শান্তি মিশন
স্পিকারের সঙ্গে সফররত জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেলের সাক্ষাৎ
জাতিসংঘের ম্যানেজমেন্ট স্ট্র্যাটেজি, পলিসি অ্যান্ড কমপ্লায়েন্স বিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল ক্যাথরিন পোলার্ড শনিবার বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সঙ্গে তার কার্যালয়ে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সাক্ষাৎকালে তারা নারীর ক্ষমতায়ন, লিঙ্গ সমতা, রোহিঙ্গা ইস্যু, সংসদ অধিবেশন এবং শান্তি মিশনে নারীদের অংশগ্রহণ নিয়ে আলোচনা করেন।
স্পিকার বলেন, বাংলাদেশের সংবিধানে নারী ও পুরুষের সমান অধিকারের কথা বলা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নারীর ক্ষমতায়ন ও লিঙ্গ সমতা নিশ্চিতকরণে বাংলাদেশ প্রশংসনীয় অগ্রগতি অর্জন করেছে।
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনা ভোট ও ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছেন: স্পিকার
তিনি আরও বলেন, ‘শেখ হাসিনার বিশেষ উদ্যোগের মাধ্যমে আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় একটি পরিবারের স্বামী-স্ত্রী উভয়ের যৌথ নামে একটি বাড়ি প্রদান করা হচ্ছে, যার ফলে নারীদের অধিকার সুরক্ষিত হচ্ছে।’
শিরীন শারমিন বলেন, সরকার গর্ভবতী ও স্তন্যদানকারী মায়েদের জন্য নগদ ভাতা প্রদান করছে। সরকার সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতায় বিধবা ভাতা, বয়স্ক ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা ইত্যাদির ব্যবস্থা করেছে, যা দেশের চরম দারিদ্র্যের হার কমিয়ে আনছে।
আরও পড়ুন: শ্রমিক-মালিক ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায় স্মার্ট বাংলাদেশের ভিত রচনা করতে হবে: স্পিকার
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, নারী শান্তিরক্ষীদের প্রথম বৈঠকে তার অংশগ্রহণের কথা উল্লেখ করে স্পিকার বলেন যে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশের নারীরা দক্ষতা ও সুনামের সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছেন।
জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশের দীর্ঘদিনের ও উল্লেখযোগ্য অবদানের কথা স্বীকার করেন ক্যাথরিন।
তিনি নারীর ক্ষমতায়নে বাংলাদেশের সাফল্যের প্রশংসা করেন।
জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আব্দুল মুহিত, জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেলের বিশেষ সহকারী দারাগ রাসেল এবং সংসদ সচিবালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতি হামিদের সঙ্গে সাক্ষাত করেছেন স্পিকার শিরীন শারমিন
১ বছর আগে
মালিতে জাতিসংঘের শান্তি মিশনে যাচ্ছে বিমান বাহিনীর ৭০ সদস্য
মালিতে মোতায়েন জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশ বিমান বাহিনী তার ১১০ সদস্যের একটি কন্টিনজেন্ট যোগ দিতে যাচ্ছে (এমআইএনইউএসএমএ)।
শুক্রবার আইএসপিআর-এর এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এই মোতায়েনের অংশ হিসেবে, জাতিসংঘের চার্টার্ড এয়ারক্রাফটে (ইথিওপিয়ান এয়ারলাইন্স) ৭০ জন সদস্য মালির উদ্দেশ্যে ঢাকা ছেড়েছেন।
কন্টিনজেন্টের বাকি সদস্যরা ২ মার্চ মালির উদ্দেশ্যে রওনা হবেন। মালিতে মোতায়েন হতে যাওয়া বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর কন্টিনজেন্টের নেতৃত্ব দেবেন গ্রুপ ক্যাপ্টেন এটিএম ইরফানুর রহমান, পিএসসি।
বাংলাদেশ বিমান বাহিনী মালিতে দক্ষতা, পেশাদারিত্ব ও আন্তরিকতার সঙ্গে দ্বন্দ্ব প্রশমনে তাদের দায়িত্ব পালন করে সুনাম অর্জন করেছে।
মালির উদ্দেশ্যে যাত্রার আগে হযরত শাহজাহাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ডিপার্চার লাউঞ্জে ভবিষ্যতে কন্টিনজেন্টের সফলতা কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
আরও পড়ুন: ৮টি বিমানবন্দরের অবকাঠামো প্রকল্পের কাজ শেষ হবে চলতি বছরেই: বেবিচক প্রধান
বিমান যাত্রার সময় সহকারী বিমান বাহিনী প্রধান (অপারেশন্স) এয়ার ভাইস মার্শাল এএইচএম ফজলুল হক বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল শেখ আব্দুল হান্নান ২০২৩ সালের ৪ জানুয়ারি কন্টিনজেন্ট সদস্যদের ব্রিফ করেন এবং মিশনের সাফল্যের জন্য বিশেষ মোনাজাত করেন।
অনুষ্ঠানে বিমান বাহিনী প্রধান তাদের সততা, পেশাদারিত্ব ও আন্তরিকতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর পাশাপাশি দেশের জন্য সম্মান বয়ে আনতে পরামর্শ দেন।
বিদেশে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলের প্রতি শ্রদ্ধা, মমতা ও যত্নের মাধ্যমে আন্তরিকতার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করার পরামর্শ দেন তিনি।
তাছাড়া তিনি জাতিসংঘের বিভিন্ন বিধিবিধান মেনে বিদেশে নজিরবিহীন দৃষ্টান্ত স্থাপনের জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: থার্ড টার্মিনালের ৬০ শতাংশ কাজ সম্পন্ন: বিমান প্রতিমন্ত্রী
১ বছর আগে
শান্তি মিশনে সরকারি কর্মকর্তাদের পাঠানোর প্রস্তাবে মন্ত্রণালয়ের সায়
জাতিসংঘ শান্তি মিশনে সরকারি কর্মকর্তাদের পাঠানোর প্রস্তাবে সায় দিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। রাজধানীর ওসমানি স্মৃতি মিলনায়তনে ডিসি সম্মেলনে অংশ নিয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সিনিয়র সচিব কে এম আলী আজম।শান্তি মিশনে কর্মকর্তাদের পাঠানোর প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে মন্ত্রণালয়ের অভিমত জানতে চাইলে জনপ্রশাসন সিনিয়র সচিব বলেন, ইউএন মিশনের বিষয়টি নির্ভর করে ওই দেশের, যে দেশে যাবে এবং ইউএনের পক্ষ থেকে চাহিদা প্লেস করার বিষয়ে। আমরা এটা দেখেছি এই পর্যন্ত যে দেশের লোকজন ইউএন মিশনে বেশি কাজ করে ওই দেশে এই সুযোগ সুবিধা পান।আমরা যাতে আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে পেতে পারি এ জন্য আমাদের স্থায়ী প্রতিনিধি ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে পত্র দেয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছি।
আরও পড়ুন: প্রথমবার জাতিসংঘে শান্তিরক্ষা মিশনে যাচ্ছেন বাংলাদেশি ৪ নারী বিচারক
দেশের তিনটি বিভাগে সরকারি কর্মচারীদের জন্য হাসপাতাল নির্মাণের প্রস্তাবেও সম্মতি দেয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।
আলী আজম বলেন, ‘বিভাগীয় পর্যায়ে সরকারি কর্মচারীদের জন্য হাসপাতাল করার জন্য আমরা তিনটি বিভাগ থেকে প্রস্তাব পেয়েছি। ইতোমধ্যে বিভাগীয় পর্যায়ে হাসপাতাল নির্মাণের জন্য প্রধানমন্ত্রী নীতিগত সিদ্ধান্ত দিয়েছেন। যে সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব আমরা পেয়েছি তার পরিপ্রেক্ষিতে আমরা পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি এটি নির্মাণ করার জন্য, কার্যক্রম চলমান রয়েছে।’তিনি বলেন, ‘বাস্তবায়ন পরীবিক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ (আইএমইডি) আমাদের একটি অনুরোধ জানিয়েছে যেহেতু তাদের জেলা পর্যায়ে তাদের শাখা নেই। জেলা প্রশাসকরা যাতে তাদের এই কার্যক্রম মনিটর করে এজন্য একটি শাখা গঠন করার জন্য।
আরও পড়ুন: শান্তিরক্ষীদের নিরাপত্তা, সুরক্ষায় বৃহত্তর প্রস্তুতি নেয়ার আহ্বান বাংলাদেশের
‘আমাদের জনবল বা শাখা গঠন করতে হলে একটি সুনির্দিষ্ট পদ্ধতি আছে। সেটা অর্থ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন প্রয়োজন, কেবিনেটের মাধ্যমে এটি গঠন করতে হয়। আমাদের বর্তমান যে জনবল কাঠামো সেখানে এক্সিস্টিং অবস্থায় আছে তার মধ্য থেকে সমন্বয় করে একটি শাখা গঠন করার জন্য আমরা তাদের অনুরোধ জানিয়েছি।’করোনা মহামারির মধ্যে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতেও জেলা প্রশাসকদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলে জানান জনপ্রশাসন সিনিয়র সচিব। তিনি বলেন, ‘করোনার বিষয়ে আমাদের বক্তব্য সব সময় একই রকম। আপনারা জানেন এখন ওমিক্রন এসেছে। এটির সিভিয়ারিটি কম থাকলেও ছড়াচ্ছে খুব বেশি।’
এ কারণে জেলা প্রশাসকরা আগে যেমন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন সেই ভাবে এখনও সর্বোচ্চ সতর্ক থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে যাতে সব কার্যক্রম জেলা পর্যায়ে পরিচালিত হয়।
আরও পড়ুন: মালিতে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা পদক পেলেন বাংলাদেশের ১৪০ পুলিশ
২ বছর আগে