রোডম্যাপ
ভোটের সমতল মাঠ তৈরি হলে রোডম্যাপ অনুযায়ী নির্বাচন সম্ভব হবে: জামায়াত আমীর
বিচার, সংস্কার, জুলাই সনদ ও জুলাই ঘোষণাপত্র এবং ভোটের সমতল মাঠ তৈরি হলে রোডম্যাপ অনুযায়ী নির্বাচন সম্ভব হবে বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতে ইসলামের আমীর ডা. শফিকুর রহমান।
শনিবার (৭ জানুয়ারি) সকালে মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার ভাটেরা ইউনিয়নে নিজ গ্রাম তুলাপুর পাঁচগাঁও ঈদগাহে নামাজ আদায় শেষে তিনি এসব বলেন।
তিনি বলেন, ‘জাতি যেনতেন নির্বাচন চায় না। বিচার, সংস্কার, জুলাই সনদ ও জুলাই ঘোষণাপত্র এবং ভোটের সমতল মাঠ তৈরি হলে রোডম্যাপ অনুযায়ী নির্বাচন সম্ভব হবে। পরপর তিনবার মানুষ ভোট দেওয়ার কোনো সুযোগ পাননি। এবার নতুন ভোটার যুব সমাজকে ভোটের সুযোগ করে দিতে হবে।’
প্রধান উপদেষ্টা কোনো সহযোগিতা চাইলে তারা সহযোগিতা করবেন বলেও জানান জামায়াতের এই নেতা। তবে সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য দেশের সংকট দূর করা খুবই জরুরি বলে মনে করেন তিনি।
আরও পড়ুন: নিবন্ধন ও নির্বাচনী প্রতীক ফিরে পাবে জামায়াত: নির্বাচন কমিশনার
এর আগে, ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘ঈদুল আজহা ত্যাগ, কুরবানি ও আল্লাহর সন্তুষ্টির পরীক্ষা। এই মহিমান্বিত দিনে আমাদের প্রতিজ্ঞা হোক অন্যায়, জুলুম-নিপীড়ন ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার। দেশের চলমান সংকট উত্তরণে জাতিকে সত্য, ন্যায় ও ইসলামি আদর্শের পথে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।’
নামাজ শেষে এলাকার সাধারণ মানুষের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা ও কুশল বিনিময় করেন তিনি।
তার সঙ্গে আরও উপস্থিত ছিলেন সিলেট মহানগরীর আমীর ও কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য মো. ফখরুল ইসলাম, মৌলভীবাজার পৌর আমীর হাফেজ তাজুল ইসলাম, ছাত্রশিবির জেলা সভাপতি মো. নিজাম উদ্দিন, ভাটেরা ইউনিয়ন সভাপতি মাওলানা আব্দুল করিম ও ওয়ার্ড মেম্বার আব্দুল লতিফ প্রমুখ।
১৮১ দিন আগে
নির্বাচনের স্পষ্ট রোডম্যাপ না থাকায় হতাশ বিএনপি
রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বৈঠক করার পর এখন পর্যন্ত জাতীয় নির্বাচনের স্পষ্ট কোনো রোডম্যাপ ঘোষণা না করায় গভীর হতাশা প্রকাশ করেছে বিএনপি।
মঙ্গলবার (২৭ মে) এক সংবাদ সম্মেলনে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন দলের এ হতাশার কথা জানান।
তিনি বলেন, প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সম্প্রতি বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠকের পর যে বিবৃতি উপদেষ্টা পরিষদের পক্ষ থেকে দেওয়া হয়েছে—সেটি অস্পষ্ট ও বিভ্রান্তিকর।
বিএনপিরি এই নেতা বলেন, ‘আমরা কখনোই প্রধান উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি করিনি, এখনো করছি না। তবে আমরা শুরু থেকেই ২০২৫ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে একটি অবাধ, নিরপেক্ষ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার আহ্বান জানিয়ে আসছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘যত দ্রুত সম্ভব একটি নির্দিষ্ট ও সুস্পষ্ট রোডম্যাপ ঘোষণা করতে হবে।’
রাজনৈতিক উত্তেজনা ও নানা জল্পনা-কল্পনার মধ্যে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস শনিবার(২৫ মে) তার সরকারি বাসভবন যমুনায় আলাদাভাবে বিএনপি, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও ন্যাশনাল সিটিজেন পার্টির (এনসিপি) সঙ্গে বৈঠক করেন।
পরের দিন তিনি আরও ২০টি রাজনৈতিক দলের সাথে বৈঠক করেন।
আরও পড়ুন: ড. ইউনুসের নেতৃত্বে সবচেয়ে বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের আশা তারেক রহমানের
রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার সাম্প্রতিক বৈঠকের প্রতিক্রিয়া জানাতে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটি এই সংবাদ সম্মেলন করে।
খন্দকার মোশাররফ বলেন,‘ছাত্র-জনতার জুলাই আন্দোলনের চেতনা ধারণ করে এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো একটি নির্বাচিত রাজনৈতিক সরকার গঠন করা, যা মানুষের গণতান্ত্রিক, সাংবিধানিক ও ভোটাধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা করবে।’
‘অন্যথায়, জনগণের দল হিসেবে বিএনপির পক্ষে এই সরকারের সাথে সহযোগিতা অব্যাহত রাখা কঠিন হবে,’ বলেন, বিএনপির এই নেতা।
তিনি বলেন, ‘ডিসেম্বর নির্বাচন আয়োজনের জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত সময়। এর পর রমজান, বর্ষা ও এসএসসি, এইচএসসি পরীক্ষার মতো বিষয়গুলো রয়েছে, যা নির্বাচনকে ব্যাহত করতে পারে। আমরা সম্প্রতি এটি বলছি তা নয়, বেশ কিছুদিন ধরেই আমরা বলছি।’
বিএনপির নেতা অভিযোগ করেন, নির্বাচন বিলম্বিত করার জন্য বিভিন্ন অজুহাত দেওয়া হচ্ছে—যেমন সংস্কার কার্যক্রম, বিচার প্রক্রিয়া ইত্যাদি। তিনি বলেন, ‘সংস্কার চলমান প্রক্রিয়া, তাই এটি নির্বাচন প্রক্রিয়ার সঙ্গে সমান্তরালভাবেই চলতে পারে।’
তিনি আরও বলেন, স্বৈরাচারী শক্তি ও মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্তদের বিচার চলবে, তবে তা স্বাধীন বিচার বিভাগের অধীনে হওয়া উচিত।
তিনি সমালোচনা করে বলেন, ‘উপদেষ্টা পরিষদ এনইসি বৈঠকের পর যে বিবৃতি দিয়েছে, সেটি অস্পষ্ট ও বিভ্রান্তিকর। আমরা শুরু থেকেই উপদেষ্টা পরিষদকে তাদের দায়িত্ব পালনে সর্বাত্মক সহযোগিতা করে আসছি।’
আরও পড়ুন: নির্বাচনী রোডম্যাপ দাবিকে ‘মহাপাপ’ মনে করছেন কিছু উপদেষ্টা: রিজভী
তিনি আরও বলেন, ‘পরাজিত শক্তি ও বিদেশি ষড়যন্ত্রের উসকানি ও বিদেশি শক্তির ষড়যন্ত্রের কারণে সরকার তার দায়িত্ব পালনে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে। আমরা বলছি, কেবল সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ জাতীয় সংসদ নির্বাচনই পারে এসব ষড়যন্ত্রের মোকাবিলা করতে।’
তিনি বলেন, সরকারের জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবিলম্বে অনুষ্ঠানের জন্য একটি সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ ঘোষণা করা উচিৎ- এর কোনো বিকল্প নেই।’
বিএনপি আশা প্রকাশ করে বলেছে, অন্তর্বর্তী সরকার যেন জাতীয় ঐক্যের ভিত্তিতে দেশ চালায়, যাতে করে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি না ঘটে, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম নাগালের মধ্যে থাকে এবং বিনিয়োগ, ব্যবসা ও বাণিজ্যে গতি আসে।
বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, সরকারের নিরপেক্ষতার অভাব এবং শাসনব্যবস্থার দুর্বলতা জনমনে স্বাভাবিকভাবেই সন্দেহ ও অনিশ্চয়তা সৃষ্টি করেছে।
তিনি বলেন, ‘জুলাইয়ের ছাত্র-জনতার আন্দোলনের চেতনায় ঐক্যবদ্ধ রাজনৈতিক ও সামাজিক শক্তিগুলোর মধ্যে বিভাজন রোধে এবং সরকারের নিরপেক্ষতা রক্ষায় বিতর্কিত উপদেষ্টাদের অপসারণ জরুরি।’
মোশাররফ বলেন, ‘মানুষ রক্ত দিয়েছে ফ্যাসিবাদ হটিয়ে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে, কিন্তু সরকারের সাম্প্রতিক কিছু কর্মকাণ্ড জনমনে আবারও প্রশ্ন তুলেছে।’
ইশরাক হোসেনের শপথে বিলম্বের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র হিসেবে ইশরাক হোসেনের পক্ষে আদালতের রায় এলেও সরকার এখনও তার শপথ গ্রহণের ব্যবস্থা নেয়নি। ‘আমরা আশা করি, সরকার আর দেরি না করে যথাযথ পদক্ষেপ নেবে।’
আরও পড়ুন: নির্বাচনের রোডম্যাপ নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার কাছ থেকে আশ্বাস পায়নি বিএনপি বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে আয়োজিত এই সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন মির্জা আব্বাস, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সালাহউদ্দিন আহমেদ, সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু ও হাফিজউদ্দিন আহমেদ।
১৯১ দিন আগে
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে তিনটি রোডম্যাপ নিয়ে আলোচনা হয়েছে: নাহিদ
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে তিনটি রোডম্যাপ ও তার বাস্তবায়ন নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।
শনিবার (২৪ মে) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনাতে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি এসব বলেন।
নাহিদ বলেন, ‘আমাদের আলোচনার মূল বিষয় ছিলো তিনটি রোডম্যাপ। সেগুলো হলো, বিচার, সংস্কার এবং নির্বাচন।’
পাশাপাশি এগুলো কিভাবে বাস্তবায়ন করা হবে, সে বিষয়েও প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে আলোচনা হয়েছে বলে জানান এনসিপির এই শীর্ষ নেতা। নাহিদ আরও বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন। সেখানে আমরা ড. ইউনুসের প্রতি সমর্থন জানিয়েছি।
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের আন্দোলনে জুলাই ঘোষণাপত্র বাস্তবায়নের একটি দাবি ছিল। সরকারের পক্ষ থেকে আমাদের বলা হয়েছিল ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে সেটি হবে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে যাতে জুলাই ঘোষণাপত্র জারি করা হয়, সে বিষয়ে আমরা আহ্বান জানিয়েছি। সরকারের পক্ষ থেকে আমাদের আশ্বস্ত করা হয়েছে।’
নাহিদের ভাষ্যে, ‘জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদ পরিবার এবং আহতদের পুনর্বাসন প্রক্রিয়া ধীর গতিতে এগোচ্ছে। গণঅভ্যুত্থান অধিদপ্তর থেকে যে সঞ্চয়পত্র দেওয়ার কথা ছিল, সেটি এখনো সব শহীদ পরিবার পায়নি। মাসিক ভাতা দেওয়ার কথা ছিল, সেটি এখনো শুরু হয়নি। আমরা বলেছি, যাতে দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রতিশ্রুত দাবি আর্থিক সহায়তাসহ পুনর্বাসন যাতে নিশ্চিত করা হয়।’
এ ছাড়া, শেখ হাসিনা ফ্যাসিবাদী শাসন ব্যবস্থায় নির্বাচন করেছিল এবং মানুষের ভোটের অধিকার হরণ করেছিল উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ আমলের সব নির্বাচনকে আনুষ্ঠানিকভাবে অবৈধ ঘোষণা করতে অন্তবর্তী সরকারের প্রতি আহ্বানের কথাও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচার, সংস্কার ও নির্বাচন নিশ্চিত করতে হবে: এনসিপি
এরপর, সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এনসিপির এই নেতা বলেন, ‘আমরা সুস্পষ্টভাবে বলেছি ছাত্র উপদেষ্টা যারা রয়েছেন, তারা গণঅভ্যুত্থানের প্রতিনিধি আকারে সরকারে গিয়েছিলেন, সরকারকে বৈধতা দিয়েছেন। ফলে তাদের সঙ্গে রাজনৈতিক কোনো দলের বা এনসিপির সম্পর্ক নেই; সেটা আজকে আমরা পরিষ্কার করেছি।’
নাহিদ বলেন, ‘আমরা শুরু থেকেই যারা আন্দোলন করছি, আমাদের লক্ষ্য একটি নতুন বাংলাদেশ গড়ার এবং সংস্কারের মধ্য দিয়েই সেই নতুন বাংলাদেশ পাওয়া সম্ভব।’
তার ভাষ্যে, ‘সেই নতুন বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতি থেকেই অনেকেই সরে এসেছেন এবং ড. ইউনুস কে চাপ প্রয়োগ করে বিভিন্ন দাবি আদায়ের চেষ্টা চলছে। এভাবে উনার পক্ষে কাজ করা সম্ভব নয় এবং সংস্কার বা পরিবর্তন আনা সম্ভব নয়। সেই বিষয়ে সরকার প্রধান হতাশা ব্যক্ত করেছেন।’
আরেক প্রশ্নের জবাবে নাহিদ বলেন, ‘কোনো রাজনৈতিক দল নয়, বরং জনগণ এবং গণঅভ্যুত্থানকারী ছাত্র-জনতা, তাদের আহ্বানে ড.ইউনূস দায়িত্বে এসেছেন এবং তাদের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নের জন্য তিনি কমিটেড, কোনো রাজনৈতিক দলের প্রতি উনি কমিটেড নন।’
১৯৪ দিন আগে
প্রধান উপদেষ্টার কাছে দুই রোডম্যাপ চেয়েছে জামায়াত
দুটো রোডম্যাপ ঘোষণা করা হলে দেশের চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতা কেটে যাবে বলে মনে করেন জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান। তিনি বলেন, ‘আমরা মনে করি, দুটো রোডম্যাপ ঘোষণা করা হলে তা কিছুটা কেটে যাবে। একটি সংস্কারে রোডম্যাপ, অন্যটি নির্বাচনের। দুটোই অনেক গুরুত্বপূর্ণ বলে আমরা মনে করি।’
শনিবার (২৪ মে) রাত সাড়ে ৯টায় প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন যমুনার সামনে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন জামায়াতের আমির।
তিনি বলেন, ‘আমরা যদি সংস্কার প্রক্রিয়াকে অর্থবহ সহযোগিতা করি, তাহলে একটি অর্থবহ সংস্কারের মধ্য দিয়ে একটি অর্থবহ নির্বাচন হতে পারে। আমরা সেই দিনগুলোর অপেক্ষায় আছি। যে অস্থিরতা দেখা দিয়েছিল, আপাতত দৃষ্টিতে তা কিছুটা কেটেছে—আমরা এর স্থায়ী নিষ্পত্তি চাই।’
জামায়াতের আমির বলেন, ‘আমাদের বিবেকের জায়গা থেকে যেটিকে আমরা উত্তম মনে করি, সে ব্যাপারে কাজ করতে আমরা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।’
আপনারা নির্বাচনের কোনো সময়সীমা বেঁধে দিয়েছেন কিনা; জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সবাই নির্বাচন চায়। আমরাও নির্বাচন চাই। ‘বিএনপি বারবার বলছে যে তারা সংস্কারের বিরোধী না, তবে নির্বাচনের রোডম্যাপ চাচ্ছে। সেটা আমরাও চাই। আমরা কোনো সময় বেঁধে দিইনি ‘
আরও পড়ুন: প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক, ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের রোডম্যাপ দাবি বিএনপির
‘আমরা দুটো সময়ের কথা বলেছি। যদি সংস্কার শেষ হয়ে যায়, তাহলে ফেব্রুয়ারির মধ্যভাগে (নির্বাচন) হতে পারে, আবার যদি সংস্কারের সময় লাগে, এরপপরই রোজা শুরু হয়ে যাবে। তাহলে রোজার পর নির্বাচন হতে হবে। এটাকে টেনে লম্বা করে কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন করা যাবে না, আমাদের দেশের আবহাওয়া সেই সুযোগ দেবে না,’ যোগ করেন।
প্রধান উপদেষ্টা জবাবে কী বলেছেন, জানতে চাইলেন শফিকুর রহমান বলেন, ‘তিনি (ড. ইউনূস) গভীর মনোযোগের সাথে শুনেছেন। আমাদের এটা আস্থা হয়েছে, তিনি বিষয়টি ইতিবাচকভাবে নিয়েছেন।’
উপদেষ্টাদের পদত্যাগ ইস্যুতে জামায়াত আমির বলেছেন, ‘তারা কারও পদত্যাগ চাননি।’
আরও পড়ুন: সংস্কার-নির্বাচনের সুস্পষ্ট রোডম্যাপ না থাকায় সংশয় তৈরি হয়েছে: জামায়াত আমির
১৯৪ দিন আগে
আন্তঃসীমান্ত বায়ুদূষণ রোধে পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান পরিবেশ উপদেষ্টার
পরিবেশ, বন, জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, আন্তঃসীমান্ত বায়ুদূষণ মোকাবিলায় কার্যকর আঞ্চলিক পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। বাংলাদেশের বায়ুদূষণের ৩০-৩৫ শতাংশ আসে প্রতিবেশী দেশগুলো থেকে। তাই, এ সমস্যা সমাধানে রাজনৈতিক আলোচনার গণ্ডি পেরিয়ে বাস্তব পদক্ষেপ ও আঞ্চলিক সহযোগিতা জরুরি। তিনি দক্ষিণ এশীয় দেশগুলোর কাঠমান্ডু রোডম্যাপ ও অন্যান্য সমঝোতার কথা উল্লেখ করে বলেন, এগুলো যথেষ্ট নয়, আরও জোরালো উদ্যোগ প্রয়োজন।
বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) ভোরে কলম্বিয়ার কার্টাগেনায় অনুষ্ঠিত ডব্লিউএইচও’র দ্বিতীয় বৈশ্বিক সম্মেলনের বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়া সাইড ইভেন্টে ভার্চুয়ালি অংশ নিয়ে পরিবেশ উপদেষ্টা এসব কথা বলেন। ঢাকাস্থ তার বাসভবন থেকে সংযুক্ত হয়ে তিনি বাংলাদেশের বায়ুদূষণ সমস্যা, বিশেষ করে ঢাকার ভয়াবহ পরিস্থিতির কথা তুলে ধরেন।
আরও পড়ুন: সুষ্ঠু বিচার ব্যবস্থার উন্নয়ন জনগণের আস্থা বাড়াতে ভূমিকা রাখবে: পরিবেশ উপদেষ্টা
উপদেষ্টা জানান, বাংলাদেশের বহুমাত্রিক বায়ুদূষণ সমস্যা মোকাবিলায় বায়ুমান নিয়ন্ত্রণ বিধিমালা চূড়ান্ত করা হয়েছে, যা ডব্লিউএইচও’র অন্তর্বর্তীকালীন লক্ষ্যমাত্রার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। এই আইনি বিধিমালায় দূষণকারী খাতগুলোর জন্য নির্দিষ্ট মানদণ্ড নির্ধারণ করা হয়েছে এবং অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণের কাঠামো তৈরি করা হয়েছে।
তিনি জানান, ২০২৪ সালে চূড়ান্ত হওয়া জাতীয় বায়ুমান ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনার বাস্তবায়ন রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে পিছিয়ে ছিল, তবে এখন তা কার্যকরভাবে বাস্তবায়িত হচ্ছে। পরিকল্পনার লক্ষ্য হলো মানুষের দূষণজনিত ঝুঁকি কমানো ও পরিষ্কার বায়ুর দিন বৃদ্ধির মাধ্যমে জনস্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করা।
পরিবেশ উপদেষ্টা আরও জানান, বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় বাংলাদেশ ক্লিন এয়ার প্রকল্প চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে, যা সরকারের অনুমোদন সাপেক্ষে শিগগিরই বাস্তবায়ন শুরু হবে। এই প্রকল্প নিয়ন্ত্রক কাঠামো শক্তিশালী করা, আইন প্রয়োগ জোরদার করা, শিল্প কারখানায় দূষণ পর্যবেক্ষণ ব্যবস্থা সম্প্রসারণ এবং গণপরিবহন খাত আধুনিকায়নের ওপর গুরুত্ব দেবে।
তিনি ঢাকার আশেপাশের এলাকাগুলোকে ইটভাটামুক্ত এলাকা হিসেবে ঘোষণা করার পরিকল্পনার কথা জানান, যেখানে ইটভাটা স্থাপন নিষিদ্ধ থাকবে। এছাড়া, ২০২৫ সালের মে থেকে পুরনো বাস ধাপে ধাপে তুলে দেওয়া হবে, যা পরিবেশ মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ যৌথভাবে বাস্তবায়ন করবে।
তিনি বায়ুদূষণের অন্যতম প্রধান কারণ ধুলাবালি দূষণ রোধে ঢাকা শহরের খোলা সড়কগুলোতে সবুজায়নের উদ্যোগ এবং রাস্তা পরিস্কারে আরও শ্রমিক নিয়োগের পরিকল্পনার কথা জানান। অবৈধ ইটভাটা উচ্ছেদ অভিযানের ফলে ইতোমধ্যে বায়ুমানের কিছুটা উন্নতি হয়েছে, তবে এই অগ্রগতি ধরে রাখতে কঠোর নজরদারি ও খাতসমূহের আধুনিকায়ন জরুরি।
রিজওয়ানা হাসান জানান, বাংলাদেশে প্রতি বছর প্রায় বিপুল পরিমাণ মানুষ বায়ুদূষণের কারণে মারা যায়, এবং ঢাকার মতো দূষিত শহরগুলোতে মানুষের গড় আয়ু ৫-৭ বছর কমে যাচ্ছে। এই সংকট আমাদের সবার জন্য, আমাদের শিশু, বাবা-মা এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য হুমকি। নিষ্ক্রিয়তার মূল্য অনেক বেশি—আমাদের এখনই পদক্ষেপ নিতে হবে, তিনি জোর দিয়ে বলেন।
তিনি বলেন, আমি আশাবাদী কারণ আমি বিশ্বাস করি, এ সমস্যার সমাধান সম্ভব। প্রযুক্তি ও বিকল্প ব্যবস্থা আমাদের হাতে রয়েছে, শুধু প্রতিশ্রুতি ও বাস্তবায়ন দরকার। বায়ুদূষণ শুধুই পরিবেশগত ইস্যু নয়, এটি মানবিক সংকট।
আরও পড়ুন: পরিবেশগত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বর্জ্য পৃথকীকরণ প্রয়োজন: পরিবেশ উপদেষ্টা
সম্মেলনে দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশের মন্ত্রী পর্যায়ের প্রতিনিধি, পরিবেশ ও জ্বালানি খাতের নীতিনির্ধারক, আন্তর্জাতিক ও উন্নয়ন সংস্থার প্রতিনিধি, গবেষক, স্থানীয় প্রশাসন, পরিবহন ও শিল্পখাতের বিশেষজ্ঞ এবং নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। তারা দক্ষিণ এশিয়ায় বায়ুদূষণ রোধে যৌথভাবে কাজ করার প্রতিশ্রুতি দেন।
২৫৩ দিন আগে
ডিসেম্বরের পর নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করুন: গোলাম পরওয়ার
সংস্কার কাজ দ্রুত সম্পন্ন করে ডিসেম্বরের পর নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার।
তিনি বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগ গণতান্ত্রিক নয়, তারা ফ্যাসিস্ট। তাই গণতন্ত্রের সঙ্গে তাদের যায় না। এজন্য জনগণই সিদ্ধান্ত নেবে, আওয়ামী লীগ নির্বাচনে যাবে কি যাবে না।’
শনিবার (২৩ নভেম্বর) দুপুরে মানিকগঞ্জ সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত জামায়াতে ইসলামীর কর্মী সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘যারা গণতন্ত্র ও মানুষ হত্যা করেছে, লাশ পুড়িয়ে ছাই করেছে এবং মানুষকে হেলিকপ্টার থেকে গুলি করেছে, তাদের এদেশের মানুষ রাজনীতি করতে দেবে কিনা সেটা জনগণই সিদ্ধান্ত নেবে।’
আরও পড়ুন: কোনো রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধের পক্ষে নয় জামায়াত: গোলাম পরওয়ার
তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনা দেশ থেকে পালিয়ে সষড়যন্ত্রে লিপ্ত হচ্ছেন।…তিনি পালানোর পর বাংলাদেশে তার লুকিয়ে থাকা দোসররা অনেক ধরনের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আন্দোলনে আমরা একসঙ্গে যেভাবে ঐকবদ্ধ ছিলাম, সেভাবে আগামী জাতীয় নির্বাচনে যদি আমরা ঐকবদ্ধ হয়ে নির্বাচন করতে পারি, তাহলে আওয়ামী ফ্যাসিবাদের রাজনৈতিক মৃত্যু এদেশে নিশ্চিত।’
এ সময় মানিকগঞ্জ জেলা জামায়াতের আমির হাফেজ মাওলানা মো. কামরুল ইসলামের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামাতে ইসলামী কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য অধ্যক্ষ মুহাম্মদ ইজ্জত আলী, ঢাকা উত্তর অঞ্চল টিম সদস্য মাওলানা মো. দেলোয়ার হোসেন, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র শিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি মো. জাহিদুর রহমানসহ দলটির বিভিন্ন নেতা।
আরও পড়ুন: খুলনা-৫: সম্পদ কমেছে নারায়ণ চন্দ্রের, মামলায় এগিয়ে গোলাম পরওয়ার
৩৭৬ দিন আগে
খেলাপি ঋণ কমিয়ে আনতে বাংলাদেশ ব্যাংকের ১১ দফা রোডম্যাপ
খেলাপি ঋণ কমিয়ে আনতে এবং ব্যাংক কার্যক্রমে সুশাসন নিশ্চিত করতে ১১ দফা রোডম্যাপ ঘোষণা বাংলাদেশ ব্যাংক।
বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর আবু ফরাহ মো. নাসের ইউএনবিকে বলেন, রবিবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বোর্ড সভায় ব্যাংকগুলোতে করপোরেট সুশাসন প্রতিষ্ঠার জন্য এই রোডম্যাপ অনুমোদন করা হয়েছে এবং খেলাপি ঋণ কমানোর একটি গাইডলাইন দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশকে এভিয়েশন হাবে পরিণত করার রোডম্যাপ তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী
বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার।
নাসের বলেন, ঋণখেলাপিরা নানা সুবিধা থেকে বঞ্চিত হবেন। যেমন- নতুন জমি, বাড়ি, গাড়ি কেনা এমনকি নতুন ব্যবসা খোলার ক্ষেত্রে অযোগ্য বলে বিবেচনা করা হবে।
নাসের বলেন, ‘সামগ্রিক খেলাপি ঋণ ৮ শতাংশে নামিয়ে আনতে এমন কঠোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে পরিচালনা পর্ষদ। রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের খেলাপি ঋণের অনুপাত যথাক্রমে ১০ শতাংশ ও ৫ শতাংশ কমানো এবং জালিয়াতি, প্রতারণার মাধ্যমে বেনামী ঋণ বিতরণ ও সীমার অতিরিক্ত ঋণ বিতরণ শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনতেই এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’
আরও পড়ুন: রোডম্যাপ অনুযায়ী বাংলাদেশকে শ্রম অধিকারের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন ত্বরান্বিত করতে হবে: ইইউ
রাইট অব (অবলোপন) ঋণ ৩ বছর থেকে ২ বছর পর্যন্ত করা হয়েছে। তবে সেক্ষেত্রে খেলাপি হওয়ার আগে শতভাগ প্রভিশন রাখার নতুন নিয়ম চালু করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ফলে ৪ হাজার ৩৩০০ কোটি টাকার খেলাপি ঋণ কমে যাবে।
তিনি বলেন, রাইট অব ঋণ আদায়ের জন্য ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের সমন্বয়ে একটি ইউনিট গঠন করতে হবে।
ঋণ আদায় না হওয়া পর্যন্ত স্ট্রেসড অ্যাসেট (খেলাপি ঋণ) আলাদা ব্যালেন্স শিটে দেখাতে হয়।
আরও পড়ুন: ক্লাসরুমের জন্য নতুন এআই রোডম্যাপ প্রকাশ করল ইউনেস্কো
৬৬৯ দিন আগে
রোডম্যাপ অনুযায়ী বাংলাদেশকে শ্রম অধিকারের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন ত্বরান্বিত করতে হবে: ইইউ
বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষের উচিৎ জাতীয় কর্মপরিকল্পনা (এনএপি) ও আইএলও (আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা) রোডম্যাপে অন্তর্ভুক্ত শ্রম অধিকারের বিষয়ে তার অঙ্গীকার বাস্তবায়নের গতি বৃদ্ধি করা এবং মূল উদ্বেগের বিষয়ে প্রদত্ত সময়সীমার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে অর্জিত অগ্রগতিসম্পর্কে নিয়মিত প্রতিবেদন দেওয়া অব্যাহত রাখার কথা বলেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)।
ইইউ বলেছে, ‘সাম্প্রতিক বছরগুলোতে আইএলও কনভেনশন অনুমোদনের ক্ষেত্রে অর্জিত অগ্রগতির জন্য ধন্যবাদ, বাংলাদেশ জিএসপি রেগুলেশনে উল্লিখিত ২৭টি জিএসপি+ আন্তর্জাতিক কনভেনশন অনুমোদন করেছে।’
জিএসপি+ প্রাসঙ্গিক আন্তর্জাতিক কনভেনশনের পূর্ণ সম্মতি স্বল্পোন্নত দেশ থেকে বাংলাদেশের প্রত্যাশিত ভবিষ্যত উত্তরণের আলোকে দেখা উচিৎ, যার অর্থ 'এভরিথিং বাট আর্মস' (ইবিএ) ব্যবস্থা থেকে স্ট্যান্ডার্ড জিএসপিতে চলে যাওয়া- এমনটাই বলা হয়েছে ইউরোপীয় কমিশন কর্তৃক প্রকাশিত একটি মূল্যায়ন প্রতিবেদনে।
আরও পড়ুন: ঢাকায় নির্বাচন প্রক্রিয়া পর্যবেক্ষণে ইইউ'র কারিগরি দল
এই প্রেক্ষাপটে এটি গুরুত্বপূর্ণ যে বাংলাদেশ দেখাতে পারে, এটি জিএসপি প্রবিধানের অধীনে এর বাধ্যবাধকতাগুলো পূরণ করে। বিশেষত উপরে উল্লিখিত হিসেবে জাতীয় কর্মপরিকল্পনার অধীনে শ্রম অধিকার সংস্কার এবং আন্তর্জাতিক মানবাধিকারমানকে সম্মান করে।
ইইউ বাংলাদেশের জিএসপি অঙ্গীকার বাস্তবায়ন নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ অব্যাহত রাখবে এবং চলমান সম্পৃক্ততা জোরদার করবে।
আরও পড়ুন: ইসির সঙ্গে বৈঠকে ইইউ মিশনের প্রতিনিধি দল
'ইইউ এনহেন্সড এনগেজমেন্ট উইথ থ্রি এভরিথিং বাট আর্মস বেনিফিশিয়ারি কান্ট্রিজ: বাংলাদেশ, কম্বোডিয়া অ্যান্ড মিয়ানমার' শীর্ষক প্রতিবেদনের বাংলাদেশ অংশে বলা হয়েছে, মানবাধিকারের মূল উদ্বেগের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের উচিৎ মত প্রকাশের স্বাধীনতা, সমাবেশের স্বাধীনতা এবং সুশীল সমাজের স্থান উন্নত করা; কথিত নির্যাতন, দুর্ব্যবহার, বিচারবহির্ভূত হত্যা এবং জোরপূর্বক গুমের মামলা তদন্ত করা; মানবাধিকার কাউন্সিলের ইউনিভার্সাল পিরিওডিক রিভিউয়ের (ইউপিআর) সুপারিশগুলো সম্পূর্ণরূপে বাস্তবায়ন করা হয়, যার মধ্যে মৃত্যুদনডের বিলুপ্তি সম্পর্কিত, পাশাপাশি জাতিসংঘের চুক্তি পর্যবেক্ষণ সংস্থার সিদ্ধান্তগুলোও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
জিএসপি সুবিধাভোগী তিনটি দেশ বাংলাদেশ, কম্বোডিয়া ও মিয়ানমারের সঙ্গে সম্পৃক্ততা বাড়ানোর লক্ষ্যে এটি দ্বিতীয় জয়েন্ট স্টাফ ওয়ার্কিং ডকুমেন্ট (এসডব্লিউডি)।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে বিশ্বাসযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন দেখতে চায় ইইউ
৭৩৪ দিন আগে
১০ বছর মেয়াদি সোলার রোডম্যাপ প্রণয়নে বাংলাদেশকে সহায়তা করছে আইএসএ
ইন্টারন্যাশনাল সোলার অ্যাসোসিয়েশন (আইএসএ) নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে রূপান্তরের জন্য ১০ বছর মেয়াদি সোলার রোডম্যাপ প্রণয়নে বাংলাদেশকে সহায়তা করছে।
মঙ্গলবার আইএসএ'র প্রোগ্রাম অ্যান্ড প্রজেক্ট ইমপ্লিমেন্টেশন ক্লাস্টারের প্রধান রেমেশ কুমার বাংলাদেশের গণমাধ্যম প্রতিনিধিদের সঙ্গে এক বৈঠকে বলেন, ‘আমরা পরামর্শক হিসেবে সোলার রোডম্যাপ প্রকল্পে নিযুক্ত আছি। যা একটি বিস্তৃত দলিল। আমরা বৃহত্তর সৌর নাগালের জন্য সমস্ত পরিস্থিতি মূল্যায়ন করছি।’
ভারতের হরিয়ানার গুরুগ্রামে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব সোলার এনার্জি (এনআইএসই) ক্যাম্পাসে আইএসএ সচিবালয় পরিদর্শন করেছেন বাংলাদেশি সাংবাদিকরা।
আইএসএ'র চিফ অব অপারেশনস জোশুয়া উইক্লিফ মহাপরিচালক অজয় মাথুরের পক্ষে স্বাগত বক্তব্য দেন।
উইক্লিফ তার বক্তব্যে বলেন, আন্তর্জাতিক সৌর জোট ও বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় সমাধান হিসেবে সৌরশক্তির প্রসারে নিবিড়ভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে কীভাবে নির্বাচন হবে, তা সেই দেশের মানুষই নির্ধারণ করবে: অরিন্দম বাগচি
তিনি বলেন, ‘২০১৬ সালে সদস্য দেশ হিসেবে যোগদানের পর বাংলাদেশ আইএসএ'র প্রথম দিকের সমর্থকদের মধ্যে অন্যতম এবং এখন দুই বছরের মেয়াদে এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের ভাইস প্রেসিডেন্ট দেশ।’
বাংলাদেশ ও টুভালু এখন এই অঞ্চলের আইএসএ আঞ্চলিক কমিটির সভাপতিত্ব করছে।
কমিটির পঞ্চম বৈঠকে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ সোলার সল্যুশন স্থাপনের মাধ্যমে পরিচ্ছন্ন জ্বালানি রূপান্তরে আইএসএ'র ভূমিকার প্রশংসা করেন।
আইএসএ'র এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তিনি বলেন, ‘আইএসএর ৯টি বিস্তৃত প্রোগ্রাম রয়েছে, যাতে রয়েছে কৃষি, স্বাস্থ্য, পরিবহন, স্টোরেজ, সবুজ হাইড্রোজেন এবং আরও অনেক কিছুসহ বিস্তৃত ক্ষেত্রসমূহ। সবকিছুর লক্ষ্য- সৌরশক্তির সম্ভাবনাকে কাজে লাগানো।’
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আইএসএ'র মহাপরিচালক ড. অজয় মাথুর বলেন, বাংলাদেশ বিশেষ করে ছাদে সৌরশক্তি প্রয়োগকে উল্লেখযোগ্যভাবে উৎসাহিত করেছে।
তিনি বলেন, ‘টেকসই জ্বালানি লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সৌরশক্তি গ্রহণ এবং সহযোগিতামূলক প্রচেষ্টা গড়ে তোলার বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে সহায়তা প্রদানের জন্য আমরা বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে আমাদের সহযোগিতা জোরদার করছি।’
আরও পড়ুন: ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের অগ্রগতি খুবই সন্তোষজনক: মোদির টুইট
মাথুর প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা তৈরি, বিনিয়োগ সংগঠিত করা এবং সৌর গ্রহণের মাত্রা বাড়ানোর আশা প্রকাশ করেন।
আইএসএ'র সহযোগিতায় বাংলাদেশ সংরক্ষণযোগ্য সৌর প্রকল্পের পাইপলাইন তৈরি এবং বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে কাজ করছে।
এই অংশীদারিত্ব জ্বালানি, জলবায়ু পরিবর্তন এবং প্যারিস চুক্তির দিকে যাত্রা ত্বরান্বিত করার অঙ্গীকার করেছে।
ভারত এবং ফ্রান্স সৌর শক্তি সমাধান স্থাপনের মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে প্রচেষ্টাকে একত্রিত করার জন্য একটি যৌথ প্রচেষ্টা হিসেবে আইএসএ কল্পনা করে।
২০১৫ সালের ৩০ নভেম্বর প্যারিসে জাতিসংঘ জলবায়ু পরিবর্তন সম্মেলনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও ফ্রান্সের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া ওলাঁদ যৌথভাবে আইএসএ চালু করেন।
আইএসএ কার্বন-নিরপেক্ষ ভবিষ্যতের টেকসই রূপান্তরের উপায় হিসেবে সৌরশক্তিকে প্রচার করছে।
আরও পড়ুন: সমুদ্র তলদেশের সম্পদের পূর্ণ সুবিধা ঘরে তুলতে আইএসএ’র সহযোগিতা চায় ঢাকা
৭৭৯ দিন আগে
বাংলাদেশকে এভিয়েশন হাবে পরিণত করার রোডম্যাপ তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে এই অঞ্চলে একটি বিমান চলাচল কেন্দ্রে পরিণত করার লক্ষ্যে একটি রোডম্যাপ তৈরির প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দিয়েছেন।
ঢাকায় এভিয়েশন সামিটের প্রথম সংস্করণের উদ্বোধনী অধিবেশনে সম্প্রচারিত একটি ভিডিও বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘আমাদের ভূ-কৌশলগত সুবিধার লভ্যাংশ নিয়ে আমাদের একটি রোডম্যাপ তৈরি করা উচিত যে আমরা কীভাবে আমাদের দেশকে একটি এভিয়েশন হাব করতে পারি।’
বুধবার বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়, যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্সের সহযোগিতায় রাজধানীর একটি হোটেলে বাংলাদেশ এভিয়েশন সামিট-২০২৩ এর আয়োজন করে।
আরও পড়ুন: দেশের ভাবমূর্তি সমুন্নত রাখুন, বিদেশের আইনকে সম্মান করুন: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
শেখ হাসিনা বলেন, দক্ষিণ এশীয় দেশটি এ অঞ্চলে বিমান চলাচলের কেন্দ্রে পরিণত হওয়ার আকাঙ্ক্ষার প্রেক্ষাপটে এই শীর্ষ সম্মেলন বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।
তিনি বলেন, ১৯৭৩ সালে আইসিএও-এর সদস্যপদ লাভের পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদের ভৌগোলিক অবস্থানের সুবিধাকে পুঁজি করে বাংলাদেশকে পূর্ব ও পশ্চিমের মধ্যে সংযোগ স্থাপনের জন্য একটি ‘এভিয়েশন হাব’-এ পরিণত করার ব্যবস্থা গ্রহণ করেন।
তিনি আরও বলেন, ১৯৭৫ সালে জাতির পিতাকে হত্যার পর এ পদক্ষেপ বন্ধ হয়ে যায়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা একটি এভিয়েশন হাবের উন্নয়নে সহায়তা করার জন্য বেশ কিছু ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। গত এক দশকে, আমরা আমাদের বিমানবন্দর, বিমানবন্দরের নিরাপত্তা এবং গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং আধুনিকায়ন করার জন্য অনেকগুলো প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছি।’
তিনি উল্লেখ করেন যে এছাড়াও বেশ কয়েকটি প্রকল্প চলমান রয়েছে যার মধ্যে রয়েছে এইচএসআইএ সম্প্রসারণ প্রকল্প (পর্যায়-১), এইচএসআইএ -তে ফায়ার স্টেশনের উত্তর পাশে জেনারেল এভিয়েশন হ্যাঙ্গার নির্মাণ, হ্যাঙ্গার এপ্রোন এবং এপ্রন; শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, চট্টগ্রামে বিদ্যমান রানওয়ে ও ট্যাক্সিওয়ে শক্তিশালীকরণ; কক্সবাজার বিমানবন্দরের উন্নয়ন (ফেজ-১), কক্সবাজার বিমানবন্দর রানওয়ে সম্প্রসারণ প্রকল্প; সিলেটের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিদ্যমান রানওয়ে ও
ট্যাক্সিওয়ে শক্তিশালীকরণ; এবং এইচএসআইএ-তে জননিরাপত্তার বিষয়ে বাংলাদেশের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের সক্ষমতা বৃদ্ধি।
তিনি বলেন, এইচএসআইএ সম্প্রসারণ প্রকল্পের (ফেজ-১) অধীনে নির্মিত তৃতীয় টার্মিনালটি অতিরিক্ত ১২ মিলিয়ন যাত্রী এবং চার মিলিয়ন টন কার্গো পরিচালনার ক্ষমতা তৈরি করবে।
‘আমাদের অর্থনীতির রূপান্তর আমাদের জনগণের জন্য ভ্রমণের সুযোগ বাড়াতে এবং আমাদের এয়ারলাইন্সের জন্য নতুন রুট ও বাজার উন্মুক্ত করতে সাহায্য করেছে। বাংলাদেশ যখন ২০৩১ সালের মধ্যে উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশে এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশে পরিণত হবে, তখন বিমান চলাচলের বাজার আরও প্রসারিত হবে।
আরও পড়ুন: সকল গৃহহীন মানুষের ঘর নিশ্চিত করতে কাজ করছি: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতি যেমন বেড়েছে, তেমনি এয়ার কার্গোর গুরুত্বও বেড়েছে।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের এয়ার কার্গো বাজার প্রতি বছর 8 শতাংশ হারে দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে যা বিশ্বের গড় তিনগুণ। এটি আমাদের দেশে একটি নিবেদিত জাতীয় কার্গো অপারেশনের জোরালো চাহিদাকে নির্দেশ করে। এই সমস্ত কিছু মাথায় রেখে, এমন কিছু ক্ষেত্র রয়েছে যেখানে বিমান অভিনেতাদের আরও বেশি কিছু করতে হবে।’
প্রধানমন্ত্রী সংশ্লিষ্ট সরকারী সংস্থা, এয়ারলাইন্স এবং অন্যান্য স্টেকহোল্ডারদের যাত্রী ও পণ্যসম্ভার উভয়ের জন্য উন্নয়ন ও টেকসই বাজারের জন্য অনুকূল পরিবেশ তৈরিতে তাদের দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ‘সরকার ই-ভিসা ব্যবস্থা চালু করতে যাচ্ছে যা ব্যবসা বা পর্যটনের জন্য বাংলাদেশে আসা যাত্রীদের প্রবাহকে সহজতর ও ত্বরান্বিত করবে।’
প্রতিশ্রুতিশীল এভিয়েশন শিল্পে দক্ষ জনশক্তি প্রয়োজন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমাদের তরুণদের অবশ্যই পাইলট, অ্যারোনটিক্স ইঞ্জিনিয়ার, মেকানিক্স, ক্রু সদস্য এবং আরও অনেক কিছু হওয়ার জন্য প্রশিক্ষণের সুযোগ থাকতে হবে।’
তিনি আশা প্রকাশ করেন যে তার সরকার কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এভিয়েশন অ্যান্ড অ্যারোস্পেস ইউনিভার্সিটি দেশের বিমান ও মহাকাশ শিল্পে দক্ষ জনশক্তির চাহিদা মেটাতে সক্ষম হবে।
তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বিমান শিল্পকে উদাহরণ হিসেবে নেতৃত্ব দিতে হবে এবং এসডিজি পূরণে সচেষ্ট হতে হবে। ডি-কার্বনেশন এবং টেকসই বিমান চালনা জ্বালানি এমন বিষয় যার জন্য বিনিয়োগ, দৃঢ় পদক্ষেপ এবং উন্নত বিমান চালনাকারী দেশগুলোর সমর্থন প্রয়োজন।
প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘আমাদের যাত্রায় আমাদের সমর্থন করার জন্য এয়ারবাসের মাধ্যমে যুক্তরাজ্য এবং ফ্রান্সের দ্বারা প্রস্তাবিত বিমান চালনা অংশীদারিত্ব খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’
প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান এবং বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: সমাজ পরিবর্তনে জীবনমুখী চলচ্চিত্র নির্মাণ করুন: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
৯৮৮ দিন আগে