বিনা উদ্ভাবিত ‘শেখ রাসেল’ ধান
নতুন সম্ভাবনা নিয়ে আসছে বিনা উদ্ভাবিত ‘শেখ রাসেল’ ধান
বোরো আবাদে নতুন সম্ভাবনা নিয়ে আসছে বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউিট (বিনা) উদ্ভাবিত নতুন জাতের বিনাধান-২৫। আর এর নামকরণ করা হয়েছে শেখ রাসেল ধান।
বিনাধানের বিজ্ঞানীরা জানান, উচ্চ ফলনশীল ‘চিকন’ এ ধানটি ইতোমধ্যেই গবেষণা খামারে আলোড়ন তুলেছে। তাছাড়া নতুন জাতের এই ধানটি কৃষকদের মাঝে ব্যাপক সাড়া ফেলবে এবং কৃষি অর্থনীতিতে বিশেষ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করেন তারা।
আরও পড়ুন: রাঙামাটিতে বোরো ধানের বাম্পার ফলন, কৃষকের মুখে হাসি
সংশ্লিষ্টরা জানান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ ছেলে শেখ রাসেলের নামে ছাড়পত্র নেয়া বিনাধান-২৫’র বীজ শেরপুরে নালিতাবাড়ী বিনা উপকেন্দ্রের খামারে উৎপাদন করা হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে ১০ কেজি ধানের বীজ ফেলা হয়েছে। সেখান থেকে উৎপাদিত শেখ রাসেল ধানবীজ পরবর্তীতে কৃষক পর্যায়ে চাষাবাদের জন্য দেয়া হবে।
বিনাধানের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও নালিতাবাড়ী উপকেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কৃষি বিজ্ঞানীরা ড. মাহবুবুল আলম তরফদার বলেন, বিনা উদ্ভাবিত সর্বশেষ জাত এই ‘শেখ রাসেল’ ধান। সম্প্রতি বীজ প্রত্যয়ন এজেন্সির থেকে নতুন জাতের এই ধানটি ছাড়পত্র পেয়েছে।
তিনি বলেন, এটি বোরো আবাদে চাষযোগ্য প্রমিয়াম কোয়ালিটির একটি জাত। এই ধান খুবই চিকন ও লম্বা। জীবনকাল ১৪০ দিন। খামারে এ ধানের গড় ফলন মিলেছে হেক্টর প্রতি সাড়ে আট টন, অর্থাৎ বিঘাপ্রতি প্রায় ৩০ মণ। এটি বাসমতি চালের বিকল্প হিসেবে আবির্ভূত হবে এবং কৃষকরা উৎপাদিত ধানের ভালো দাম পাবেন।
আরও পড়ুন: যশোরাঞ্চলে বোরো ধানের মিষ্টি গন্ধে মাতোয়ারা কৃষক-কৃষাণি
কৃষি বিজ্ঞানীরা ড. মাহবুবুল আলম তরফদার বলেন, ‘আমরা বাজারে চিকন চাল হিসেবে যেগুলো দেখতে পাই, তার বেশিরভাগই মেশিনে কেটে চিকন করে বাজারজাত করা হয়ে থাকে। কিন্তু বিনাধান-২৫ বা শেখ রাসেল ধানের চাল কেটে চিকন করতে হবে না। এটা এমনিতেই বেশ সরু। যে কারণে এ ধানের চালের পুষ্টিমান বজায় থাকবে।
এছাড়া এ চালের ভাত খেতেও বেশ সুস্বাদু ও ঝরঝরে। সামনের দিনে শেখ রাসেল ধান খুবই জনপ্রিয় একটি জাত হিসেবে পরিচিতি পাবে হবে আশা করছেন বিনার কৃষি বিজ্ঞানীরা।
২ বছর আগে