ঠাণ্ডা
কুড়িগ্রামে বেড়েছে শীতের তীব্রতা
উত্তরের জেলা কুড়িগ্রামে শীত জেঁকে বসেছে। শীতের প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় ঠাণ্ডায় জবুথবু হয়ে পড়েছেন এ অঞ্চলের মানুষ। সূর্যের দেখা মিললেও উত্তাপ কম রয়েছে।
বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) সকালে কুড়িগ্রাম আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, আজ সকাল ৬টায় জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৪দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
দেখা গেছে, সন্ধ্যার পর থেকে সকাল পর্যন্ত কুয়াশায় ঢেঁকে থাকছে গোটা জনপদ। শীতবস্ত্রের অভাবে বিপাকে পড়েছেন নদ-নদী তীরবর্তী চর ও দ্বীপ চরের মানুষজন।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে জেঁকে বসেছে শীত
নভেম্বরের মাঝামাঝি থেকে জেলায় শীত অনুভূত হচ্ছে। ধীরে ধীরে এর তীব্রতা বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে গত এক সপ্তাহ থেকে জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে মধ্যে উঠানামা করছে।
শীত নিবারণের জন্য মধ্যবিত্ত পরিবারগুলো আগাম প্রস্তুতি গ্রহণ করলেও নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া ও শ্রমজীবী মানুষগুলো শীতবস্ত্র সংগ্রহ নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন।
আরও পড়ুন: শীতের শুরুতে ঢাকায় বেড়েছে গরম কাপড়ের বিক্রি
রাজারহাট উপজেলার নাজিম খান ইউনিয়নের মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘কয়েকদিন থেকে খুবই শীত। আজ সকালে যে শীত পড়ছে তাতে রাস্তা দেখায় যায় না। এ রকম ঠাণ্ডা ও শীত হলে আমার মতো বয়স্ক মানুষদের জন বেশ সমস্যা হয়।’
জানা গেছে, শীতার্ত মানুষের জন্য জেলা প্রশাসন থেকে ৯ উপজেলা ও ৩ পৌরসভায় ৪৫ হাজার কম্বল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
কুড়িগ্রাম রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার বলেন, ‘বুধবার সকালে জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৪ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা আগামীতে আরও কমার সম্ভাবনা রয়েছে।’
আরও পড়ুন: শীত-কুয়াশায় বিপর্যস্ত কুড়িগ্রামের জনজীবন
১ বছর আগে
শীতে মাগুরায় পিঠা খাওয়ার ধুম
মাগুরায় শীতের ঠাণ্ডা হাওয়ায় ভেসে বেড়ানো ভাপা, চিতই পিঠাসহ নানা ধরনের পিঠার ঘ্রাণ সর্বত্র বয়ে যাচ্ছে। সকালের কুয়াশা ভেদ করে মিষ্টি রোদের ছোঁয়া পাশাপাশি এই সব পিঠা মানবকুলে বৈচিত্র আনে।
শীতকালে মুখরোচক খাদ্য হিসেবে পিঠা বাঙালির ঐতিহ্যের অংশ। এই সময় প্রতিটি ঘরে নানা রকমের পিঠা তৈরি করা হয়। তবে ভাপা পিঠা বাংলাদেশের একটি ঐতিহ্যবাহী পিঠা, যা প্রধানত শীতকালে খাওয়া হয়ে থাকে। আর এ শীতকালকে ঘিরেই মাগুরায় বিভিন্ন বাজারে অনেক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী পিঠা, গরম কাপড়সহ নানা ধরনের ব্যবসাও করে থাকেন।
আরও পড়ুন: ধোঁয়া-ওঠা গরম গরম পিঠা খাওয়ার ধুম পড়েছে খুলনায়
সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, শীতের শুরুতেই জেলার অনেক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী রাস্তার পাশে স্কুল-কলেজের মাঠে এমনকি ফাস্টফুডের দোকানগুলোতে ভাপা পিঠা বিক্রি শুরু হয়েছে। প্রধানত চালের গুঁড়ার মধ্যে কিছু খেজুরের অথবা আখের গুড় দিয়ে তার ওপর আবার চালের গুঁড়া দিয়ে গরম পানির ভাপে তৈরি করা হয় এ মজাদার পিঠা। স্বাদ বাড়ানোর জন্য দেয়া হয় নারিকেল।
সারা দিনের কর্মব্যস্ততা কাটিয়ে ফুটপাথে গড়ে তোলা পিঠাপুলির দোকানে এসে ভিড় জমান জেলার বিভিন্ন শ্রেণির ক্রেতা। ক্রেতাদের জন্য দোকানে দুই পাশে রাখা হয়েছে লম্বা বেঞ্চ। দোকানে বেচাকেনা হয় ভালো, যা আজকাল পিঠা উৎসবে পরিণত হয়েছে।
পিঠা তৈরি করে সংসার চালাচ্ছে অনেক নারী ও পুরুষ বিক্রেতারা। তাদেরই একজন মো. আবদুল আলিম (৩৫)। চার সন্তানের বাবা আলিম পিঠার ব্যবসা করেই সন্তানদের লেখাপড়া ও সংসারের খরচ বহন করছেন। তবে তার এ ব্যবসায় পুরোপুরি সহযোগিতা করছেন তার স্ত্রী।
আলিম বলেন, ‘পিঠা বিক্রি করে যা আয় হয় তা দিয়ে আমার সংসার চলে। দুই ছেলে, দুই মেয়ে নিয়ে আমার সংসারে তেমন অভাব নেই।’
আরও পড়ুন: পাহাড়ে চলছে নবান্নের প্রস্তুতি
তিনি জানান, শীত এলেই তিনি পিঠা বিক্রি করেন। কারণ এ সময় পিঠার ব্যবসা ভালো হয়। ভাপা পিঠা তৈরিতে খরচ ও সময় দুটোই কম লাগে। সব সময় ভিড় থাকে দোকানে। প্রতিদিন পিঠা বিক্রি করেই ৪০০ টাকা আয় হয় বলে জানান তিনি।’
এদিকে ফুটপাথে এই পিঠা ব্যবসাকে ঘিরে সারা দিনই চলে লোকজনের আসা-যাওয়া। এক কথায়, হরহামেশা ভিড় লেগে থাকে জেলার এসব দোকানে। সর্বস্তরের মানুষ ফুটপাথে তৈরি করা এ পিঠা ক্রয় করে ফুটপাথে বসেই খান। অনেকেই আবার পরিবারের জন্য পার্সেল করে নিয়ে যান। এতে করে এক শ্রেণির দরিদ্র মানুষ এই পিঠার ব্যবসা করে সংসার নির্বাহ করছে।
২ বছর আগে