সেনা শাসিত
সু চির আরও ৪ বছরের কারাদণ্ড
মিয়ানমারের ক্ষমতাচ্যুত নেত্রী অং সান সু চিকে আরও চার বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে সেনা শাসিত দেশটির একটি আদালত।
অবৈধভাবে ওয়াকিটকি আমদানি ও করোনাভাইরাসের বিধিনিষেধ লঙ্ঘনসহ কয়েকটি অভিযোগে তাকে এই দণ্ড দেয়া হয়।
সোমবার দেশটির রাজধানী নেপিডোতে একজন আইনি কর্মকর্তা আদালতের রায়ের খবর জানান। তবে শাস্তি হতে পারে এই ভয়ে নিজের নাম না প্রকাশ করেননি এই কর্মকর্তা।
তিনি বলেন, ওয়াকিটকি আমদানির জন্য রপ্তানি-আমদানি আইনে তাকে দুই বছরের কারাদণ্ড এবং সেগুলো রাখার জন্য টেলিযোগাযোগ আইনে এক বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। এছাড়া তিনি নির্বাচনী প্রচারণার সময় করোনভাইরাস নিয়ম লঙ্ঘনের অভিযোগে প্রাকৃতিক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা আইনের অধীনে দুই বছরের সাজা পেয়েছেন।
এর আগে ৬ ডিসেম্বর উসকানি ও করোনাভাইরাসের বিধিনিষেধ লঙ্ঘনের অভিযোগে অভিযুক্ত করে সু চিকে চার বছরের কারাদণ্ড দিয়েছিল দেশটির একটি বিশেষ আদালত। তবে রায়ের কয়েক ঘণ্টা পর সামরিক সরকারের প্রধান জ্যৈষ্ঠ জেনারেল মিন অং হ্লাইং তা অর্ধেক কমিয়ে দেন।
আরও পড়ুন: সু চির বিরুদ্ধে দ্বিতীয় মামলার রায় স্থগিত
গত বছরের ১ ফেব্রুয়ারি সেনা অভ্যুত্থানের মাধ্যমে দেশটির ক্ষমতা গ্রহণ করে সেনাবাহিনী এবং এর ফলে দ্বিতীয় বারের মতো সরকার গঠন করতে পারেনি নির্বাচনে জয়ী সু চির দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি)।
এরপর থেকে ৭৬ বছর বয়সী নোবেল বিজয়ী সু চির বিরুদ্ধে বেশ কিছু মামলা দায়ের করা হয়। আর এসব মামলায় তাকে দোষী সাব্যস্ত করা হলে তার ১০০ বছরের বেশি কারাদণ্ড হতে পারে।
তবে সু চির সমর্থক ও স্বাধীন বিশ্লেষকরা বলছেন, এসব অভিযোগ রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত।
আরও পড়ুন: সু চির ৪ বছরের কারাদণ্ড
২ বছর আগে