দুই সন্তান
সিলেট ওসমানী হাসপাতাল থেকে দুই সন্তানসহ মা নিখোঁজ
সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে পারভীন বেগম (৩০) নামের দুই শিশু সন্তানসহ এক নারী নিখোঁজ হয়েছেন।
শুক্রবার (২০ অক্টোবর) ওসমানী হাসপাতালের চতুর্থ তলার ৫ নম্বর ওয়ার্ড থেকে তারা নিখোঁজ হন বলে জানিয়েছে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ (এসএমপি)।
আরও পড়ুন: সিলেটে নিখোঁজ হামিমকে পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দিল পুলিশ
নিখোঁজেরা হলেন- মোছা. পারভীন বেগম (৩৫), ইমাদ আহমদ (৫) ও সাদিয়া আক্তার (৪ মাস)।
রবিবার (২২ অক্টোবর) এক বিবৃতিতে এসএমপির গণমাধ্যম শাখা জানায়, মৌলভীবাজার সদর উপজেলার খলিলপুর গ্রামের মৃত আব্দুল লতিফের ছেলে আব্দুর রহিম (৪০) গত ১৪ অক্টোবর তার কিডনি রোগে আক্রান্ত ছেলে ইমাদ আহমদকে (৫)- সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৪র্থ তলার ৫নং ওয়ার্ডে ভর্তি করেন।
ভর্তিকৃত শিশু ইমাদের সঙ্গে মা মোছা. পারভীন বেগম এবং বোন সাদিয়া আক্তার হাসপাতালে অবস্থান করছিলেন। গত শুক্রবার সকাল ১১ টার দিকে তাদের রেখে ওষুধ কিনতে হাসপাতালের বাইরে যান আব্দুর রহিম। এর একঘন্টা পর দুপুর ১২টার দিকে আব্দুর রহিম ওয়ার্ডে ফিরে স্ত্রী ও দুই সন্তানকে খুঁজে পাননি।
পরবর্তীতে সম্ভাব্য সকল স্থানে খোঁজাখুজি করেও তার স্ত্রী-সন্তাদের কোনো সন্ধান না পেয়ে এসএমপি’র কোতোয়ালি মডেল থানায় একটি নিখোঁজ ডায়রি করেন।
নিখোঁজদের সন্ধান পাওয়া গেলে এসএমপি’র কোতোয়ালি মডেল থানা (ডিউটি অফিসার মোবা-০১৩২০-০৬৭৫৭৩, এসআই/খন্দকার জাফর ইমাম-০১৭৫৫-২২৩৫৩৮) যোগাযোগ করার জন্য সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষ থেকে অনুরোধ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে নদীতে মাছ ধরতে গিয়ে কিশোর নিখোঁজ
কুড়িগ্রামে নিখোঁজের ৭দিন পর পুকুরে মিলল ইঞ্জিনিয়ারের লাশ
১ বছর আগে
মা ও দুই সন্তানকে কুপিয়ে হত্যা: প্রধান আসামি জহিরুল গ্রেপ্তার
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে প্রবাসীর স্ত্রী ও দুই সন্তানকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় প্রধান আসামি জহিরুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
নরসিংদীর মাধবদী উপজেলা টাটাপাড়ার শ্বশুরবাড়ি থেকে মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) রাতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার জহিরুল ইসলাম নিহত জেকি আক্তারের বড় বোনের মেয়ের স্বামী। তার বাড়ি নরসিংদীর মাধবদী থানার আলগীরচর গ্রামে। তার বাবার নাম আব্দুল খালেক।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির সদস্য সচিব গ্রেপ্তার
বাঞ্ছারামপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূরে আলম জহিরুল ইসলামকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, বুধবার সকালে জহিরুল ইসলামকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আদালতে পাঠানো হয়।
তিনি আরও জানান, মা ও দুই সন্তানকে হত্যার ঘটনায় নিহত জেকি আক্তারের বাবা আবুল হোসেন বাদী হয়ে মঙ্গলবার রাতে মামলা দায়ের করেন। ঘটনার পর পরই ট্রিপল মার্ডারের রহস্য উদঘাটন করতে বাঞ্ছারামপুর থানা পুলিশ, জেলা গোয়েন্দা পুলিশ, পিবিআই, সিআইডিসহ আইনশৃংখলা বাহিনীর একাধিক টিম কাজ শুরু করে।
নিহত জেকি আক্তারের বাবা আবুল হোসেন বলেন, এই শোক সইতে পারব না। আমার মেয়ে ও নাতিদের পরিকল্পিতভাবে খুন করেছে জহিরুল।
উল্লেখ্য যে, গত মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে বাঞ্ছারামপুর উপজেলার আইয়ুবপুর ইউনিয়নের চর ছায়ানি দক্ষিণপাড়ায় ঘরের দরজা ভেঙে জেকি আক্তার ও তার দুই ছেলের লাশগুলো উদ্ধার করা হয়। তবে বিছানায় জেকির কন্যা শিশু সন্তান নয় মাসের অজিহাকে অক্ষত অবস্থায় পাওয়া গেছে।
আরও পড়ুন: বগুড়ায় বিচারকের সই জাল করে আসামিদের অব্যাহতি, সাবেক পেশকারসহ গ্রেপ্তার ৫
ভোলায় নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মাছ ধরায় ৩৪ জেলে গ্রেপ্তার
১ বছর আগে
সিলেটে স্ত্রী ও দুই সন্তান হত্যায় একজনের মৃত্যুদণ্ড
সিলেটে শ্বাসরুদ্ধ করে স্ত্রী ও দুই সন্তানকে হত্যার দায়ে হাসান মুন্সি নামে একজনের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। সেই সঙ্গে তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সিলেটের অতিরিক্ত মহানগর আদালতের বিচারক নুরে আলম ভুঁইয়া এ রায় দেন।
এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন আদালতের অ্যাডিশনাল পিপি জুবায়ের বখত।
আরও পড়ুন: জয়পুরহাটে হত্যা ও মাদক মামলায় একজনের মৃত্যুদণ্ড, ৩ জনের যাবজ্জীবন
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হলেন- হাসান মুন্সি ওরফে কামরুল হাসান। তিনি গোপালগঞ্জ জেলার মাকসুদপুর খালপার কমলাপুরের নজরুল মুন্সির ছেলে। তিনি হত্যাকাণ্ডের আগে স্ত্রী সন্তান নিয়ে সিলেট নগরীর দক্ষিণ সুরমার ঝালোপাড়া খেয়াঘাট গলির প্রবাসী কামালের কলোনির ৫ নম্বর বাসায় ভাড়া থাকতেন।
মামলার বরাত দিয়ে আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সালের ৩০ জুলাই সকালে নগরীর দক্ষিণ সুরমার ঝালোপাড়া খেয়াঘাট গলির প্রবাসী কামালের মালিকানাধীন সেমিপাকা ঘরের বাথরুম থেকে গৃহবধূ জনি আক্তার জয়নব ওরফে শিউলি (৩৫), তার সন্তান মিম (১৫) ও তাহসিনের (১৩) গলিত মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় নিহত শিউলির চাচাতো ভাই নগরীর কালিবাড়ি এলাকার বাসিন্দা বাদশা মিয়া বাদী হয়ে হাসান মুন্সিসহ অজ্ঞাত পাঁচজনের নামে হত্যা মামলা দায়ের করেন।
অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, শিউলি ও হাসান মুন্সির ১৬ বছরের দুই সন্তান হয়। একটি পোশাক কারখানায় চাকরি নিয়ে ২০১৮ সালের জুলাইয়ে ঢাকায় আসেন হাসান। আর পরিবারের লোকজনকে রেখে আসেন সিলেটের সুরমার ঝালোপাড়ায় ভাড়া বাসায়।
২০১৮ সালের ৩০ জুলাই সন্ধ্যার পর বাদী জানতে পারেন হাসান মুন্সি তার চাচাতো বোন ও ভাগ্নিদের ওই বছরের ২৬-২৮ জুলাইয়ের কোনো একদিন হত্যা করেন এবং বাসায় বাইরে থেকে তালা মেরে পালিয়ে যান।
৩০ জুলাই সকালে দুর্গন্ধ ছড়ালে ঘরের দরজা ভেঙে বাথরুম থেকে গলিত অবস্থায় তাদের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
মামলাটি প্রথমে তদন্ত করেন সিলেটের দক্ষিণ সুরমা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) লোকমান আহমদ।
পিবিআইয়ের পরিদর্শক কামরুজ্জামান তদন্ত শেষে ২০১৯ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি একমাত্র হাসান মুন্সিকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
মামলাটি বিচারের জন্য অত্র আদালতে পাঠানো হলে আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠনের পর ১২ জন সাক্ষী সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে আদালত হাসান মুন্সিকে মৃত্যুদণ্ড দেন।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় জজ মিয়া হত্যা মামলায় একজনের মৃত্যুদণ্ড
মুন্সীগঞ্জে কিশোরীকে ধর্ষণের পর হত্যার দায়ে একজনের মৃত্যুদণ্ড
১ বছর আগে
দুই সন্তানের সামনে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে স্ত্রীকে হত্যা
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে পারিবারিক কলহের জের ধরে দুই সন্তানের সামনে স্ত্রী আঁখি আক্তারকে (৩২) হাত-পা বেঁধে হাতুড়ি পেটা করে হত্যা করেছে সাইদুল ইসলাম।
বৃহস্পতিবার (২ ফেব্রুয়ারি) রাতে উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নের চেঙ্গাকান্দি গ্রামে এই ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছে সাইদুল।
পরে স্বজনরা আঁখি আক্তারকে উদ্ধার করে সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে গৃহবধূর আত্মহত্যা!
এ ঘটনায় সোনারগাঁ থানায় মামলা দায়ের হয়েছে।
নিহত আঁখি আক্তার উপজেলার পিরোজপুর গ্রামের ইব্রাহিম প্রধানের মেয়ে এবং স্বামী সাইদুল ইসলাম পাশ্ববর্তী চেঙ্গকান্দি গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে।
এছাড়া দাম্পত্য জীবনে তাদের অর্ণব (১২) ও সিয়াম (১০) নামের দুই সন্তান রয়েছে।
স্থানীয়রা জানায়, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে পারিবারিক কলহের জের ধরে সাঈদুল দুই ছেলের সামনেই তার স্ত্রীকে হাত-পা বেঁধে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করেছে। তিনি প্রায়ই স্ত্রীকে মারধর করতেন।
বৃহস্পতিবার রাতে হঠাৎ তাদের ঘর থেকে ছেলেদের চিৎকার শুনে গিয়ে তারা সেখানে যেয়ে দেখেন আঁখির হাত-পা বাঁধা। মাথার বিভিন্ন অংশ থেতলানো। পরে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতের প্রত্যক্ষদর্শী ছেলে অর্ণব (১২) জানায়, বিভিন্ন সময়ে বাবা-মা ঝগড়া করতেন। বৃহস্পতিবার রাতে ঝগড়ার একপর্যায়ে বাবা তার মাকে হাত-পা বেঁধে ঘরে থাকা হাতুড়ি দিয়ে পিটায়। তখন আমরা চিৎকার দিলে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে বাবা পালিয়ে যান। পরে মাকে হাসপাতালে নিলে তিনি মারা যান। আমরা মায়ের হত্যার বিচার চাই।
সোনারগাঁ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহাবুব আলম বলেন, গৃহবধূ হত্যার খবর শুনে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এছাড়া অভিযুক্ত স্বামী পলাতক রয়েছেন। তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
আরও পড়ুন: বরিশালে প্রেমিককে ভিডিও কলে রেখে প্রেমিকার আত্মহত্যা!
কুমিল্লায় চিরকুট লিখে ইন্টার্ন চিকিৎসকের আত্মহত্যা!
১ বছর আগে
বাবার মামলা খারিজ, দুই সন্তান থাকবে জাপানি মায়ের কাছে
সেই দুই শিশু তাদের বাংলাদেশি বাবার কাছে নয়, জাপানি মা নাকানো এরিকোর জিম্মায় থাকবে বলে আদেশ দিয়েছেন আদালত।
রবিবার বিকালে ঢাকার দ্বিতীয় অতিরিক্ত সহকারী জজ ও পারিবারিক আদালতের বিচারক দুরদানা রহমান বাবা ইমরান শরীফের করা মামলা খারিজ করে এ আদেশ দেন।
এদিকে, রায় শুনে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন মা জাপানি চিকিৎসক নাকানো এরিকো। এছাড়া, বড় মেয়ে নাকানো জেসমিন মালিকাও এ রায়ে খুশি।
আরও পড়ুন: দুই সন্তান জাপানি মায়ের কাছে থাকবে ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত
২২ জানুয়ারি দুই পক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে একই আদালত রায় ঘোষণার জন্য আজকের দিন ধার্য করেছিলেন।
জাপানি মা নাকানো এরিকোর আইনজীবী শিশির মনির বলেন, বাংলাদেশি বাবা প্রকৌশলী ইমরান শরীফ দুই সন্তান নিজ হেফাজতে রাখার যে মামলা করেছেন তা খারিজ করে দিয়েছেন আদালত।
ফলে দুই শিশু মায়ের কাছেই থাকছে।
আদালত মনে করছেন, মায়ের জিম্মায় থাকলে শিশুদের মঙ্গল হবে। তাই দুই শিশুকে জিম্মায় নিতে বাবা যে আবেদন করেছিলেন তা খারিজ করে দেন আদালত।
রায়ে আদালত আরও জানান, মেয়েদের নিয়ে জাপান যেতে পারবেন তাদের মা। এছাড়া দুই শিশুর বাবা ইমরান শরীফ যে মামলা করেছিলেন তাও খারিজ করে দেন।
রায়ের পর্যবেক্ষণে বিচারক বলেন, নাবালক বা নাবালিকা-তাদের হেফাজত নির্ণয়ে সবচেয়ে বেশি মঙ্গল যেটি তা গুরুত্বপূর্ণ। শারীরিক, মানসিক ও পারিপার্শ্বিক তথা সব কিছু বিবেচনায় রেখে মামলা নিষ্পত্তিতে গুরুত্ব দেয়া হয়।
এছাড়া বাবার কাছে থাকলে মেয়ে দুটির মঙ্গল হবে কিনা তা প্রমাণ করতে ব্যর্থ হয়েছেন তাদের বাবা।
আরও পড়ুন: দুই শিশুকে বিদেশে নিতে জাপানি মায়ের আবেদন খারিজ
রায়ের পর্যবেক্ষণে বিচারক আরও বলেন, নাবালিকা দুই শিশুর বসবাসের স্থান জাপান। তাদের মা জাপানের চিকিৎসক। তাই মায়ের হেফাজতে তাদের শারীরিক-মানসিক নিরাপত্তা থাকবে বলে মনে করেন আদালত।
জাপানি চিকিৎসক নাকানো এরিকোর আইনজীবী শিশির মনির বলেন, এটি একটি যুগান্তকারী রায়। এ রায়ে আমরা সন্তুষ্ট।
এদিকে ইমরান শরীফের আইনজীবী নাসিমা আক্তার লাভলী বলেন, এই আদেশের বিরুদ্ধে আমরা আপিল করবো।
মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত দুই সন্তানের বিদেশ যাওয়ার সুযোগ নেই।
জাপানি চিকিৎসক নাকানো এরিকোর সঙ্গে বাংলাদেশি প্রকৌশলী ইমরান শরীফের বিয়ে হয় ২০০৮ সালে।
দাম্পত্য কলহের জেরে ২০২০ সালের শুরুতে বিচ্ছেদের আবেদন করেন এরিকো।
এরপর ইমরান স্কুলপড়ুয়া বড় দুই মেয়েকে নিয়ে বাংলাদেশে চলে আসেন। ছোট মেয়ে জাপানে এরিকোর সঙ্গে থেকে যান।
মেয়েদের জিম্মা পেতে করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে গত বছরের জুলাইয়ে বাংলাদেশে আসেন এ জাপানি নারী। তিনি হাইকোর্টে রিট আবেদন করলে তাদের সমঝোতায় আসতে বলেন বিচারক। তবে ওই দম্পতি সমঝোতায় না আসায় কয়েক মাস ধরে শুনানির পর হাইকোর্ট দুই সন্তানকে বাবার হেফাজতে রাখার সিদ্ধান্ত দেন। পাশাপাশি মা যাতে সন্তানদের সঙ্গে দেখা করতে পারেন, তা নিশ্চিত করতে বাবাকে খরচ দিতে বলা হয়।
হাইকোর্টের ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করেন শিশুদের মা নাকানো এরিকো। পরে আপিল বিভাগ এক আদেশে শিশু দুটিকে মায়ের জিম্মায় রাখার নির্দেশ দিলেও বাবা সেটা না মানায় বিচারকরা উষ্মা প্রকাশ করেন।
পরে আদালত শিশু দুটিকে বাবার হেফাজত থেকে এনে তাদের সঙ্গে কথা বলেন এবং পরে মায়ের হেফাজতে দেয়ার আদেশ দেন।
এরপর গত বছর ১৩ ফেব্রুয়ারি দুই মেয়ে কার জিম্মায় থাকবে, তার নিষ্পত্তি পারিবারিক আদালতে হবে এবং তার আগ পর্যন্ত দুই শিশু তাদের মায়ের কাছেই থাকবে বলে সিদ্ধান্ত দেন আপিল বিভাগ।
এরপর আপিল বিভাগ থেকে মামলাটি পারিবারিক আদালতে আসে।
এদিকে, গত ২৩ ডিসেম্বর রাতে দুই সন্তান নিয়ে জাপানে যাওয়ার জন্য ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যান এরিকো নাকানো।
আরও পড়ুন: জাপানি মায়ের কাছে থাকবে দুই শিশু, পারিবারিক আদালতে নিষ্পত্তির নির্দেশ
আদালতের নির্দেশনা অমান্য করে সন্তানদের নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করায় তাকে বিমানবন্দর থেকে পুলিশ ফিরিয়ে দেয়।
এ ঘটনায় ২৯ ডিসেম্বর বাবা ইমরান শরিফ ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আরাফাতুল রাকিবের আদালতে মামলা করেন।
আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে পিবিআইকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।
১ বছর আগে
চুরি দেখে ফেলায় সৎ ভাগ্নি ও তার দুই শিশুপুত্রকে হত্যা করে আইয়ুব আলী!
টাকা চুরি করা দেখে ফেলায় সৎ ভাগ্নি রওশন আরা ও তার দুই শিশুপুত্রকে হত্যা করেছে সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ার তাঁত শ্রমিক আইয়ুব আলী।
গ্রেপ্তারের পর পুলিশের কাছে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে তিনি এ কথা জানিয়েছে।
সোমবার দুপুরে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান সিরাজগঞ্জের পুলিশ সুপার মো. আরিফুর রহমান মন্ডল।
গ্রেপ্তার আইয়ুব আলী সাগর উল্লাপাড়া উপজেলার নন্দিগাঁতী গ্রামের মৃত মোকছেদ মোল্লার ছেলে। এছাড়া তিনি নিহত রওশন আরার সৎ মামা।
পুলিশ সুপার মো. আরিফুর রহমান মন্ডল বলেন, শনিবার (১ অক্টোবর) বিকালে বেলকুচি উপজেলার মবুপুর পশ্চিমপাড়া গ্রামের নিজ ঘর থেকে রওশন আরা (২৯), তার দুই ছেলে জিহাদ (১০) ও মাহিন (৩) এর লাশ উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন: জমি নিয়ে বিরোধে পল্লী চিকিৎসক খুন!
এ ঘটনায় নিহত রওশন আরার ভাই নুরুজ্জামান জামান বাদী হয়ে বেলকুচি থানায় মামলা দায়ের করেন।
এ হত্যার রহস্য উদঘাটনে পুলিশের একটি চৌকস টিম গঠন করা হয়।
রবিবার (২ অক্টোবর) দিবাগত রাত সোয়া ১২টার দিকে নিজ বাড়ির সামনে থেকে আসামি আইয়ুব আলী ওরফে সাগরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারের পর তাঁত শ্রমিক আইয়ুব আলী সাগরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তিনি জানান, তাঁতের পেশার আয় দিয়ে সংসার না চলায় দেড় বছরের মধ্যে চারটি এনজিও থেকে এক লাখ ২০ হাজার টাকা ক্ষুদ্র ঋণ নেয় আইয়ুব আলী। সংসার চালানোর পাশাপাশি ঋণের কিস্তি পরিশোধ করতে ব্যর্থ হয়ে হতাশাগ্রস্ত হয়ে গত ২৬ সেপ্টেম্বর তার সৎ ভাগ্নি রওশন আরার কাছে টাকা ধার চান।
কিন্তু রওশন আরা তার কাছে টাকা নেই বলে জানিয়ে দেয়।
আসামি আইয়ুব আলী রওশন আরার ঘরে থাকা চারটি ট্রাঙ্ক দেখে এর ভেতরে টাকা আছে ধারণা করে সে চুরির সিদ্ধান্ত নেয়।
২৮ সেপ্টেম্বর সে আবারও রওশন আরার বাড়িতে যায় এবং রাতে তাদের বাড়িতে থেকে যায়। রাতে সবাই একসঙ্গে খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়ার পর আইয়ুব আলী চাবি নিয়ে ট্রাঙ্ক খুলে খোঁজাখুঁজি করতে থাকে।
একপর্যায়ে রওশন আরা ঘুমের মধ্যে নড়চড়া করা দেখে তার চুরি দেখে ফেলেছে ভেবে আইয়ুব আলী পাটার শিল দিয়ে প্রথমে ভাগ্নি রওশন আরার বুকে আঘাত করে ও পরে গলাটিপে হত্যা করে।
এরপর ছোট শিশু মাহিন জেগে উঠলে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে এবং সবশেষে অপর শিশু জিহাদ ঘুম থেকে জেগে উঠলে তাকেও শ্বাসরোধ করে হত্যা করে আইয়ুব আলী।
মা ও দুই সন্তানকে হত্যার পর ঘরের চারটি ট্রাঙ্ক খুলে টাকা খুঁজতে থাকে এবং কোনো প্রকার টাকা-পয়সা না পেয়ে ভোরের আজান হলে ঘরের বাইরে দরজায় শিকল দিয়ে পালিয়ে যায় সে।
তবে নিহত রওশন আরার স্বামী দ্বিতীয় বিয়ে করে অন্যত্র বাস করায় দুই শিশু সন্তানদের নিয়ে রওশন আরা মবুপুর পশ্চিমপাড়া গ্রামের মাঠের মধ্যে ফাঁকা জায়গায় ঘর নির্মাণ করে বসবাস করতো।
আরও পড়ুন: বসতঘরে মিললো যুবকের ঝুলন্ত লাশ
খুলনায় কলেজছাত্রের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
২ বছর আগে
মিতু হত্যা: বাবুলের দুই সন্তানের জবানবন্দি নিতে নির্দেশ
সাবেক পুলিশ সুপার (এসপি) বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলায় তাদের দুই সন্তানের জবানবন্দি নিতে পিবিআই কর্মকর্তাদের চট্টগ্রাম থেকে মাগুরায় যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। মাগুরা জেলা সমাজ সেবা কার্যালয়ে শিশুদের জবানবন্দি গ্রহণ করতে পিবিআইয়ের তদন্ত কর্মকর্তাকে এ নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
বুধবার (৮ জুন) বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন ও বিচারপতি সাহেদ নুরউদ্দিনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ শিশির মনির। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সারোয়ার হোসেন বাপ্পী।
আইনজীবী শিশির মনির জানান, দায়রা জজ আদালত শিশু দুটিকে মামলার তদন্ত কর্মকর্তার কাছে নিয়ে অর্থাৎ চট্টগ্রামে নিয়ে শিশু আইন অনুযায়ী জিজ্ঞাসাবাদ করতে বলেছেন। কিন্তু আমরা হাইকোর্টে বলেছি, শিশু আইন অনুযায়ী একজন সমাজসেবা কর্মকর্তা, শিশুদের অভিভাবক ও শিশুবিষয়ক পুলিশ কর্মকর্তার উপস্থিতিতে শিশুদের তাদের নিজ বাড়িতেই রেখে কথা বলতে হবে। আদালত শুনানি নিয়ে মাগুরায় গিয়ে পিবিআই কর্মকর্তাদের শিশু দুটির জবানবন্দি নিতে নির্দেশ দিয়েছেন।
জানা গেছে, ২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে চট্টগ্রাম নগরের নিজাম রোডে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার পথে দুর্বৃত্তদের গুলি ও ছুরিকাঘাতে খুন হন মাহমুদা খানম মিতু। ওই সময় এ ঘটনা দেশজুড়ে ব্যাপক আলোচিত হয়। ঘটনার সময় মিতুর স্বামী তৎকালীন পুলিশ সুপার বাবুল আক্তার অবস্থান করছিলেন ঢাকায়। ঘটনার পর চট্টগ্রামে ফিরে তিনি পাঁচলাইশ থানায় অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
পরে বাবুল আক্তারের দায়ের করা মামলায় স্ত্রী হত্যাকাণ্ডে তারই সম্পৃক্ততা পায় পিবিআই। এরপর গত বছরের ১২ মে আগের মামলায় চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার দিন বাবুল আক্তারকে প্রধান আসামি করে চট্টগ্রাম নগরের পাঁচলাইশ থানায় মামলা দায়ের করেন মিতুর বাবা সাবেক পুলিশ পরিদর্শক মোশাররফ হোসেন। ওইদিনই মামলাটিতে বাবুলকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠায় পিবিআই। সেই থেকে কারাগারে আছেন তিনি। মামলা দুটির তদন্ত করছে পিবিআই।
পড়ুন: মিতু হত্যা: আদালতের নির্দেশে বাবুল আক্তারের হাতের লেখার নমুনা সংগ্রহ
স্ত্রী খুনের মামলায় বাবুল আক্তারকে কেন জামিন নয়: হাইকোর্ট
২ বছর আগে
দুই সন্তান জাপানি মায়ের কাছে থাকবে ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত
জাপানি মা নাকানো এরিকোর কাছে দুই শিশু জেসমিন মালিকা ও লাইলা লিনা ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত থাকবেন বলে আপিল বিভাগ জানিয়েছে। রাজধানীর বারিধারার হোটেল ইসকর্ট প্যালেসে থাকবেন তারা। তবে প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে রাত ৯টার মধ্যে যেকোনো সময় শিশুদের সঙ্গে তাদের বাংলাদেশি বাবা ইমরান শরীফ দেখা করতে পারবেন। আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি এই মামলার পরবর্তী আদেশ দেবেন আপিল বিভাগ।
রবিবার আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. নুরুজ্জামানের নেতৃত্বাধীন ৫ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
আদালতে জাপানি মায়ের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার আজমালুল হোসেন কিউসি, অ্যাডভোকেট আহসানুল করিম। তাকে সহযোগিতা করেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির। বাংলাদেশি বাবা ইমরান শরীফের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ফিদা এম কামাল, অ্যাডভোকেট ফাওজিয়া করিম। তাকে সহযোগিতা করেন ব্যারিস্টার মারুফুল ইসলাম।
আপিল বিভাগ শুনানিকালে বলেন, প্রধান বিচারপতি অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছেন। প্রধান বিচারপতিকে নিয়ে আমরা এই মামলা শুনব। পরে আদালত শুনানির জন্য ৬ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেন। আদালত বলেন, ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত আগের আদেশ বহাল থাকবে।
এর আগে, গত ৩ জানুয়ারি আপিল বিভাগ আদেশে বলেন, জাপানি দুই শিশু জেসমিন মালিকা ও লাইলা লিনা তাদের মা নাকানো এরিকোর সঙ্গে আগামী ২৩ জানুয়ারি পর্যন্ত রাজধানীর বারিধারার হোটেল ইসকর্ট প্যালেসে থাকবে। তবে প্রতিদিন সকাল ৯ থেকে রাত ৯টার মধ্যে যেকোনো সময় শিশুদের সঙ্গে তাদের বাংলাদেশি বাবা ইমরান শরীফ দেখা করতে পারবেন।
প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: হয়রানির উদ্দেশ্যে ডিজিটাল আইনে মিথ্যা মামলা করেছে জাপানি নারী!
গত ১৫ ডিসেম্বর আপিল বিভাগ আদেশে বলেন, দুই শিশু জেসমিন মালিকা ও লাইলা লিনা আগামী ৩ জানুয়ারি পর্যন্ত জাপানি মা নাকানো এরিকোর কাছে থাকবে। তবে প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে রাত ৯ টার মধ্যে যেকোন সময় বাবা ইমরান শরীফ শিশুদের সঙ্গে দেখা করতে পারবেন।
গত ৫ ডিসেম্বর দুই শিশু জেসমিন মালিকা ও লাইলা লিনাকে নিজের জিম্মায় নিতে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করেন জাপানি মা নাকানো এরিকো।
এর আগে, ২১ নভেম্বর দুই শিশু জেসমিন মালিকা ও লাইলা লিনা বাংলাদেশে তাদের বাবা ইমরান শরীফের কাছে থাকবে বলে রায় দেন হাইকোর্ট।
পড়ুন: দুই শিশুকে আগামী ২ দিন জাপানি মায়ের জিম্মায় দিতে নির্দেশ
২ বছর আগে