মান উন্নয়ন
প্রাথমিক শিক্ষার মান উন্নয়ন প্রয়োজন: উপদেষ্টা বিধান রঞ্জন রায়
দেশে প্রাথমিক শিক্ষার মান উন্নয়ন করা প্রয়োজন বলে মনে করছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা বিধান রঞ্জন রায়।
সোমবার (১২ আগস্ট) সচিবালয়ে প্রথম কর্মদিবসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ মন্তব্য করেন তিনি।
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগ দল গোছাতে পারে কিন্তু বিশৃঙ্খলার চেষ্টা করলে পরিণতি ভালো হবে না: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
উপদেষ্টা বলেন, ‘প্রাথমিক শিক্ষা যেকোনো দেশের জাতির জন্য ভিতস্বরূপ। বাচ্চারা প্রথম জীবনে যা পড়ে, সেটি কিন্তু ব্যক্তিত্বের ভিত গড়ে দেয়। কিন্তু খুব দুঃখজনক হলো, আমাদের দেশে বাস্তবে কিন্তু এর কার্যকারিতা দেখা যায় না। যেমনটা করা উচিত, তেমনটা করা হয় না।’
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘এক সময় আমাদের সাক্ষরতার হার খুব কম ছিল। এখন অবকাঠামোগত অনেক উন্নতি হয়েছে যার ফলে সাক্ষরতার হার বেড়েছে। শিশুদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যাওয়া বেড়েছে।’
বিধান রঞ্জন রায় বলেন, ‘এই মুহূর্তে আমাদের যেটা প্রয়োজন সেটা হচ্ছে, মানের উন্নয়ন করা। প্রাথমিক শিক্ষার মানের উন্নয়ন করা। যেন আমাদের শিশুরা সুনাগরিক হিসেবে গড়ে ওঠে ও দেশের জন্য তারা অবদান রাখতে পারে।’
প্রাথমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো খোলার সিদ্ধান্ত কার্যকরের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি আজকে এসেছি। সবার সঙ্গে বসব। এই বিষয়টা নিয়ে আমরা কথা বলি, তারপর আমরা কর্মকৌশল ঠিক করব।’
বিধান রঞ্জন রায় বলেন, ‘সামগ্রিকভাবে এখন একটা অস্থিরতা তৈরি হয়েছে। অস্থিরতা না কমে, যদি সমস্যাগুলো থাকে তাহলে তো অভিভাবকরা বাচ্চাদের স্কুলে পাঠাতে আগ্রহ দেখাবে না। ঘোষণা দিলেই তো হয় না ব্যাপারটা। সেজন্যই এ বিষয়টি ঠিক করে আমরা জানাব।’
আরও পড়ুন: ‘সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নেতাদের সঙ্গে মঙ্গলবার বৈঠকে বসবেন প্রধান উপদেষ্টা’
দুর্গাপূজায় তিন দিনের ছুটি দাবি প্রাসঙ্গিক: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
৪ মাস আগে
শিক্ষার মান উন্নয়নে সহযোগিতার আশ্বাস এডিবির
বাংলাদেশের কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা, শিক্ষক প্রশিক্ষণ ও শিক্ষার মান উন্নয়নে সহযোগিতা করার আশ্বাস দিয়েছে বাংলাদেশে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)।
রবিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশে এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর এডিমন গিন্টিংয়ের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল সচিবালয়ে শিক্ষামন্ত্রীর দপ্তরে মহিবুল হাসান চৌধুরীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে এ আশ্বাস দেয়।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে জলবায়ু অগ্রাধিকার সমর্থনে ৪০০ মিলিয়ন ডলার দেবে এডিবি
এডিবির পক্ষ থেকে বলা হয়, কারিগরি ও সাধারণ ধারার মধ্যে কার্যকর সমন্বয় সাধনের মাধ্যমে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক ও গতিশীল শিক্ষা ব্যবস্থাপনা গড়ে তুলতে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক বাংলাদেশের পাশে থাকবে।
এ সময় শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার গতানুগতিক শিক্ষাক্রমের পরিবর্তে একটি দক্ষতা নির্ভর ও শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণভিত্তিক শিক্ষাক্রম চালু করেছে।
আরও পড়ুন: ঢাকায় জ্বালানি সরবরাহ বাড়াতে ১৬০ মিলিয়ন ডলার দেবে এডিবি
তিনি আরও বলেন, নতুন শিক্ষাক্রম দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বাজার চাহিদা মোকাবিলা করে কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে ভূমিকা রাখবে।
মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নে এশীয় অঞ্চলের দেশগুলোর শিক্ষণ-শিখন অভিজ্ঞতা বিনিময় করতে এডিবি ভূমিকা রাখতে পারে।
আরও পড়ুন: বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জের মধ্যেও উন্নয়নশীল এশিয়ায় বলিষ্ঠ প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস এডিবির
এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর এডিমন গিন্টিং বলেন, বাংলাদেশের সম্ভাবনাময় জনসংখ্যাকে মানবসম্পদে রূপান্তর করতে নতুন শিক্ষাক্রম সহায়ক হবে।
১০ মাস আগে
কৃষিপণ্যের মান উন্নয়নে সহযোগিতা দিবে ডেনমার্ক
কৃষিপণ্য ও খাদ্যের গুণগতমান উন্নয়নে এবং নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে বাংলাদেশকে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে ডেনমার্ক। এর পাশাপাশি কৃষিপণ্যের প্রক্রিয়াজাতকরণে বাংলাদেশে বিনিয়োগের বিষয়েও উদ্যোগ নিবে ডেনমার্ক।
মঙ্গলবার বিকালে সচিবালয়ে নিজ কার্যলয়ে কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক সঙ্গে সাক্ষাৎকালে ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত উইনি এস্ট্রাপ পিটারসেন (Winnie Estrup Petersen) এ সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
আরও পড়ুন: জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ে একসাথে কাজ করবে বাংলাদেশ-ডেনমার্ক
ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত উইনি এস্ট্রাপ পিটারসেন কৃষিখাতে বাংলাদেশকে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়ে বলেন, বাংলাদেশের কৃষিপণ্যের গুণগতমান উন্নয়নে ও এগ্রিবিজনেসে ডেনমার্ক সহযোগিতা করবে। কোভিড পরিস্থিতির উন্নতি হলে ডেনমার্কের বিনিয়োগ ও ট্রেড মিশন পাঠানোর বিষয়ে উদ্যোগ নেয়া হবে।
এই সময় কৃষিমন্ত্রী বলেন, রপ্তানি ও প্রক্রিয়াজাতকরণে বাংলাদেশ পিছিয়ে আছে। দেশের আম, আনারস, কলা, টমেটো, আলু ও শাকসবজি প্রভৃতি রপ্তানি ও প্রক্রিয়াজাতকরণের সম্ভাবনা অনেক। এক্ষেত্রে ডেনমার্কের বিনিয়োগ ও উন্নত প্রযুক্তিগত সহযোগিতা প্রয়োজন। উত্তম কৃষিচর্চা (জিএপি) মেনে খাদ্য উৎপাদনেও ডেনমার্কের সহযোগিতা দরকার।
এছাড়া পূর্বাচলের দুই একর জমিতে আধুনিক প্যাকিং হাউজ নির্মাণ ও আধুনিক টেস্টিং ল্যাব স্থাপনে ডেনমার্কের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।
সাক্ষাৎ অনুষ্ঠানে দুই দেশের কৃষিখাত, ডেইরি, নিরাপদ খাবার, খাদ্য অপচয় কমানো, ফুড ভ্যালু চেইন ও ল্যাব উন্নয়নে পারস্পরিক সহযোগিতা বিষয়ে আলোচনা হয়। এছাড়া, কৃষিখাতে সহযোগিতার ক্ষেত্র চিহ্নিত করতে ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠনের ব্যাপারেও দুই দেশ সম্মত হয়।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে ডেনমার্ক ও ডব্লিউএফপির’র সমর্থন বৃদ্ধির নিশ্চয়তা
ডেনিস রাষ্ট্রদূত সাক্ষাৎকালে মন্ত্রীর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. সায়েদুল ইসলাম, অতিরিক্ত সচিব মো. রুহুল আমিন তালুকদার, উপসচিব এসএম ইমরুল হাসান, ডেনমার্কের ঢাকা দূতাবাসের কমার্শিয়াল কাউন্সিলর আলি মুস্তাক বাট প্রমুখ।
২ বছর আগে