ম্যালকম আর্নল্ড
পুরস্কৃত হলেন ইউএনবির খুলনা প্রতিনিধি
ভালোবেসে বিয়ে করে খুলনায় নিরবে নিভৃতে জীবনযাপনকারী অস্ট্রেলিয়ান নাগরিক ম্যালকম আর্নল্ডকে নিয়ে একটি এক্সক্লুসিভ নিউজ করায় খুলনা প্রতিনিধি শেখ দিদারুল আলমকে পুরস্কৃত করেছে ইউএনবির ব্যবস্থাপনা পরিষদ।
সম্প্রতি তার একটি এক্সক্লুসিভ ভিডিও ইউএনবির ফেসবুক পেজে বিপুল দর্শক সমাদৃত হয়েছে।
‘বাংলাদেশের মেয়েকে ভালোবেসে বিয়ে করে ১৮ বছর খুলনায় বসবাস করছেন অস্ট্রেলিয়ার নাগরিক’ শিরোনামে প্রকাশিত ভিডিওতে হাজার হাজার দর্শক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন।
বাংলা ভার্সনে ভিডিও স্টোরির পাশাপাশি ইংরেজি ভার্সন ‘For an Australian in Khulna, home is where his heart was won.’ শিরোনামেও সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।
২০০৪ সালে খুলনার এনজিও কর্মী হালিমা খাতুনকে বিয়ে করেন ম্যালকম আর্নল্ড। এরপর কয়েকবার তিনি হালিমাকে নিয়ে অস্ট্রলিয়ায় গেলেও প্রতিবার কয়েকদিন থেকে আবারও ফিরে এসেছেন বাংলাদেশের টানে। সর্বশেষ ২০১৭ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি অস্ট্রেলিয়ায় যান ম্যালকম। এরপর করোনার কারণে আর যাওয়া হয়নি।
আরও পড়ুন: ভালোবেসে ১৮ বছর ধরে বাংলাদেশে যেভাবে জীবন কাটছে অস্ট্রেলিয়ার ম্যালকমের
৭৪ বছর বয়সী ম্যালকম মূলত একজন চিত্রশিল্পী। দীর্ঘ ৪৫ বছর ধরে তিনি ছবি আঁকার সঙ্গে জড়িত, ছবি বিক্রি করেই তার সংসার চলে। তার প্রতিটি ছবি পাঁচ হাজার টাকা থেকে পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়। অনলাইনের মাধ্যমেও তিনি ছবি বিক্রির অর্ডার পেতেন।
পুরস্কৃত হয়ে দিদারুল আলম ইউএনবি ম্যানেজমেন্টের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, ‘আমি এই স্বীকৃতি পেয়ে খুবই আনন্দিত।’
তিনি বলেন, ‘আমি ১৯৯০ এর দশকের শুরু থেকে ইউএনবির সাথে আছি। ২০২২ সালের নতুন বছরের প্রথম দিনই উপহারটি পেয়েছি। এটি আমাকে ভবিষ্যতে কাজ করতে উৎসাহিত করবে।’
১৯৮৮ সালে প্রতিষ্ঠিত ইউএনবি দক্ষিণ এশিয়ায় বেসরকারিখাতে আত্মপ্রকাশ করা প্রথম পরিপূর্ণ ডিজিটাল বার্তা সংস্থা। বিশ্বের সর্ববৃহৎ তারবার্তা সংস্থা অ্যাসোসিয়েট প্রেস (এপি) ইউএনবির সংবাদ বিনিময়ের অংশীদার।
বর্তমানে ইউএনবি বিশ্বের ৩৭টিরও বেশি দেশের সাথে সংবাদ বিনিময় চুক্তি করছে। যার মধ্যে রয়েছে ভারতের পিটিআই, চীনের সিনহুয়া, জাপানের কিয়োদো, মালেশিয়ার বার্নামা, দক্ষিণ কোরিয়ার ইউনাপ এবং এশিয়ানেট, রাশিয়ার আইটিএআর-টিএএসএস, আফ্রিকার এফএএপিএ, সাইপ্রাসের সিএএন, মরোক্কোর সংবাদ সংস্থা এমএপি, এশিয়া প্যাসিফিকের ওএএনএ এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের এমিরেটস নিউজ এজেন্সি (ডব্লিউএএম) উল্লেখযোগ্য।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ আমার দ্বিতীয় জন্মভূমি: ম্যালকম আর্নল্ড
২ বছর আগে
বাংলাদেশ আমার দ্বিতীয় জন্মভূমি: ম্যালকম আর্নল্ড
ভালোবেসে এনজিও কর্মী হালিমা খাতুনকে বিয়ে করে খুলনা সোনাডাঙা আবাসিক এলাকায় গত ১৮ বছর ধরে বসবাসকারী অস্ট্রেলিয়ান নাগরিক ম্যালকম আর্নল্ড জানালেন জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত তিনি বাংলাদেশে থাকতে চান।
৭৬ বছর বয়সী ম্যালকম জানান, বাংলাদেশকে তার দ্বিতীয় জন্মভূমি বা মাতৃভূমি মনে হয়। এ দেশের মানুষ, প্রকৃতি ও সবুজের সমারোহ আর মানুষের আন্তরিকতায় তিনি মুগ্ধ।
তিনি বলেন, যতই দিন যাচ্ছে ততই এদেশের প্রতি আমার ভালোবাসা ও ভালোলাগা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
ইউএনবিকে তিনি জানান, পৃথিবীর অনেক দেশ সম্পর্কে তার ধারণা আছে। কিন্তু এদেশের মানুষের মত আপন করে নেয়ার ক্ষমতা ও আতিথেয়তা কোথাও পাওয়া যায় না।
২০০৪ সালে হালিমা খাতুনকে বিয়ে করেন ম্যালকম আর্নল্ড। এরপর কয়েকবার তিনি হালিমাকে নিয়ে অস্ট্রলিয়ায় গেলেও প্রতিবার কয়েকদিন থেকে আবারও ফিরে এসেছেন বাংলাদেশের টানে। সর্বশেষ ২০১৭ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি অস্ট্রেলিয়ায় যান ম্যালকম। এরপর করোনার কারণে আর যাওয়া হয়নি।
আরও পড়ুন: ভালোবেসে ১৮ বছর ধরে বাংলাদেশে যেভাবে জীবন কাটছে অস্ট্রেলিয়ার ম্যালকমের
হালিমা খাতুন জানালেন, প্রথম দিকে ম্যালকমের খাওয়ার অসুবিধা হলেও ধীরে ধীরে তা কেটে যায়। প্রথম দিকে শুধু ফাস্টফুড আর বিভিন্ন প্রকার ফল খেতেন ম্যালকম। তবে আস্তে আস্তে সে ভাত, রুটি, সবজি, মুরগির মাংসতে অভ্যস্ত হয়ে গেছেন। তবে তিনি খুব কম পরিমাণ ভাত খান, তবে রুটি খেতে খুব পছন্দ করেন। হঠাৎ করে তার হাটের সমস্যা দেখা দেয়ায়, এখন তিনি খুব বেছে বেছে খাবার খান। দুধ, আম, আপেল ও কমলা তার খুব প্রিয়।
ছবি আঁকতে বসলে তার আর কোনো দিকে খেয়াল থাকে না। কখন সকাল-দুপুর গড়িয়ে রাত হয়ে যায় তার খেয়াল থাকে না। সে সব রকম ছবি আঁকলেও বিভিন্ন প্রজাতির পাখি ও প্রাকৃতিক দৃশ্য আকতে খুব ভালোবাসেন। ছবিগুলো তার সন্তানের মত। সেগুলো খুব যত্ন সহকারে সংরক্ষণ করেন আর্নল্ড।
তার দুই মেয়ের সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে ম্যালকম। তার বড় মেয়ে নাকি (৫১) আর ছোট মেয়ে নাতাশা (৪৯) অস্ট্রেলিয়ায় ভালো আছেন।
বয়সের ভারে ম্যালকমের এখন হাঁটতে-চলতে অসুবিধা হয়। তারপরও তার মুখে হাসি লেগে থাকে।
তিনি জানান, ইউএনবিতে তাকে নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করার পর অনেকে তার খোঁজ-খবর নিয়েছেন। এজন্য তিনি ইউএনবিকে ধন্যবাদ জানান।
বাংলাদেশে অস্ট্রেলিয়ার দূতাবাস থেকেও তার খোঁজ-খবর নেয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।
সবশেষে ম্যালকম জানান তার জীবনের একটা ইচ্ছা হলো, বাংলাদেশের ক্রিকেটের ওপর তার অপ্রকাশিত গ্রন্থটি প্রকাশ করা।
আরও পড়ুন: খুলনার রাস্তায় পড়ে থাকা সেই বৃদ্ধের ঠাঁই হলো ঢাকার বৃদ্ধাশ্রমে
২ বছর আগে