আপত্তিকর মন্তব্য
বিচারপতিকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য: দিনাজপুর পৌর মেয়রের কারাদণ্ড
খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে বিচারাধীন মামলার বিষয়ে আপিল বিভাগের এক বিচারপতি সম্পর্কে ‘আপত্তিকর’ মন্তব্যের অভিযোগে দিনাজপুর পৌরসভার মেয়রকে এক মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (১৮ অক্টোবর) আপিল বিভাগের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম সম্পর্কে ‘আপত্তিকর’ মন্তব্যের অভিযোগে সৈয়দ মেয়র জাহাঙ্গীর আলমকে জেলা কারাগারে পাঠিয়েছেন দিনাজপুরের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জুলফিকার উল্লাহ।
আরও পড়ুন: বিচারককে নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্য: দিনাজপুরের মেয়র জাহাঙ্গীরকে এক মাসের কারাদণ্ড
মামলার উদ্ধৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, ৩ আগস্ট বিএনপির কর্মসূচিতে বেগম খালেদা জিয়ার মামলায় রায়ের বিষয়ে আপিল বিভাগের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম সম্পর্কে আপত্তিকর মন্তব্য জুড়ে বক্তব্য দিয়েছিলেন বিএনপি নেতা পৌর মেয়র জাহাঙ্গীর আলম। তার ওই বক্তব্য ইউটিউবে প্রচার হয়েছিল।
এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আপিল বিভাগে আবেদন জানিয়েছিলেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মাহফুজুর রহমান রোমানসহ আরও ৩ আইনজীবী। মামলায় সংশ্লিষ্ট আদালতে হাজির হয়ে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেছিলেন মেয়র সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলম। তবে তাকে ক্ষমা করা হয়নি।
বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) ঘোষিত ওই রায়ে মেয়রকে এক মাসের জেল এবং ১ লাখ টাকা জরিমানার আদেশ দিয়েছিলেন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে আপিল বিভাগের ৪ সদস্যের বিচারপতির বেঞ্চ।
দণ্ড ভোগ করতে এক সপ্তাহ সময় বেঁধে দিয়ে নিম্ন আদালতে হাজির হয়ে আত্মসমর্পণ করতে আদেশ দেওয়া হয়েছিল মেয়রকে। রায় অনুযায়ী বুধবার ১৮ অক্টোবর দিনাজপুরের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আত্মসমর্পণ করলে কারাগারে পাঠানো হয় মেয়র সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলমকে।
অন্যদিকে ঘোষিত জরিমানার ১ লাখ টাকা সেবাধর্মী প্রতিষ্ঠান গাউসুল আযম চক্ষু হাসপাতালে গতকাল বুধবার জমা দিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় মাদক মামলায় নারীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
বরিশালে তিন জেলেকে ১ বছর করে কারাদণ্ড
১ বছর আগে
জাবি ছাত্রীদের নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য: ক্ষমা চাইলেন শাবিপ্রবি উপাচার্য
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ছাত্রীদের নিয়ে করা মন্তব্যের জন্য শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করে ক্ষমা চেয়েছেন।
সোমবার দুপুর ১২ টায় জাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. ফারজানা ইসলামের কাছে মোবাইল ফোনে দুঃখ প্রকাশ করে ক্ষমা চান তিনি।
আরও পড়ুন: শাবিপ্রবি: আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে শিক্ষামন্ত্রীর আলোচনা, অচলাবস্থা কাটেনি
জাবির জনসংযোগ কার্যালয়ের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদের বরাত দিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, তার বক্তব্য সম্পাদনা করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা হয়েছে। এতে জাবির শিক্ষার্থীদের মনে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। একই সঙ্গে জাবির শিক্ষক এবং সংশ্লিষ্ট সকলেই মনে কষ্ট পেয়েছেন। তিনি এ বিষয়টি অনুধাবন করছেন। তিনি আশা প্রকাশ করেছেন যে, জাবির উদার ও প্রগতিশীল শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা তাকে ক্ষমা করে দেবেন।
আরও পড়ুন: ঢাকায় নয়, আলোচনা হবে সিলেটে: শাবিপ্রবির আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা
২ বছর আগে