রোডম্যাপ
খেলাপি ঋণ কমিয়ে আনতে বাংলাদেশ ব্যাংকের ১১ দফা রোডম্যাপ
খেলাপি ঋণ কমিয়ে আনতে এবং ব্যাংক কার্যক্রমে সুশাসন নিশ্চিত করতে ১১ দফা রোডম্যাপ ঘোষণা বাংলাদেশ ব্যাংক।
বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর আবু ফরাহ মো. নাসের ইউএনবিকে বলেন, রবিবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বোর্ড সভায় ব্যাংকগুলোতে করপোরেট সুশাসন প্রতিষ্ঠার জন্য এই রোডম্যাপ অনুমোদন করা হয়েছে এবং খেলাপি ঋণ কমানোর একটি গাইডলাইন দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশকে এভিয়েশন হাবে পরিণত করার রোডম্যাপ তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী
বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার।
নাসের বলেন, ঋণখেলাপিরা নানা সুবিধা থেকে বঞ্চিত হবেন। যেমন- নতুন জমি, বাড়ি, গাড়ি কেনা এমনকি নতুন ব্যবসা খোলার ক্ষেত্রে অযোগ্য বলে বিবেচনা করা হবে।
নাসের বলেন, ‘সামগ্রিক খেলাপি ঋণ ৮ শতাংশে নামিয়ে আনতে এমন কঠোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে পরিচালনা পর্ষদ। রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের খেলাপি ঋণের অনুপাত যথাক্রমে ১০ শতাংশ ও ৫ শতাংশ কমানো এবং জালিয়াতি, প্রতারণার মাধ্যমে বেনামী ঋণ বিতরণ ও সীমার অতিরিক্ত ঋণ বিতরণ শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনতেই এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’
আরও পড়ুন: রোডম্যাপ অনুযায়ী বাংলাদেশকে শ্রম অধিকারের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন ত্বরান্বিত করতে হবে: ইইউ
রাইট অব (অবলোপন) ঋণ ৩ বছর থেকে ২ বছর পর্যন্ত করা হয়েছে। তবে সেক্ষেত্রে খেলাপি হওয়ার আগে শতভাগ প্রভিশন রাখার নতুন নিয়ম চালু করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ফলে ৪ হাজার ৩৩০০ কোটি টাকার খেলাপি ঋণ কমে যাবে।
তিনি বলেন, রাইট অব ঋণ আদায়ের জন্য ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের সমন্বয়ে একটি ইউনিট গঠন করতে হবে।
ঋণ আদায় না হওয়া পর্যন্ত স্ট্রেসড অ্যাসেট (খেলাপি ঋণ) আলাদা ব্যালেন্স শিটে দেখাতে হয়।
আরও পড়ুন: ক্লাসরুমের জন্য নতুন এআই রোডম্যাপ প্রকাশ করল ইউনেস্কো
৯ মাস আগে
রোডম্যাপ অনুযায়ী বাংলাদেশকে শ্রম অধিকারের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন ত্বরান্বিত করতে হবে: ইইউ
বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষের উচিৎ জাতীয় কর্মপরিকল্পনা (এনএপি) ও আইএলও (আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা) রোডম্যাপে অন্তর্ভুক্ত শ্রম অধিকারের বিষয়ে তার অঙ্গীকার বাস্তবায়নের গতি বৃদ্ধি করা এবং মূল উদ্বেগের বিষয়ে প্রদত্ত সময়সীমার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে অর্জিত অগ্রগতিসম্পর্কে নিয়মিত প্রতিবেদন দেওয়া অব্যাহত রাখার কথা বলেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)।
ইইউ বলেছে, ‘সাম্প্রতিক বছরগুলোতে আইএলও কনভেনশন অনুমোদনের ক্ষেত্রে অর্জিত অগ্রগতির জন্য ধন্যবাদ, বাংলাদেশ জিএসপি রেগুলেশনে উল্লিখিত ২৭টি জিএসপি+ আন্তর্জাতিক কনভেনশন অনুমোদন করেছে।’
জিএসপি+ প্রাসঙ্গিক আন্তর্জাতিক কনভেনশনের পূর্ণ সম্মতি স্বল্পোন্নত দেশ থেকে বাংলাদেশের প্রত্যাশিত ভবিষ্যত উত্তরণের আলোকে দেখা উচিৎ, যার অর্থ 'এভরিথিং বাট আর্মস' (ইবিএ) ব্যবস্থা থেকে স্ট্যান্ডার্ড জিএসপিতে চলে যাওয়া- এমনটাই বলা হয়েছে ইউরোপীয় কমিশন কর্তৃক প্রকাশিত একটি মূল্যায়ন প্রতিবেদনে।
আরও পড়ুন: ঢাকায় নির্বাচন প্রক্রিয়া পর্যবেক্ষণে ইইউ'র কারিগরি দল
এই প্রেক্ষাপটে এটি গুরুত্বপূর্ণ যে বাংলাদেশ দেখাতে পারে, এটি জিএসপি প্রবিধানের অধীনে এর বাধ্যবাধকতাগুলো পূরণ করে। বিশেষত উপরে উল্লিখিত হিসেবে জাতীয় কর্মপরিকল্পনার অধীনে শ্রম অধিকার সংস্কার এবং আন্তর্জাতিক মানবাধিকারমানকে সম্মান করে।
ইইউ বাংলাদেশের জিএসপি অঙ্গীকার বাস্তবায়ন নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ অব্যাহত রাখবে এবং চলমান সম্পৃক্ততা জোরদার করবে।
আরও পড়ুন: ইসির সঙ্গে বৈঠকে ইইউ মিশনের প্রতিনিধি দল
'ইইউ এনহেন্সড এনগেজমেন্ট উইথ থ্রি এভরিথিং বাট আর্মস বেনিফিশিয়ারি কান্ট্রিজ: বাংলাদেশ, কম্বোডিয়া অ্যান্ড মিয়ানমার' শীর্ষক প্রতিবেদনের বাংলাদেশ অংশে বলা হয়েছে, মানবাধিকারের মূল উদ্বেগের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের উচিৎ মত প্রকাশের স্বাধীনতা, সমাবেশের স্বাধীনতা এবং সুশীল সমাজের স্থান উন্নত করা; কথিত নির্যাতন, দুর্ব্যবহার, বিচারবহির্ভূত হত্যা এবং জোরপূর্বক গুমের মামলা তদন্ত করা; মানবাধিকার কাউন্সিলের ইউনিভার্সাল পিরিওডিক রিভিউয়ের (ইউপিআর) সুপারিশগুলো সম্পূর্ণরূপে বাস্তবায়ন করা হয়, যার মধ্যে মৃত্যুদনডের বিলুপ্তি সম্পর্কিত, পাশাপাশি জাতিসংঘের চুক্তি পর্যবেক্ষণ সংস্থার সিদ্ধান্তগুলোও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
জিএসপি সুবিধাভোগী তিনটি দেশ বাংলাদেশ, কম্বোডিয়া ও মিয়ানমারের সঙ্গে সম্পৃক্ততা বাড়ানোর লক্ষ্যে এটি দ্বিতীয় জয়েন্ট স্টাফ ওয়ার্কিং ডকুমেন্ট (এসডব্লিউডি)।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে বিশ্বাসযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন দেখতে চায় ইইউ
১১ মাস আগে
১০ বছর মেয়াদি সোলার রোডম্যাপ প্রণয়নে বাংলাদেশকে সহায়তা করছে আইএসএ
ইন্টারন্যাশনাল সোলার অ্যাসোসিয়েশন (আইএসএ) নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে রূপান্তরের জন্য ১০ বছর মেয়াদি সোলার রোডম্যাপ প্রণয়নে বাংলাদেশকে সহায়তা করছে।
মঙ্গলবার আইএসএ'র প্রোগ্রাম অ্যান্ড প্রজেক্ট ইমপ্লিমেন্টেশন ক্লাস্টারের প্রধান রেমেশ কুমার বাংলাদেশের গণমাধ্যম প্রতিনিধিদের সঙ্গে এক বৈঠকে বলেন, ‘আমরা পরামর্শক হিসেবে সোলার রোডম্যাপ প্রকল্পে নিযুক্ত আছি। যা একটি বিস্তৃত দলিল। আমরা বৃহত্তর সৌর নাগালের জন্য সমস্ত পরিস্থিতি মূল্যায়ন করছি।’
ভারতের হরিয়ানার গুরুগ্রামে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব সোলার এনার্জি (এনআইএসই) ক্যাম্পাসে আইএসএ সচিবালয় পরিদর্শন করেছেন বাংলাদেশি সাংবাদিকরা।
আইএসএ'র চিফ অব অপারেশনস জোশুয়া উইক্লিফ মহাপরিচালক অজয় মাথুরের পক্ষে স্বাগত বক্তব্য দেন।
উইক্লিফ তার বক্তব্যে বলেন, আন্তর্জাতিক সৌর জোট ও বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় সমাধান হিসেবে সৌরশক্তির প্রসারে নিবিড়ভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে কীভাবে নির্বাচন হবে, তা সেই দেশের মানুষই নির্ধারণ করবে: অরিন্দম বাগচি
তিনি বলেন, ‘২০১৬ সালে সদস্য দেশ হিসেবে যোগদানের পর বাংলাদেশ আইএসএ'র প্রথম দিকের সমর্থকদের মধ্যে অন্যতম এবং এখন দুই বছরের মেয়াদে এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের ভাইস প্রেসিডেন্ট দেশ।’
বাংলাদেশ ও টুভালু এখন এই অঞ্চলের আইএসএ আঞ্চলিক কমিটির সভাপতিত্ব করছে।
কমিটির পঞ্চম বৈঠকে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ সোলার সল্যুশন স্থাপনের মাধ্যমে পরিচ্ছন্ন জ্বালানি রূপান্তরে আইএসএ'র ভূমিকার প্রশংসা করেন।
আইএসএ'র এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তিনি বলেন, ‘আইএসএর ৯টি বিস্তৃত প্রোগ্রাম রয়েছে, যাতে রয়েছে কৃষি, স্বাস্থ্য, পরিবহন, স্টোরেজ, সবুজ হাইড্রোজেন এবং আরও অনেক কিছুসহ বিস্তৃত ক্ষেত্রসমূহ। সবকিছুর লক্ষ্য- সৌরশক্তির সম্ভাবনাকে কাজে লাগানো।’
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আইএসএ'র মহাপরিচালক ড. অজয় মাথুর বলেন, বাংলাদেশ বিশেষ করে ছাদে সৌরশক্তি প্রয়োগকে উল্লেখযোগ্যভাবে উৎসাহিত করেছে।
তিনি বলেন, ‘টেকসই জ্বালানি লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সৌরশক্তি গ্রহণ এবং সহযোগিতামূলক প্রচেষ্টা গড়ে তোলার বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে সহায়তা প্রদানের জন্য আমরা বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে আমাদের সহযোগিতা জোরদার করছি।’
আরও পড়ুন: ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের অগ্রগতি খুবই সন্তোষজনক: মোদির টুইট
মাথুর প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা তৈরি, বিনিয়োগ সংগঠিত করা এবং সৌর গ্রহণের মাত্রা বাড়ানোর আশা প্রকাশ করেন।
আইএসএ'র সহযোগিতায় বাংলাদেশ সংরক্ষণযোগ্য সৌর প্রকল্পের পাইপলাইন তৈরি এবং বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে কাজ করছে।
এই অংশীদারিত্ব জ্বালানি, জলবায়ু পরিবর্তন এবং প্যারিস চুক্তির দিকে যাত্রা ত্বরান্বিত করার অঙ্গীকার করেছে।
ভারত এবং ফ্রান্স সৌর শক্তি সমাধান স্থাপনের মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে প্রচেষ্টাকে একত্রিত করার জন্য একটি যৌথ প্রচেষ্টা হিসেবে আইএসএ কল্পনা করে।
২০১৫ সালের ৩০ নভেম্বর প্যারিসে জাতিসংঘ জলবায়ু পরিবর্তন সম্মেলনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও ফ্রান্সের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া ওলাঁদ যৌথভাবে আইএসএ চালু করেন।
আইএসএ কার্বন-নিরপেক্ষ ভবিষ্যতের টেকসই রূপান্তরের উপায় হিসেবে সৌরশক্তিকে প্রচার করছে।
আরও পড়ুন: সমুদ্র তলদেশের সম্পদের পূর্ণ সুবিধা ঘরে তুলতে আইএসএ’র সহযোগিতা চায় ঢাকা
১ বছর আগে
বাংলাদেশকে এভিয়েশন হাবে পরিণত করার রোডম্যাপ তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে এই অঞ্চলে একটি বিমান চলাচল কেন্দ্রে পরিণত করার লক্ষ্যে একটি রোডম্যাপ তৈরির প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দিয়েছেন।
ঢাকায় এভিয়েশন সামিটের প্রথম সংস্করণের উদ্বোধনী অধিবেশনে সম্প্রচারিত একটি ভিডিও বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘আমাদের ভূ-কৌশলগত সুবিধার লভ্যাংশ নিয়ে আমাদের একটি রোডম্যাপ তৈরি করা উচিত যে আমরা কীভাবে আমাদের দেশকে একটি এভিয়েশন হাব করতে পারি।’
বুধবার বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়, যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্সের সহযোগিতায় রাজধানীর একটি হোটেলে বাংলাদেশ এভিয়েশন সামিট-২০২৩ এর আয়োজন করে।
আরও পড়ুন: দেশের ভাবমূর্তি সমুন্নত রাখুন, বিদেশের আইনকে সম্মান করুন: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
শেখ হাসিনা বলেন, দক্ষিণ এশীয় দেশটি এ অঞ্চলে বিমান চলাচলের কেন্দ্রে পরিণত হওয়ার আকাঙ্ক্ষার প্রেক্ষাপটে এই শীর্ষ সম্মেলন বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।
তিনি বলেন, ১৯৭৩ সালে আইসিএও-এর সদস্যপদ লাভের পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদের ভৌগোলিক অবস্থানের সুবিধাকে পুঁজি করে বাংলাদেশকে পূর্ব ও পশ্চিমের মধ্যে সংযোগ স্থাপনের জন্য একটি ‘এভিয়েশন হাব’-এ পরিণত করার ব্যবস্থা গ্রহণ করেন।
তিনি আরও বলেন, ১৯৭৫ সালে জাতির পিতাকে হত্যার পর এ পদক্ষেপ বন্ধ হয়ে যায়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা একটি এভিয়েশন হাবের উন্নয়নে সহায়তা করার জন্য বেশ কিছু ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। গত এক দশকে, আমরা আমাদের বিমানবন্দর, বিমানবন্দরের নিরাপত্তা এবং গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং আধুনিকায়ন করার জন্য অনেকগুলো প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছি।’
তিনি উল্লেখ করেন যে এছাড়াও বেশ কয়েকটি প্রকল্প চলমান রয়েছে যার মধ্যে রয়েছে এইচএসআইএ সম্প্রসারণ প্রকল্প (পর্যায়-১), এইচএসআইএ -তে ফায়ার স্টেশনের উত্তর পাশে জেনারেল এভিয়েশন হ্যাঙ্গার নির্মাণ, হ্যাঙ্গার এপ্রোন এবং এপ্রন; শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, চট্টগ্রামে বিদ্যমান রানওয়ে ও ট্যাক্সিওয়ে শক্তিশালীকরণ; কক্সবাজার বিমানবন্দরের উন্নয়ন (ফেজ-১), কক্সবাজার বিমানবন্দর রানওয়ে সম্প্রসারণ প্রকল্প; সিলেটের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিদ্যমান রানওয়ে ও
ট্যাক্সিওয়ে শক্তিশালীকরণ; এবং এইচএসআইএ-তে জননিরাপত্তার বিষয়ে বাংলাদেশের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের সক্ষমতা বৃদ্ধি।
তিনি বলেন, এইচএসআইএ সম্প্রসারণ প্রকল্পের (ফেজ-১) অধীনে নির্মিত তৃতীয় টার্মিনালটি অতিরিক্ত ১২ মিলিয়ন যাত্রী এবং চার মিলিয়ন টন কার্গো পরিচালনার ক্ষমতা তৈরি করবে।
‘আমাদের অর্থনীতির রূপান্তর আমাদের জনগণের জন্য ভ্রমণের সুযোগ বাড়াতে এবং আমাদের এয়ারলাইন্সের জন্য নতুন রুট ও বাজার উন্মুক্ত করতে সাহায্য করেছে। বাংলাদেশ যখন ২০৩১ সালের মধ্যে উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশে এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশে পরিণত হবে, তখন বিমান চলাচলের বাজার আরও প্রসারিত হবে।
আরও পড়ুন: সকল গৃহহীন মানুষের ঘর নিশ্চিত করতে কাজ করছি: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতি যেমন বেড়েছে, তেমনি এয়ার কার্গোর গুরুত্বও বেড়েছে।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের এয়ার কার্গো বাজার প্রতি বছর 8 শতাংশ হারে দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে যা বিশ্বের গড় তিনগুণ। এটি আমাদের দেশে একটি নিবেদিত জাতীয় কার্গো অপারেশনের জোরালো চাহিদাকে নির্দেশ করে। এই সমস্ত কিছু মাথায় রেখে, এমন কিছু ক্ষেত্র রয়েছে যেখানে বিমান অভিনেতাদের আরও বেশি কিছু করতে হবে।’
প্রধানমন্ত্রী সংশ্লিষ্ট সরকারী সংস্থা, এয়ারলাইন্স এবং অন্যান্য স্টেকহোল্ডারদের যাত্রী ও পণ্যসম্ভার উভয়ের জন্য উন্নয়ন ও টেকসই বাজারের জন্য অনুকূল পরিবেশ তৈরিতে তাদের দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ‘সরকার ই-ভিসা ব্যবস্থা চালু করতে যাচ্ছে যা ব্যবসা বা পর্যটনের জন্য বাংলাদেশে আসা যাত্রীদের প্রবাহকে সহজতর ও ত্বরান্বিত করবে।’
প্রতিশ্রুতিশীল এভিয়েশন শিল্পে দক্ষ জনশক্তি প্রয়োজন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমাদের তরুণদের অবশ্যই পাইলট, অ্যারোনটিক্স ইঞ্জিনিয়ার, মেকানিক্স, ক্রু সদস্য এবং আরও অনেক কিছু হওয়ার জন্য প্রশিক্ষণের সুযোগ থাকতে হবে।’
তিনি আশা প্রকাশ করেন যে তার সরকার কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এভিয়েশন অ্যান্ড অ্যারোস্পেস ইউনিভার্সিটি দেশের বিমান ও মহাকাশ শিল্পে দক্ষ জনশক্তির চাহিদা মেটাতে সক্ষম হবে।
তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বিমান শিল্পকে উদাহরণ হিসেবে নেতৃত্ব দিতে হবে এবং এসডিজি পূরণে সচেষ্ট হতে হবে। ডি-কার্বনেশন এবং টেকসই বিমান চালনা জ্বালানি এমন বিষয় যার জন্য বিনিয়োগ, দৃঢ় পদক্ষেপ এবং উন্নত বিমান চালনাকারী দেশগুলোর সমর্থন প্রয়োজন।
প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘আমাদের যাত্রায় আমাদের সমর্থন করার জন্য এয়ারবাসের মাধ্যমে যুক্তরাজ্য এবং ফ্রান্সের দ্বারা প্রস্তাবিত বিমান চালনা অংশীদারিত্ব খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’
প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান এবং বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: সমাজ পরিবর্তনে জীবনমুখী চলচ্চিত্র নির্মাণ করুন: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
১ বছর আগে
সাংবাদিকদের ডাটাবেজ তৈরির রোডম্যাপ করছে প্রেস কাউন্সিল: তথ্যমন্ত্রী
বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল দেশের সাংবাদিক ও সংবাদমাধ্যমগুলোর সুরক্ষার জন্য তাদের একটি ডাটাবেজ তৈরির রোডম্যাপ করছে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
রবিবার দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যানের কাছ থেকে কাউন্সিলের বার্ষিক প্রতিবেদন ২০২০ গ্রহণের পর সাংবাদিকদের তিনি একথা জানান।
প্রেস কাউন্সিল চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. নিজামুল হক নাসিম, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন দপ্তর সম্পাদক সেবিকা রানী, দ্য ডেইলি অবজারভারের সম্পাদক ইকবাল সোবহান চৌধুরী, দৈনিক যুগান্তর সম্পাদক সাইফুল আলম, দৈনিক প্রভাতের সম্পাদকমন্ডলীর সভাপতি মুজাফফর হোসেন পল্টু, বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক মুহাম্মদ নুরুল হুদা, ঢাকা-১০ আসনের সংসদ সদস্য মো. শফিউল ইসলাম, দৈনিক জাতীয় অর্থনীতির সম্পাদক এস এম কিবরিয়া চৌধুরী এবং সচিব শাহ আলম এসময় উপস্থিত ছিলেন।
সাংবাদিকদের প্রশিক্ষণ দেয়া ও সাংবাদিকতার উৎকর্ষ সাধনে ভূমিকা রাখার পাশাপাশি তথ্যমন্ত্রীর পূর্ব নির্দেশনা অনুসারে একটি নীতিমালার ভিত্তিতে সাংবাদিকদের তালিকা তৈরির কাজ শুরু করায় প্রেস কাউন্সিলকে ধন্যবাদ জানান ড. হাছান। তিনি বলেন, সাংবাদিক নয়। কিন্তু সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে যখন কেউ অপকর্ম করে, অনেক সময়ই সেটি পুরো সাংবাদিক সমাজের ওপর বর্তায়। এটি থেকে পুরো সাংবাদিক সমাজকে রক্ষা করার জন্য আমি প্রেস কাউন্সিলকে অনুরোধ জানিয়েছিলাম। এ ব্যাপারে অংশীজনদের সঙ্গে আলাপ করে একটি নীতি প্রণয়ন করে সাংবাদিক ও সংবাদ মাধ্যমগুলোর একটা ডাটাবেজ তৈরি করার জন্য। আমি মনে করি এতে শৃঙ্খলা আসবে, অপসাংবাদিকতা কমে যাবে। সত্যিকার সাংবাদিক ও গণমাধ্যম সুরক্ষা পাবে। সেই কাজটি প্রেস কাউন্সিল ইতোমধ্যেই শুরু করেছেন। এজন্য তাদেরকে আমি ধন্যবাদ জানাই।
আরও পড়ুন: স্বাস্থ্যখাত নিয়ে বিএনপির বক্তব্য 'কিন্তু খোঁজা' আর চিন্তার দৈন্যেরই প্রকাশ: তথ্যমন্ত্রী
মন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। একটি জুডিসিয়াল বোর্ড হিসেবে পাঠক এবং পত্রিকার মধ্যে কোনো বিরোধ উৎপত্তি হলে সেটি নিষ্পত্তি করার লক্ষ্যেই এই প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। সময়ের বাস্তবতায় প্রেস কাউন্সিলকে আরও শক্তিশালী করার জন্য আমরা যে নতুন আইন খসড়া করেছি সেটি ইতোমধ্যেই মন্ত্রিসভায় পাঠানো হয়েছে। মন্ত্রিসভায় উপস্থাপনের পর পার্লামেন্ট হয়ে সেটি পাস হলে প্রেস কাউন্সিলের ক্ষমতা বাড়বে। এসময় বিএনপি মহাসচিবের অভিযোগ- ‘সরকার বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা দিচ্ছে’ এ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপির কিছু নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা আছে এবং ওয়ারেন্টভুক্ত আসামিরা প্রেসক্লাবের সামনে, নয়াপল্টনের সামনে মিছিলে মিটিংয়ে বক্তব্য দিয়েছেন। ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি যখন পুলিশের নাকের ডগায় আস্ফালন করে, তখন তো তাদেরকে গ্রেপ্তার করা পুলিশের দায়িত্ব।'তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘যেসব ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি জ্বালাও-পোড়াও এর সঙ্গে যুক্ত ছিল এই দেশে অগ্নিসন্ত্রাস করেছে, মানুষ পুড়িয়ে হত্যার মহোৎসব করেছে, দেশের রাজনীতিকে কলুষমুক্ত ও সন্ত্রাসী-জঙ্গিদের হাত থেকে মুক্ত রাখার জন্যই তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী যথোপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন। কারণ রাজনৈতিক কারণে মানুষ পুড়িয়ে হত্যা আমাদের ইতিহাসে কখনো ঘটেনি, বিশ্ব ইতিহাসেও খুব কমই ঘটেছে।’
আরও পড়ুন: মিছিলের সঙ্গে ইশরাকের গ্রেপ্তারের কোনো সম্পর্ক নেই: তথ্যমন্ত্রী
গণমাধ্যমকর্মী আইন পরিমার্জনে টিআইবির বিবৃতি সহায়ক নয়, বরং অন্তরায়: তথ্যমন্ত্রী
২ বছর আগে
চালের উৎপাদন বাড়াতে রোডম্যাপ প্রণয়ন করছে সরকার
চালের বৃদ্ধি পাওয়া চাহিদা পূরণে দুই বছরে এর উৎপাদন বাড়াতে সরকার রোডম্যাপ প্রণয়ন করছে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী মোহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক।
তিনি বলেন, ‘এ বছর আউশ, আমন ও বোরো ধানের রেকর্ড উৎপাদন হয়েছে। সরকারি মজুদও সর্বোচ্চ। এরপরও চালের দাম নিয়ন্ত্রণের বাইরে।’
বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ধানের উৎপাদন বাড়াতে অতি উচ্চফলনশীল ইনব্রিড ও সুপার হাইব্রিড জাতের আবাদ বৃদ্ধি সংক্রান্ত সভা শেষে সাংবাদিকদের কাছে এসব কথা বলেন কৃষিমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: বিশ্বমানের প্যাকিং হাউজ ও ল্যাব স্থাপনে কাজ চলছে: কৃষিমন্ত্রী
তিনি বলেন, চালের মূল্য নিম্ন আয়ের মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখতে দ্রুত উচ্চ ফলনশীল ইনব্রিড ও সুপার হাইব্রিড জাতের চাষ করে উৎপাদন ত্বরান্বিত করতে হবে।
মন্ত্রী বলেন, কৃষি জমি হ্রাস পাচ্ছে। উৎপাদন বাড়াতে নতুন উদ্ভাবিত উচ্চ ফলনশীল জাতগুলোকে অবিলম্বে মাঠে নিয়ে যেতে হবে।
তিনি বলেন, সরকার আগামী মৌসুমে আউশ, আমন ও বোরো ধানের উৎপাদন বাড়াতে এবং পাহাড়, হাওর ও প্রতিকূল এলাকায় উৎপাদন সম্প্রসারণের জন্য সময়-নির্দিষ্ট পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে।
আরও পড়ুন: কৃষিতে আজীবন সম্মাননা পেলেন কৃষিমন্ত্রী
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরকে চালের চাহিদা, উৎপাদন ও উৎপাদনশীলতার বিষয়ে আরও নির্ভরযোগ্য পরিসংখ্যান তৈরি করার আহ্বান জানান কৃষিমন্ত্রী।
আন্তর্জাতিক বাজারে খাদ্যপণ্যের দাম অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় দেশে সম্প্রতি চালের দাম কিছুটা অস্থিতিশীল ও ঊর্ধ্বমুখী বলেও জানান তিনি।
২ বছর আগে
বাংলাদেশের ব্র্যান্ডিংয়ে অঞ্চলভিত্তিক রোডম্যাপ হবে
বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের শক্তিশালী ব্র্যান্ডিংয়ের ক্ষেত্রে অঞ্চলভিত্তিক রোডম্যাপ তৈরি করা হবে। রবিবার (২৩ জানুয়ারি) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে উত্তরণের ফলে বাংলাদেশের সম্ভাব্য চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার প্রস্তুতি, পরিকল্পনা গ্রহণ, বাস্তবায়ন ও মনিটরিং সংক্রান্ত 'বিদেশে বাংলাদেশকে ব্রান্ডিং’ শীর্ষক আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
সভায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন একটি জাতি ও সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশের শক্তিগুলো চিহ্নিত করার ওপর জোর দেন এবং সেগুলোকে বিদেশে প্রজেক্ট করার জন্য অংশীজনদের মধ্যে অধিকতর সমন্বয়ের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী দেশের একটি সঠিক এবং ভবিষ্যতমুখী চিত্র তুলে ধরার জন্য একটি উন্মুক্ত, অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং সত্যতা ভিত্তিক কারজক্রম গ্রহণের প্রয়োজনীয়তার কথাও তুলে ধরেন।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্র র্যাবকে প্রশিক্ষণ দিয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
সভায় প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যান মো. সিরাজুল ইসলাম এবং পররাষ্ট্র সচিব ( সিনিয়র সচিব) মাসুদ বিন মোমেন উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: প্রথম মুসলিম নারী হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল জজ হচ্ছেন নুসরাত
এছাড়াও সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ অর্থনৈতিক উন্নয়ন অঞ্চল কর্তৃপক্ষ, বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ কর্তৃপক্ষ, বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশন, বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প কর্পোরেশন, আইসিটি বিভাগ, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ, পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ অথোরিটি ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা, ঢাকা চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই), ফেডারেশন অব বাংলাদেশ কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি ( এফবিসিসিআই), বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমই) এর প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
সভার শুরুতে পররাষ্ট্র সচিব অর্থনৈতিক কূটনীতির বিভিন্ন দিক তুলে ধরে তার মন্ত্রণালয়ের সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যগুলো তুলে ধরেন ( সরাসরি বৈদেশিক বিনিয়োগ বৃদ্ধি ও বৈচিত্র্য সৃষ্টি, রপ্তানি বৃদ্ধি ও বৈচিত্র্য বৃদ্ধি, মানসম্মত সেবা, মানব সম্পদ ও দক্ষতা রপ্তানি, প্রযুক্তি স্থানান্তর) । সভায় বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের শক্তিশালী ব্র্যান্ডিং এর ক্ষেত্রে অঞ্চল ভিত্তিক রোডম্যাপ তৈরির ব্যাপারে বিভিন্ন আলোচনা হয়। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সক্ষমতা, কোভিড পরিস্থিতিতে সাফল্য, অন্য দেশকে ঋণ দেয়ার সক্ষমতা, বাংলাদেশের সাহসী মানুষের সফলতার গল্প, পর্যটন, খাদ্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন-ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনা হয়।
সভায় সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় যে, একটি কমন ব্র্যাণ্ডিং প্ল্যাটফর্ম গঠন করে তার অধীনে দেশের সকল সরকারি বেসরকারি সংস্থা নিজ নিজ ক্ষেত্র থেকে বাংলাদেশকে ব্রান্ডিং-এর কাজ করে যাবে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, হেডকোয়ার্টার ও তার বিদেশস্থ মিশনসমূহ নিয়ে ন্যাশন ব্র্যাণ্ডিং এবং এ সংক্রান্ত সকল কাজে সর্বাত্মক সহযোগিতায় প্রত্যয় ব্যক্ত করে।
২ বছর আগে