নিরাপত্তা সহযোগিতা
নিরাপত্তা সহযোগিতা কোনো কৌশলগত জোট বোঝায় না: শাহরিয়ার আলম
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম বুধবার বলেছেন, নিরাপত্তা সহযোগিতা বলতে কোনো কৌশলগত জোট বোঝায় না।
তিনি অবশ্য বলেছেন, বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতির কারণে তারা সম্ভবত কিছু বড় ক্রয় পরিকল্পনার গতি কমিয়ে দিয়েছে, যা অর্থনৈতিক অবস্থার আরও উন্নতি না হওয়া পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে।
সরকার আরও অর্থনৈতিক উন্নয়নের দিকে মনোনিবেশ করছে উল্লেখ করে শাহরিয়ার আলম বলেন, ‘আমরা কোনো যুদ্ধ চাই না। কিন্তু বাংলাদেশের স্বাধীনতায় আঘাত লাগলে, সার্বভৌমত্বে আঘাত লাগলে তা মোকাবিলায় আমাদের সরঞ্জাম লাগবে।’
রাজধানীর একটি হোটেলে 'বাংলাদেশ অ্যাট দ্য ক্রসরোডস' শীর্ষক এক ইন্টারেক্টিভ সেশনে তিনি এসব কথা বলেন।
দৈনিক ইত্তেফাকের প্রকাশক ও নির্বাহী পরিচালক তারিন হোসেন অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন।
আরও পড়ুন: চীনের জিডিআই নিয়ে এখনই কিছু বলার নেই: শাহরিয়ার আলম
প্রতিমন্ত্রী বলেন, কোনো দেশের সঙ্গে প্রতিরক্ষা চুক্তির অর্থ এই নয় যে, বাংলাদেশ কোনো দেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধে জড়াবে।
তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশকে রক্ষা করার জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম সংগ্রহ করতে হবে। আমাদের ফোর্সেস গোল ২০৩০ আছে। দেশের অর্থনৈতিক কল্যাণ এখন সবচেয়ে বড় অগ্রাধিকার।’
অবশ্যই চরমপন্থার ঝুঁকি সবসময়ই থাকে এবং বাংলাদেশ তা প্রতিরোধ করবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমরা কোনো নিরাপত্তা হুমকির মধ্যে নেই।’
শাহরিয়ার বলেন, ফোর্সেস গোল ২০৩০ এর অংশ হিসেবে বাংলাদেশের কিছু কৌশলগত পরিকল্পনা রয়েছে এবং এটি সম্পন্ন হতে আরও কিছু সময় অপেক্ষা করতে হবে।
এ সময় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য নাহিম রাজ্জাক, ঢাকায় অবস্থানরত বিদেশি মিশনের কূটনীতিকরা এবং সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: পৃথিবীর বর্ধিষ্ণু অর্থনৈতিক অঞ্চল হলো এশিয়া: শাহরিয়ার আলম
১ বছর আগে
সন্ত্রাস দমন ও নিরাপত্তা সহযোগিতায় ঢাকা-আঙ্কারা সমঝোতা স্মারক সই
সন্ত্রাস দমন, নিরাপত্তা সহযোগিতা ও মাদক চোরাচালান রোধে তুরস্কের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই করেছে বাংলাদেশ।
শনিবার (৮ জানুয়ারি) রাতে সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সঙ্গে বাংলাদেশ সফররত তুরস্কের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুলাইমান সয়লুর নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকে এই সমঝোতা সই হয়।
বৈঠক শেষে বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ‘আমাদের পুলিশ, কোস্টগার্ড, বিজিবি, আনসারকে আরও সমৃদ্ধ করার জন্য ট্রেনিং, ইন্টেলিজেন্ট শেয়ার, সাইবার ক্রাইম দমনের কথা বলেছি। তারা সবগুলোতেই একমত হয়েছেন।‘
মন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের সঙ্গে একটি এমওইউ (সমঝোতা স্মারক) সাইন হয়েছে। এর মূল বিষয় ছিল- কাউন্টার টেরোরিজম (সন্ত্রাস দমন), সিকিউরিটি কো-অপারেশন (নিরাপত্তা সহযোগিতা) ও মাদক চোরাচালান রোধ। এগুলো নিয়েই এমওইউ সাইন হয়েছে।’
এই এমওইউর পর তারা তাদের সহযোগিতা আরও বাড়াবে বলে তুরস্কের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আমাদের জানিয়েছেন।
আসাদুজ্জামান খান বলেন, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের জন্য তারা (তুরস্ক) আগেও যেমন ভূমিকায় ছিলেন, এখনো তেমন শক্ত ভূমিকায় আছেন, আমাদের নিশ্চয়তা দিয়ে গেছেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘তারা ভাসানচরে লোক পাঠাবেন। ভাসানচরে তারা কী করতে পারেন, সেটা অ্যাসেস (মূল্যায়ন) করে সেখানেও তারা সহযোগিতা করবেন। তারা রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে আন্তরিক।’
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলায় বাংলাদেশ একা নয়: সোলাইমান সয়লু
২ বছর আগে