মঞ্চ
বিশ্ব মঞ্চে গৌরবান্বিত বাংলাদেশের ইমেজিং বিজ্ঞানী নাঈমা
বাংলাদেশি ইমিজিং বিজ্ঞানী নাঈমা বিনতে নূর বিশ্বব্যাপী বিজ্ঞানীদের কাছে নন্দিত হয়েছেন। রচেস্টার ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির (আরআইটি) সঙ্গে যুক্ত বাংলাদেশি এ ইমেজিং বিজ্ঞানী।
হাইপারস্পেকট্রাল রিমোট সেন্সিং এবং রেডিয়েটিভ ট্রান্সফার মডেলিংয়ের মধ্যে নাঈমার দক্ষতার অত্যাধুনিক কৌশলগুলো তাকে পৃথিবীর সিস্টেমের জটিলতাগুলো উন্মোচন করতে সাহায্য করে।
আরও পড়ুন: কৃষি বিজ্ঞানীদের জন্য আজ বাংলাদেশে খাদ্য উদ্বৃত্ত রয়েছে: রাজ্জাক
সহজ কথায়- আলো কীভাবে পৃথিবী পৃষ্ঠে প্রতিফলিত হয়ে কাজ করে তা অধ্যয়ন করে গ্রহের রহস্যগুলো ডিকোড করছেন তিনি।
নাঈমার মূল ফোকাসগুলোর মধ্যে একটি হলো মাটির আর্দ্রতা। এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান, যা বিস্তৃত বাস্তুসংস্থান ব্যবস্থাকে প্রভাবিত করে এবং কৃষি থেকে বন্যার পূর্বাভাস পর্যন্ত সবকিছুকে প্রভাবিত করে।
উন্নত ইমেজিং পদ্ধতি ব্যবহার করে নাঈমা সঠিকভাবে মাটির আর্দ্রতার মাত্রা নির্ধারণ করেন। স্যাটেলাইট চিত্র ব্যবহার করে বিস্তৃত অঞ্চলে তার অনুসন্ধানগুলো প্রসারিত করেন। এসবের মাধ্যমে তার কাজের প্রাসঙ্গিকতা প্রদর্শন করে।
এই যুগান্তকারী দৃষ্টিভঙ্গি নাসাসহ মর্যাদাপূর্ণ বৈজ্ঞানিক সংস্থাগুলোর মনোযোগ আকর্ষণ করেছে। নাসা তাদের আসন্ন সারফেস বায়োলজি অ্যান্ড জিওলজি (এসবিজি) মিশনের প্রস্তুতি হিসেবে একটি বিশেষ সংগ্রহে নাঈমার কাজ তুলে ধরেছে।
নাঈমার ব্যতিক্রমী গবেষণা নাসার এসবিজি মিশন দিয়েই শুধু শেষ হয়নি। এটি নাসার জেট প্রপালশন ল্যাবরেটরি ও প্ল্যানেট ল্যাবস পিবিসি আয়োজিত বিশিষ্ট ইভেন্টগুলোতেও প্রদর্শিত হয়েছে।
বৈজ্ঞানিক সম্প্রদায় তার অবদান এবং অনন্য দক্ষতার জন্য তার প্রশংসা করেছে। যা বিশেষত বিস্তৃত ভৌগলিক অঞ্চল জুড়ে মাটিতে জৈব পদার্থ সম্পর্কে জটিল বিবরণ প্রকাশ করার জন্য আলো ব্যবহারের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি আনতে প্রস্তুত।
নাঈমা শিক্ষাজীবনে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) থেকে ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রি অর্জন করেন।
এ ছাড়া জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চতর গণিত নিয়ে পড়ালেখা। এটি ইমেজিং বিজ্ঞানে তার প্রবেশের জন্য একটি শক্তিশালী ভিত্তি ছিল।
আরও পড়ুন: পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার জিতলেন ৩ বিজ্ঞানী
চিকিৎসায় নোবেল জিতেছেন ২ বিজ্ঞানী
১ বছর আগে
ভেঙে পড়ল সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিএনপির যুব সমাবেশের মঞ্চ
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিএনপির তিন সহযোগী সংগঠনের যুব সমাবেশের আনুষ্ঠানিকতা শুরুর আগেই কর্মসূচির জন্য তৈরি মঞ্চ ভেঙে পড়েছে।
শনিবার (২২ জুলাই) দুপুর দেড়টার দিকে জাতীয়তাবাদী যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু সমাবেশের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করার সময় এ ঘটনা ঘটে।
এদিকে দুপুর ২টায় সমাবেশ শুরু হওয়ার কথা থাকলেও বেলা ৩টায়ও শুরু করতে পারেনি সমাবেশ।
এছাড়া বারবার অনুসারীদের মাটিতে বসে শৃঙ্খলা বজায় রাখার আহ্বান জানাতে দেখা গেছে নেতাদের।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গুর ব্যর্থতায় ঢাকার দুই মেয়রের পদত্যাগ চায় বিএনপি
বিএনপির সাংস্কৃতিক সংগঠনের শিল্পীরা প্রখর রোদে জনসমাগম উজ্জীবিত রাখতে ভাঙা মঞ্চে দেশাত্মবোধক গান ও ছোট নাটক পরিবেশন করতে থাকেন।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দুপুর ২টা ৪৫ মিনিটের দিকে ধসে পড়া মঞ্চে পা রাখেন। তিনি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখবেন এবং চলমান এক দফা আন্দোলন জোরদার করতে তরুণদের বিভিন্ন দিকনির্দেশনা দেবেন।
নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচনসহ তাদের এক দফা দাবি জানাতে হাজার হাজার বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা সমাবেশস্থলে সমবেত হন।
ঢাকার বিভিন্ন এলাকা থেকে যুব নেতা-কর্মীরা বিভিন্ন রঙের ক্যাপ পরিহিত ব্যানার, ফেস্টুন, প্ল্যাকার্ড ও দলের শীর্ষ নেতাদের প্রতিকৃতি নিয়ে সকাল থেকেই মিছিলে সমাবেশস্থলে জড়ো হতে শুরু করেন।
সমাবেশস্থলের প্রধান স্থান ছাড়াও আশপাশের সড়কে অবস্থান নেয় বিএনপি নেতা-কর্মীরা। এতে আশপাশের এলাকায় যান চলাচল ব্যাহত হয়।
যে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সমাবেশস্থলের চারপাশে বিপুল সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
বিএনপির সহযোগী সংগঠন জাতীয়তাবাদী যুবদল, ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দল তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে তরুণ প্রজন্মকে সম্পৃক্ত করার মূল উদ্দেশ্য নিয়ে সমাবেশের আয়োজন করেছে।
আরও পড়ুন: সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ‘তারুণ্যের সমাবেশে’ বিএনপি সমর্থকরা
কৃষিমন্ত্রীর হাতে এক দফার লিফলেট দিলেন বিএনপি নেতা মিলন
১ বছর আগে
যুগপৎ আন্দোলন: ঢাকায় গণতন্ত্র মঞ্চের গণমিছিল
বর্তমান সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার লক্ষ্যে বিরোধী দল ও জোটের যুগপৎ আন্দোলনের অংশ হিসেবে শুক্রবার রাজধানীতে গণমিছিল বের করে গণতন্ত্র মঞ্চ।
বেলা ১১টার দিকে গণতন্ত্র মঞ্চের নেতাকর্মীরা নয়াপল্টন এলাকায় জড়ো হয়ে জাতীয় প্রেসক্লাব থেকে মিছিল শুরু করে। এসময় অন্যান্য বিরোধী দল ও জোটগুলোর রাজধানীতে বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে মিছিল বের করে।
আরও পড়ুন: আ.লীগের জাতীয় কাউন্সিল বিবেচনায় ৩০ ডিসেম্বর ঢাকায় গণমিছিল করবে বিএনপি
দুপুর ২টায় মিছিল নিয়ে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জড়ো হন বিএনপির নেতাকর্মীরা। সকাল থেকে দলের শীর্ষ নেতাদের ছবি সম্বলিত প্ল্যাকার্ড নিয়ে নয়াপল্টন এলাকায় ভিড় শুরু করেন তারা। এলাকায় বিপুল সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী দুপুর আড়াইটার দিকে ১২ দলীয় জোটের ফকিরাপুল পানির ট্যাংক এলাকা, পুরানা পল্টন ক্রসিং থেকে জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট, এফডিসি ক্রসিং থেকে এলডিপি এবং বায়তুল মোকাররম মসজিদের উত্তর গেট থেকে জামায়াতে ইসলামীর মিছিল বের করে।
মিছিল শেষে বিরোধী দল ও জোটগুলো তাদের যুগপৎ আন্দোলন জোরদার করতে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করতে পারে।
২০১৮ সালের এই দিনে অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বার্ষিকী উপলক্ষে ৩০ ডিসেম্বরকে ‘কালো দিবস’ হিসেবে পালন করছে বিএনপি এবং অন্যান্য বিরোধী দল ও জোট।
বৃহস্পতিবার বিকালে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যরা তাদের পরবর্তী করণীয় নির্ধারণে বৈঠকে বসেন।
দলের স্থায়ী কমিটির একজন সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, তাদের যুগপৎ আন্দোলনের পরবর্তী কর্মসূচি হিসেবে তারা অবস্থান কর্মসূচি ঘোষণা করতে পারেন।
সরকারের পদত্যাগ, সংসদ ভেঙে দেয়া, ক্ষমতা হস্তান্তর নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার এবং নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনসহ ১০ দফা দাবিতে রাজধানীতে গণমিছিল কর্মসূচি পালন করতে যাচ্ছে বিএনপিসহ প্রায় ৩৩টি সমমনা রাজনৈতিক দল।
এর আগে ২৪ ডিসেম্বর সব বিভাগীয় শহর ও জেলা সদরে গণমিছিল কর্মসূচি পালন করে বিএনপি।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের জাতীয় কাউন্সিল কর্মসূচির কারণে ৩০ ডিসেম্বর একই কর্মসূচি পুনঃনির্ধারণ করেছে বিএনপি।
এদিকে বৃহস্পতিবার নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন বলেন, তাদের গণমিছিল কর্মসূচি শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হবে।
তিনি বলেন, আমাদের দলের নেতাকর্মীরা নয়াপল্টন কার্যালয়ের সামনে জড়ো হবে এবং দুপুর ২টায় মিছিল বের করবে।
জাহিদ জানান, তাদের মিছিলটি বিজয়নগর, কাকরাইল, শান্তিনগর, মালিবাগ, মগবাজার মোড় হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে নয়াপল্টনে গিয়ে শেষ হবে।
তিনি বলেন, এরই মধ্যে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনারের কাছ থেকে নয়াপল্টন থেকে মগবাজার পর্যন্ত মিছিল করার অনুমতি পেয়েছেন তারা।
আরও পড়ুন: যুগপৎ আন্দোলন: ৩৩টি বিরোধী দল রাজধানীতে গণমিছিল বের করবে
গণমিছিল সফলে প্রস্তুতি সভা করেছে সিলেট মহানগর বিএনপি
১ বছর আগে
১৪ বছর পর একই মঞ্চে বেইজ বাবা,ফুয়াদ ও আনিলা
দীর্ঘ বিরতির পর উত্তেজনা, পারফরম্যান্স ও চমক নিয়ে ফের ঢাকায় ফিরছে ফুয়াদ লাইভ! বৃহস্পতিবার আয়োজক সংস্থা স্কাই ট্র্যাকার ইউএনবিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
২০০৮ এর পর প্রায় ১৪ বছর পর আবার এক মঞ্চে একত্রিত হতে যাচ্ছেন ফুয়াদ, বেইজ বাবা সুমন ও আনিলা। এই ডিসেম্বর জমজমাট হতে যাচ্ছে আইসিসিবি এর মঞ্চ।
২৫ ডিসেম্বর (রবিবার) আইসিসিবি'র এক্সপো জোনে হবে এই কনসার্ট। এতে দেশের জনপ্রিয় আরও ৩০ তারকা শিল্পী অংশগ্রহণ করবেন। কনসার্টের লাইনআপ বেইজ বাবা সুমন, স্টোইক ব্লিস, পান্থ কানাই, আনিলা, এলিটা, রাফা, জোহাদ, ফাইরুজ, তাশফি, জেফার, তাসনিম আনিকা, ব্ল্যাক জ্যাং সহ আরও অনেকে।
আরও পড়ুন: কবে অনুষ্ঠিত হবে ব্যাচেলর পয়েন্ট চতুর্থ সিজনের শেষ পর্ব?
শোনা যাচ্ছে, স্কুল জীবনের জনপ্রিয় মিউজিশিয়ান এবং প্রিয় গান 'আবার জিগায়' তারকা স্টোইক ব্লিস এবার ফুয়াদ লাইভে হাজির হবেন দীর্ঘদিন পর। দর্শকদের জন্য এক্সপো জোনের গেট ওপেন হচ্ছে ২৫ তারিখ বিকাল ৪ টায়।
বেইজ বাবা সুমন এই কনসার্ট নিয়ে তার ফেসবুক পেজে লিখেছেন, ‘ফুয়াদ এর সঙ্গে শেষ বার স্টেজে উঠেছিলাম ২০১৮ সালে জয় বাংলা কনসার্টে। আমার শরীরের অবস্থা তখন ভয়ংকর খারাপ ছিল। হাতে ওয়াকিং স্টিক নিয়ে অনেক সাবধানে স্টেজে উঠি সেদিন। ঠিকমত গান গাইতে পারিনি অসুস্থতার কারণে। আমার শারীরিক অবস্থা এতটাই খারাপ ছিল যে সেদিন বলেছিলাম আবার কবে স্টেজে উঠবো অথবা আদৌ উঠবো কিনা আমি জানিনা। যাই হোক, ২০২২ সালের শেষে এসে আজ এই স্ট্যাটাস লিখছি একটি বিশেষ কারণে। আগামী ২৫ তারিখ স্টেজে উঠছি আবার ফুয়াদের সঙ্গে।’
তিনি আরও লেখেন, ‘গতবছর চট্টগ্রামে দীর্ঘ চার বছর পর অর্থহীনের ফেরত আসার কনসার্টটা আমার জন্য অনেক ইমোশনাল একটা ব্যাপার ছিল। আগামী ২৫ তারিখটাও আমার জন্য একটা বিশেষ দিন হয়ে থাকবে। ইনশাআল্লাহ সেদিন কোন প্রকার ক্রাচের সাহায্য ছাড়াই সুস্থ অবস্থাতেই স্টেজে উঠবো। স্টেজে আমাকে, ফুয়াদকে এবং আনিলাকে একই সঙ্গে দেখতে পাবেন। সবাই ভাল থাকবেন।’
স্কাই ট্র্যাকার লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা দোজা এলান বলেন, ‘আমরা ফুয়াদ লাইভকে ২০১৯ সাল এর পর আবারও মঞ্চে নিয়ে আসছি, একটি দীর্ঘ বিরতির পর। ফুয়াদ লাইভে বেইজ-বাবা সুমন, ফুয়াদ এবং আনিলার একই মঞ্চে উপস্থিতি অনেক উত্তেজনা তৈরি করবে বলে আশা করা যাচ্ছে কারণ এটি ভক্তদের জন্য একটি অনন্য চমক হবে।’
আরও পড়ুন: শেষ হতে চলেছে ব্যাচেলর পয়েন্টের চতুর্থ সিজন
নুহাশের ‘পেট কাটা ষ’ এবার আন্তর্জাতিক অঙ্গনে
২ বছর আগে
নেতার পাশে দাঁড়ানো নিয়ে মারামারি, ভেঙ্গে পড়লো মঞ্চ!
মঞ্চে অবস্থান নিয়ে কেন্দ্রীয় নেতাদের উপস্থিতিতে চট্টগ্রামে বিএনপির সমাবেশে দুই গ্রুপের মধ্যে হাতাহাতি ও মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এতে কেউ আহত হয়নি।তবে হুড়োহুড়িতে সমাবেশের মঞ্চ ভেঙ্গে পড়েছে।
বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে উন্নত চিকিৎসার দাবিতে বুধবার দুপুরে কর্ণফুলী থানার সিডিএ আবাসিক মাঠে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপি আয়োজিত সমাবেশে এ ঘটনা ঘটে।
এ সময় দক্ষিণ জেলা বিএনপি নেতা সরওয়ার নিজামকে লাঞ্ছিত করে নেতাকর্মীরা।
কর্ণফুলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দুলাল মাহমুদ বলেন, ‘সকাল থেকেই বিএনপির নেতাকর্মীরা সমাবেশ স্থলে আসতে থাকে। অনুষ্ঠান শুরুর কিছুক্ষণ পরই তারা নিজেরাই মারামারিতে জড়ায়, তবে কেউ তেমন গুরুতর আহত হয়নি। বিএনপির এক নেতা লাঞ্ছিত হয়েছেন বলে শুনেছি। তবে এ ঘটনায় কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়েছে।প্রতক্ষ্যদর্শীরা জানান, সমাবেশের প্রধান অতিথি বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বক্তব্য দেয়ার সময় নেতাকর্মীরা হুড়োহুড়ি করে উঠতে গেলে দুই পক্ষের মধ্যে প্রথমে ধাক্কাধাক্কি ও হাতাহাতি শুরু হয়। এসময় হঠাৎ মঞ্চ ভেঙে পড়ে। এরপর দুই দলের সদস্যরা চেয়ার মারামারি ও লাঠিসোটা নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়।
আরও পড়ুন: বিএনপির সমাবেশ বন্ধ করতে নতুন বিধিনিষেধ: রিজভী
পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে প্রধান অতিথি আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, দক্ষিণ জেলার আজকের সমাবেশ বাঁধ ভেঙেছে সরকার পতন আন্দোলনের। কিছুতেই জনগণকে আটকে রাখা যাবে না। এত লোকের সমাবেশ মঞ্চ তো ভাঙবেই। আন্দোলন বন্ধ হবে না, চলতে থাকবে।তিনি আরও বলেন, ১৪৪ ধারার দিন শেষ হয়ে গেছে। দফায় দফায় অনুমতি নিয়ে জনসভার দিন শেষ হয়ে গেছে। দেশের মানুষ আজ ঐক্যবদ্ধ।এ সমাবেশে আবু সুফিয়ানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা জয়নাল আবেদীন ফারুক, বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম, কেন্দ্রীয় যুবদলের সভাপতি সাইফুল আলম, দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি জাফরুল ইসলাম চৌধুরী, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম ছাড়াও কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতারা বক্তব্য দেন।
সমাবেশকে ঘিরে সকাল থেকে দক্ষিণ চট্টগ্রামের আনোয়ারা, পটিয়া, বোয়ালখালী, বাঁশখালী, সাতকানিয়া, লোহাগাড়া, চন্দনাইশ ও কর্ণফুলী উপজেলা থেকে নেতা-কর্মীরা সমাবেশে যোগ দেন।
আরও পড়ুন: বিএনপির ১০ নেতাকর্মীর পাঁচ বছরের কারাদণ্ড
বিরোধী ও ভিন্নমত দমনে সরকার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ব্যবহার করছে: বিএনপি
২ বছর আগে