং বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক মো. কামরুজ্জামান।
আরও পড়ুন: আপনার অর্জন খুবই আকর্ষনীয়: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্দেশে বাইডেন
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁর মধ্যে আলোচনা চলছে
১ বছর আগে
দেশ বিরোধী সক্রিয় অপশক্তিগুলোর ব্যাপারে সজাগ থাকার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশের জনগণের ভাগ্য নিয়ে কেউ যাতে ছিনিমিনি খেলতে না পারে এবং দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের অসামান্য যাত্রা বন্ধ করতে পারে সেজন্য সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।
তিনি বলেন,‘মানুষের ভাগ্য নিয়ে কেউ যাতে ছিনিমিনি খেলতে না পারে, সেদিকে আমাদের সকলকে সজাগদৃষ্টি রাখতে হবে। আমাদের উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে কোনোভাবেই ব্যাহত হতে দেয়া যাবে না।’
শুক্রবার একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর গঠিত তার বর্তমান সরকারের তৃতীয় বার্ষিকী এবং বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের চার বছরে পদার্পণ উপলক্ষে জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
রাষ্ট্রায়ত্ত বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ বেতার একযোগে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ প্রচার করে।
২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে তার দল আওয়ামী লীগের বিপুল বিজয়ের পর ২০১৯ সালের ৭ জানুয়ারি টানা তৃতীয় মেয়াদে সরকার গঠন করেন শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের মহাসড়ক বেয়ে দুর্বার গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। এটা অনেকেরই সহ্য হবে না বা হচ্ছে না। দেশ-বিদেশে বসে বাংলাদেশ বিরোধী শক্তি, স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি তাই নানা ষড়যন্ত্র করছে এই অগ্রযাত্রাকে রুখে দেওয়ার জন্য।’
প্রধানমন্ত্রী তার ভাষণে আরও বলেন, ‘মিথ্যা-বানোয়াট-কাল্পনিক তথ্য দিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জনগণকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে। বিদেশে আমাদের উন্নয়ন সহযোগীদের ভুল বোঝানোর চেষ্টা করছে।’
তিনি বলেন, ‘জনগণই ক্ষমতার উৎস। আমরা জনগণের ক্ষমতায় বিশ্বাস করি। তাই জনগণের সঙ্গেই আমাদের অবস্থান।’
দুর্নীতি ও জঙ্গিবাদ
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছি। দুর্নীতিবাজ যে দলেরই হোক আর যত শক্তিশালীই হোক, তাদের ছাড় দেয়া হচ্ছে না এবং হবে না। এ ব্যাপারে দুর্নীতি দমন কমিশন স্বাধীনভাবে তাদের দায়িত্ব পালন করছে। তবে এই ব্যাধি দূর করতে সামাজিক সচেতনতা তৈরি করা প্রয়োজন।’
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমরা কঠোর হস্তে জঙ্গিবাদের উত্থানকে প্রতিহত করেছি। বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। এখানে সকল ধর্ম-বর্ণের মানুষ পারস্পরিক সহনশীলতা বজায় রেখে বসবাস করে আসছেন এবং ভবিষ্যতেও করবেন।’
আরও পড়ুন: নৌবাহিনীতে আরও আধুনিক যুদ্ধজাহাজ সংযোজন করা হবে: প্রধানমন্ত্রী
অর্থনৈতিক অগ্রগতি
শেখ হাসিনা বলেন, ‘বিগত ১৩ বছরে বাংলাদেশ অনেক দূর এগিয়েছে। দারিদ্র্য দূরীকরণ, স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নয়ন, মাতৃমৃত্যু-শিশুমৃত্যুর হার হ্রাস, গড় আয়ু বৃদ্ধি, নারীর ক্ষমতায়ন, শিক্ষার হার বৃদ্ধিসহ নানা আর্থ-সামাজিক সূচকে বাংলাদেশ আজ দক্ষিণ এশিয়ায় নেতৃত্ব দিচ্ছে।
জনগণ তার ওপর আস্থা রাখায় এই অগ্রগতি সম্ভব হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এটা সম্ভব হয়েছে আমাদের উপর আস্থা রাখার ফলে। পর পর তিনবার রাষ্ট্র পরিচালনার সুযোগ দিয়ে আপনারা উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে সহায়তা করেছেন। এ ধারাবাহিকতা অব্যাহত রেখে আমরা একটি কল্যাণকামী, উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তোলার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি যাতে ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ উন্নত দেশগুলোর কাতারে সামিল হতে পারে। এজন্য অতীতে যেমন আপনারা আমাদের সঙ্গে ছিলেন, ভবিষ্যতে আমাদের সঙ্গে থাকবেন, এ আশাবাদ ব্যক্ত করছি।’
শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘আমাদের বর্তমান এবং আগামী দিনের সকল কার্যক্রমের লক্ষ্য হচ্ছে নতুন প্রজন্মের জন্য একটি সম্ভাবনাময় ভবিষ্যত বিনির্মাণ। অফুরন্ত জীবনীশক্তিতে বলীয়ান তরুণ প্রজন্মই পারে সকল কূপমণ্ডুকতা এবং প্রতিবন্ধকতা দূর করে একটি প্রগতিশীল অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়তে। যে বাংলাদেশের স্বপ্ন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেখেছিলেন। তারুণ্যের শক্তিই পারবে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন করতে। আমার দৃঢ় বিশ্বাস আমাদের প্রজন্মের পর প্রজন্ম এগিয়ে যাবে মাথা উঁচু করে ভবিষ্যতের পানে।’
আরও পড়ুন: জনগণের ভাগ্য নিয়ে কাউকে ছিনিমিনি খেলতে দেয়া হবে না: প্রধানমন্ত্রী
২ বছর আগে