বাসভবন
সরকার যেখানে যাকে জেতাতে চেয়েছে সে জিতেছে: জিএম কাদের
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদের বলেছেন, সরকার যেখানে নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে চেয়েছে সেখানেই নিরপেক্ষ হয়েছে; যাকে জেতাতে চেয়েছে সে জিতেছে।
সোমবার (৮ জানুয়ারি) দুপুরে রংপুর নগরীর সেনপাড়ায় স্কাইভিউ বাসভবনে নির্বাচন পরবর্তী প্রতিক্রিয়ায় এ মন্তব্য করেন তিনি।
আরও পড়ুন: জাতীয় পার্টিকে ভোট দিন: জিএম কাদের
জিএম কাদের বলেন, নির্বাচন সার্বিকভাবে ভালো হয়নি। যে রকম আশঙ্কা করেছিলাম সেটাই হয়েছে। সরকার যেখানে নিরপেক্ষ করতে চেয়েছে সেখানে নিরপেক্ষ হয়েছে। সরকার যেখানে যাকে জেতাতে চেয়েছে সেটাই হয়েছে।
সরকারের নিয়ন্ত্রণে এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে জানিয়ে জিএম কাদের বলেন, আমার বিশ্বাস এ নির্বাচন গ্রহণযোগ্যতা পাবে না।
জিএম কাদের বলেন, একটি পক্ষ আমাদের রাজনীতিটা নষ্টের চেষ্টা করছে। এখানে সরকারও মদদ দিচ্ছে বলে আমার ধারণা।
জিএম কাদের বলেন, রবিবার যে নির্বাচন হয়েছে তাতে আমরা আশানুরূপ ফলাফল পাইনি। আমরা একটা পরিবেশ চেয়েছিলাম। আমরা চেয়েছিলাম যেন প্রশাসন নিরপেক্ষ থাকবে এবং আমাদের প্রার্থীরা অর্থ ও অস্ত্রের প্রভাবমুক্ত থাকবে।
আরও পড়ুন: নির্বাচনে জাতীয় পার্টিকে ‘বলির পাঁঠা’ করা হচ্ছে: জিএম কাদের
তিনি বলেন, তারা আমাদের কথা দিয়েছিলেন, নিশ্চিত করেছিলেন। কিন্তু ভোটারদের হুমকি, এজেন্টদের বের করে দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্র দখল করে ভোট দেওয়া হয়েছে। প্রশাসন সম্পূর্ণ তাদের পক্ষে কাজ করেছে। কিন্তু তারা কথা দেওয়ার পরেও কথা রাখেনি।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে জিএম কাদের বলেন, দল হিসেবে জাতীয় পার্টির অবস্থান যেখানে ছিল সেখানেই আছে।
এসময় ঢাকা, চাঁদপুর, জামালপুর, কুমিল্লা, শেরপুরসহ দেশের বিভিন্ন এলাকার চিত্র ধরে জিএম কাদের বলেন, এসব জায়গায় আমাদের প্রার্থীদের যথেষ্ট সম্ভাবনা ছিল বেরিয়ে আসার। কিন্তু সেটা করতে দেওয়া হয়নি।
নির্বাচনে অংশ নেওয়ার বিষয়ে জিএম কাদের বলেন, নির্বাচনে অংশ নেওয়া ভুল ছিল কি না- সে বিষয়ে এখনই মূল্যায়ন করা যাবে না। সামনের দিনগুলো দেখতে হবে।
ফলাফল প্রত্যাখ্যান এবং সংসদে না যাওয়ার বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি বলেও জানান জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের।
এসময় দলটির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও রংপুর সিটি মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফাসহ অন্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: সারাদেশে জাপা প্রার্থীদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে: জিএম কাদের
শরীয়তপুরে খাদ্যগুদাম কর্মকর্তার বাসভবন থেকে ১৩ বস্তা সরকারি চাল জব্দ, ভবন সিলগালা
শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জে খাদ্যগুদাম কর্মকর্তার বাসভবন থেকে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ১৩ বস্তা সরকারি চাল জব্দ করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। এরপর বাসভবনটি সিলগালা করে দেওয়া হয়।
শনিবার (১১ নভেম্বর) সকাল দিকে উপজেলা খাদ্যগুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকবাল মাহমুদের বাসভবন থেকে এসব চাল জব্দ করেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আব্দুল্লাহ আল মামুন।
আরও পড়ুন: সরকারি চাল কালোবাজারে বিক্রির অপরাধে আটক ২
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা যায়, ভেদরগঞ্জ উপজেলা খাদ্যগুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকবাল মাহমুদের বাসায় খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল মজুদ রাখা হয়েছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে শনিবার সেখানে অভিযান চালান ভ্রাম্যমাণ আদালত।
এসময় সেখান থেকে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ৩০ কেজির ৩ বস্তা ও ৫০ কেজির ১০ বস্তাসহ মোট ১৩ বস্তা চাল এবং এক হাজার ১০০ খালি চালের বস্তা জব্দ করা হয়। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে চালের বস্তাগুলো জব্দ করে বাসভবনটি সিলগালা করে দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক ও ভেদরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, খাদ্যগুদাম একটি স্পর্শকাতর জায়গা। এখানে সরকারের বিভিন্ন চাল মজুদ রাখা হয়।
তিনি আরও বলেন, সরকারি নির্দেশনা ছাড়া এখান থেকে একটি বস্তা চালও বাইরে নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। কিন্তু খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা নিজ বাসভবনে নিয়ে চালগুলো রেখেছেন।
তিনি বলেন, আমরা বিষয়টি জানতে চাইলে এর কোনো সদুত্তর তিনি দিতে পারেননি। এ কারণে চালগুলো জব্দের পর বাসভবনটি সিলগালা করে নোটিশ টানিয়ে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া, তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য জেলা প্রশাসক ও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।
এ বিষয়ে খাদ্যগুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকবাল মাহমুদের সঙ্গে কথা বলতে চাইলে তিনি কথা বলতে রাজি হয়নি।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে ১৪৮ মণ সরকারি চাল জব্দ, আটক ১
বাগেরহাটে জুট মিলে ১১৮৯ মেট্রিকটন সরকারি চাল জব্দ
প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা: বিএনপির ৩ নেতার আগাম জামিন
রাজধানীতে বিএনপির মহাসমাবেশ চলাকালে প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা, সরকারি কাজে বাধা দেওয়া, ককটেল বিস্ফোরণ এবং ভাঙচুরের অভিযোগে রমনা মডেল থানায় করা মামলায় বিএনপির তিন আইনজীবী নেতা আগাম জামিন পেয়েছেন।
মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমান ও বিচারপতি মো. বশির উল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: সুপ্রিম কোর্টে ভাঙচুর: খোকন-কাজলসহ ১৪ জনের আগাম জামিন
আগাম জামিন পাওয়া আইনজীবীরা হলেন- বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আইনজীবী জয়নুল আবেদীন, আইনজীবী নিতাই রায় চৌধুরী এবং বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন।
এর আগে গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশের দিন প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা, সরকারি কাজে বাধা, ককটেল বিস্ফোরণ ও ভাঙচুরের অভিযোগে ২৯ অক্টোবর রমনা মডেল থানায় পৃথক দুটি মামলা করে পুলিশ। পৃথক এই মামলায় আগাম জামিন চেয়ে ৫ নভেম্বর হাইকোর্টে আবেদন করেন বিএনপির এই তিন আইনজীবী নেতা।
আবেদনের শুনানি থাকায় মঙ্গলবার তারা আদালতে হাজির হন।
আদালতে জামিন আবেদনকারীদের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী।
তার সঙ্গে ছিলেন- আইনজীবী কায়সার কামাল, সুব্রত চৌধুরী, মো. রুহুল কুদ্দুস ও সগীর হোসেন প্রমুখ।
অন্যদিকে, রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কে এম মাসুদ রুমি।
পরে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মাসুদ রুমি বলেন, ‘তিনজনকে তিন সপ্তাহের আগাম জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। এই সময়ের মধ্যে তাদের বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে তারা দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখবেন বলে প্রত্যাশা করেছেন হাইকোর্ট। তারাও (তিনজন) এ বিষয়ে আদালতকে আশ্বস্ত করেছেন।’
জামিন আবেদনকারীদের আইনজীবী ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল বলেন, জয়নুল আবেদীন, নিতাই রায় চৌধুরী ও এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী। তাদের বিরুদ্ধে মামলার এজাহারে সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ নেই। এসব যুক্তিতে তাদের আগাম জামিন চাওয়া হয়েছিল।
আরও পড়ুন: ধর্ষণ মামলায় এএসপি সোহেলের জামিন মঞ্জুর
খুলনায় নারী ফুটবলারদের উপর হামলা: ৩ আসামির জামিন বাতিল
চবিতে ভাঙচুরের ঘটনায় ২ মামলা
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) উপাচার্যের বাসভবন এবং বাস ভাঙচুরের ঘটনায় দু’টি মামলা হয়েছে।
শনিবার (৯ আগস্ট) রাত ১১টার দিকে হাটহাজারী থানায় এসব মামলা হয়। একটিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা কর্মকর্তা শেখ মো. আবদুর রাজ্জাক এবং অন্যটিতে বাদী হয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার কে এম নূর আহমদ।
চট্টগ্রামের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু তৈয়ব মো. আরিফ হোসেন বলেন, ৭ সেপ্টেম্বরের ঘটনায় চবি প্রশাসনের পক্ষ থেকে হাটহাজারী থানায় দু’টি এজাহার দায়ের করা হয়েছে। চাঁদা দাবি ও ভাঙচুরের ঘটনায় মামলাগুলো দায়ের করা হয়েছে।
মামলা দু’টিতে ৭ জন করে ১৪ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ৪০০ থেকে ৫০০ জনকে আসামি করা হয়। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সহযোগিতায় নিবিড় তদন্তের মাধ্যমে এ ঘটনায় প্রকৃত অপরাধীদের আইনের আওতায় নিয়ে আসবেন এমনটাই জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: চবির শাটল ট্রেনের ছাদ থেকে পড়ে আহত ২০, রাতভর উত্তাল ক্যাম্পাস
এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে শহর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়গামী রাত সাড়ে ৮টার শাটল ট্রেনের ছাদে হেলে পড়া গাছের সঙ্গে ধাক্কায় ২০ জন শিক্ষার্থী আহত হন।
শিক্ষার্থীদের আহত হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়লে রাত সাড়ে ১০টার দিকে শাটল ট্রেন ক্যাম্পাসে পৌঁছানোর পর শিক্ষার্থীরা ঘটনার প্রতিবাদে ফটক আটকে বিক্ষোভ শুরু করেন।
এ সময় শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থানে ভাঙচুর চালাতে দেখা যায়। পরবর্তীতে একজনের মৃত্যুর গুজব ছড়িয়ে শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে উপাচার্যের বাসভবনের দিকে যান। একপর্যায়ে তারা উপাচার্যের ৩ তলা বাসভবনে ভাঙচুর শুরু করেন। ফুলের টব থেকে শুরু করে বিভিন্ন আসবাব, কক্ষ, জানালায় ভাঙচুর চালানো হয়। এ সময় আসবাব বের করে বাসভবনের উঠানে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেন তারা।
আরও পড়ুন: অতি বৃষ্টির কারণে চবির ২২ বিভাগের পরীক্ষা স্থগিত
উপাচার্যের বাসভবন ভাঙচুর করার পরপরই বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা পরিবহন দপ্তরে মিছিল নিয়ে যান। পরে সেখানে শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের যাতায়াতের জন্য রাখা অন্তত ৫০টি বাস ভাঙচুর করেন। পরে শিক্ষার্থীরা শিক্ষক ক্লাবের কয়েকটি কক্ষ ভাঙচুর করেন। এরপর শাটল ট্রেন চলাচলও বন্ধ হয়ে যায়।
পর দিন শুক্রবার বিকালে উপাচার্যের দপ্তরে এক সংবাদ সম্মেলনে এই ঘটনায় ৩টি পৃথক মামলা করা হবে বলে জানান উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার। তবে সংবাদ সম্মেলনের ২৪ ঘণ্টারও বেশি সময় পর ২টি মামলা দায়ের করার কথা নিশ্চিত করে পুলিশ।
আরও পড়ুন: চবি ফটকে তালা দিয়ে রাতে সাধারণ শিক্ষার্থীর ব্যানারে ছাত্রলীগের বিক্ষোভ
১০ দফা দাবিতে হাবিপ্রবি উপাচার্যের বাসভবনের সামনে ছাত্রীদের অবস্থান
১০ দফা দাবিতে হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (হাবিপ্রবি) উপাচার্যের বাসভবনের সামনে প্রায় ৪ ঘন্টা ধরে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের নবনির্মিত আবাসিক হলের ছাত্রীরা। শনিবার রাত সাড়ে নয়টা থেকে ১টা পর্যন্ত কর্মসূচি পালন করে তারা।
অবশেষে দাবি পূরণের আশ্বাস পেয়ে উপাচার্যের বাসভবনের সামনের অবস্থানস্থল থেকে হলে ফিরেন তারা।
ভুক্তভোগী ছাত্রীদের অভিযোগ, গত শুক্রবার রাত থেকে নবনির্মিত আবাসিক ছাত্রী হলে বিদ্যুৎবিহীন অবস্থায় রয়েছেন তারা। পরদিন সকালে সামান্য সময়ের জন্য বিদ্যুৎ মিললেও আবার চলে যায়। এভাবে আসা-যাওয়ার মধ্যে গতকাল শনিবার রাতে আবারো বিদ্যুৎ চলে গিয়ে আর আসেনি। এতে লেখাপড়া খাওয়া-দাওয়াসহ নিত্যকার কাজকর্ম করতে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন তারা।
সমস্যা সমাধানে ১০ দফা দাবি তুলেছেন তারা।
আরও পড়ুন: করোনাভাইরাস: হাবিপ্রবির শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগের নির্দেশ
তাদের দাবির মধ্যে রয়েছে- নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করা, রান্নার সুবিধার্থে প্রতিটি ব্লকে হিটার স্থাপন, প্রতিটি ফ্লোরে সুপেয় পানির ব্যবস্থা, বাথরুম ও করিডোরে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা, বিদ্যুতের লাইনে থ্রি-প্লাগ সুইচ , ডাইনিংয়ে খাবারের মান উন্নতকরণ, হলে প্রবেশের সর্বশেষ সময় রাত সাড়ে ৮টা করা, হিটার চেকের নামে হেনস্তা বন্ধ করা, গেস্ট অ্যালাও, অভিভাবদেরকে যথেষ্ট সম্মান দিয়ে কথা বলা এবং লিফ্ট ও রিডিংরুমের ব্যবস্থাসহ বিশেষ কারণে রাতে হলে ফিরতে দেরি হলে অকথ্য ও অপমানসূচক ভাষা পরিহার করা।
এছাড়াও নবনির্মিত আবাসিক ছাত্রী হলের স্থায়ী নামকরণের দাবি জানায়েছেন ছাত্রীরা।
এ ব্যাপারে নবনির্মিত ছাত্রী হলের হল সুপার অধ্যাপক ড. আফরোজা খাতুন জানান, ছাত্রীদের ১০ দফা দাবির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে আলোচনায় বসবেন তারা। যৌক্তিক দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মামুনুর রশীদ জানান, বিদ্যুৎ বিভ্রাট সমাধানে চেষ্টা চালাচ্ছেন তারা। যৌক্তিক দাবির বিষয়ে কর্তৃপক্ষীয় বৈঠকে বসবেন তারা।
আরও পড়ুন: হাবিপ্রবিতে দেশের প্রথম ভ্রাম্যমাণ ভেটেরিনারি ক্লিনিকের যাত্রা শুরু
হাবিপ্রবিতে জাতীয় বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি
বাংলাদেশে পয়েন্ট অব কেয়ার টেস্টিংয়ের বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে: শাবি অধ্যাপক
বর্তমানে বাংলাদেশে পয়েন্ট অফ কেয়ার টেস্টিং বা ডায়াগনসিসের বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে জানিয়েছেন সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. গোকুল চন্দ্র বিশ্বাস।
শনিবার বার্তা সংস্থা ইউএনবিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এতথ্য জানান।
তিনি জানান, পয়েন্ট অব কেয়ার টেস্টিং বা ডায়াগনসিস হলো এমন একটা প্রক্রিয়া, যেখানে মাইক্রো অথবা ন্যানো স্কেলের ডিভাইস বা চিপ ব্যবহার করে কোন ব্যক্তি নিজ বাসভবন বা কর্মক্ষেত্রে বসে অথবা নিকটবর্তী ক্লিনিকে দ্রুত সময়ে স্বল্প খরচে রোগ নির্ণয় করতে পারেন।
এছাড়াও বর্তমানে তার তত্ত্বাবধানে মাইক্রোফ্লুইডিক ভিত্তিক পয়েন্ট অব কেয়ার টেস্টিং নিয়ে গবেষণা কার্যক্রম চালু হয়েছে। তিনি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ব্যানবেইজ কর্তৃক গবেষণা অনুদানের মাধ্যমে ক্যান্সার এবং সংক্রামক ব্যাধির জন্য পয়েন্ট অব কেয়ার টেস্টিং বা ডায়গনোসিস সিস্টেম ডেভেলপ করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
অধ্যাপক ড. গোকুল চন্দ্র বিশ্বাস জানান, যেমন দু’টি উদাহরণ দেয়া যেতে পারে-আমাদের দেশে প্রতিনিয়তই ডায়াবেটিস টেস্ট করার জন্য গ্লুকোমিটার ও চিপ ব্যবহার করা হয়; অপরদিকে প্রেগনেন্সি টেস্ট স্ট্রিট ব্যবহার করে গর্ভধারণের পজেটিভ অথবা নেগেটিভ রেজাল্ট নির্ণয় করা হয়।
আরও পড়ুন: শাবিপ্রবিতে ১০দিনব্যাপী 'কিনে'র বইমেলা
এ দুক্ষেত্রেই ডাক্তারের কাছে যাওয়ার প্রয়োজন পড়ে না বরং মানুষ ঘরে বসেই তাদের প্রয়োজন সম্পাদন করতে পারেন। উন্নত বিশ্বে সংক্রামক ও অসংক্রামক ব্যাধিকে লক্ষ্য করে প্রচুর পরিমাণে পয়েন্ট অব কেয়ার টেস্টিং এর গবেষণা চলছে। এই টেস্টগুলোর মাধ্যমে বাংলাদেশের মত উন্নয়নশীল দেশগুলো অনেক বেশি লাভবান হতে পারে কারণ রোগীকে ডাক্তারের শরণাপন্ন কম হতে হয়, এবং ক্লিনিক বা হাসপাতালে যাওয়ার প্রয়োজন পড়ে না।
এতে করে অর্থ ও সময় দু’দিক থেকেই লাভবান হওয়া যায়।
তিনি আরও জানান, সম্প্রতি করোনাভাইরাস সংক্রমণ শনাক্তকরণকে ধরা যাক। যখন সারা বিশ্ব ঝুঁকেছে করোনাভাইরাসের জেনোম সিকুয়েন্সিং করার জন্য যাতে করে সুনির্দিষ্ট ভাবে করোনা শনাক্ত করা যায় তখন ল্যাটেরাল ফ্লো স্ট্রিপ ভিত্তিক এন্টিবডি টেস্ট বাজারে চলে এসেছে; যদিও এটা কনফার্মেটরি টেস্ট নয় তারপরও এ ধরনের টেস্ট অনেক উপকারী, কারণ ঘরে বসেই সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা যায়।
অপরদিকে কিছু দিন পর, এই ল্যাটেরাল ফ্লো স্ট্রিপ বা বিভিন্ন চিপ ভিত্তিক নিউক্লিক এসিড টেস্ট বা কনফার্মেটরি টেস্টও বাজারে এসেছে।
গতানুগতিক আরটি-পিসিআর ল্যাবের প্রয়োজন ছাড়াই পয়েন্ট অফ কেয়ার টেস্টিং মানুষের কর্মস্থলে রোগ শনাক্তকরণ প্রক্রিয়া পৌঁছে দিতে পারে।
এই ধরনের ডিভাইস বা রোগ নির্ণয় পদ্ধতি মূলত নির্ভর করে মাইক্রোফ্লুইডিক টেকনোলজি এর ওপর জানিয়ে অধ্যাপক গোকুল চন্দ্র বলেন, মাইক্রোফ্লুইডিক টেকনোলজি হল মাইক্রো লিটার আয়তনের সলিউশন বা রিএজেন্ট নিয়ে চিপের মধ্যে অল্প পরিমাণ বস্তু যেমন প্রোটিন বা ডিএনএ/আরএনএ বা অন্য কোন রাসায়নিক দ্রব্য নির্ণয় করা হয়।
আমাদের দেশে এ ধরনের রিসার্চ বা গবেষণার তেমন প্রচলন নেই। উন্নত বিশ্বে অনেকেই উচ্চ শিক্ষার সময় এই টেকনোলজি নিয়ে কাজ করেন কিন্তু বাংলাদেশে এসে গবেষণা অর্থের অভাবে তেমন সুবিধা করে উঠতে পারেন না।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের তেমন কোন গ্রুপ এখনো এ ধরনের টেকনোলজি নিয়ে কাজ করে তেমন সুফল পাননি। এর কারণ এই গবেষণার জন্য চিপ তৈরি বা প্রাথমিক দ্রব্যাদি প্রচুর অর্থনৈতিক সাহায্য দরকার। প্রচন্ড আগ্রহের কারণে তিনি স্বল্প বাজেটের প্রজেক্ট এর মাধ্যমে এই গবেষণা চালিয়ে যাওয়ার অভিব্যক্তি ব্যক্ত করেছেন।
রাসায়নিক দ্রব্যাদির প্রতূলতা সাপেক্ষে এবং নিরলস কাজ করে যেতে পারলে আগামী বছরের মধ্যে ঘরে বসে মাইক্রোফ্লুইডিক ডিভাইস বা চিপ এবং ল্যাটারাল ফ্লো স্ট্রিপ এর মাধ্যমে ক্যান্সার অথবা সংক্রামক ব্যাধি শনাক্ত করনের গবেষণা সম্পন্ন হবে।
এছাড়াও এই প্রকল্পের আওতায় একই সঙ্গে চার ধরনের ক্যান্সারের প্রাথমিক শনাক্তকরণ সম্ভব হতে পারে। তার ওপরে চেষ্টা করা হবে যাতে করে একই টেস্টের মাধ্যমে ক্যান্সারের স্টেজ বলা যায় কিনা অর্থাৎ কোন পেজের ক্যান্সার সেটা নির্ণয় করা সম্ভব হবে। প্রথমে খালি চোখে ক্যান্সার শনাক্তকরণের চেষ্টা করা হবে অর্থাৎ কলোরিমেট্রিক বা ফ্লুরোসেন্স ভিত্তিক বায়োসেন্সিং সিস্টেম ডেভলপ করা হবে।
পরবর্তীতে ইলেক্ট্রোকেমিক্যাল ডিটেকশন সিস্টেম তৈরি করার চেষ্টা করা হবে যাতে করে নিখুঁতভাবে ডিজিটাল পদ্ধতিতে রোগ নির্ণয় সম্ভব হয়।
আরও পড়ুন: আন্তর্জাতিক ম্যাথ চ্যালেঞ্জে শাবিপ্রবির ৯ শিক্ষার্থীর সিলভার ও ব্রোঞ্জ পদক অর্জন
মার্কিন রাষ্ট্রদূতের বাসভবনে ডিক্যাব সদস্যদের সংবর্ধনা
বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস বুধবার তার বাসভবনে ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশের (ডিক্যাব) সদস্যদের জন্য এক সংবর্ধনার আয়োজন করেন।
তিনি ব্যাখ্যা করেন যে বাংলাদেশে কূটনৈতিক সংবাদদাতারা যে কাজ করে তার জন্য তিনি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে চান।
আরও পড়ুন: ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ডিক্যাবের শ্রদ্ধা
রাষ্ট্রদূত হাস ডিক্যাবের সদস্যদের বলেন, ‘আপনাদের এটি একটি মহৎ পেশা এবং ক্রমবর্ধমানভাবে সারা বিশ্বে এটি একটি কঠিন ও বিপজ্জনক পেশা।’
তিনি বলেন, সাংবাদিকরা তাদের দেশে ঘটতে থাকা ঘটনা সম্পর্কে তাদের নিজ নাগরিকদের অবহিত করে গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানকে শক্তিশালী করতে প্রতিদিন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ‘এই ভূমিকা এখন আগের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।’
অনুষ্ঠানে অন্যান্য মিশনের বিদেশি কূটনীতিকরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ডিক্যাবের নতুন সভাপতি লোটাস, সাধারণ সম্পাদক মঈনুদ্দিন
শাবিপ্রবি উপাচার্যের বাসভবন ঘেরাও, বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন
সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে নতুন কর্মসূচি নিয়েছে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। এ কর্মসূচির অংশ হিসেবে তারা উপাচার্যের বাসবভন ঘেরাও করে রবিবার সন্ধ্যা ৭টা ২০ মিনিটে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে।
বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করায় উপাচার্যের বাসভবন, গেস্টহাউজ, শিক্ষক ডরমিটরি অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে পড়েছে। এতে ডরমিটরিতে থাকা শিক্ষকদের পাশাপাশি গেস্টহাউজে থাকা করোনা ল্যাবে কাজ করা ভলান্টিয়াররাও সমস্যা পড়েছেন।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা উপাচার্য ভবনের সামনে মানব-শেকল তৈরি করেছেন। তারা জানিয়েছেন, পুলিশ ব্যতিত কাউকে উপাচার্যের বাসভবনে প্রবেশ করতে দেয়া হবে না।
আরও পড়ুন: শাবিপ্রবি: আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে শিক্ষামন্ত্রীর আলোচনা, অচলাবস্থা কাটেনি