সন্ত্রাস দমন
জঙ্গীবাদ ও সন্ত্রাস দমনে জিরো টলারেন্স নীতিতে কাজ করছে পুলিশ: আইজিপি
পুলিশের মহাপরিদর্শক চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেছেন, জঙ্গীবাদ ও সন্ত্রাস দমনে পুলিশ জিরো টলারেন্স নীতিতে কাজ করছে।
তিনি বলেন, সকল ক্ষেত্রেই পুলিশ দায়িত্বের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত আছে। সামনের দিনেও যে কোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় পুলিশের সক্ষমতা রয়েছে।
সোমবার সকালে নগরীর সার্কিট হাউজ মাঠে আইজিপি কাপ প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লীগ উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশ: আইজিপির সঙ্গে বৈঠকে বসেছে বিএনপির প্রতিনিধি দল
আইজিপি বলেন, আমরা সবাই মিলে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে আইনশৃংখলাবাহিনী, প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি, সাধারণ মানুষ ও মিডিয়াকর্মী সবাই মিলে একই প্লাটফর্মে কাজ করে জঙ্গীবাদ ও সন্ত্রাসবাদকে নিয়ন্ত্রণে এনেছি।
আশাকরি এই নিয়ন্ত্রণের কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। আর পুলিশের যে সক্ষমতা রয়েছে তাতে যে কোন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা সম্ভব।
আইজিপি আরও বলেন, ‘আমরা এক সময় দেখেছি দেশের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলে সন্ত্রাসের জনপদ ছিল। এই দেশের ৬৪ জেলায় জঙ্গিদের আক্রমণ হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার জন্য তার ওপর আক্রমণ হয়েছে এবং হলি আর্টিজানের মত বড় ঘটনার সূত্রপাত হয়েছে।
এখন দেখেন জঙ্গিদের কি অবস্থা, আমরা সবাই মিলে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে কাজ করে জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদ নিয়ন্ত্রণে এনেছি।
এই নিয়ন্ত্রণ সামনের দিনেও অব্যাহত থাকবে।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন-সিটি মেয়র ইকরামুল হক টিটু, অতিরিক্ত আইজিপি ব্যারিস্টার হারুন অর রশিদ, রেঞ্জ ডিআইজি দেবদাস ভট্টাচার্য্য, জেলা প্রশাসক মোস্তাফিজার রহমান ও পুলিশ সুপার মাছুম আহাম্মেদ ভূঞা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: পুলিশ কর্মকর্তাদের সততার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের আহ্বান আইজিপি’র
আইজিপির কাছে ‘গায়েবী’ মামলার প্রতিকার চাইল বিএনপি
২ বছর আগে
সন্ত্রাস দমন ও নিরাপত্তা সহযোগিতায় ঢাকা-আঙ্কারা সমঝোতা স্মারক সই
সন্ত্রাস দমন, নিরাপত্তা সহযোগিতা ও মাদক চোরাচালান রোধে তুরস্কের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই করেছে বাংলাদেশ।
শনিবার (৮ জানুয়ারি) রাতে সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সঙ্গে বাংলাদেশ সফররত তুরস্কের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুলাইমান সয়লুর নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকে এই সমঝোতা সই হয়।
বৈঠক শেষে বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ‘আমাদের পুলিশ, কোস্টগার্ড, বিজিবি, আনসারকে আরও সমৃদ্ধ করার জন্য ট্রেনিং, ইন্টেলিজেন্ট শেয়ার, সাইবার ক্রাইম দমনের কথা বলেছি। তারা সবগুলোতেই একমত হয়েছেন।‘
মন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের সঙ্গে একটি এমওইউ (সমঝোতা স্মারক) সাইন হয়েছে। এর মূল বিষয় ছিল- কাউন্টার টেরোরিজম (সন্ত্রাস দমন), সিকিউরিটি কো-অপারেশন (নিরাপত্তা সহযোগিতা) ও মাদক চোরাচালান রোধ। এগুলো নিয়েই এমওইউ সাইন হয়েছে।’
এই এমওইউর পর তারা তাদের সহযোগিতা আরও বাড়াবে বলে তুরস্কের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আমাদের জানিয়েছেন।
আসাদুজ্জামান খান বলেন, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের জন্য তারা (তুরস্ক) আগেও যেমন ভূমিকায় ছিলেন, এখনো তেমন শক্ত ভূমিকায় আছেন, আমাদের নিশ্চয়তা দিয়ে গেছেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘তারা ভাসানচরে লোক পাঠাবেন। ভাসানচরে তারা কী করতে পারেন, সেটা অ্যাসেস (মূল্যায়ন) করে সেখানেও তারা সহযোগিতা করবেন। তারা রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে আন্তরিক।’
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলায় বাংলাদেশ একা নয়: সোলাইমান সয়লু
২ বছর আগে