ইটের আঘাত
বড় ভাইয়ের ইটের আঘাতে ছোট ভাইয়ের মৃত্যুর অভিযোগ
নওগাঁর বদলগাছীতে বড় ভাইয়ের ইটের আঘাতে ছোট ভাইয়ের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বুধবার (৬ ডিসেম্বর) বিকালে বদলগাছী উপজেলার মথুরাপুর ইউপির দরিয়াপুর গ্রামে এই ঘটনা ঘটেছে।
নিহত সাজু হোসেন ওই গ্রামের মৃত বেলাল হোসেনের ছেলে। আর অভিযুক্ত রাজু আহম্মেদ তার বড় ভাই।
আরও পড়ুন: হবিগঞ্জে যুবকের ইটের আঘাতে পুলিশ সদস্য নিহত
মথুরাপুর ইউপির চেয়ারম্যান মাসুদ রানা বলেন, বুধবার বিকালের দিকে দুই ভাই খড়ের পালা দিচ্ছিলেন। ছোট ভাই খড়ের পালার উপরে ছিলেন। আর বড় ভাই নিচ থেকে খড় তুলে দিচ্ছিলেন।
এমন সময় তাদের মধ্যে মোটরসাইকেল কিনা নিয়ে তর্ক শুরু হয়। একপর্যায়ে বড় ভাই নিচ থেকে ছোট ভাইকে উদ্দেশ্য করে ইট ছুঁড়ে মারেন। এতে তিনি আহত হলে বদলগাছী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এলে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়।
জানতে চাইলে বদলগাছী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মনিরুল ইসলাম বলেন, ঘটনাস্থলে এসেছি। এখনও কারণ জানা যায়নি। তবে চেষ্টা চলছে। আর আইনগত সব প্রক্রিয়া চলমান।
একই ভাবে বদলগাছী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহা. আতিয়ার রহমান বলেন, মৃত্যুর খবর শুনেছি। তবে কী কারণে মারা গেছে তা জানা যায়নি। লাশ উদ্ধার করার জন্য পুলিশ সদস্যরা সেখানে গিয়েছে। এ ব্যাপারে থানায় একটি মামলা দায়ের প্রক্রিয়াধীন আছে। রাজুকে গ্রেপ্তার করতে পুলিশের টিম মাঠে কাজ করছে।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় ‘দুর্বৃত্তের ছোঁড়া ইটের আঘাতে’ প্রাণ গেল শিশুর
বরিশালে বড় ভাইদের ইটের আঘাতে ছোট ভাইয়ের মৃত্যু
১১ মাস আগে
চাঁপাইনবাবগঞ্জে বাবার ইটের আঘাতে ছেলের মৃত্যু!
চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুরে পাওনা টাকা চাওয়া নিয়ে বিবাদের জেরে বাবার ইটের আঘাতে ছেলের মৃত্যুর অভিযোগ পাওয়া গেছে। রবিবার (১৮ জুন) সকালে উপজেলার ফুলবাড়ি বুরিন্দাপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত জিয়ারুল (৪০) গোমস্তাপুর উপজেলার ফুলবাড়ি বুরিন্দাপাড়া এলাকার অভিযুক্ত জয়নুদ্দিনের ছেলে।
আরও পড়ুন: নাটোরে বাবার হাসুয়ার কোপে ছেলের মৃত্যু
গোমস্তাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুবর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, সকালে বাবা-ছেলের মধ্যে জমি ক্রয় করা বাবদ ৪৩ হাজার টাকা পাওনাকে কেন্দ্র করে কথা কাটাকাটি হয়।
এক পর্যায়ে বাবা ক্ষিপ্ত হয়ে ছেলের পেটের নিচ দিকে ইট দিয়ে আঘাত করলে ঘটনাস্থলে তার মৃত্যু হয়।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ চাঁপাইনবাবগঞ্জ ২৫০ সয্যা বিশিষ্ট জেলা হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
ওসি আরও বলেন, এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
আরও পড়ুন: বরিশালে ট্যাংকারে বিস্ফোরণ: ছেলের মৃত্যুর পর বাবাও মারা গেলেন
নড়াইলে নবগঙ্গায় নৌকাডুবে মা ও ছেলের মৃত্যু
১ বছর আগে
চাঁদপুরে বড় ভাইয়ের ইটের আঘাতে ছোট ভাইয়ের মৃত্যু
চাঁদপুরের কচুয়ায় সম্পত্তি নিয়ে বিরোধকে কেন্দ্র করে বড় ভাইয়ের ইটের আঘাতে ছোট ভাইয়ের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে উপজেলার কড়ইয়া ইউনিয়নে ৬নম্বর ওয়ার্ড প্রধানিয়া বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে।
নিহত সিরাজুল ইসলাম (৫১) ও অভিযুক্ত তাজুল ইসলাম (৫৫) ওই বাড়ির মৃত জমির উদ্দিন প্রধানিয়ার ছেলে।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকি, চাঁদপুরে শিবির কর্মী আটক
নিহতের স্ত্রী মাকসুদা বেগম বলেন, দীর্ঘদিন ধরে বাড়িতে সম্পত্তি নিয়ে বিরোধ চলছে। এর জের ধরে শুক্রবার সকালে তাজুল ইসলামের পরিবারের সঙ্গে ছোট ভাই সিরাজুল ইসলামের কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে ক্রুদ্ধ হয়ে বড় ভাই তাজুল ইসলাম, তার স্ত্রী রহিমা বেগম, বড় ছেলে সাইফুল ইসলাম ও ছোট ছেলে আবিদ সংঘবদ্ধ হয়ে সিরাজুল ইসলামের ওপর হামলা করে। হামলায় তাজুল ইসলামের ছোঁড়া ইটে মাথায় লেগে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন সিরাজুল। তাৎক্ষণিক তাকে কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতালের চিকিৎসক শাহনাজ সুলতানা বিপাশা পরীক্ষা করে সিরাজুলকে মৃত ঘোষণা করেন।
কচুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইব্রাহিম খলিল ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, এরই মধ্যে এ ঘটনায় আমরা তাজুল ইসলামসহ তিনজনকে আটক করেছি। ঘটনায় জড়িত বাকি একজনকে আটকের চেষ্টা চলছে।
তিনি জানান, সিরাজুলের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য দুপুরে চাঁদপুর জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
ওসি আরও জানান, এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন। পোস্টমর্টেম রিপোর্ট পাওয়ার পর মামলা হবে।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে রাস্তার পাশ থেকে বিএনপি নেতার লাশ উদ্ধার
চাঁদপুরে ট্রেনে কাটা পড়ে নারীর মৃত্যু
২ বছর আগে
বড় ভাইয়ের ইটের আঘাতে ছোট ভাই নিহত!
সিরাজগঞ্জের সলঙ্গায় জমি নিয়ে বিরোধের জেরে বড় ভাইয়ের ইটের আঘাতে ছোট ভাই নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। শুক্রবার সন্ধ্যায় উপজেলার পাঁচলিয়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
নিহত বাবলু মিয়া (৪৫) ওই গ্রামের মৃত ওয়াহেদ আলীর ছেলে।
অভিযুক্ত বড় ভাই আব্দুল মজিদ এ ঘটনার পর পলাতক রয়েছেন।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে মাছধরা নিয়ে বিরোধে ২ ভাই নিহত
সলঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল কাদের জিলানী জানান,পাঁচলিয়া গ্রামের মৃত ওয়াহেদ আলীর দুই ছেলের মধ্যে বেশ কিছুদিন ধরে জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছিল। এরই জের ধরে শুক্রবার সন্ধ্যায় দুই ভাইয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে বড় ভাই আব্দুল মজিদ ছোট ভাই বাবলু মিয়াকে ইট দিয়ে মাথায় আঘাত করে। এতে বাবলু মারাত্মক আহত হয়। পরিবারের সদস্যরা আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে সংঘর্ষে ২ ভাই নিহত
ওসি জানান, শনিবার সকালে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যা বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। এ ব্যাপারে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
২ বছর আগে
ফেনীতে ভাতিজার ইটের আঘাতে চাচা খুন!
ফেনীর দাগনভূঞায় পারিবারিক কলহের জেরে দুই ভাতিজার ইটের আঘাতে চাচা নুরুল আফসার (৪৫) খুন হয়েছেন। শুক্রবার রাতে উপজেলার জায়লস্কলর ইউনিয়নের উত্তর জায়লস্কর গ্রামের শাহ আলম মাস্টার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
হত্যার অভিযোগে নিহতের ভাই শফিকুর রহমানের স্ত্রী রোকেয়া বেগম, তার ছেলে জাহেদ ও জনিসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
নিহত নুরুল আফসার ওই এলাকার আফছার আব্দুল বারিকের ছেলে। তিনি পেশায় সিএনজি চালক ছিলেন।
আরও পড়ুন: নির্বাচনী সহিংসতায় মেহেরপুরে সহোদর ‘খুন’
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, শুক্রবার বিকেলে ঘর ঝাড়ু দেয়া আবর্জনা পথে ফেলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে রোকেয়া বেগমের সঙ্গে নিহত আফছারের স্ত্রীর ঝগড়া শুরু হয়। এরপর নারীদের এই ঝগড়ায় বাড়ির পুরুষ সদস্যরাও যুক্ত হয়। এ সময় তাদের চাচা নুরুল আফছার ঝগড়া থামাতে এগিয়ে গেলে দুই ভাতিজা জনি ও জাহিদ আরও ক্ষিপ্ত হন। তারা চাচার পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তুলে ঝগড়া শুরু করেন। এক পর্যায়ে তারা চাচা নুরুল আফছারকে এলোপাথাড়ি কিল,ঘুসি ও ইট দিয়ে বুকে আঘাত করেন। এসময় নিহত নুরুল আফসার মাটিতে লুটিয়ে পড়েন এবং ঘটনাস্থলেই মারা যান।
এবিষয়ে জায়লস্কর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মামুনুর রশিদ মিলন জানান, চাচা নুরুল আফছারের সঙ্গে আগে থেকেই ভাতিজা জনি ও জাহিদের বিরোধ ছিল। সে কারণে তারা আগে থেকেই চাচার ওপর ক্ষিপ্ত ছিল।
আরও পড়ুন: সুপারি চুরির ঘটনায় লক্ষ্মীপুরে ছুরিকাঘাতে অটোরিকশা চালক খুন
দাগনভূঞা থানার ওসি (তদন্ত) পার্থ দেব জানান, এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী পারভীন আক্তার বাদী হয়ে থানায় হত্যা মামলা করেছেন। এছাড়া নিহতের ভাই শফিকুর রহমানকেও মামলার আসামি করা হয়েছে।
দাগনভূঞা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইমাম হাসান জানান, পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ফেনী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে। এ ঘটনায় তিন জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
২ বছর আগে