বাতাস অস্বাস্থ্যকর
আজ ঢাকার বাতাস অস্বাস্থ্যকর, দূষণে পঞ্চম
বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহরের তালিকায় ঢাকা পঞ্চম স্থানে নেমে এসেছে। রবিবার (২ মার্চ) সকাল ৯টায় সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবসে শহরটির একিউআই স্কোর ১৬৫।
অর্থাৎ ঢাকার আজকের বাতাস আজ অস্বাস্থ্যকর। এতে বাসিন্দাদের জন্য স্বাস্থ্যঝুঁকি রয়েছে। আজ মিয়ানমারের ইয়াঙ্গুন, পাকিস্তানের লাহোর ও উজবেকিস্তানের তাসখন্দ যথাক্রমে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে। তাদের স্কোর হলো ২০৪, ১৮৪ ও ১৮০।
একদিন আগে শনিবার ৩০৪ একিউআই স্কোর নিয়ে দূষণে বিশ্বের শীর্ষে উঠে এসেছিল ঢাকা। এদিন বায়ুর গুণমান ও দূষিত শহরের তালিকায় ঢাকার বাতাসকে ‘বিপজ্জনক’ হিসাবে শ্রেণিবদ্ধ করা হয়।
যখন কণা দূষণের একিউআই মান ৫০ থেকে ১০০ এর মধ্যে থাকে তখন বায়ুর গুণমানকে‘মাঝারি’ বলে বিবেচনা করা হয়। একিউআই সূচক ১০১ থেকে ১৫০-এর মধ্যে হলে ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এ সময় সাধারণত সংবেদনশীল ব্যক্তিদের দীর্ঘ সময় ধরে বাইরে পরিশ্রম না করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
১৫১ থেকে ২০০ এর মধ্যে হলে ‘অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচিত হয়, ২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে হলে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ বলে মনে করা হয়। এছাড়া ৩০১ এর বেশি হলে‘বিপজ্জনক’ হিসেবে বিবেচিত হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি করে।
বাংলাদেশে একিউআই সূচক পাঁচটি দূষণের ওপর নির্ভরশীল। সেগুলো হলো-বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন। ঢাকা দীর্ঘদিন ধরে বায়ুদূষণজনিত সমস্যায় জর্জরিত। এর বায়ুর গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে ওঠে এবং বর্ষাকালে উন্নত হয়।
ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশনের (ডব্লিউএইচও) মতে, বায়ু দূষণের কারণে প্রতি বছর বিশ্বব্যাপী আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়। বায়ুদূষণে কারণে প্রধানত স্ট্রোক, হৃদরোগ, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ, ফুসফুসের ক্যান্সার এবং তীব্র শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ থেকে মৃত্যুর হার বাড়ে।
আরও পড়ুন: বিশ্বে বায়ুদূষণে শীর্ষে উঠে এলো ঢাকা
২৮ দিন আগে
একিউআই: ঢাকার অবস্থান তৃতীয়
বিশ্বের সর্বাধিক দূষিত শহরের মধ্যে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা তৃতীয় স্থানে রয়েছে।
সোমবার বেলা ১১টায় ঢাকার এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) ১৭৯ রেকর্ড করা হয়েছে, যা বাতাসের মানকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বলে নির্দেশ করে।
ভারতের কলকাতা ও পাকিস্তানের লাহোর যথাক্রমে ১৯১ ও ১৯০ একিউআই সূচক নিয়ে প্রথম দুটি স্থানে রয়েছে।
একিউআই স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে নগরবাসীর প্রত্যেকের স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব পড়তে পারে, বিশেষ করে শিশু, বৃদ্ধ ও রোগীরা স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়তে পারেন।
আরও পড়ুন: দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় শীর্ষে ঢাকা
প্রতিদিনের বাতাসের মান নিয়ে তৈরি করা একিউআই সূচক একটি নির্দিষ্ট শহরের বাতাস কতটুকু নির্মল বা দূষিত সে সম্পর্কে মানুষকে তথ্য দেয় এবং তাদের জন্য কোনো ধরনের স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি হতে পারে তা জানায়।
বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি ধরনকে ভিত্তি করে- বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২ দশমিক ৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)।
ঢাকা দীর্ঘদিন ধরে বায়ু দূষণে ভুগছে। এর বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা উন্নত হয়।
২০১৯ সালের মার্চ মাসে পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে ঢাকার বায়ু দূষণের তিনটি প্রধান উৎস হল, ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলো।
শীতের আগমনের সঙ্গে সঙ্গে, নির্মাণ কাজ, রাস্তার ধুলা ও অন্যান্য উৎস থেকে দূষিত কণার ব্যাপক নিঃসরণের কারণে শহরের বাতাসের গুণমান দ্রুত খারাপ হতে শুরু করে।
আরও পড়ুন: দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় বিশ্বে দ্বিতীয় ঢাকা
বায়ু দূষণ ক্রমাগত বিশ্বব্যাপী মৃত্যু ও অক্ষমতার জন্য ঝুঁকির কারণগুলোর মধ্যে একটি৷ বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, দীর্ঘদিন দূষিত বায়ুতে শ্বাস নেয়ার ফলে একজন ব্যক্তি হৃদরোগ, শ্বাসযন্ত্রের রোগ, ফুসফুসের সংক্রমণ ও ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে ।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মতে, বায়ু দূষণে বিশ্বব্যাপী প্রতি বছর মূলত স্ট্রোক, হৃদরোগ, দীর্ঘস্থায়ী বাধা পালমোনারি রোগ, ফুসফুসের ক্যান্সার ও তীব্র শ্বাসকষ্ট সংক্রমণের ফলে আনুমানিক ৭০ হাজার মানুষের মৃত্যু হচ্ছে।
১১৭৫ দিন আগে