ট্রেড লাইসেন্স
ঢাকায় ব্যবসা করতে সিটি করপোরেশনের ট্রেড লাইসেন্স লাগবে: মেয়র তাপস
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস জানিয়েছেন, ডিএসসিসি আওতাধীন এলাকায় ব্যবসা করতে হলে সিটি করপোরেশনের ট্রেড লাইসেন্স (বাণিজ্যিক অনুমতি) নিতেই হবে। এছাড়া কাউকে ব্যবসা করতে দেওয়া হবে না।
তিনি বলেন, আমাদের রাজস্ব মেলাগুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়া রাজস্ব আদায়ে আমাদের অভিযানগুলো আরও কঠোর করতে হবে। ব্যক্তি বিশেষের প্রতিষ্ঠান, নামকরা মার্কেট বা গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা; যাই হোক না কেন, কেউ যদি ট্রেড লাইসেন্স না করে ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনা করেন, তাহলে প্রয়োজনে সেসব স্থাপনা-মার্কেট সিলগালা করে দিতে হবে, ক্রোক করতে হবে।
আরও পড়ুন: জনগণ সচেতন হলেই ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব: মেয়র তাপস
মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) ডিএসসিসির প্রধান কার্যালয় নগর ভবনের মেয়র হানিফ অডিটরিয়ামে রাজস্ব আদায়ের সার্বিক পর্যালোচনা সভা ‘রাজস্ব সম্মেলন’ এ তিনি এই মন্তব্য করেন।
তিনি আরও বলেন, এ ধরনের কিছু উদাহরণ সৃষ্টি করা হলে বাকিরাও নড়েচড়ে বসবে। সেজন্য আমাদের আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তাদেরকে আরও কঠোরতা প্রদর্শনের নির্দেশ দিচ্ছি। বাণিজ্যিক অনুমতি ছাড়া আমরা কাউকে ঢাকা শহরে ব্যবসা পরিচালনা করতে দিবো না।
মেয়র বলেন, রাজস্ব আদায়ে একটি বড় বিষয় হলো আপনার আচরণ ও ব্যবহার। এক্ষেত্রে আপনার দপ্তরে যারা সেবা নিতে আসছেন, তাদের সঙ্গে ভালো ও সুন্দর ব্যবহার করবেন।
তিনি বলেন, সেবা নিতে এসে একজন ব্যক্তির যেন আপনার দপ্তরে তিনবার, চারবার আসা না লাগে। সেটা কাম্যও নয়। যেদিন এসেছেন, সেদিনই তাকে সেবা দিবেন। প্রয়োজনে একটু বিলম্ব হলেও সেদিনই সেবা দেবেন। তাকে কালকে আসেন, পরশু আসেন, তিনদিন পরে আসেন, দশ দিন পরে আসেন- এসব বলা যাবে না।
শেখ তাপস বলেন, এতে করে সে ব্যক্তি কর দেওয়ার মানসিকতা হারিয়ে ফেলেন। আপনার আচরণগত কারণে বা তাকে যথাযথ সেবা দেওয়া থেকে বঞ্চিত করার কারণে একজন আগ্রহী করদাতাও করখেলাপি হয়ে যেতে পারেন। সুতরাং কোনো আগ্রহী করদাতাকে করখেলাপি বানাবেন না।
এ সময় হয়রানি ছাড়া জনগণকে সেবা দিতে ব্যর্থ হলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা কঠোরতা দেখানো হবে বলেও উল্লেখ করেন মেয়র।
তিনি বলেন, এখানে থেকে কোনো ধরনের গাফিলতি, অবহেলার সুযোগ নেই।
আরও পড়ুন: যারা উন্নয়ন করেনি, তারাই উন্নয়ন দেখতে পায় না: মেয়র তাপস
সকল পরিছন্নতাকর্মীকে বাসা বরাদ্দ দেওয়া হবে: মেয়র তাপস
১১ মাস আগে
ভবন নির্মাণে কোড অমান্য হলে ট্রেড লাইসেন্স বাতিল করা হবে: ডিএনসিসি মেয়র
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, ভবন নির্মাণে কোড মানা না হলে ট্রেড লাইসেন্স বাতিল করা হবে।
বুধবার (১২ অক্টোবর) বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস এ ‘ডিজাস্টার মেনেজমেন্ট এক্সারসাইজ’ শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা জানান।
তিনি জানান, 'ফায়ার সেফটি, বিল্ডিং সেফটি, ইলেকট্রিক্যাল সেফটি এগুলো নিজ দায়িত্বে নিশ্চিত করতে হবে। অনেক বাণিজ্যিক ভবনে দেখা যায় সিড়িতে দোকান বসিয়ে দেয়া হয়।
আমরা যেকোনো সময় পরিদর্শনে যাবো। কোন ভবনের সিড়িতে প্রতিবন্ধকতা পেলে এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থায় ত্রুটি পেলে ট্রেড লাইসেন্স বাতিল করে দেয়া হবে।'
আরও পড়ুন: বনানী সড়ক সংলগ্ন সেতু ভবন সরাতে হবে: ডিএনসিসি মেয়র
ডিএনসিসি মেয়র জানান, 'বাংলাদেশ ন্যাশনাল বিল্ডিং কোড (বিএনবিসি) অনুযায়ী ভবন নির্মাণের সময় ফায়ার সার্ভিস, পরিবেশ অধিদপ্তর, গ্যাস ও বিদ্যুত বিভাগের ছাড়পত্র নেয়া বাধ্যতামূলক। উঁচু ভবনের ক্ষেত্রে এসবের সঙ্গে ফায়ার ডিটেক্টর, স্মোক ডিটেকটর, উচ্চগতির পানি স্প্রে সিস্টেম ও কার্বনডাই অক্সাইড নির্গমন সিস্টেম থাকাও বাধ্যতামূলক। কিন্তু অন্তত পরিতাপের বিষয় রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন নগরীর বেশিরভাগ ভবন নির্মাণে এসব কোড ঠিকমতো মানা হয় না। যার ফলে বিভিন্ন সময় দুর্ঘটনা ঘটে।'
সাভারের রানা প্লাজা ধ্বসের স্মৃতি স্মরণ করিয়ে দিয়ে ডিএনসিসি মেয়র বলেন, 'আমি বিজিএমই'র প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার এক মাস পরেই রানা প্লাজা ধ্বসের ঘটনা ঘটে। ঘটনার পরেই আমি দ্রুত সেখানে গিয়ে সরাসরি উদ্ধার কাজ শুরু করি। ছাত্রজীবনে বিএনসিসি আমাদের শিখিয়েছে দুর্যোগের সময় ঘরে বসে থাকলে চলবে না। মানুষের সহায়তায় এগিয়ে যেতে হবে। দুর্যোগের সময় মানুষের পাশে থাকতে হবে। ক্ষতিগ্রস্তদের উদ্ধার করতে হবে।'
মেয়র আরও বলেন, 'রানা প্লাজা ধ্বংসের পরে গার্মেন্টস সেক্টর হুমকির মুখে পড়ে যায়। তখন আমি বিজিএমই'র প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করি। আমি এলায়েন্স ও একর্ড এর সঙ্গে দফায় দফায় মিটিং করি কমপ্লায়েন্স ইস্যু নিয়ে। ন্যাশনাল ফায়ার প্রোটেক্ট এসোসিয়েশেন (এনএফপিএ) এর সঙ্গে মিটিং করে ফ্যাক্টরিগুলোর ফায়ার সেফটি, ইলেক্ট্রিক সেফটি এবং বিল্ডিং সেফটি নিয়ে কাজ করি। এনএফপিএ এবং বিএনবিসি এর সঙ্গে সমন্বয় করে কমপ্লায়েন্স নিশ্চিত করে গার্মেন্টস সেক্টরকে টিকিয়ে রাখতে সক্ষম হই।'
এসময় তিনি বলেন, 'আমি গার্মেন্টস ফ্যাক্টরিকে বায়ারদের কাছে ওপেন করে দেই। এর ফলে আমরা তাদের বিশ্বাস অর্জন করতে সক্ষম হই। তারা ফ্যাক্টরি ভিজিট করে অনলাইনে রিপোর্ট করে দিয়েছে। যেসব ফ্যাক্টরিতে নেগেটিভ রিপোর্ট হতো তাদের কাছে অর্ডার আসতো না। এর ফলে ধীরে ধীরে সবাই কমপ্লায়েন্স নিশ্চিত করতে বাধ্য হয়েছে।'
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন বিইউপি'র উপাচার্য মেজর জেনারেল মো. মাহবুব-উল আলম, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. খোন্দকার মোকাদ্দেম হোসেন, রেজিস্ট্রার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আব্দুল্লাহ আল মামুন, ডিএনসিসির প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহ: আমিরুল ইসলাম প্রমুখ।
আরও পড়ুন: সময় হয়েছে অবৈধ দখলদারদের বিরুদ্ধে শক্তিশালী হওয়ার: ডিএনসিসি মেয়র
এলইডি লাইট নগরবাসীর জন্য নববর্ষের উপহার: ডিএনসিসি মেয়র
২ বছর আগে
ট্রেড লাইসেন্স ছাড়াই ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা: বিবি
ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের জন্য ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলাকে সহজ করতে ট্রেড লাইসেন্সের বাধ্যবাধকতা তুলে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক (বিবি)। ফলে ট্রেড লাইসেন্স ছাড়াই এখন অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা।
তবে তাদের অ্যাকাউন্টের নাম হবে ‘পার্সোনাল রিটেইল অ্যাকাউন্ট বা প্রাইভেট রিটেইল অ্যাকাউন্ট’।এই অ্যাকাউন্ট খোলা যাবে- ব্যাংক, মোবাইল ব্যাংকিং(এমএফএস), ই-ওয়ালেট সার্ভিস প্রোভাইডার ও পেমেন্টে সার্ভিস প্রোভাইডার(পিএসপি) সমূহে।
বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, একক ক্ষুদ্র উদ্যোক্তারা এই অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে লেনদেন করতে পারবেন।
রবিবার এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের (এডিবি) সঙ্গে আলোচনার সময় এই তথ্য তুলে ধরা হয়।
আরও পড়ুন: প্রবাসীরা ১০ হাজার ডলারের বেশি কাছে রাখতে পারবেন না: বাংলাদেশ ব্যাংক
ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলার ক্ষেত্রে ই-কেওয়াইসি-এর জন্য প্রয়োজনীয় নথি জমা দেয়ার পরেই একটি ব্যক্তিগত খুচরা অ্যাকাউন্ট খোলা যেতে পারে। এই অ্যাকাউন্ট খুলতে কোন খরচ নেই। এছাড়া লেনদেনের ভিত্তিতে ঋণও পাওয়া যাবে। অ্যাকাউন্টটি এএমএফএস-এ থাকলেও, ক্যাশ-আউট খরচ কম হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের পেমেন্ট সিস্টেম বিভাগের পরিচালক মাসবাউল হক ইউএনবিকে বলেন, ট্রেড লাইসেন্স ছাড়াই ‘পার্সোনাল রিটেইল অ্যাকাউন্ট’ খোলার সুযোগ রয়েছে।
ক্ষুদ্র ব্যবসায় খাতের প্রবৃদ্ধি বাড়াতে এমন নির্দেশনা দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলতে ই-কেওয়াইসি এবং প্রয়োজনীয় নথি জমা দিতে হবে। এটি একটি চলতি অ্যাকাউন্টের মতো পরিচালিত হবে। এই অ্যাকাউন্টটি বাণিজ্যিক কাজে ব্যবহার করা যাবে বলে বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে।
তবে এই অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে প্রতি মাসে সর্বোচ্চ ১০ লাখ টাকা লেনদেন করা যাবে। এই অ্যাকাউন্টের এককালীন স্ট্যাটাস সর্বোচ্চ পাঁচ লাখ টাকা হবে।
ক্ষুদ্র ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী যেমন মুদি ব্যবসায়ী, ভাসমান খাদ্য বিক্রেতা, বাস-সিএনজি-রিকশা চালক, রাস্তার বিক্রেতা, ফেসবুকে বিভিন্ন পণ্য ও সেবার বিক্রেতা বা বিভিন্ন প্রান্তিক পেশায় নিয়োজিত সেবা প্রদানকারীরা এই অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবেন।
অ্যাকাউন্ট খুলতে জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি এবং পেশার প্রমাণ প্রয়োজন। পেশাগত পরিচয়পত্রের জন্য ট্রেড লাইসেন্স বাধ্যতামূলক নয়। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি বা প্রাসঙ্গিক ব্যবসায়িক সমিতি দ্বারা জারি করা একটি বৈধ নথি প্রয়োজন হবে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানিয়েছে, দেশের সব ব্যাংক, এমএফএস এবং পিএসপি পরিষেবা প্রদানকারীরা বিনামূল্যে এই অ্যাকাউন্ট খুলবে।
আরও পড়ুন: ব্যাংকগুলোকে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খরচ কমানোর নির্দেশ বাংলাদেশ ব্যাংকের
সুইস ব্যাংকের কাছে একাধিকবার অর্থ পাচারের তথ্য চেয়েছে বিএফআইইউ: বাংলাদেশ ব্যাংক
২ বছর আগে
ট্রেড লাইসেন্স নবায়নের মেয়াদ ৫ বছর করার দাবি বিজিএমইএ’র
বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ) এর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শহিদউল্লাহ আজিম ব্যবসায় সকল লাইসেন্স নবায়নের মেয়াদ পাঁচ বছর পর্যন্ত করার জন্য সরকারকে অনুরোধ জানিয়েছেন।
তিনি বলেন,‘ব্যবসায় সকল লাইসেন্স নবায়নের মেয়াদ পাঁচ বছর পর্যন্ত করে দেয়া হলে আমরা ব্যবসা সহজীকরণের পথে আরও এক ধাপ এগিয়ে যেতে পারি।’
বৃহস্পতিবার মেট্রোপলিটন চেম্বার অ্যান্ড কমার্স (এমসিসিআই) এর উদ্যোগে আয়োজিত ইজ অব ডুয়িং বিজনেস সংক্রান্ত এক আলোচনা সভায় তিনি একথা বলেন।
এমসিসিআই সভাপতি মো. সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস।
আরও পড়ুন: উৎসে কর আগামী ৫ বছরের জন্য ০.৫ শতাংশ বহাল চায় বিজিএমইএ
সভায় এমসিসিআই এর সাবেক সভাপতি ব্যারিস্টার নিহাদ কবির, এমসিসিআইএ এর বর্তমান বোর্ডের জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি কামরান টি. রহমান এবং অন্যান্য সদস্য ও ব্যবসায়ী নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
এসময় শহিদউল্লাহ আজিম বলেন, ‘পোশাক শিল্প কারখানার বাণিজ্যিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য বিভিন্ন ধরনের লাইসেন্স; বিশেষ করে ট্রেড লাইসেন্স থেকে শুরু করে পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ও ফায়ার লাইসেন্সসহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তর থেকে লাইসেন্স নিতে হয় এবং এগুলো প্রতি বছরই নবায়ন করতে হয়। বিভিন্ন ধরনের লাইসেন্স প্রতি বছর নবায়ন করার কারনে সারা বছর জুড়ে পোশাক কারখানাগুলো নবায়নের কাজে ব্যস্ত থাকে। ফলে পোশাক প্রতিষ্ঠানগুলো ঠিকমতো ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারে না।’
তিনি বলেন, ব্যবসা ও বিনিয়োগ বাড়ানোর জন্য সবচেয়ে বেশি জরুরি ব্যবসা সহজীকরণ বা ইজ অব ডুয়িং বিজনেস। এ ক্ষেত্রে সরকারের সহযোগিতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি সকল ধরনের লাইসেন্স, বিশেষ করে ট্রেড লাইসেন্স নবায়নের মেয়াদ পাঁচ বছর করার অনুরোধ জানিয়ে বলেন, এতে করে ব্যবসায় স্বচ্ছতা রক্ষা হবে, সরকার একইসঙ্গে পাঁচ বছরের রাজস্ব পাবেন এবং ব্যবসায় কাগজপত্র কম লাগবে, যা সরকারের ডিজিটালাইজেশন রূপকল্পের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ।
শহিদউল্লাহ আজিম পোশাক শিল্প রক্ষায় ঢাকা শহরে বিদ্যমান কারখানাগুলোর ট্রেড লাইসেন্স নবায়ন ও অন্যান্য সহযোগিতা সহজশর্ত সাপেক্ষে অব্যাহত রাখা; হোল্ডিং ট্যাক্স এর সঙ্গে ট্রেড লাইসেন্স নবায়নের বিষয়টি জড়িয়ে না ফেলা; শিল্প স্থাপনায় হোল্ডিং ট্যাক্স এবং ট্রেড লাইসেন্স নবায়ন ফি ঘন ঘন পরিবর্তন না করা এবং নতুন ট্রেড লাইসেন্স প্রদান সহজীকরণের জন্য সরকারকে অনুরোধ করেছেন।
আরও পড়ুন: নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস সরবরাহের আহ্বান বিজিএমইএর
ন্যায্য মূল্য ছাড়া ক্রয়াদেশ না নেয়ার আহ্বান বিজিএমইএ’র
২ বছর আগে
ট্রেড লাইসেন্স করার পদ্ধতি: প্রয়োজনীয় কাগজপত্র, খরচ ও সময়
প্রতিটি উদ্যোক্তার জন্য তার পরিকল্পনাটি বাস্তবায়নের সাপেক্ষে সর্বপ্রথম করণীয় হচ্ছে ট্রেড লাইসেন্স করা। ট্রেড লাইসেন্স ব্যবসায়ীকে দেশের যে কোন স্থানে তার ব্যবসাটি পরিচালনা করার স্বাধীনতা দেয়। ব্যবসায়ের অনুকূলে যে কোন কার্যক্রমের জন্য ট্রেড লাইসেন্স একটি অবধারিত নথি। কেননা এর মাধ্যমেই যে কোন ব্যক্তি পরিপূর্ণভাবে একজন ব্যবসায়ী হওয়ার পাশাপাশি ব্যাংক থেকে ঋণ এবং ব্যবসায়িক সংগঠনের সদস্যতা পেয়ে থাকেন। তাছাড়া প্রতিষ্ঠানের পরিব্যপ্তি বৃদ্ধির নেপথ্যে একটি মোক্ষম বাহক হিসেবে কাজ করে এই অনুমতি পত্রটি। তাই চলুন, জেনে নিই ট্রেড লাইসেন্স করার পদ্ধতি।
ট্রেড লাইসেন্স করার জন্য কোথায় যেতে হয়
ট্রেড লাইসেন্স করার জন্য আবেদনকারীকে প্রথমেই ঠিক করতে হবে যে তার ব্যবসাটি আসলে কোন স্থানীয় সরকারের অধীনে পরিচালিত হবে। স্থানীয় সরকার বলতে সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভা, ইউনিয়ন পরিষদ, জেলা বা উপজেলা পরিষদকে বোঝায়। একটি অফিসের নিমিত্তে ট্রেড লাইসেন্স নিয়ে দেশব্যাপী ব্যবসা করা যায়। তবে ব্যবসা প্রসারের স্বার্থে অন্য স্থানীয় সরকারের অধীনে শাখা অফিস করতে হলে সেখানকার জন্য পৃথক ট্রেড লাইসেন্স করতে হবে।
ঢাকা শহরের ক্ষেত্রে কোন অঞ্চল ভিত্তিক ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালিত হবে তা নির্বাচন করতে হবে। ঢাকার উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রত্যেকটিতে অঞ্চল রয়েছে দশটি করে। অঞ্চলের অফিস থেকেই ট্রেড লাইসেন্স-এর জন্য আবেদন ফর্ম পাওয়া যাবে এবং সেখান থেকেই চূড়ান্তভাবে ট্রেড লাইসেন্সটি প্রদান করা হবে।
আরও পড়ুন: মোটর ড্রাইভিং লাইসেন্স করার পদ্ধতি: প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও খরচ
ট্রেড লাইসেন্স-এর জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
ব্যবসার ধরনের উপর ভিত্তি করে ট্রেড লাইসেন্স-এর জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্রেও ভিন্নতা আসে।
স্বত্বাধিকারী ব্যবসার ক্ষেত্রে
→ ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের অফিস বা দোকান ভাড়ার চুক্তিপত্রের সত্যায়িত ফটোকপি
অফিস বা দোকান ব্যবসায়ির নিজের জায়গা হলে ইউটিলিটি বিল এবং হোল্ডিং ট্যাক্স পরিশোধের ফটোকপি। এই অফিস বা দোকানটি অবশ্যই বাণিজ্যিক স্থাপনায় হতে হবে। সাধারণত কোন এলাকায় ভবন দুইভাবে নির্মিত হয়- এক. আবাসিক ও দুই. বাণিজ্যিক। যে কোন ধরনের ব্যবসার অফিস অবশ্যই বাণিজ্যিক ভবনে নিতে হবে, নতুবা ট্রেড লাইসেন্স প্রদান করা হয় না।
→ স্বত্বাধিকারীর তিন কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি
→ স্বত্বাধিকারীর জাতীয় পরিচয়পত্র
আরও পড়ুন: ২০২২ সালে হজের জন্য নিবন্ধন করবেন যেভাবে
অংশীদারী ব্যবসার ক্ষেত্রে
→ অফিস বা দোকান ভাড়ার চুক্তিপত্রের সত্যায়িত ফটোকপি
জায়গাটি অংশীদারদের কারোর নিজের হলে ইউটিলিটি বিল এবং হোল্ডিং ট্যাক্স পরিশোধের ফটোকপি।
→ ৩০০ টাকার দলিলে অংশীদারী ব্যবসার চুক্তিপত্র
→ ম্যানেজিং পার্টনারের তিন কপি ছবি
→ ম্যানেজিং পার্টনারের জাতীয় পরিচয়পত্র
কোম্পানির ক্ষেত্রে
→ অফিস বা দোকান ভাড়ার চুক্তিপত্রের সত্যায়িত ফটোকপি
জায়গাটি অংশীদারদের কারোর নিজের হলে ইউটিলিটি বিল এবং হোল্ডিং ট্যাক্স পরিশোধের ফটোকপি।
→ কোম্পানির সার্টিফিকেট অফ ইন-কর্পোরেশন
→ কোম্পানির মেমরেন্ডাম ও আর্টিকেল অফ এসোসিয়েশন
→ ম্যানেজিং ডিরেক্টরের তিন কপি ছবি
→ ম্যানেজিং ডিরেক্টরের জাতীয় পরিচয়পত্র
ট্রেড লাইসেন্স করতে প্রয়োজনীয় খরচ ও সময়
ব্যবসার ধরনের উপর ভিত্তি করে যেভাবে লাইসেন্স পরিবর্তিত হয় ঠিক সেভাবেই বিভিন্ন ব্যবসার লাইসেন্সের জন্য প্রয়োজনীয় খরচের মধ্যেও বেশ তারতাম্য ঘটে।
ঢাকা সিটি কর্পোরেশন থেকে ট্রেড লাইসেন্স সংগ্রহ করতে এই অঙ্কটি নিম্নে এক থেকে সর্বোচ্চ ৬০ হাজার টাকা পর্যন্ত হতে পারে। এক নামে একাধিক ব্যবসা পরিচালনার ক্ষেত্রে ব্যবসার ধরণ অনুযায়ী খরচ আরও বৃদ্ধি পাবে। তবে কোম্পানির ক্ষেত্রে সকল ধরনের ব্যবসা এক লাইসেন্স দিয়ে স্বল্প খরচে করা যাবে। সিটি কর্পোরেশন আদর্শ কর তফসিল, ২০১৬-এর বিধিমালা অনুযায়ী ট্রেড লাইসেন্সের এই খরচ-এর হার সমূহ নির্ধারণ করা হয়।
এছাড়া এর সাথে আকৃতি অনুসারে সাইনবোর্ড ফি, লাইসেন্স বই-এর খরচ ও এগুলোর উপর ১৫ শতাংশ ভ্যাট-এর খরচ আছে।
ট্রেড লাইসেন্স-এর আনুষঙ্গিক খরচাদি আবেদন ফর্মে উল্লেখিত ব্যাংক সমূহে জমা দেয়ার মাধ্যমে পরিশোধ করতে হয়।
ট্রেড লাইসেন্স প্রক্রিয়ায় সময় লাগতে পারে আবেদন ফর্ম জমা দেয়ার দিন থেকে পাঁচ অথবা সাত কর্মদিবস।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশি পাসপোর্টধারীদের জন্য ভিসা মুক্ত দেশের তালিকা ২০২১
ধাপে ধাপে ট্রেড লাইসেন্স করার পদ্ধতি
ধাপ-১/ সর্বপ্রথম কাজ হচ্ছে ব্যবসায়িক কেন্দ্রের জন্য সঠিক অঞ্চল নির্ধারণ করা।
ধাপ-২/ আই ফর্ম ও কে ফর্ম নামে ট্রেড লাইসেন্স আবেদনের দুটি ভিন্ন ধরনের ফরম আছে। ছোট কিংবা সাধারণ ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের জন্য আই ফর্ম এবং বড় ব্যবসার ক্ষেত্রে কে ফর্ম সংগ্রহ করতে হয়। প্রতিষ্ঠানটি যে অঞ্চলের অন্তর্ভুক্ত সেই অঞ্চলের অফিস থেকেই এই ফর্মগুলো সংগ্রহ করা যাবে, যেগুলোর প্রতিটির দাম ১০ টাকা।
ধাপ-৩/ সংশ্লিষ্ট ব্যাংকে ট্রেড লাইসেন্স-এর ফি ভ্যাটসহ জমা দিয়ে রশিদ সংগ্রহ করতে হবে।
ধাপ-৪/ ব্যবসার ধরন অনুযায় প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ আবেদন ফর্মটির সাথে ব্যাংকে ফি জমা রশিদটি সংযুক্ত করে স্থানীয় সরকারের অফিসে জমা দিতে হবে।
ধাপ-৫/ স্থানীয় সরকারের অধীভূক্ত আঞ্চলিক অফিস থেকে দায়িত্বপ্রাপ্ত একজন কর্মকর্তা ব্যবসায়িক কেন্দ্রটি পরিদর্শন করে অফিসে রিপোর্ট করবেন।
ধাপ-৬/ পূর্ববর্তী প্রতিটি ধাপ সঠিকভাবে সম্পন্ন হলে এই চূড়ান্ত পর্যায়ে ট্রেড লাইসেন্স পাওয়া যাবে সেই আঞ্চলিক অফিস থেকে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে ই-পাসপোর্ট করার নিয়ম: প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও খরচ
ট্রেড লাইসেন্স নবায়ন
প্রতিটি নতুন ট্রেড লাইসেন্স-এর মেয়াদ থাকে এক বছর। স্বভাবতই ট্রেড লাইসেন্স এর কার্যকারিতা বহাল রাখতে হলে প্রতি বছরই ট্রেড লাইসেন্স নবায়ন করতে হয়।
ট্রেড লাইসেন্স নতুন করার সময় যে সরকারি ফিগুলো প্রদান করা হয় তা হলো, ট্রেড লাইসেন্স ফি, সাইন বোর্ড ফি এবং এই দুটো মিলে যত টাকা হয় তার উপর ১৫ শতাংশ ভ্যাট। আর ট্রেড লাইসেন্স নবায়নের সময় এই খরচগুলোর সাথে যোগ হয় উৎসকর, যেটি সিটি করপারেশনের ক্ষেত্রে ৩,০০০ টাকা। ইউনিয়ন পরিষদ ও পৌরসভার ক্ষেত্রে এটি কিছুটা কম হয়।
শেষাংশ
ব্যবসাকে বৈধকরণের জন্য ট্রেড লাইসেন্স একটি অপরিহার্য সনদ। ট্রেড লাইসেন্স দেয়া এবং এর নবায়ন স্থানীয় সরকারের কর আদায়ের একটি মাধ্যম। এটি ছাড়া যে কোন ব্যবসা প্রতারণার সামিল হবে। এ অপরাধে এমনকি অভিযুক্তের বিরুদ্ধে প্রতারণার হিসেবে দেওয়ানী বা ফৌজদারি মামলাও হতে পারে। তাই সঠিক ও বৈধ ভাবে ব্যবসা পরিচালনায় ট্রেড লাইসেন্স-এর কোন বিকল্প নেই।
আরও পড়ুন: স্মার্ট আইডি কার্ড: জাতীয় পরিচয়পত্রে ভুল থাকলে যেভাবে সংশোধন করবেন
২ বছর আগে